৮:১৩ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২৩ ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা
মৎস্য

কাপ্তাই লেকে সব ধরনের জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র (কপাবিকে) কর্তৃপক্ষ। কপাবিকের তালিকাভুক্ত জেলে ছাড়া এখন থেকে অন্য কোনো জেলে লেকে মাছ ধরতে পারবেন না বলেও কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এই নিষেধাজ্ঞা এখন থেকে (১৫ মার্চ) কার্যকর হবে বলেও কপাবিকে সূত্রে জানা গেছে।

কপাবিকের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের গতকাল (১৫ মার্চ) গণমাধ্যমকে জানান, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউটিলিটি সার্ভিসের আওতাধীন এলাকায় মাছ ধরার জন্য কপাবিকে কর্তৃক নির্ধারিত জেলে আছেন। নির্ধারিত জেলেরা ম্যাশ সাইজের জাল দিয়ে লেকের মাছ ধরবেন এবং কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায় নির্দিষ্ট বাজারে মাছ বিকিকিনি করবেন। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে তালিকাভুক্ত জেলা ছাড়াও অনেকে বিভিন্ন ম্যাশ সাইজের জাল দিয়ে কাপ্তাই লেকের মাছ শিকার করছেন। অত্যন্ত ছোট সাইজের জাল ব্যবহারের ফলে জালে সব ধরনের মাছ উঠে আসছে। বিশেষ করে সব ধরনের ডিমওয়ালা মাছ, ছোট রেণু এমনকি যে মাছ সদ্য পানিতে ডিম ছেড়েছে সেই মাছও ছোট জালে উঠে আসছে। সেই রেণু ক্ষুদ্র মাছের পোনা বা ডিম জালে উঠে এলেও সেটি কোনোভাবে হাতে ওঠে না এবং খাওয়াও যায় না। এই জাল ব্যবহারের ফলে কাপ্তাই লেক মাছশূন্য হয়ে পড়ছে। এখন এমনিতেই কাপ্তাই লেকে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও যা সামান্য পাওয়া যাচ্ছে ছোট ম্যাশ সাইজের জাল দিয়ে মাছ ধরার ফলে অচিরেই কাপ্তাই লেক মাছশূন্য হয়ে পড়বে। তাই মাছের বংশ রক্ষা করতে এবং আগামী দিনের শিশুরা যাতে মিঠা পানির মাছ খেতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাপ্তাই লেকে নির্ধারিত জেলে এবং নির্ধারিত জাল ছাড়া অন্য কেউ মাছ শিকার করতে পারবেন না। এর ব্যতিক্রম করলে প্রশাসনিক কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, হেডম্যান, কারবারি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবিসহ সর্বস্তরের জনগণের কাছে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা চেয়েছেন কপাবিকের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৯, ২০২৩ ৬:৫৫ অপরাহ্ন
পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে – বাকৃবি ভিসি
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। মাছ অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার, ভালো আমিষ আমরা মাছ থেকে পাই। বর্তমান সরকারও এবিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। নিরাপদ মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে তা বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখবে। এতে দেশের অর্থনীতির ব্যাপক উন্নতি হবে,

“বাংলাদেশের মাছ ও মুরগির মূল্য শৃঙ্খলে খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধিকরণ” ” শীর্ষক প্রদর্শনী ও প্রচার কর্মসূচি বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১টায় ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার রুপালি হ্যাচারিতে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফোর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) ফিড দ্য ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফুড সেফটি (এফএসআইএল) প্রকল্পের অর্থায়নে ওই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড লুৎফুল হাসান।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অংশের) এবং বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান জানান, প্রকল্পটি ২০২১ সাল থেকে সাড়ে তিন বছর মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল গবেষকের সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এ প্রকল্পের যুক্তরাষ্ট্র অংশের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর ড. মদন মোহন দে।


প্রকল্পের প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অংশের) এবং বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ড. মো. আনিসুর রহমান, ময়মনসিংহের মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. কে. এইচ. এম নাজমুল হোসাইন নাজির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফাসহ রূপালি হ্যাচারির আশেপাশের মাছচাষীরা অংশ নেন।

এসময় রুই মাছ চাষাবাদে খাদ্য প্রস্তুত থেকে শুরু করে পোনা অবমুক্তকরণ, সময়ে সময়ে মাছের বৃদ্ধি ও ওজন নিরক্ষণ, নিয়মিত পুকুর পরিদর্শন, মাছ আহরণ ও বিক্রয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে সমস্ত কার্যাবলী সম্পাদন করা হয়েছে এবং ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনাসমূহ কি হবে, সে সম্পর্কে আলোকপাত করেন অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান। হ্যাচারী প্রাঙ্গণে পরবর্তীতে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক ড. কে. এইচ. এম নাজমুল হোসাইন নাজির গবেষণাগারে করা রুইমাছের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ফলাফল তুলে ধরে বলেন, দেশের বাজারে মাছ নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে তা হলো বাজারের মাছ খারাপ বা মাছে দূষিত এবং ভারি ধাতুর উপস্থিতি বেশি। কিন্তু আমরা মুক্তাগাছা বাজারের মাছ এবং আমাদের প্রকল্পের রুপালি হ্যাচারিতে চাষকৃত মাছের ব্যাকটেরিয়া এবং ভারি ধাতুর (আর্সেনিক, লেড, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম) পরীক্ষা করি। ফলাফলে দেখা যায় সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে দুই জায়গার মাছেই ব্যাকটেরিয়া এবং ভারি ধাতুর পরিমাণ কম রয়েছে। তবে আমাদের প্রকল্পের হ্যাচারিতে চাষকৃত মাছে ভারি ধাতুর পরিমাণ বাজারের মাছের তুলনায় কম ছিলো। ময়মনসিংহের বাজারের মাছ নিরাপদ এটি এ গবেষণার ফলাফলে উঠে এসেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেন,
মাছ চাষের সকল কার্যক্রমে নারীদের ভূমিকা রয়েছে কিন্তু তাদের কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা নাই। নিরাপদ মাছ চাষে আরও অবদান রাখতে নারীদের একটি বড় সুযোগ রয়েছে। তবে তাদের সে সুযোগ করে দিতে হবে। নারীদের মতামতের গুরুত্ব দিবে হবে।

মাছ চাষী সৌরভ দাস জানান, আমরা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক ও মানসম্মত পোনা নির্বাচনে ভুল করি। বছর শেষে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন কম হয়।


আমরা তো আসলে জানি না যে কোন খাবার মাছের জন্য ভালো। কেউ যদি বলে যে এই খাবার ভালো বা কারো যদি দেখি যে একটি খাবার ব্যবহার করে উৎপাদন বেড়েছে। তাহলে আমরা সেটি ব্যবহার করি। কিন্তু সেটি নিরাপদ কি না জানি না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে আমরা নিরাপদ মাছের খাদ্য এবং মাছ পাবো।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অংশের) এবং বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, নিরাপদ খাদ্য, বিশেষ করে নিরাপদ মাছ ও মুরগি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ভোগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জ্ঞানের পরিধি, তাদের মনোভাব ও বাস্তব জীবনে তা অনুশীলন করার মাত্রা কেমন তা জানা, সে অনুযায়ী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার রুপরেখা প্রস্ততকরণ এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকরী নীতিমালা প্রণয়নে উৎসাহিত করা।
এছাড়াও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত অধিকতর নিরাপদ মৎস খাদ্য প্রয়োগের মাধ্যমে পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ও রুই মাছ উৎপাদন করা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় তা কতটুকু নিরাপদ তা নিরুপণ করা। একই সাথে প্রচলিত খাদ্য ব্যবস্থাপনায় চাষকৃত মাছসমূহ থেকে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত মাছ প্রাপ্তিতে ভোক্তাদের চাহিদা কেমন বা ভোক্তারা কত দাম প্রদান করতে ইচ্ছুক তা অকশন বা নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ণয় করা এবং নীতি নির্ধারক মহলে তা প্রকাশ করে নিরাপদ মাছ চাষের প্রসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের স্বার্থে পরামর্শ প্রদান করাও এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ।
তিনি আরও জানান, এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট গবেষকবৃন্দ অধিকতর নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় ময়মনসিংহের ফুলপুরে দুটি পুকুরে তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস এবং মুক্তাগাছার একটি পুকুরে রুই মাষ চাষ করেছেন। স্থানীয় খাদ্য প্রস্তুতকারী একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মৎস্য বিজ্ঞানীদের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য প্রস্তুত করা হয়েছে যেখানে কোন এন্টিবায়োটিক, হরমোন, বৃদ্ধি প্রবর্ধক কিংবা কোন ফিড এডিটিভস ব্যবহার করা হয়নি।

প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মকান্ড যা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে তা প্রদর্শনী ও প্রচারের উদ্দেশ্যে এ প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়, যেখানে নীতি নির্ধারণী কার্যে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন এমন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে কৃষক পর্যায়ে অধিকতর নিরাপদ মাছ চাষে উৎসাহ প্রদানের স্বার্থে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ২০ এর অধিক মৎস্য উদ্যোক্তা ও চাষীকে।
অনুষ্ঠানে মৎস্যচাষী,সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও গবেষকগণ অংশ নেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৭, ২০২৩ ১:৪৮ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীতে ৫ মন ওজনের ৭টি শাপলা পাতা মাছ জব্দ
মৎস্য

পটুয়াখালীর মহিপুরে অভিযান চালিয়ে ৫ মন ওজনের শিকার নিষিদ্ধ ৭টি শাপলা পাতা মাছ জব্দ করেছে নিজামপুর কোষ্টগার্ড।

সোমবার (৬ মার্চ) শেষ বিকেলে আলীপুর বিএফডিসি মার্কেট সংলগ্ন পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে এসব মাছ জব্দ করা হয়। কোস্টগার্গের উপস্থিতি টের পেয়ে পারিয়ে যাওয়ায় ওই ঘরের মালিক রহিম ভান্ডারিকে আটক করতে পারেনি কোষ্টগার্ড। রাতে এসব মাছ কোষ্টকার্ড স্টেশনের অদুরে মাটিতে পুতে ফেলা হয়।

নিজামপুর কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার আরিফ মাহামুদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৎস্য বন্দর আলীপুর বাজারের তালাবদ্ধ একটি ঘরে অভিযান চালানো হয়।

লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান ও মৎস্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ঘরের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে মাছগুলো উদ্ধার করা হয়। ৭টি শাপলাপাতা মাছের ওজন প্রায় ২০০ কেজি। অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে কোষ্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৫, ২০২৩ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
নওগাঁয় মাছ চাষের বিপ্লব!
মৎস্য

মাছ চাষে বিপ্লব এসেছে নওগাঁর বরেন্দ্রভূমিতে। ২০২১ সালে যেখানে মাছের বার্ষিক উৎপাদন ৬৩ হাজার টন ছিল। ২০২২ সালে উৎপাদন বেড়ে দাড়ায় ৮৩ হাজার ৮৬১ টন। ফলে দারিদ্র্য বিমোচন ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বিশাল জনগোষ্ঠীর আমিষের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে।

স্থানীয় মৎস্য অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, গত অর্থবছরে নওগাঁয় ৮৩ হাজার ৮৬১ টন, এর মধ্য থেকে ১২২ টন মাছ বিদেশে রফতানি করেছে ৩ প্রতিষ্ঠান। ৭ নদী, ১২৩ বিল জলাশয় ও ৪৮ হাজার পুকুরে নিবন্ধিত এ জেলার মাছ চাষি ৫২ হাজার। জেলায় বার্ষিক মাছের চাহিদা ৬১ হাজার টন কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে ৮৩ হাজার টন। দৈনিক মাথাপিছু ৬০ গ্রাম মাছের চাহিদা হিসাবে মাছের উদ্বৃত্ত উৎপাদন ২২ হাজার ৮৭৮ টন। যেখানে আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৬৩ হাজার টন।

বার্ষিক চাহিদার ২০ হাজার টন বেশি মাছ উৎপাদন হচ্ছে। তবে মাছের খাবারের দর দফায় দফায় বৃদ্ধি মাছ চাষিদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। বিদেশে মাছ রফতানির সুযোগ সৃষ্টি ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর দাবি উদ্যোক্তাদের।

রুক্ষ বরেন্দ্রভূমি নওগাঁর নিয়ামতপুরের কয়েকটি পুকুরে মাছ চাষিরা জানান, বরেন্দ্রভূমিতে গত দেড় দশকে মাছ চাষে এসেছে অভাবনীয় সাফল্য। লাভজনক হওয়ায় মাছ চাষের কারবারে এগিয়ে এসেছেন অনেক শিক্ষিত বেকার তরুণরাও।

স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন বোনা এসব উদ্যোক্তা পুকুরে চাষ করছেন দ্রুত বর্ধনশীল রুই, কাতল মৃগেল তেলা পিয়া, পাঙাশ দেশীয় হারিয়ে যাওয়া অনেক প্রজাতির মাছ। আর চাষ করা এসব জীবন্ত মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে গত কয়েক মাস ধরে মাছের ফিডের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধিতে চিন্তায় ফেলেছে মাছ চাষি উদ্যোক্তাদের।

মাছ চাষি সাদ্দাম হোসেন বলেন, গত দু’বছর ভালো লাভ হলেও এখন ফিডের দাম বেশিতে লাভ কম হচ্ছে।

এদিকে পুকুর থেকে তোলা মাছ আড়তে বেচতে এসে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের জালে দরবঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি নানা হয়রানির শিকার মাছ চাষিরা।

নিয়ামতপুরের মাছ চাষি দুরুল ইসলাম জানান, আড়তে ৫০ কেজিতে মণ নেয়া ও সিন্ডিকেট করে দাম কমানোয় তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।

উন্মুক্ত জলাশয় ও পুকুরে মাছ চাষ বাড়াতে আধুনিক কলাকৌশল প্রদানসহ উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতার কথা জানায় মৎস্য বিভাগ।

জেলায় নিবন্ধিত মৎস্যজীবীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৭৫১ জন, সর্বমোট মৎস্য চাষির সংখ্যা ৩৩ হাজার ২৭৬ জন। জেলায় ৫টি সরকারি মৎস্য হ্যাচারি ও ২৮টি বেসরকারি মৎস্য হ্যাচারি রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৪, ২০২৩ ৩:৩৩ অপরাহ্ন
পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরা নিষিদ্ধে দুর্ভোগে নিবন্ধনহীন জেলেরা
মৎস্য

জাটকা সংরক্ষণে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করায় বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন সরকারি প্রণোদনার বাইরে থাকা জেলেরা। নিবন্ধিত না হওয়ায় তাদের আয়ের পথ একেবারেই বন্ধ। এতে জাল ও নৌকা তৈরিতে ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন তারা। অবশ্য বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।

জানা যায়, জাটকা সংরক্ষণে পদ্মা ও মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরা পহেলা মার্চ থেকে নিষিদ্ধ করায় পুরনো জাল মেরামত করে অলস সময় পার করছেন চাঁদপুরের জেলে হাকিম আলী। তার সঙ্গে রয়েছেন আরও অনেকেই। এদের একজন মো. কিরণ। কিন্তু পেশায় জেলে হলেও সরকারি তালিকায় নেই তার নাম। ফলে নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

এমন কষ্ট আরও অনেকের। মাছ ধরতে না পেরে আয় রোজগার বন্ধ থাকায় সংসার চালানো নিয়েই চরম দুশ্চিন্তায় থাকেন তারা। তার ওপর জাল ও নৌকা তৈরিতে ঋণের বোঝা তো রয়েছেই। সপ্তাহ শেষ না হতেই কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই তাদের। শহরের নিশি বিল্ডিং এলাকার মো. কিরণ জানালেন সেই দশ বছর থেকে জাল ও নৌকা নিয়ে নদীর জলের সঙ্গে তার মিতালি। অথচ সরকারি তালিকায় নেই তার নাম। এতে এ সময় কর্ম হারিয়ে বৃদ্ধা আর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন পার করছেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২৩ ৯:৫৯ অপরাহ্ন
মাছ শিকারে দু’মাসের নিষেধাজ্ঞা
মৎস্য

ইলিশসহ সকল প্রকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে সরকার দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে প্রতিবছরের মতো এ বছরও ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস সকল প্রকার মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ভোলার মেঘনার ইলিশা থেকে চর পিয়াল ও তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ১শত ৯০ কিলোমিটার এলাকার দুইটি অভয়াশ্রমেও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। মাছ শিকার থেকে বিরত থাকা জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা মাছ শিকার করবে তাদের বিরুদ্ধে পরিচালনা করা হবে বিশেষ অভিযান।

অক্টোবরের প্রজনন মৌসূমে ডিম ছাড়ার পর বর্তমান সময়টি ইলিশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময় ইলিশ জাটকা থেকে বেড়ে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। ইলিশের বেড়ে ওঠার পাশা-পাশি অন্যান্য মাছ এসময় নদীতে ডিম ছাড়ে বিধায় ভোলার মেঘনা নদীর ইলিশা থেকে মনপুরার চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং তেতুঁলিয়ার ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তমের ১ শত কিলোমিটারসহ মোট ১ শত ৯০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় ১ মার্চ থেকে ইলিশসহ সকল মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। জেলেদেরকে এসময় মাছ শিকার থেকে বিরত রাখতে মৎস্য বিভাগ ভোলা জেলার ১শত ৩২ টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছে বিশেষ প্রচার-প্রচারণা। জেলেরাও মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে প্রস্তুত। তবে তাদের দাবি প্রতি বছরই তারা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলে কিন্তু প্রভাবশালীরা অবৈধ জাল দিয়ে ইলিশসহ অন্যান্য মাছগুলো নষ্ট করে ফেলে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেদিকে গুরুত্ব দেয় না। জেলেরা বলছেন,এ দু’মাস তাদেরকে খুব কষ্টে থাকতে হয়। ঠিকমতো ঋণের কিস্তি দিতে পারেন না। অনেকে বিকল্প কাজ যোগার করতে ব্যর্থ হন। তাদের জন্য প্রনোদনা হিসাবে জন প্রতি ৪০ কেজি করে ২ মাসের যে চাল বরাদ্দ করা হয় তাও তারা সময় মতো পান না। শুধু কোনদিন আর চাল নয় এর পাশাপাশি বিকল্পকর্মসংস্থান তৈরি করা ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার দাবিও করছেন জেলেরা।

ভোলার নাসির মাঝি ঘাটের জেলে মোহাম্মদ নুর উদ্দিন বলেন, প্রত্যেক বছরই আমরা ছোট-খাটো যে সমস্ত জেলেরা রয়েছি তারা অভিযান মেনে চলি। এবারও মেনে চলবো। কিন্তু প্রভাবশালী কিছু জেলেরা রয়েছে, যাদেরকে বড় বড় গডফাদাররা নেতৃত্ব দেয় তারা বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল দিয়ে অভিযানের সময় এবং অভিযানের বাইরেও মাছ শিকার করে। সেগুলো বন্ধ করতে না পারলে অভিযান সফল হবে না।

ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানিয়েছেন, নিষিদ্ধকালীন সময় জেলেরা যাতে মাছ শিকার না করে সেজন্য প্রত্যেকটি ঘাটে, হাটবাজারে সচেতনতা মূলক প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। এছাড়া দু’মাস অভয়াশ্রমে জেলেদেরকে মাছ শিকার থেকে বিরত রাখার জন্য বরাদ্দকৃত প্রণোদনার চাল আগামী ১০ দিনের মধ্যেই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে। জেলেদের যে সমস্ত সমিতির ঋণের কিস্তি রয়েছে সেগুলো যাতে নিষেধাজ্ঞার এই দুই মাস বন্ধ রাখা যায় সে বিষয়েও সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। তবে আইন অমান্যকারী জেলেদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানাসহ শাস্তির আওতায় আনা হবে।

জেলায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮ শত ১৬ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। নিবন্ধনের বাইরেও রয়েছে আরো অন্তত ২ লাখ জেলে। জাটকা রক্ষা কর্মসূচির আওতায় ৮৯ হাজার ৪ শত ১০ জন জেলেকে ২ মাস ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২৩ ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
তেলাপিয়া চাষে নার্সিং পুকুরে মাছ ছাড়ার নিয়ম
মৎস্য

তেলাপিয়া চাষে নার্সিং পুকুরে মাছ ছাড়ার নিয়ম মৎস্য চাষিদের ভালোভাবে জেনে রাখা দরকার। লাভজনক হওয়ার কারণে বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের পুকুরে মাছ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সঠিক নিয়ম মেনে চাষ করলে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। আজকে আমরা জানবো তেলাপিয়া চাষে নার্সিং পুকুরে মাছ ছাড়ার নিয়ম সম্পর্কে-

তেলাপিয়া চাষে নার্সিং পুকুরে মাছ ছাড়ার নিয়ম:
সার প্রয়োগের অন্তত ৭ থেকে ১০ দিন পরে ২১-২৮ দিন বয়সের মাছ ছাড়তে হবে। প্রতি ৩০ শতকে ৭০-৯০ হাজার তেলাপিয়া মাছের পোনা ছাড়া যাবে। এখানে এগুলিকে ৩০-৫০ দিন অবধি রাখাতে হবে। এই সময় এদের খাদ্যের চাহিদা বেশি থাকে। তাই প্রাকৃতিক খাবারের সঙ্গে সঙ্গে পরিপূরক খাবারও দিতে হয় যথেষ্ট পরিমাণে।

মাছের গড় ওজনের ১০-১৫ ভাগ খাবার দিতে হবে। এই খাবার সারা দিনে ৩ থেকে ৪ বারে দিলে খাবারের ভালো ব্যবহার হয়। যেহেতু এরা আমিষভোজী এই খাবার আমিষসমৃদ্ধ হওয়া উচিত অর্থাৎ খাবারে অন্তত ৩০%-৩৫% প্রোটিন থাকতে হবে। এখানে এদের ওজন ১৫ – ৩০ গ্রাম হলে চাষের পুকুরে চালান করে দিতে হবে।

মাছ এর চাষ পদ্ধতি খুব সহজ।কার্প মাছের সাথে এ মাছ চাষ করা যায়। তবে অধিক ফলনের জন্য বর্তমানে তেলাপিয়া চাষ পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশে কিছু নতুন কোম্পানী হয়েছে যারা মাছের খাবার উৎপন্ন করেন। এসব খাবার বা মৎস ফিড দিয়ে এ মাছ চাষ করলে চার মাসে মাছের ওজন ৫০০-৮০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। এতে নিয়মিত খাবার প্রয়োগ ও চিকিৎসক দ্বারা মাছের যত্ন নিতে হয়। তেলাপিয়া গোত্রের নতুন সংযোজন মনোসেক্স যা অধিক ফলনশীল।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২৩ ১২:২১ অপরাহ্ন
মাছের সাথে শত্রুতা,সাত লাখ টাকার মাছ নিধন!
মৎস্য

বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাওঘা গ্রামের গনি প্যাদার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে বিভিন্ন প্রজাতির সাত লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন পানি নষ্ট বা অন্য কোনো কারণে মাছগুলো মরে যাচ্ছে। পরে বিকেলে এলাকার লোকজন এসে দেখেন পুকুরে বিষ দেওয়া হয়েছে।

গনি প্যাদা বলেন, আমার পুকুরে পাঁচ প্রজাতির মাছ ছিল। বিষ দেওয়ার কারণে সব মাছ মরে গেছে। আমার সঙ্গে শত্রুতা করে এত বড় সর্বনাশ কে করল। আমি এর বিচার চাই।

হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মারার বিষয়টি আমি জেনেছি। আমি গনি প্যাদাকে বলে দিয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নিতে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয় এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২৩ ৬:০০ অপরাহ্ন
দিনাজপুরের মাছের আঁশ রপ্তানি হচ্ছে বিদেশের মাটিতে
মৎস্য

দিনাজপুরের হিলিতে আবর্জনা হিসেবে মাছের আঁশ ফেলে দেওয়া হলেও তা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এ আঁশ রপ্তানি হচ্ছে চীনসহ বিভিন্ন দেশে।

হিলি মাছবাজারে নিজেদের পাশাপাশি অন্যান্য দোকান থেকেও মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন। এরপর এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা মাছ কিনে তা দোকান থেকেই কেটে নিয়ে যান। আর ফেলে দেওয়া হচ্ছে মাছের আঁশ। সেই আঁশ বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। মাছবাজারে ছোট-বড়  মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫টির মতো মাছের দোকান রয়েছে। এ আঁশ রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। তৈরি হচ্ছে ওষুধের ফয়েলসহ নানা কিছু। দেশেও মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মাছ ও মুরগির খাদ্য।

মাছ বিক্রেতা আশরাফুল জানান, আমরা প্রতিদিন এক থেকে দুই কেজি করে মাছের আঁশ জড়ো করি। মাসে ৩০ থেকে ৪০ কেজির মতো আঁশ বিক্রি করতে পারি। যা থেকে তিন-চার হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়। এতে আমরা মাছ ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারছি।

হিলি বাজারের মাছ বিক্রেতা কাওসার হোসেন জানান, মাছের আঁশগুলো আগে ফেলে দিতাম, যা পরিবেশ দূষিত করত। এখন মাছের আঁশগুলোর চাহিদা থাকায় সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বিক্রি করি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১৬, ২০২৩ ১১:২৮ অপরাহ্ন
এক নৌকায় ১০০ মণ জাটকা
মৎস্য

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৫ জন মাঝিমাল্লাসহ একটি মাছের নৌকা আটক করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় ওই নৌকা থেকে একশ মণ জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার ভোরে মেঘনা নদীর ডালচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাটকাগুলো জব্দ করা হয়। পরে জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে স্থানীয় এতিমখানা ও গরিব-অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

কোস্টগার্ড বিসিজি স্টেশন হাতিয়ার স্টেশন কমান্ডার এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোলার মনপুরা থেকে মেঘনা নদীর ডালচর হয়ে একটি কেরিং বোট জাটকা ইলিশ নিয়ে নোয়াখালী চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় যাচ্ছে- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন তথ্য পেয়ে হাতিয়া কোস্টগার্ডের একটি দল ডালচর এলাকায় অবস্থান নেয়। মাছবোঝাই বোটটি ডালচর এলাকায় পৌঁছলে ৫ জন মাঝিমাল্লাসহ সেটি আটক করা হয়। পরে ওই বোটে তল্লাশি চালিয়ে একশ মণ জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আগামীতে এমন কাজ করবে না মর্মে আটক ৫ জেলের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এম রফিকুল ইসলাম।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop