১২:১৬ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ৮, ২০২২ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
এক মাছের দাম তিন লাখ!
মৎস্য

একটি মাত্র মাছ বিক্রি করেই তিন লাখ টাকা ঘরে তুললেন এক জেলে। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র তথা বঙ্গোপসাগরের কূলে অবস্থিত দীঘার দক্ষিণপূর্বের এক তটবর্তী গ্রাম দীঘা মোহানার।

শনিবার সকালে সেখানকার বাজারে একটি বিশালাকার তেলিয়া ভোলা মাছ তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেন বিবেক করণ নামে ওই মৎস্যজীবী।

দীঘা মোহানা এলাকার মৎস্যজীবীদের সূত্রে খবর, কাঁথির ট্রলার মালিক বিবেক করণের ট্রলারে এই তেলিয়া ভোলা ধরা পড়ে। এরপর সেই মাছটি দীঘা মোহানার একটি আড়তে নিয়ে আসা হয় নিলামের জন্য।

বিবেক বলেন, ‘মাছটির মোট ওজন ৩৬ কেজি ৫০০ গ্রাম। মাছটি কেজিপ্রতি দর উঠে ৭ হাজার ৫৫০ টাকা।’ কলকাতার এক ব্যবসায়ী মাছটি তিন লাখ টাকায় নিলামে কিনেছেন বলে জানান বিবেক।

এই মৎস্যজীবী আরও বলেন, ‘মাছটি পুরুষ হলে দাম আরও অনেকটা বেশি হতে পারত। আমরা শুনেছি এই মাছের পটকা দিয়ে জীবনদায়ী ওষুধের ক্যাপসুল খোল তৈরি হয়। যত বড় আকারের মাছ হয় তত বড় তার পটকাও হয়। আর পটকা যত বড় হয় তার দামও তত বেশি হয়।’

মৎস্যজীবীদের কাছে অন্যান্য মাছের তুলনায় তেলিয়া ভোলার কদর অনেকটাই বেশি। এই তেলিয়া ভোলার সৌজন্যে রাতারাতি কোটিপতি বা লাখপতি হওয়ার ঘটনা মাঝেমধ্যেই সামনে আছে।

বিবেকের কথায়, ‘তেলিয়া ভোলা সাধারণত গভীর সমুদ্রেই পাওয়া যায়। এই মাছ অনেকটা দলবদ্ধ ভাবে ঘোরাফেরা করে। অভিজ্ঞ শিকারি ছাড়া এই মাছ সচরাচর ধরা যায় না।’

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৫, ২০২২ ১:৪৯ অপরাহ্ন
সুন্দরবনে অবৈধভাবে মাছ ধরার দায়ে ২৩ জেলে আটক
মৎস্য

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ২৩ জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতে আলাদা দুটি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সামসুল আরেফিন।

এসময় মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত এফবি সুফিয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলার ও ট্রলারে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪০ মণ মাছ, একটি নৌকা ও ১৩০০ মিটার ইলিশের জাল উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, আটক জেলের মধ্যে ১৫ জনের বাড়ি পটুয়াখালীর মহিপুর এলাকায় এবং বাকি আটজনের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় সিওআর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সামসুল আরেফিন জানান, তার নেতৃত্বে প্রথমে রেঞ্জ অফিস সংলগ্ন বনের ভোলা নদী থেকে রাত ১০টার দিকে অনুমতিবিহীন একটি ফিশিং ট্রলার এবং ১৫ জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ইলিশ, পোয়া, ফ্যাকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪০ মণ মাছ ও ১৩০০ মিটার জাল জব্দ  করা হয়।

তিনি জানান, অনুমতি ছাড়া বনে প্রবেশ করার অপরাধে আটক ১৫ জেলে, ট্রলার ও মাছের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেইসাথে জেলেদেরকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এই বন কর্মকর্তা আরও জানান, একই রাতে বনের বড় ধনচে বাড়িয়া অভয়ারণ্যে এলাকায় মাছ ধরার অপরাধে একটি নৌকাসহ আট জেলেকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় সিওআর মামলা দায়ের করে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৪, ২০২২ ৮:৩০ অপরাহ্ন
যেকারণে নদীতে বাড়ল হঠাৎ পাঙ্গাস মাছ
মৎস্য

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনার বেশ কিছু এলাকার নদীতে হঠাৎ বড় বড় সাইজের পাঙ্গাস মাছ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। গত ছয় দিনে যত পাঙ্গাস ধরা পড়েছে তা সাধারণত দেখা যায় না।

বরিশালের মাছের আড়তদাররা জানান, গত ২৯ অক্টোবর থেকে শুরু করে তিনদিনে প্রায় সাড়ে ৬০০ মণ পাঙ্গাস বরিশালের আড়তগুলোতে এসেছে। যা গত বছর এই সময়ে এর অর্ধেকেরও কম ছিল। সাধারণত শীতের শুরু ও আর শেষের দিকে নদীতে পাঙ্গাস ধরা পড়ে। কিন্তু এতো পাঙ্গাস এভাবে কখনও আসতে দেখেননি তারা। আর ২৯ অক্টোবরই প্রায় তিনশ মণ পাঙ্গাস এসেছে বরিশালের আড়তে।

বাংলাদেশের সাধারণত নদী, বিল বা বন্যার পানি জমে এমন এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা পাঙ্গাস পাওয়া যায়। যদিও বাংলাদেশের বাজারে নদীর পাঙ্গাসের তুলনায় চাষ করা পাঙ্গাসই বেশি ও অনেক সস্তা দামে পাওয়া যায়। একটি ১০-১২ কেজি ওজনের নদীর পাঙ্গাস মাছ যেখানে ৮০০-১০০০ টাকার মতো প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়। সেখানে চাষের মাছের কেজি ওজনভেদে ১৫০-২৫০ টাকার মতো দরে বিক্রি হয়।

সরকারের হিসেব অনুযায়ী ২০১৫-১৬ সালে নদীর পাঙ্গাস ধরা হয়েছিল ৩৬১ মেট্রিক টন এবং পর ক্রমাগত তা বেড়েছে। ২০২০-২১ সালে ৯২৬ মেট্রিক টন পাঙ্গাস পাওয়া গিয়েছিলো নদীতে।

বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার বলেন, এই মৌসুমে ওই অঞ্চলে কত পাঙ্গাস ধরা পড়েছে তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য এখনও তাদের হাতে আসেনি। বিভিন্ন আড়ত ও মৎস্য অবতরণগুলো থেকে বলা হচ্ছে যে নদীর পাঙ্গাস এবার অনেক ধরা পড়েছে। তবে সংখ্যা বা পরিমাণ জানতে আমাদের আরও সময় লাগবে। দেশের মৎস্য আইন অনুসারে ১২ ইঞ্চির নীচে পাঙ্গাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ।

ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে গত ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় দু’মাস নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। দেশে বছরে দুবার এভাবে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। ফলে এ সময়ে পাঙ্গাস মাছও অবাধ বিচরণের সুযোগ পায়। ইলিশ মাছ প্রজনন মৌসুমে ধরা বন্ধ করায় ইলিশ যেমন বাড়ছে, তেমনি আবার এর কারণে নদীতে পাঙ্গাসও বাড়ছে। এ কারণে এবার বেশ বড় বড় সাইজের পাঙ্গাস পাচ্ছে জেলেরা।

বরিশালের তেঁতুলিয়া, বিশখালী, আন্ধারমানিক, মেঘনা ও পদ্মা মেঘনার সংযোগস্থলই মূলত দেশীয় পাঙ্গাসের পোনার অন্যতম বিচরণ ক্ষেত্র। তবে বাঁশের তৈরি চাঁইয়ের মাধ্যমে নির্বিচারে পাঙ্গাসের পোনা ধরাসহ বিভিন্ন কারণে নদী থেকে একসময় এ মাছটিই হারিয়ে যাচ্ছিলো। কারণ নদীতে জেলেরা বড় বড় চাঁই পেতে একধরনের খাবার দিত যাতে অসংখ্য পাঙ্গাসের পোনা আটকা পড়তো।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলছেন, কয়েক বছরের চেষ্টায় চাঁই আর বেহুন্দি জালের ব্যবহার পটুয়াখালীতে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ভোলাতেও এগুলো নিয়ে বেশ ভালো কাজ হয়েছে। ফলে ছোটো পাঙ্গাসগুলো নদীতে বড় হবার সুযোগ পাচ্ছে। আবার ইলিশ অভিযানের কারণে প্রচুর ইলিশ পোনা নদীতে বিচরণ করায় পাঙ্গাস পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে। নদীতে বড় সাইজের এত পাঙ্গাস পাওয়ার ক্ষেত্রে এগুলোই প্রধান ভূমিকা রেখেছে।

সূত্র: বিবিসি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৪, ২০২২ ৩:২৮ অপরাহ্ন
বড়শিতে ধরা পড়ল  ৬২ কেজির বাগাড়!
মৎস্য

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে বড়শিতে ধরা পড়ল ৬২ কেজির বাগাড় মাছ। মাছটি প্রায় এক লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

তবে এত বড় মাছ বড়শিতে শিকার করা বিরল ঘটনা। এই মাছ হাতবদল হয়ে চলে আসে নাগেশ্বরী উপজেলায়। সেটা বাজারে নিয়ে এলে মাছটি দেখার জন্য মানুষের ভিড় জমে। শুক্রবার সকালে নাগেশ্বরী পৌরবাজারে এক হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কেটে বিক্রি করা হয়।

মাছ ব্যবসায়ী হানিফ জানান, চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে বৃহস্পতিবার বিকালে বড়শিতে মাছ ধরেছেন এক স্থানীয় জেলে। তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে এনেছেন নাগেশ্বরীতে। দাম বেশি তাই ক্রেতা কম। শুক্রবার সকালে পৌরবাজারে মাছটি কেটে ১৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। বিক্রি হয় ৯৯ হাজার ২০০ টাকায়। এতে অনেক খরচ পড়েছে। লোকজন খাটাতে হয়েছে। তার পরও লাভ থাকবে। এত বড় মাছ সবসময় পাওয়া যায় না।

কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালীপদ রায় জানান, এ ধরনের বড় মাছ ধরার খবর শুনেছি। ব্রহ্মপুত্র নদে অনেক বড় বড় মাছ আছে। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জাতের বড় বড় মাছ ধরার খবর আসে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২, ২০২২ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
অল্প জায়গা-কম খরচে রাস পদ্ধতিতে মাছ চাষ
মৎস্য

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) দেশীয় প্রযুক্তিতে মাছ চাষের রিসারকুলেটিং একুয়াকালচার সিস্টেম (রাস) পদ্ধতি উদ্ভাবন হয়েছে। এটি উদ্ভাবন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ, অ্যাকুয়াকালচার এবং মেরিন সায়েন্স অনুষদের অধ্যাপক ড এ এম শাহাবুদ্দিন ও তার দল।

আধুনিক প্রযুক্তি আমদানি কমিয়ে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যাবহার করে অল্প খরচে, অল্প যায়গায় অধিক ঘনত্বে মাছ চাষে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা গবেষকদের।

কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কারিগরি সহায়তায় একটি প্রকল্পের অধীনে উদ্ভাবিত এ দেশীয় প্রযুক্তি শেকৃবিতে এরই মধ্যে স্থাপিত হয়েছে।

প্রকল্পটির প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ড এ এম শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘রাস পদ্ধতি দেশীয় প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি ইনটেনসিভ অ্যাকুয়াকালচার সিস্টেম। যেখানে একই পানি বারবার পরিশোধন করে অল্প জায়গায় অধিক ঘনত্বে নিবিড় পরিবেশে মাছ উৎপাদন করা হয়। প্রযুক্তিতে উৎপাদিত মাছ কেমিক্যাল, এন্টিবায়োটিকমুক্ত যা খাবারের জন্য অত্যন্ত নিরাপদ ও বিদেশে রপ্তানিযোগ্য।’

অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন আরও বলেন, ‘আমাদের চাষযোগ্য জমি এবং জলাশয় দিন দিন কমে যাচ্ছে। সে তুলনায় জনসংখ্যা প্রচুর বাড়ছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে এবং স্বল্প স্থানে অধিক মাছ চাষ করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহার এবং যান্ত্রিকায়ন ছাড়া অন্য উপায় নেই। আমাদের এ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের বর্তমান চাষ পদ্ধতির সঙ্গে কম জায়গায়, কম খরচে কীভাবে মাছ চাষ করা যাবে সেটি নিয়ে কাজ করেছি।’

এ গবেষক বলেন, ‘আমাদের ট্যাংক পদ্ধতিতে যেসব পোনা পাওয়া যায় এবং যারা ফিড খায় এমন দেশি ও বিদেশি সব ধরনের মাছ চাষ সম্ভব। আমাদের এ পদ্ধতিতে পানি সর্বদা বিশুদ্ধ থাকবে। মূলত আমরা ট্যাংকে মাছের পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ করেই অল্প জায়গায় অধিক মাছ চাষ করবো। নদীর পানি যত বেশিই হোক দূষিত হলে মাছ বাঁচতে পারে না। অন্যদিকে আমাদের ট্যাংকের আকার ছোট হলেও এখানে পরিষ্কার পরিবেশে অধিক ঘনত্বে মাছ সুস্থভাবে বেঁচে থাকবে। মাছের ওজন বেশি হলে সংখ্যায় কম হবে, ওজন কম হলে সংখ্যায় বেশি হবে।’

রাস পদ্ধতিতে একটি ট্যাংকে অধিক ঘনত্বে মাছ থাকে উল্লেখ করে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘ট্যাংকগুলোতে এক হাজার লিটার পানিতে ৮০-১০০ কেজি মাছ উৎপাদন সম্ভব। দশ হাজার লিটারের একটি ট্যাংক ১৫ ফুট জায়গায় বসানো সম্ভব যেখানে ৮০০-১০০০ কেজি মাছ উৎপাদন হবে।’

কম খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, বায়োফ্লক বা অন্যান্য প্রযুক্তি সাধারণত বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় কিন্তু আমাদের এ প্রযুক্তি দেশেই তৈরি করা সম্ভব। আমদানিকৃত যন্ত্রাংশের বেশিরভাগ মোটর ব্যাবহার হয়ে থাকে। কিন্তু রাস পদ্ধতিতে মাধ্যাকর্ষণ বল ব্যাবহারের মাধ্যমে মাছ চাষে ব্যবহৃত পানি ট্যাংক পরিবর্তন করে এবং একটি যান্ত্রিক ছাঁকনির মাধ্যমে পানি থেকে নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য ও মাছের মল পরিষ্কার হয়ে যায়। ছাঁকনিতে আটক নাইট্রোজেন বর্জ্য ও মাছের মল গুলো অ্যকুয়াফনিক্সে সবজি চাষে ব্যবহৃত হয় যেটি বদ্ধ জলাশয়ে সম্পূর্ণই অপচয় হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৯, ২০২২ ৩:৪০ অপরাহ্ন
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের চিংড়ি খাতের রুপান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সহায়তায় উইনরক ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত সেইফ অ্যাকুয়া ফার্মিং ফর ইকনোমিক অ্যান্ড ট্রেড ইমপ্রুভমেন্ট (সেফটি) প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আরও জানান, যে সমুদ্র এলাকায় আমরা সার্বভৌমত্ব পেয়েছি সেখানে বিপুলসংখ্যক মাছ রয়েছে। রয়েছে অপ্রচলিত মৎস্য সম্পদ। সে ক্ষেত্রে আমাদের কর্মযজ্ঞ সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একশ বছর মেয়াদী ডেল্টা প্ল্যান করেছে। সে ডেল্টা প্ল্যানের বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে মৎস্য খাত, সমুদ্র ও জলাশয়। সে জায়গায়ও আমাদের কাজ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে এবং তাদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ। সে অভিজ্ঞতা তারা যেন সম্প্রসারণ করে। বাংলাদেশের মৎস্য খাতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে চাই। আমরা পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও মতামত বিনিময় করতে চাই। যাতে আমরা একসাথে উন্নয়ন করতে পারি।

তিনি আরও জানান, সেফটি প্রকল্পের কার্যক্রম বাংলাদেশের চিংড়ি খাতে ব্যাপক সহযোগিতা দিয়েছে। প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে মাঠ পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি হচ্ছে। সেফটি প্রকল্পের সহযোগিতার উপর ভর করে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। কাউকে পেছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা একের পর এক সম্প্রসারণ হবে বলে প্রত্যাশা থাকবে। আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সহযোগিতা অবশ্যই প্রশংসনীয়। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতা সম্প্রসারণ আরও প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সুন্দর ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। আমাদের মানবসম্পদ অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো। আমাদের মৎস্য খাতের নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের সহযোগিতা সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রধান অতিথি আরও যোগ করেন, মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে মৎস্য খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে এ খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতে বড় সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ৫০টির অধিক দেশে বাংলাদেশের মাছ এখন রপ্তানি হচ্ছে। এসব দেশে বাংলাদেশের রপ্তানিকৃত মাছের স্বাদ ও গুণগতমান ভীষণ প্রশংসা অর্জন করছে। মৎস্য খাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও গবেষক, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও বিভিন্ন সংগঠন একসাথে কাজ করায় এ কৃতিত্ব অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের আন্তরিক ও সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অভিষ্ট ও লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। এ জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। পৃথিবীতে নানা দুর্যোগ আসছে। সাম্প্রতিক সময়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের মৎস্য খ্যাত বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনা কালেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় মৎস্য খাদ্য উৎপাদন-পরিবহন ও বিদেশে রপ্তানি নানা প্রতিকূলতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও দেশের মানুষ অফুরান প্রাণশক্তি দিয়ে কাজ করেছে বিধায় এফএও’ র জরিপে করোনাকালে যে তিনটি রাষ্ট্র মৎস্য উৎপাদনে ভালো করতে পেরেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। মৎস্য উৎপাদনের এ ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে চাই।

সম্মিলিতভাবে একটি সুন্দর বিশ্ব নির্মাণ করতে হবে। এ পৃথিবী যত সুন্দর হবে, যত আধুনিক হবে, যত উন্নত হবে সে উন্নয়নের ছোঁয়া সর্বত্র পৌঁছাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন শান্তির বিশ্ব গড়তে হলে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। শান্তির বিশ্ব ছাড়া অশান্তির বিশ্বে কখনও সমৃদ্ধি আসতে পারে না। আজকের প্রজন্মকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির বিশ্ব রেখে যেতে হবে। সে জন্য একসাথে কাজ করতে হবে- যোগ করেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এবং যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)-এর আন্তর্জাতিক কর্মসূচি বিশেষজ্ঞ ভিক্টোরিয়া বেকার। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মেসবাহুল আলম। সেফটি প্রকল্প নিয়ে উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান এস এম শাহীন আনোয়ার।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, ইউএসডিএ এর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কর্মকর্তাগণ, সেফটি প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং চিংড়ি খাতের অংশীজনরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৮, ২০২২ ১০:০২ অপরাহ্ন
ইলিশ পাওয়া না পাওয়ার শঙ্কায় মেঘনা পাড়ের জেলেরা
মৎস্য

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ রক্ষার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শুক্রবার মধ্য রাত থেকে ইলিশ আহরণে নামবেন জেলেরা। ইতোমধ্যে জেলেরা তাদের মাছ ধরার নৌকা মেরামত ও জাল প্রস্তুত করেছেন।

তবে জেলেদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভও বিরাজ করছে। তারা মা ইলিশ রক্ষার সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলেও এক শ্রেণির অসাধু জেলে নির্বিচারে মা ইলিশ ধরায় এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যে কারণে তারা এখন নদীতে নেমে ইলিশ পাওয়া না পাওয়ার শঙ্কায় আছেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের জেলে আলমগীর হোসেন জানান, সরকার মা ইলিশ রক্ষায় যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা আমরা মেনেছি। আমরা নদীতে নামিনি। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ও মৌসুমী জেলে ঠিকই মা ইলিশ নিধন করে টাকা কামিয়েছে।

একই এলাকার জেলে এনায়েত উল্যাহ ও ওমর ফারুক জানান, বছরে দুইবার ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা দেয়। আমরা সব কিছুই মানি। কিন্তু এসময় আমাদের সংসার চলে না। প্রতিবছর এ সময়টা আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হয়। ঋণ করে চলতে হয়। বছর শেষে দেখা যায় একেকজন ২০-৩০ হাজার টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ি। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে যে ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হয়, তা সঠিক ওজনে না পাওয়ার অভিযোগ তাদের।

তারা বলেন, বর্তমান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিসিনপত্রের যে দাম, ২৫ কেজি চাল দিয়ে ৫-৭ জনের সংসার চালানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। সরকার আমাদের বিষয়ে আরো দৃষ্টি দেয়া দরকার।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, চাঁদপুর জেলায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযান আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা নদীতে নেমেছে তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা টাস্কফোর্স যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসব সিদ্ধান্ত আমরা শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি। জেলেদেরকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আশা করছি ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৮, ২০২২ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
ইলিশ ধরার অপেক্ষায় জেলেরা, রাতেই শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা
মৎস্য

ইলিশ শিকারে টানা ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার (২৮ অক্টোবর)। ফলে মধ্যরাত থেকে সাগর ও নদীতে মাছ শিকারে নামতে পারবেন জেলেরা।

এরই মধ্যে সাগরে নামতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন বরগুনার জেলেরা।

জেলেদের অভিযোগ, দেশের জলসীমায় ভিনদেশি জেলেদের উৎপাতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে মাছ শিকার করতে পারেন না। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, জেলেদের স্বাচ্ছন্দ্যে মাছ শিকারে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে তারা।

জানা যায়, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। টানা ২২ দিন পর আবারও নিজ পেশায় ফিরতে পারবেন বলে খুশি জেলেরা। নিষেধাজ্ঞার সময় বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় ধারদেনা করে চালিয়েছেন অনেক জেলে। জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়লে সেই ধারদেনা শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।

জানা যায়, জেলেরা সাগরে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জাল ঠিক করছেন আবার কেউ নৌকা মেরামত করছেন। মধ্যরাত হলেই সাগরে নেমে পড়বেন মাছ ধরার উদ্দেশ্যে।

বাংলাদেশ মৎস্যজীবী টলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, র‍্যাব যেভাবে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর থেকে জলদস্যু নির্মূল করেছে ঠিক সেভাবে ভারতীয় জেলেদের দমন করতে না পারলে জেলেরা না খেয়ে মরবে। বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম বয়ার কাছে নৌবাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করলে দেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ঢুকতে পারবে না। তাই সরকারের কাছে যাতে পশ্চিমের বয়ার কাছে নৌবাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার জোর দাবি জানাই।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, দেশে ইলিশের পরিমাণ বাড়াতে অসাধু জেলেদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার সুফলতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেও কাজ করছি। মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলায় ৩৭ হাজার ৭০ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৭, ২০২২ ১২:০৭ অপরাহ্ন
ধলাই নদীতে বিষ ঢেলে চলে নিয়মিত মাছ শিকার!
মৎস্য

ধলাই নদীতে বিষ ঢেলে মাছ শিকার নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত রবিবার এই নদীতে আবারও বিষ ঢেলে মাছ শিকার করা হয়। এভাবে মাছ শিকারের ফলে সব ধরনের জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে।

শুষ্ক মৌসুমে নদীতে বিষ ঢেলে কিংবা পাম্প দিয়ে পানি শুকিয়ে মাছ ধরা হয়। বর্ষা মৌসুমে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বাঁশের খাটি (আড়াআড়ি বেড়া) ও কুচা দিয়ে মাছসহ জলজ প্রাণীর বংশ বিনাশ করা হচ্ছে।

জানা যায়, মাছ শিকারের জন্য রবিবার ধলাই নদীর উজানে দুষ্কৃতকারীরা বিষ ঢেলে দেয়। বিষ গড়িয়ে যেতে যেতে নদীতে ছোটবড় নানা প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে। উপজেলার উত্তর আলেপুর, কুমড়াকাপন গ্রাম এলাকায় শিশু-কিশোর ও স্থানীয়রা মাছ ধরতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মৃগেল, পোটা মাছসহ ছোটবড় নানা প্রজাতির মাছ ভেসে ওঠে। ইতিপূর্বে ধলাই ও লাঘাটা নদীতে কয়েক দফা বিষ ঢেলে মাছ শিকার করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে।

কমলগঞ্জের হাওর ও নদীরক্ষা আঞ্চলিক কমিটির সদস্য সচিব ও পতনউষার ইউপি সদস্য তোয়াবুর রহমান তবারক, প্রাক্তন ইউপি সদস্য আব্দুল করিম, কৃষক মানিক মিয়া, শিক্ষক ফেরদৌস খান, শমশেরনগরের কৃষক মোবাশ্বির আলীসহ স্থানীয় সচেতন মহল জানান, ধলাই, লাঘাটা নদী ও পলক নদে ঘনঘন বিষ ঢেলে মাছ শিকার করা হচ্ছে।

মাছ শিকারের জন্য বাঁশের বেড়া (খাটি),  কারেন্ট জাল ও নানা অপরিকল্পিত কার্যক্রমে ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে মাছ, ব্যাং, সাপ, কুচিয়াসহ জলজ প্রাণী। এতে জলজ জীববৈচিত্র্যসহ পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।

জানা যায়, উজানের পাহাড়ি এলাকা থেকে আসা পলক নদ, দেওছড়া, সুনছড়া, জপলাছড়া, লাউয়াছড়া, ডালুয়াছড়াসহ অসংখ্য ছড়া ও খাল রয়েছে। কেওলার হাওর, ছাইয়াখালী হাওর, মকাবিলসহ বেশ কয়েকটি বিল, জলাশয় থাকলেও সময়ের পরিক্রমায় এবং বৃষ্টিপাতের ফলে উজানের পাহাড়ি ঢল নেমে পলিবালি জমে নদী, খাল, ছড়া, বিল ও হাওরের তলদেশ ভরাট হয়ে পড়ছে। হ্রাস পাচ্ছে নদী ও খালের প্রশস্ততাও। অসাধু মাছ শিকারিদের কারণে এসব নদী, খাল ও জলাশয়ে দেশীয় মাছের প্রজনন বিনষ্ট হচ্ছে এবং মাছের আকাল দেখা দিচ্ছে।

পতনউষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান জানান, লাঘাটা নদী, পলক নদ, খিন্নিছড়াসহ একাধিক নদীখাল, ছড়ায় একটি মহল মাছ শিকারের জন্য বাঁশের খাটি (বেড়া), বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে নদী ও জলাশয় থেকে মাছের অস্তিত্ব বিনষ্ট হয়ে পড়বে। কমলগঞ্জ উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা মো. শহিদুর রহমান বলেন, ধলাই নদীতে কে বা কারা বিষ ঢেলে মাছ শিকার করছে। সেখানে আমাদের একার পক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া নদী, খাল, বিলে বিষ প্রয়োগ, বাঁশের খাটি ও কারেন্ট জালের বিষয়ে অভিযান চালাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছাড়া কোনো শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয় না। কাজের ঝামেলায় সব সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হয় না। তবে এসব বিষয়ে সবাইকে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দীন বলেন, এসব অপরাধের সঙ্গে কারা সম্পৃক্ত তার সন্ধান বের করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যদি কোনোভাবে কেউ তথ্য জানাতে পারেন তাহলে গোপনীয়তা বজায় রেখে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২৫, ২০২২ ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
কমলগঞ্জে পুকুরে বিষ ঢেলে ২ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

্কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের গোপীনগর গ্রামের প্রাক্তন ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানের পুকুরে দুষ্কৃতকারীরা বিষ ঢেলে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দু’লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে।

পুকুরে মাছ মরে ভেসে উঠায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারি হতাশ হয়ে পড়ছেন। ২২ অক্টোবর শনিবার ভোরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, গোপীনগর গ্রামের আব্দুল হান্নানের একটি মাঝারি পুকুরে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষাবাদ করে আসছেন।

শনিবার ভোর রাতে দুষ্কৃতকারীরা পুকুরে বিষ ঢেলে রুই, কাতলা, মৃগেল, ঘাসকার্প, কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করে।

খামারির মালিক আব্দুল হান্নান জানান, আমি গত বছর ৪০ হাজার টাকার মাছের পোনা পুকুরে ছেড়ে নিয়মিত খাবার দিয়ে আসছি। এক একটি মাছ দেড় কেজি, দুই কেজি হয়েছে। আরো কিছুটা বড় হওয়ার পর মাছ বিক্রি করার কথা। এরই মধ্যে আমার পুকুরে বিষ ঢেলে দুই লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করা হয়েছে। তবে পাশের বাড়ির সাথে পূর্ব বিরোধের জেরে এই ক্ষতি করেছে বলে তিনি দাবি করেন।

এব্যাপারে কমলগঞ্জ থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দাখিল করবেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আব্দুর রহমান গাজী জানান, আব্দুল হান্নানের মৌখিক অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে দেখে আসছি। বিষ ঢেলে প্রায় দু’লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop