২:২২ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জানুয়ারী ৩, ২০২৩ ৬:১৬ অপরাহ্ন
শিকল কেটে গরু চুরি, গ্রেপ্তার ৩
প্রাণিসম্পদ

রাজশাহী নগরীতে গরু চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় চোরদের কাছ থেকে চুরি হওয়া দুইটি গরুও জব্দ করে নগরীর পবা থানা পুলিশ।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে আসামি মাহাবুব, সাইফুল ও আবু বাক্কারকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

রাতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতাররা হলেন— রাজশাহী নগরীর কর্ণহার থানার ধর্মঘাটা স্কুলপাড়ার জাকারিয়ার ছেলে মাহাবুব ইসলাম (৩২), বেলপুকুর থানার ক্ষুদ্র জামিরার তানছের মন্ডলের ছেলে মাহাবুল ইসলাম সাইফুল (৫৮) ও একই গ্রামের মৃত ওয়াহেদের ছেলে আবু বাক্কার (৬০)।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে রফিকুল আলম জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর দিনগত রাতে পবা থানার বাগধানী গ্রামের শামীম রানার গোয়াল ঘরের শিকল কেটে একটি ষাঁড় গরু এবং একটি গাভী চুরি করে নিয়ে যায়। শামীম রানার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পবা থানায় একটি চুরির মামলা রুজু হয়। পরবর্তীতে পুলিশের এক টিম চোরাই গরু উদ্ধার ও চোরদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামি মাহাবুব, সাইফুল ও আবু বাক্কারকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

তিনি আরও জানান, গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যমতে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বেলপুকুর থানার ক্ষুদ্র জামিরা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে চোর চক্রের আরেক সদস্য পলাতক আসামি তোফার বাড়ি থেকে চুরি হওয়া গরু দুইটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২, ২০২৩ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
জন্মের পর বাছুরের খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা
প্রাণিসম্পদ

জন্মের পর বাছুরের খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়ে ডেইরি খামারিদের সঠিক ধারণা থাকা দরকার। আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকহারে গরু পালন করা হয়ে থাকে। গরু পালনের মাধ্যমে অনেকেই এখন স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আজকের এই লেখাতে আমরা জেনে নিব জন্মের পর বাছুরের খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে-

জন্মের পর বাছুরের খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাঃ
বাছুর জম্মের পরপর ৩০ মিনিটের মধ্যে বাছুরকে শাল দুধ খাওয়াতে হবে,কারন প্রতি ১০ মিনিট পর পর শাল দুধের গুন কমতে থাকে, এর পর বাছুরের ওজন নির্ণয় করে ২ মাস পর্যন্ত, শরীরের ওজনের দশ ভাগের এক ভাগ দুধ বা CMR বা কাপ মিল্ক রিপ্লেসার খাওয়াতে হবে,ওজন ২২ কেজি হলে দুধ খাবে ২.২ কেজি, ওজন ৪০ কেজি হলে দুধ খাবে ৪ কেজি, ৪র্থ দিন থেকে বাছুরকে মা থেকে আলাদা করে ফিডার দিয়ে দুধ ও পরিস্কার পানি পান করাতে হবে,এই সময় সে দৈনিক ওজন অনুযায়ী (২ মাস পর্যন্ত) ২.৫ – ৫ কেজি পর্যন্ত দুধ খেতে পারে, পাশাপাশি স্বল্প পরিমান দানাদান বা ভুট্রা সুজির মত জিহ্বায় লাগিয়ে দিয়ে দানাদারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, ১৫-২০ দিন পর থেকে আস্তে আস্তে জাবর কাটতে শুরু করবে, এতে রুমেন, রেটিকুলাম, ওমেজাম ডেভলপ করতে থাকবে। সে ১৫-২০ দিন পর কচি কাঁচা ঘাস খেতে শুরু করবে,এ সময় কখনোই বাছুরকে শুকনো খড় দেয়া যাবেনা,শুকনো খড় দিলে পেট বড় হয়ে যাবে, স্বাস্থ্য নষ্ট হবে, ৪৫-৬০ দিনে উইনিং প্রিয়ডে বাছুর শুকনো খড় খেতে শুরু করবে। শাল দুধের এ্যকশন কমে ৭ দিন পর থেকে বুছুরের ক্রান্তি কাল শুরু হয়।

৩০-৪৫ দিনে বাছুরের মৃত্যু হার সব চেয়ে বেশি,এ সময়কে বাছুরের ভারনারেবল লাইফ বলে। বাছুরকে শুকনা জায়গায় রাখতে হবে যাতে বাছুরের ঠান্ডা না লাগে। ৩ দিন পর কেঁচো কৃমি বা এসকারিস রোধো বাছুরকে আইভারমেকটিন গ্রুফের ইনজেকশন এসিমেক ১% ৩০ কেজির জন্য, চামড়ার নিচে ১ সি সি ইনজেকশন দিতে হবে। ১ মাস বয়সে ক্ষুরা টিকা দিতে হবে, ২১ দিন পর আবার ক্ষুরার বুুষ্টার ডোজ দিতে হবে,এর পর প্রতি ৬ মাসে এক বার ক্ষুরার টিকা দিতে হবে।

নিয়ম মেনে পরিমান মত ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত বা ৮৪ দিন পর্যন্ত বাছুরকে মায়ের দুধ বা মিল্ক রিপ্লেসার খাওয়ালে বাছুর ৬ মাসের বাচ্ছার মত গ্রোথ হবে,রোগ কম হবে, মৃত্যু হার কমে যাবে। প্রতি ৩ মাস পরপর বকনাকে কৃমিমুক্ত করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২, ২০২৩ ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
শত্রুতা করে গোয়ালঘরে আগুন, দুই গরু পুড়ে ছাই, দিশেহারা দিনমজুর
প্রাণিসম্পদ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আব্দুল হাকিম নামের এক দিনমজুরের গোয়ালঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ও প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলাম নামের এক পল্লী চিকিৎকের বিরুদ্ধে।

এতে গোয়ালঘরে থাকা দুটি গরু ও তিনটি ভেড়া পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোয়ালগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী দিনমজুর আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে ৬ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী দিনমজুর আব্দুল হাকিম অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম এলাকার প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের সঙ্গে তার জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

এরই জের ধরে শনিবার রাত ২টার দিকে তার বসতবাড়ির গোয়ালঘরে আগুন লাগিয়ে দেন নুরুল ইসলাম। এ সময় গোয়ালঘরে থাকা দুটি গরু, তিনটি ভেড়াসহ অন্য মালামাল পুড়ে যায়। এতে তার প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, বেশকিছু দিন ধরে বসতঘর সীমানা থেকে সরিয়ে না নিলে আগুন লাগানোর হুমকি দিয়ে আসছিলেন নুরুল ইসলামসহ তার ছেলে সাদ্দাম হোসেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে। তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

রৌমারী থানার ওসি রূপ কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা রৌমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুটি গরু ও তিনটি ভেড়া পুড়ে যায়। প্রকৃত ঘটনা বের করতে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩১, ২০২২ ১২:০৫ অপরাহ্ন
মিয়ানমার থেকে সিমান্ত পথে ঢুকছে গরু
প্রাণিসম্পদ

বান্দরবানের আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অরতি সীমান্ত পথ দিয়ে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে ঢুকছে গরু-মহিষ। একটি প্রভাবশলী পাচারকারী চক্র রাজনৈতিক দলের ছত্রছায় দীর্ঘ ৮-৯ মাস ধরে এসব গরু-মহিষ সড়ক ও নদীপথে পাচার হয়ে আসছে।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোর রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি’র ১১ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচটি ট্রাক ভর্তি ২৫টি গরু আটক করেন। চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর বাজার এলাকায় পাচারের সময় গরুভর্তি ওই ট্রাকগুলো আটক করা হয়।

জানা যায়, আলীকদম উপজেলার করুক পাতা ইউনিয়নের পশ্চিম ও দক্ষিণ সীমান্তে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ। এ ইউনিয়নের সীমান্তের বেশির ভাগ এলাকাই অরতি ও দুর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে ঘেরা। এই অঞ্চলের সীমান্ত পথ দিয়ে চোরাচালানি ও পাচারকারীরা চক্র নির্বিঘেœ গরু-মহিষ নিয়ে আসছে। গরু-মহিষের পাশাপাশি থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে মাদকদ্রব্যও আসছে এই সীমান্ত পথে। আলীকদমের নির্বাহী কর্মকর্তা পশু ডাক্তারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে জেনেছেন, সীমান্ত পথে আসা বিভিন্ন জাতের এসব গরু-মহিষের গায়ে এক ধরনের নেশাজাতীয় ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়া হয় অথবা ইনজেকশন দেয়া হয়। এতে ওইসব পশু খুব দ্রুত হেঁটে সীমান্ত পার হতে পারে।

জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে আসা শত শত গরু-মহিষ এখনো আলীকদম উপজেলার গভীর জঙ্গলে উপজাতিদের জিম্মায় রাখা আছে। তারা ওই সব রাজনৈতিক নেতাদের সহায়তায় স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে পাচারের সুযোগ সৃষ্টি করে। এভাবে তারা চকরিয়া, লামা ও আলীকদমের বিভিন্ন সড়ক পথে এবং পাহাড়ি গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।
অবৈধভাবে নিয়ে আসা মিয়ানমারের গরু-মহিষগুলোর বৈধতা দেয়ার জন্য চকরিয়া উপজেলার বাসস্ট্যান্ডে, বেড়া বাজার ও ডুলাহাজারা এলাকায় বেশ কয়েকটি গরু-মহিষের হাট বসে। রাতের আঁধারে সীমান্ত পথে আসা এসব গরু-মহিষ উল্লেখিত বাজারগুলোতে পথেও স্থানীয়দের চাঁদা দিতে হয়। তা না হলে সেগুলো লুট হয়ে যায়। চোরাইপথে আসা এসব গরু-মহিষ বাজারে এনে বিক্রি রসিদ ও ইউনিয়ন পরিষদের রসিদের মাধ্যমে গরু-মহিষগুলোকে বৈধ করে নেয়া হয়।

এদিকে দেশীয় গরু খামারিরা জানান, সীমান্তপথে আসা এসব গরু ও মহিষের কারণে তাদের খামার প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তারা অবৈধ পথে গরু-মহিষ আসা বন্ধ করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান। চকরিয়া থানার ওসি চন্দ কুমার চক্রবর্তী জানান, পাঁচ ট্রাকে আসা আটককৃত ২৫টি গরু এখন তাদের হাতে রয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি’র নায়েক সুবেদার ফরিদ উদ্দিন বাদি হয়ে এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৯, ২০২২ ৯:২৯ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এর নতুন মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ এমদাদুল হক তালুকদার
প্রাণিসম্পদ

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালকে(চলতি দ্বায়িত) দ্বায়িত্ব পেলেন ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ-১ অধিশাখার যুগ্ম সচিব শাহিনা ফেরদৌসী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এ পদে নিয়োগের পূর্বে ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারএকই অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর আগে তিনি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ঢাকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।

তাঁর মত একজন বিচক্ষণ ব্যক্তির এ পদে নিয়োগের ফলে দেশের প্রাণীসম্পদের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ৫:৫০ অপরাহ্ন
সহজ কৌশলে ছাগলের দৈনিক দানাদার খাদ্য তৈরি করবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

দেশের প্রান্তিক অনেক খামারি ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছে। অনেকেই আজকাল বাণিজ্যিকভাবে ছাগলের খামার দিচ্ছে। ভাগ্য পরিবর্তন করতে ছাগলের খামারের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। ছাগল পালনের সবথেকে বেশি ব্যয় হয় খাদ্য প্রদানে। তাই প্রত্যেক ছাগল খামারিদের জানা উচিৎ প্রতিদিন কি পরিমাণ দানাদার খাদ্য ছাগলকে দিতে হবে।

বিএলআরআই এর তথ্য অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়ষ্ক ব্লাক বেংগল ছাগলের জন্য মাথাপিছু ১৬০ গ্রাম দানাদার প্রয়োজন হয়। ক্রস ছোট আকারের ছাগলের জন্যও এটা অনুসরণ করা যেতে পারে। সাধারণত বড় জাতের ছাগলের জন্য দৈনিক ২০০-৪০০গ্রাম দানাদার খাবার দিতে হয়।

এছাড়াও ছাগলের জাত, দুধ উৎপাদন, ঘাসের প্রোটিনমান, দৈহিক ওজন ইত্যাদি আরো কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে ক্ষেত্র বিশেষে পরিমাণে কিছু কম বা বেশী দিতে হয়।

খাদ্য প্রস্তুত প্রণালীঃ

ধাপ-১:
প্রথমেই খাদ্য উপাদান গুলোকে ০৩(তিন)টি ক্যাটাগরীতে ভাগ করে নিন। ক্রমিক নং০১ এবং ০২ একটা ক্যাটাগরী (সরিষার খৈল ব্যবহার না করলে ০১-০৩ পর্যন্ত একই ক্যাটাগরীতে থাকবে)। সরিষার খৈল ব্যবহার করলে তা আলাদা ক্যাটাগরীতে রাখুন। বাকি সব উপাদানগুলো আরেকটা ক্যাটাগরীতে।

ধাপ-২
এবার সরিষার খৈল বাদে ক্যাটাগরী অনুযায়ী বাকি উপাদান গুলো আলাদা মিশিয়ে নিয়ে আলাদা বস্তায় অথবা ড্রামে সংরক্ষণ করুন।

ধাপ-৩:
এবার আপনার খামারে ছাগলের সংখ্যা হিসাব করে মোট কত কেজি দানাদার খাবার লাগবে তা ক্যাটাগরী অনুযায়ী আলাদা আলাদা পরিমাপ করে নিন।

ধাপ-৪:
প্রতিদিন সন্ধায় পরিমাণ মত পানি কুসুম গরম করে তার মধ্যে ১-২ মুঠি চিটাগুড় এবং প্রথম ক্যাটাগরীর খাদ্য উপাদান অর্থাৎ গম ও ভূট্টা প্রতি কেজির জন্য ০৩-০৪ গ্রাম বেকারী ঈস্ট ভাল করে মিশিয়ে নিন।

ধাপ-৫:
এবার সেই পানিতে প্রথম ক্যাটাগরীর খাদ্য উপাদান অর্থাৎ ভুট্টা এবং গম মাখা মাখা করে মিশিয়ে নিয়ে ঢাকনাযুক্ত কোন ড্রাম অথবা বালতিতে বায়ুরোধ করে রেখে দিন।

ধাপ-৬:
আলাদা একটা পাত্রে সরিষার খৈল ভিজিয়ে রাখুন (যদি সরিষার খৈল ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে)।

ধাপ-৭:

পরদিন ০৩(তিন) ক্যাটাগরীর উপাদানই একসাথে মিশিয়ে ছাগলকে পরিবেশণ করুন। সাথে কিছু পরিমাণ হে অথবা ধানের খর টুকরো করে কেটে মিশিয়ে দিতে পারেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ-

(ক) ছাগলকে যেকোন নতুন খাবারই অল্প অল্প করে খাইয়ে অভ্যাস করিয়ে নিতে হবে।

(খ) গম, ভূট্টা ইত্যাদি অবশ্যই ভেংগে নিতে হবে। দানাযুক্ত খাবার ভেংগে না দিলে ছাগলের হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে।

(গ) আপনি চাইলে ঈস্ট ব্যবহারের পরিবর্তে গম ও ভুট্টা সিদ্ধ করেও ব্যবহার করতে পারেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৫, ২০২২ ৮:১০ অপরাহ্ন
নরসিংদীতে রাতের আঁধারে কৃষকের ৫ গরু চুরি
প্রাণিসম্পদ

নরসিংদীর মনোহরদীতে রাতের আঁধারে কৃষকের পাঁচটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। যার বাজারমূল্য সাড়ে ৪ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক জাকির হোসেন। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দাইরাদী গ্রামের এক কৃষকের ৫টি গরু চুরি করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

এই নিয়ে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১২টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর গত দুই মাসের ব্যবধানে শুধু দাইরাদী গ্রাম থেকেই ১৪টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। একের পর এক গরু চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন কৃষকরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জাকির হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরুগুলোকে তিনি গোয়াল ঘরে বেঁধে রেখে যান। ভোরে ফযর নামাজের সময় গরুগুলোকে খেতে দিতে গেলে তিনি দেখেন গোয়ালঘরে কোন গরু নেই। এর পরেই তার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন তার বাড়িতে আসে এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও গরুগুলোর কোন খোঁজ পাননি।

কৃষকরা জানায়, এর আগে গত শুক্রবার রাতে উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের তারাকান্দী গ্রামের কৃষক আলফাজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে একটি গরু চুরি হয়েছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ খাঁনের চারটি গরু চুরি হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। আর গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মুরাদ মিয়ার খামার থেকে ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য ৪ লাখ টাকা।

জানতে চাইলে কাঁচিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন খাঁন কনক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত থেকে গরু আমদানী বন্ধ হওয়ায় দেশী গরু পালনে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। এ কারণে শুধু হাল চাষের জন্য নয় ঈদকে সামনে রেখে অনেক কৃষক গরু পালন করছে। কিন্তু একের পর এক গরু চুরির ঘটনায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। আমরা প্রশাসনকে গরু চোর চক্রকে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়েছি।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দীন বলেন, গরু চুরি হওয়ার বিষয়ে অনেক ক্ষেত্রেই কৃষক থানায় কোন অভিযোগ করেনা। ফলে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। গরু চুরি রোধে স্থানীয়ভাবে পাহারার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৫, ২০২২ ১২:০৩ অপরাহ্ন
সংগীত প্রযোজনা ছেড়ে খামারে উদ্যোক্তা রায়হান
প্রাণিসম্পদ

উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে বীরগঞ্জের চৌপুকুরিয়া গ্রাম। বছর দশেক আগে সংগীত প্রযোজনা ছেড়ে খামারে নামেন এ গ্রামের যুবক রায়হান হোসেন রিন্টু। ৯ একর জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে অহনা অ্যাগ্রো ফার্ম।

ফার্মে খোলামেলা পরিবেশে গরু লালনপালন করা হয়। এ ফার্মের উৎপাদিত দুধ সম্পূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত। অহনা অ্যাগ্রো ফার্মকে বলা হয় একটি আদর্শ খামার।

পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় দীর্ঘ তিন বছরে আটটি গরুতে রায়হানকে লোকসান গুনতে হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। পরে ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় সফল হন তিনি।

ফার্মের বর্তমান অবস্থানে সন্তুষ্ট হলেও এখানেই থেমে থাকতে চান না রায়হান হোসেন। তাঁর পথ অনুসরণ করে আরও অনেকে এখন খামার গড়ে তুলেছেন। নিজে প্রতারিত হলেও অন্যদের ব্যাপারে সব সময় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। সেই সঙ্গে দেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ।

দুধ উৎপাদনের পাশাপাশি রায়হান শুরু করেন প্রাকৃতিক জৈব সার উৎপাদন। ২০১৫ সালে শুরু করেন মাছ চাষ। ভেজালমুক্ত উৎপাদনের জন্য নিজের খামারেই ঘাস উৎপাদন শুরু করেন।

বর্তমানে রায়হান হোসেনের খামারে প্রতিদিন প্রায় ১০০ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। বীরগঞ্জ থেকে দুধ নিয়ে দিনাজপুর শহরে এনে বিক্রি করেন তিনি। শহরের সচেতন মানুষ রায়হানের খামারের দুধের বড় গ্রাহক। বর্তমানে অহনা অ্যাগ্রো খামারে দুধের পাশাপাশি ঘি, পনির ও মাখন উৎপাদিত হচ্ছে।

চাকরির পেছনে না ছুটে যুবকেরা খামার, পশুপালন, কৃষিকাজ, মাছ চাষসহ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী কাজে নিয়োজিত করে বেকার সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে বলে মনে করেন রায়হান হোসেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৪, ২০২২ ৩:০৭ অপরাহ্ন
গরু মোটাতাজাকরণে জৈব পদ্ধতির ব্যবহার
প্রাণিসম্পদ

গরু মোটাতাজাকরণে ইনজেকশন কিংবা গ্রোথ হরমোন ছাড়া কোন বাস্তবসম্মত উপায় নাই বলে অনেকের ধারণা। কিন্তু এ্টি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং ইনজেকশনের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগে গরু মোটাতাজাকরণ ও সেই মাংস ভক্ষণ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এন্টিবায়োটিক কিংবা গ্রোথ হরমোনের ব্যবহার ছাড়াই জৈব পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণে জোর দিতে হবে।

জৈব পদ্ধতিতে গরুমোটাতাজাকরণ করার জন্য চাই খামারীর ইচ্ছাশক্তি আর সৎ উদ্দেশ্য তাহলেই বিভিন্ন এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার ব্যাতিত গরু মোটাতাজাকরণ করা সম্ভব। সেজন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করলেই চলবে।

মূলত গরুমোটাতাজাকরণ বলতে অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য ২ থেকে ৩ বছর বয়সের শীর্ণকায় গরুকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় খাদ্য সরবরাহ করে হৃষ্টপুষ্ট গরুতে রূপান্তরিত করাকেই বুঝায়।

গরুমোটাতাজাকরণের গুরুত্বঃ
দারিদ্রতা হ্রাসকরণ, অল্প সময়ে কম পুঁজিতে অধিক মুনাফা অর্জন, অল্প সময়ের মধ্যে লাভসহ মূলধন ফেরত পাওয়া, প্রাণীজ আমিষের ঘাটতি পূরণ, স্বল্পমেয়াদি প্রযুক্তি হওয়ার কারণে পশু মৃত্যুর হার কম, কৃষিকার্য হতে উৎপাদিত উপজাত পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে সহজেই মাংস উৎপাদন করা, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আয় বৃদ্ধি করা প্রভৃতি।

গরুমোটাতাজাকরণে জৈব পদ্ধতির ব্যবহার

মোটাতাজাকরণের সঠিক সময়:
বয়সের উপর ভিত্তি করে সাধারণত ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে গরু মোটাতাজাকরণ করা যায়। অনেক সময় ৫ থেকে ৬ মাসও সময় লাগতে পারে। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য সুবিধাজনক সময় হচ্ছে বর্ষা এবং শরৎকাল যখন প্রচুর পরিমাণ কাঁচাঘাস পাওয়া যায়। চাহিদার উপর ভিত্তি করে কোরবানী ঈদের ৫ থেকে ৬ মাস পূর্ব থেকে গরুকে উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা দিয়ে মোটাতাজাকরণ লাভজনক।

স্থান নির্বাচন:
গরু রাখার স্থান নির্বাচনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে:

১। শুষ্ক ও উঁচু জায়গা হতে হবে, যাতে খামার প্রাঙ্গণে পানি না জমে থাকে।

২। খোলামেলা ও প্রচুর আলো বাতাসের সুযোগ থাকতে হবে।

৩। খামারে কাঁচামাল সরবরাহ ও উৎপাদিত দ্রব্যাদি বাজারজাতকরণের জন্য যোগাযোগ সুবিধা থাকতে হবে।

৪। পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকতে হবে।

৫। সুষ্ঠু পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে।

গরু নির্বাচন:
উন্নত দেশের মাংসের গরুর বিশেষ জাত রয়েছে। বিদেশি গরুর জন্য উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। তাই দেশীয় গরু মোটাতাজাকরণ অলাভজনক। ২ থেকে ২.৫ বছরের গরুর শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন মোটাতাজাকরণের জন্য বেশি ভাল। এঁড়ে বাছুরের দৈহিক বৃদ্ধির হার বকনা বাছুরের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তবে বাছুরের বুক চওড়া ও ভরাট, পেট চ্যাপ্টা ও বুকের সাথে সমান্তরাল, মাথা ছোট ও কপাল প্রশস্ত, চোখ উজ্জ্বল ও ভেজা ভেজা, পা খাটো প্রকৃতির ও হাড়ের জোড়াগুলো স্ফীত, পাজর প্রশস্ত ও বিস্তৃত, শিরদাড়া সোজা হতে হবে।

গরুর খাদ্যের ধরণ:
খাদ্যে মোট খরচের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ব্যয় হয়। তাই স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত খাদ্য দ্বারা খরচ কমানো সম্ভব। এজন্য গরু মোটাতাজাকরণের একটি সুষম খাদ্য তালিকা নিচে দেওয়া হল:

ক) শুকনো খড়: দুই বছরের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনো খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে একরাত লালীগুড়/চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে প্রতিদিন সরবরাহ করতে হবে।

পানি: চিটাগুড় = ২০ : ১।

খ) কাঁচাঘাস: প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি তাজা ঘাস বা শস্যজাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কালাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি সরবরাহ করতে হবে।

গ) দানাদার খাদ্য: প্রতিদিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যে তালিকা দেওয়া হল:১. গম ভাঙা/গমের ভূসি-৪০ কেজি; ২. চালের কুঁড়া-২৩.৫ কেজি; ৩. খেসারি বা যেকোনো ডালের ভূসি-১৫ কেজি: ৪. তিলের খৈল/সরিষার খৈল-২০ কেজি; লবণ-১.৫ কেজি। তাছাড়াও বিভিন্ন রকমের ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি হচ্ছে ৩৯ ভাগ চিটাগুড়, ২০ ভাগ গমের ভূসি, ২০ ভাগ ধানের কুঁড়া, ১০ ভাগ ইউরিয়া, ৬ ভাগ চুন ও ৫ ভাগ লবণের মিশ্রণ।

রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:
ক. প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পশুর গা ধোয়াতে হবে;

খ. গো-শালা ও পার্শ্ববর্তী স্থান সর্বদা পরিস্কার রাখতে হবে:

গ. নিয়মিতভাবে গরুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে;

ঘ. বাসস্থান সর্বদা পরিস্কার রাখতে হবে।

ঙ. স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিমিত পরিমাণে পানি ও সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে।

চ. রোগাক্রান্ত পশুকে অবশ্যই পৃথক করে রাখতে হবে।

ছ. খাবার পাত্র পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

জ. খামারের সার্বিক জৈব নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে।

ঝ. পশু জটিল রোগে আক্রান্ত হলে পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বাজারজাতকরণ:
মোটাতাজাকরণ গরু লাভজনকভাবে সঠিক সময়ে ভাল মূল্যে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থাগ্রহণ হচ্ছে আরেকটি উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়। বাংলাদেশে মাংসের জন্য বিক্রয়যোগ্য গবাদিপশুর বাজারমূল্যেও মৌসুমভিত্তিক হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। কাজেই একজন প্রতিপালককে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য অবশ্যই গরুর ক্রয়মূল্য যখন কম থাকে তখন গরু ক্রয় করে বিক্রয়মূল্যের উর্ধ্বগতির সময়ে বিক্রয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণত কোরবানীর ঈদের সময়ে গরুর মূল্য অত্যাধিক থাকে এবং এর পরের মাসেই বাজার দর হ্রাস পায়। তাই এখন গরু মোটাতাজাকরণের উপযুক্ত সময় এবং কোরবানীর সময় তা বিক্রি করে দেওয়া ভাল।
সূত্র: আজকের কৃষি

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৪, ২০২২ ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
ছোট আকারের ছাগলের খামার থেকে লাভ করবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

ছোট আকারের ছাগলের খামার লাভজনক হওয়ার কারণে দিন দিন আমাদের দেশে ছাগল পালনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেউ কেউ ছাগলের খামার গড়ে তুলছেন।

ছোট আকারের ছাগলের খামার থেকে লাভবান হওয়ার উপায়:
সঠিক পদ্ধতি জেনে ছাগল পালন করলে ছোট খামার থেকেও সহজেই লাভবান হওয়ার যায়। নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

ছাগলের খামার থেকে লাভবান হওয়ার জন্য প্রথমেই উচ্চমানের ও ভালো জাতের ছাগল নির্বাচন করতে হবে। এজন্য খামারের জন্য ছাগল কেনার সময় জাত সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। ছোট খামারে ছাগল পালন করা হলে প্রতকেটি খরচের হিসাব রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে খামারে আয়ের তুলনায় যাতে ব্যয় বেশি না হয়। খামারে কোন কারণে ব্যয় বৃদ্ধি পেলে খরচ কমিয়ে আনতে হবে।

খামারে ছাগল পালন করে লাভবান হওয়ার জন্য ভালো খাদ্য ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে। ছাগলকে দৈনন্দিন সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করতে হবে। ছাগল পালনে খাদ্য খরচ কমানোর জন্য প্রয়োজনে খামারের আশপাশে পতিত জমিতে ঘাসের চাষ করতে হবে। ছাগলের খামার ছোট হলেও নিয়মিত খামারকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পালন করা ছাগলকে রোগমুক্ত রাখতে হবে প্রয়োজনে খামারে জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে।

লাভবান হওয়ার জন্য ছাগলের বাজার দর সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে। দাম কমার সময়ে ছাগল কিনতে হবে আর দাম বৃদ্ধি পেলে ছাগল বিক্রি করতে হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop