১২:৫৭ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১২ জানুয়ারী , ২০২৫
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২০, ২০২১ ১১:২৮ অপরাহ্ন
ওয়ান বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা
পাঁচমিশালি

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকরের দাবীসহ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। এদেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

ওয়ান বাংলাদেশ, ময়মনসিংহ জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাতে ‘শোকাবহ আগস্ট: বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, এদিনে আমরা জাতীয় জীবনে সবচেয়ে বড় সম্পদ হারিয়েছি। ৪৬বছর আগে এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বাঙালীর রাখাল রাজা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল এবছর আবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকী। বেঁচে থাকলে এখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বয়স হতো একশ এক বছর।

অথচ এমনই এক আগস্ট মাসে বাঙালি জাতিকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছে। আবার এই মাসেই নারকীয় হামলা হয়েছে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর।

বাঙালি জাতির ইতিহাসের অধ্যায়ে আগস্ট তাই শোকের চাদরে ঢাকা। প্রতি বছর শোক,ঘৃণা আর প্রতিবাদে আমরা এমাসে সোচ্চার হই।

ওয়ান বাংলাদেশ, ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এবং প্রফেসর ড.মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস এর সঞ্চালনায় জুম প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত আলোচনা সভায় আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফেসর ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন, বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এ কে এম জাকির হোসেন, প্রফেসর মোঃ রশীদুল হাসান।

অনুষ্ঠানটি হোস্ট করেছেন ওয়ান বাংলাদেশ, ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. আজহারুল ইসলাম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৪, ২০২১ ৪:১৫ অপরাহ্ন
মানুষের কামড়ে মারা গেল বিষধর সাপ
পাঁচমিশালি

ঘটনাটি ভারতের ওড়িশার দানাদাগি ব্লকের সালিজাঙ্গা পঞ্চায়েতের। ধানক্ষেত থেকে কাজ করে ফেরার পথে বিষধর সাপ ছোবল মেরেছিল ৪৫ বছরের এক ব্যক্তিকে। কামড় খেলেও সাপটিকে ধরে ফেলেন তিনি। প্রতিশোধ নিতে বেশ কয়েকবার কামড়ে দেন সাপটিকে। আর তাতেই মৃত্যু হয় সাপটির। এতে মারা গেছে সাপটি।

গাম্ভারিপাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা কিশোর বাদ্রা। বুধবার সন্ধ্যায় ধানক্ষেত থেকে ফেরার পথে সাপে কামড়ায় তাকে। এই বিষয়ে কিশোর বলেন, ‘বাড়ি ফেরার পথে আমার পায়ে কিছু কামড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে টর্চ জ্বেলে দেখি, বিষাক্ত কালাচ সাপ।

কামড়ানোর প্রতিশোধ নিতে আমি ধরে ফেলি সাপকে। এর পর কামড়াতে থাকি। আমার কামড় খেয়ে ওখানেই মরে গিয়েছে সাপটি।’

সেই মৃত সাপ হাতে নিয়েই বাড়ি আসেন কিশোর। গোটা ঘটনার কথা জানান তার স্ত্রীকে। প্রতিবেশীরাও জেনে ফেলেন এই ঘটনার কথা। তার পর গ্রাম জুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় কিশোরের কীর্তি।

কালাচ সাপের কামড় খাওয়া কিশোরকে নিকটস্থ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু সে পথে হাঁটেননি তিনি।

এ ব্যাপারে কিশোর বলেন, বিষাক্ত কালাচ সাপ কামড়ালেও তেমন কোনও সমস্যা হয়নি আমার। আমি গ্রামের এক হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলাম এবং সুস্থ হয়ে গেছি। সূত্র: আনন্দবাজার

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৩, ২০২১ ৬:৫৭ অপরাহ্ন
শেকৃবিতে বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা
ক্যাম্পাস

বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ শেকৃবি শাখার উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দুস্থদের মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) শেকৃবি’র কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সম্মানিত মহাসচিব ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুযোগ্য যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননেতা কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ, শেকৃবি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এবং মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিশন এর মহাসচিব কৃষিবিদ মোঃ খায়রুল আলম প্রিন্স, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের শেকৃবি সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ সহ বরেন্য কৃষিবিদগণ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি’র ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের ডীন প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন, গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, আইসিসি পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মোফাজ্জল হোসেনসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, এনিম্যাল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. লাম-ইয়া-আসাদ, প্রক্টর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ, রেজিস্ট্রার ও বিভিন্ন হলের প্রভোষ্টবৃন্দ, শেকৃবি এর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শেকৃবি শাখার সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৫ আগস্টে নিহত হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব সহ সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন।

তিনি বলেন ১৫ আগস্টের খুনিরা চিহ্নিত এবং হত্যাকান্ডের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদেরকে খুঁজে বের করে রায় কার্যকরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, খুনিদের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে আমাদের দায় শেষ হয়নি। এ খুনের চক্রান্তের সাথে বা পটভূমির সাথে যারা জড়িত, হত্যাকান্ডের পর যারা বিভিন্ন ভাবে লাভবান হচ্ছে, যারা বিভিন্ন ভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, তাদেরকে কারা চাকুরিতে পুর্নবাসন এবং বিদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকুরি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছিল এ সকল বিষয় নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করে সামগ্রিক বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করে জাতির কাছে নিরপেক্ষ ভাবে উপস্থাপন করা না হবে ততদিন পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীদের অপরাজনীতির অবসান হবে না।

বাহাউদ্দিন নাছিম খালেদা জিয়ার পাঁচটি ভূয়া জন্মদিন উল্লেখ করেন। খালেদা জিয়ার এসএসসি পরীক্ষার মার্কশীট অনুযায়ী ১৯৪৬ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর, বিয়ের কাবিননামায় ০৯ আগস্ট, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ০৫ আগস্ট। খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। করোনা টেষ্টের যে রিপোর্ট ফেসবুকে ছড়িয়েছে তাতে তার জন্মদিন উল্লেখ রয়েছে ০৮ মে ১৯৪৬ সাল।

একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান কতটা নির্মম ও বিকৃত রুচির অধিকারী হলে জাতির এই শোকের দিনে জন্মদিন পালন করতে পারে এবং যারা নিজেদের জন্মদিনের একটি সঠিক তথ্য জাতিকে দিতে পারে না তারা কিভাবে রাজনীতি করেন।

বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের মহাসচিব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিদদের মধ্যে বিভক্তি টানতে চায় তাদের ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে। এরা সুযোগ সন্ধানী, জাতির পিতার আদর্শ এদের মধ্যে নেই। যে কোন অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবো।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন এদেশের আপামর জনমানুষের নেতা। অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বাঙালীর এক নিরলস সাহসী কণ্ঠস্বর। জেল জুলুম অত্যাচার সয়ে নিয়ে তিনি দেশের মানুষের মুক্তির কথাই অবিরাম ভেবেছেন। তাঁরই নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতার জনককেও রাতের আঁধারে হত্যা করে কাপুরুষের দল। বিচার হয়েছে আর বাকীদেরও হবে আমরা নিশ্চিত। তবে আজ তাদেরও বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন, গভীর ষড়যন্ত্রের পেছনে যারা জড়িত ছিল। পনেরই আগস্টের শোকের দিনে এটিই আমাদের বড় দাবি।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ১০০ জন দুস্থ ও অসহায়দের মানবিক সহায়তা করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৭, ২০২১ ৯:৫৯ অপরাহ্ন
ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেস এর আনুষ্ঠানিকতা আজ থেকে শুরু হলো
পাঁচমিশালি

আজ থেকে শুরু হলো ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেস এর আনুষ্ঠানিকতা।

International Association of Students in Agricultural & Related Sciences বা সংক্ষেপে IAAS (ইয়াস) কৃষি এবং সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। সংগঠনটি বাংলাদেশে প্রথম পথচলা শুরু করে ২০১৭ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কিছু শিক্ষার্থীর প্রচেষ্টায়। সংগঠনটি মূলত কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিষয়ক শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যাতে করে তারা কৃষি, পরিবেশ ও নানা সামাজিক সমস্যায় নিজেদের বুদ্ধিমত্তা, জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা ব্যবহার করার মাধ্যমে সমাধানের পথে এগোতে পারে। এটি একটি অলাভজনক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বর্তমানে সারাদেশে সংগঠনটি ১১টি লোকাল কমিটি এবং ১০০০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রতি বছর নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে সংগঠনটি এগিয়ে চলেছে যেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ন্যাশনাল কংগ্রেস। এবছর ইয়াস বাংলাদেশের সাথে জড়িত সকল শিক্ষার্থীদের সহায়তায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল কংগ্রেসের ২য় আসর। এই কার্যক্রমটি সম্পূর্ণ ইয়াস বাংলাদেশ পরিবারের জন্য একটি আনন্দ অনুষ্ঠান। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে কৃষি এবং পরিবেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ট্রেনিং কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তা এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য আয়োজন করা হয়ে থাকে চমকপ্রদ কিছু কম্পিটিশনের।

বারবরের মতো এবছরও এই ধারা অব্যাহত রেখে ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেস উপলক্ষ্যে আয়োজন করতে যাচ্ছে SDG (Sustainable Development Goals) বিষয়ক ৪দিনের ট্রেনিং সেশন। যেখানে স্বনামধন্য বক্তারা শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবেন “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা” সম্পর্কে তাদের জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করতে। এছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণেরও রাখা হয়েছে বিশেষ সুযোগ। যেখানে বিভিন্ন জটিল কৃষি সমস্যার সমাধান করে শিক্ষার্থীরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারবে। এবছরের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে Emerging Youth Award (এমার্জিং ইয়ুথ এওয়ার্ড)। এই সম্মাননা সেই সকল শিক্ষার্থীদের জন্য যারা নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতার ইতোমধ্যে প্রমাণ দেয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছে এবং দেশের সেবায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পেরেছে।

আজ ৭ই আগস্ট ২০২১, ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রাক কংগ্রেস জেনারেল এসেম্বলির মাধ্যমে ন্যাশনাল কংগ্রেসের ২য় আসরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। এই আসরে উপস্থিত ছিলেন ইয়াস বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি এবং লোকাল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা। তারা নিজেদের মধ্যকার আলোচনার মাধ্যমে ন্যাশনাল কংগ্রেস উপলক্ষ্যে গণতান্ত্রিকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে চেয়ারপার্সন, ভাইস চেয়ারপার্সন, সেক্রেটারি নির্বাচন করেন। যাদের দায়িত্ব হিসেবে থাকবে ন্যাশনাল কংগ্রেসের জেনারেল এসেম্বলি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা। এছাড়াও ন্যাশনাল কংগ্রেস সফল এবং সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে ইয়াস বাংলাদেশের সকল লোকাল কমিটি থেকে সবথেকে দক্ষ সদস্যদের মাধ্যমে অর্গানাইজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে এবারের ন্যাশনাল কংগ্রেস সফল করার লক্ষ্যে।

আরো পড়ুনঃ IAAS Bangladesh SAU এর ভার্চুয়াল ক্যারিয়ার আড্ডায় স্বপ্ন ছড়ালেন সুশান্ত পাল

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৭, ২০২১ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
চালের দাম অস্বস্তি বাড়িয়েছে স্বল্প আয়ের মানুষের
পাঁচমিশালি

করোনার প্রকোপে কাজ না থাকায় চালের দাম অস্বস্তি বাড়িয়েছে স্বল্প আয়ের মানুষের। গত দু‘মাস ধরে বাড়ছে মোটা চালসহ সব চালের দাম। সব চালের দামই ঊর্ধ্বমুখী। নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে চাহিদা বেশি মোটা চালের। সেই চালের দামও বেড়ে এখন ৫০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হচ্ছিল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকায়। দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।

রাজধানীর কয়েকটি বাজারে দেখা যায়, ইরি বা স্বর্ণা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। এ ছাড়া মাঝারি মানের চাল পাইজাম ও লতা ৫০ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও ৫০ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হয়। সরু চাল নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাঝারি ও সরু চালের দামও কমেনি। ঢাকার খুচরা দোকানে মাঝারি বিআর-২৮ ও সমজাতীয় চাল মানভেদে ৫২ থেকে ৫৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশের মতো বেশি। আর সরু মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা ও নাজিরশাইল চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিবছর বোরো মৌসুম শেষে চালের দাম অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু এবার উল্টো দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের ধারণা, চালের দাম সামনে আরও বাড়বে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একজন খুচরা বিক্রেতা জানান, ‘গত শুক্রবার মোটা চালের দাম ছিল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি। এখন সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। অর্থাৎ, মোটা চালের দাম গত এক সপ্তাহে দুই টাকার মতো বেড়েছে। শুক্রবার বিআর-২৮ চাল ৫৩-৫৪ টাকা এবং মোটা গুটি স্বর্ণা চাল মানভেদে ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাদামতলী ও বাবু বাজার চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জানান, ‘এবার ধানের দাম বেশি, এ কারণে চালের দাম বেশি।’

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম জানান, অবৈধভাবে কেউ চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে কি না আমরা তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি। ওএমএসের বরাদ্দ অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। মাঝারি ও সরু চালেরও দাম বাড়ছে। এটা কিন্তু আমাদের ওএমএসের কার্যক্রম দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। সে ক্ষেত্রে আমরা চাচ্ছি, বেসরকারিভাবে কিছু আমদানি হোক। সেটার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি।

তিনি জানান, চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করা হবে। আমরা চাই কৃষক এবং ভোক্তা কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তাই যতটুকু দরকার ততটুকুই আমদানি করা হবে। আপাতত ১০ লাখ টন চাল আমদানির চিন্তা করছি। প্রয়োজন হলে আরো করতে পারি। তবে আউশ ধানের উৎপাদন অনেক ভালো হয়ে গেছে, তখন হয়তো আমদানি কমিয়ে দিতে পারি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩০, ২০২১ ৭:০৩ অপরাহ্ন
নাটকে কৃষিকে ‘হেয়’ করাতে সমালোচনার ঝড়, ক্ষমা চাইলেন বান্নাহ
পাঁচমিশালি

ঈদুল আযহা উপলক্ষে নির্মিত নাটক ‘দ্য টিচার’ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে এবার। গত ২৫ জুলাই একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত নাটকটির সংলাপে ‘এগ্রিকালচার’ শব্দকে গালি হিসেবে ব্যবহার করায় দেশ-বিদেশে চলছে কৃষি সংশ্লিষ্টদের তীব্র সমালোচনা। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নাটকটি সরানোর দাবি জানিয়েছে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি)।

কেআইবি’র দপ্তর সম্পাদক কৃষিবিদ এম এম মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলো কৃষি (Agriculture)। বর্তমানে প্রায় ২০কোটি মানুষের দেশ এখন শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই নয় বরং কৃষক ও কৃষিবিদদের অক্লান্ত পরিশ্রমে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যেখানে কৃষি অদম্য সফলতা পাচ্ছে সেখানে এ রকম একটা ডায়লগ কুরুচির পরিচায়ক।

আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কৃষিকে হেয় প্রতিপন্ন করা নাটকটি সরিয়ে ফেলা এবং অনতিবিলম্বে এহেন নিম্ন মানসিকতা ও আপত্তিকর ডায়লগের জন্য নাটকটির নির্মাতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে কেআইবি।

‘দ্য টিচার’ নাটকটি পরিচালনায় ছিলেন জনপ্রিয় নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ এবং প্রযোজনায় জনাব ফকরুল রেয়া। অভিযুক্ত সংলাপটি এসেছে তরুণ অভিনেতা ইফতেখার রাফসানের মুখ থেকে।

নাটকের অভিযুক্ত দৃশ্যে দেখা যায়, দুই বন্ধুর কথোপকথন। যেখানে এক বন্ধু নানাভাবে বোঝায় মেয়েদের কীভাবে রাজি করাতে হয়। বিষয়টি পছন্দ হয় না অপর বন্ধুর। তখন তিনি বলেন, ‘তুই একটা এগ্রিকালচার’।

নাটকটি প্রচারের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা। প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশ-বিদেশের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কৃষিবিদ, গবেষক এবং কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

ভুল স্বীকার করে নাটকটির পরিচালক মাবরুর রশীদ বান্নাহ বলেন, সত্যিকার অর্থেই অতি অসাবধানতা বশত এই অনাকাঙ্খিত ভুলটি হয়েছে। আমার পূর্ববতী এবং এই কাজটিতেও চেয়েছি মানুষকে সুন্দর ভালো ম্যাসেজ দিতে। কিন্তু শব্দ প্রয়োগ জনিত এই বিষয়টি খুবই ভুল হয়েছে। যেটি আমি স্বীকার করি।

তিনি আরও বলেন, আমি কোনদিনও জেনে বুঝে কাউকেই কষ্ট দিতে চাইনি। আমার দাদাও একজন কৃষক ও একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। ইতোমধ্যে নাটকটির ওই পার্টটুকু পুরোপুরি ছেটে ফেলা হয়েছে। ইউটিউবে গিয়ে যাচাই করে দেখতে পারেন। ভুল চোখে পড়ার সাথে সাথেই তা সংশোধন করা হয়েছে। আশা করছি আপনি/আপনারা ভুলটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩০, ২০২১ ১:০১ অপরাহ্ন
সবজির দাম অপরিবর্তিত হলেও চড়া মাছের দাম
পাঁচমিশালি

রাজধানীতে সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া মাছের দাম এখনও বেশ চড়াই রয়েছে। তবে, প্রতিটি বাজারেই ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি ও মাছের বাজার প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।

জানা যায়, খিলগাঁও তালতলা বাজারে মাছ ও সবজির সব দোকানই খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহে বাজারটির বেশিরভাগ দোকান বন্ধ ছিল। রামপুরা, মালিবাগ, হাজীপাড়ার বাজারগুলোতেও গত সপ্তাহে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ ছিল, তবে এখন সব দোকান খুলে গেছে।

ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক সময়ের মতো দোকান খোলার বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী তসলিম হোসেন জানান, ঈদের পর বেশকিছু দিন অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। তবে দুই-তিনদিন ধরে সবাই আছে। সবারই সংসার আছে, বসে থাকলে চলবে না। তাই ঈদ হোক আর লকডাউন হোক পেট চালাতে গেলে আমাদের দোকান খুলতেই হবে।

ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আগের মতো এখনও সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাঁজর ও টমেটো। মানভেদে গাঁজর বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। আর পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।

এছাড়া ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ২০ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে।

আগের মতো ঢেঁড়স পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। বরবটি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি।

মাছবাজারে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের মতো সব ধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি, মৃগেল ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা আর পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে।১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজির মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে পাঙাশ। এছাড়া কিছুটা কমেছে চিংড়ি মাছের দাম। গত সপ্তাহে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া চিংড়ি এখন ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৯, ২০২১ ৯:৩৪ অপরাহ্ন
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মানিক লাল দেওয়ান এর মৃত্যুতে বাকৃবি ভিসির শোক
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মানিক লাল দেওয়ান স্যার আজ ২৯ জুলাই ২০২১ইং (বৃহস্পতিবার) বার্ধক্যজনিত কারণে চট্টগ্রামের সার্জিস্কোপ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গুণী এই অধ্যাপকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এছাড়াও তিনি অধ্যাপক ড. মানিক লাল দেওয়ান এর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাকৃবিতে দীর্ঘ সময় অধ্যাপনা করেন তিনি। বাকৃবির প্যাথলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক এবং ভেটেরিনারি অনুষদের ডীন হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ড. মানিক লাল দেওয়ান। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠী থেকে প্রথম ডক্টরেট ছিলেন।
ড. মানিক লাল দেওয়ান ১লা জানুয়ারি ১৯৩৫ খিঃ রাঙ্গামাটি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫২ খিঃ রাঙ্গামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে School Final (Science Side) পাস করেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান কলেজ অব ভেটেরিনারি সাইন্স থেকে ১৯৫৮ খিঃ Bsc (A.H.) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৮ খিঃ তিনি এনিমেল হাজবেন্ড্রী অফিসার, কুমিল্লা ও ১৯৫৯ খিঃ পূর্ব পাকিস্তান ভেটেরিনারি কলেজে Asst. Lacturer হিসেবে নিয়োপ্রাপ্ত হন। ১৯৬১ খিঃ তিনি USAID বৃত্তি লাভ করে ১৯৬৪ খিঃ Texax A&M University থেকে M.S. in Pathology ডিগ্রী লাভ করেন। Armed Forces Institute of Pathology, Washington DC থেকে বিশেষ ট্রেনিং শেষ করে ১৯৬৪ খিঃ তৎকালীন East Pakistan Agricultural University তে Asst. Professor হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৮ খিঃ তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বৃত্তি লাভ করে মস্কো ভেটেরিনারি একাডেমী থেকে ১৯৭১ খিঃ চয.উ Ph.D in Veterinary Pathology ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭২ খিঃ ড. দেওয়ান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর Associate Professor এবং ১৯৭৩ খিঃ তিনি প্যাথলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৮১ খিঃ প্রফেসর পদে উন্নীত হয়ে ১৯৮২-১৯৮৪ খিঃ ভেটেরিনারি ফ্যাকালটির ডীনের আসন অলংকৃত করেন। ১৯৭৮-৭৯ খিঃ তিনি যুক্তরাজ্যের এডিনবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে Post Doctoral Research করেন। ১৯৮০-৮১ খিঃ তিনি ইরাকের মসুল বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেন। বাংলাদেশে পশুসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে ২০০৪ খিঃ বাংলাদেশ অ্যাক্যাডেমি অফ এগ্রিকালচার কর্তৃক Dr. S.D Chaudhuri Gold Medel এ ভূষিত করা হয়। স্মৃতি রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ড. দেওয়ানের অফিস কক্ষটিকে Prof. M.L Dewan Conference Room নামকরণ করে। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণের পর ২০০২-২০০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রফেসর দেওয়ান রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়াারম্যান হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ড. দেওয়ানের মৃত্যুতে পাহাড়ের জনগণ একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদকে হারালো।
স্যারের মৃত্যুতে বাকৃবি জনসংযোগ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৪, ২০২১ ১:৩৯ অপরাহ্ন
সবজির দাম কমলেও চড়া মাছের দাম!
পাঁচমিশালি

একেতো ঈদের আমেজ অন্যদিকে কঠোর লকডাউন। তবে ঈদের পরের দু‘দিনে সবজির দাম বেশি থাকলেও এখন কমেছে বেশ। তবে মাছের দোকান কম থাকায় রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছ বিক্রি হচ্ছে খুব চড়া দামে।সবজি কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। যা কিনতে গতকালও  ৪০ টাকার ওপরে গুনতে হয়েছে।

শনিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন অবস্থা দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, এখনো মানুষের ঘরে ঘরে কোরবানির মাংস রয়েছে। ফলে সবজির চাহিদা কম। কিন্তু দু’দিন বন্ধ থাকার পর প্রায় সব দোকান খুলে গেছে এবং বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে সবজির দাম কমেছে।

আগের মতো এখনো সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো। তবে এক দিনের ব্যবধানে এ সবজি দুটির দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, যা গতকাল ছিল ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। আর গতকাল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো এখন ১০০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

গাজর ও টমেটোর সঙ্গে বেগুন, ঝিঙে, ঢেঁড়স, করলা, শসা, কাঁচ কলা, পেঁপের দামও কমেছে। গতকাল ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে চলে এসেছে। ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

গতকাল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পটলের দাম কমে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হওয়া কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হওয়া কাঁচ কলার হালি ক্রেতারা ২০ থেকে ২৫ টাকায় কিনতে পারছেন।

এছাড়াও ঢেঁড়সের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে, যা গতকাল ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গতকাল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ এখন ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

এদিকে মাছ বাজারে গিয়ে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ দেখা যায়। যারা খুলেছেন তাদের কাছে সব ধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। রামপুরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মাছের মাত্র তিনটি দোকান খোলা রয়েছে। এ দোকানগুলোতে চিংড়ি, রুই, মৃগেল মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা চিংড়ি মাছের কেজি চাচ্ছেন ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ছিল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ২৪০ থেকে ৩২০ টাকা। তবে মৃগেল মাছের কেজি আগের মতো ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৬, ২০২১ ৪:৩৮ অপরাহ্ন
ব্রয়লারের দাম কমলেও চড়া মাছ সবজির দাম!
পাঁচমিশালি

করোনা সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। বন্ধ হয়ে আছে সবার আয় রোজগার। বিপাকে আছে নিম্ন আয়ের মানুষ। এমন সংকটময় সময়েও কমেনি নিত্যপণ্যের দাম। বেড়েছে আরও চাল, মাছসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। 

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখো যায়, নতুন করে দাম না বাড়লেও গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। সেই সঙ্গে সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। বছরের এই সময়ে এসেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ।

জানা যায়, প্রতি কেজি বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। এসব বাজারে আলুর দাম ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। চাল কুমড়া পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, কচুর গাট ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্চে ৪০ টাকা কেজি। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসার দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। কাকরোল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদার দাম ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজারে দেখা যায়, তেলাপিয়া মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, রুই মাছ ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা এবং রূপচাঁদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকা।

মাংসের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ১০ থেকে ২০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। লেয়ার মুরগি ২৩০-২৪০ টাকা আর সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা।

মুরগির পাশাপাশি দাম অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি চালে দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। দাম বেড়ে বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, পাইজাম প্রতি কেজি ৫০ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা। তবে পোলাওয়ের চাল আগের দামেই ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop