টাংগন নদীতে শুরু হয়েছে মাছ ধরা উৎসব
মৎস্য
ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন টাংগন ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় শুরু হয়েছে মাছ ধরা উৎসব। বিভিন্ন জেলা হতে আগত হাজার হাজার মাছ শিকারি এসেছেন কেউবা মাছ ধরতে আর কেউবা এসেছেন নদীর মাছ কিনে নিয়ে যেতে।ঠাকুরগাঁও শহর থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে সদর উপজেলার রুহিয়া থানাধীন ১৪নং রাজাগাঁও ইউনিয়নের চাপাতি গ্রামে অবস্থিত টাংগন ব্যারেজ।
এটি মূলতঃ শুস্ক মওসুমে জমিতে সেচ প্রদানের সুবিধার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মাণ করে। প্রতি বছর ভরা মওসুমে মৎস্য বিভাগের আওতায় এখানকার প্লাবন ভূমিতে সরকারিভাবে মাছ অবমুক্ত করা হয়। ৩ মাস পর মাছ বড় হলে ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়া হয়। তারপর হতে শুরু হয় মাছ ধরা উৎসব।
এদিকে বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাতে প্রতি বছরের ন্যায় টাঙ্গন ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়া হয় এবং সর্ব সাধারণের জন্য মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
টাংগন ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় সদর উপজেলার চাপাতি, আটোয়ারী উপজেলার সাতপাখি গ্রামের বিস্তির্ণ এলাকার পানি নেমে গেলে কম পানিতে চলে মাছ শিকারের মহোৎসব।
ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় দিনাজপুরসহ নীলফামারী জেলার মাছ শিকারিরা এখানে এসে তাবু গেঁড়ে করছে মাছ শিকার। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শিকারিরা দেশীয় তৈরি ফিকা ও লাফি জাল সহ বিভিন্ন বাহারী জাতের জাল দিয়ে করছে মাছ শিকার । এজন্য কেউবা কলাগাছের ভেলা তৈরি করে বিস্তির্ন এলাকায় মাছ শিকার করছে। মাছ ধরা উৎসবে প্রতিদিন এখানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হচ্ছে। এ সমাগম চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত।
এদিকে শহরের চাইতে এখানকার মাছের দাম বেশি বলে জানালেন বেশিরভাগ ক্রেতা। তারা জানান, এখানে প্রতি কেজি টেংরা,গচি ,শিং ,টনা মাছ প্রতি কেজি ৩/৪শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর শোল ও রুই কাতল মাছ চাওয়া হচ্ছে ৪/৫শ টাকা।প্রতিকেজি পুটি মাছ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।
একাধিক মাছ শিকারিরা জানান, এ বছর মাছের পরিমান কম। গতকাল বিকেল থেকে এখন পর্যন্ত মাছ ধরেছি মাত্র ২ কেজি। তাও বড় আকারের মাছ ধরতে পারিনি। স্থানীয়রা কারেন্ট জাল ব্যবহার করে আগেই সব মাছ ধরে খেয়ে ফেলেছে।