২:২২ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৭ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ২৩, ২০২২ ১০:৩০ অপরাহ্ন
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুল
প্রাণ ও প্রকৃতি

ফুল দেখতে খুব সুন্দর। ফুলের ঘ্রাণে আমাদের বুক ভরে যায়। তাই আমরা সবাই ফুলকে ভালোবাসি। আর ফুল আমাদের সবার মাঝে সব সময় ভালোবাসাকে বৃদ্ধি করে। পৃথিবীতে এমন একটা ফুল আছে, যেটা থেকে ঘ্রাণ বের হয় না। বের হয় ভয়ংকর দুর্গন্ধ। সাধারণ ফুলের চেয়ে এটা আকারে বড়। সত্যি বলতে এটা আকারে তোমার চেয়েও বড়। এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুল।

ফুলটার নাম কর্পস ফুল। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার বনে জন্মে এটা। মাঝে মাঝে মালয়েশিয়ার বনেও জন্মাতে দেখা যায়।

গাছের বয়স যখন ৫ থেকে ১০ বছর হয়, তখন এতে ফুল ধরে। এরপর প্রতি দুই থেকে তিন বছর পরপর ফুল আসে। আগেই বলেছি, এটা থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। গন্ধটা অনেকটা পচা মাংসের মতো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৮, ২০২২ ৩:২৪ অপরাহ্ন
সরকার পরিবেশ দূষণ রোধে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার পরিবেশ দূষণ রোধে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলা শুধুমাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন এজেন্ডা নয়, এটি বাংলাদেশের জন্য সবুজ বৃদ্ধির পথ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্ভাবন এবং সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি সুযোগ। বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু আইন, বিধি, প্রবিধান, নীতি এবং সবুজ বৃদ্ধির কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে এই চ্যালেঞ্জে সক্রিয়ভাবে সাড়া দিয়েছে।

শনিবার (৮ অক্টোবর) শেরাটন হোটেল, বনানী, ঢাকায় “টেকসই প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নীতি সক্রিয়করণ” শীর্ষক সেমিনারে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শাহাব উদ্দিন বলেন, নিয়ন্ত্রণহীন প্লাস্টিক বর্জ্য মানুষের স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং সব ইকোসিস্টেমের ওপর অত্যন্ত বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রদ, খাল এবং নদীতে এবং শেষ পর্যন্ত সমুদ্রে চলে যায়। মাইক্রোপ্লাস্টিক আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করছে যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। তিনি বলেন প্লাস্টিক পরোক্ষভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নে ভূমিকা রাখছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ‘বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্টের জন্য মাল্টিসেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান’ চূড়ান্ত করেছে। ‘টেকসই প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্টের জন্য ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান’ একটি 3R কৌশলের ভিত্তিতে প্লাস্টিকের সার্কুলার ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে: হ্রাস করুন, পুনরায় ব্যবহার করুন, পুনচক্রায়ন করুন। একটি বৃত্তাকার অর্থনীতি সামাজিক এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন মূল্য শৃঙ্খল, দক্ষতা, উদ্ভাবনী পণ্য এবং পরিবেশ বান্ধব কর্মসংস্থান তৈরি করতে সহায়তা করবে।

শাহাব উদ্দিন বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকায় একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক বন্ধ করার জন্য একটি রোডম্যাপ অনুমোদন করেছে। তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা জোরদার করতে হবে যাতে আমরা আমাদের এসংক্রান্ত জাতীয় গাইডিং নীতির চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের কোথায় আমাদের দেশের মতো প্লাস্টিক পলিথিন পড়ে থাকতে দেখা যায় না,তাই এর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতার বিকল্প নেই।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এবং অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং এফবিসিসিআই এর সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ ২:১৭ অপরাহ্ন
উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধে কাজ করছে সরকার:  পরিবেশমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বলেছেন, সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক বন্ধ করার জন্য একটি রোডম্যাপ অনুমোদন করেছে। সরকার ‘বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্টের জন্য মাল্টিসেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান’ চূড়ান্ত করেছে। টেকসই প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্টের জন্য ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান প্লাস্টিকের সার্কুলার ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে,যা 3R (Reduce, Reuse, Recycle) কৌশলের উপর ভিত্তি করে প্রণীত। এটি সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন মূল্য শৃঙ্খল, দক্ষতা, উদ্ভাবনী পণ্য এবং সবুজ কর্মসংস্থান তৈরি করতে সহায়তা করবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বেশ কিছু আইন, বিধি, প্রবিধান এবং নীতি প্রণয়ন করেছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত প্লাস্টিক মুক্ত নদী ও সমুদ্রের জন্য দক্ষিণ এশিয়া (প্লিজ) প্রকল্পের জাতীয় স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, দক্ষিণ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের (SACEP) এর মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ মাসুমুর রহমান।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটি দূষণমুক্ত বাসযোগ্য বিশ্ব দরকার যা মানব স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সকল মানুষের মঙ্গলের জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ববর্তমানে মাইক্রোপ্লাস্টিক আমাদের খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করছে যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলা বাংলাদেশের জন্য একটি সবুজ বৃদ্ধির পথ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উদ্ভাবন এবং সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি সুযোগ। এক্ষেত্রে সফলতার জন্য আমাদের অবশ্যই দৃঢ় এবং সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ চালিয়ে যেতে হবে। ‘প্লাস্টিক-মুক্ত নদী ও সমুদ্রের জন্য দক্ষিণ এশিয়া প্রকল্প’ পার্লি ফর দ্য ওশেন দ্বারা চালু করা হয়েছে এবং প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় দক্ষিণ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (SACEP) পরিবেশগত উদ্ভাবনকে সমর্থন করবে।

কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ এনজিও এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরা প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ বিষয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মতামত প্রদান করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ ২:৫৫ অপরাহ্ন
আজ আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস
প্রাণ ও প্রকৃতি

আজ ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস। বাংলাদেশের বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচারের (আইইউসিএন) জরিপ অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে ১০ লাখ শকুন ছিল। কিন্তু মাত্র তিন যুগের ব্যবধানে ৯৯ দশমিক ৯৯ ভাগ কমে গেছে। বাংলাদেশে এখন মাত্র ২৬০টি শকুন বেঁচে আছে। এর মধ্যে ১২০টির মতো আছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রেমা-কালেঙ্গা বনাঞ্চলে।

সারা বিশ্বে শকুনকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম শনিবার আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস পালিত হয়ে থাকে।

গ্রামগঞ্জে এক সময় গরু, মহিষসহ গবাদিপশুর মৃতদেহ যেখানেই ফেলা হতো, দেখা যেত কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশে উড়ছে শকুনের পাল। কিভাবে তারা খবর পেত তা নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই। দ্রুতগতিতে তারা মৃত গবাধি পশুর মাংস খেয়ে সাবাড় করে দিত। শকুন প্রকৃতি থেকে মৃতদেহ সরানোর কাজ করে রোগব্যাধিমুক্ত পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এখন এই প্রাণী মানবসৃষ্ট কারণে বিলুপ্তের পথে। বিশেষ করে বাংলাদেশের পরিচিত বাংলা শকুন এখন মহাবিপন্ন প্রাণী।

১৯৯০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৯৯ শতাংশ শকুন বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএন। তবে গত ১০ বছরে শকুন রক্ষায় সরকারের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত এবং আইইউসিএনের নানা উদ্যোগে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে।

সারা বিশ্বে প্রায় ১৮ প্রজাতির শকুন দেখা যায়। বাংলাদেশে প্রায় ছয় প্রজাতির শকুন রয়েছে। চার প্রজাতি স্থায়ী আর দুই প্রজাতি পরিযায়ী। এগুলো হলো—রাজ শকুন, গ্রিফন শকুন বা ইউরেশীয় শকুন, হিমালয়ী শকুন, সরুঠোঁট শকুন, কালা শকুন ও ধলা শকুন। সব প্রজাতির শকুনই সারা বিশ্বে বিপন্ন। স্থায়ী প্রজাতির মধ্যে রাজ শকুন অতি বিপন্ন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ ২:৫১ অপরাহ্ন
শকুন রক্ষায় এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে এগিয়ে: পরিবেশ ও বনমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শকুন রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে এগিয়ে। দেশে ২০১০ সালে শকুনের জন্য ক্ষতিকর ঔষধ ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করা হয় যা এশিয়ার মধ্যে প্রথম। এরপর অন্য আরেকটি ক্ষতিকর ঔষধ কিটোপ্রফেনও নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

কিটোপ্রফেন নিষিদ্ধের পর নিরাপদ ঔষধ মেলোক্সিক্যাম ও টলফামেনিক এসিড এর ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে যা শকুন রক্ষায় একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এ ব্যাপারে সব ঔষধ কোম্পানিকে ক্ষতিকর কিটোপ্রফেন উৎপাদন ও বিপনন বন্ধে সরকারি নির্দেশ মেনে চলার আহবান জানান মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, শকুন সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদী বিজ্ঞানভিত্তিক যে কোন পরিকল্পনা আমাদের মন্ত্রণালয়ে আসলে তা বাস্তবায়নে সহায়তা করা হবে।

আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে ৩ সেপ্টেম্বর, শনিবার বন অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এছাড়া, ‘বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি’ গঠন, সরকারিভাবে দুটি শকুন নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা এবং দশ বছর (২০১৬-২০২৫) মেয়াদি “বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনা” বাংলাদেশের শকুন রক্ষা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী কাঠামো হিসেবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনার অনেক কার্যক্রম আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি এবং বাকী কার্যক্রমগুলোও সম্পন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে ৭ম ও ৮ম আঞ্চলিক পরিচালনা কমিটির সভায় সরকার গৃহীত বিভিন্ন কার্যকরী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার শকুন সংরক্ষণের একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। শকুনের ডানায় লাগানোর জন্য লাল-সবুজ পতাকার আদলে বিশেষ ট্যাগ তৈরী করা হয়েছে। এই উইং ট্যাগ এর পাশাপাশি এ বছর নতুন প্রযুক্তি- স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে শকুনের গায়ে ট্যাগ লাগানোর পরিকল্পনা আছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের দেশের শকুনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে যা শকুন সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের সকলের স্বার্থে, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে অবশিষ্ট শকুনগুলোকে রক্ষায় আমাদের সকলকেই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণলয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং অতিরিক্ত সচিব(প্রশাসন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন। সভাপতিত্ব করেন প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক, প্রকৃতি ও জীবন জীবন ফাউন্ডশেনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় ও বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইইউসিএন বাংলাদেশ এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এ বি এম সারোয়ার আলম।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শকুন সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আয়োজিত পোস্টার তৈরি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন শকুন সমৃদ্ধ এলাকায় দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও র‍্যালির আয়োজন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩১, ২০২২ ৫:৫৬ অপরাহ্ন
সুন্দরবন সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
প্রাণ ও প্রকৃতি

সুন্দরবন সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সুন্দরবন সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। সুন্দরবন ও এর বাঘ সংরক্ষণে একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সুন্দরবনের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টহল জলযান ক্রয়সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। গৃহীত প্রকল্পসমূহ সুন্দরবন ও বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।

বুধবার (৩১আগস্ট) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)-র জুলাই ২০২২ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিবেশ ও বন উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য পরিবেশমন্ত্রী এসময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, অর্থবছরের শুরু থেকেই সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। প্রথম থেকেই গুরুত্বসহকারে কার্যক্রম সম্পাদনের মাধ্যমে বছর শেষে প্রকল্পের অগ্রগতি শতভাগ অর্জনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরীসহ দফতর প্রধানগণ ও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা আলোচনায় অংশ নেন। সভায় সকলে চলমান প্রকল্পগুলো যথাসময়ে যথানিয়মে সম্পন্ন করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৭, ২০২২ ৮:৪১ পূর্বাহ্ন
উন্নয়নের নামে বন, নদী ও পরিবেশ ধ্বংস করে কোন প্রকল্প নয়
প্রাণ ও প্রকৃতি

গণ আন্দোলনের মুখে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর মানুষের সাথে যে ৬ দফা চুক্তি তার বাস্তবায়ন না হলেও দেশী এবং বিদেশি মুনাফা ভোগী একটি গোষ্ঠী এখনও কয়লা নিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের নামে বন, নদী ও পরিবেশ ধ্বংস করে জনবিরোধী, পরিবেশ বিনাশী কোন প্রকল্প নয়।

শুক্রবার ফুলবাড়ী দিবসের ১৬তম বার্ষিকীতে এসব কথা বলেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

আনু মুহাম্মদ বলেন, পরিবেশ ধ্বংসকারী প্রকল্প বাতিল করতে হবে। বাংলাদেশের সমুদ্র সীমার মধ্যে গ্যাসের বিশাল মজুদ আছে। সরকার সেদিকে না গিয়ে শুধু কয়লা তোলা নিয়ে ব্যস্ত। সরকার এখন বিদ্যুৎ সঙ্কটের কথা বলে কয়লা উত্তোলন নিয়ে ব্যস্ত। কয়লায় পরিবেশ ধ্বংস হলেও শুধুমাত্র বিদেশি লুটেরা কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষার জন্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দিকে ঝুকছে। আর এসব পরিবেশ বিধ্বংসী প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আবহাওয়া পরিবর্তনের ভয়াবহ বিপদের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এদিকে বর্ষ পালনে ফুলবাড়ীর বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনসহ ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র মাহমুদ আলম লিটনের নেতৃত্বে নিহত বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিস্তম্ভের শহীদ বেদীতে পুস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় পৌর মেয়র মো. মাহমুদ আলম লিটন তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাথে একাত্ততা প্রকাশ করে বলেন, ২০০৬ সালের এই দিনটিতে ফুলবাড়ীর আপামর জনসাধারণ একত্রিত হয়ে যে গণ আন্দোলনের সূচনা করেছিল সেদিনও তিনিসহ তার পরিবার যেমনিভাবে ফুলবাড়ীবাসীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঠিক তেমনিভাবে আগামী দিনগুলোতেও ফুলবাড়ীর উন্নয়ন ও জাতীয় সম্পদ রক্ষার স্বার্থে প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনিসহ তার পরিবার ফুলবাড়ীবাসীর পাশে থাকবেন।

বর্ষ পালনে নিহত আমিন, সালেকিন ও তরিকুলের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্তবক অর্পণের পর সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলির সদস্য মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য নাজার আহম্মেদ, উপজেলা শাখা তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব জয় প্রকাশ গুপ্ত প্রমুখ।

দিবসটি উপলক্ষে ফুলবাড়ীর বিভিন্ন সংগঠন, দোকান কর্মচারি ইউনিয়ন, মটর শ্রমিক ইউনিয়ন, হোটেল কর্মচারি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন অরাজনৈতিক পেশাজীবী সংগঠন পৃথক পৃথক কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করেন।

উল্লেখ্য তেল, গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং ফুলবাড়ীবাসী এই দিনটি ফুলবাড়ী শোক দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২২ ৭:৩০ অপরাহ্ন
চাষযোগ্য এক ইঞ্চি জায়গাও খালি না রাখার আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
কৃষি বিভাগ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ইউরোপে চলমান যুদ্ধের কারণে আগামী বছর বিশ্বব্যাপী খাদ্যসঙ্কট হতে পারে। এজন্য আমাদের এখন হতেই প্রস্তুত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতো চাষযোগ্য এক ইঞ্চি জায়গাও খালি না রাখার আহ্বান করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে উৎপাদিত রোপা আমন ধানের হালি চারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ধান, ফসল, তরিতরকারিসহ যখন যে ফসল জন্মে তাই ফলাতে হবে। আজ হতে সতর্ক হলে সম্ভাব্য এ সঙ্কট আমরা মোকাবিলা করতে পারবো।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন,  দেশকে কিভাবে উন্নত করা যায়, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা যায় তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় ভাবেন।

চাষীদের জন্য বিনামূল্যে চারা বিতরণের ব্যবস্থা করায় এসময় কৃষি বিভাগের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা সকলে দেশকে ভালোবাসলে, দেশের মাটিকে ভালোবাসলে, দেশের জন্য দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করলে সকল সঙ্কট কাটিয়ে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে পারবো।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মোদাচ্ছির বিল আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. তাজ উদ্দিন এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর এবং উপজেলা কৃষি অফিসার দেবল সরকার প্রমুখ।

এরপূর্বে মন্ত্রী বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান সামগ্রী বিতরণ করেন এবং উপজেলা প্রশাসনিক ভবনে নির্মিত মুজিব কর্নারের উদ্বোধন করেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২২ ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
শরণখোলায় হরিণের গোশত ও চিংড়িসহ নৌকা উদ্ধার
প্রাণ ও প্রকৃতি

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বনরক্ষীরা অভিযান চালিয়ে ৭ কেজি হরিণের গোশত ও ২০ কেজি চিংড়িসহ একটি নৌকা উদ্ধার করেছে।

বুধবার শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন সুন্দরবনের রায় বাঘীনি খাল এলাকা থেকে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা টহল ফাঁড়ির এলাকার রায়বাঘীনি খালে অবরোধ অমান্য করে জেলেরা মাছ ধরছে- এমন গোপন সংবাদে ভোলা টহল ফাঁড়ি ইনচার্জ সামানুল কাদিরের নেতৃত্বে বনরক্ষীদের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায় ও একটি নৌকা দেখে সিগনাল দিলে চোরা শিকারী ও জেলেরা নৌকাটি ফেলে বনের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে বনরক্ষীরা নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে প্রায় ৭ কেজি হরিণের গোশত ও ২০ কেজি চিংড়ি মাছ জব্দ করে। পরে নৌকা, গোশত ও চিংড়ি মাছ শরণখোলা স্টেশনে নিয়ে আসে।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো: আছাদুজ্জাজামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবরোধ চলাকালীন সময় নিয়মিত টহল চলছে। তার মধ্যেও চোরা শিকারী ও জেলেরা গোপনে সুন্দরবনে প্রবেশ করে এ অঘটন ঘটাচ্ছে। টহল আরো জোরদার করা হবে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৭, ২০২২ ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
কমছে নদীর পানি, দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগবালাই
প্রাণ ও প্রকৃতি

ঝালকাঠিতে কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। তবে পানি কমলেও এখনো নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামের দুশতাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বসতঘর, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলের ক্ষেত। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে সুগন্ধা, বিষখালী, গাবখান ও বাসন্ডা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানিবন্দি এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এসব রোগে। জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ও চর্মরোগে আক্রান্ত অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে।

ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. শিহাব উদ্দিন জানান, জলাবদ্ধতায় অনেক সময় পানিবাহিত রোগ হয়। এসব রোগে আক্রান্ত অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বন্যার্তদের ঘরের পাশে কিংবা রাস্তায় জমে থাকা পানিতে নামা থেকে বিরত থাকতে হবে।

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, ১০ আগস্ট সকাল থেকে নদীর পানি বাড়তে শুরু।

অস্বাভাবিক জোয়ারে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। ১৪ আগস্ট রাত পর্যন্ত তা বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে।

সোমবার থেকে বৃষ্টি কম হওয়া এবং মঙ্গলবার রোদ ওঠায় পানি কমতে শুরু করে। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে দু-তিন দিন সময় লাগবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop