৬:৪৪ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ২৩, ২০২২ ৯:০০ পূর্বাহ্ন
নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকার!
মৎস্য

দিন-দুপুরে নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকার করলেও দেখার কেউ নেই, অভিযোগ স্থানীয়দের

উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিলে অবাধে নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকার হচ্ছে। এতে মারা পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও পোনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, মৎস্য কর্মকর্তা এ বিষয়ে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিবিচিনি, বেতাগী সদর ও হোসনাবাদ ইউনিয়নের কয়েকটি খালে নিষিদ্ধ বেহুন্দি আর ভাসা জালসহ ছোট ছোট নৌকা নিয়ে নির্ভয়ে মাছ শিকারিরা বসে আছেন। দিন-দুপুরে নিষিদ্ধ জাল পেতে মাছ শিকার করলেও দেখার কেউ নেই, এমন অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তি।

উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে জানা গেছে, পৌরসভাসহ সাতটি ইউনিয়ন ও দেড় লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ উপজেলায় ছোট-বড় ৪০টি খাল, সাতটি বিল, ১৪টি প্লাবনভূমি, ১১ হাজার ৬২৩টি পুকুর ও একটি নদী রয়েছে। এ থেকে বছরে ৩৩৬৫ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। দৈনিক জনপ্রতি মাছের চাহিদা ৬৫ গ্রাম। সে হিসেবে উপজেলায় মোট জনসংখ্যার বাৎসরিক মাছের চাহিদা ২৮০০ মেট্রিক টন। চাহিদা মিটিয়ে বছরে উদ্বৃত্ত থাকে ৫৬৫ মেট্রিক টন। বিবিচিনি ইউনিয়নের কারিকরপাড়া খাল, গড়িয়াবুনিয়া, নাপিতখালী, সিদ্ধান্ত, সদর ইউনিয়নের কবিরাজের খাল, বাসন্ডা, বেড়েরধন, লক্ষ্মীপুরা, হোসনাবাদের উত্তর কাটাখালী, ধনমানিক চত্রা, জলিসা খালসহ উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন খাল ও বিলে তিন শতাধিক নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারে অবাধে স্থানীয় জেলেরা মাছ শিকার করেন। শিকারিদের জালে আটকা পড়ে বিলুপ্তপ্রায় চিংড়ি, কালিবাউশ, বাইলা, গুইল্লা, পুঁটি গুইল্লা, ইছা, বোয়াল, পাবদা, পুঁটি, শোল ও টাকি মাছ। এছাড়া এসব খালের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে পানিপ্রবাহের গতিরোধ করা হচ্ছে। এতে মৎস্য উৎপাদন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি ফসল উৎপাদনও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন স্থানীয় এক যুবক। তিনি বলেন, সবাই ধরে, কেউ কিছু বলে না। তাই আমিও ধরি। এই এলাকার বেশিরভাগ জেলে ভাসা জাল, কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ ধরেন। এসব জালে প্রায় সব ধরনের মাছ আটকা পড়ে।

স্থানীয়রা বলেন, একসময় এসব খালে বড় বড় বোয়াল, শোল, টাকি, চিংড়ি, বাইন মাছ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশি মাছ ধরা পড়ত। এখন বাজারে খাঁচা ভরে ছোট ছোট দেশি মাছ বিক্রি হয়। দু’বছর আগেও মাঝে মাঝে প্রশাসনের লোকজন এসে খাল-বিল থেকে অবৈধ জাল তুলে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলতেন। কিন্তু এখন আর কেউ অবৈধ জাল ব্যবহারে নিষেধও করছেন না।

জানা গেছে, স্থানীয় বাজারেই নিষিদ্ধ জাল বিক্রি হচ্ছে। পৌর শহরের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ জাল পাতা বন্ধ করতে হলে দোকানগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জেলেরা যাতে অবৈধভাবে দেশি মাছ না ধরেন সে বিষয়ে তদারকি জোরদার করতে হবে।

বিবিচিনি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বুলু সিকদার বলেন, নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে দেশি প্রজাতির মাছ ধরার ব্যাপারে মৎস্য কর্মকর্তার ভূমিকা রহস্যজনক।

সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, বেহুন্দি জাল দিয়ে স্থানীয় জেলেরা যে মাছ ধরছেন, তার লভ্যাংশের একাংশ মৎস্য কর্মকর্তার পকেটে যাচ্ছে। এজন্য কর্মকর্তা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল গাফফর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন জানান, খাল, বিল ও মুক্ত জলাশয়ে কারেন্ট জাল, বেহুন্দি, ভাসা, ডুব জাল, টানা জাল, চর জাল, পেকুয়া জাল সবই নিষিদ্ধ। কেউ এর ব্যত্যয় ঘটালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেশ কিছু স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত সেসব স্থানে অভিযান পরিচালনা করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালের কণ্ঠ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২২, ২০২২ ১০:৫২ অপরাহ্ন
একটি মাছ ধরে ৮ লাখ টাকার পুরস্কার জিতল চট্টগ্রামের যুবক
মৎস্য

চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ১২ কেজির একটি কাতাল মাছ শিকার করে ৮ লাখ টাকা পুরস্কার জিতলেন আশরাফ নামে এক যুবক। তিনি লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা।

শনিবার (২২ অক্টোবর) পাহাড়তলীর ভেলুয়ার দীঘিতে ‘সৌখিন মাছ শিকারি’ নামে আয়োজন করা এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি।

৮ লাখ টাকা পুরস্কার পাওয়া আশরাফ উল্লাহ বলেন, মাছ শিকার করা আমার শখ। তবে সেই সখের বিষয়টি যে এভাবে প্রাপ্তি এনে দিবে ভাবিনি। আমি এবং আমার পরিবারের সবাই এতে খুব খুশি।

ভেলুয়ার দীঘির ইজারাদার আব্দুল মান্নান খোকনের আয়োজনে ১১২ সিটে চলছে এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতা। পূর্বকোণকে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্নস্থান লোকজন এখানে অংশ নিচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা। প্রতি শুক্রবার হবে এই আয়োজন।

তিনি আরও বলেন, মৎস্য চাষ ও মৎস্য শিকারের জন্য ২০২১ সালে দরপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে এই দীঘি ইজারা নিয়েছে।

মাছ শিকার করতে আসা ইমতিয়াজ বলেন, হাটহাজারী থেকে মাছ শিকার করতে এখানে এসেছি। প্রতি বছরই আমি এখানে আসি।

রহিম উদ্দিন নামে একব্যক্তি বলেন, বিকেল সময়টা আমার খুবই বেকার অবস্থায় কাটে। তাই এই সময়ে এখানে আসলে ভালো লাগে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২২, ২০২২ ৪:৩৯ অপরাহ্ন
পুকুরে বিষ দিয়ে ৬ লাখ টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

জয়পুরহাটের কালাইয়ে শত্রুতার জেরে এক মৎসচাষীর লীজ নেওয়া পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৬ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করলে শনিবার সকালে ওই পুকুরে মাছগুলো ভেসে ওঠে।

উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের পার্বতীপুর গ্রামের লিজানি পুকুরে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে মৎসচাষী সাজেদুল ইসলাম শহিদুল কালাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের বিয়ালা গ্রামের মৎসচাষী সাজেদুল ইসলাম শহিদুল এক বছর আগে পার্বতীপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের কাছ থেকে প্রায় ৬ বিঘা জলকর পুকুরটি তিন বছরের জন্য লিজ নেন। সেই পুকুরে তিনি বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করে আসছেন। ইতোমধ্যে মাছগুলো দেড় কেজি থেকে দুই কেজি ওজনের হয়েছে। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতের কোনো এক সময়ে কে বা কারা ওই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। ফলে পুকুরের মাছগুলো মরে গিয়ে শনিবার সকালে ভেসে ওঠে।

মৎস চাষী সাজেদুল ইসলাম শহিদুল জানান, সকালে পুকুরে এসে দেখি স্থানীয়রা ভেসে ওঠা মরা মাছগুলো পাড়ে তুলছেন। মরা মাছগুলো ওজন করে দেখি প্রায় ১০০ মন হয়েছে। মাছগুলো আগামী সপ্তাহে বিক্রি করতাম। তা আর হলো না। এখন কি করবো তা ভেবে পাচ্ছিনা।

একই গ্রামের বাসিন্দা অনিল চন্দ্র জানান, বর্তমান পাইকারি বাজার দর অনুযায়ী প্রতি কেজি মাছ দেড়’শ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সে হিসাবে প্রায় ১০০ মন মাছের মূল্য আনুমানিক প্রায় ৬ লাখ টাকা হবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নূরনবী মন্ডল বলেন, মানুষের সাথে মানুষর শত্রুতা থাকতেই পারে। তাই বলে কি পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করে এক অসহায় মৎসচাষীকে বিপদে ফেলতে হবে ? আমরা এর বিচারসহ দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মৎসচাষীর উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।

কালাই থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২২, ২০২২ ৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
মাছ ধরা বন্ধ,ভালো নেই জেলেরা!
মৎস্য

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মেঘনা নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা জাল, নৌকা ঘাটে রেখে অলস সময় কাটাচ্ছে।

উপজেলা মৎস্যবিভাগের তথ্যমতে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সময়ে আইন অমান্য করলে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারিভাবে জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়।

জেলেরা জানান, সরকার যে পরিমান চাল বরাদ্দ দিয়েছে তা ঠিকমতো তাদের কাছে পৌঁছায় না। তাই অতি কষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন জেলেরা। কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে অন্য পেশায় ঝুঁকছেন। মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষা ভবানীপর ও সৈয়দপুর ইউনিয়ন। এই দু’টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার জেলে মেঘনায় মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভবানীপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে বসবাস করছেন কয়েকশ’ জেলে পরিবার। ঝুপড়ি ঘরে তাদের বসবাস। নদীতে মাছ ধরে চলে তাদের জীবন। মাছ ধরতে না পারলে সংসার চলে না।

জেলেপাড়ার সুমন মাঝি জানান, নদীতে অভিযান চলছে। এখন কাজকর্ম নেই। অন্য কাজও জানি না। তাই অনেক কষ্টে আছি।

সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের জেলে মো. হোসেন। বয়স ২৭। তার ওপর বাবা-মা, ভাইবোনের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব। একদিন আয় করতে না পারলে উপোষ থাকতে হয় পরিবারের সবাইকে। নিষেধাজ্ঞার কারণে তার নৌকা ঘাটে বাঁধা। এখন অটোরিকশা চালাচ্ছেন। হোসেন বলেন, ২২ দিন নদীতে মা ইলিশের অভিযান। মাছ না ধরলে একদিনও সংসার চলেনা। সরকার চাল দেয়, তাও ঠিক মতো পাই না। কি করবো? রিকশা চালিয়ে যা পাই, চাল-ডাল কিনে কোনোমতে চলি। চরখলিফা ৭নং ওর্য়াডের জেলে বাবুল বলেন, আমাগো চাল বেকে (সবাই) খায়। সরকার সাগরে অভিযান দিছে। এহন ট্রলারের জাল বুনি। মালিক অল্প কিছু টিয়া দেয়। কোনো মতে দিন চলে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাসনাইন ইনকিলাবকে বলেন, দৌলতখান উপজেলায় ২২ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২০ হাজার জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ইলিশের অবাধ প্রজনের লক্ষে ব্যাপক প্রচারণা ও সচেতনতা সভা করা হয়েছে। প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে মৎস্যবিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২১, ২০২২ ১:২৮ অপরাহ্ন
পুকুরে বিষ প্রয়োগ,মারা গেল ১৫ লাখ টাকার মাছ!
মৎস্য

পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়ায় ইউনিয়নের একটি পুকুরে বিষ ও গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।

গত বুধবার ভোরে ইউনিয়নের মোমরাজপুর এলাকার দিপংকর হালদারের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী রঘুনাথ হালদারের সঙ্গে দিপংকরের বাবা দিলিপ হালদারের জমি ও পুকুরে মাছ চাষসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। এরই জেরে বুধবার ভোরে দিপংকরের বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে বিষ ও গ্যাস ট্যাবলেট ঢেলে দেওয়া হয়। এতে পুকুরের মাছগুলো মরে ভেসে উঠে। পুকুরে পাঙ্গাশ, রুই, কাতল, তেলাপিয়া, বাটাসহ বিভিন্ন জাতের ২০০ মণ মাছ ছিল। সব মাছ মারা গেছে।

দিলিপ হালদার অভিযোগ করে বলেন, ‘রঘুনাথ হালদার ওই পুকুর আগে মাছ চাষ করতো। কয়েক বছর ধরে আমরা চাষ করছি। এই নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই পুকুরের একাংশ জমি আমরা কিনে নিয়েছি, আরেক অংশ ইজারা নিয়েছি। ওই পুকুরের জমি কেনা নিয়ে রঘুনাথের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা হয়। কয়েকদিন আগে রঘুনাথ আমাদের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘ওই পুকুরে কি করে আমরা মাছ চাষ করি’। এই কথা বলার দুই দিন পরেই এ ঘটনা ঘটল।’

দিপংকর হালদার বলেন, ‘আমি চারটা পুকুরে মাছ চাষ করি। বন্যার সময় হওয়ায় নদী সংলগ্ন তিনটি পুকুর থেকে মাছ তুলে বাড়ির কাছে এই পুকুরে রেখেছিলাম। আশা করেছিলাম, মাছগুলো বিক্রি করে ঋণ শোধ করবো। আমার প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ আছে। এখন আমি পথে বসে গেলাম। কোনো বিবেকবান মানুষ এই ধরনের কাজ করতে পারে না।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রঘুনাথ হালদার। তিনি বলেন, ‘ওরা কি অভিযোগ করেছে আমি জানি না। কিন্তু আমার কথা, অন্যায় যে করেছে সে সাজা পাবে, আইন তার বিচার করবে। আমি এসব করি নাই।’

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে সকল আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৯, ২০২২ ৩:৪৩ অপরাহ্ন
তাজা মাছ চিনবেন যেভাবে
মৎস্য

মাছের কানকো দেখাটা তাজা মাছ চেনার একটা ভালো উপায়। যদিও মাছের কানকোতে এখন রং মিশিয়ে রাখেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাই শুধু কানকো দেখে মাছ কিনবেন না। তাজা মাছের কানকো হবে তাজা রক্তের রঙের ও পিচ্ছিল।

তাজা মাছ না চেনার কারণে আমরা অনেকেই মাছ কিনতে গিয়ে ঠকে যাই। বাড়িতে নিয়ে আসি পচা মাছ।

মাছের বেশ কিছু লক্ষণ আছে, যা দেখলে বোঝা যায় সেটি তাজা, না পচা। লক্ষণগুলো মাথায় রাখলে আপনি আর পচা মাছ কিনবেন না। চলুন সেগুলো জেনে নেই।

শক্ত না নরম

তাজা মাছ কখনো শক্ত হবে না, আবার নরমও হবে না, একটা তুলতুলে ভাব থাকবে। আঙুল দিয়ে চাপ দিলে যে মাছ একদম শক্ত, বুঝবেন যে সেটা ফ্রিজে রাখা ছিল। যদি আঙুল দিলেই ভেতরে দেবে যায়, বুঝতে হবে মাছে পচন শুরু হয়েছে। তাজা মাছে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে দেবে যাবে, কিন্তু আঙুল সরিয়ে নিলেই জায়গাটা ঠিক হয়ে যাবে।

মাছের চোখ দেখুন

তাজা মাছের চোখ সব সময় স্বচ্ছ হবে। একদম ঝকঝকে চোখ হবে, দেখলে মনে হবে মাছটি জীবন্ত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই চোখ ঘোলাটে হয়ে আসে।

যত সময় যায়, চোখ তত ঘোলাটে হয়। ফরমালিনে মাছের শরীর পচে না ঠিকই, কিন্তু চোখের জীবন্ত ভাব নষ্ট হওয়া ঠেকানো যায় না। তাই চোখ দেখলেই চিনতে পারবেন তাজা মাছ।

কানকোতে উঁকি দিন

মাছের কানকো দেখাটা তাজা মাছ চেনার একটা ভালো উপায়। যদিও মাছের কানকোতে এখন রং মিশিয়ে রাখেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাই শুধু কানকো দেখে মাছ কিনবেন না। তাজা মাছের কানকো হবে তাজা রক্তের রঙের ও পিচ্ছিল।

মাছের শরীর

পচতে থাকা মাছের শরীরে হালকা হলুদাভ চলে আসবে। তাজা মাছ চকচক করবে। সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চকচকে ভাব ম্লান হয়ে যাবে। মাছে দেয়া ফরমালিন মাছের শরীর পচতে দিবে না ঠিকই, কিন্তু সে এই চকচকে ভাবও ধরে রাখতে পারবে না।

ঘ্রাণ নিন

একেক ধরনের মাছের গন্ধ একেক রকম। তবে পচতে থাকা মাছ থেকে দুর্গন্ধ আসবে। দুর্গন্ধ এলেই বুঝতে পারবেন, মাছটি তাজা না পচা।

চিংড়ি মাছ

তাজা চিংড়ি মাছ চেনার পদ্ধতিটা একটু অন্যরকম। যেসব চিংড়ি মাছ সাদা জাতের সেগুলো লাল হয়ে গেলে বুঝতে হবে, মাছ পচে গেছে।

চিংড়ি মাছ পচে যাওয়ার আরেকটি লক্ষণ হলো মাছের ওপর কালো কালো দাগ পড়া। এ ছাড়া পচা চিংড়ির মাথা ঝুলে যাবে– মনে হবে একটু টান দিলে খসে পড়বে মাথা। অন্যদিকে যদি চিংড়ি মাছের খোসা শক্ত আর মচমচে থাকে, তাহলে মাছ তাজা। তাছাড়া তাজা চিংড়ি মাছ ধরলে পিচ্ছিল ও দেখতে চকচকে মনে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৯, ২০২২ ৩:৩৬ অপরাহ্ন
মাছ চুরি প্রতিরোধে সম্মিলভাবে কাজ করার আহ্বান
মৎস্য

রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করে ঘেরের মাছ চুরি প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ঘের মালিক-শ্রমিক সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাতে খুলনা সার্কিট হাউজের সভাকক্ষে সিটি করপোরেশন এলাকার ঘের মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম খাত চিংড়িকে বিষ প্রয়োগ করে চুরি ও জেলি পুশসহ সব অপকর্ম রোধ করে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা বলেন, যেকোনো প্রকারেই ঘেরে বিষ প্রয়োগ, চুরি বন্ধ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তৎপরতা-মনিটরিং বাড়ানো ও প্রতি সপ্তাহে অগ্রগতি রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। আগামী ২৩, ২৫ ও ২৭ অক্টোবর এলাকাভিত্তিক এ বিষয়ে সমাবেশ করা হবে।

সভায় অর্ধশতাধিক ঘের মালিক তাদের ঘেরের মাছ চুরিসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. মনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মণ্ডল, দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, মহানগরীর পাঁচ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ঘের মালিকরা অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৭, ২০২২ ১:৫৩ অপরাহ্ন
মাথাভাঙ্গা নদীতে চলে অসাধু উপায়ে মাছ শিকার
মৎস্য

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় মাথাভাঙ্গা নদীতে অসাধু ব্যক্তিরা আবারও শুরু করেছে বাঁধ নির্মাণ। নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করে বাধাঁগ্রস্ত করা হচ্ছে নদীর শ্রোত। ফলে একদিকে যেমন নদী হারাচ্ছে তার চিরচেনা রূপ, অপরদিকে সুতি জালের ফাঁদ পেতে ধরে নেয়া হচ্ছে ছোটবড় সব ধরনের প্রাকৃতিক মাছ।

দামুড়হুদা উপজেলার মাথাভাঙ্গা নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ বাঁধ। নতুন বাস্তুপুর বাশ বাগানের নীচে মাথাভাঙ্গা নদীর বুকে নির্মাণ করা হয়েছে একটি বাঁধ। নতুন বাস্তুপুরের মতিয়ারের ছেলে ছানোয়ার বাঁধটি নির্মাণ করেছেন বলে এলাকা সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া সুবলপুর থেকে আমডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে আরো ৩টি বাঁধ।

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা হামিদুর রহমান জানান, প্রতি বছর অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অপসারণ করা হয় অবৈধভাবে দেয়া বাঁধগুলো। কিছুদিন পর কিছু অসাধু ব্যক্তি আবারও একই কাজ করে থাকে।

তিনি আরও জানান, আমরা আগে কারেন্ট জালের কথা শুনতাম। বর্তমানে ম্যাজিক জালের পাশাপাশি ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে মাছ মারা হচ্ছে। এভাবেই খাল, বিল, নদী প্রাকৃতিক মাছ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে অচিরেই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে মাছ মারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইলেকট্রিক মেশিনটি পানিতে ধরে সুইচ দেয়ার সাথে সাথে বিদ্যুতায়িত হয়ে মাছ মারা যাচ্ছে। দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনপাড়ার এক অসাধু ব্যক্তি ওই ইলেকট্রিক মেশিন কিনেছে বলে আমি শুনেছি, তবে এখনও পর্যন্ত চোখে দেখিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২২ ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
সুন্দরবনে বিষপ্রয়োগে চলছে মাছ শিকার
মৎস্য

সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবহমান ছোট-বড় ৪৫০টি নদ-নদী ও খাল আছে। প্রায় ৪০০ প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণীর বসবাস এখানে। সাপই আছে ২৫ প্রজাতির। ২১৫ প্রজাতির পাখির ডাকে মুখরিত হয় সুন্দরবন।

অনেক দিন ধরেই একদল মানুষ নানাভাবে সুন্দরবনের ক্ষতি করে আসছে। এর মধ্যে অত্যন্ত ভয়াবহ একটি হলো সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে প্রবহমান ছোট-বড় নদ-নদী-খালে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার।

বিষ প্রয়োগে মাছই শুধু মরে না, অন্যান্য প্রাণীও সেই মাছ খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। সম্প্রতি বনের চাঁদপাই রেঞ্জের শুয়ারমারা ও কাটাখালী খালে বিভিন্ন প্রজাতির মরা মাছ ভেসে ওঠার দৃশ্য দেখা গেছে। এটা যে এবারই প্রথম তা নয়। বিভিন্ন সময় বিষ প্রয়োগের খবর সংবাদপত্রে ছাপা হয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

যেকোনো মূল্যে এই সর্বনাশা তৎপরতা বন্ধ করা দরকার। অল্পসংখ্যক দুর্বৃত্ত এই বিষ প্রয়োগের সঙ্গে জড়িত। বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার গোটা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এ বিষয়ে বন বিভাগের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১২, ২০২২ ৯:১৮ পূর্বাহ্ন
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার,আটক দুই
মৎস্য

চলতি ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের দায়ে মোংলায় দুই জেলেকে আটক করেছে মৎস্য অধিদপ্তর ও কোস্ট গার্ড।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পশুর ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক মোংলা-ঘাষিয়াখালী ক্যানেলে অভিযান চালায় উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর ও কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদস্যরা।

এ সময় আইন অমান্য করে মাছ ধরার সময় পশুর নদীর জয়মনিরঘোল এলাকার আব্দুল লতিফ শেখের ছেলে মন্টু শেখ (৩৮) ও আঃ রশিদ খাঁনের ছেলে তিতুমির খাঁন (১৮)কে আটক করা হয়। এছাড়া এ সময় ১৮ হাজার মিটার বেহুন্দী জাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল ও আটক জেলেদের মোংলা ফেরিঘাটে আনা হয়। সেখানে ওই দুই জেলের প্রত্যেককে নগদ এক হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদারের মোবাইল কোর্ট। জব্দকৃত জাল সেখানে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামসহ কোস্ট গার্ড সদস্যরা।

এর আগে সোমবারের অভিযানে জব্দকৃত ১০ হাজার মিটার নেট জাল ও ৩ হাজার মিটার বেহুন্দী জাল ফেরিঘাট এলাকায় আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত করা হয়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop