১১:৩২ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২২ ৪:৩৬ অপরাহ্ন
খামারে গরুকে সুস্থ রাখতে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

গরু পালন লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এখন গরুর খামার গড়ে তুলছেন। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকহারে গরু পালন করা হচ্ছে। তবে গরুর খামার করে অনেকেই লোকসানে পড়ছেন। এর প্রধান কারণ হল গরুর নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়া। খামারের গরুকে সুস্থ রাখতে যেসব কাজ করতে হবে সেগুলো খামারিদের অবশ্যই জেনে খামার পরিচালনা করতে হবে।

খামারের গরুকে সুস্থ রাখতে যেসব কাজ করতে হবে: খামারের গরুগুলোকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট হারে সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে। নিয়মিত গরুগুলোকে সুষম খাদ্য প্রদান করলে গরুগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পাবে ও রোগের দ্বারা কম আক্রান্ত হবে। খামারের প্রত্যেকটি গরুর জন্য আলাদাভাবে খাদ্য প্রদানের ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর খাদ্য প্রদান করতে হবে। খামারের গরুগুলোকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য খামারের চারপাশের খোলামেলা পরিবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাইরের বাতাস ও আলো যাতে ভালোভাবে চলাচল করতে পারে সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা রাখলে গরু সুস্থ থাকবে ও রোগের দ্বারা কম আক্রান্ত হবে।

গরুগুলোকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিক্ষা করাতে হবে। কোন গরু অসুস্থ হয়ে গেলে রোগের ধরণ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।পালন করা গরুগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। গরুকে নিয়মিত কৃমির ওষুধ খাওয়ালে গরুর শরীর সুস্থ থাকে ও গরু স্বাস্থ্যবান হয়।

খামারের গরুগুলোকে বাইরে বের করে খামার ভালোকরে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দিয়ে জীবাণু ধ্বংস করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোন ভাবেই খামার পরিষ্কার করার পানি যাতে জমে না থাকে।

খামারের গরুগুলোকে নিয়মিত গোসল করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত গরুগুলোকে গোসল করালে গরুর শরীর পরিষ্কার থাকে ও রোগ-জীবাণুর আক্রমণ কম হয়। এছাড়াও নিয়মিত গোসল করালে গরুর ত্বক মসৃণ ও চকচকে থাকে।খামারে কোনভাবেই যাতে বাইরের কোন ব্যক্তি না প্রাণী অবাধে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি প্রবেশ করাতেই হয় তাহলে প্রবেশের আগে জীবাণুমুক্ত করাতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২২ ১১:০৭ পূর্বাহ্ন
ইসলামের মৌলিকত্ব ধারণ করে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চর্চা করতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

ইসলামের মৌলিকত্ব ধারণ করে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চর্চা আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে পিএইচপি কুরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে ২০২২ এর গ্র্যান্ড ফিনালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবলো, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রুনাইয়ের রাষ্ট্রদূত হাজী হারিস ওসমান, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান, কুরআনের আলো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ, এনটিভির পরিচালক নূরউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, শুধু দৃশ্যমান ধারণ নয়, ইসলামকে মনেপ্রাণে অনুসরণ ও চর্চা করতে হবে। অনৈতিক ও মূল্যবোধহীন কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়া, অপরকে ঠকানোর জন্য নিজেকে ব্যস্ত রাখা,অপ্রয়োজনে অপরের সমালোচনা করা, অকল্যাণকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা ইসলামের বার্তা নয়। সম্মিলিতভাবে ইসলামের মৌলিক জায়গা ধারণ করতে হবে। ধ্যানে, মনে, চিন্তা-চেতনায় সততা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিনিয়োগ করতে হবে।

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, ইসলামের মৌলিক ভিত্তি পবিত্র কুরআন। সে  কুরআন যারা বুকে ধারণ করে, বিশ্বাস করে, লালন করে এবং চর্চা করে তারা পরিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারে। এ জন্য ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, হিন্দু, মুসলিম,বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব সম্প্রদায়ের প্রতি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে। তবে শেখ হাসিনা যতদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, ততদিন কুরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী কোন আইন বাংলাদেশে পাশ হবে না।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন মাদ্রাসা থেকে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত এক পঞ্চমাংশ মানুষকে পেছনে ফেলে দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। সে জন্য তিনি  মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তরকে এমএ পাশের মর্যাদা দিয়েছেন। বর্তমানে বিপুল পরিমাণ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষায় মেধা ও যোগ্যতায় ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। সরকারের উদ্যোগে জেলা-উপজেলায় ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। আলেম ও ইসলামিক বিদ্বানদের জন্য সরকার নানা দিগন্ত উন্মোচন করছে। যেন তারা মূলস্রোতে এসে নিজ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে মানুষকে আদর্শ ও নৈতিক মানুষে পরিণত করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২২ ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রান্তিক মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রান্তিক মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, অসহায়, দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষদের নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা মনে করেন ভিক্ষুকের কোন মর্যাদা থাকে না। তাঁর সরকার চায় একজন মানুষও বেকার থাকবেন না, গৃহহীন থাকবেন না। অসহায় মানুষের দুঃখ দেখলে শেখ হাসিনার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়নের বিস্ময়কর জাদুকর, তাঁর হাত ধরে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সম্মিলিতভাবে শেখ হাসিনার এ উন্নয়নের ধারায় শামিল হতে হবে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রান্তিক মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। উদ্যোক্তা তৈরি করে বেকারত্ব দূর করছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করছে। মাছ ধরা বন্ধকালে মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের আপামর জনসাধারণের পুষ্টি চাহিদা মেটাচ্ছে।

করোনা সংকটে দুধ, ডিম, মাছ ও মাংসের ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম চালু করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, করোনাকালে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা মূল্যের দুধ, ডিম, মাছ, মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় হয়েছে। চলতি রমজানে মাসে বাজারে দ্রব্য মূ্ল্য বৃদ্ধি রোধে রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমান বিক্রয় চালু করা হয়েছে। বাজারের চেয়ে কম মূল্যে ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও দুধ, ডিম সুলভ মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে।

পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমদের সভাপতিত্বে সভায় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তরুন কুমার সিকদার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ডা. এস এম জিয়াউল হক রাহাত, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, ফজলুল হক সেন্টু ও সমীর কুমার দাশ বাচ্চু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝি,স্থানীয় অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মৎস্যজীবীদের মধ্যে বিকল্প কর্মসংস্থানের অংশ হিসেবে বকনা বাছুর বিতরণ করেন মন্ত্রী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৫, ২০২২ ৫:১২ অপরাহ্ন
পোল্ট্রি ফার্মিংয়ে রেকর্ড রাখার গুরুত্ব
পোলট্রি

পোল্ট্রি ফার্মিংয়ে দৈনন্দিন কাজের রেকর্ড রাখা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারন হাঁস-মুরগী খামারে প্রতিদিনের হিসাব থাকলে একজন খামারি লাভ-লোকসানের হিসাব সর্ম্পকে অবগত থাকবেন। তাই পোল্ট্রি ফার্মিংয়ে রেকর্ড রাখতে হলে কিছু দিকনির্দেশনা মেনে চলতে হবেঃ-

১. চলতি ব্যাচ মুরগী তে কি হচ্ছে
২. কি করা উচিৎ
৩. কেন ওজনে পিছিয়ে আছেন
৪. ত্রুটি টা কিসের খাদ্য, বাচ্চা নাকি মুরগী পালন ঠিকঠাক মত হচ্ছে না।
৫. আগের ব্যাচের সাথে কোন কোন জাগায় চলতি ব্যাচে ব্যবধান হচ্ছে।

আসলে রেকর্ড রাখতে হয় – ব্যবসার গতি প্রকৃতি বুঝার জন্য।

আপনি কি প্রতি ব্যাচে রেকর্ড রাখছেন?

চলুন একটা ব্রয়লার ব্যাচের জন্য কি কি রেকর্ড রাখতে হয় যা আপনাকে লাভবান হতে সাহায্য করবে-

Name of the farm ( ফার্মের নাম, ঠিকানা ইত্যাদি)
Daily house Report:
House No: (শেড নং)
Flock No: ব্যাচ নং
Date: 25/04/2022 ( আজকের তারিখ)

Housing Date:
যে তারিখে বাচ্চা আসল)
Purchased Chick: (কত বাচ্চা কিনা হল)
Received Chicks:(কত বাচ্চা বাস্তবে রিসিভ করেছেন, বক্স মর্টালিটি ও বক্সে যে কয় টা কম বাদ দিয়ে)

1.Age :
বয়স আজকের দিনে

2.Opening Live birds Today :
আজকের দিনের শুরুতে বাচ্চা কত

3.Today’s Mortality :
আজকের মৃত বাচ্চার সংখ্যা

4.Today’s Cull birds :
আজকের দিনে বাতিল /কাল বাচ্চা

5.Today’s Slaughter Birds :
আজকে জবাই করা মুরগির সংখ্যা

6.Today’s Sold Birds :
আজকে বিক্রি করা মুরগির সংখ্যা

7.Today’s Sold birds weight:
আজকে বিক্রি করা মুরগির মোট ওজন

8.Today’s Birds Average Body wt:
আজকে দিন শেষে বাচ্চার গড় ওজন

9.Today’s Average Body weight gain :
আজকের দিনে কত গ্রাম ওজন বাড়ল

10.Today’s live birds Balance:
আজকের দিন শেষে কত মুরগী মজুদ আছে

11.Today’s feed consumptions per bird :
আজকে প্রতি মুরগী কত গ্রাম খাবার খাইল

12.Today’s Total feed consumption :
আজকে সব মুরগি তে টোটাল কত কেজি খাবার খাইল

13.Total feed consumption Up to date:
শুরুর দিন থেকে আজকে পর্যন্ত সব মুরগি তে মোট কত কেজি খাবার খেল

14.Today’s Water Intake :
আজকে মোট কল লিটার পানি খাইল

15.Today Feed stock in House ( Starter):
ফিডের স্টক স্টার্টার

16.Today Feed stock in House ( Grower):
ফিডের স্টক গ্রোয়ার

17.Today Feed stock in House ( Finisher):
ফিড স্টক ফিনিশার

18.Today F.C.R:
কত কেজি খাবার খেয়ে ১ কেজি ওজন আসল

19.Vitamins & medicine use record
পানিতে যদি কোন কিছু ব্যবহার করে থাকেন তার নাম, ডোজ এবং কি পরিমান ব্যবহার করেছেন।

যদি প্রতিদিন এই রেকর্ড গুলো একজন ব্রয়লার খামারী সঠিক ভাবে রেকর্ড রাখতে পারেন, তাহলে তিনি নিজেই তাঁর ফার্মে কি কি ঘাটতি আছে-তা বুঝতে পারবেন এবং ভুল গুলো শুধরিয়ে সঠিক ব্রয়লার পালন পন্থা অনুসরণ করে লাভবান হবেন।

কৃষিবিদ অঞ্জন মজুমদার
লেখক ও সমন্বয়ক,
পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ
ঢাকা, বাংলাদেশ।

Continue reading “পোল্ট্রি ফার্মিংয়ে রেকর্ড রাখার গুরুত্ব”

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৫, ২০২২ ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের উপকরণ আমদানিতে সরকার কর রেয়াত দিয়েছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
পোলট্রি

পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের উপকরণ আমদানিতে সরকার কর রেয়াত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কেআইবি কনভেনশন হলে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘বৈরী আবহাওয়ায় কৃষিজ উৎপাদন: অস্থিতিশীল বৈশ্বিক কৃষি পণ্যের বাণিজ্য’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা, খরা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া, লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ নানা প্রতিকূল পরিবেশ আমরা মোকাবিলা করছি। বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হবে। সরকারের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূলতায় হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের প্রজাতি উদ্ভাবন করে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিকূল পরিবেশের কারণে দেশে ৬৪টি প্রজাতির দেশীয় মাছ হারিয়ে গিয়েছিল। গবেষণার মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৩৪টি বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের কৃত্রিম প্রজনন কৌশল ও চাষ পদ্ধতি আমাদের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে। অতি সম্প্রতি মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ৬ বছর গবেষণার মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির শোল মাছের প্রজনন কৌশল আবিষ্কার করেছে। ময়মনসিংহে মাছের লাইভ জিন ব্যাংক করে সেখানে ১০২ প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। কোন অঞ্চলে কোন বিশেষ মাছ হারিয়ে গেলে জিন ব্যাংক থেকে মাছের পোনা সে অঞ্চলের নদী-নালা, হাওর-বাওড়ে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিদের সরকারের উদ্যোগে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এতে তারা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা রাষ্ট্র করে দিয়েছে। করোনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুধ, ডিম, মাছ, মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর ফলে উৎপাদক, সরবরাহকারী, বিপণনকারী ও ভোক্তারা লাভবান হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার পণ্য ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় বিক্রি হয়েছে। মন্ত্রী আরো যোগ করেন, বৈরী পরিস্থিতিতে প্রাণী চিকিৎসা যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য সরকারের উদ্যোগে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে।

অসুস্থ প্রাণী হাসপাতালে নয় বরং হাসপাতাল প্রাণির কাছে যাবে। এভাবে আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে বৈরী আবহাওয়া ও প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরো যোগ করেন, করোনার বৈরী পরিস্থিতিতে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের উপকরণ আমদানিতে সরকার কর রেয়াত দিয়েছে। পোল্ট্রি ও ফিস ফিড তৈরির শিল্প স্থাপনে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের কর ছাড় দেয়ার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিকী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল, সে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। একসময় বাংলাদেশ খাদ্যের জন্য পরনির্ভরশীল ছিল, সেই বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একসময় ভারত-মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু না আসলে কোরবানি না হওয়ার শঙ্কা ছিল। এখন কোরবানির হাটে আমাদের উৎপাদিত প্রাণী এক দশমাংশ উদ্বৃত্ত থাকে। এতে মানুষের পুষ্টি আমিষের চাহিদা মিটছে, উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে।

বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, এসিআই এগ্রিবিজনেসেস এর প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, গ্রীন ডেল্টা ইস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মঈনউদ্দিন আহমেদ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২২ ১:৩৭ অপরাহ্ন
অধিকলাভে যেভাবে যত্ন নিবেন হাঁস-মুরগির
পোলট্রি

গ্রামীন অর্থনীতির অন্যতম পাথেয় হলো হাঁস-মুরগির পালন।গ্রামের প্রায় সবার ঘরে ঘরে দেখা যায় হাঁস-মুরগি। এবং অনেকেই করছেন বৃহৎ আকারে হাঁস-মুরগির খামারও। আর খামারে লাভবান হওয়ার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা। সঠিক পরিচর্যা প্রয়োগে আরো লাভবান হওয়া সম্ভব। বর্ষাকালের আগেই প্রাণিসম্পদের যত্ন নিতে রয়েছে প্রস্তুতির প্রয়োজন। আর সেজন্য জানা প্রয়োজন তার সঠিক নিয়ম কানুন।

হাঁস-মুরগির যত্ন যেভাবে নিবেন:

১. বর্ষাকলের আগেই প্রাণিচিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন দিতে হবে।

২. বাজারে রাণীক্ষেতের জন্য নবিলিস এনডি ল্যাসুটা, এনডিএলএস, সিভেক নিউ এল, আইজোভ্যাক এনডি কিল্ড, নিউক্যাভাক, ইমোপেস্ট, নিউক্যাসেল ল্যাসুটা ওষুধ রয়েছে। এছাড়া গামবোরো রোগে নবিলিস ২২৮, সিভেক গামবো এল, আইজোভ্যাক গামবো-২ রয়েছে। আর বসন্ত রোগে সিভেক এফপিএল, নবিলিস, ওভোড্রিপথেরিন পাওয়া যায়।

৩. হাঁস-মুরগির কৃমির জন্য ওষুধ খাওয়ানো, ককসিডিয়া রোগ হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জরুরিভাবে অন্যান্য প্রতিষেধক টিকা দিয়ে দিতে হবে।

৪. মুরগি ও হাঁসের বাচ্চা ফোটানোর কাজটি ভরা বর্ষার আগেই সেরে ফেলতে হবে।

৫. গবাদি পশুর গলাফোলা, ডায়রিয়া, ক্ষুরারোগ, নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য রোগের টিকা দেওয়াসহ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে।

৬. বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুর আবাসস্থল পরিপাটি করে পুনসংস্কার, আশপাশ পরিষ্কার করা, জমে থাকা পানির দ্রুত নিকাশের ব্যবস্থা, বর্ষার নিয়মিত এবং পরিমিত গো-খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য কাজ সঠিকভাবে করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২২ ১১:১২ পূর্বাহ্ন
শেখ রাসেলকে হত্যার ঘটনা কারবালার নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছিল- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

শেখ রাসেলকে হত্যার ঘটনা কারবালার নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, পৃথিবীতে যত রাষ্ট্র ক্ষমতার পরিবর্তন, অভ্যুত্থান ও অন্যান্য ঘটনা ঘটেছে কোথাও এত বড় নিষ্ঠুরতা দেখা যায়নি। যেটা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকে বর্বরোচিতভাবে হত্যার মাধ্যমে ঘটেছিল।

শ ম রেজাউল করিম এ সময় আরো বলেন, শেখ রাসেল আমাদের প্রেরণার জায়গা। শেখ রাসেল ছিল অমিত সম্ভাবনাময় এক প্রতিভা। বঙ্গবন্ধুর ও তার পরিবারের সবচেয়ে ভালোবাসা ও স্নেহের ছিল শিশু শেখ রাসেল।

মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ রাসেলের স্বপ্ন তিমিরেই নস্যাৎ করে দিয়েছিল এদেশের বর্বর, খুনি, কুলাঙ্গাররা। যার নেপথ্যে ছিল জিয়াউর রহমান। যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল বঙ্গবন্ধুর খুনিরা। ১৫ আগস্টের নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটাতে জিয়াউর রহমান খুনিদের এগিয়ে যেতে বলেছিল। পরে খুনিদের বিভিন্ন দেশে পুনর্বাসিত করেছিল জিয়া। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলের খুনের বিচার করা যাবে না, এ অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছিল জিয়াউর রহমান।

এ সময় মন্ত্রী আরো যোগ করেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে না থাকলে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক পূর্ব পাকিস্তানের মতো থাকতো। আজ দেশের উন্নয়ন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এসব কিছু শেখ রাসেলের বড় বোন শেখ হাসিনার হাত ধরে সম্ভব হয়েছে।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সম্পৃক্ত শিশু-কিশোররা যেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয়, মাদকাসক্ত না হয়, ভুল পথে না যায় এবং শেখ রাসেলের মতো নিষ্পাপ জীবন গড়ে তুলতে পারে সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতনসহ পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২২, ২০২২ ১১:২১ পূর্বাহ্ন
গবাদি পশুর খামার যেভাবে মাছিমুক্ত রাখবেন
প্রাণিসম্পদ

মাছির যন্ত্রণায় কেবল মানুষ বিরক্ত এমনটি নয়। বরং মাছির যন্ত্রণায় সবচেয়ে বেশি বিরক্ত এবং রোগাক্রান্ত হচ্ছে গবাদিপশু। কারণ এই মাছির মাধ্যমে খামারে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। যা গবাদিপশুর অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই জন্য প্রতিটা গবাদিপশু খামারিকে খামার থেকে মাছি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানা খুবই দরকার। কারণ মাছি তাড়াতে না পারলে আপনার স্বপ্নের খামার থেকে প্রত্যাশিত আয় করতে পারবেন না।

খামার থেকে মাছি দূর করার উপায়:

মাছি তাড়ানোর সবচেয়ে ভালো কৌশল হলো খামারের আশে-পাশে গাছ লাগানো। বাতাসে গাছের নড়া-ছড়াতে খামারে মাছি আসবে কম। এছাড়া খামারে আশে-পাশে কিছু সবুজ বৃক্ষাদি থাকলে পরিবেশের জন্যও ভালো।

গবাদিপশুর মল-মূত্র নিয়মতি ও দ্রুত সেসব পরিষ্কার করতে হবে। কারণ এগুলো জমা হলেই মাছি এসে জমাট বাঁধে। আর এটাই হলো মাছিদের ডিম পাড়ার উপযুক্ত জায়গা। একবারে ৭৫–১৫০টি ডিম পাড়ে এরা। ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোতে সময় লাগে মাত্র ২৪ ঘণ্টা।

লেবু টুকরো টুকরো করে ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা ঢুকাবেন শুধুমাত্র লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকবে। এরপর লেবুর টুকরাগুলো একটি প্লেটে করে খামারের কোণায় রেখে দিন। এই পদ্ধতিতে মশা-মাছি, পোকামাকড় একেবারেই দূর হয়ে যাবে।

ব্যবহৃত চা-পাতা ফেলে না দিয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। এইভাবে ওই চা পাতা ধুনোর বদলে ব্যবহার করুন। শুকনো চা পাতা পোড়ানো ধোঁয়ায় সমস্ত মশা, মাছি পালিয়ে যাবে।

রসুন বেটে পানিতে মিশিয়ে তরল করে পুরো খামারে স্প্রে করতে পারেন। এটা মশা তাড়াতে খুবই কার্যকরী প্রাকৃতিক উপায়। খামারের মাছি তাড়াতে এর যেকোনো একটি উপায় প্রয়োগ করুন।

গরুর গায়ে স্প্রে করার জন্য ২ মিলি তারপিন তেল (অয়েল তারপিন, স্পিরিট তারপিন বা থিনার না), ২ গ্রাম কর্পুর (ন্যাপথালিন গুঁড়াও অনেকে দেন) এ দুইটা জিনিস ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে গরুর গায়ে স্প্রে করলে মাছি বসবে না।

মশা-মাছি কর্পুরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। একটি ৫০ গ্রামের কর্পুরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি খামারের কোনায় রেখে দিন।

তাৎক্ষণিকভাবেই মশা- মাছি গায়েব হয়ে যাবে। দুই দিন পর পানি পরিবর্তন করে নিন। আগের পানিটুকু ফেলে না দিয়ে ফার্মে ছিটিয়ে দিলে পোকামাকড় ও পিঁপড়ের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২০, ২০২২ ৩:২৭ অপরাহ্ন
সরকারের পদক্ষেপ ও প্রান্তিক কৃষকের পরিশ্রমে দেশে খাদ্য সংকট নেই – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও প্রান্তিক কৃষকের পরিশ্রমে দেশে এখন খাদ্য সংকট নেই বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (২০ এপ্রিল) পিরোজপুরের সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২০২১-২২ অর্থবছরে ও ২০২২-২৩ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজধানীর সচিবালয়ের নিজ দপ্তর কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পিরোজপুর সদর এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন সরকার এতো কাজ করেনি, যেটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার করছে। তাঁর সরকার বিদেশ থেকে কৃষি উপকরণ, সার-কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করে অর্ধেকের বেশি ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন কৃষিনির্ভর বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে কৃষককে বাঁচাতে হবে। আর কৃষককে বাঁচাতে হলে, কৃষকের পরিশ্রমের মূল্য দিতে হলে কৃষি উপকরণ ও অন্যান্য সহযোগিতা তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কৃষক এখন ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খুলতে পারছে। বিনা জামানতে কৃষি ঋণ গ্রহণ করছে। তাদের বিনামূল্যে বীজ, কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ বছর ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে কৃষককে সার বিতরণ করা হচ্ছে।

শ ম রেজাউল করিম এ সময় আরো বলেন, বিএনপি সরকারের সময়ে বিদ্যুতের দাবির কারণে কানসাটে ও ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষককে নির্মমভাবে বুলেটবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। শেখ হাসিনার সময়ে কৃষকদের ভেতরে কোথাও অসন্তোষ নেই। তিনি কৃষককে ভালোবাসেন, কৃষিকে ভালোবাসেন। কৃষকের কাছে তিনি বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছেন, কৃষি উপকরণ পৌঁছে দিচ্ছেন। সার-বীজ, কৃষি যন্ত্রপাতি, প্রণোদনা পৌঁছে দিচ্ছেন। এ রকম কৃষকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে অতীতে কখনও আসেনি।

মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষককে সবল করতে না পারলে, খাদ্যে যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে সে জায়গা থেকে আমরা পেছনে পড়ে যাব। প্রধানমন্ত্রীর পরিষ্কার বক্তব্য খাদ্যে কোনভাবেই সংকটের মুখোমুখি হওয়া যাবে না। পরনির্ভরশীল থাকা যাবেনা। সে জন্য এক ইঞ্চি জায়গাও পতিত রাখার সুযোগ নেই। একই জমিতে তিন ফসল উৎপাদনে সরকার কাজ করছে। লবণাক্ত এলাকায় লবণসহিষ্ণু ধান ও অন্যান্য শস্য উৎপাদন করা হচ্ছে। বিদেশী মূল্যবান ফল এখন দেশে উৎপাদন করা হচ্ছে।

কৃষকদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী যোগ করেন , কৃষিনির্ভর সমাজ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জনশক্তি আপনারা। আপনাদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে উৎপাদিত শস্য খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ভূমিকা রাখছে। শুধু ধান, গম, ভুট্টার উপর নির্ভর না করে অন্যান্য যে সব ফসল ফলানো সম্ভব, সে বিষয়েও আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরো যোগ করেন, করোনার প্রাথমিক অবস্থায় অনেক দেশ বলেছিল বাংলাদেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন খাবারের কোন হাহাকার নেই, সংকট নেই। তবে কৃষি উৎপাদন প্রক্রিয়ার দুর্বার গতি রক্ষা করতে না পারলে এ সংকট যে কোন সময় দেখা দিতে পারে।

পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পিরোজপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিপন চন্দ্র ঘোষ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিকসহ উপজেলায় কর্মরত অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে পিরোজপুর সদর উপজেলার ১৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধান বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২০, ২০২২ ১:৪৭ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু
প্রাণিসম্পদ

দীন মোহাম্মদ দীনু (বাকৃবি): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের কনফারেন্স হলে আজ ২০ এপ্রিল ২০২২, সকাল ৯ টায় ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল উন্নয়নে কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এর ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগ, বাকৃবি এর আয়োজনে যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদাহ ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের মোট ৩০জন কৃত্রিম প্রজননকর্মীকে ২০-২২ এপ্রিল ২০২২, তিন দিনব্যাপী হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এম. এ. এম. ইয়াহিয়া খন্দকার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ডাঃ ভবতোষ কান্তি সরকার, প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া।

পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. অভিজিৎ সাহা অপু এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক জনাব মোঃ শরীফুল হক এবং অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ড. মোঃ হাতেম আলী এবং ময়মনসিংহে কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র এর উপ-পরিচালক ডাঃ আবু সাঈদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ ভবতোষ কান্তি সরকার বলেন, এই প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান বিশ্বখ্যাত ছাগলের ব্ল্যাক বেঙ্গল জাত সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশে কৃত্রিম প্রজনন গরুতে ইতিমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে, দেশে ছাগলের কৃত্রিম প্রজনন আজ থেকে শুরু হবে। প্রশিক্ষনার্থীরা উন্নত জাতের সিমেন সংগ্রহ, সঠিক মূল্যায়ন এবং তা মাঠ পর্যায়ে প্রেরনের মাধ্যমে মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মাংস রপ্তানির সম্ভাবনায় ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে সারাদেশে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রায় ৫ হাজার কৃত্রিম প্রজননকর্মী কাজ করছে, যাদের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে এ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষনার্থীগণ ছাড়াও শিক্ষক ও আমন্ত্রিত অতিথিগন উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop