৯:২২ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২২ ২:৪০ অপরাহ্ন
দিনাজপুরে মিলল বিষধর রাসেল ভাইপার
প্রাণ ও প্রকৃতি

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার একটি ক্ষেতে বিষধর রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ৬নং ভান্ডারা ইউনিয়নের তুলাই নদীর পাড়ের একটি সরিষা ক্ষেতে সাপটি পাওয়া যায়।

সাপটি উদ্ধার করেন বাংলাদেশ বন বিভাগের বিরল উপজেলার এসএফপিসির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসীন আলী। উদ্ধারের পর সাপটি উপজেলার ধর্মপুর ফরেস্ট বিট অফিসে রাখা হয়।

এদিকে সাপটি রাজশাহীতে নেওয়ার জন্য শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহী স্নেক (সাপ) রেস্কিউয়ের একটি দল বিরলে এসেছে। দাপ্তরিক কাজ শেষে তাদের কাছে সাপটি হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসীন আলী বলেন, স্থানীয় কৃষক নুর ইসলাম তার সরিষা ক্ষেতে অপরিচিত একটি সাপ দেখে বন বিভাগকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেটি উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, ভারত সীমান্ত কাছাকাছি হওয়ায় সাপটি সেখান থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেহেতু সাপটি অনেক বিষাক্ত তাই উপযুক্ত স্থান ছাড়া সেটিকে অবমুক্ত করা হবে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২২ ২:৩৩ অপরাহ্ন
খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বানর
প্রাণ ও প্রকৃতি

খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসা বানর কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকায় গাছের ডালে আবার কখনো এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ির ছাদে বা ঘরের চালে লাফালাফি করে বেড়ায়।

কয়েকদিন ধরেই দেখা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা শহরের জলিল বিড়ি মোড়, পুরাতন স্টেশন, কালীবাড়ি, থানা পাড়া, গুয়াতীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ছুটোছুটি করতে দেখা যায় বানর দু’টিকে।

বনবিভাগ ও স্থানীয়রা জানান, কুড়িগ্রাম জেলা সীমান্তবর্তী হওয়ার সুবাদে ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ক্ষুধার্ত বানরগুলো খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে। খাবারের সন্ধান করে প্রায় সময়ই বাংলাদেশের লোকালয়ে চলে আসছে অভুক্ত বানরগুলো। বাড়ির ছাদে উঠলে অনেক পরিবারের সদস্যরা বানরগুলোকে খাবার দিলেও অনেকের মাঝে ভীতিও দেখা দিয়েছে।

গত দুই দিন ধরে অনেকে অভুক্ত বানরগুলোকে কলা, আপেল, বাদামসহ বিভিন্ন খাবার খেতে দিলে তা নিয়ে দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। খাবার না পেয়ে হয়তো বন থেকে লোকালয়ে চলে এসেছে তারা।

কুড়িগ্রাম বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম জানান, বানরগুলো হয়তো দলছুট হয়ে ভারত থেকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্ত পেরিয়ে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসেছে। তাদের ঢিঁল দিয়ে বিরক্ত করা যাবে না। তারা এমনিতেই আবার বনে চলে যাবে। এরপরও গতিবিধি লক্ষ্য করে বানরের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বনবিভাগের পক্ষ থেকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৮, ২০২২ ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
‘নতুন প্রজাতির সাপ’ পেয়েছে বাংলাদেশ
প্রাণ ও প্রকৃতি

একটি নতুন প্রজাতির ‘ঢোঁড়া সাপ’ পেয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে দেশে বিচরণকারী রেকর্ডকৃত সাপ প্রজাতির সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৪টিতে। ইতোপূর্বে গবেষকরা বাংলাদেশের সমতল, নদী-বিল-জলাভূমি ও সামুদ্রিক প্রেক্ষাপটে ৯৩টি সাপের বিচরণ রেকর্ড করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন উইংয়ের চারজন গবেষক এ গবেষণা কাজটি সম্পন্ন করেন। এ সম্পর্কিত একটি গবেষণা প্রবন্ধ সম্প্রতি ২৫ নভেম্বর দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান সাময়িকী বাংলাদেশ জার্নাল অব জুয়োলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। ওই গবেষকরা দেশের প্রথিতযশা বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ওই নতুন প্রজাতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন।

ওই চার গবেষক দলের অন্যতম গবেষক ও বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী আদনান আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, দেশে নতুন প্রজাতি একটি সাপ রেকর্ডভুক্ত হলো। এর নাম ‘দাগিঘাড়-ঢোঁড়া’। এর ইংরেজি নাম Bar-necked Keelback। দেশে সাপটির উপস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহে প্রায় দেড়বছর যাবত ডিপ ইকোলজির গবেষক ও ভলান্টিয়াররা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছেন। এ সাপের বাইটকেস হিস্ট্রিও লিপিবদ্ধ করেন তারা। গবেষক ও ভলান্টিয়াররা দেশের ১৬টি জেলায় অবস্থিত নদী ও জলাভূমিগুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন। সেখানে বেশ কয়েকবার এ সাপটির দেখা পাওয়া গেছে। কিন্তু সাধারণ ঢোঁড়া সাপ মনে করে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি তারা। ২০১৯ সালে বন্যপ্রাণী বিষয়ক একটি বইতে বিশেষ দাগটি তাদের নজরে আসে। এরপর তা অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত মিলিয়ে ও বিশেষজ্ঞদের দেখানোর পর নিশ্চিত হয়েছেন এটা বাংলাদেশের নতুন জাতের সাপ।

দেশের প্রথিতযশা বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী প্রফেসর ড. মনিরুল খান জানান, এ সাপটি দেশের যে কয় জায়গায় পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে সারাদেশেই আছে। এ সাপটি অনেকটা আমাদের সাধারণ ঢোঁড়া (Checkered Keelback) সাপের মতোই দেখতে বিধায় অভারলুক (উপেক্ষিত) হয়েছে এতদিন। সাধারণ ঢোঁড়া থেকে এর খুব বড় ধরনের শারীরিক পার্থক্য নেই। তাই এতদিন ধরে সাপটি আমাদের প্রকৃতিতে বসবাস করলেও পৃথক একটি প্রজাতির বলে তাকে চিহ্নিত করা যায়নি। এ সাপটি প্রচলিত নাম নেই, ‘দাগিঘাড়-ঢোঁড়া’ বলা যেতে পারে।

দেশে ইতোপূর্বে এর আগে ৯৩ প্রজাতির সাপ দেখা গেছে। এর মধ্যে ঢোঁড়া সাপের প্রজাতি রয়েছে ছয়টি। সম্প্রতি ‘লালঘাড়-ঢোঁড়া’ তালিকাভুক্ত হওয়ায় দেশে সাপের প্রজাতির সংখ্যা এখন ৯৪টি বলে জানান প্রফেসর মনিরুল খান।

ঢোঁড়া সাপ দেশের পরিচিত সাপের মধ্যে অন্যতম। ছোট মাছ, ব্যাঙ, ইঁদুরসহ ক্ষতিকর প্রাণী খেয়ে এরা খাদ্য শৃঙ্খলের এক অসাধারণ ভুমিকা পালন করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২২ ৮:২৩ অপরাহ্ন
শীতে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করবেন যেভাবে
প্রাণ ও প্রকৃতি

শীতের মৌসুমী চন্দ্রমল্লিকা বেশ জনপ্রিয়। এর আদি জন্মস্থান জাপান ও চীন। এটি বিভিন্ন বর্ণ ও রঙের হয়। বাড়ির আঙিনা, বারান্দা ও ছাদে ফুলটি চাষ করা যায়। জাতভেদে ফলন কম-বেশি হয়। গাছপ্রতি বছরে গড়ে ৩০-৪০টি ফুল পাওয়া যায়। সাধারণত চন্দ্রমল্লিকা তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা আবহাওয়া এবং রৌদ্রোজ্জ্বল জায়গায় ভালো জন্মায়। বাংলাদেশে শীতকালই এ ফুল চাষের উপযুক্ত সময়। জমি অথবা টবে চারা রোপণের উপযুক্ত সময় অক্টোবর থেকে নভেম্বর। বাইরের পাপড়িগুলো সম্পূর্ণ খুললে এবং মাঝের পাপড়িগুলো ফুটতে শুরু করলে খুব সকালে বা বিকেলে ধারালো ছুরি দিয়ে দীর্ঘ বোঁটাসহ কেটে ফুল তোলা উচিত।

চন্দ্রমল্লিকা চাষের জন্য উর্বর হালকা দো-আঁশ মাটি, উচু, শুষ্ক ও সহজে পানি নিষ্কাশন হয় এমন জমি দরকার। দক্ষিণ খোলা জমি এ ফুল চাষের জন্য উপযোগী। জমিতে লাঙল দেওয়া বা কোপানোর সময় পরিমাণমতো পাতাপচা সার, পচা গোবর সার, হাড়গুড়া বা সুপার ফসফেট প্রয়োগ করে মেশাতে হয়। জমিকে ভালোভাবে কর্ষণ করে মাটি ঝুরঝুরে ও নরম করে ১ ফুট বা ৩০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে চারা বসাতে হয়। চন্দ্রমল্লিকা গাছ মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান শোষণ করে। এ কারণে জৈব ও রাসায়নিক খাদ্যযুক্ত মাটিতে এ গাছ খুব ভালোভাবে সাড়া দেয়। প্রতি হেক্টরে ১০ টন পঁচা গোবর বা কম্পোস্ট, ৪০০ কেজি ইউরিয়া, ২৭৫ কেজি টিএসপি, ৩০০ কেজি মিউরেট অব পটাশ, ১৬৫ কেজি জিপসাম, ১২ কেজি বোরিক অ্যাসিড ও জিংক অক্সাইড সার দিতে হয়। সাকার রোপণের ১০-১৫ দিন আগে পচা গোবর বা কম্পোস্ট এবং ইউরিয়া বাদে অন্যান্য সার ৭-১০ দিন আগে মাটির সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হয়। সাকার রোপণের ২৫-৩০ দিন পর ইউরিয়া সারের অর্ধেক প্রয়োগ করতে হয়। বাকি অর্ধেক সার সাকার রোপণের ৪৫-৫০ দিন পর গাছের গোড়ার চারপাশে একটু দূর দিয়ে প্রয়োগ করতে হয়। উপরি প্রয়োগের পর সার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে সেচ দিতে হয়।

চন্দ্রমল্লিকার বেড ও টব আগাছামুক্ত রাখা উচিত। চারা লাগানোর মাসখানেক পর গাছের আগা কেটে দিতে হয়। এতে গাছ লম্বা না হয়ে ঝোপালো হয়। চারা গাছে তাড়াতাড়ি ফুল এলে সঙ্গে সঙ্গে অপসারণ করতে হয়। বড় আকারের ফুল পেতে হলে মাঝের কুঁড়িটি রেখে পাশের দুটি কুঁড়ি কেটে ফেলতে হয়। আর মধ্যম আকারের ফুল পেতে চাইলে মাঝের কুঁড়িটি অপসারণ করা উচিত। চন্দ্রমল্লিকার চারা বিকেলে লাগিয়ে গোড়ার মাটি চেপে দিতে হয়। চারা লাগানোর পর হালকা সেচ দিতে হয়। গাছ কখনো বেশি পানি সহ্য করতে পারে না। তাই পানি এমনভাবে দিতে হবে যেন গোড়ায় বেশিক্ষণ পানি জমে না থাকে। চারা রোপণের আগে এবং পরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পরিমাণমতো পানি সেচ জরুরি।

চন্দ্রমল্লিকার ফুল সাধারণত ডালপালার তুলনায় বড় হয়। তাই গাছের গোড়া থেকে কুঁড়ি পর্যন্ত একটা শক্ত কাঠি পুঁতে দিতে হয়। এতে ফুল নুয়ে পড়বে না। চারা লাগানোর সময় কাঠি একবারেই পুঁতে দেওয়া ভালো। এজন্য জাত বুঝে চন্দ্রমল্লিকা গাছের উচ্চতা অনুযায়ী বাঁশের কাঠি চারার গোড়া থেকে একটু দূরে পুঁতে দিতে হয়। এ পোকা পাতা ও ফুলের রস শোষণ করে। ফলে আক্রান্ত পাতা ও ফুলে দাগ পড়ে। এমনকি ফুল এবং গাছও শুকিয়ে যায়। এ পোকা দমনের জন্য ২ মিলি ম্যালাথিয়ন ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন অন্তর স্প্রে করতে হবে।

অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয় অবস্থায়ই গাছের নতুন ডগা বা ফুলের রস চুষে খায়। এটি গাছের বৃদ্ধি এবং ফলনে মারাত্মক ক্ষতি করে। নোভাক্রন (০.১% ) বা রগর (১%) প্রয়োগ করে এ পোকা দমন করা যায়। এ রোগ হলে গাছের পাতা ধূসর হয়ে যায়। পাতার উপরে সাদা সাদা পাউডার দেখা যায়। টিল্ট ২৫০ইসি ০.৫ মিলি বা ২ গ্রাম থিয়োভিট প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন অন্তর স্প্রে করে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৫, ২০২২ ৩:৫৪ অপরাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ‍আনুমানিক ১০ হাজার ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সারাদেশে ৪১৯টি ইউনিয়নে আনুমানিক ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। মারা গেছেন মোট ৯ জন।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন মারা গেছেন ঘরের ওপর গাছ পড়ে।

প্রায় সাত হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় শেষে মধ্যরাত থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। সকালের মধ্যে সবাই আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগ করেছেন।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব বেগম রওশন আরা এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’র পরিচালক আহমেদুল হক উপস্থিত ছিলেন ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৫, ২০২২ ১০:২১ পূর্বাহ্ন
দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, কমল বিপদ সংকেত 
প্রাণ ও প্রকৃতি

পুরো শক্তি নিয়ে গত রাতেই উপকূলে আসছে পড়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এর প্রভাবে সারাদেশে এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুরো রাত জুড়ে তাণ্ডব চালানোর পর এটি দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। সোমবার মধ্যরাতের পর আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষল করা সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অতি দ্রুত অগ্রসর হয়ে সোমবার মধ্যরাতে ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়টি বৃষ্টি ঝরিয়ে দ্রুত দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।

এতে আরও বলা হয়, মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৪, ২০২২ ৯:০২ অপরাহ্ন
সিত্রাং মোকাবিলায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল
কৃষি বিভাগ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি নিজেদের অধীন সব দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে। সেই সঙ্গে তাদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। কৃষিতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এ সভা হয়।

এতে যেসব এলাকায় ৮০ ভাগ আমন ধান পেকেছে, সেগুলো কর্তনের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি বিভাগের অফিসে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় পূর্ব প্রস্তুতি ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শদান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মাঠে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে রিপোর্টদান এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অগ্রিম প্রস্তুত রাখা, যাতে দ্রুততম সময়ে কৃষকদের পুনর্বাসন সহায়তাদান করা যায়। সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

উপকূলীয় এলাকায় ফসল ক্ষেতে পানি প্রবেশ করলে দ্রুততম সময়ে তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক সমন্বয় সাধন এবং স্লুইচ গেট অপারেশনের মাধ্যমে লবণাক্ত পানি শস্য ক্ষেতে প্রবেশ রোধ, অধিক উচ্চতায় জোয়ারের কারণে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করলে তা নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা করা- এসব বিষয়ে কৃষি বিভাগ নিয়মিতভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা), অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা), মহাপরিচালকসহ (বীজ) মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংস্থা প্রধান, ঘূর্ণিঝড়প্রবণ জেলাগুলোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৪, ২০২২ ৮:০৮ অপরাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে সর্বাত্মক প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রাণ ও প্রকৃতি

মঙ্গলবার বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। আবহাওয়ার এমন পূর্বাভাসের পরপরই ঝড়ের ফলে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ফলে উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত থেকে জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

প্রেস সচিব জানান, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে আইনপ্রণেতাসহ তার দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন এবং ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে তাদের নির্দেশ দিয়েছেন সবাইকে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও ২৪ ঘণ্টার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় ও ত্রাণ পর্যবেক্ষণ সেল চালু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সবাইকে নিম্নে দেওয়া হটলাইন নম্বর ও ফ্যাক্স নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। হটলাইন- ০১৭৬৯০১০৯৮৬, ০২-৫৫০২৯৫৫০ ও ০২-৫৮১৫৩০২২। ফ্যাক্স নম্বর- ০২-৯১০২৪৬৯।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৪, ২০২২ ৭:৩১ অপরাহ্ন
ঘূর্ণিঝড়-বন্যায় প্রাণিসম্পদ রক্ষায় যা করবেন
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রতি বছর বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের দেশে অসংখ্য গবাদিপশু, পাখি মারা যায়। যার ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হন খামারিরা। এবারের ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়েও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই প্রাণিসম্পদ রক্ষায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা খুব জরুরী।

প্রাণিসম্পদ রক্ষার জন্য সারাবছরই প্রস্তুত থাকা উচিত। তাই পশু-পাখির খামারের চাল মজবুত করে রাখতে হবে। দুর্যোগকালীন প্রচণ্ড বাতাস যাতে খামারের চাল উড়িয়ে নিতে না পারে সেজন্য খামার এবং খামারের চাল শক্ত করে বাঁধতে হবে। পরে মাটিতে শক্ত করে খুঁটি পুঁতে শক্ত দড়ি দিয়ে খামারের চাল বেঁধে দিতে হবে। বর্ষাকালে বৃষ্টি বা বন্যার পানি যাতে জমে না থাকে সেজন্য পানি চলাচলের জন্য বিকল্প নালা তৈরি করে রাখতে হবে। কারণ হঠাৎ করে পানি বাড়তে শুরু করলে নালা তৈরি করার সময় পাবেন না। বৃষ্টির পানি শুষে নেওয়ার জন্য খামারের চারপাশে সবজি চাষ করা যায়।

খামার যদি নদী, হ্রদ বা জলাশয়ের নিকটবর্তী হয় তা হলে যেদিক থেকে পানি খামারকে প্লাবিত করতে পারে সেদিকে উঁচু করে বাঁধ তৈরি করতে হবে যাতে বন্যার সময় খামার বন্যার ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকে। প্রতি বছর খামার সংস্কার করতে হবে। খামারের দরজা, জানালা দেওয়াল সময় থাকতে ঠিক করে নিতে হবে। আবাসন, খাবার পাত্র, পথ বা রাস্তা, স্টোর এসব ঠিকমতো সুরক্ষা করতে হবে।

খামারের ক্ষতিকর রাসায়নিক অপসারণ করতে হবে। খামারের আশপাশে কোথাও কোনো ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ কীটনাশক, জীবাণুনাশক, ইঁদুর মারার ওষুধ থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। পুকুর বা অন্য জলাশয়ে এসব রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত পানি প্রবেশের সম্ভাবনা আছে তা চারপাশে উঁচু করে দিতে হবে। যাতে বৃষ্টি বা বন্যার পানি সেখানে ঢুকতে না পারে। এসব পদার্থ গবাদি পশুর মারাত্মক ক্ষতি, এমন কি মৃত্যু কারণও হতে পারে।

দুর্যোগকালীন বা দুর্যোগ পরবর্তী যেসব জিনিস প্রয়োজন হতে পারে তার একটি তালিকা তৈরি করে দুর্যোগের আগেই সংগ্রহ করে রাখতে হবে। কারণ বিপদের সময় এসব জিনিস নাও পাওয়া যেতে পারে অথবা পাওয়া গেলেও বেশি অর্থ খরচ হতে পারে। প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে রাখতে হবে।

সময় মতো গবাদি পশু, পাখিকে প্রয়োজনীয় সব টিকা দিয়ে রাখতে হবে। কারণ দুর্যোগের পরে গবাদি পশুর বিভিন্ন ছোঁয়াছে রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু টিকা পশু, পাখিকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করবে।

বিপদকালীন স্থানান্তরের ক্ষেত্রে, কোন পশুগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তার একটি তালিকা তৈরি করে রাখতে হবে। তাছাড়া পশুগুলো চিহ্নিত করে রাখতে হবে। যাতে দুর্যোগ পরবর্তী পশু হারিয়ে গেলে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। গরুর জন্য প্রয়োজনীয় দড়ি, খামার এবং পানি প্রস্তুত রাখতে হবে এবং যদি সম্ভব হয় গাভী স্থানান্তরের সময় সেসব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করতে হবে।

দুর্যোগকালীন গবাদি পশু আশ্রয়ণ কেন্দ্রে স্থানান্তর করবে নাকি বাইরে ছেড়ে দিতে হবে সেটা আশ্রয়ণ কেন্দ্রের দূরত্ব ও অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। যদি পর্যাপ্ত জায়গা থাকে তাহলে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া যেতে পারে। অন্যথায়, বাইরে ছেড়ে দিতে হবে। পোষা কুকুর-বিড়াল থাকলে সেগুলো নিজের কাছে রাখাই উত্তম।

কখনো কখনো এমন সময় আসে যখন নিজের প্রাণের তাগিদে পোষা পশুপাখিগুলোকে ছেড়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে পশুপাখিগুলোর জন্য পর্যাপ্ত খাবার এবং পানি সরবরাহ রেখে যেতে হবে। কম পক্ষে দুই দিনের খাবার-পানি রাখতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৪, ২০২২ ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
পায়রা-মোংলায় ৭, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত
প্রাণ ও প্রকৃতি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে। এতে সাগর প্রবল বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া নৌবন্দরে ৩ নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে।

ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিত্রাং আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এটির কেন্দ্রে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ অনুযায়ী এটি বাঁক খেয়ে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসবে। মঙ্গলবার বরিশাল অঞ্চলে আঘাত হেনে স্থলভাগে উঠে আসবে। তবে এখনও প্রায় উপকূল থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সোমবার (২৪ অক্টোবর) অমাবস্যা। এ সময়ে সমুদ্রে জোয়ারে পানির উচ্চতা এমনিতেই বেশি থাকবে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ও ঝড়ো বাতাস। ফলে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলো উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হচ্ছে এবং উত্তর দিকে এগোচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে গতিপথ তাতে ঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলের দিকেই আসছে বলে মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, সিত্রাং উপকূল থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে থাকার ফলে দেশের কোন কোন উপকূলে আঘাত হানতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। প্রায় সব উপকূলেই এর প্রভাব পড়বে। আগামীকাল ২৫ অক্টোবর ভোরে এটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে গভীর নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ পরিণত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়- ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে, আবহাওয়ার একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ পরিণত হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি এগিয়ে এসেছে। এটি দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে ছিল, এখন সেটি ৭৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। একইভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ৭১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, এখন ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, এখন ৭০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ৬৯৫ কি.মি. দক্ষিণে, এখন ৬৭৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop