৫:৫৮ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ৬, ২০২২ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে শুঁটকি ব্যবসা
এগ্রিবিজনেস

পিরোজপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শুঁটকির ব্যবসা। চাহিদা থাকায় দিনদিন বাড়ছে উৎপাদন। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে সরবরাহ। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন শুঁটকি পল্লীর শ্রমিকরা।

নাম শুনে কেউ কেউ নাক সিটকালেও শুঁটকির রকমারি ব্যবহারে অনেকেরই রসনা বিলাসের সঙ্গে ঘটে ভুরি ভোজও। দেশের বাইরেও বাড়ছে এর চাহিদা। ফলে তাল মিলিয়ে দিনদিন বাড়ছে সরবরাহ ও উৎপাদন।

প্রায় দু’শো বছর ধরে পিরোজপুরের পাড়েরহাটে চলে আসছে শুঁটকি মাছের ব্যবসা। বঙ্গোপসাগরের কাছে এবং জেলার চারিদিকে মিষ্টি পানির নদী ঘেরা থাকায় এ বাজারে মিষ্টি পানির মাছের আমদানি হয়। আর শুঁটকিকে কেন্দ্র করে বাদুরায় গড়ে উঠেছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। এ কেন্দ্রে শতাধিক প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের আমদানি হলেও লইট্টা, ছুড়ি, মর্মা, চিতলসহ প্রায় ৪০ প্রকারের সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি করা হয়।

শুঁটকি ব্যবসায়ীরা জানায়, বাদুরা মৎস্যবন্দর থেকে মাছ কিনে এনে, এখানেই লোকজন নিয়ে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শেষে কক্সবাজার পাঠানো হয়। এখানে কম করে ৪০ রকমের মাছের শুঁটকি তৈরি হয়।

প্রক্রিয়াজাতকরণে কেমিকেল ব্যবহার না করা এবং মাছ সুস্বাদু হওয়ায় এখানকার উৎপাদিত শুঁটকির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তাই সরবরাহ নিশ্চিতে শুটকি পল্লীর শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

শুঁটকি পল্লীর শ্রমিকরা জানায়, এখানে শুঁটকি প্রক্রিয়ায় কোনো কেমিকেল ব্যবহার হয় না। ফলে এখানকার শুঁটকির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কার্তিকে শুরু হয়ে প্রায় সাড়ে চার মাস চলে শুটকির ব্যবসা। এর প্রসারে প্রশিক্ষণসহ সার্বিক সহযোগিতা করছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী বলেন, প্রথম পর্যায়ে মৎস্যজীবী ও শুঁটকি প্রক্রিয়ার কাজে জড়িত ২০ জনকে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছিলাম। ভবিষ্যতে আরও বেশি জনবলকে প্রশিক্ষিত করা হবে। এছাড়া এখানে শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে শুঁটকি তৈরি হচ্ছে। আমরা নিয়মিত পরিদর্শন করে তাদের পরামর্শ দিচ্ছি।

বছরে জেলায় উৎপাদন হয় প্রায় লক্ষাধিক কেজি শুঁটকি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩, ২০২২ ১০:০৫ অপরাহ্ন
চলনবিলে মাছ ধরার বাউত উৎসব
মৎস্য

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার রুহুল বিল। শীত উপেক্ষা করে ১০ বছরের ছেলে রবিউলকে সঙ্গে নিয়ে মাছ ধরতে এসেছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আসাদুল ইসলাম। সকালের সোনা রোদ তাদের চোখে-মুখে অন্যরকম অতুভূতি প্রকাশ করছে।

হাজারো সৌখিন মানুষের ঢল নেমেছে চলনবিলে। পলোসহ মাছ শিকারের নানারকম সরঞ্জাম নিয়ে সবাই একসঙ্গে মাছ শিকারের এই আয়োজনের নাম ‘বাউত উৎসব’। গ্রামীণ ঐতিহ্য হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বছরের পর বছর এই সময়ে পাবনার চলনবিলে চলে আসছে এই উৎসব। তবে দিন দিন বিল-জলাশয়ের আয়তন কমে যাওয়ায় মিলছে না আগের মতো দেশীয় প্রজাতির মাছ। প্রভাবশলীদের দাপটে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে গ্রামীণ এই উৎসব।

জানা যায়, শীতকে উপেক্ষা করে কাক-ডাকা ভোরে মোটরসাইকেল, বাস, সিএনজি চালিত থ্রি হুইলার, অটোরিকশা, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে বিল অভিমুখে ছুটছে মানুষ। সূর্যের আলো ফুটতে না ফুটতেই বিলপাড়ে হাজির তারা। এরপর নিজেদের প্রস্তত করে একসঙ্গে বিল অভিমুখে যাত্রা। কারো হাতে পলো, আবার কারো হাতে ঠেলা জাল, বাদাই জালসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ। এভাবেই চলনবিলে উপস্থিত বিভিন্ন জেলার হাজারো শৌখিন মৎস্য শিকারি।

লোকজ রীতিতে বিলের জলে মনের আনন্দে চলছে মাছ শিকার। সূচনার ইতিহাস অজানা হলেও চলনবিলাঞ্চলে এমন উৎসব চলছে বছরের পর বছর। দলবেঁধে মাছ ধরার এ আয়োজনে মৎসশিকারীদের ডাকা হয় বাউত। তাদের ঘিরেই উৎসবের নামকরণ। চলনবিলের রুহুল বিল, ডিকশির বিল, রামের বিল সহ বিভিন্ন বিলে মাসব্যাপী চলে এই বাউত উৎসব।

বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় মাসব্যাপী এই উৎসব। সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার ভোর থেকে বিলাঞ্চলের পূর্বনির্ধারিত এলাকায় দলঁবেধে মাছ শিকারে নামেন বাউতেরা। বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে বিলপাড়ে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। কারো ভাগ্যে মেলে শোল, বোয়াল, রুই, কাতল, গজার, টাকিসহ বিভিন্ন দেশী মাছ। আবার কেউ ফেরেন খালি হাতে। তবে আনন্দটাই তাদের কাছে মুখ্য।

নাটোরের গুরুদাসপুরের আনিছুর রহমান, সিরাজগঞ্জের তাড়াশের আকবর হোসেনসহ অন্যরা জানান, প্রতিবছর বাউতে নেমে একসঙ্গে মাছ ধরার অনুভূতি ভালো লাগার। কেউ মাছ পাই বা না পাই তাতে কারো মন খারাপ হয় না। আনন্দটাই আসল।

সৌখিন মৎস শিকারি বেশ কয়েকজনের অভিযোগ, একদিকে কমে আসছে বিল, জলাশয়। অন্যদিকে, প্রভাবশালীদের দৌরাত্মে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে গ্রামীণ এই উৎসব। যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন সেই দলের প্রভাবশালী নেতারা ভোগদখলে থাকে। চায়না জালে ধ্বংস করা হয় মাছের প্রজনন। বিলপাড়ে দেখা গেলো বেশকিছু নিষিদ্ধ চায়না জাল। যেকারণে আগের মতো দেশী মাছ পাওয়া যায় না বলে দাবি তাদের।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান জানান, ‘গ্রামীণ এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বিল, জলাশয়ে দেশী মাছে অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হয়েছে। আরো অনেক পরিকল্পনা সামনে রয়েছে। সেইসঙ্গে প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ এবং নিষিদ্ধ চায়না জালের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। আমরা চাই গ্রামীণ এই ঐতিহ্য যেন হারিয়ে না যায়। এজন্য প্রশাসন তৎপর থাকবে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৮, ২০২২ ৯:০৪ অপরাহ্ন
শীতকালে অ্যাকুরিয়ামের মাছের যত্ন নিবেন যেভাবে
মৎস্য

অ্যাকুরিয়ামের মাছগুলো শীতের সময় ঠান্ডায় দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ফলে খুব সহজেই মাছের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। পানির তাপমাত্রা কমে গেলে মাছের সুস্থতা রক্ষায় কিছু উদ্যোগ নিতে পারেন।

পুষ্টিকর খাবার
অ্যাকুরিয়ামের মাছের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মানসম্পন্ন খাবার দিন। ফ্রোজেন খাবারগুলোতে ভিটামিন এবং খনিজ থাকে, যা মাছের মানসম্পন্ন খাবার সরবরাহের বড় উপাদান হতে পারে।

পানি পরিবর্তন
শীতকালে ঠান্ডা পানিতে অ্যাকুরিয়ামটি পূর্ণ করলে পানির তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে। যাতে মাছের বিভিন্ন স্ট্রেসড হতে পারে। বেশি পরিমাণে পানি পরিবর্তনের বদলে কম পরিমাণে যেমন সাধারণত ২০-২৫% পানি নিয়মিতভাবে ৭-১৫ দিনের মধ্যে পরিবর্তনের চেষ্টা করুন।

ঠান্ডা আসা বন্ধ
রাতে মাছের অ্যাকুরিয়ামগুলো যাতে ঠান্ডার সংস্পর্শে না আসে, সেটি নিশ্চিত করুন। যদি অ্যাকুরিয়াম জানালার পাশে থাকে তাহলে নিয়মিত জানালা বন্ধ রাখুন। বিশেষ করে রাতের বেলা। সেইসঙ্গে জানালার পর্দা ব্যবহার করতে পারেন।

পানির তাপমাত্রা
অ্যাকুরিয়ামের পানির তাপমাত্রা মাপার থার্মোমিটারের সাহায্যে প্রতিদিন পানির তাপমাত্রা পরিমাপ করুন। যাতে মাছের জন্য আদর্শ পানির তাপমাত্রা বজায় থাকে। কোনোভাবেই যেন আদর্শ তাপমাত্রার নিচে নেমে না যায়।

হিটারের আকার
অ্যাকুরিয়ামের পানির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার হিটারটি যথেষ্ট কি না, তা পরীক্ষা করতে পারেন। যদি অ্যাকুরিয়াম ৫০ লিটারের হয়, তাহলে ৫০ ওয়াটের হিটার ব্যবহার করুন। ৫০ লিটারের উপরে ১০০ লিটারের সমান বা কম হলে ১০০ ওয়াটের হিটার ব্যবহার করুন। তাই ৫০-১০০ লিটার পানির ক্ষেত্রে ১০০ ওয়াট, ১০০-১৫০ লিটার পানির ক্ষেত্রে ১৫০ ওয়াট, ১৫০-২০০ লিটার পানির ক্ষেত্রে ২০০ ওয়াট এভাবে হিটার নির্বাচন করুন।

পানির গুণাগুণ
অ্যাকুরিয়ামের মাছের জন্য ক্ষতিকর স্ট্রেস হওয়ার সম্ভাবনা দূর করুন। অ্যাকুরিয়ামে রাখা মাছের জন্য পানির গুণমান সঠিক কি না তা নিশ্চিত করুন। স্ট্যান্ডার্ড মানের পানির গুণাগুণ পরীক্ষার কিট কিনুন। নিয়মিত অ্যাকুরিয়ামের পানির গুণাগুণ পরীক্ষা করুন। অ্যাকুরিয়ামটি নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। অ্যাকুরিয়ামের ফিল্টারগুলো পুরোপুরি চালু আছে কি না পরীক্ষা করুন।

মাছের চিকিৎসা
পানির তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে মাছ সাধারণত ছত্রাকজনিত রোগ বা সাদা দাগে ভুগতে পারে। তাই নজর রাখুন এবং প্রয়োজনমতো ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করুন।

এয়ার পাম্প
অ্যাকুরিয়ামে বড় সাইজের মাছ যেমন কার্প, কমেট বা গোল্ডফিস বা মনস্টার টাইপের মাছ থাকলে পরিমাণমতো অক্সিজেন সাপ্লাই দিন। এয়ার পাম্প কিনে পাইপ ও এয়ার স্টনের মাধ্যমে বাতাস সাপ্লাই করতে পারেন। এতে বাতাসে থাকা অক্সিজেন পানিতে মিশে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়াতে পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৭, ২০২২ ৪:৫০ অপরাহ্ন
বিষপ্রয়োগে তিন পুকুরের মাছ নিধন!
মৎস্য

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ৫-৬ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। তিনটি পুকুরের মধ্যে একটি পুকুরে এমন ক্ষতিতে মাছ চাষি আলাউদ্দিনের এখন দিশেহারা।

আশংকায় আছেন তার অন্য দুইটি পুকুরের মাছ নিয়ে।

রোববার (২৭ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিকসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরের প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে।

মাছ চাষি আলাউদ্দিন জানান, আমি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিকসা এলাকায় তিনটি পুকুরে প্রায় ১ একর জায়গার উপর পুকুর খনন করে আমি কয়েক বছর ধরে পুকুরে মাছ চাষ করছি।

এর মধ্যে একটি পুকুরে এবার পুকুরে রুই,সিলভারকাপ, বৃগেড, মৃগেল, কাতলা, সরপুঁটি, ঘাসকাপ, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করেছি। এতে আমার প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠতো। কিন্তু রোববার ভোর রাতের কোনো এক সময় আমার ক্ষতিকরার উদ্দেশ্যে কে বা কারা পুকুরে বিষ দিয়েছে। সকালে এসে দেখি মাছ গুলো পুকুরের পানিতে ভেসে উঠছে।

প্রথমে গ্যাসের অভাবে মাছ মরে ভেসে উঠছে ভাবলেও সকালে পুকুরের পাড়ে দুটি শপিং বেগ পরে থাকতে দেখি। মনে হচ্ছ পুকুরে বিষ প্রয়োগের কারণেই সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে আমার প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন জানান, পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা এমন একটি সংবাদ পেয়েছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোহাম্মদ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, এই বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ দায়ের করা হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৬, ২০২২ ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
মনোসেক্স তেলাপিয়ার চাষ পদ্ধতি
মৎস্য

মনোসেক্স তেলাপিয়া হলো পুরুষ তেলাপিয়া মাছের চাষ। তেলাপিয়া চাষের বড় সমস্যা হলো এর অনিয়ন্ত্রিত বংশবিস্তার। এই ধরণের অনিয়ন্ত্রিত বংশবিস্তারের কারণে পুকুরে বিভিন্ন সাইজের তেলাপিয়া মাছ দেখা যায়। যার কারণে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায় না। প্রাকৃতিকভাবেই পুরুষ তেলাপিয়া মাছের দৈহিক বৃদ্ধি বেশি। এই ধারনাকেই কাজে লাগিয়ে শুধুমাত্র পুরুষ তেলাপিয়া চাষকেই মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষ বলা হয়।

বাংলাদেশের আবহাওয়া ও প্রকৃতি মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষের জন্য খুবই উপযোগী। সমপূরক খাদ্য গ্রহণে অভ্যস্ততা, চাষে কম সময়, দ্রুত বেড়ে ওঠার ক্ষমতা এবং বাজার মূল্য বেশি থাকায় বর্তমানে অধিকাংশ মৎস্য চাষি মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

মনোসেক্স তেলাপিয়ার বৈশিষ্ট্যঃ
এই মাছ দ্রুত বর্ধনশীল ও অধিক ফলনশীল।
এ মাছ ৩-৪ মাসে বয়সেই বিক্রয়যোগ্য হয়ে ওঠে।
এটি ৫-৮ মাসে ৫০০-৮০০ গ্রাম হয়ে থাকে।
পাখনার বর্ণ কিছুটা লালচে, আকার অনেকটা গোলাকার, ও পুরুত্ব বেশি হওয়ায় বাজার মূল্য বেশি পাওয়া যায়।
সাধারণত পুরুষ তেলাপিয়ার বৃদ্ধির হার স্ত্রী তেলাপিয়ার চেয়ে ৩০ ভাগ বেশি।
অগভীর জলাশয়, স্বচ্ছ এবং লবনাক্ত পানিতেও এই মাছ চাষ করা যায়।
এটি অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন মাছ।
চাষ ব্যবস্থাপনা সহজ ও লাভের পরিমান বেশি।
পুকুর প্রস্তুতিঃ

পুকুরের আয়তন সাধারণত ৩০-৪০ শতাংশ হতে হবে।
পুকুর শুকিয়ে রাক্ষুসে মাছ ও মাংসাশী প্রাণি ধ্বংস করতে হবে। অথবা, প্রতি শতাংশে ৪০-৫০ গ্রাম ‘রোটেনন’ প্রয়োগ করে অবাঞ্ছিত প্রাণী দূর করতে হবে।
পুকুরের পানির গুনাগুণ পোনা চাষের উপযোগী করার জন্য প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
চুন প্রয়োগের ৩-৪ দিন পরে প্রতি শতাংশে ৮-১০ কেজি গোবর সার অথবা ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে।
পোনা মজুদের পূর্বে নার্সারি পুকুরের চারপাশে নাইলন/ফিল্টার নেটের বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সার প্রয়োগের ১ সপ্তাহের মধ্যে পুকুরে মনোসেক্স তেলাপিয়ার পোনা মজুদের ব্যবস্থা করতে হবে।
পোনা মজুদ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ

পুকুর প্রস্তুতির পর প্রতি শতাংশে ১৫-২০ গ্রাম ওজনের সুস্থ সবল ২০০-২৫০ টি পোনা মজুদ করতে হবে।
পোনা মজুদের পর, প্রতিদিন ২৫-৩০% প্রোটিন সমৃদ্ধ সম্পূরক খাদ্য পুকুরে মজুদ করতে হবে। এটি মাছের মোট দেহ ওজনের ৩-১০% হারে প্রয়োগ করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২২, ২০২২ ১০:৫৬ অপরাহ্ন
রাজনীতিতে ত্যাগী ও সাহসী মানুষদের মূল্যায়ন চান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, রাজনীতিতে গুণী ও ত্যাগী ব্যক্তিদের মূল্যায়নের জায়গায় একটা অবক্ষয় এসেছে। কিন্তু সংকটের সময় ত্যাগী মানুষরা না থাকলে ভালো থাকা সম্ভব হতো না। রাজনীতির বর্ণাঢ্য মানুষ, ত্যাগী মানুষ, সাহসী মানুষরা দুঃসময়ে যে ভূমিকা রেখেছে সেটাকে শ্রদ্ধা জানাতে হলে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, হঠাৎ করে আসা লোকরা যতক্ষণ সময় ভালো ততক্ষণ থাকবে, কিন্তু দুঃসময়ে থাকবে না। দুঃসময়ের তাগী ব্যক্তিদের মূল্যায়ন করলে দল আরও শক্তিশালী হবে।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, বদিউজ্জামান বাদশার মতো ত্যাগী নেতারা রাজনীতিতে অনুপ্রেরণার উৎস। নিরন্তর শ্রদ্ধার জায়গায় আসীন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষির উন্নয়ন ও ত্রিশ লক্ষ শহিদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিপাহশালার হিসাবে কাজ করতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২১, ২০২২ ৫:৫৯ অপরাহ্ন
কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছ কমেছে ৮০ ভাগ
মৎস্য

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মৎস্য দিবস পালন করা হয়েছে।

সোমবার সকালে ক্যাম্পাসে ফিশারিজ ও মেরিন টেকনোলজি বিভাগের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করার পর সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অঞ্জন কুমার চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও মেরিন টেকনোলজি বিভাগের ফিশারিজ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইদুল আলম ও মোহাম্মদ শহীদুল ইমলাম সিকদার প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারি বিভাগে পড়ছেন তারা ভাগ্যবান। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে কাপ্তাই হ্রদ। এখানে মিঠা পানির মাছ রয়েছে। যার দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের মাছ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বর্জ্য পড়ে লেকের অবস্থা খারাপ। একসময় বড় বড় কার্পজাতীয় মাছ পাওয়া যেত, এখন আর পাওয়া যায় না। কেন পাওয়া যায় সেটা নিয়ে বিষদ আকারে গবেষণা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, মশারি জাল ব্যবহার করার কারণে লেকের অবস্থা খুবই খারাপ। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এখনই ব্যবস্থা না নিলে আগামী কয়েক বছরে মাছশূন্য হতে পারে এই হ্রদ। একবারে সব ধরে ফেলছি আমরা।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও মেরিন টেকনোলজি বিভাগের ফিশারিজ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদে আগে যে পরিমাণ কার্পজাতীয় মাছ পাওয়া যেত তা এখন আর পাওয়া যায় না। এ জাতীয় মাছের আহরণ কমেছে ৮০ ভাগ। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৭৮৩ টন শুঁটকি মাছ উৎপাদন হলেও বর্তমানে কমে ৩৩৯ টনে দাঁড়িয়েছে। বাজারে বিদেশি মাছে আধিক্য বাড়ছে। এ রকম চলতে থাকলে একদিন কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছ শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২১, ২০২২ ৫:৪৬ অপরাহ্ন
মহিপুরে বিশ্ব মাছ দিবসে পালিত
মৎস্য

মাছের প্রজনন বাড়ানো, সমুদ্রের স্বাস্থ্য রক্ষা, জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ এসব প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে পটুয়াখালীর মহিপুরে বিশ্ব মাছ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড ফিস বাংলাদেশের উদ্যোগে ২১ নভেম্বর সোমবার সকালে মহিপুরের আলিপুর মৎষ্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। সেটি মৎস্য বন্দর প্রদক্ষিণ করে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের হলরুমে আলোচনা সভার মাধ্যমে শেষ হয়।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দীন বিপ্লব’র সভাপতিত্বে ওয়ার্ল্ড ফিস ইকোফিস প্রকল্পের গবেষণা সহযোগী সাগরিকা স্মৃতির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথি ছিলেন কুয়াকাটা টুরিষ্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পরিচালক শাকিল আহম্মেদ, ওয়ার্ল্ড ফিস ইকো ফিস প্রকল্পের সহযোগী গবেষক বখতিয়ার রহমান, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের সহকারী অধ্যাপক খান এ রাজ্জাক সহ মৎস্য পেশায় জড়িত আড়ৎ মালিক, জেলেসহ অন্যরা।

এসময় গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ‘মাছ শিকারের ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষে ছোট এবং মা মাছ নিধন থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিবেশের ভারস্যাম্য রক্ষার্থে আমাদের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে। আমাদের নদী, খাল, সগর দূষণমুক্ত রাখার আহবান জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২০, ২০২২ ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
বঙ্গোপসাগরের পোপার সাথে যেন গণির বন্ধুত্ব
মৎস্য

বঙ্গোপসাগরের পোপার সাথে যেন সেন্টমার্টিনের জেলে গণির বন্ধুত্ব হয়েছে। বারে বারে তার জালেই ধরা দিচ্ছে সাগরের বড় পোপা মাছগুলো। গত পাঁচ বছরে ৫টি বড় পোপা মাছ তার জালে উঠে এসেছে। এসব মাছ বিক্রি করেই লাখপতি হয়েছেন সেন্টমার্টিনের জেলে গণি। চলতি মাসেই তিনটি বড় পোপা মাছ তার জালে ধরা পড়েছে।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে আবদুল গণির মালিকানাধীন ‘এফবি মায়ের দোয়া’ নামে ট্রলারে ২৩ কেজি ওজনের একটি পোপা মাছ ধরা পড়ে। সেন্টমার্টিনের এক সওদাগর মাছটি ৮৫ হাজার টাকায় কিনে নেন।

জেলে গণি জানান, প্রতিদিনের মতো ট্রলার নিয়ে ভোরে মাছ শিকারে যান তার দলবল। সকাল ৮টার দিকে জাল টানতে গিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সাথে বিশাল একটি মাছ দেখে সবাই খুশিতে আত্মহারা। ট্রলার তীরে পৌঁছে অন্যান্য মাছটির সাথে এই মাছটিও বাজারে তোলেন গনি। দাম হাঁকান ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে মাছটি স্ত্রী প্রজাতির জানতে পেরে আর কেউ আগ্রহী না হওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে মাছটি ৮৫ হাজার টাকায় দিয়ে দেওয়া হয়। এরপরও শুকরিয়া প্রকাশ করেন তিনি।

গনি বলেন, মাছ বিক্রি করে দুটো ট্রলার, ৪০টি জাল ক্রয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ করি। সেইসঙ্গে বাড়িটিও করা হয়।

টেকনাফ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছে মাছটি ‘কালা পোপা’ নামে পরিচিত। এ মাছের মূল আকর্ষণ পেটের ভেতরে থাকা পটকা বা বায়ুথলি (এয়ার ব্লাডার)। এই বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা হয়। সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মাছের চাহিদা আছে। এ জন্য পোপা মাছের দাম চড়া।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, শনিবার ভোরে দ্বীপের বাসিন্দা আবদুল গণির নেতৃত্বে কয়েক জেলে বঙ্গোপসাগরের মাছ শিকারে যান। সকালে দ্বীপের পশ্চিম পাড়াস্থল সাগরে জাল তুলে একটি বড় পোপা মাছ পান। মাছটি নিয়ে দ্বীপের জেটি ঘাটে ফিরে আসার পর উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। ধরা পড়া ২৩ কেজি ওজনের মাছটির দাম হাঁকান সাড়ে তিন লাখ টাকা। পরে মাছটি স্ত্রী প্রজাতির হওয়ায় ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেদেন জেলে গণি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৯, ২০২২ ৮:৪২ পূর্বাহ্ন
হালদা নদীতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার, একমাসের কারাদণ্ড
মৎস্য

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর হালদা নদীতে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগে একজনকে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের গছালি খালের পশ্চিম পাশে হালদা নদীতে মাছ ধরার সময় মো. আলমগীর নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করে স্থানীয়রা। তবে আলমগীরের সঙ্গে থাকা আরও দুজন পালিয়ে যান।

আলমগীর গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মোনাফের ছেলে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম সেখানে গিয়ে আলমগীরকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, স্থানীয়রা ইউপি সদস্য ইস্কান্দার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। বিষ প্রয়োগ করে সেখান থেকে ধরা মাছও জব্দ করা হয়।

গড়দুয়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সারোয়ার মোর্শেদ তালুকদারের উপস্থিতিতে দোষ স্বীকার করায় আলমগীরকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানান ইউএনও শাহিদুল।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop