৮:৪৭ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ১৮, ২০২১ ৬:৪১ অপরাহ্ন
এ যেন ডিম গাছ
প্রাণ ও প্রকৃতি

রঙ্গন গাছে একসঙ্গে অনেকগুলো ফুল ধরবে, এমনটাই তো হওয়ার কথা। কিন্তু না, ওই গাছে ফুল না ধরে যেন ডিম ধরেছে! আর এই কাজটি করেছে রাতা।

রাতা রহমান। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমানের একমাত্র মেয়ে। পড়ে শেরেবাংলা নগর গার্লস স্কুলের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগে। স্কুল লম্বা সময় ধরে বন্ধ। তাই মা-ভাইসহ অবস্থান করছে বাবার কর্মস্থল কুমিল্লার শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর এলাকায়। সেখানে নানা রকম সৃজনশীল কাজ করে চলেছে সে।

আসল ঘটনা হলো বাসায় যে ডিম খাওয়া হয়, তার খোলস ঝুলিয়ে দিচ্ছে ফুলগাছের কাণ্ডে। শুরুতে দেখলে যে কেউ অবাক হবেন। ভাববেন, আসলেই বুঝি গাছে ডিম ঝুলে আছে! অনলাইন ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে গাছের ডালে ডালে নান্দনিক কারুকাজ, ছবি আঁকা, বাবার সঙ্গে ছুটির দিনে শাকসবজি চাষ ইত্যাদি করে এখন সময় পার করছে রাতা।

রাতা রহমান জানায়, ব্যতিক্রম কিছু করতে পারলে তার ভালো লাগে। অলস সময়ে তাই ময়নামতি জাদুঘরের রঙ্গন গাছের ডাল ছাঁটাই করে ডিমের খোসা লাগিয়ে দিয়েছে সে। এতেই দূর থেকে মনে হবে যেন গাছটিতে ডিম ধরেছে!

রাতা রহমান জানায়, ব্যতিক্রম কিছু করতে পারলে তার ভালো লাগে। অলস সময়ে তাই ময়নামতি জাদুঘরের রঙ্গন গাছের ডাল ছাঁটাই করে ডিমের খোসা লাগিয়ে দিয়েছে সে। এতেই দূর থেকে মনে হবে যেন গাছটিতে ডিম ধরেছে!

জাগোনিউজ২৪

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৬, ২০২১ ১০:২৩ অপরাহ্ন
পাখির ছানা খেয়ে ফেলা রাক্ষুসে ইঁদুর
প্রাণ ও প্রকৃতি

শেখ আনোয়ার: পাখির ছানা খেয়ে সাবাড় করছে একদল রাক্ষুসে ইঁদুর। এই ইঁদুরের উপদ্রবে পাখিদের কয়েকটি প্রজাতি আজ বিলুপ্ত হতে চলেছে। মানুষ এই বিশাল আকৃতির ইঁদুর কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। রাক্ষুসে ইঁদুর বিনাশ করার উপায় বের করা নিয়ে বিজ্ঞানী ও প্রশাসন এখন খুবই চিন্তিত।

দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝে, কেপ টাউন থেকে ১৫ শ মাইল অদূরে অবস্থিত সামুদ্রিক পাখির বসবাসের সবচেয়ে বড় দ্বীপের নাম গফ আইল্যান্ড। এই আইল্যান্ডকে জুরাসিক পার্কের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এখানে লাখ লাখ সাগর পাখি বসবাস করে। প্রতিবছর কমপক্ষে দশ লাখ আলবাট্রোস, পেট্রেল এবং শিয়ার ওয়াটার নামক পাখি জন্ম গ্রহণ করে। দ্বীপটি বিশ্বের বুকে ঐতিহ্যবাহী দ্বীপ হিসেবে ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের সন্মাননা অর্জন করেছে ।

দক্ষিণ আটলান্টিকের সাগরের পাখির কলোনি খ্যাত এই গফ আইল্যান্ডে ২২ প্রজাতির সাগর পাখি এবং দুই প্রজাতির সাধারণ গাছ পাখি বাস করে। এখানে আলবাট্রোস পাখির শরীরের আয়তন থেকে অনেক বড় ত্রিসতান আলবাট্রোস নামক প্রজাতির পাখি বিশ্বে শুধু এখানেই দেখা যায়। এই পাখির ছোট ছোট বাচ্চা, ডিম খেয়ে সাবার করছে রাক্ষুসে খাদক, প্রকাণ্ড সাইজের সব ইঁদুরগুলো।

ইঁদুরগুলো স্বাভাবিক ইঁদুর থেকে ৫০ শতংশ বড়। ড্রোন ভিডিও চিত্র পরীক্ষা করে ২০২০ সালে প্রথম বিজ্ঞানীরা দেখেন সাগর পাখির বাচ্চাগুলো কিভাবে ধ্বংস করছে রাক্ষুসে ইঁদুর? ইঁদুরগুলো এমনই শক্তিশালী রাক্ষুসে যে, ইঁদুরের নিজেদের শরীরের চেয়ে বড় বড় প্রাণি শিকার করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এই রাক্ষুসে ইঁদুর ধ্বংস করা না হলে অচিরেই সাগরের পাখির বংশ নির্বংশ-ধ্বংস হয়ে যাবে।’

ধারণা করা হয়, উনিশ’শ শতকের আগে নাবিকদের মাধ্যমে গফ আইল্যান্ডে প্রথম ইঁদুর আসে। তাই উনিশ’শ শতকে যখন মাছ শিকারের জাহাজের আসা বন্ধ করা হয় তখন থেকেই এই সামুদ্রিক পাখিগুলো রক্ষা পাচ্ছিলো শিকারীদের হাত থেকে। কিন্তু ততোদিনে জাহাজের সঙ্গে কয়েক’শ রাক্ষুসে ধারী ইঁদুর এই দ্বীপে ঢুকে বংশ বৃদ্ধি করায় এই বিপত্তি ঘটেছে।

রাক্ষুসে ইঁদুর এখন পুরো আইল্যান্ড দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। বেশিরভাগ ইঁদুরই এখন খুঁজে বেড়াচ্ছে নতুন খাবারের উৎস। তাই যখনই কোনো গাছের কোটরে তারা পাখির ছানার সন্ধান পেয়ে যায়, তখনই মিটে যায় তাদের খাবারের সমস্যা।

গফ আইল্যান্ডের আয়তন লম্বায় আট কিলোমিটার ও চওড়ায় ছয় কিলোমিটার। সমুদ্রের উকূলবর্তী এই দ্বীপে বাস করে সাগরের শান্তি কপোত নামে পরিচিত আলবাট্রোস পাখি। এই দ্বীপের গাছের কোটরে এই পাখি বাসা বাঁধে এবং প্রজনন মুহূর্তে ডিম পেড়ে বাচ্চা জন্ম দেয়। আলবাট্রোসের ছানাগুলো প্রায় আটমাস ধরে খাবারের জন্য তাদের বাবা-মার প্রতীক্ষা করে।

এই ছানাগুলো একেকটি ইঁদুরের চেয়ে প্রায় আড়াই’শ গুণ বেশি ওজন সম্পন্ন। ছানাগুলো লম্বায় আধা মিটার। তা সত্বেও বিশাল আকৃৃতির ইঁদুরের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার মতো মোটেও শক্তি বা ক্ষমতা নেই ওদের। একসঙ্গে দশ বারোটি রাক্ষুসে ইঁদুর যখন এদের একেকটিকে আক্রমণ করে তখন আলবাট্রোস পাখির ছানাগুলোর কিছুই করার থাকে না। আলবাট্রোস পাখির ছানাগুলো ইঁদুরের পেটে চলে যায় খাবার হয়ে।

এমনিতেই পৃথিবী থেকে আলবাট্রোস পাখির অস্তিত্ব প্রায় হুমকির সন্মুখীন। প্রতিবছর মাছ ধরা নৌকার জেলেরা প্রায় এক লাখ আলবাট্রোস পাখি শিকার করে। শিকারীদের এ অঞ্চলে আসা নিষিদ্ধ করা হলেও ইঁদুরের হাত থেকে পাখি রক্ষা করার কোনো উপায় পাচ্ছে না দ্বীপটির রক্ষা কমিটি। সে কারণে এই আলবাট্রোস পাখির আর মাত্র কয়েকটি প্রজাতি কোন মতে এ দ্বীপে বেঁচে রয়েছে।

গফ আইল্যান্ডের এই রাক্ষুসে ইঁদুর ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের ছয়টি উপসাগরীয় অঞ্চলের বন্যপ্রাণিদের জন্যেও ভয়ানক ভয়ের সৃষ্টি করেছে। এই ইঁদুর কিভাবে বিনাশ করা যায় সে ব্যাপারে উপায় বের করার জন্য রয়েল সোসাইটি সর্ব সাধারণের সাহায্য কামনা করেছে।

এজন্যে বাষট্রি হাজার পাউন্ড অর্থ বিশেষ পুরস্কার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যিনি ইঁদুর নিধন করতে উপায় বের করতে পারবেন তার ভাগ্যেই জুটবে এই পুরস্কারের অর্থ। ড. রিচার্ড কাবার্ট নামের এক জীববিজ্ঞানী ইতোমধ্যে উপায় বের করেও ফেলেছেন। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে ইতিপূর্বে এই জাতীয় ইঁদুর নিধনের জন্যে বিষ ব্যবহার করা হয়েছিলো।’

তিনি বলেন, ‘ইঁদুর মারতে বিষাক্ত বড়ি হেলিকপ্টার থেকে গফ আইল্যান্ডে ফেলা হবে। এই বড়ি অন্য কোনো পাখি বা প্রাণি খায় না। যা শুধু ইঁদুরে খায়।’

বিজ্ঞানী ড. রিচার্ড কাবাট বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে, এভাবেই বিশ্বের বিভিন্ন দ্বীপে ক্ষতিকর প্রাণি কীটপতঙ্গ নিধন করা হয়।’ তাই বিষ ব্যবহারের বিষয়টি ভেবে দেখার আহবান জানান তিনি। ‘এই ইঁদুরের মধ্যে নানাবিধ রোগ ব্যাধি ছড়িয়ে দিলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ইঁদুরের বংশ নির্বংশ করা সম্ভব হতে পারে’ বলেও তিনি জানান।

গফ আইল্যান্ডের রাক্ষুসে ইঁদুর থেকে পাখি বাঁচাতে ইঁদুর নিধনের বিষ কিনতে আর্থিক সাহায্যের জন্য গঠিত হয়েছে চ্যারিটি ফান্ড। ইঁদুর মারতে পাখি বাঁচাতে যে কোন ব্যক্তি এই ফান্ডে আর্থিক সাহায্য দিতে পারেন। হয়তো এভাবেই একদিন ধ্বংস হবে রাক্ষুসে ইঁদুর। বেঁচে যাবে গফ আই্যান্ডের বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির সাগরের লাখ লাখ শান্তির কপোত আলবাট্র্রোস পাখি।

লেখক: বিজ্ঞান লেখক ও গবেষক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৫, ২০২১ ১:০৯ অপরাহ্ন
ফুল চাষে অধিক লাভ পেতে করণীয়
প্রাণ ও প্রকৃতি

ফুল বলতেই যেন ভালোবাসার আদান প্রদান। তবে এই ফুল এখন কেবল ভালোবাসার আদান প্রদানের জন্য না। এটি দিয়ে এখন হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবেও লাভবান হচ্ছে চাষিরা। আর দেশের অর্থনৈতিক দিককেও অনেকটা সাপোর্ট দিচ্ছে এই ফুল। এই ফুল যদি হয় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি চাষাবাদ তাহলে আরো অর্জন হবে অর্থ। স্বাবলম্বী হবে চাষিরা।

আমাদের দেশে হরেক রকম ফুল রয়েছে। তম্মধ্যে- গোলাপ, গাঁদা, চামেলি, বেলি, জুঁই, শেফালি, রজনীগন্ধা, গন্ধরাজ, গ্লাডিওলাস, শেফালি, দোপাট্টি, হাসনা-হেনা, চন্দ্রমলি্লকা, ডালিয়া, রঙ্গন, দোলনচাঁপা, কনকচাঁপা, অপরাজিতা জবা, মালতি, কামিনী ইত্যাদি। কিছু কিছু ফুল আছে দীর্ঘজীবী এবং কিছু মৌসুমী। সব ফুলেরই বাণিজ্যিকভাবে প্রায় সমান গুরুত্ব রয়েছে।

কিছু কিছু ফুল এমনিতেই জন্মে আবার। কিছু কিছু ফুলের চাষ করতে হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, রঙ্গন, গ্লাডিওলাস ইত্যাদি খুলনা ও যশোরসহ কয়েকটি অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। অনেকের কর্মসংস্থান হচ্ছে।

রোপণের সময়: অধিকাংশ ফুলের বীজ, চারা, কলম বা কন্দ অশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত রোপণের উপযুক্ত সময়।

জমি নির্বাচন: এমন জমি নির্বাচন করতে হবে যেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস পায়। উঁচু দো-আঁশ মাটি ফুল চাষের জন্য উপযোগী। মনে রাখতে হবে, ফুল চাষের জন্য জমি নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাগানের আকার-আকৃতি মানানসই হলে ভালো দেখায়।

বেড়া দেয়া: গবাদি পশুর বা অবাঞ্ছিত আক্রমণ থেকে ফুল গাছকে বাঁচাতে হলে শক্ত বাঁশের বা কাঁটাতার বা লোহার বেড়া দিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে গরু-ছাগল যেন সে বেড়া ভেঙ্গে না ফেলে।

জমি তৈরি ও চারা রোপণ: জমির পরিমাণ বেশি হলে বিভিন্ন জাতের ফুলের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা ভাগ করে পরিকল্পনা মাফিক চারা রোপণ করতে হবে। কন্দ, চারা বা কলম রোপণের ২০ থেকে ২৫ দিন আগে জমি ভালোভাবে কুপিয়ে উপযুক্ত ও পরিমিত সার দিতে হবে।

এসব সারের মধ্যে রয়েছে,- পচা গোবর, টিএসপি, হাঁড়ের গুঁড়া, এম.পি. ইউরিয়া, খৈল, চায়ের উচ্ছিষ্টাংশ, ছাই ইত্যাদি মিশিয়ে মাটি ঝরঝরে করতে হবে। সার প্রয়োগে জৈব সারের প্রাধান্য দেয়া উচিত। সব সময় স্বাস্থ্যবান ও নিরোগ চারা বা কন্দ লাগাতে হবে। চারা লাগিয়ে উপরে চাপ না দিয়ে পাশের মাটি চাপ দিয়ে শক্তভাবে চেপে দিতে হবে এবং প্রয়োজনমত পানি দিতে হবে। চারাভেদে খুঁটি পুঁতে চারার গায়ে বেঁধে দিতে হবে।

ফুল গাছের বা বীজ যেখানে পাবেন: শহরে বা গ্রামে বর্তমানে ভালো নার্সারিতে উন্নতজাতের বীজ, কলম ও চারা পাওয়া যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে যোগাযোগ করলে চারা পাওয়া যাবে।

ফুল সংগ্রহ: ফুল সম্পূর্ণ ফোটার আগে ডাঁটাসহ কেটে ফুল সংগ্রহ করা যায়। ডাঁটার নিচের অংশ পানিতে ডুবিয়ে রাখলে ফুল সজীব থাকে। মান ভালো রাখার জন্য ডাঁটাসহ ফুল আঁটি বেঁধে পরিপাটি করে কালো পলিথিনে মুড়ে বাজারে পাঠাতে হবে।

টবে ফুল চাষ: জমির অভাবে দালানের ছাদে, বারান্দার টবে সৌখিন বা বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্নজাতের বা রঙের গোলাপ ও গাঁদা। এছাড়া ডালিয়া, রঙ্গন, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, বিভিন্ন আর্কিড, নানাজাতের আকর্ষণীয় ক্যাকটাস ও বনসাই।

যেভাবে পরিচর্যা করতে হবে: আগাছা নিড়ানী দিয়ে তুলে ফেলতে হবে এবং গোড়ার মাটি মাঝে-মধ্যে আলগা করে দিতে হবে। প্রয়োজনে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। পিঁপড়া ও মাকড়সার আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষার জন্য হিপ্টেক্লোন-৪০ পরিমাণমতো দেয়া যায়। সাধারণ পোকার জন্য মেলতিয়ন বা ডাইমেক্রন ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে। রোগ অনুযায়ী প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে।

সার প্রয়োগের কলাকৌশল জেনে চাহিদামতো কয়েক দফা সুষম সার ও সেচ দিতে হবে। ফুল ধরার বেশ আগে থেকেই বিশেষ যত্ন নিতে হবে। ফুলের পরিমাণ ও মান উভয় দিকেই খেয়াল রাখা দরকার। গাছভেদে পুরানো ও রোগা ডাল-পালা ছাঁটাই করে দিতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১২, ২০২১ ৭:০২ পূর্বাহ্ন
বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম সূর্যডিম‘র ফলন হচ্ছে বাংলাদেশে
প্রাণ ও প্রকৃতি

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে চাষ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম, যার প্রতি কেজি খুচরা বাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আম ৫০০০-৬০০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

যেখানে বাংলাদেশের বাজারে প্রচলিত আমের দাম প্রতি কেজি জাতভেদে ৪০ থেকে ১০০ টাকাতেই পাওয়া যায়।দামি এই আমটি বাংলাদেশের কোন জাত নয়। আমটি জাপানি প্রজাতির বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তবে এটি বিভিন্ন দেশে চাষ হচ্ছে।

জাপানি ভাষায় আমটিকে বলা হয় ‘মিয়াজাকি’। বিশ্ববাজারে এটি ‘রেড ম্যাঙ্গো’ বা ‘এগ অব দ্য সান’ নামেও পরিচিত।তবে বাংলায় এই আমটি পরিচিতি পেয়েছে “সূর্যডিম” নামে।

এই আমের গড়ন সাধারণ আমের চাইতে বড় ও লম্বা, স্বাদে মিষ্টি এবং আমের বাইরের আবরণ দেখতে গাঢ় লাল অথবা লাল-বেগুনির মিশ্রণে একটি রঙের।

একেকটি আমের ওজন ৩৫০ থেকে ৪৫০ গ্রামের মতো বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।সে হিসেবে বাংলাদেশের বাজারে একেকটি আমের দামই পড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। মূলত চাহিদা মোতাবেক যোগান কম থাকা, মিষ্টা স্বাদ, ভিন্ন রঙ এবং চাষপদ্ধতির কারণে আমটির দাম এতো বেশি।

দামি এই আমটি চাষ করে ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছেন খাগড়াছড়ির কৃষক হ্ল্যাশিংমং চৌধুরী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কৃষিকাজকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।

খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে মহলছড়ি উপজেলা। ওই উপজেলার ধুমনিঘাট এলাকায় ১২শ ফুট উঁচুতে ৩৫ একর জায়গাজুড়ে নিজ উদ্যোগে তিনি গড়ে তুলেছেন হরেক রকম ফলের বাগান। নাম দিয়েছেন ‘ক্রা এএ এগ্রো ফার্ম’। সেই বাগানের একটি অংশেই চাষ করছেন ‘সূর্যডিম’ আম।

২০১৭ সালে তিনি প্রথম ভারত থেকে এই আমের ১০/১৫টি চারা কিনে নিজ বাগানে রোপণ করেন। দুই বছরের গাছ বড় হয়ে ওঠে এবং ২০১৯ সাল থেকে তিনি আম তোলা শুরু করেছেন।

তিনি জানান, মা গাছ থেকে চারা রোপণ করে বাগানের পরিধি বাড়িয়েছেন। এখন তার বাগানে সূর্যডিমের ১২০টির মতো গাছ রয়েছে। যেগুলোর উচ্চতা ৬/৭ ফুটের মতো।

চারাগুলো যত্ন করে পালন করায় এরমধ্যে প্রায় ৫০টি গাছে তিন চার বছর ধরে ফলন হচ্ছে, যা থেকে প্রতি বছর ৩শ থেকে ৪শ কেজি আম হয় বলে জানিয়েছেন মি. হ্ল্যাশিংমং। যদিও বিরূপ আবহাওয়া এবং পানি স্বল্পতার কারণে এই আম চাষে তাকে বেশ বেগ পেতে হয় বলে তিনি জানান।

সূর্যডিম আম সাধারণত মে মাসের ২০ থেকে ২৫ তারিখে পাকা শুরু হয় এবং জুনের ১৫ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত পাওয়া যায়। চলতি বছর একটি লম্বা সময় খরা মৌসুম থাকায় এবার আম চলে এসেছে সময়ের আগেই।

তিনি বলেন, এই আম চাষে নিতে হয় বিশেষ যত্ন। পরিমিত আলো, পানি, ছায়া সরবরাহের পাশাপাশি, প্রতিটি আম প্যাকেট দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়।

আম তোলার পর গরমের কারণে সেগুলো বেশিক্ষণ নিজের কাছে রাখতে পারেন না। দ্রুত বিক্রি করে দিতে হয়। এখনও এই আমের ক্রেতা খুব হাতে গোনা কিছু সৌখিন আমপ্রিয় মানুষ বলে জানা গেছে।

মি. হ্ল্যাশিংমং কিছু আম উপহার হিসেবে দিয়ে দেন এবং কিছু আম অনলাইনের বিভিন্ন পেইজে বিক্রি করেন। প্রতি কেজি আম ৩০০ থেকে ৫০০টাকায় বিক্রি করলেও এই আম খুচরা বাজারে গিয়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়।

হ্ল্যাশিংমং তার বাগানে প্রায় ৬০ জাতের আম সেইসঙ্গে ড্রাগনফল, রামবুটান, থাইলংগান, মালটাসহ প্রায় ১৫০ জাতের প্রচলিত-অপ্রচলিত-বিলুপ্ত জাতের ফল চাষ করে আসছেন। তবে পাহাড়ে ‘সূর্যডিম’ আমের চাষ এবারই প্রথম।

সরকারিভাবেও পুরষ্কৃত কৃষক মি. হ্ল্যাশিংমং-এর পরিকল্পনা- এই আমের ফলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে একে একটি রপ্তানিযোগ্য পণ্যে পরিণত করা।

তিনি বলেন, “আমি চাই এই ফলের আবাদ সারা বাংলাদেশে হোক। আমি কৃষকদের বিনা পয়সায় বা নামমাত্র দামে চারা দিচ্ছি। সবাই যদি চাষ করে এই আমের ফলন বাড়ায়, তাহলেই দেশের চাহিদা মিটিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে। এটা আমার একার পক্ষে সম্ভব না।”

তবে তার বাগানে যে আমের ফলন হচ্ছে সেটা বিশ্বমানের কিনা, এর স্বাদ জাপানের উৎপাদিত মিয়াজাকি আমের মতো কিনা, সেটা তিনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন।

সেখান থেকে ফলাফল এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা তিনি জানান।

পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি ও আবহাওয়া মিয়াজাকির ফলনের জন্য উপযোগী। এই আম আরও কয়েকটি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ফলানো হচ্ছে।

এই আমের বাণিজ্যিক ফলন হলে কৃষকদের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তবে পাহাড়ি এলাকার প্রচলিত আম আম্রপালির ফলন ও বাণিজ্যিক প্রসারের দিকেই এখন বেশি মনোযোগ দেয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম। সূত্র: বিবিসি বাংলা

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৯, ২০২১ ৩:৪৪ অপরাহ্ন
কুমিল্লার বাগানে ঝুলছে নুতন তিন জাতের আম
প্রাণ ও প্রকৃতি

কুমিল্লার লাঙ্গলকোটের মাইরা গাঁওয়ের ইতালি প্রবাসী মোহাম্মদ বাহাদুরের ইউরো-বাংলা এগ্রো ফার্মে ঝুলছে আমের নতুন তিন জাত। তিনি প্রায় তিন বছর আগে এসব গাছ লাগালে এবার ফল ধরা শুরু করছে। এই তিন জাতের আমের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত কেনসিংটন প্রাইড (Kensington Pride), ইউরোপসহ সারাবিশ্বে খ্যাত গ্লিন ম্যাংগো (Glenn mango) এবং অস্টিন ম্যাংগো (Osteen Mango)।

মোহাম্মদ বাহাদুর জানান, ‘জীবিকার তাগিদে ২০০৪ সালে ইতালি পাড়ি দিয়েছিলাম। গত ১৭ বছর ধরে কাজ করেছি ইতালির বিভিন্ন শহরে। ঘুরেছি ইউরোপের কয়েকটি দেশ। দেখেছি হরেক রকমের ফলের বাগান। একসময় মনে হয়েছে, বিদেশি এই সুস্বাদু ফলমূলের জাত নিয়ে যাব দেশে। সেই চিন্তা থেকেই নতুন নতুন প্রজাতির ফল গাছ নিয়ে এসেছি।’

বাহাদুর জানান, গত চার বছর ধরে দেশে বিভিন্নভাবে পাঠাতে থাকেন বিদেশি হরেক রকমের ফলের নতুন জাত। এর মধ্যে দেশে এসে যোগাযোগ করেছেন উচ্চপর্যায়ের কৃষিবিদদের সঙ্গে। নিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ। কোন জাত দেশে নেই এবং কোন জাত আনলে দেশের মাটিতে ভালো ফল পাওয়া যাবে, সেই বিষয়েও পরামর্শ নিয়েছেন।

এখন পর্যন্ত ইতালি, অস্ট্রেলিয়া এবং স্পেন থেকে এনেছেন নয়টি বিশ্ববিখ্যাত আমের জাত, ২০৪ প্রজাতির সাইট্রাস, ১৫৭ প্রজাতির ত্বীন (ডুমুর), ২৪ প্রজাতির পার্সিমন, নতুন জাতের আলুবোখারা। এই সব ফলের চাষ শুরু করেছেন নওগাঁর সাপাহারের একটি বাণিজ্যিক ফলের বাগান এবং নিজ গ্রামের ইউরো-বাংলা এগ্রো ফার্মে।

কোনো পরিচিত প্রবাসী শ্রমিক দেশে যাচ্ছেন শুনলেই তার হাতে পাঠিয়েছেন এসব মূল্যবান ফলের জাত। ‘যেসব উদ্ভিদের ফল ভালো পাব, সেই সব জাতের চারা তৈরি করে দেশব্যাপী সম্প্রসারণের ইচ্ছা আছে আমার’, বলেন বাহাদুর।

নতুন জাতের উদ্ভিদ দেশে আনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম মানা হয়েছে কিনা? জানতে চাইলে বাহাদুর জানান, ‘যেসব বাগান থেকে চারা বা সায়ন সংগ্রহ করা হয়েছে, সেখানেই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ার পানির সঙ্গে মিশিয়ে চারা বা সায়ন বিশুদ্ধ করে দেশে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প’র পরিচালক ড. মো. মেহেদী মাসুদ জানান, ‘বাহাদুর দেশের জন্য অনেক ভালো কাজ করছেন। আমি তার সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে জানি। গত কয়েক বছরে বিদেশ থেকে তিনি অনেক ধরনের ফলের গাছ দেশে নিয়ে এসেছেন।’

‘যে কাজটা গবেষক, কৃষিবিদদের করার কথা ছিল, সেই কাজ বাহাদুর করছেন। ইতোমধ্যে দেশের কৃষিতে তার অবদান উল্লেখ করার মতো’, বলেন মেহেদী মাসুদ।

তিনি বলেন, ‘নতুন জাতের এই ফলগুলো বিভিন্ন হর্টিকালচার সেন্টারের নানারকম পরীক্ষার মাধ্যমে সম্প্রসারণ করা উচিত।’

কেনসিংটন প্রাইড সম্পর্কে মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘এই আমকে সংক্ষেপে কেপি বলা হয়। অস্ট্রেলিয়া এই আম সারাবিশ্বে রপ্তানি করে। ২০১৮ সালে আমি প্রথম অস্ট্রেলিয়া থেকে এই আমের জাত নিয়ে আসি। এখন কাশিয়ানী হর্টিকালচার সেন্টারে এ বছর ১০টি গাছে প্রচুর পরিমাণ ফল ধরেছে। বাহাদুর এই জাত এনেছেন ২০১৯ সালে।’

নতুন জাতের এসব ফলের পুষ্টিগুণ এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা জানতে চাইলে এই কৃষিবিদ বলেন, ‘এসব আমের পুষ্টিগুণ ভালো এবং বিদেশে রপ্তানিযোগ্য। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাণিজ্যিক বাগান তৈরি হলে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন। তবে, স্বাদের দিক থেকে আমাদের দেশিয় হিমসাগর বা ল্যাংড়া আমের সমতুল্য নয়।’ সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৭, ২০২১ ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
বজ্রপাত থেকে বাঁচতে ২০টি জরুরি নির্দেশনা
প্রাণ ও প্রকৃতি

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর ২০টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. বজ্রপাতের ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
২. প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।
৩. খোলাস্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে যান।
৪. কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।
৫. খোলা জায়গায় কোনো বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেয়া যাবে না। গাছ থেকে চার মিটার দূরে থাকতে হবে।
৬. ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকতে হবে। বৈদ্যুতিক তারের নিচ থেকে নিরাপদ দূতত্বে থাকতে হবে।
৭. ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগগুলো লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
৮. বজ্রপাতে আহতদের বৈদ্যুতিক শকে মতো করেই চিকিৎসা দিতে হবে।
৯. এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রপাত বেশি হয়। এই সময়ে আকাশে মেঘ দেখা গেলে ঘরে অবস্থান করুন।
১০. যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
১১. বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকবেন না এবং ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
১২. ঘন-কালো মেঘ দেখা গেলে অতি জরুরি প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাইরে বের হতে পারেন।
১৩. উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, তার, ধাতব খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
১৪. বজ্রপাতের সময় জরুরি প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।
১৫. বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
১৬. কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।
১৭. বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।
১৮. বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।
১৯. বজ্রপাতের সময় গাড়ির মধ্যে অবস্থান করলে, গাড়ির থাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে গাড়িটিকে নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
২০. বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৬, ২০২১ ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
আমে ভরা পাহাড়, বিক্রিতে দুশ্চিন্তা চাষিদের!
প্রাণ ও প্রকৃতি

আবহাওয়া ভালো থাকায় খাগড়াছড়ির রামগড়ে আম্রপালি, রুপালি, মল্লিকা, ল্যাংরা, গোপালভোগ, মোহনভোগ প্রভৃতি জাতের থোকায় থোকায় দোল খাচ্ছে। তবে আম বাজারে পৌঁছানো যায় কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় পাহাড়ের আম চাষিরা। বাগান মালিকদের পাশাপাশি ছোটখাটো চাষিদের মাঝেও এখন দুশ্চিন্তা।

জানা যায়, রামগড়ের তৈছালা, পাতাছড়া, নাকাপা এবং খাগড়াবিল এলাকার পাহাড়ে আমের প্রচুর ফলন হয়। একসময় সনাতন পদ্ধতিতে আম চাষে ফলন বেশি পাওয়া যেত না। পরবর্তীতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষাবাদ শুরু হয়। এতে ফলন বেড়ে যায়। কয়েক বছর ধরে পাহাড়ে বৈজ্ঞানিকভাবে আম চাষ হচ্ছে। শত শত হেক্টর জমিতে চলছে আমের উৎপাদন। আমবাগানের পাশাপাশি আনারস, লেবু, লিচুসহ নানা ফলের ভান্ডার হয়ে উঠছে পাহাড়।

কিন্তু এসব ফল বাজারজাতে এবার সংকট তৈরি হতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে আম বিক্রির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা কতটুকু করা যাবে তা নিয়ে সংশয়ে সংশ্লিষ্টরা। বড় বড় বাগান কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা আছে এমন বাগান মালিক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ উদ্যোগ নিলেও ছোটখাটো মালিকরা আছেন শঙ্কায়। বর্তমানে তীব্র গরম পড়ছে। পাকা ফল কিভাবে বিক্রি করবেন, ন্যায্য দাম পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগে তারা। পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে রামগড়ের নানা স্থানে আম্রপালি, রাংগোয়াই (মিয়ানমারের জাত), থাই এবং স্থানীয় জাতের আমের ভালো ফলন হয়েছে।

বাগান মালিকরা জানান, গতবারের চেয়ে ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আম ঠিকভাবে বাজারে পৌঁছানোর ওপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করছে। তারা বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বেপারিরা রামগড় এসে আম কিনে নিয়ে যায়। তবে বিশ্বব্যাপী করোনার যে সংকট দেখা দিয়েছে তাতে তারা উদ্বিগ্ন। করোনা পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে শহর থেকে ব্যাপারীরা কিভাবে আম পরিবহন এবং সংরক্ষণ করবেন তা নিয়ে চিন্তিত। এসব বিষয়ের ওপর পাহাড়ের হাজার হাজার মানুষের ভাগ্য নির্ভর করছে।

রামগড় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, এবার আমের ভালো ফলন হয়েছে। আমচাষে অল্প সময়ে ফলন পাওয়া যায়। ২/৩ বছর বয়স থেকে আমের ফলন শুরু হয়। দীর্ঘসময় পর্যন্ত টানা ফলন পাওয়া যায়। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি আমচাষের জন্য উপযোগী। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নানা জাতের আমের চাষ করায় প্রতিটি বাগান এখন অতীতের তুলনায় সমৃদ্ধ। বিষমুক্ত আমের চাষ হচ্ছে পাহাড়ে-পাহাড়ে।

এখন প্রচুর কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বেপারিরা কাঁচা আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। যেসব আম ঝড়ে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে সেসব আম কাঁচা বিক্রি করা হলেও গাছে গাছে থোকায় থোকায় আম ঝুলছে। যেগুলো পাকলে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের নানা স্থানে বিক্রি হয়। দেশের আমের চাহিদার কিছু অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম যোগান দেয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৫, ২০২১ ৭:২৪ অপরাহ্ন
পাখির জন্য মাটির হাঁড়ি বসালো কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপ
প্রাণ ও প্রকৃতি


তানজির রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পাখিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় তৈরির লক্ষ্যে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মাটির হাঁড়ি বসালো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ভিত্তিক কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপ।

শনিবার সকালে গ্রুপপটির পক্ষ থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পাখির নিরাপদ আশ্রয়, পাখি রক্ষা ও তাদের বংশবৃদ্ধির জন্য হাঁড়িগুলো বসানো হয়েছে। হাঁড়িগুলোতে নিচে ছোট ছোট ছিদ্র করা হয়েছে। যার ফলে বৃষ্টির পানি ঢুকলেও নিচের ছিদ্রগুলো দিয়ে পড়ে যাবে। এবং বাসা গুলো দীর্ঘকাল টিকে থাকবে।

পাখির বাসার জন্য মাটির হাড়ি বসানোর সময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপের ক্রিয়েটর এ্যাডমিন সাংবাদিক শাহরিয়ার আলম সোহাগ, হলুদ সাগর, সাংবাদিক মিশন আলী, মডারেটর তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, তানভীর স্বাধীন প্রমুখ।

কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপের এ্যাডমিন সাগর জানান, পাখির নিরাপদ আশ্রয়, পাখি রক্ষা ও তাদের ডিম পাড়ার জন্য হাঁড়িগুলো বসানো হয়েছে। এতে ঝড়, বৃষ্টি, রোদ থেকে পাখিরা বাঁচবে। হাঁড়িগুলোতে বাসা বেঁধে বংশবিস্তার করতে পারবে পাখিরা। বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে পাখিরা। পর্যায়ক্রমে গ্রুপের পক্ষ থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মাটির হাঁড়ি বসানো হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন ভাবে সাধারণ মানুষ পাখি রক্ষার এই উদ্দোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৫, ২০২১ ২:৫৮ অপরাহ্ন
আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস
প্রাণ ও প্রকৃতি

আজ ৫ জুন, শনিবার; বিশ্ব পরিবেশ দিবস।পরিবেশ রক্ষার সচেতনতা এবং নতুন পদক্ষেপকে উৎসাহিত করতে জাতিসংঘ যথাযথ গুরুত্ব সহকারে পরিবেশ দিবস পালন করে। ১৯৭৪ সালে প্রথম এই দিবসটি অনুষ্ঠিত হয়। সামুদ্রিক দূষণ, মানব জনসংখ্যা, গ্লোবাল ওয়ার্নিং, বন্যপ্রাণের মতো পরিবেশগত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির স্বার্থে দিবসটি পালন করা শুরু হয়।

প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৫ জুন শনিবার বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে  এ দিবস।করোনাকালে প্রকৃতির কদর বেড়েছে অনেকাংশেই। তবে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে যুগ যুগ ধরে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে করোনাভাইরাসের এই মহামারীর মধ্যে সবুজ পৃথিবী গড়ার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন “করোনাভাইরাসের কারণে মানবজাতি ও অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রকৃতি যেন কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সারাবিশ্ব একসঙ্গে ‘লকডাউন’ হওয়ায় পরিবেশ দূষণ কমেছে, পৃথিবী একটি গাঢ় সবুজ গ্রহে পরিণত হয়েছে । এই মহামারী থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ একটি সবুজ-পৃথিবী সৃষ্টিতেই মনোনিবেশ করবে বলে আমার বিশ্বাস ।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৪, ২০২১ ৬:২৫ অপরাহ্ন
গাড়ি গাড়ি আম, নেই শুধু ক্রেতা!
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রতিদিন শত কোটি টাকার আমের বাণিজ্য হয়ে থাকে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের হাট বানেশ্বরে। আর এই সিজনে সেখানকার আম চাষীদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। সেখানে গাড়ি গাড়ি আম থাকলেও নেই কোন ক্রেতা।

কাটাখালী এলাকার সুজন আলী নামের স্থানীয় এক আমচাষি জানান, ‘আমাদের এখানে ক্রেতা অনেক কম। সাধারণ ক্রেতা নাই বললেই চলে। ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার যেসব বাইরের ব্যাপারিরা আছেন তারা আবার স্থানীয় ব্যাপারিদের সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। হাটে যখন দেখে আম অনেক বেশি তখন তারা দাম দিতে চাই না। আবার ৫২ কেজি আমে মণ হিসেব করে। এতে ১২ কেজিই পুরাই লস, এটা আমাদের চাষিদের জন্য বিশাল সমস্যা।’

বানেশ্বর বাজারের আবু সুফিয়ান নামের এক ব্যাপারি জানান, ‘বাইরের পার্টিরা ৪৫ কেজিতে মণ নেয়। কম দিলে নিতে চাই না। আবার ৪৫ কেজি আম পাঠালে সেটা পেকে গেলে ওজন কমে ৪৩ কেজি কমে যায়। তখন তারা আবার আপত্তি জানায়। তাই আমাদেরও এখানে চাষিদের কাছে থেকে মণপ্রতি বেশি নিতে হয়। তবে ৪৮ থেকে ৫২ কেজিতে মণ ধরার বিষয়টি সত্য নয়।’

জানায় যায়, রাজশাহীর হাইওয়েগুলোতে একের পর এক আমের ক্যারেট ভর্তি ভ্যান। তাদের গন্তব্য বানেশ্বর আমের হাট। রাজশাহী থেকে পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে যাওয়ার পথে হাইওয়ের বেশ কিছু জায়গাতে কিছু কিছু আমের দোকান চোখে পড়ে। আবার অনেকে রাস্তার পাশে ক্যারেটে এমনকি ভ্যানের ওপর ক্যারেভর্তি আম নিয়ে বিক্রি করছেন। অনেকেই গাড়ি থামিয়ে কিনছেনও তাদের আম।

পুঠিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাস জানান, গতবারের তুলনায় এবারে আমের জোগান অনেক বেশি। তবে সেই তুলনায় ক্রেতা নেই। করোনার কারণে বর্তমানে অনেক আমচাষি ও উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয়েছে। এটি একদিক দিয়ে ভালো হলেও চাষিদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এবার অনেক ব্যবসায়ীই অনলাইনে অর্ডার দিয়ে আম কিনছেন। অন্যদিকে, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় এবং ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়ায় অনেকেই অনলাইনে অর্ডার করে কুরিয়ার অথবা ট্রেনযোগে সংগ্রহ করছেন।

তিনি জানান, গতবছর প্রতিদিন বানেশ্বর থেকেই প্রায় ৩০০টি আমভর্তি ট্রাক ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেত। কিন্তু এবছর মাত্র ৩০ থেকে ৪০টি ট্রাক প্রতিদিন বানেশ্বর বাজার থেকে রাজশাহীর বাইরে যাচ্ছে। এখনো বাগানে প্রচুর আম রয়েছে। আবার হাটেও প্রচুর আম, কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতা নেই।

সম্প্রতি করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে করোনার আক্রান্তের হার অনেক বেশি হওয়ায় বাইরের অনেক ব্যাপারিরা রাজশাহীতে আসতে ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান ইউএনও।

ঢলন বা সোলা প্রথার উচ্ছেদের কথা থাকলেও তা মানছে না আড়তদার বা ব্যাপারিরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢলন প্রথার উচ্ছেদ করে মেট্রিক পদ্ধতিতে আম ব্যবসা পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এ নিয়ে আমাদেরকে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop