৩:৫৭ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ৩, ২০২২ ৮:৩৩ অপরাহ্ন
পাহাড়ে বাড়ছে মাল্টা চাষ, আসছে নতুন মাল্টা
কৃষি বিভাগ

ভালো ফলন হওয়ায় প্রতিনিয়ত মাল্টা চাষের দিকে ঝুঁকছে পাহাড়ের চাষিরা। পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির আবহাওয়া মাল্টা চাষের জন্য অনুকূলে। রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা আনারসের রাজধানী বলে খ্যাত হলেও এখন এ উপজেলার মানুষ মাল্টা চাষেও বেশ উৎসাহী।

নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি অর্থবছরে ১৭ হেক্টর জমিতে মাল্টার চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে হেক্টর প্রতি ৫ টন করে।

উপজেলার দুটি সাপ্তাহিক বাজার নানিয়ারচর সদর ও ঘিলাছড়ি ঘুরে দেখা যায়, রসালো মাল্টা বিক্রি করতে দূরদূরান্ত থেকে চাষিরা বাজারে এসেছেন। যার প্রতিকেজি মাল্টার দাম মাত্র ৫০ থেকে ৬০ টাকা। সুস্বাদু রসালো মাল্টাগুলো চাষিদের কাছ থেকে কম দামে ব্যবসায়ীরা কিনে চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান।

নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মেজবাহ্ উদ্দিন জানান, ‘অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মাল্টা পূর্ণতা পায়। মৌসুমের পরে বা আগে ছেড়া হলে মাল্টার পূর্ণতা আসবে না এবং রস কম হবে। মাল্টা এ সময়ে সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে। তবে হলুদ বর্ণের করতে হলে কিছু প্যাকিং ব্যবস্থা নিতে হবে। পাহাড়ের কৃষকদের জন্য সে খরচ সম্ভব হয় না। বিধায় তারা সবুজ বর্ণের মাল্টা বিক্রি করে থাকে। নানিয়ারচরে পর্যায়ক্রমে মাল্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।’

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা জানান, ‘মাল্টা চাষে তেমন বাড়তি খরচ না হওয়ায় সহজেই কৃষকরা চাষে লাভবান হতে পারেন। এ উপজেলার মাটি মাল্টা চাষের উপযোগী। নানিয়ারচর উপজেলা আনারস চাষের পাশাপাশি মাল্টা চাষেও বিশাল অবদান রাখতে পারবে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৩, ২০২২ ৮:১৭ অপরাহ্ন
আগাম আলু চাষে ব্যস্ত দিনাজপুরের কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় স্বল্পমেয়াদী আগাম আমন ধান ঘরে তুলে সে জমিতেই আলুর জন্য হালচাষ, পরিচর্যা, সার প্রয়োগ, হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ ও বপনে ব্যস্ত দিনাজপুরের কৃষকরা। দিনাজপুর জেলায় এবার ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জানান যায়, বিঘাপ্রতি ৩ ট্রলি গোবর সার, ২০ কেজি পটাশ ও ১ বস্তা ফসফেট সার দিয়ে আলু চাষের জন্য জমি তৈরি করেছেন কৃষকরা। জমি তৈরি করে বীজ আলু জমিতে লাইন ধরে রোপণ করছেন। এক বিঘা জমিতে প্রায় ১৪ মণ বীজ আলুর প্রয়োজন হয়। এসব বীজ আলু ৮০০ টাকা মণ হিসেবে ক্রয় করছেন কৃষকরা। এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয় ২৩ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। তবে বিঘাপ্রতি ৭০ থেকে ৭৫ মণ আলুর ফলন হয়। লাগানোর ৫০ থেকে ৫৫ দিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তোলেন কৃষকরা। আগামী অগ্রহায়ণ মাসে আলু চাষের মৌসুম হলেও বেশি দাম পাওয়ার আশায় আশ্বিন মাসেই আগাম আলু চাষ করছেন কৃষকরা।

বিরামপুর উপজেলার আলুচাষি আফজল হোসেন জানান, তিনি মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন। আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরুর আগেই প্রতিবছর এক বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেন। আগাম চাষের আলুর দাম অনেক বেশি পান। আগামী অগ্রহায়ণ মাসেই আলু বাজারজাত করতে পারবেন।

বেলাল হোসেন জানান, এ অঞ্চলের জমি উঁচু এবং বালুমাটি মিশ্রিত। ভারি বৃষ্টি হলেও তেমন কোনো বড় ধরনের ক্ষতির ভয় থাকে না। অতিবৃষ্টি হলেও শুকিয়ে যায় মাটি। তাই আগেভাগে দ্বিগুণ লাভের আশায় আগাম আলুবীজ বপন করছেন। তিনি আগাম রোজাডা জাতের আলুর বীজ বপন করছেন বলে জানান।

কৃষকরা অভিযোগ করেন, তাদের বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। ৭৫০ টাকার ৫০ কেজির বস্তার পটাশ কিনতে হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় এবং ১১০০ টাকার ৫০ কেজির বস্তা কিনতে হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। এতে কিছুটা খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিক্সোন চন্দ্র পাল জানান, চলতি আলু মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উপজেলার অনেক জায়গায় কৃষকেরা ভালো দাম পাওয়ার আশায় আগাম আলুর চাষ শুরু করেছেন।

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মন আক্তার জানান, উপজেলায় চলতি বছর ১ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর আগাম আমন ধান ঘরে তুলে আগাম আলুচাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুজ্জামান জানান, দিনাজপুর জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। খসড়া তালিকা অনুয়ায়ী দিনাজপুরে ৪৮ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হবে। এরমধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হবে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু বীজ রোপণ হয়ে গেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৩১, ২০২২ ৮:০৫ অপরাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার সূচি প্রকাশ
কৃষি বিভাগ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার সূচি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি চারটি পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরের ব্যবহারিক পরীক্ষা আগামী ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষায় উর্ত্তীণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা ৬ নভেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

অপরদিকে ক্যাশিয়ার ও ক্যাশ সরকার পদের মৌখিক পরীক্ষা ৬ নভেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। অফিস সহায়ক পদের মৌখিক পরীক্ষা ৭ থেকে ১০ নভেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নেওয়া হবে।

সময়সূচি জানতে ক্লিক করুন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার প্রকাশসূচি

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৩১, ২০২২ ৯:০০ পূর্বাহ্ন
গত ৫ বছরে নওগাঁয় বেড়েছে সরিষা চাষ
কৃষি বিভাগ

নওগাঁয় ক্রমাগত সরিষা চাষের পরিমাণ বাড়ছে। হালকা শীতের আমেজ পরায় চাষিরা জমি চাষাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমন ধান কেটে কেউ আলু আবার কেউ সরিষা রোপণ করবেন। ভালো দাম পাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে তারা সরিষা চাষে বেশি মনোনিবেশ করছেন। গত ৫ বছরে নওগাঁ জেলায় সরিষা চাষের পরিমাণ বেড়েছে ১৪ হাজার ৪৩০ হেক্টর।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রবি মৌসুমে জেলায় মোট ৪৩ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ২৯ হাজার ২৬৫ হেক্টর, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩১ হাজার ১৭৫ হেক্টর, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩১ হাজার ৩২০ হেক্টর এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৩৪ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। অর্থাৎ গত ৫ বছরে জেলায় সরিষা চাষের পরিমাণ বেড়েছে ১৪ হাজার ৪৩০ হেক্টর।

চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছর উপজেলা ভিত্তিক সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রার পরিমাণ নওগাঁ সদর উপজেলায় ২ হাজার ৩১০ হেক্টর, রানীনগরে ৩ হাজার ৫৯০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ৩ হাজার ১২৫ হেক্টর, বদলগাছীতে ১ হাজার ২৫০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ২ হাজার ৩০৮ হেক্টর, পত্নীতলায় ৬ হজার ৪৫০ হেক্টর, ধামইরহাটে ৩ হাজার ২৩৫ হেক্টর, সাপাহারে ৪ হাজার ৫১০ হেক্টর, পোরশায় ৪ হাজার ৪৭০ হেক্টর, মান্দায় ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুরে ৬ হাজার ৭৫ হেক্টর। এ পরিমাণ জমি থেকে ৬৭ হাজার ৪০৫ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদিত হবে বলে কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা।

বর্তমানে কৃষকরা উন্নত জাতের বারী-১৪, বারী-১৫, বারী-১৭, বারী-১৮, বিনা-৪, বিনা-৭, বিনা-৯ এবং টরি-৭ জাতের সরিষার আবাদ করছেন। কৃষি বিভাগ থেকে প্রণোদনা ও সরিষা তেলের দাম বেশি হওয়ায় চলতি বছরে কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষে আগ্রহ বেড়েছে।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে সরকার সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। বাজারে সরিষার ভালো দাম পাওয়া, নতুন নতুন উন্নত জাতের উদ্ভাবনের ফলে ফলন বৃদ্ধি এবং পতিত জমিতে মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে সরিষা চাষের মাধ্যমে লাভজনক হওয়ার কারণে কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সরিষা উত্তোলন করেই তারা ওই জমিতে বোরো চাষ করতে পারছেন। এতে খরচ কিছুটা কম হয়।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৩১, ২০২২ ৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
মাটি ছাড়া শাক-সবজি চাষ করবেন যেভাবে
কৃষি বিভাগ

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশের শহরে বসবাসকারী মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাটি ছাড়া সবজি চাষ। অল্প সময়ে ঝামলেহীন এ উপায়ে শাক-সবজি চাষ করা যায়। এখন মাটিবিহীন ছোট পাত্রে উৎপাদন হচ্ছে টমেটো, লাকশাক, লাউ, লেটুস, লাউ, কাঁচামরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, খিরা, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি, মটরশুঁটিসহ নানা ফসল।

মাটি ছাড়া চাষাবাদের এই বিশেষ পদ্ধতির নাম হাইড্রোপনিক। গবেষকরা বলছেন, এ পদ্ধতিতে বাড়ির বারান্দা, ছাদ, উঠানে প্লাস্টিকের পট বা পলি টানেলে অধিক শস্য চাষ করে পারিবারিক চাহিদার অনেকাংশই পূরণ করা সম্ভব হবে। সেই সাথে অবসর সময়ও ভালো কাটে।

যেখানে স্বাভাবিক চাষের জমি কম বা জমি একেবারেই নেই, সেখানে পানিতে এ হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে প্রথমে সাফল্য পান বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানীরা। তাদের দেখানো পথে এখন এটি ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। পানিতে চাষাবাদের এ পদ্ধতির কেতাবি নাম ‘হাইড্রোপনিক পদ্ধতি। ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, তাইওয়ান, চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং প্রাচ্যের দেশগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে সবজি ও ফল উৎপাদন বেশ জনপ্রিয়।

শহরের বাসিন্দাদের যাদের কোনো জমি নেই, তারা পলি টানেল, টব, বালতি, জগ, বোতল, পাতিল, প্লাস্টিকের থালায় অনায়াসে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে সবজি, ফল ও ফুল উৎপাদন করতে পারবেন। তিনি জানান, এই চাষাবাদে কোনো কীটনাশক বা আগাছানাশক প্রয়োজন পড়ে না। অনায়াসে গড়ে তোলা যায় অরগানিক ফসলের সম্ভার।

সঞ্চালন পদ্ধতিতে গাছের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য উপাদানগুলো যথাযথ মাত্রায় মিশিয়ে একটি ট্যাঙ্কে নেওয়া হয় এবং পাম্পের সাহায্যে ট্রেতে পুষ্টি দ্রবণ সঞ্চালন করে ফসল উৎপাদন করা যায়। আর সঞ্চালনবিহীন পদ্ধতিতে ট্রেতে গাছের প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান পরিমিত মাত্রায় সরবরাহ করে সরাসরি ফসল উৎপাদন করা হয়।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৩০, ২০২২ ৬:০৬ অপরাহ্ন
বাকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদের নতুন ডিন প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আউয়াল
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের নতুন ডিন এর দায়িত্ব গ্রহণ করলেন এনাটমি এন্ড হিস্টোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল।

রবিবার(৩০ অক্টোবর) সকাল ১১ ঘটিকায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদ কন্ফারেন্স হলে সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মকবুল হোসেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন এর দায়িত্ব প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল এর নিকট হস্তান্তর করেন।

দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

প্রফেসর ড. আউয়াল ১৯৮৮ সনে বাকৃবিতে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। পরে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯১ সনে সহকারী প্রফেসর, ১৯৯৭ সনে সহযোগী প্রফেসর এবং ২০০২ সন থেকে অদ্যবধি প্রফেসর হিসেবে শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও তিনি পোহাং ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, দক্ষিন কোরিয়ায় ২০০৪-০৫ পর্যন্ত ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রফেসর ড. আউয়াল বিভিন্ন সময় এনাটমি এন্ড হিস্টোলজি বিভাগের প্রধানসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। তার জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে মোট ৬৪ টি গবেষনা প্রবন্ধ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষকমন্ডলীগণসহ আমন্ত্রিত অতিথিগন উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৩০, ২০২২ ৫:১৫ অপরাহ্ন
সুগারমিলের পতিত জমি চাষের আওতায় আনা হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

সুগারমিলসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সুগারমিলের অনেক পতিত জমি আছে। সেগুলোকে চাষের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জমি কোথায় কোথায় পতিত আছে, তা খুঁজে বের করে চাষের আওতায় আনতে হবে।

সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সুগারমিল এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের চাহিদাও বাড়ছে। কাজেই যেকোনো মূল্যে খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। এজন্য যেটুকু সুযোগ আছে, তার সবটুকু আমরা কাজে লাগাতে চাই। সেজন্য মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে আরও তৎপর ও সক্রিয় হতে হবে। কীভাবে উৎপাদন আরও বাড়ান যায়-তা খুঁজে বের করতে হবে।

সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৭২টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ৪ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এ বছর সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ আছে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে, যার পরিমাণ ৬৬০ কোটি টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৬, ২০২২ ৭:৫৭ অপরাহ্ন
বকশীগঞ্জে পাটের গুদামে আগুন, ৮৬ লাখ টাকার ক্ষতি
কৃষি বিভাগ

জামালপুরের বকশীগঞ্জে পাটের গুদাম আগুনে পুড়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পৌর শহরের চরকাউরিয়া পশ্চিম মাঝপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ৮৬ লাখ টাকার পাট পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন গুদামের মালিক।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বকশীগঞ্জের পাট ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়ার গুদামে আগুন লাগে। এরপর স্থানীরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে চারটি ইউনিট এসে পঁঅচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়। তবে গুদামে থাকা প্রায় ৩ হাজার মণ পাট আগুনে পুড়ে যায়।

এ নিয়ে পাটগুদামের মালিক জুয়েল মিয়া বলেন, ‘গতকাল রাত ৮টার দিকে জানতে পারি, গুদামে আগুন লেগেছে। গুদামে প্রায় ৩ হাজার মণ পাট ছিল, যার বাজার মূল্য ৮৬ লাখ টাকার মতো। সব পুড়ে গেছে।

বকশীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা তুহিনুল উল হক জানান, ‘বকশীগঞ্জ ও শ্রীবরদী উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৬, ২০২২ ৭:২৭ অপরাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে মাটিতে নুয়ে পড়েছে রোপা আমন
কৃষি বিভাগ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার রাতে প্রবল বর্ষণ ও দমকা বাতাসে বিভিন্ন স্থানে রোপা আমন ও সবজিসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় সব আমনখেতের ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে।

সিরাজগঞ্জ : সিত্রাংয়ের প্রভাবে দিনভর প্রবল বর্ষণ ও দমকা বাতাসে উঠতি রোপা আমন ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকা-আধাপাকা রোপাআমন ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়ায় নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ার খোলা বাজারে প্রভাবসহ দাম বেড়েছে। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর রোপা জমির আমন, বীজতলা, চীনাবাদাম, বিভিন্ন ধরনের সবজিসহ কাঁচামরিচের ক্ষতি হয়েছে।

সদর উপজেলার শিয়ালকোল এলাকার কৃষক আব্দুল হামিদ, ঘোড়চরা এলাকার সবজিচাষি হারুন অর রশিদ জানান, দমকা বাতাস ও বৃষ্টিতে জমির ধান ও বিভিন্ন ধরনের সবজি হেলে পড়েছে; এতে আমরা ক্ষতির আশঙ্কা করছি। দু-এক দিনের মধ্যে জমির পানি না নামলে বড় ধরনের ক্ষতির কথা তারা জানান।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (সংযুক্তি) শামিনুর ইসলাম শামীম জানান, মাঠ পর্যায়ে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলছে। কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের এ বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) : ফুলবাড়ীতে বৃ?ষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে শত শত হেক্টরের আমনখেত হেলে পড়েছে। আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষ?তি হ?য়ে?ছে। টানা দুই দিনের হালকা-বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে উপজেলার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে ঘরবাড়ি গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি না হলেও উপজেলার নাওডাঙ্গা, শিমুলবাড়ী, ফুলবাড়ী সদর, কাশিপুর, ভাঙ্গামোড় ও বড়ভিটা ইউনিয়নের শীষ বের হওয়া শত শত বিঘা জমির আমন ধান মাটিতে হেলে পড়ে আমনচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শুধু আমন চাষি নয়, শাকসবজিসহ আগাম শীতকালীন সবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াছমিন জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৩৫২ হেক্টর জমিতে কৃষকরা আমন ধানের চাষাবাদ করেছেন। হঠাত্ বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৩৬০ হেক্টর আমন ধান মাটিতে হেলে পড়েছে।

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : সোমবার বিকাল থেকে শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। বেলা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। উপজেলা জুড়ে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার ইটাকুরি দোলা, হিন্দুর ডাবরী কানুরাম, পুটিকাটা দোলা, কিসামত পুনকর, চাঁন্দামারী, হরিশ্বরতালুক, ডাংরাহাট, মনিডাকুয়া, সোমনারায়ণসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের পরে মাঠ ধানগাছ মাটিতে লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে আছে। কথা হয় কৃষক ফরিজল হক, হাবিব, জছিজল, ফকর উদ্দিনসহ আরো অনেকের সঙ্গে। সবাই বলেন, এবার আবাদ খুব ভালো হয়েছিল, বৃষ্টি না থামলে সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সম্পা আকতার জানান, এই ঝড়ে ২৪০ হেক্টর জমির রোপা আমন এবং চার হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালাই (জয়পুরহাট) : কালাইয়ে আমন ধান ও শীতকালীন আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষতির হয়েছে। সোমবার বিকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত দমকা হাওয়ার সঙ্গে মাঝারি থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এলাকার বহু স্থানে কাঁচা-পাকা ধান কাদামাটির সঙ্গে লেপ্টে গেছে।

উপজেলার রোড়াই গ্রামের কৃষক আব্দুল রউফ বলেন, এবার ৭ বিঘা জমিতে কাটারি জাতের ধান রোপণ করেছি। ধানগাছে যে শীষ এসেছিল, তাতে ফলনও খুব ভালো হবে বলে মনে হয়েছে। অসময়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টি ও বাতাসে আমার বেশির ভাগ ধানগাছ মাটিতে পড়ে গেছে।

কালাই উপজেলা কৃষি অফিসার অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, উপজেলায় এবার আমন মৌসুমে ১১ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে আমন-ধান চাষাবাদ হয়েছে এবং ৫৫ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্য কৃষকেরা প্রায় ২০ হেক্টর জমির ধান কর্তন করেছেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কিছু কিছু স্থানে প্রায় ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির পাকা ও কাঁচা ধানের গাছগুলো হেলে পড়েছে। তবে ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। ইত্তেফাক

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৬, ২০২২ ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
বিনা’র মহাপরিচালকের সাথে আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাত
কৃষি বিভাগ

পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে তাৎপর্য্পূর্ণ অবদান রাখছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) । বিনা উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কিভাবে প্রান্তিক চাষী পর্যায়ে জনপ্রিয় ও সহজলভ্য করা যায় সেই লক্ষ্যে বিনা ও বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড এর মাঝে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে । উক্ত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম ও আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার ।

 

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop