৫:৪৬ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২২ ৮:০১ অপরাহ্ন
নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে : কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

দেশে কোনক্রমেই আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে আন্দোলন করছে। আমি বলতে চাই, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবির মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সার্ভিস এসোসিয়েশনসমূহের নেতৃবৃন্দের দুইদিন ব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জনগণ যদি আমাদেরকে ভোট না দেয়, তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে স্যালুট করে চলে যাব। ২০০১ সালেও আমরা সেটি করেছিলাম। কিন্তু ২০০১-০৬ সালে ক্ষমতায় থেকে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছিল। জনগণ তাদের সাথে থাকে নি। জনগণ এখন আওয়ামী লীগের সাথে। এই জনগণকে নিয়েই আমরা দেশের উন্নয়নের কাফেলা এগিয়ে নিয়ে যাবো।

বিএনপির নানা রকমের হুমকির উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কোন হুমকিকে ভয় পায় না। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার-শক্তির উৎস জনগণ। সবসময় জনগণের সমর্থন নিয়েই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। বিএনপির মতো চোরাগলি পথে, নানারকমের ষড়যন্ত্র করে কোন দিন ক্ষমতায় আসে নি। কাজেই, জনগণকে নিয়েই আমরা বিএনপির আন্দোলনকে মোকাবেলা করব।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ও পুলিশ সদস্যদের লিস্ট করার জন্য বিএনপির এক সিনিয়র নেতার হুমকির জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করা। আমরা নির্বাচিত সরকার। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া, ব্যবসাবাণিজ্যের নিরাপত্তা দেয়া, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখা ও উন্নয়নকে আরও গতিশীল করা আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য৷ এটি করার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। কাজেই, আমাদেরকে হুমকি দিয়ে ভয় দেখাবেন না। সাবধান করে দিচ্ছি, আমরা যে কোন পরিস্থিতিতে আপনাদের কঠোরভাবে মোকাবেলা করব।

বিএনপির আমলে প্রতিবছর দেশে দুর্ভিক্ষ হতো উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময়
আশ্বিন- কার্তিক মাস আসলেই দেশে মঙ্গা হতো, দুর্ভিক্ষ হতো। প্রতিদিন মানুষ না খেয়ে থাকতো, না খেয়ে মানুষ মারাও যেতো। আর এখন বিশ্বব্যাপী চরম সংকটের সময়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ও দূরদর্শিতায় দেশে খাদ্য সংকট নেই, একটি মানুষও না খেয়ে নেই।

অনুষ্ঠানে আইডিইবির সভাপতি একেএম এ হামিদ, সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান, আব্দুল মোতালেবসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সার্ভিসসমূহের শতাধিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১২, ২০২২ ৭:৫০ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার পেয়েছেন ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
কৃষি বিভাগ

দেশের কৃষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৪২৫ ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য বুধবার মোট ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক পুরস্কার তুলে দেন।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬-এর আওতায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কার পেয়েছেন।

পুরস্কারের মধ্যে তিনটি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক রয়েছে। এছাড়া বিজয়ীদের সনদপত্র, পদক ও নগদ টাকা দেয়া হয়েছে।

স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা এক লাখ টাকা, রৌপ্যপদ প্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপ্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা নগদ পেয়েছেন।

১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নতুন দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই পুরস্কার প্রবর্তন করেন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরবর্তী সরকারগুলো পুরস্কার স্থগিত করে।

২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকার ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তাহবিল আইন-২০০৯’ প্রণয়ন করে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রবর্তিত পুরস্কারটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়।

কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১১, ২০২২ ৪:৩২ অপরাহ্ন
‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাচ্ছেন ৪৪জন’
কৃষি বিভাগ

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশের কৃষিখাতে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ৪৪জন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ প্রদান করা হচ্ছে। ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার পাবেন। আর ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কার পাবেন।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ প্রদান উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। এসময় কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী জানান, পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩টি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হবে। এছাড়া বিজয়ীদের সনদপত্র, পদক ও নগদ টাকা দেয়া হবে। স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা ১ লাখ টাকা, রৌপ্যপদ প্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপ্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা নগদ পাবেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের চিরবঞ্চিত, অবহেলিত ও চিরশোষিত কৃষকের উন্নয়নে স্বাধীনতার পরপরই যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। কৃষি গবেষণায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে বঙ্গবন্ধু সরকারি চাকুরিতে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করে কৃষির আধুনিকায়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তাছাড়া, কৃষি এবং কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল’ গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকবান্ধব। তাই তিনি, কৃষির সাফল্যের অন্যতম কারিগর কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানীসহ কৃষির সাথে সম্পৃক্তদেরকে সম্মাননা জানাতে ও তাদেরকে উৎসাহিত করতে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা প্রবর্তন করেছেন। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার কৃষিকে সম্মানজনক পেশায় পরিণত করেছে।

মন্ত্রী বলেন, কৃষিখাতের প্রতি বঙ্গবন্ধুর কৃষকদরদী নীতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চির অবারিত হাত কৃষিকে করেছে আরও সুসংহত। ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ প্রবর্তনের মাধ্যমে কৃষিতে আগ্রহী জনশক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিজয়ী সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কৃষি ক্ষেত্রে নানাভাবে অবদান রেখে চলেছেন। একইসাথে, কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা দেয়ার ফলে কৃষি পেশার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগামীকাল ১২ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সকাল ১০.০০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬ প্রদান করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে ব্রিফিংয়ে জানান হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১১, ২০২২ ২:৫৬ অপরাহ্ন
এখনই দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা নেই: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

সরকারের কাছে পর্যাপ্ত চালের মজুত থাকায় দেশে এখনই দুর্ভিক্ষের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাধারণত বছরের এই সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। কিন্তু, আমরা তা কাটিয়ে উঠেছি। ২ মাস পর আমন ধান কাটা শুরু হবে। আমাদের কাছে ১৫ লাখ টন চাল মজুত রয়েছে, যা এই সময়ের জন্য যথেষ্ট।’
কৃষি খাতে অবদানের জন্য আজ ৪৪টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ২০১৮ ও ২০১৯ দেওয়া হয়েছে।

স্বর্ণপদক জিতেছেন বগুড়া প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রায়হান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ও পাবনার কৃষক আমিরুল ইসলাম।

প্রচার ও প্রকাশনার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য ডা. মো. রায়হানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

শফিকুলকে কৃষির জন্য পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং আমিরুলকে বাণিজ্যিকভাবে গবাদি পশু ও মুরগি পালনে সাফল্যের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১১, ২০২২ ১০:২৭ পূর্বাহ্ন
গোপালগঞ্জে বাড়ির আঙ্গিনার ৫৮৫ একর পতিত জমিতে সবজি চাষ
কৃষি বিভাগ

জেলায় বাড়ির আঙ্গিনার ৫৮৫ একর পতিত জমি সবজি চাষের আওতায় এসেছে। এসব জমিতে সারাবছর প্রান্তিক নারী ও কৃষক সবজি উৎপাদন করছে।
এসব শাক সবজি তারা পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করছে। এতে তাদের পুষ্টির চাহিদা পুরণ হচ্ছে। সেই সাথে বাজারে শাক সবজি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছেন।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার শেখ বলেন, সারা বিশ্বে করোনা মহামারী শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এক ইঞ্চি জমিও আনাবাদী থাকবে না। সরকার কৃষককে সার, বীজসহ সবধরণের উপকরণ দিয়ে বসত বাড়ির আঙ্গিনার দেড় শতাংশ পতিত জমিতে পাবিরাবিক পুষ্টি বাগান করে দেয়ার প্রকল্প গ্রহণ করে।

প্রান্তিক নারীদের প্রাধান্য দিয়ে আমরা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৯০টি পারিবারিক পুষ্টি বাগান সৃজন করে দিয়েছি। এতে ৫৮৫ একর জমি শাক সবজি চাষের আওতায় এসেছে। এখানে সারাবছর প্রান্তিক নারী ও কৃষক লাল শাক, ডাটা শাক , পুই শাক, পালং শাক, ঘি কাঞ্চন শাক, বাটি শাক, গিমা কলমী শাক, ধনেপাতা, বরবটি, সিম, লাউ, কুমড়া, চালকুমড়া, বেগুন, টমেটো, মরিচ, ঢ্যাঁড়শ, চিচিঙ্গা, শসা, ধুন্ধল, বিটকপি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে, মুলা উৎপাদন করছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, কালিকাপুর মডেলে মাত্র দেড় শতাংশ জমিতে পাবিরারিক পুষ্টি বাগানে ৫টি বেড করা হয়। বাগানের ২ সাইডে মাচা ও অপর ২ সাইডে বেড়া দেয়া হয়। বেডে পাতা জাতীয় সবজির চাষাবাদ করা হয়। মাচায় লতা জাতীয় সবজির আবাদ হয়। আর বেড়ায় বরবটি ও সিমের চাষাবাদ হয়। কৃষক সারাবছর এখানে ২৫ থেকে ৩০ রকমের শাক সবজি উৎপাদন করতে পারেন। এই শাক সবজি দিয়ে প্রান্তিক নারী ও  কৃষক পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পুরণ করছেন। পাশাপাশি বাড়তি সবজি বাজারে বিক্রি করে টাকা কামাচ্ছেন। এতে প্রান্তিক নারী ও কৃষক সাবলম্বী হচ্ছেন।

সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামের প্রান্তিক নারী রূপা বিশ্বাস  বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস ১৮ প্রকার শাক সবজির বীজ, ৬ কেজি ইউরিয়া, ১১ কেজি ডিএপি, ৫ কেজি এমওপি ৩ দশমিক ৮ কেজি জীপসাম সার, ১টি নেট, ১টি বীজ পাত্র, ১টি পানি দেয়ার ঝর্না বিনামূল্যে দিয়েছে।

এগুলো পেয়ে আমরা গোবরা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পার্বতী বৈরাগীর পরামর্শে বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত দেড় শতাংশ জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান করেছি। এখানে সারাবছর শাক-সবজি উৎপাদন করছি। এগুলো আমরা খাচ্ছি। প্রতিবেশী ও স্বজনদের দিচ্ছি। বাড়তি সবজি বাজারে বিক্রি করে টাকা আয় করছি। এতে সংসারের আয় বাড়ছে। আমরা সাবলম্বী হচ্ছি। ছোট এক খন্ড জমিতে পুষ্টি বাগান করছি। কিন্তু এর প্রভাব ব্যাপক। এমন বাগানের চিন্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এসেছে। এই বাগান করে আমরা ভাল আছি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

একই ইউনিয়নের চরগোবরা গ্রামের অনিমা বিশ্বাস বলেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শাক-সবজি। এছাড়া পুষ্টি দেয়। এগুলো সদর উপজেলা কৃষি অফিস আমাদের জানিয়েছে। তাদের সব ধরণের সহযোগিতা ও উৎসাহে আমি পারিবারিক পুষ্টি বাগান করেছি। করোনার সময় নিজের বাগানে উৎপাদিত শাক-সবজি খেয়ে করোনাকে পরাস্ত করেছি। এই শাক-সবজি আমাদের পরিবারের সারা বছরের পুষ্টির চাহিদা পুরণ করে চলেছে। তাই এই প্রযুক্তিকে আমি গ্রহণ করেছি। সরকার পারিবারিক পুষ্টি বাগানে বীজ, সার সহায়তা বন্ধ করে দিলেও আমি পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনে এই বাগান টিকিয়ে রাখব।

গোপালগঞ্জ ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত কুমার মল্লিক বলেন, মেধাবী জাতি গঠনে পুষ্টির কোন বিকল্প নেই। শাক-সবজি আমাদের পুষ্টির চাহিদা অনেকাংশে পুরণ করে। এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শাক-সবজির পুষ্টি গুন মেধাবী প্রজন্ম গড়তে সহায়তা করে। তাই আমাদের বেশি-বেশি করে শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জিএম পলিউল ইসলাম বলেন, আমরা চলতি অর্থ বছরে সরকারি সহায়তায় বাড়ির আঙ্গিনার পতিত আরো ৬০০ একর জমি সবজি চাষের আওতায় নিয়ে আসব। এতে করে উপজেলায় ১ হাজার ১৮৫ একর পতিত জমি শাক-সবজি চাষের আওতায় আসবে। এভাবে প্রতিবছর আমরা বসত বাড়ির আঙ্গিনার পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় এনে শাক-সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি করব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়ন করব।  গোপালগঞ্জে এক ইঞ্চি জমিও আনাবাদী থাকবে না

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১০, ২০২২ ৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৬ পাচ্ছেন মোঃ রোস্তম আলী
কৃষি বিভাগ

ছাদ কৃষিতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৬ পাচ্ছেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রোস্তম আলী । আগামী ১২ অক্টোবর/২০২২ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রদান করবেন। কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কৃষিমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
জনাব মোঃ রোস্তম আলী উপজেলা কৃষি অফিসার হিসেবে সিরাজগঞ্জ সদরে নিয়োজিত আছেন। তিনি তাঁর অফিসে ছাদ বাগান স্থাপন করে স্থানীয়দের এ বিষয়ে আগ্রহী করে তুলেছেন। তাঁর অফিসের ছাদ বাগানে প্রায় ২০ প্রজাতির ফল, ১৪ প্রজাতির শাক সবজি এবং ৫০ প্রজাতির ঔষুধী/অরনামেন্টালসহ অসংখ্য গাছ রয়েছে। তিনি ছাদে চারা উৎপাদন করে এলাকার কৃষক ও আগ্রহী ব্যক্তিদের মাঝে বিতরন করেছেন। এ ছাদ বাগানে জৈব সার ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় আউশ ধান, সরিষা, মুগ, মসুর, চিনাবাদাম, মাসকলাই, তিশি, খেশারী, মরিচ, ভুট্টা ইত্যাদির আবাদ বৃদ্ধি, সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, সবুজ সার হিসেবে ধৈঞ্চা,লাইনে ধান রোপন, পার্চিং, আদর্শ বীজতলা স্থাপন, ভাসমান পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন, ভার্মি কম্পোষ্ট উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছেন।একজন দায়িত্বশীল মাঠ কর্মকর্তা হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ মোঃ রোস্তম আলী বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৬ এর ব্রোঞ্জ পদক পাচ্ছেন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রোস্তম আলী জানান প্রায় ছয় বছর যাবত সিরাজগঞ্জ সদর কৃষি অফিসের ছাদে চারা উৎপাদন ও নিজস্ব অর্থায়নে ফলজ চারা ক্রয়ের মাধ্যমে ছাদ-কৃষিতে-সিরাজগঞ্জ ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহারের মাধ্যমে ছাদ বাগানী নির্বাচন ও কৃষি অফিসের ছাদে উৎপাদিত চারা বিনামুল্যে বিতরণ করে আসছি। এ পর্যন্ত ২০০০ জনকে ছাদে উৎপাদিত সবজি ও ফলের আনুমানিক ৭০০০০টি চারা বিতরন করেছি। ছাদ কৃষিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৬ প্রাপ্তিতে দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। আমি সব সময় কৃষি ও কৃষকের পাশে ছিলাম এবং আগামীতেও থাকব।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৮, ২০২২ ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
বিরামপুরে আগাম জাতের ধান কাটায় ব্যস্ত চাষিরা
কৃষি বিভাগ

শস্য ভাণ্ডারখ্যাত দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মুক্তভাবে এবার আগাম জাতের আমনের আশাতীত ফলন হয়েছে।

আগাম ধান কাটায় খাদ্য চাহিদা পূরণ, বাজারে অধিক মূল্য ও কাঁচা খড় বিক্রিতে অধিক দামের মাধ্যমে কৃষকরা সবদিক থেকে লাভবান হয়েছেন। এর পাশাপাশি একই জমিতে শীতকালীন সবজি রোপণের প্রস্তুতি নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকসন চন্দ্র পাল জানান, বিরামপুর উপজেলার পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১৭ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ করা হয়। এরমধ্যে ১১ হাজার ২৫০ বিঘা উঁচু শ্রেণির জমিতে আগাম জাতের আমন ধান রোপণ করা হয়েছে। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪শ’ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। আমনের অন্যান্য ধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- গুটি স্বর্ণা, স্বর্ণা-৫, ব্রি-৩৪, ৫১, ৭১, ৭৫, হাইব্রিড ও বিনা-১৭.২০ জাত।

উপজেলার হরেকৃষ্টপুর নাপিতপাড়া গ্রামের কৃষক লাবিবুর রহমান জানান, তিনি প্রায় চার বিঘা জমিতে আগাম জাতের আমন রোপণ করেন। তিনি বিঘা প্রতি ১৪-১৬ মণ হারে ফলন পেয়েছেন।

হাবিবপুর গ্রামের তমিজ উদ্দিন জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে আগাম জাতের আমন রোপণ করেছেন। তিনি বিঘা প্রতি বিঘা জমি থেকে ১৫-১৭ মণ হারে ফলন পেয়েছেন।

কৃষকরা বলেন, আগাম জাতের ধান ঘরে তুলতে পেরে খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে ৮-৯শ’ টাকা মন দরে কাঁচা ধান বিক্রি করতে পারছেন। ধানের কাঁচা খড় গো-খাদ্য হিসেবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

কৃষকরা আরও বলেন, প্রতিবিঘার কাঁচা খড় ৪-৫ হাজার টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া একই জমিতে আবার আলু, সরিষা ও ফুলকপিসহ শীতকালীন বিভিন্ন প্রকার সবজি রোপণের প্রস্তুতিও নিয়েছেন।

হাবিবপুর বাজারের ধান ব্যবসায়ী জিয়া হোসেন জানান, তিনি সদ্য মাড়াই করা কাঁচা ধান ৯০০ টাকা করে ক্রয় করেছেন।

মুকুন্দপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম জানান, আমি দিনভর মাঠে মাঠে ঘুরে কৃষকদের আগাম আমন ধান ও শীতকালীন ফসল আবাদে সহায়তা, রোগ-বালাই ও দুর্যোগ প্রতিরোধে দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৫, ২০২২ ৮:০৬ অপরাহ্ন
হরিপুরে ব্ল্যাকরাইস ধান চাষে চমক কৃষক মোস্তাকের
কৃষি বিভাগ

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে এই প্রথম ইন্দোনেশিয়ার ব্ল্যাকরাইস ধান চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন উপজেলার বনগাঁও গ্রামের সাবেক মেম্বার ও কৃষক মোস্তাক আলী সিদ্দিকি।

জানা যায়, কৃষক মোস্তাক ২৫ শতক জমিতে এই ধান চাষ করেছেন। ক্ষেতের ধান পেঁকে বাতাসে দোল খাচ্ছে ও ধান কাটার সময়ও হয়ে গেছে। প্রতিদিনই ধানক্ষেত দেখতে এলাকার মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।

ধানের বীজ ও চাষের বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাক জানান, ফরিদপুর থেকে আমার বন্ধুর মাধ্যমে ২ কেজি ধান ৬’শ টাকায় ক্রয় করি। জুন মাসে বীজ রোপণ করি, চারার বয়স ২৫ দিন হলে ১২ জুলাই চারা মাঠে রোপণ করি। বর্তমান ধানের বয়স ৮০ দিন চলছে ৯০ দিন পূর্তি হলেই ধান কাটতে হবে। ২৫ শতক জমিতে এই ধান আবাদ করতে আমার খরচ হয়েছে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। এই ধানে সার ও বিষ ব্যবহার না করলেও চলে।

পোকামাকড়ের কোনো বালাই নেই। ফলন প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মণ হতে পারে। কিšুÍ এর প্রতি কেজি চালের দাম ৫ থেকে ৬’শ টাকা বলে জানান তিনি। ইন্দোনেশিয়ার এই ধানের (ব্ল্যাক রাইস) বৈশিষ্ট্য হলো, এর গাছ, পাতা দেখতে স্বাভাবিক ধানগাছের মতো হলেও ধানের শিষ এবং চাল সবকিছুই লালচে কালো ও চিকন। এ চাল পুষ্টিগুণে ভরপুর। তাই এ চালের দামও বেশি। শখের বশেই এ ধান চাষ করেছি এবং সফল হয়েছি। এ ধান চাষে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। বীজ নেয়ার জন্য মানুষ বাড়িতে ভিড় করছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবেল হুসেন বলেন, ব্ল্যাক রাইস ধান বিদেশী জাত। সরকারি ভাবে দেশে এখনো এর চাষাবাদ শুরু হয়নি। এর চাল পুষ্টিগুণে ভরপুর ও দামি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৪, ২০২২ ৩:৫১ অপরাহ্ন
পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে মজিদপুরের চাষিরা
কৃষি বিভাগ

সারাবছর শাক-সবজির আবাদ করেন কুমিরমারা, মজিদপুর গ্রামের কৃষক। একই দৃশ্য বাইনতলা ও এলেমপুর গ্রামের। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের এসব কৃষক তাদের উৎপাদিত অধিকাংশ শাক-সবজি পাখিমারার খাল দিয়ে নৌকায় বাজারজাত করে আসছে। এ খালটির পানি ব্যবহার হয় ধানসহ শাক-সবজির চাষাবাদে। খালপথে নৌকায় যোগাযোগ তাদের অন্যতম মাধ্যম।

বর্তমানে অন্তত ৪০০ ফুট প্রস্থ এ খালের পানি ওঠানামানোর সংযুক্ত যুগীর স্লুইস খালের সামনে আলী মুন্সি এবং জলিল গাজীর বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় আড়াআড়িভাবে প্লাস্টিকের এবং সুক্ষ্ম ফাঁসের মশারী নেট দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ভাষায় একে পাডাগড়া বলা হয়। ফলে টোটাল খালের পানির প্রবাহ চরমভাবে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।

অপরদিকে কৃষকরা তাদের কৃষিপণ্য নৌকায় বাজারজাত করতে পারছেনা। মাথায় করে নিতে হয়। এলাকার আলমগীর জমাদ্দার গং সোনার বাংলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে লিজ নিয়ে খালে মাছ চাষ করছেন।

আলমগীর জমাদ্দার জানান, তারা বেড়ার মাঝখানে নৌকা চলাচলের ফাঁক রেখেছেন। কৃষক সুলতান গাজী জানান এই খালটির মিঠা পানি দুই পাড়ের হাজারো কৃষক পরিবারের জীবন জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন। কৃষকরা কৃষি জমি চাষাবাদ করেন। গোসলসহ নিত্য কাজে খালের পানি ব্যবহার করেন। আর কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নৌকায় করে পাখিমারা বাজারে নিয়ে আসেন। বর্তমানে খালে বেড়া দিয়ে আটকে দেওয়ায় তাদের খুব সমস্যা হয়েছে।

উল্লেখ্য খাল ইজারা নিলেও পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত কিংবা মানুষের খালের পানি ব্যবহার করতে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির সুযোগ নেই। সবজি চাষিসহ অধিকাংশ কৃষকের দাবি খালটি উম্মুক্ত করে দেয়ার পাশাপাশি স্লুইসগেট প্রকৃত কৃষকের কাছে নিয়ন্ত্রণ করা হোক। সূত্র: জনকণ্ঠ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২ ৫:৫০ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বাড়ছে পুষ্টি বাগানের সংখ্যা
কৃষি বিভাগ

পুষ্টির চাহিদা মিটাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের সংখ্যা।

জানা গেছে,চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় নতুন করে ১হাজার ৬শ’৬০টি বাগান স্থাপিত হয়েছে। বাড়ির আঙ্গিনায় দেড় শতক জায়গা রয়েছে এমন প্রান্তিক কৃষককে প্রকল্পের আওতায় এনে এই বাগান স্থাপন করা হয়।

পুষ্টি বাগানে হরেক রকমের গ্রীম্মকালীন ও শীতকালীন সময়ে সবজি চাষ করা হয়। যা দিয়ে একটি পরিবারের এক বছরের পুষ্টির চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বাড়িত আয়ও হচ্ছে।

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় প্রথম পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এই সময় জেলায় ৩হাজার ৪০টি পুষ্টি বাগান স্থাপিত হলেও ২০২১-২০২২ অর্থবছরে নতুন আরো ১হাজার ৬শ’৬০টি বাগান স্থাপিত হয়েছে। বাগান স্থাপনে পর্যাপ্ত সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি জেলায় ১০ সহস্রাধিক বাগান স্থাপনের পরিকল্পনার কথা রয়েছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, এসব বাগানে মওসুম ভেদে উৎপাদিত হচ্ছে বিভিন্ন রকমের সবজি। উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে রয়েছে ঢেঁড়শ, বেগুন, লাউ, লালশাক, পুঁইশাক, কলমি শাক, পালংশাক, ডাটাশাক ছাড়াও শীতকালীন বিভিন্ন সবজি। এরমধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাঁজর, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদিত হচ্ছে।

কৃষক হেবজু ভূইঁয়া বলেন, পুষ্টি বাগান করতে বাঁশ, বেত, বেড়া, সার ও বীজ দিয়ে কৃষি বিভাগ আমাদের সহায়তা করছে। বাড়ির পাশে খালি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চারা লাগিয়ে তা চাষ করছি। এতে সারাবছর সবজির চাহিদা মিটছে।

নারী কৃষক আম্বিয়া বেগম বলেন, আমার পরিবারে পাঁচজন সদস্য রয়েছে। সকলে মিলে বাড়ির আঙ্গিনায় লাউ, ঢেড়শ, টমেটো, ঝিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। এতে আমাদের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটছে।

বিজয়নগর উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. হাদিউল ইসলাম বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক যাদের দেড়শতক পতিত জমি রয়েছে তাদেরকেই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে বাগানগুলো পরিদর্শন করে কৃষি বিভাগ থেকে সহায়তা করছি।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, বাগান স্থাপনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। সারাবছর যাতে একজন কৃষক সবজি উৎপাদন করতে পারে সেজন্য সার, বীজ ও বেড়াসহ সার্বিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যেই ১০ হাজার বাগান স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop