৩:৫২ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ২৪, ২০২৩ ২:৩৫ অপরাহ্ন
সাত মাস ধরে উধাও চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
প্রাণিসম্পদ

পারিবারিক কারণ দেখিয়ে মাত্র ৩ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুরেজা তালুকদার। এরপর আর খোঁজ নেই। অফিসে আসেন না ৭ মাস ধরে। তাকে দফায় দফায় লিখিত তলব করেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তারপরও হদিস মেলেনি। এমনকি তিন দিনের ছুটি তিন মাস গড়ানোর মধ্যেই বদলির আদেশ দেয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর।

বিভাগীয় ও জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও একাধিক সূত্রে জানা যায়, ডা. মো. আবুরেজা তালুকদার গত বছরের আগস্টের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ মোট তিন দিনের ছুটি নিয়েছিলেন। পারিবারিক জরুরি কাজ জানিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। ১৭ দিন পেরিয়ে গেলে সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখে গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ অনুযায়ী কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। একই সঙ্গে বিভাগীয় ও প্রাণিসম্পদ মহাপরিচালক বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি। কিন্তু তাতে কোনো সদুত্তর মেলেনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বছরের ১৪ আগস্ট সর্বশেষ অফিস করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুরেজা তালুকদার। এরপর তার মেয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিন দিনের ছুটি নেন। তবে কি কারণে গত ৭ মাস অফিসে অনুপস্থিত তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারেননি। এদিকে, দীর্ঘ ৭ মাস পর চলতি বছরের ১৩ মার্চ অফিসে এসেছিলেন আবুরেজা তালুকদার।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অফিস সহকারী তরিকুল ইসলাম বলেন, গত ৭ মাসে একদিনও অফিসে আসেননি ইউএলও মো. আবুরেজা তালুকদার স্যার। কি কারণে বা কেন আসেননি তা আমরা বলতে পারব না। তবে তার অনুপস্থিতির কারণে একটি প্রকল্পের পুরো অর্থ ফিরে গেছে। এছাড়াও বাধাগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ।

এলএইও ডা. শামীমা নাসরিন জানান, স্যার গত বছরের আগস্টে তিন দিনের ছুটি নিয়ে এখন পর্যন্ত একদিনও অফিস করেননি। প্রকল্পের কাজ যখন আটকে গিয়েছিল তখন ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আখতারুজ্জামান স্যারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি কাজগুলো করিয়ে নেন। আমরা এভাবেই কাজ করে যাচ্ছি সমস্যার মধ্য দিয়ে। স্যার কোথায় আছেন, কেন আসেননি আমরা তা জানি না।

ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট স্যার (আবুরেজা তালুকদার) সর্বশেষ অফিস করেছেন। এরপর গত ১৩ মার্চ হঠাৎ করেই দীর্ঘ ৭ মাস পর অফিসে এসেছিলেন। এরপর গত কয়েকদিনে আর আসেননি। এমনকি এই ৭ মাসের মধ্যে তার বদলির আদেশ হলেও এখানকার চার্জ বুঝিয়ে দেননি। ১৩ মার্চ এসে অনুপস্থিতির কারণ জানিয়ে ছুটির আবেদন করেছেন বলে জানতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, তার অনুপস্থিতির কারণে অফিসের আর্থিক ব্যবস্থাপনার সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। গত ৪ মার্চ থেকে যা আমি করছি। ১৪ আগস্টের পর দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় তার উপস্থিতির (হাজিরা) সইয়ের স্থান ফাঁকা ছিল। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নির্দেশে আমি তার হাজিরার জায়গায় সই করছি। আমার কাজ মূলত চিকিৎসা দেওয়া হলেও তার অনুপস্থিতির কারণে অনেক অফিসিয়াল কাজ করতে হচ্ছে। এতে চিকিৎসা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুরেজা তালুকদার ফোন রিসিভ করেননি। পরে তিনি নিজেই ফোন দিলেও সাংবাদিক পরিচয় শোনার পর ফোন কেটে দেন। পরে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডা. মো. আবুরেজা তালুকদারের বিষয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের আগস্টের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ মোট তিন দিনের ছুটি নিয়ে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত ছিলেন। চলতি মার্চ মাসের ১৩ তারিখে যোগদান করে আবার ছুটি নিয়েছেন। দীর্ঘ সময়ে একদিনের জন্যও চেয়ারে বসেননি। তাকে বারবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তিন দিনের ছুটি নিয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির কারণে তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এমন আচরণের কারণে গতবছরের নভেম্বর থেকে তার বেতন বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি তার একটি প্রমোশনও আটকে দেওয়া হয়েছে। চাকরিবিধি অনুযায়ী তার সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে। তবে কি কারণে অনুপস্থিত ছিলেন, তা এখনো জানতে পারিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম জানান, ডা. মো. আবুরেজা তালুকদার বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত আছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান একাধিকবার নোটিশ ও কৈফিয়ত তলব করেছেন, তাতেও কোনো কাজ হয়নি।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত হওয়ার কোনো নিয়ম নেই। এ জন্য তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। অনুপস্থিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দেবে। যদি সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারেন, তাহলে দপ্তরের নিয়মানুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৩, ২০২৩ ৭:০১ অপরাহ্ন
রমজানে মানুষ কষ্ট লাঘবে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
পোলট্রি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাসে রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। ১ রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন তার সাধ্যের মধ্যে দুধ, ডিম ও মাংস কিনতে পারেন, সেজন্য সরকার ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম চালু করছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয সর্বপ্রথম করোনায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থা চালু করে খামারি ও ভোক্তাদের উপকার করেছে, অর্থনীতি সচল রেখেছে, যারা বিপণের সাথে বিভিন্নভাবে যুক্ত তাদের সহায়তা করেছে। সে ধারাবাহিকতায় রমজানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিপণন কার্যক্রমের মন্ত্রণালয় নয়। এই মন্ত্রণালয় উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী। দাপ্তরিক ম্যান্ডেট না হলেও আমরা মানুষের উপকারার্থে এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ঢাকার ২০টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, এ বছর প্রাথমিকভাবে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হবে। তবে আমরা যে দাম ধার্য করেছি এটা নির্ধারিত নয়। প্রাথমিকভাবে উৎপাদকদের সাথে বসে ডিমের দাম নির্ধারণে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি রমজানে পর্যায়ক্রমে আশা করি এটা আরো কমে আসবে। একইভাবে আমরা আশা করছি মাংসের দামও আরো কমে আসবে। অন্যান্য সামগ্রীর দামও পর্যায়ক্রমে কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি। প্রতিদিনের অবস্থান অনুযায়ী এটি পরিবর্তিত হবে। তবে কোনভাবেই প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত মূল্যের উপরে যাবে না। আমরা চেষ্টা করব এ মূল্যের নিচে রেখে কিভাবে মানুষকে সাহায্য করা যায়।

তিনি আরো যোগ করেন, সাধারণ মানুষদের কথা বিবেচনা করে এবার দুধের আধা লিটারের ছোট প্যাকেট, অল্পপরিমাণ ডিম এবং আধা কেজির মাংসের প্যাকেট রাখা হবে যাতে একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষও তার সাধ্যের ভেতর এসব পণ্য কিনতে পারেন। আমাদের লক্ষ্য সচ্ছল মানুষরা নয়। যে মানুষরা তুলনামূলকভাবে স্বল্প আয়ের মানুষ, সে মানুষদের পাশে শেখ হাসিনা সরকার দাঁড়াতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় রমজান মাসে মানুষকে সাহায্য করতে, তাদের কষ্ট লাঘব করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

শ ম রেজাউল করিম যোগ করেন, পৃথিবীর অনেক দেশে রমজানে মানুষ উদারচিত্তে মানুষকে সাহায্য করে, আর আমাদের কিছু অতি মুনাফালোভী ব্যক্তিরা রমজানে মানুষকে কষ্ট দেয়, ভেজাল দিতে চায়। এদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে। যেখানে অন্যায় হবে, যেখানে খারাপ খাবার সরবরাহ করা হবে, মানসম্মত পণ্যের পরিবর্তে ভেজাল দেওয়া হবে, যেখানে অতিরিক্ত দাম নেয়া হবে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, উৎপাদক ও বিপণনকারীদের মাঝখানে একটি মধ্যস্বত্বভোগী মহল কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, প্রশাসন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে। উৎপাদনের সঙ্গে যুক্তিসঙ্গত লাভের বাইরে যারা অতিরিক্ত মূল্য নিচ্ছে, অতিরিক্ত মুনাফার জন্য মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। আশা করি মানুষের সহনশীল মূল্যে এসব পণ্য বিপণনে আমরা সহযোগিতা করতে পারব।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যারা অতিরিক্ত লাভ করতে চায় তারা অতিরিক্ত মূল্য নেয়। দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিপণনে সরকার কোন লাভ করছে না, কোন ভর্তুকি দিচ্ছে না। কোন ভর্তুকি না দিয়ে রমজানে যে দামে সরকার বিক্রি করতে পারছে, সে দামে বিক্রি করার মত ব্যবসায়ীদেরও যৌক্তিক অবস্থা রয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন এবং ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স-বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হাসান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম।

উল্লেখ্য, দুধ, ডিম ও মাংসের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৩, ২০২৩ ১০:০২ পূর্বাহ্ন
হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নাটোরের খামারিরা!
প্রাণিসম্পদ

হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছে নাটোরের অনেক পরিবার। কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় অনেকেই হাঁস চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে। এ উপজেলার অনেক মানুষ বিল-জলাশয় ও নদীর উন্মুক্ত পানি থাকায় হাঁস চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হতে পারছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সূত্র মতে, নাটোরের সিংড়ায় ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক হাঁসের খামার রয়েছে। এসব খামারে ক্যাম্বেল, ইন্ডিয়ান রানার ও চায়না জাতের ১০ লাখের বেশি হাঁস পালন করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ক্যাম্বেল জাতের হাঁস বেশি পালন করা হয়। কারন এ জাতের হাঁসের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও বেশি ডিম দিয়ে থাকে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অনেক পরিবার হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছে। মূলত হাঁসের ডিম বিক্রি করেই সংসারের খরচ মেটায় এসব পরিবার।

উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, আমি দিনমজুরি করতাম। আমার সংসারে ৬ জন মানুষ আছে। এই দিনমজুরি করে সংসার চালান সম্ভব না। তাই বাড়ির প্রতিবেশির কাছ থেকে টাকা ধার করে হাঁস পালন শুরু করি। এখন আমার খামারে ক্যাম্বেল ও জিংডিং জাতের ৫৮২টি হাঁস রয়েছে। ডিম দিচ্ছে ৪৮০টি হাঁস। বছরে খরচ বাদে লাভ হচ্ছে ৩-৪ লাখ টাকা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কে এম ইফতেখারুল ইসলাম জানান, হাঁস পালন করে এই উপজেলার খামারিরা দিন দিন স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। হাঁস থেকে ৬ মাস পর পর দিম দাওয়া যায়। প্রতিটি হাঁস বছরে ২০০-৩০০টি ডিম দেয়। উন্মুক্ত জলাশয়ে বাড়তি খাবার কম লাগে। ফলে হাঁস পালনে পূঁজিও কম লাগে এবং লাভ বেশি হয়। এছাড়া আমরা খামারিদের সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২১, ২০২৩ ৬:৪৩ অপরাহ্ন
রমজান মাসে সুলভ মূল্যে রাজধানীতে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়
প্রাণিসম্পদ

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আগামী ২৩ মার্চ বিকাল ৩টায় রাজধানীর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। রাজধানীর ২০টি স্থানে ১ রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।
এ কার্যক্রমে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হবে।
মাংস, দুধ ও ডিমের সরবরাহ ও  মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
সচিবালয় সংলগ্ন আব্দুল গণি রোড, খামারবাড়ি, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ষাট ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, পুরান ঢাকার নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, মিরপুরের কালশী, খিলগাঁও রেলগেট, নাখালপাড়ার লুকাস মোড়, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুরের বসিলা, উত্তরার দিয়াবাড়ি, যাত্রাবাড়ি, গাবতলী, হাজারীবাগ, বনানীর কড়াইল বস্তি, কামরাঙ্গীরচর এবং রামপুরায় এ বিক্রয় কার্যক্রম চালু থাকবে।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৪, ২০২৩ ৬:০৯ অপরাহ্ন
৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত উদযাপন হবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩
প্রাণিসম্পদ

দেশের ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি ও জাটকা আহরণে জেলেদের নিরুৎসাহিত করতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন করা হবে।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গবেষকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, নৌপুলিশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধিগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাবারের একটি বড় যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। মৎস্য উৎপাদন, বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এ খাতে সম্পৃক্তদের আয়ের উৎস তৈরি হচ্ছে। এ খাতের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এ খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করছে। ফলে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণই শুধু নয়, প্রায় ৫২টি দেশে আমাদের মাছ রপ্তানি হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বে যে তিনটি দেশ মাছ উৎপাদনে ভালো করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। অপরদিকে মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। জেলে-মৎস্যজীবীসহ মৎস্য খাতে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্তদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের মৎস্য খাতে অভাবনীয় ও বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, মৎস্য খাত শুধু মাছ আহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এ খাতের সাথে দেশের উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, খাবারের যোগান, বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি এসব বিষয় সম্পৃক্ত। তাই এ খাতকে কোনভাবেই হেলায় দেখা যাবে না। জাটকা নিধন বন্ধে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ রয়েছে। এর ব্যত্যয় যারাই করতে চাইবে এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া যাবে না। যারা আইন লঙ্ঘন করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য মাছ রক্ষা করা।

মাছ বড় হলে মৎস্যজীবীরাই আহরণ করবেন উল্লেখ করে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্যজীবীরা বড় মাছ বিক্রি করে বেশি অর্থ আয় করতে পারবে। কাজেই তাদের স্বার্থেই তাদের এক্ষেত্রে আইন মানতে হবে। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ সময়ে দরিদ্র জেলেদের মাছ আহরণে বাধ্য করে। কোন অসাধু ব্যক্তির পরামর্শ বা প্রলোভনে জাটকা আহরণে কোথাও যাওয়া যাবে না।

সভায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে কেন্দ্রীয়ভাবে ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আগামী ৩১ মার্চ পিরোজপুরে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এদিন বর্ণাঢ্য নৌর‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে জাটকা সংরক্ষণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, বেতার-টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন, ইলিশ বিষয়ক কর্মশালা, সভা-সেমিনার আয়োজন, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন মৎস্য আড়ত, বাজার ও অবতরণ কেন্দ্রে বিশেষ অভিযান ও বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

উল্লেখ্য, দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে ইলিশ তথা মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন হয়ে আসছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৪, ২০২৩ ৪:৪৪ অপরাহ্ন
৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত উদযাপন হবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩
প্রাণিসম্পদ

দেশের ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি ও জাটকা আহরণে জেলেদের নিরুৎসাহিত করতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন করা হবে।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গবেষকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, নৌপুলিশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধিগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাবারের একটি বড় যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। মৎস্য উৎপাদন, বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এ খাতে সম্পৃক্তদের আয়ের উৎস তৈরি হচ্ছে। এ খাতের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এ খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করছে। ফলে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণই শুধু নয়, প্রায় ৫২টি দেশে আমাদের মাছ রপ্তানি হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বে যে তিনটি দেশ মাছ উৎপাদনে ভালো করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। অপরদিকে মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। জেলে-মৎস্যজীবীসহ মৎস্য খাতে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্তদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের মৎস্য খাতে অভাবনীয় ও বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, মৎস্য খাত শুধু মাছ আহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এ খাতের সাথে দেশের উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, খাবারের যোগান, বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি এসব বিষয় সম্পৃক্ত। তাই এ খাতকে কোনভাবেই হেলায় দেখা যাবে না। জাটকা নিধন বন্ধে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ রয়েছে। এর ব্যত্যয় যারাই করতে চাইবে এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া যাবে না। যারা আইন লঙ্ঘন করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য মাছ রক্ষা করা।

মাছ বড় হলে মৎস্যজীবীরাই আহরণ করবেন উল্লেখ করে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্যজীবীরা বড় মাছ বিক্রি করে বেশি অর্থ আয় করতে পারবে। কাজেই তাদের স্বার্থেই তাদের এক্ষেত্রে আইন মানতে হবে। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ সময়ে দরিদ্র জেলেদের মাছ আহরণে বাধ্য করে। কোন অসাধু ব্যক্তির পরামর্শ বা প্রলোভনে জাটকা আহরণে কোথাও যাওয়া যাবে না।

সভায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে কেন্দ্রীয়ভাবে ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আগামী ৩১ মার্চ পিরোজপুরে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এদিন বর্ণাঢ্য নৌর‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে জাটকা সংরক্ষণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, বেতার-টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন, ইলিশ বিষয়ক কর্মশালা, সভা-সেমিনার আয়োজন, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন মৎস্য আড়ত, বাজার ও অবতরণ কেন্দ্রে বিশেষ অভিযান ও বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

উল্লেখ্য, দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে ইলিশ তথা মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন হয়ে আসছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৩, ২০২৩ ৭:৫১ অপরাহ্ন
ভ্যানচালকের গোয়াল থেকে গরু চুরি করে জবাই!
প্রাণিসম্পদ

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় গোয়াল থেকে গরু চুরি করে পাশের জঙ্গলে ফেলে জবাই করার অভিযোগ উঠেছে।

গত (১১ মার্চ) শনিবার রাতে উপজেলার নলচাপড়া গ্রামের ভ্যানচালক নুরুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। চুরি হওয়া গরুটি তিন মাসের গাভিন ছিল বলে জানা যায়।

ভুক্তভোগী কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, তিনি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। পাশাপাশি কৃষিকাজ করেন। অনেক কষ্ট করে একটি গরু ক্রয় করেন। গাভিটি তিন মাসের গাভিন ছিল। প্রতিদিনের মতো বাজার থেকে বাড়িতে গিয়ে গোয়ালে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা গরু নেই।

এ সময় খোঁজাখুঁজির পর চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। পরে পাশের জঙ্গল থেকে জবাই করা অবস্থায় গরুটি পাওয়া যায়।

তারাকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৩, ২০২৩ ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
চুরি করা গরু ৫ মাস পর বাছুরসহ ফেরত দিলো চোর
প্রাণিসম্পদ

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নে প্রায় পাঁচ মাস আগে চুরি করা গর্ভবতী কালো রঙের গরু রাতের আঁধারে বাছুরসহ ফেরত দিয়ে গেছেন চোর।

রোববার (১২ মার্চ) ভোরে ওই ইউনিয়নের মহন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গরুর মালিক ওই গ্রামের মৃত মসলিম উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান আলী। তিনি নরসিংদী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে চাকরি করেন।

শাহজাহানের ছেলে সাব্বির ও পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় পাঁচ মাস আগে শুক্রবার জুমার নামাজের পড়ে বাড়ির পাশে বেঁধে রাখা গরুটি চুরি হয়ে যায়। গরুটি পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিল। অনেক খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। প্রায় পাঁচ মাস পর রোববার ভোরে বাড়ির পেছনে কুয়া (ইন্দিরা) পাড়ের একটি গাছে কালো রঙের ওই গাভি ও তার দুই মাস বয়সী বাছুর বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে।

এদিকে গরু ফিরে পাওয়ার এমন বিরল ঘটনায় পরিবার এবং আশপাশের লোকজন অবাক। ইতোমধ্যে গাভি ও বাছুরটি দেখতে আসছেন অনেকেই। অন্যদিকে গরু ফিরে পাওয়ার এ সংবাদ পেয়ে নরসিংদী থেকে বাড়ি ফিরছেন শাহজাহান।

শাহজাহান জানান, রোববার সকালে ছেলে মোবাইলে ঘটনাটি জানায়। এমন সংবাদ পেয়ে এখন বাড়ি ফিরছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১২, ২০২৩ ৯:১২ অপরাহ্ন
ভেড়া পালনে লাভবান হওয়ার কিছু কৌশল
প্রাণিসম্পদ

ভেড়া পালনে লাভবান হওয়ার কৌশলগুলো আমাদের দেশের বেশিরভাগ ভেড়া পালনকারীরাই জানেন না। আগের তুলনায় গ্রামাঞ্চলগুলোতে ভেড়া পালন বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রধান কারণই হল ভেড়া পালনে খরচ কম লাগে ও পরিশ্রমও অনেক কম হয়। এছাড়াও ভেড়া পালনে কম সময়ে উৎপাদন বেশি উৎপাদন পাওয়া যায়। তবে ভেড়া পালনে লাভবান হওয়ার জন্য বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। আজকের এই লেখায় আমরা জেনে নিব ভেড়া পালনে লাভবান হওয়ার কিছু কৌশল সম্পর্কে-

ভেড়া পালনে লাভবান হওয়ার কিছু কৌশলঃ
ভেড়া পালন করে লাভবান হওয়ার জন্য যে কৌশলগুলো অবলম্বন করতে হয় সেগুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

ভেড়া পালন করে লাভবান হওয়ার জন্য ভালো ও উন্নত মানের ভেড়া নির্বাচন করতে হবে। ভালো মানের ভেড়া থেকেই অধিক উৎপাদন পাওয়া যায়। তাই ভেড়া পালনের আগেই উন্নত মানের ভেড়া নির্বাচনকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য ভেড়ার বংশগত গুণাগুণ যাচাই করে কিনতে হবে। ভেড়া পালনে লাভবান হওয়ার জন্য ভেড়ার বাসস্থান বা খামার স্বাস্থ্যকর পরিবেশে স্থাপন করতে হবে। এছাড়াও ভেড়ার থাকার স্থানে যাতে সব সময় আলো ও বাতাস চলাচল করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেড়া পালন করলে ভেড়ার রোগসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভেড়া পালনে লাভবান হওয়ার জন্য ভেড়াকে নিয়মিত ভিটামিন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে খাদ্যের মূল্য অনেক বেশি না হয়ে যায়। যতটা সম্ভব কম দামে ভালো খাদ্য খাওয়াতে হবে। এছাড়াও ভেড়ার খাদ্য খরচ কমানোর জন্য সম্ভব হলে ছেড়ে পালন করতে হবে এবং খামারের আশপাশের পতিত জমিতে ঘাসের চাষ করতে হবে। ভেড়া পালনে লাভবান হওয়ার জন্য নিয়মিত ভেড়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। ভেড়ার শরীরের কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভেড়ার খামারে জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালোভাবে মেনে চলতে হবে। কোনভাবেই বাইরের কোন প্রাণী ও ব্যক্তি সরাসরি খামারে যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়াও খামার নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

ভেড়া পালনের যাবতীয় আয় ও ব্যয়ের হিসাব খাতায় লিখে রাখতে হবে। এতে খামারের খরচ নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব হবে ও সহজেই ভেড়া পালনে লাভবান হওয়া যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১১, ২০২৩ ২:২৬ অপরাহ্ন
অস্তিত্বের উৎস ধরে রাখতে বাঙালির বজ্রকন্ঠ শাণিত করতে হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

অস্তিত্বের উৎস ধরে রাখতে বাঙালির বজ্রকন্ঠ শাণিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (১১ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘অগ্নিঝরা মার্চ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বজ্রকন্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চ নামক অনলাইনভিত্তক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে সংগঠনটি এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু গ্রাম-গঞ্জ, তৃণমূলে বাঙালিদের একত্রিত করে বাঙালি জাতিসত্তাকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছিলেন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাইকে বাঙালি হিসাবে একই পরিচয়ে পরিচিত করেছিলেন। বর্তমানে স্বাধীনতাবিরোধী এবং তাদের উত্তরসূরিরা দেশে ও দেশের বাইরে ভযংকর ষড়যন্ত্র করছে। তারা অনলাইনে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিতে হবে। অস্তিত্বের উৎস ধরে রাখতে হলে বজ্রকন্ঠ শাণিত করতে হবে। শুধু মুখে মুখে নয়,আত্মায়, বিশ্বাসে ও চেতনায় বাঙালিত্ব ধারণ করতে হবে।

তিনি আরো যোগ করেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ দিয়ে যেমন বাঙালিত্বের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল, ২৬ মার্চের ঘোষণায় যেমন স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল তেমনি বজ্রকন্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চ আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে সে চেতনা ধারণ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নিউক্লিয়াস, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর তাঁকে ঘিরেই ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ফিনিক্স পাখির মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগের ভিত্তি হচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। যখনই কোন দুঃসময় এসেছে তৃণমূলকে ভর করে আওয়ামী লীগ টিকে রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সম্পদ ছিল সে সময়ের সাত কোটি মানুষ, এখন শেখ হাসিনার সম্পদ দেশের ১৭-১৮ কোটি সাধারণ জনগণ।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বিদ্যমান অবস্থা, অতীতের শোষণ, করণীয়, সমাধানের পথ তুলে ধরেছেন। ১৮ মিনিটের ভাষণে বঙ্গবন্ধু একটি জাতির কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন, জনগণের ম্যান্ডেটের কথা তুলে ধরেছেন, বাঙালির অত্যাচার-নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরেছেন, বিকল্প প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন, বাঙালির করণীয় তুলে ধরেছেন।

তিনি যোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় যুদ্ধ করলে সেটাই হবে আওয়ামী লীগের কাজ। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চ্যালেঞ্জ করে অনলাইনে কাজ করলে সেটাই হবে আওয়ামী লীগের কাজ। দুর্বৃত্ত ও স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে যদি একটা শব্দ উচ্চারণ করা হয় সেটাই হবে আওয়ামী লীগের কাজ।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, যতদিন বাঙালি থাকবে লাল সবুজের পতাকা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। পতাকার ধারক ও বাহক হিসাবে সব বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বজ্রকন্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চ নামক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ এ সময় বক্তব্য প্রদান করেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop