৩:৩১ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১ ৪:৫৬ অপরাহ্ন
বিপন্ন হাঙর ও রে মাছ হচ্ছে সুরক্ষা আইনের আওতাভুক্ত
মৎস্য

সামুদ্রিক প্রতিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে হাঙর ও রে মাছের অবদান অনস্বীকার্য। এদের বংশবিস্তার ও বেড়ে ওঠা ধীরগতিসম্পন্ন। ফলে অতিরিক্ত মৎস্য আহরণ এদের টিকে থাকার জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এজন্য হাঙর ও রে মাছকে সংরক্ষণ করতে বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এ অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। হাঙর ও রে মাছসহ বিশ্বব্যাপী বিপন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর বৈচিত্র্যময় আবাসস্থলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

জানা গেছে, হাঙর ও রে মাছের পাখনা, ফুলকা প্লেট ও চামড়ার উচ্চমূল্যের কারণে এগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকার দরুন অবৈধভাবে শিকার ও রফতানির ফলে বিপন্ন প্রজাতিগুলো ভবিষ্যতে প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এ অন্তর্ভুক্ত প্রজাতি ও প্রজাতিগোষ্ঠীর তালিকা হালনাগাদ করার মাধ্যমে বিপন্ন হাঙর ও রে মাছের অধিকতর সুরক্ষা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মৎস্য অধিদপ্তরসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে এবং ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির (ডব্লিউসিএস) কারিগরি সহযোগিতায় বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তুতকৃত এ হালনাগাদ তালিকায় বাংলাদেশে প্রাপ্ত হাঙর ও রে মাছ সম্পর্কিত নতুন তথ্য সংযোজন করা হয়েছে।

এ হালনাগাদ তালিকা বিপন্ন সামুদ্রিক বন্যপ্রাণী এবং এদের গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের আন্তর্জাতিক আঞ্চলিক ও সাংবিধানিক অঙ্গীকারের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। এ হালনাগাদকৃত তালিকা হাঙর ও রে মাছের আটটি গণ ও ২৩টি প্রজাতিকে যথাযথ সুরক্ষা প্রদান এবং বন অধিদপ্তরের অনুমতিক্রমে একটি গণ ও ২৯টি প্রজাতির হাঙর ও রে মাছের টেকসই আহরণ, ব্যবহার ও বৈধভাবে বাণিজ্য করার অধিকার প্রদান করবে। যদি এদের আহরণ সামুদ্রিক পরিবেশে প্রজাতিগুলোর টিকে থাকার জন্য হুমকির কারণ হিসেবে চিহ্নিত না হয়।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ১৯৮১ সালে কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইন এনডেনজারড স্পেশিস অব ওয়াইল্ড ফুনা অ্যান্ড ফ্লোরা (সিআইটিইএস) এবং ২০০৫ সালে কনভেনশন অন দ্য কনভারসেশন অব মাইগ্রেটরি স্পেশিস অব ওয়াইল্ড অ্যানিমেলসে (সিএমএস) স্বাক্ষরকারী দেশ। হাঙর ও রে মাছসহ বিপন্ন বন্যপ্রাণীর বৈধ বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অবৈধ বাণিজ্য প্রতিরোধ করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে প্রাপ্ত হাঙর ও রে মাছের বিলুপ্তির ঝুঁকি হ্রাস করার ক্ষেত্রে আইনের এ সংশোধনী প্রণয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

আইনের এ সংশোধনীর কার্যকরী প্রয়োগ নিশ্চিতকরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে আইনে সংরক্ষিত প্রজাতিগুলোর জীবিত অবমুক্তকরণ পদ্ধতি এবং টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনার প্রতিবেশগত উপকারী দিকগুলো সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে হবে। যদি মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী এবং ভোক্তারা বুঝতে পারেন যে, বিপন্ন হাঙর ও রে মাছ রক্ষার মাধ্যমে তারা তাদের জীবন-জীবিকা ও খাদ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করছে, তাহলে বাংলাদেশে হাঙর ও রে মাছের অত্যধিক আহরণকে ভবিষ্যতে টেকসই সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। এজন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে নিবেদিতভাবে কাজ করে চলেছে।

বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশে নিশ্চিতভাবে প্রাপ্ত বা পাওয়া যেতে পারে এমন ১১৬ প্রজাতির হাঙর ও রে মাছের অর্ধেকেরও বেশি প্রজাতি বর্তমানে হুমকির সম্মুখীন। এ সংশোধিত তালিকাটি বন অধিদপ্তর এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বিশ্বব্যাপী মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন। কিছু সামুদ্রিক বন্যপ্রাণীকে সুরক্ষা প্রদান করতে যেমন কার্যকর ভূমিকা পালন করবে, তেমনি বিপন্ন নয় এমন প্রজাতিগুলোর টেকসই আহরণের লক্ষ্যে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের লাভবান করবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১ ৫:৫৬ অপরাহ্ন
১৩ কেজির জাভা ভোল মাছ লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি
মৎস্য

বাগেরহাটে একটি জাভা ভোল মাছ লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয়েছে। বরগুনা জেলার মৎস্য ব্যবসায়ী মাসুম কোম্পানির ট্রলার ১৩ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের মাছটি বাজারে নিয়ে আসে। কেবি বাজারের আড়ৎদার অনুপমের ঘরে মাছটি ডাকে তোলা হয়। উন্মুক্ত ডাকে স্থানীয় ক্রেতা আল আমিন হাজী ১ লাখ ৮ হাজার টাকায় কিনে নেন।

রোববার সকালে বাগেরহাটের সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কেবি বাজারে ৮ হাজার টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রি হয়।

আল আমিন হাজী জানান, ‘মাছটি চিটাগংয়ের ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠাবেন। এ মাছ অনেক দামে বিক্রি হয়। এটি যদি ৩০ কেজি ওজনের হতো, তাহলে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। শুনেছি এই মাছের পেটে যে পটকা (প্যাটা/বালিশ) থাকে, তা খুব দামি। এটি দিয়ে ওষুধ বানানো হয়।’

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল জানান, জাভা ভোল বা সোনা ভোলের বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস’। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া— এই সব দেশে এই মাছের চাহিদা খুব বেশি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, এই মাছের ওষুধি গুণ থাকায় এর মূল্য এতো বেশি। মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পাানি এই মাছ কিনে নেয়। তারপর এর দেহের প্রায় প্রতিটি অংশ দিয়ে ওষুধ তৈরি হয়। এই মাছের বায়ু পটকা দিয়ে কিডনির নানা রোগ নিরাময়ের ওষুধ তৈরি হয়

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১ ৪:২৪ অপরাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে মাছ চাষ হচ্ছে নাটোরে
মৎস্য

যুক্তরাষ্ট্রের ইন পিন্টা রেসওয়ে সিস্টেম (আইপিআরএস) প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষ হয়েছে নাটোরে। এই মাছ এখন বিদেশে রফতানির প্রক্রিয়া চলছে। কম খরচ ও কম সময়ে অধিক মাছ উৎপাদনের এই প্রযুক্তিতে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। একটি পুকুরকে একাধিক ভাগ করে মাছ চাষ করা যায় আইপিআরএস পদ্ধতিতে।

চার বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানির সহযোগিতায় নাটোরের জাঠিয়ান ভবানীপুরে প্রায় ১৪ বিঘা জমির ওপর আইপিআরএস পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করে হোসেন এন্ড অ্যাগ্রো। বর্তমানে এই খামারের উৎপাদিত মাছ বিদেশে রফতানির প্রক্রিয়া চলছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই খামারে অনেকের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

খামার মালিক ও কর্মীরা জানান, এই পদ্ধতিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুকুরে নদীর মতো কৃত্রিম স্রোত সৃষ্টি করা হয়। কম হয় উৎপাদন খরচও। কর্মীরা জানান, এখানে অধিক ঘনত্ব মাছ চাষ হচ্ছে এবং এই মাছগুলো খুবই সুস্বাদু। এখানকার মাছ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে ঢাকায় সরবরাহ করে থাকি। সামনে বিদেশেও মাছ রফতানি করা হবে। কৃত্রিম পদ্ধতিতে স্রোতের মাধ্যমে মাছ চাষ হচ্ছে, এতে দ্রুত মাছগুলো বড় হচ্ছে।

খামার মালিক সারোয়ার হোসেন ইমন জানান, খাবার খরচ অনেক কম এবং মাছের কোন রোগ আমরা দেখতে পাইনি। দ্রুতই মাছ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।

প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খামার দেখতে এসে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেকে। কৃষি বিভাগ বলছে, আধুনিক ও উন্নত এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে পারলে খামারিরা উপকৃত হবেন।

নাটোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা যদি এই প্রযুক্তি দেশের যারা বড় বড় খামারি আছেন তাদের মধ্যে যদি ছড়িয়ে দিতে পারি তাহলে অনেক অল্প খরচে উন্নতমানসম্পপন্ন ব্যাপক মাছ উৎপাদন করতে পারবো।

৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে পুকুরের একেকটি চেম্বারে ২২ থেকে ৩২ টন পর্যন্ত মাছ উৎপাদিত হয়। এই পদ্ধতিতে মাছের বিষ্ঠা জৈব সার হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১ ১০:১৪ অপরাহ্ন
কৈখালীতে অভিনব কায়দায় কৃষি জমিতে বিষ দিয়ে পুকুরের মাছ নিধন
মৎস্য

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ৫ নং কৈখালী ইউনিয়নের পূর্ব কৈখালী নিজের কৃষি জমির ধানক্ষেতে বিষ দিয়ে অন্যর পুকুরে মাছ নিধনের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় আনুমানিক ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

রবিবার উপজেলার পূর্ব কৈখালী গ্রামে মালেক গাজীর পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, পূর্ব কৈখালী গ্রামের মালেক গাজী দুইটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মাছ চাষ করে আসছিল। পুকুরটি বিল এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় দেশি প্রজাতির মাছের সংখ্যা বেশি ছিল। শনিবার দিনে একই গ্রামের আনছার খাঁ তার নিজ ধান ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করে কিন্তু আনছার খাঁর কৃষি ক্ষেতের জমির পানি মালেক গাজীর পুকুর দিয়ে সরানো হতো এতে রবিবার দুপুর থেকে মরা মাছ পানিতে ভাসতে দেখা যায়। মরা মাছের মধ্যে ভেটকী ,তেলাপিয় , বাইন, টেংরা, রুই কাতল,কৈ ও শিং মাছের সংখ্যাই বেশি ছিল। এ ছাড়াও কার্প জাতীয় মাছও সব মারা গেছে।

ভুক্তভোগী মালেক গাজী জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে মাছ চাষ করছি। হঠাৎ শনিবার বিকালে অভিনব কায়দায় আমার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে এই ক্ষতি করেছে। শত্রুতাবশত আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য এসব করেছে। আমি স্থানীয় সাংবাদিক সহ গণ্যমান্য কয়েকজনকে ব্যক্তিবর্গদের জানিয়েছে কিন্তু তাহারা যদি কোনরকম ব্যবস্থা না করে তাহলে আমি আগামীকালই আইনের আশ্রয় নেব।

এ বিষয়ে ধানক্ষেতের মালিক বিষপ্রয়োকারী আনছার খাঁর সাথে যোগযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে না পেয়ে তার ছেলে রাশিদুল খাঁর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন ঘটানাটি দুঃখজনক আমরা বুঝতে পারিনি মাছ মরবে কিনা এছাড়া তিনি দাবি করেন যে আমাদের দেওয়া বিষে মাছ মরেনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১ ৪:৪৬ অপরাহ্ন
জেলেদের জন্য ১১,১১৯ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ
প্রাণিসম্পদ

ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ১১ হাজার ১১৮ দশমিক ৮৮ মেট্রিক টন ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৩৭ জেলার ১৫১টি উপজেলায় মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৪৪টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের চেয়ে বেশি ২৭ হাজার ৬০২টি জেলে পরিবারকে এবার এ বরাদ্দের আওতায় আনা হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি জেলে পরিবার ২০ কেজি করে চাল পাবে। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরুর পূর্বেই এ বছর ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি জ্ঞাপন করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ভিজিএফ চাল পরিবহন ব্যয়ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে মঞ্জুরি জ্ঞাপন করা

এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে।
ভিজিএফ চাল ২৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখের মধ্যে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত ও প্রকৃত জেলেদের মধ্যে এ ভিজিএফ বিতরণ নিশ্চিত করার জন্য বরাদ্দপত্রে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০’ এর অধীন প্রণীত ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫ ‘অনুযায়ী এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১ ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
লোকসানের মুখে মহেশপুরের মাছ চাষিরা
মৎস্য

করোনা পরিস্থিতির পর থেকে মাছের খাবারের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি, মাছের দাম কিছুটা কমসহ নানা কারণে লোকসানে রয়েছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাছ চাষিরা।

ঝিনাইদহ জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, মহেশপুর উপজেলায় প্রতি বছর মাছ উৎপাদন হয় ১০ হাজার ২০০ মেট্রিকটন। এ জন্য বছরে ১১ হাজার ৪০০ মেট্রিকটন খাবারের প্রয়োজন হয়। জেলায় মোট মাছ চাষির ১৪ হাজার ৭৪৫ জন।

রেজাউর ইসলাম নামে একজন জানান, মাছ চাষে লাভ বেশি। কিন্তু সমস্যায় ফেলেছে মাছের খাবারের দাম। ২০ কেজির বস্তায় তিন দফায় কেজিতে তিন টাকা করে বেড়েছে। অন্যদিকে মাছের দামও কমেছে প্রতি মণে গড়ে দুই হাজার টাকা। এই অবস্থায় খাবারের দাম না কমলে আমরা শেষ হয়ে যাবো।

অপর মাছ চাষি রিয়াজ জানান, তেলাপিয়া মাছের খাবার ২৫ কেজির বস্তা গত বছর কিনেছি ১১০০ টাকা করে। চলতি বছর একই বস্তা কিনতে হচ্ছে ১২২৫ টাকায়। এভাবে খাবারের দাম বাড়লে মাছ চাষ করব কীভাবে।

মাছের খামারি আহসানুজ্জামান রুমেল জানান, শুকনো মৌসুমে পুকুরগুলোতে সেচ দিতে হয়। মাছ চাষ কৃষির অন্তর্ভুক্ত হলেও পুকুর সেচে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় বাণিজ্যিক হারে। একইসঙ্গে মাছের খাবার, ওষুধ, লবণ, চুনসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণের দাম বাড়লেও মাছের দাম বাড়েনি। ফলে মাছ বিক্রিতে বর্তমানে লাভবান তো দূরে থাক, উল্টো লোকসান গুনতে হচ্ছে।

মহেশপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, ‘খাবারের দাম কমানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। তারা বলছে, করোনার কারণে দাম বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলে হয়তো খাবারের দাম কমবে। বাড়বে মাছের দামও।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
পুকুরে বিষ দিয়ে ৫ লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ
মৎস্য

সাভারের আশুলিয়ায় একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মাছ নিধনের খবর পাওয়া গেছে। রাতের বেলায় কেউ পুকুরে বিষ দিয়েছে ফলে মাছগুলো মরে ভেসে উঠেছে বলে অভিযোগ পুকুর মালিকের।

শুক্রবার দুপুরে আশুলিয়ার গাজিরচট দরগার পাড়া এলাকার রাশেদ ভূঁইয়া ও শাহেদ মীরের লিজকৃত পুকুরে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, মাত্র ছয় মাস আগে দেড় বিঘার পুকুরটিতে প্রায় আড়াই লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়া হয়েছিল। রুই, কাতল, সিলভার কাপ, গ্লাস কাপ, কালবাউশ ও তেলাপিয়া মাছ রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা। এই পুকুরটি রাশেদ ভূঁইয়া ও শাহেদ মীর দুজনে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেছেন।

মৎস্যচাষী রাশেদ ভূঁইয়া বলেন, কিছুদিন পরেই মাছগুলো বিক্রি করা যেত। পুকুরে প্রতিদিন খাবার দেওয়া হচ্ছে, পানি টেস্ট করা হচ্ছে, অক্সিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। গতকালও মিটার দিয়ে এমনিয়া টেস্ট করেছি। আজ সকালে মাছগুলো মরে ভেসে উঠতে শুরু করে। আমি এসে দেখি মাছ সব ভেসে উঠছে। পানির ওপর বিষের কিছু নমুনাও পাওয়া যাচ্ছে।

মাছগুলোর আরেক মালিক শাহেদ মীর বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করব।

সাভার উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সরকার ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এমএম প্রিয়াংকা ফেরদৌসের মুঠোফোন বেশ কয়েকবার গণমাধ্যম যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
ইলিশ গেছে ভারতে, দাম বেড়েছে বাংলাদেশে
মৎস্য

ইলিশ চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। কারণ ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। আর তাতেই বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে।

কোলকাতার বাজারে বৃহস্পতিবারই উঠেছে বাংলাদেশের ইলিশ। বুধবার রাতেই বেনাপোল দিয়ে ইলিশের চালান ভারতে যায়। হাওড়াসহ পাইকারি বাজার হয়ে সেই ইলিশ এখন কোলকাতার বাজারে। আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এই ইলিশ রপ্তানি চলবে। পূজা উপলক্ষে মোট দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হবে। ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে। ৫২ জন রপ্তানিকারক এই রপ্তানির অনুমতি পেয়েছেন। প্রত্যেক রপ্তানিকারক ৪০ টন করে রপ্তানি করতে পারবেন।

বেনাপোলের ইলিশ রপ্তানিকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট বিশ্বাস ট্রেডার্সের মালিক নুরুল আমিন বিশ্বাস জানান, “বুধবার রাত থেকে রপ্তানি শুরু হয়েছে। প্রথম চালানে ৭৮ টনের বেশি ইলিশ পাঠানো হয়েছে ভারতে।

বৃহস্পতিবার প্রায় একই পরিমাণ রপ্তানি হবে।” তারা ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করতে পারবেন। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি কেজি ইলিশ তারা ১০ ডলারে রপ্তানি করছেন। তবে তিনি জানান, ইলিশ রপ্তানিকারকেরা ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা করেন। বাজারে যে দামে শেষ পর্যন্ত বিক্রি হবে তার ওপর তারা লাভ ভাগাভাগি করে নেবেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রধানত হাওড়া, শিয়ালদা ও পাটিয়াপুকুর পাইকারি বাজারে ইলিশ যায়। সেখান থেকে কোলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন খুচরা বাজারে ইলিশ বিক্রি হয়।

এদিকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হওয়ার আগেই রপ্তানি হবে এই খবরেই বাংলাদেশে ইলিশের দাম বাড়া শুরু করে। আর রপ্তানি শুরুর পর দাম বাড়া অব্যাহত আছে।

ঢাকার কারওয়ান বাজারেও ইলিশের দাম বাড়তি। খুচরা বাজারে বড় আবারের ইলিশের সরবরাহ কমে গেছে বলে জানান ইলিশ ব্যবসায়ী জামাল হোসেন। তিনি মনে করেন, সরবরাহ দুই-একদিনে আরো কমে যাবে। তিনি জানান, গত দুই দিনে হঠাৎ করেই ইলিশের দাম কেজিতে গড়ে ২০০ টাকা বেড়ে গেছে।

২০১২ সালে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করা হয়। এরপর ২০১৯ সালে আবার রপ্তানি শুরু হয়। তখন থেকে প্রতি বছর ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানি হতো। কিন্তু এবার রপ্তানি করা হচ্ছে চারগুণেরও বেশি। গত বছর বাংলাদেশে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আহরন করা হয়। বাংলাদেশে মোট মৎস উৎপাদনে ইলিশের পরিমান ১২.৫ ভাগ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১ ৯:১৫ অপরাহ্ন
জবাই বিলের নাম শুনলে আড়ৎদারদের মাছ কেনার প্রতি আগ্রহ বাড়ে: খাদ্যমন্ত্রী
মৎস্য

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: “মাছে ভাতে বাঙ্গালী, মাছ খেয়ে মানুষ যেমন তৃপ্তি পায় তেমনি ভাবে পুষ্টিও পায়। জবাই বিলের মাছের কথা শুনলে মৎস্য আড়ৎদারদের মাছ কেনার প্রতি আগ্রহ বাড়ে।”

বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জবাই বিলে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে পোনামাছ অবমুক্ত করণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি।

জবাই বিলে মৎস্য কর্মকর্তা রোজিনা পারভীনের সভাপতিত্বে দুই লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়।

পরবর্তী সময়ে বেলা ১১টার দিকে পাহাড়ীপুকুর বধ্যভ‚মিতে বৃক্ষরোপণ শেষে পালপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের নতুন ভবনের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

পরে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে অস্বচ্ছল সাংস্কৃতিসেবীদের মাঝে ও সাপাহার উপজেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তীক চাষীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।

এসময় ক্ষতিগ্রস্থ ১১জন প্রান্তীক চাষীদের মাঝে জনপ্রতি নগদ ১ হাজার টাকা, ৬টি কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মাঝে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সামগ্রী, অস্বচ্ছল ১০ জন সঙ্গীত শিল্পীদের মাঝে নগদ জনপ্রতি ২৫শ’ টাকা ও নির্যাতিত ৫জন মহিলার মাঝে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজান হোসেন মন্ডল, বাংলাদেশ আ’লীগ সাপাহার উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন নেতাকর্মীগণ ও অঙ্গ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১ ১২:২৬ পূর্বাহ্ন
মেঘনায় ইলিশ ধরার ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ
মৎস্য

চাঁদপুরের মেঘনা নদীর রাজরাজেশ্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেছে নৌ পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাটকা ধরার জন্য নদীতে পেতে রাখা এসব ভাসমান জাল জব্দ করা হয়।

চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ জানায়, চাঁদপুর পুলিশ সুপার (এসপি) কামরুজ্জামান এর নির্দেশে মেঘনা নদীতে গত কয়েকদিন ধরে কারেন্ট জাল জব্দ করার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ নৌ-থানা পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালায়। এসময় অসাধু জেলেরা জাটকা ধরার জন্য কারেন্ট জাল নদীতে পেতে রাখে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জেলেরা পালিয়ে গেলেও ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজাহিদুল ইসলাম জানান, থানার কর্মকর্তা ও সদস্যরা রাজরাজেশ্বর এলাকায় মেঘনা নদীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পরিত্যক্ত ও ভাসমান অবস্থায় ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। জব্দকৃত কারেন্ট জাল সন্ধ্যার পরে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর হাইমচর নৌ পুলিশ মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৭ লাখ মিটার এবং ১৮ সেপ্টেম্বর একই উপজেলার নীল কমল নৌ পুলিশ সদস্যরা ১৩ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop