১১:৫০ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৩:৩২ অপরাহ্ন
পরিবেশ সংরক্ষণে টিলাকাটা, পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশ সংরক্ষণে টিলাকাটা, পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে। সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক-সহ সকলকে পরিবেশ দূষণ রোধে কাজ করতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষায় সবাইকে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।

নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার বালাপুর নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জীবনকে পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে প্রকৃত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে। জাতিকে উন্নত করতে, স্বাবলম্বী করতে শিক্ষিত হতে হবে এবং অন্যদেরও শিক্ষা গ্রহণে উদবুদ্ধ করতে হবে।

শিক্ষকদের উদ্দেশে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধনের পাশাপাশি একজন সুনাগরিক ও আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা প্রদান করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শে উদবুদ্ধ করতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, ভাষা সংগ্রামী ও দেশের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত জাতীয় নেতৃবৃন্দের সংগ্রামী জীবন কাহিনী তাদের জানাতে হবে।  আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য তাদের নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম বাবু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মোঃ গিয়াস উদ্দিন বাবু; মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান, বিদ্যালয়টির সভাপতি ও পাইকারচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম এবং বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবদুস সবুর প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৩ ৭:৫৯ অপরাহ্ন
সুন্দরবন রক্ষায় ৯টি দাবি বাকৃবি গ্রীন ভয়েসের
ক্যাম্পাস

বাঁচুক বাঘ, বাঁচুক পাখি, সুন্দরবন সংরক্ষিত রাখি’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সুন্দরবন দিবসে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তন সংলগ্ন মুক্তমঞ্চের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস ৯টি দাবি তুলে ধরে। দাবিগুলো হলো সুন্দরবনের বাঘ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী রক্ষা করুন, সুন্দরবনের বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন বন্ধ করুন, বাংলাদেশ বাঁচাতে সুন্দরবন বাঁচান, বদের অবৈধভাবে প্রবেশধিকার বন্ধ করুন, বনে গাছ কাটা বন্ধ করুন, সুন্দরবনের নদীতে যান চলাচল বন্ধ করুন, সুন্দরী ও গোলপাতাসহ সকল গাছপালা রক্ষা করুন, সুন্দরবনের জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করুন, সুন্দরবনে অবৈধভাবে জমি দখল বন্ধ করুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মোঃ. সাইফুল ইসলাম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হারুন -অর – রশিদ ও ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুজ্জামানসহ গ্রীন ভয়েসের সদস্যরা।

অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনের অভয়ারণ্য স্থানগুলোকে পর্যটন কেন্দ্র বানানো যাবে না। পরিবেশের সাথে আমাদের আরও সহনশীল হতে হবে। সরকারকে এ বিষয়ে আরো জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের সুন্দরবনের ৬৬ শতাংশ থাকা সত্ত্বেও বাঘের সংখ্যা ভারতের তুলনায় কম। ভারতে বন সংরক্ষণ ও বাঘ বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়। ফলে বাংলাদেশ থেকে অনেক বাঘ ভারতে চলে যাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধান করতে সরকারকে আরো দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩১, ২০২৩ ৯:৫৫ অপরাহ্ন
ফুল বিক্রি করেই লাখ টাকা আয় করেন শহিদুল
প্রাণ ও প্রকৃতি

শীতকালীন সবজির পাশাপাশি ফুল চাষ করে নতুন স্বপ্ন দেখছেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষকরা।পলিনেট হাউজ নামের চাষাবাদ পদ্ধতিতে যে কোনো মৌসুমের সবজি বা ফুল চাষ করা সম্ভব। এতে কৃষকও লাভবান হবেন। অন্যদিকে স্থানীয় সবজি ও ফুলের চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে বাজারজাত করা যাবে।

জানা যায়, প্রাথমিক ভাবে প্রকল্পের আওতায় ২৫ শতক জমির ওপর স্থাপন করা হয় পলিনেট হাউজ । আর এতে ব্যবহার করা হ

উন্নতমানের পলি ওয়ালপেপার । পলিপেপার ও লোহা দিয়ে তিনটি শেডে এ হাউজ নির্মাণ করা হয়। সব মিলিয়ে ব্যয় হয় প্রায় ১৫ লাখ টাকা। প্রথম দিক দিয়ে খরচ একটু বেশি হলেও এর ফল পাওয়া যাবে ২০ বছর পর্যন্ত। এ পদ্ধতিতে শীতকালীন সবজির পাশাপাশি ফুল চাষ করে নতুন স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা।

শহিদুল ইসলাম বলেন, পলিনেট হাউজে সবজির পাশাপাশি ফুল চাষ করছি। এই পদ্ধতিতে সব মিলিয়ে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। আমার পলিনেট হাউজে চাষ হচ্ছে গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, জারবেরা, গাজর, মুলা ও ধনিয়ার চাষ করেছি। আমার হাউজে এখন লাল, নীল, সাদা, হলুদসহ নানা রঙের ফুলে বড়ে গেছে। ফুলের বাম্পার ফলন হওয়ায় এর মধ্যে ১০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছি। নিজ জেলার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় এই ফুল পাইকারি বিক্রি করছয়া।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন,পলিনেট হাউজ পদ্ধতিতে যে কোনো সময়ে সবজি বা ফুল চাষ করা যায়। এতে কৃষক যে কোন সময় সবজি এবং ফুল চাষ করে লাভবান হতে পারে। চাষিরা এ পদ্ধতিতে চাষ করে স্থানীয় সবজি ও ফুলের চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে বাজারজাত করা সম্ভব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৭, ২০২৩ ৮:০৪ অপরাহ্ন
ফরিদপুরে বেড়েছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ
প্রাণ ও প্রকৃতি

ফরিদপুরে বেড়েছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর চাষ। ফরিদপুর বিএডিসির উৎপাদিত বীজ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

বৈচিত্র্যময় কৃষির জেলা ফরিদপুর। এ জেলায় প্রায় সবধরণের ফসল উৎপন্ন হয়ে থাকে। সে কারণেই ফরিদপুরে শুরু হয়েছে অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সূর্যমুখী ফুলের চাষ। সূর্যমুখীর তেল কোলেস্টেরল মুক্ত। প্রচুর পরিমাণে প্রাণশক্তি থাকায় সূর্যমুখী তেল আমাদের শরীরের দুর্বলতা, কার্যক্ষমতা বাড়াতে অনন্যতম ভূমিকা রাখে। যেকোনো তেলের চাইতে সূর্যমুখী তেল দশগুণ বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ। আর সে কারণেই ফরিদপুরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ।

ফরিদপুর জেলার নয়টি উপজেলার কৃষকরা চলতি মৌসুমে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসছে দর্শনার্থীরাও। আর কৃষকেরা ভাল ফলন আশা করছেন।

ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সারিবদ্ধভাবে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ফসল তুলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দু’বার সেচ দিতে হয় এ ফসলে। প্রতি একর জমিতে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক একর জমির উৎপাদিত বীজ থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যয়।

ফরিদপুর ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদন খামার উপপরিচালক কৃষিবিদ মাহমুদুল ইসলাম খান জিয়া জানান, দিন দিন চাষিরা সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছে। এই তেলে কোনো কোলেস্টেরিয়াল নেই, যে কারণে চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এটা অন্য ফসলের চেয়ে স্বল্প জীবন কাল ও লাভ জনক। সে কারণেই সূর্যমুখী ফুল চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৩, ২০২৩ ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
বিদায়ের পথে শীত
প্রাণ ও প্রকৃতি

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় তা ছিল ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিকে, ঢাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বর্তমানে পুরো রংপুর বিভাগ, নওগাঁ ও মৌলভীবাজারে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। তবে ধীরে ধীরে এসব জায়গায় তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামনে আর শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। দেশের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে। শীতের তীব্রতা কমবে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত শুক্রবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গত ৩ বছরের মধ্যে দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। গতকাল শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ১৯, ২০২৩ ৭:৫৭ অপরাহ্ন
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
প্রাণ ও প্রকৃতি

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ দেশের বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাঙ্গামাটি, কমিল্লা, মৌলভীবাজার, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ সমূহের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে আজ রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময় তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বদলগাছীতে ৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ টেকনাফে ২৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়াও শ্রীমঙ্গলে ৬ দশমিক ৫, তেঁতুলিয়ায় ৬ দশমিক ৮, সৈয়দপুর ৭ দশমিক ৮, ঈশ্বরদীতে ৭ দশমিক ৯, দিনাজপুর ও রাজারহাটে ৮ দশমিক ০, নেত্রকোনায় ৮ দশমিক ৪, চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৫, ডিমলায় ৮ দশমিক ৭ এবং তাড়াশে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ০, রংপুরে ৯ দশমিক ৪, ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৪, সিলেটে ১০ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৪ দশমিক ৪, খুলনায় ১৩ দশমিক ৮ এবং বরিশালে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
ঢাকায় আজ উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ। ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ মিনিটে এবং আগামিকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৭, ২০২৩ ৪:১৯ অপরাহ্ন
সারাদেশে আরও বাড়বে শৈত্যপ্রবাহ
প্রাণ ও প্রকৃতি

সারাদেশে শৈত্যপ্রবাহ আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় মাঝারী থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ,দিনাজপুর,নীলফামারী, পঞ্চগড়,যশোর,চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া,
সাতক্ষীরা ও বরিশাল জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিনয়াস এবং সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে,উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে।

মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। শনিবার সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫ টা ২৬ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬ টা ৪৩ মিনিটে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩০, ২০২২ ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে মধু চাষে স্বাবলম্বী ৫০ তরুণ!
কৃষি বিভাগ

রাজশাহীতে মধু চাষে তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে। ইতোমধ্যে অনেক তরুণ মধু চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এখন সরিষার ক্ষেতের পাশে বাক্স বসিয়ে মধু চাষ করছেন অনেকেই। এতে মধু চাষি ও সরিষা চাষি উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। মৌমাছি সরিষা ফুলে পরাগায়নের ফলে সরিষার উৎপাদন বাড়ছে। পাশাপাশি অধিক মধু আহরণ করতে পেরে লাভবান হচ্ছেন মধু চাষিরা।

জানা যায়, বর্তমানে রাজশাহীতে অন্তত ৫০জন তরুণ মধুচাষি মধু চাষ করছেন। কম খরচে মধু উৎপাদন করে আয় করছেন লক্ষাধিক টাকা। এতে করে ভাগ্য বদলের পাশাপাশি মধু চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বেকার তরুণরা। এদিকে বাণিজ্যিকভাবে মধু আহরণে মৌ চাষিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন পাশাপাশি বাড়ছে সরিষা উৎপাদন।

রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার হাতনাবাদ গ্রামের যুবক সুমন আলী বলেন, আমি একসময় কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতাম। ২০১৩ সালে রাজশাহীর বিসিক এলাকা থেকে মধু সংগ্রহের বক্স তৈরি করি। মধু সংগ্রহের ট্রেনিং নিয়ে সরিষা ক্ষেতে মধুচাষ শুরু করি। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মধু চাষ করে আমি স্বাবলম্বী হতে পেরেছি।

সুমন আরো বলেন, এবছর ৫০টির বেশি বক্স বসিয়েছি। গড়ে প্রতি সপ্তাহে তিনি আড়াই মন মধু সংগ্রহ করছি। আমাদের এখনকার উৎপাদিত মধুগুলো ২১ থেকে সাড়ে ২২ গ্রেডের হওয়ায় স্থানীয় ও মার্কেটে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আশা করছি এবছর আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মধু বিক্রি করতে পারবো।

রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রাজশাহীতে এবছর ৪০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ৪২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। এবছর রাজশাহীতে ৩ হাজার ৪০২টি মধু চাষের বক্স স্থাপন করা হয়েছে। এসব বক্স থেকে ৪০ হাজার ৮০০ কেজি মধু উৎপাদন হতে পারে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ২৩০ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। মধু চাষিরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি সরিষার ফলন বিঘা প্রতি ৩-৪ মণ বেড়েছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি। ফলে এবছর সরিষার আবাদ বেড়েছে। রাজশাহীতে তরুণরা মধু চাষে ঝুঁকছেন। মধু চাষ করে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়েছেন। আর মধু চাষের ফলে সরিষার উৎপাদনও বেড়েছে ২৫ শতাংশ। ফলে সরিষা চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ১০:৪৪ অপরাহ্ন
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে মামুনের মধু
এগ্রিবিজনেস

ধোঁয়া সৃষ্টি করে মৌচাক থেকে প্রাকৃতিক মধু সংগ্রহ করেন মধু সংগ্রহকারীরা।তবে বর্তমানে প্রাকৃতিক মধুর চেয়ে বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ অনেক বেশি লাভজনক। মৌমাছির মাধ্যমে বিভিন্ন ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মৌ চাষি মামুন আর রশিদ ওরফে মধু মামুন। কুষ্টিয়ায় উৎপাদিত মধু এখন অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে যাচ্ছে। এ ব্যতিক্রম উদ্যোগ কুষ্টিয়ার মিরপুরের মৌ চাষি মামুনের।

মামুন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গেটপাড়া গ্রামের মসলেম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। তাকে সবাই মধু মামুন বলেই চেনেন। মৌ চাষে আত্মনিয়োগ করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার দেখানো পথে অনেকেই মধু খামার গড়ে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ধারণা ও দূরদৃষ্টি, অধ্যবসায় আর পরিশ্রম দিয়ে সফল হয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুরের তরুণ মধু ব্যবসায়ী মামুন।

তিনি সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি পালনের মাধ্যমে মধু উৎপাদন করে আসছেন দীর্ঘদিন। এখন স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি সেই মধু অস্ট্রেলিয়াতে রফতানি শুরু করেছেন তিনি। বিষয়টি বেশ সাড়া ফেলেছে এলাকায়। মামুনের দেখাদেখি অনেকেই এখন মৌ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

জানা যায়, কারিগরি কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই ১৯৯৭ সালে মাত্র চারটি মধুর বাক্স নিয়ে শুরু হয় মধু মামুনের পথচলা। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মামুন বলেন, শখের বসেই ১৯৯৭ সালে দুই হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে মাত্র চারটি মধুর বক্স নিয়ে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করা শুরু করি। এরপর ১৯৯৮ সালে তিনি মাস্টার্স পাস করেন। চাকরির আশা না করে শুরু করেন মধু চাষ। এখন তার তিনটি খামারে প্রায় সাড়ে ৪০০ মধুর বক্স রয়েছে। এখন এগুলোর প্রতিটির মূল্য আট থেকে নয় হাজার টাকা।

মধু মামুন জানান, নিজে কিছু করার চেষ্টা এবং অন্যদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতেই আমার এ পথচলা। আমার খামারে উৎপাদিত মধু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি করা হয়ে থাকে। বর্তমানে আমার তিনটি খামারে সাড়ে ৪০০ বক্সে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরমধ্যে তাড়াশের কেন্দুয়িল, চাপাইনবয়াবগঞ্জের সুকনাপাড়া এবং কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল মাঠে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি ২০ টন মধু। গত বছর একটি খামার থেকে উৎপাদন করি ১০ টন।

তিনি আরো জানান, কুষ্টিয়ার মিরপুর এবং নাটোরের চলনবিলে সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ চলছে। প্রতি সপ্তাহে তিনটি খামারে ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি মধু সংগ্রহ হচ্ছে। সংগৃহীত মধু দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে বিদেশেও। প্রতিটি বক্স থেকে প্রায় সাত থেকে আট কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। গত বছর খামার থেকেসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা এবং কোম্পানির কাছে ৩০০ টাকা কেজি দরে মধু বিক্রি হয়েছে। এছাড়া আমার খামার থেকে প্রতিমাসে ১০০ কেজি মধু অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হয়।

মিরপুরের ধুবইল ইউনিয়নে স্থাপিত মধু মামুনের মৌ খামার পরিদর্শন শেষে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরিষা ক্ষেতে মৌ চাষের ফলে একদিকে ফলন বাড়ছে এবং মধু সংগ্রহের ফলে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে। মামুন এ উপজেলার একজন মডেল মৌ খামারি। মধু চাষ করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ৫:৫৭ অপরাহ্ন
ঝালকাঠিতে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রাণ ও প্রকৃতি

বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ঝালকাঠি ইউনিটের উদ্যোগে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি বিষয়ে দিনব্যাপি ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

আজ সোমবার দুপুর ১১ টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কর্মশালা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ঝালকাঠি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন পান্না।

সভাপতিত্ব করেন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ঝালকাঠি ইউনিটের সহসভাপতি এডভোকেট মাহাবুবার রহমান। বক্তব্য রাখেন রেডক্রিসেন্টের সদস্য মনোয়ার হোসেন খান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা চিত্তরঞ্জন দত্ত, এফবিএফ প্রকল্পের সহকারী পরিচালক ও সমন্বয়কারি মো. শাহজাহান সাজু, জার্মান রেডক্রস- এর প্রতিনিধি ফাহিম আহম্মেদ প্রমুখ।

কর্মশালায় রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ঝালকাঠি ইউনিটের ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop