তিস্তার চরে বাদাম তোলায় ব্যস্ত কৃষক
কৃষি বিভাগ
রংপুর জেলার, গংগাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীতে মাইলের পর মাইল চর পরেছে। বন্যার পর চরের মাটিতে পলি জমায় মাটি র্উবর হওয়ায় অতিরিক্তি সার, সেচ, কীটনাশক দিতে হয় না। ফলে বীজ রোপণে তিন মাসের মধ্যেই বাদাম তোলা হচ্ছে। চরজুড়ে এখন বাদাম তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা।
রংপুরে উৎপাদিত বাদামের মান ভালো হওয়ায় প্রতি বছরই দশেরে বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে এখান থেকে বাদাম কিনে নিয়ে যায়। গংগাচড়া উপজেলার চর চিলাখাল, মানুষ খাওয়া, নেল্টা, মহিপুর, চালাপাক চরসহ বিভিন্ন চরে কৃষকেরা বাদামের চাষ করেছেন।
কাউনিয়া উপজেলার গড্ডিমারী চরের কৃষক দুলাল মিয়া জানান, গতবার চরের ৩ একর জমিতে বাদাম চাষ করতে সবমিলে খরচ হয়েছে ৪৮ হাজার টাকা। বিক্রি করেছি ২ লাখ টাকা। আশাকরছি এবার ৩ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। কারণ এবার বাদামের বাজার বেশ চড়া।
মধুপুর চড়ের তাসলিমা জানান, গত বছর শখের বসে বাপ দাদার ১ একর জমিতে বাদাম চাষ করে বেশ লাভোবান হয়েছিলাম। এবার ৫ একর জমিতে বাদামের চাষ করেছি। বাদাম চাষে খুব একটা খরচ হয় না। অল্পতে বেশি লাভ। গত বছরের তুলনায় এ বছর বাদাম ভালো আছে। লাভও বেশি হবে বলে আশা করছি।
বাদাম চাষিরা জানান, প্রতি বছর অক্টোবর থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাদামের বীজ লাগানো হয়। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময় জমি থেকে এই বাদাম তোলার কাজ শুরু হয়। বাদামের বীজ লাগানোর আগে চাষ দিয়ে মাটি সামান্য নরম করে নিতে হয়। আর মাঝে মধ্যে জমির আগাছা পরিস্কার করতে হয়।তারপর সারি করে লাগানো হয় বাদাম বীজ। তিস্তা নদীর চরের মাটি উর্বর হওয়ায় অতিরিক্ত সার, কীটনাশক ও সেচ দিতে হয় না। তিন মাসের মধ্যই বাদাম ঘরে তোলেন চাষিরা । তাই অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভে খুশি বাদাম চাষিরা।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে এ বছর রংপুর জেলায় ৩৯০ হক্টের জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে, গত বছর ছিল ২৫০ হক্টের জমিতে চাষ হয়েছিল। জেলায় এখন স্থানীয় জাতরে বভিনি নাম্নে বাদামরে চাষ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহায়তায় জেলায় বাদাম চাষ সম্প্রসারণের জন্য কৃষকদের মাঝে বীজ, সার, কীটনাশকসহ নানা ধরনরে উপকরণ দেয়া হচ্ছে।
রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপরিচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান ,সরকারে পক্ষ থেকে প্রত্যেক বাদাম চাষীকে ১০ কেজি করে বীজ দেয়া হয়েছে। আর প্রণোদনা হিসাবে ১০০জনকে কৃষক কেডিএপি ১০ কেজি, ৫ কেজি সার, বারী ৮ বীজ ১০ কেজি করে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বাদাম জমি থেকে তোলার সঙ্গে সঙ্গে বাজারজাত না করে শুকেিয় গুদামজাত করে পরে বাজারজাত করা হলে কৃষকরা অধিক লাভবান হবেন।
সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ