১১:০৫ অপরাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ৭, ২০২৩ ৪:০৮ অপরাহ্ন
এক টুনা মাছ বিক্রি হলো তিন কোটি টাকা
মৎস্য

টুনা মাছ ‘কালো হীরা’ নামে পরিচিত। এই মাছের দাম আকাশচুম্বি। নিলামে দৈত্যাকার একটি  টুনা মাছের দাম উঠেছে প্রায় তিন কোটি টাকা।

ব্লুমবার্গের খবরে জানা যায়, সম্প্রতি জাপানের রাজধানী টোকিওর টোয়োসু মাছের বাজারে ২০২৩ সালের প্রথম আনুষ্ঠানিক নিলামে একটি টুনা মাছ বিক্রি হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ইয়েনে (২ লাখ ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার)।

বাংলাদেশি মুদ্রায় মাছটির দাম ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা প্রায়। মাছটি ধরা ধরা হয়েছে জাপানের উত্তর আওমোরি অঞ্চলের ওমা এলাকা থেকে।

টুনা মাছটির ওজন ২১২ কেজি। অর্থাৎ প্রতি কেজির দাম পড়েছে প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। টোয়োসুর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই মাছটির দাম আগের বছরের প্রথম বিক্রিতে পাওয়া মূল্যের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

সুশি চেইন অপারেটর ওনোদেরা গ্রুপের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সামুদ্রিক খাবারের পাইকারি বিক্রেতা ইয়ামায়ুকির সঙ্গে টানা তৃতীয়বার নিলামে জয়লাভ করেছেন তারা। নিলামে কেনা দৈত্যাকার টুনা মাছটি কেটে নিয়ে বৃহস্পতিবার টোকিওর ওমোটেসান্দোর শপিং ডিস্ট্রিক্টের ওনোদেরার রেস্টুরেন্টে পরিবেশন করা হবে।

ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, চার বছরের মধ্যে এই প্রথমবার নিলামে টুনা মাছের দাম বেড়েছে। ভোক্তারা আবারও বার-রেস্টুরেন্টে দুহাত খুলে খরচ করতে শুরু করেছে, এটি তারই লক্ষণ।

জাপানে বছরের প্রথম নিলামে সামুদ্রিক খাবার থেকে শুরু করে ফলমূল সবই থাকে। এসময় এগুলোর দাম সাধারণত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়। কারণ, নতুন বছর উদযাপন ও নিজস্ব ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের জন্য উপলক্ষটি ব্যবহার করতে চান দরদাতারা।

অবশ্য তারপরেও এ বছরের সর্বোচ্চ দাম ২০১৯ সালে সুশি চেইন মালিক কিয়োশি কিমুরার গড়া ৩৩ কোটি ৩৬ লাখ ইয়েনের রেকর্ড থেকে অনেক কম। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৬ কোটি টাকা দিয়ে ২৭৮ কেজির টুনা মাছটি কিনেছিলেন কিমুরা। ২০১৩ সালেও এরকম একটি ‘কিং টুনা’ কিনে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই মাছটির দাম ছিল প্রায় ১০ কোটি টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩১, ২০২২ ৬:২৯ অপরাহ্ন
জেনে নিন পাঙাসের খাদ্য তৈরির উপাদান
মৎস্য

পাঙাশ মাছের খাদ্য তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। প্রাকৃতিক উৎসগুলোতে মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ায় আমাদের দেশে মাছের চাষ দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সময়ে চাষ হওয়া মাছগুলোর মধ্যে পাঙাশ মাছ অন্যতম।

পাঙাশ মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এই মাছ চাষ করলে তা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পাঙাশ মাছকে খাওয়ানোর জন্য খাদ্য তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আসুন আজ জেনে নেই পাঙাশ মাছের খাদ্য তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো সম্পর্কে জেনে নেই-

পাঙাশ মাছের খাদ্যকে পিলেট করে খাওয়ানো সবচেয়ে ভাল হয়। নিচে পাঙাশ মাছকে পিলেট খাদ্য তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো দেওয়া হল-

পাঙাশ মাছকে খাদ্য খাওয়ানোর জন্য ১ টন হিসেবে নিচে উপাদানগুলো দেওয়া হল :

শুটকি অথবা ফিশমিল ১৫০ কেজি (৫০%=৭৫)
ডিওআরবি ১০০ কেজি (১৮%=১৮)

সোয়া মিল ২০০ কেজি (৪৪%=৮৮)
রাইস ব্রান ২০০ কেজি (১৪%=২৮)
এংকর ডাল ১২৫ কেজি (৩৬%=৪৫)

রেপসিড ১২৫ কেজি (৩৬%=৪৫)
লবণ ও ভিটামিন প্রিমিক্সআটা
আটা ১০০ কেজি (১০%=১০)

এই খাদ্য উপাদানের সাথে চিটাগুড়ও দেওয়া যেতে পারে। উপরোক্ত উপায়ে পিলেট খাদ্য উপাদানগুলো নিয়ে পাঙাশ মাছকে পিলেট খাদ্য তৈরি করে খাওয়াতে হবে। উপরে উল্লেখিত খাদ্য উপাদানগুলোকে পিলেট বানিয়ে নিয়ে তারপর পাঙাশ মাছকে খাদ্য হিসেবে দেওয়া হলে পাঙাশ মাছ খুব দ্রুত শারীরিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। এই খাদ্য প্রদানের ফলে পাঙাশ মাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। এই উপাদানগুলো দিয়ে মাছের খাদ্য তৈরি করলে পাঙাশ মাছের চাষ করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৮, ২০২২ ১২:২৮ অপরাহ্ন
সোনাগাজীতে জেলেদের জালে ধরা পড়লো ১০ মণ ওজনের শাপলাপাতা
মৎস্য

ফেনীর সোনাগাজীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১০ মণ ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ফেনী নদীতে মাছটি ধরা পড়ে। এ সময় উৎসুক মানুষ মাছটি দেখতে সেখানে ভিড় জমান।

জেলে হিরেন্দ্র জল দাস জানান, মঙ্গলবার সকালে তিনিসহ আরও দুজন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। দুপুরের দিকে তাদের জালে বিশাল আকারের শাপলাপাতা মাছটি আটকা পড়ে। পরে ওজন করে দেখা যায় এর ওজন ১০ মণ।

বিকেলে মাছটি স্থানীয় আড়তে নিয়ে এলে শংকর নামের এক ক্রেতা প্রতি মণ ৮ হাজার টাকা দরে ৮০ হাজার টাকায় কিনে নেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৫, ২০২২ ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
মাদারিপুরের খালে মিলল ইলিশ
মৎস্য

মাদারীপুরের ডাসারে খালে মিলল ইলিশ মাছ। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপু‌রে ডাসার উপজেলার একটি খালে ইলিশটি মাছ পাওয়া যায়। সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ‌্যমে বিষয়‌টি নি‌য়ে তোলপাড় সৃ‌ষ্টি হ‌য়েছে।

জেলে ইউসুফ বেপারি জানান, আমি জীবনেও কল্পনা করিনি যে এত ছোট খালে ভেসালে আমি ইলিশ মাছ পাব। খালটি ডাসার খাল নামে পরিচিত। এসময় ইলিশ মাছ পাওয়ার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা মাছটিকে এক নজর দেখতে ভিড় করে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ হো‌সেন জানান,আমদের বাড়ির পাশের খালটিতে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শেষ হলে খালে ভেসালসহ অন্যান্য উপায়ে মাছ শিকারিরা মাছ ধরে। এ খালে ছোট বড় নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এ প্রথম ইলিশ মাছ পাওয়ার ঘটনা ঘটে। সত্যিই অবাক হওয়ার মতো।

ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমীন ইয়াছমীন বলেন, যদিও নদী থেকে খালটি অনেক দূরে তবে নদীর সঙ্গে খালটির সংযোগ থাকার কারণে ইলিশ মাছটি আসতে পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২২, ২০২২ ২:২৫ অপরাহ্ন
রৌমারীতে পুকুরের মাছ লুট!
মৎস্য

কুড়িগ্রাম রৌমারীতে একটি পুকুর থেকে মাছ লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর সরকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোর্টে ও থানায় ১৪৪ ধারা ও ১০৭ ধারায় মামলা দিয়েও পুকুরের মাছ রক্ষা করতে পারেনি অসহায় পরিবারটি।

পুকুরের মালিক জয়নাল অভিযোগ করে বলেন, আমার ফসলি জমিটি নিচু। সেখানে বছরের ছয় মাস পানি জমে থাকে। বর্ষার মৌসুমে আমি সেখানে মাছ চাষ করি। পৌষ মাসে পানি কমে গেলে মাছ ধরে ইরি-বোরো লাগাই। পুকুরের পানি কমে যাওয়ায় এবার হঠাৎ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে জহুরুল, জাহিদুল, দুদু মিয়া, রুবেল মিয়া, ধলু, গোলে রানী, জহুরা, ওলেদা, আরিফাসহ ৩০/৩৫ জনের একটি দল আমার পুকুরের মাছ লুট করে নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, আমি উপায়ান্তর না দেখে রৌমারী থানা পুলিশের সহযোগিতা চাই। পুলিশ এসে তাদের তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু যাওয়ার সময় তারা শিকার করা মাছগুলো নিয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা মাছ ধরার কারণে পুকুর প্রায় মাছশূন্য হয়ে পড়েছে।

জয়নাল আরো বলেন, ১৯৮২ সালে বদিউজ্জানের কাছ থেকে মোট ২৯ শতক জমি ক্রয় করি। এর খারিজ খাজনা পরিশোধিত। ওই জমি থেকে ভুলক্রমে জহুরার বিক্রিত ১৫ শতক জমি বদিউজ্জানের নামে নথিভুক্ত হয়। এ ভুল সংশোধনের জন্য কুড়িগ্রাম কোর্টে সিভিল করেছেন বলেও জানান তিনি। ওই মামলা চলমান আছে। এ ভুল নথির কারণে বিবাদী জাহিদুল ইসলাম গং দফায় দফায় বিক্রিত জমির ফসল, মাছ ও জমির ভোগ দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২২, ২০২২ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
ফুলজোর নদীতে জনপ্রিয় হচ্ছে খাঁচায় মাছ চাষ
মৎস্য

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ফুলজোর নদীতে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভজনক হওয়ায় নতুন এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন স্থানীয় মৎস্যজীবী ও বেকার যুবকরা। যার ফলে দেখা দিয়েছে নতুন কর্মসংস্থানের। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে অনেকেরই।

উপজেলা মৎস অফিস সূত্রে জানা যায়, মোট এক হাজার ৮০০টি খাঁচায় মাছ চাষ হয়। খামারীর সংখ্যা ৫১ জন।

জানা যায়, উপজেলার ফুলজোর নদীতে বকুলতলা, তিননান্দীনা, নলছিয়া, সাহেবগঞ্জ, ফরিদপুর, রামপুর, ঘুড়কা, বিষ্ণুপুর, ধানগড়া, জয়ানপু, চান্দাইকোনা। এ সব এলাকাজুড়ে বড় বড় খাঁচায় ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন। খাঁচায় মাছ চাষ করলে মাছের বর্জ্য প্রবাহমান পানির সাথে অপসারিত হয় বিধায় পানিকে দূষিত করতে পারেনা। মাছের উচ্ছিষ্ট খাদ্য খেয়ে নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজাতির প্রাচুর্য বৃদ্ধি পায়। প্রবাহমান পানি থাকায় খাঁচার অভ্যন্তরের পরিবর্তন হতে থাকে ফলে পুকুরের চেয়ে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায়। পুকুরে চাষকৃত মাছের চেয়ে খাঁচায় চাষকৃত মাছ বেশি সুস্বাদু হয়।

ফরিদপুর গ্রামের মাছচাষী আব্দুস সালাম জানান বাঁশ, লোহা, ড্রাম ও জাল দিয়ে খাঁচা তৈরি করতে হয়। পানির গভীরতা ৬ ফুট প্রস্থ ১৫ ফুট ও দৈর্ঘ্য ২০ ফুট এমন খাঁচা তৈরি করেন অধিকাংশরাই। প্রতিটি খাঁচা তৈরিতে খরচ ১০ হাজার টাকা। প্রতিটি খাঁচায় মাছ দেয়া হয় সাত শ’ থেকে আট শ’ পিছ। পাঁচ থেকে ছয় মাস পর মাছ বিক্রি করা হয়। এক কেজি মাছে উৎপাদন খরচ একশ ১০ টাকা আর বিক্রি হয় একশ ৫০ টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি খাঁচায় লাভ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা হয়। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন স্থানীয় বেকার যুবকরা।

রায়গঞ্জ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা ড. হাফিজুর রহমান জানান, উপজেলার নদী-খালবিল সকল উন্মুক্ত জলাশয়ে মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ চাষ পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আশা করছি আগামী বছরে খাঁচায় মাছ চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০, ২০২২ ৩:৫৬ অপরাহ্ন
ঘরের আঙ্গিনায় মাছ চাষ
মৎস্য

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বসত ঘরের আঙ্গিনায় ‘বায়োফ্লক’মাছ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন এক মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল মমিন। শিক্ষকতার পাশাপাশি অবসর সময়ে সখের বশে আঙ্গিনায় মাছ চাষের পরিকল্পনা করেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ শুরু করেন। 

রাজারহাট সদর ইউনিয়নের খালিসা (কৈলাশ কুটি) গ্রামের শিক্ষক আব্দুল মমিন (৪৫) ২০২১ সালে আঙ্গিনা এক শতাংশ জমিতে মাছ চাষ করে সফলতার মুখ দেখেন। পরবর্তীতে আরও প্রায় তিন শতাংশ বাহির আঙ্গিনায় তিনি এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন।

শিক্ষক আব্দুল মমিন বলেন, মূলত তিনি থাই কই এবং টেংরা মাছ চাষ করেছেন। প্রজেক্টে তার তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তিনি লাভ করতে থাকেন। তার এই প্রজেক্ট দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিশেষ করে তরুণরা ভিড় করতেছেন। তার দেখাদেখি এলাকার অনেক বেকার যুবক এই ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।এছাড়া তার একটি ব্রয়লার খামার রয়েছে।

উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আরিফুল আলম বলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের খালিসা (কৈলাশ কুটি) গ্রামের বাড়ির আঙ্গিনায় ‘বায়োফ্লক’ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছেন তা আমি দেখেছি এবং নিয়মিত খোঁজ খবর ও কারিগরি পরামর্শ দিতেছি। এটা এলাকার বেকার যুবকদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। সরকার থেকে কোনো ধরনের প্রনোদনা আসলে তার সহায়তার ব্যাপারে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৯, ২০২২ ৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করবেন যেভাবে
মৎস্য

মাছ হচ্ছে প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস। কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন এবং পুষ্টি সরবরাহে মৎস্য সম্পদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। মাছ চাষের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে, যেমন- একই পুকুরে নানা জাতের মাছ চাষ করা যায়, খাল ও ডোবায় মাছ চাষ করা যায়, আবার চৌবাচ্চায়ও মাছের চাষ করা যায়। সাধারণত মাছের জন্য পুকুরে খাবার উৎপাদনই হচ্ছে মাছ চাষ। এটি কৃষির মতোই একটি চাষাবাদ পদ্ধতি। আবার কোনো নির্দিষ্ট জলাশয়ে/জলসীমায় পরিকল্পিত উপায়ে স্বল্প পুঁজি, অল্প সময় ও লাগসই প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছের উৎপাদনকে মাছ চাষ বলে। মূলত বিভিন্ন নিয়ম মেনে প্রাকৃতিক উৎপাদনের চেয়ে অধিক মাছ উৎপাদনই মাছ চাষ।

চাষ উপযোগী মাছের গুণাগুণ ও উপকারিতা:
আমাদের দেশের স্বাদু পানিতে ২৬০টিরও বেশি প্রজাতির মাছ আছে। এছাড়া খাড়ি অঞ্চলে ও লোনা পানিতে কয়েক শত প্রজাতির মাছ আছে। তবে চাষযোগ্য মাছগুলো হলো- রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস, সিলভারকার্প, মিররকার্প, গ্রাসকার্প, কমনকার্প, বিগহেড, রাজপুঁটি, নাইলোটিকা, বিদেশি মাগুর, থাই পাঙ্গাশ প্রভৃতি। এসব মাছের কিছু গুণাগুণ আছে-

এসব মাছ খুব দ্রুত বাড়ে; খাদ্য ও জায়গার জন্য একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে না; পুকুরে বেশি সংখ্যায় চাষ করা যায়; পানির সব স্তর থেকে খাবার গ্রহণ করে, তাই পুকুরের পরিবেশ ভালো থাকে; এসব মাছ খেতে খুব সুস্বাদু; বাজারে এসব মাছের প্রচুর চাহিদা আছে; সহজে রোগাক্রান্ত হয় না।

বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষের জন্য পুকুরকে প্রস্তুত করে নেয়াই ভালো। কারণ একটি পুকুর মাছ চাষের উপযুক্ত না হলে এবং পুকুর প্রস্তুত না করে চাষ শুরু করে দিলে বিনিয়োগ ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ঝুঁকি এড়াতে এবং লভ্যাংশ নিশ্চিত করতেই বৈজ্ঞানিক কৌশল অনুসরণ করে পুকুর প্রস্তুত করতে হবে।

মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি:
১. পুকুরের পাড় ও তলা মেরামত করা; ২. পাড়ের ঝোপ জঙ্গল পরিষ্কার করা; ৩. জলজ আগাছা পরিষ্কার করা; ৪. রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছ দূর করা; ১. পুকুর শুকানো; ২. বার বার জাল টানা; ৩. ওষুধ প্রয়োগ- রোটেনন। পরিমাণ ২৫-৩০ গ্রাম/শতাংশ/ফুট। এর বিষক্রিয়ার মেয়াদ ৭-১০ দিন। প্রয়োগের সময় রোদ্রজ্জ্বল দিনে। ২. ফসটক্সিন/কুইফস/সেলফস ৩ গ্রাম/শতাংশ/ ফুট। মেয়াদ এবং সময় পূর্বের মতো; ৫. চুন প্রয়োগ: কারণ/কাজ/উপকারিতা সাধারণত ১ কেজি চুন/শতাংশ প্রয়োগ করতে যদি ঢ়ঐ এর মান ৭ এর আশেপাশে থাকে। বছরে সাধারণত ২ বার চুন প্রয়োগ করতে হয়। একবার পুকুর তৈরির সময়, দ্বিতীয় বার শীতের শুরুতে কার্র্তিক অগ্রহায়ণ মাসে।

চুন প্রয়োগের উপকারিতা ও সাবধানতা:
1.পানি পরিষ্কার করা/ঘোলাটে ভাব দূর করা;

2.pH নিয়ন্ত্রণ করে;

3.রোগ জীবাণু ধ্বংস করে;

4.মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়;

5.বিষাক্ত গ্যাস দূর করে;

6.শ্যাওলা নিয়ন্ত্রণ করে। চুন কখনও প্লাস্টিকের কিছুতে গোলানো যাবে না;

7.পুকুরে মাছ থাকা অবস্থায় চুন গোলানোর ২ দিন পর পুকুরে দিতে হয়;

8.গোলানোর সময় এবং দেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন নাকে মুখে ঢুকে না যায়;

9.পানি নাড়া চাড়া করে দিতে হবে;

সার প্রয়োগ:

1.সার প্রয়োগ প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক;

2.জৈব সার/প্রাকৃতিক যা কিনা প্রাণীকণা তৈরি করে।

3.গোবর, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, কম্পোস্ট;

4.অজৈব বা রাসায়নিক বা কৃত্রিম সার ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি যা উদ্ভিদ কণা তৈরি করে।

নতুন পুকুরের ক্ষেত্রে সার প্রয়োগ মাত্রা:
১. প্রতি শতাংশে গোবর ৫-৭ কেজি অথবা ২. হাঁস মুরগির বিষ্ঠা ৫-৬ কেজি অথবা ৩. কম্পোস্ট ১০-১২ কেজি এবং ইউরিয়া ১০০-১৫০ গ্রাম টিএসপি ৫০-৭৫ গ্রাম।

পুকুর প্রস্তুতির আনুমানিক মোট সময়:

1.পাড় ও তলা+ঝোপ জঙ্গল পরিষ্কার = ২ দিন;
2.রাক্ষুসে মাছ পরিষ্কার = ৩ দিন (৭-১০ দিন পর্যন্ত বিষক্রিয়া থাকে)।
3.চুন প্রয়োগ = ৩-৫ দিন;
4.সার প্রয়োগ = ৭ দিন;
5.এরপর পোনা ছাড়া হবে। গড়ে মোট ১৭ দিন (২+৩+৫+৭)।
6.পুকুরে চাষযোগ্য মাছের বৈশিষ্ট্য- দ্রুতবর্ধনশীল;
7.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি; বাজার চাহিদা বেশি।

পুকুর নির্বাচন:
১. পুকুরটি খোলামেলা জায়গায় এবং বাড়ির আশপাশে হতে হবে।
২. মাটির গুণাগুণ পুকুরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত দো-আঁশ, এঁটেল দো-আঁশ ও এঁটেল মাটি পুকুরের জন্য ভালো।
৩. পুকুরের আয়তন কমপক্ষে ১০ শতাংশ হতে হবে। ৩০ শতাংশ থেকে ১ একর আকারের পুকুর মাছ চাষের জন্য বেশি উপযোগী।
৪. পুকুরের গভীরতা ২-৩ মিটার রাখতে হবে।
৫. পুকুর পাড়ে বড় গাছ বা ঝোপ-ঝাড় থাকা যাবে না।

পুকুর প্রস্তুত:
পোনা মাছ ছাড়ার আগে পুকুর তৈরি করে নিতে হবে। সাধারণত পুরনো পুকুরই তৈরি করে নেয়া হয়। পুকুর প্রস্তুতির কাজটি পর্যায়ক্রমে করতে হবে:

১ম ধাপ: জলজ আগাছা-কচুরিপানা, কলমিলতা, হেলেঞ্চা শেকড়সহ তুলে ফেলতে হবে;

২য় ধাপ: শোল, গজার, বোয়াল, টাকি রাক্ষুসে মাছ এবং অবাঞ্ছিত মাছ মলা, ঢেলা, চান্দা, পুঁটি সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে;

৩য় ধাপ: এরপর প্রতি শতকে ১ কেজি হারে চুন পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। পুকুরে পানি থাকলে ড্রামে বা বালতিতে গুলে ঠা-া করে পুরো পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে;

৪র্থ ধাপ: মাটি ও পানির গুণাগুণ বিবেচনায় রেখে চুন দেয়ার এক সপ্তাহ পর জৈবসার দিতে হবে;

৫ম ধাপ: পুকুর শুকনা হলে পুকুরে সার, চুন, গোবর সব ছিটিয়ে দিয়ে লাঙল দিয়ে চাষ করে পানি ঢুকাতে হবে;

৬ষ্ঠ ধাপ: পোনা মজুদের আগে পুকুরে ক্ষতিকর পোকামাকড় থাকলে তা মেরে ফেলতে হবে;

৭ম ধাপ: পুকুরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাদ্য জন্মালে পোনা মজুদ করতে হবে। মৃত্যুর হার যেন কম থাকে সেজন্য পোনার আকার ৮-১২ সেন্টিমিটার হতে হবে।

৮ম ধাপ: এর পর নিয়মমতো পুকুরে পোনা ছাড়তে হবে। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেমন:
১. পোনা হাড়িতে বা পলিথিন ব্যাগে আনা হলে, পলিথিন ব্যাগটির মুখ খোলার আগে পুকুরের পানিতে ২০-৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে;

২. তারপর ব্যাগের মুখ খুলে অল্প করে ব্যাগের পানি পুকুরে এবং পুকুরের পানি ব্যাগে ভরতে হবে।

৩. ব্যাগের পানি ও পুকুরের পানির তাপমাত্রা যখন সমান হবে তখন পাত্র বা ব্যাগের মুখ আধা পানিতে ডুবিয়ে কাত করে সব পোনা পুকুরে ছেড়ে দিতে হবে। সকাল ও বিকালই পোনা ছাড়ার ভালো সময়।

৯ম ধাপ: দিনে দুইবার অর্থাৎ সকাল ১০টায় এবং বিকাল ৩টায় খৈল, কুঁড়া, ভুসি ইত্যাদি সম্পূরক খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।

সতর্কতা :
১. রোগ প্রতিরোধী মাছের চাষ করতে হবে।
২. সঠিক সংখ্যায় পোনা মজুদ করতে হবে।
৩. পোনা ছাড়ার আগে পোনা রোগে আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. পুকুরে পর্যাপ্ত সূর্যের আলোর ব্যবস্থা করতে হবে এবং পুকুরে যাতে আগাছা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৫. প্রতি ৩-৪ বছর পরপর পুকুর শুকিয়ে ফেলতে হবে।

বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য মাছ:
দেশি কার্প- রুই, কাতলা, মৃগেল, কালি বাউশ; বিদেশি কার্প- গ্রাস কার্প, সিল্ভার কার্প, কার্পিও, মিরর কার্প, বিগহেড কার্প ছাড়াও পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, সরপুঁটি/রাজপুঁটি, কৈ, চিংড়ি এসব।

বিভিন্ন স্তরের মাছ একসাথে চাষের আনুপাতিক হার:
উপরের স্তর ৪০%; মধ্য স্তর ২৫%; নিম্ন স্তর ২৫%; সর্বস্তর ১০% মোট ১০০%। সাধারণত শতাংশ প্রতি ১৫০টি পোনা ছাড়া যায়। এ হিসাবে ৩০ শতাংশের একটি পুকুরে মোট ৪৫০০টি পোনা ছাড়া যাবে। এবং উপরের স্তরের মাছ থাকবে {(৪০ঢ৪৫০০)/১০০}=১৮০০টি পোনা

পুকুরে মাছ চাষ:
১. সনাতন পদ্ধতির মাছ চাষ : এ পদ্ধতিতে পুকুরের কোনো ব্যবস্থাপনা ছাড়াই মাটি ও পানির উর্বরতায় পানিতে যে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হয় মাছ তাই খেয়ে জীবন ধারণ করে। এক্ষেত্রে আলাদা কোনো পরিচর্যা নিতে হয় না।

২. আধা-নিবিড় পদ্ধতির মাছ চাষ : এ পদ্ধতিতে নিয়মমতো পুকুর প্রস্তুত করে আংশিক সার ও খাদ্য সরবরাহ করে মাছের খাদ্য উৎপন্ন করতে হয়। পুকুরের বিভিন্ন স্তরে উৎপাদিত খাদ্যের সঠিক ব্যবহারের দিকে লক্ষ্য রেখে মাছের পোনা ছাড়তে হয়।

৩. নিবিড় পদ্ধতির মাছ চাষ : অল্প জায়গায়, অল্প সময়ে বেশি উৎপাদনের জন্য সার ব্যবহার করে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হয়।

৪. কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ : পুকুরের বিভিন্ন স্তরে উৎপন্ন খাবার সম্পূর্ণ ব্যবহার করার জন্য রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস, বিগহেড, সিলভারকার্প, কমনকার্পসহ প্রজাতির মাছ একত্রে চাষ করা যায়।

মাছের প্রক্রিয়াজাতকরণ:
১. মাছ প্রক্রিয়াজাতের সময় হাত দিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করা যাবে না;

2.মাছ ধরার পর মাছের আকৃতি অনুযায়ী আলাদা করে ফেলতে হবে;

3.বাক্সে বা পাত্রে বরফ দিয়ে স্তরে স্তরে মাছ সাজাতে হবে।

পরিচর্যা:
১. বর্ষার শেষে পুকুরের পানিতে লাল বা সবুজ সর পরলে তা তুলে ফেলতে হবে; পানির সবুজভাব কমে গেলে অবশ্যই পরিমাণমতো সার দিতে হবে; মাঝে মাঝে জাল টেনে মাছের অবস্থা দেখতে হবে; পুকুরে জাল টেনে মাছের ব্যায়াম করাতে হবে।

 

কৃষিবিদ হাসান রিয়াদুল আলম

পান্থনীড়, ফেনী

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৭, ২০২২ ১:৫৯ অপরাহ্ন
মাছের তথ্য জানাচ্ছে বাকৃবির জাদুঘর
বিজ্ঞান ও গবেষণা

দেশের প্রথম মৎস্য জাদুঘর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে (বাকৃবি) মৎস্য জাদুঘর। এতে প্রায় ২৩৫ প্রজাতির দেশীয় মাছ ও বিভিন্ন জলজ প্রাণীর এক বিশাল সংগ্রহশালা।

মূলত এটি ‘ফিশ মিউজিয়াম অ্যান্ড জার্মপ্লাজম সেন্টার’ যা বাকৃবির মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আওতাধীন একটি সংগ্রহশালা। 

সহজেই মাছের সঙ্গে পরিচিত হতে পারা, বিলুপ্ত এবং বিলুপ্তপ্রায় সব স্বাদু পানি ও সামুদ্রিক মাছ এবং জলজ প্রাণী সংরক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই জাদুঘরটি। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বাংলাদেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ মৎস্য জাদুঘর।

জানা যায়, মাছের নমুনাগুলো বিভিন্ন আকারের কাঁচের জারে ফরমালিনে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিটি মাছের জার বরাবর ওপরে দেয়ালে সাঁটা পোস্টারে প্রদর্শন করা হয়েছে ঐ মাছেরই পরিপক্ব বয়সের আলোকচিত্রসহ প্রচলিত ও বৈজ্ঞানিক নাম এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গবেষণা কাজে সহায়তার জন্য বড় এবং ছোট দেশি প্রজাতির মাছের জন্য এ্যাকোরিয়াম, ক্রায়োজেনিক মাছের একটি জিন ব্যাংক এবং ডিএনএ সংগ্রহশালা করার পরিকল্পনা রয়েছে। একটি কক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে থ্রিডি অডিও-ভিজুয়াল-সুবিধা। কক্ষটিতে প্রাগৈতিহাসিক যুগের বিলুপ্ত মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর জীবাশ্মের প্রতিলিপি প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। রয়েছে কোটি কোটি বছর আগে বিলুপ্ত প্রাণীর কঙ্কাল।

জাদুঘর সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর ধরে গবেষণার কাজে এবং শখের বশে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের নমুনা সংগ্রহ করেন বাকৃবির মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ বায়োলজি এবং জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা আলী রেজা হোসেন। অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ড. মোস্তফা আলী রেজা হোসেন নিজ উদ্যোগে বাকৃবির নয়নাভিরাম সবুজ চত্বরে স্থাপন করেন ‘ফিশ মিউজিয়াম অ্যান্ড জার্মপ্লাজম সেন্টার’। পরে ২০১০ সাল থেকে এটিকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধান নেওয়া হয়। জাদুঘরটি মোট পাঁচটি কক্ষ নিয়ে সাজানো।

এই জাদুঘরটির প্রথম কক্ষটির শিরোনাম ফ্রেশওয়াটার ডলফিন অ্যান্ড ফিশ (মিঠাপানির ডলফিন ও মাছ), দ্বিতীয়টির এনসিয়েন্ট অ্যান্ড মিডিয়া, তৃতীয়টির সিলোরিফরমিস বা বিড়াল জাতীয় মাছ, চতুর্থটির সিপ্রিনিফরমিস বা কার্প জাতীয় মাছ এবং পঞ্চমটির শিরোনাম পার্সিফরমিস বা কই জাতের মাছ। এছাড়াও জাদুঘরের করিডোরে আছে আবহমানকাল ধরে এ দেশের জেলেদের ব্যবহার্য বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার উপকরণ আর দেশের মৎস্য ঐতিহ্যের ইতিহাস ও নিদর্শন।

এছাড়াও জাদুঘরে প্রায় ৪০টি জীবাশ্ম ও কঙ্কাল সংগৃহীত আছে। এর মধ্যে হাঙরের চামড়া, ৫৪০ মিলিয়ন বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া দুই দাঁতবিশিষ্ট বাঘের কঙ্কাল, ৫৪ মিলিয়ন বছর আগে বিলুপ্ত জলজ প্রাণী গারপাইক, হর্সগ্রাস, স্টিংরের প্রতিলিপি, ১৫ মিলিয়ন বছর আগে বিলুপ্ত হাঙরের চোয়াল ও দাঁত, ৩৫ কোটি বছর আগে বিলুপ্ত কোরালের প্রতিলিপি অন্যতম। এই মৎস্য জাদুঘরে স্বাদু পানির প্রায় ২৩০ প্রজাতিসহ রয়েছে হাজার বছরের বিলুপ্ত প্রজাতির ফসিল যা চারটি সুপরিসর গ্যালারিতে সাজানো হয়েছে।

ফরমালিনের দ্রবণে বড় বড় কাচের সিলিন্ডারে এই সমস্ত মাছ সংরক্ষিত আছে। প্রতিটি মাছের ওপরে দেওয়ালের সঙ্গে টাঙানো আছে নয়নাভিরাম আলোকসজ্জা। আলোকসজ্জার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক নামসহ মাছের যাবতীয় বর্ণনা দেওয়া আছে যাতে করে শিক্ষার্থীরা এখান থেকে পরিপূর্ণ জ্ঞান নিতে পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৭, ২০২২ ১:৪৮ অপরাহ্ন
গুরুদাসপুরে বিষপ্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ
মৎস্য

গুরুদাসপুরে কীটনাশক গ্যাস ট্যাবলেট নিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের দেবত্তর গড়িলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় রমজান আলী বাদী হয়ে থানায় ৯ জনের নামে এজাহার দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগি রমজান আলী জানান, তফশীল বর্নিত পুকুরে আমি ও আমার ভাই সোবাহান ২০১৪ সাল থেকে মাছ চাষ করে আসছি। অসৎ উদ্দেশ্য ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে একই এলাকার গোলাম মোস্তফা পুকুরটি দখলের জন্য ইতিপূর্বে জোরপূর্বক মাছ ধরে ক্ষতিসাধন করেছে। ওই সময়ে আমাকে মারধর করে গুরুতর জখম করা হয়েছিল। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে উক্ত ঘটনাবলি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। ৮ মাস পূর্বে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২ হাজার ৫০০ পিচ পুকুরে মাছ ছাড়ি। যা এখন বিক্রি উপযুক্ত হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে পুকুরে গিয়ে দেখি পানিতে গ্যাস ট্যাবলেট কীটনাশক প্রয়োগ করে সমস্ত মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। গোলাম মোস্তফাসহ তার সহযোগিরা মাছ গুলো মেরে ফেলছে বলে তিনি দাবি করেন। এতে তার সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে গোলাম মোস্তফা মুঠোফনে জানাম, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop