১:২২ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২৪, ২০২৩ ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
দুধ উৎপাদনে সেরা যে জাতের গরু
ডেইরী

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদনকারী গাভী হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান। এখন পর্যন্ত দুধ উৎপাদনের যত রেকর্ড আছে, সবই এই জাতের গাভী দখলে।

মাংসের বাজারেও এদের রয়েছে সরব উপস্থিতি। সারা বিশ্বে মোট উৎপাদিত দুধের প্রায় ৫০ শতাংশ এই জাতের গরু থেকে পাওয়া যায়।

একে শুধু দুধ উৎপাদনকারী গাভী হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এই জাতের ষাঁড়ও বৃহৎ আকৃতির হয়ে থাকে। এই জাতের এক একটি পূর্ণবয়স্ক ষাঁড়ের ওজন ৭০০ থেকে এক হাজার কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এক একটি গাভীর উচ্চতা প্রায় ৫৫ থেকে ৭০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

হোলস্টাইন অর্থ সাদা-কালো ডোরাকাটা আর স্থানের নাম ফ্রিজল্যান্ডের সঙ্গে মিলিয়ে এই গরুর নাম হয় হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান। জাতের গরুর আধিনিবাস জার্মানিতে। মূলত জার্মানির কালো জাতের গরু এবং নেদারল্যান্ডের সাদা জাতের গরুর সংকরায়ণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় যুগান্তকারী এই নতুন জাতের গরু।

সাদা-কালো মিশেলের জন্ম নেয়ায় এই গরুর দুধ উৎপাদনের সক্ষমতা সবাইকে চমকে দেয়। এই জাতের গরু এখন আর শুধু জার্মানির আর নেদারল্যান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি তৈরি করেছে খ্যাতিও। বর্তমান বিশ্বে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ানের সঠিক সংখ্যা কত তা জানা যায় না।

তবে ১৯৯০ সালে শুধু আমেরিকায় নিবন্ধনকৃত এই গরুর সংখ্যা ছিল ৪০ মিলিয়নেরও বেশি।

এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় পালনকৃত এক দশমিক ছয় মিলিয়ন ডেইরি গরুর প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান।

লাতিন আমেরিকা থেকে নিউজিল্যান্ড, কানাডা থেকে রাশিয়া পর্যন্ত পৃথিবীর এমন কোনো গরু পালনকারী ভূখণ্ড নেই, যেখানে কালো সাদা জাতের গরু ব্র্যান্ডিং হয়নি।

তবে সর্বোচ্চ সংখ্যায় পালনকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইংল্যান্ড, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত। বিশাল দেহি এই নরম জাতের এবং দুর্বল হজম ক্ষমতার গরু হিসেবে পরিচিত হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান।

এরা সাধারণত সাদা খর বিশিষ্ট হয়ে থাকে। মাথার উপরে সাদা টিক দেখে সহজে সনাক্তযোগ্য হলেও বিশুদ্ধ কালো জাতের গরু ও দেখা যায়।

এই জাতের গরুর জীবনকাল ছোট হওয়ায় দুধ উৎপাদনের সময়ও কম। ইংল্যান্ডের এই জাতের গরুর গড় জীবনকাল ১২ থেকে ১৪ বছর হয়ে থাকে। এরা বাচ্চাপ্রদান গড়ে পাঁচটি। একটি হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ানগরুর বাচ্চার ওজন ৪০ থেকে ৬০ কেজি পর্যন্ত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৬, ২০২২ ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
একটি ডেইরী ফার্ম শুরু করবেন যেভাবে
ডেইরী

ডেইরী ফার্ম কিভাবে শুরু করা যেতে পারে এটা অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে। ফার্ম শুরু করার আগে ও পরে যে ব্যাপারগুলো বিবেচনা করা দরকার যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, ফার্মের জায়গাটা কোথায়, সেখানে ডাক্তার, গরুর খাবার, দুধের দাম, দুধ বিক্রি খুব সহজে করা যায় কিনা তা জানতে হবে। এসবের পাশাপাশি অনেকে জানতে চান ফার্মটা কি রকম হবে, কয়টা গরু দিয়ে শুরু করলে ব্যবসাটা লাভবান হতে পারে। তবে লিখাটা তাদের জন্য যারা খুব ছোট আকারে, একেবারে কম খরচে পাইলট প্রোজেক্ট আকারে শুরু করে বুঝতে চান অথবা যাদের বাজেট কম।

পরিকল্পনা এবং কৌশল: বাজেট টাকা ৩৮০,০০০/- এবং কমপক্ষে ১৫ লিটার দুধের গরু (বাছুরসহ) ২ টা। গোয়াল ঘর: ৩০ ফিট বাই ১৫ ফিট, ইলেক্ট্রিক আর পানির ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে। এবার হিসাব নিকাশ এ আসা যাক।

এককালীন খরচ: ২ টা দুধের গরুর দাম : ৩০০,০০০/- গোয়াল ঘর : ৬০,০০০/- ইলেক্ট্রিক/ পানি : ২০,০০০/- মাসিক আয়-ব্যায়ের হিসাব: ‪‎দুধ বিক্রি থেকে আয়: ২০ লি: x ৫০ = ১০০০ টাকা প্রতিদিনের আয়। তাহলে মাসিক আয়: ১০০০ x ৩০ = ৩০০০০ টাকা। (দুধ ২০ লিটার দেখানো হয়েছে কারণ একটা ১৫ লিটার দুধের গরু ৮ মাসই ১৫ লিটার দুধ দেবে না, ধীরে ধীরে কমতে থাকবে, তাই গড়পড়তা ১০ লিটার প্রতিদিন দেখানো হয়েছে) ‪

‎মাসিক ব্যয়: কর্মচারীর মাসিক বেতন: ৭০০০ টাকা, গরু প্রতি খাবার খরচ: ১৫০ টাকা প্রতিদিন, তাহলে মাসিক খরচ: ৯০০০ টাকা। মেডিসিন এবং অন্যান্য: ২০০০ টাকা। তাহলে মোট ব্যয়: ১৮,০০০ টাকা। (গরু যত বেশি হবে ১ জন কর্মচারীর বেতন বাবদ গড়পড়তা খরচ অনেক কম হবে)।

মাসিক লাভ: ৩০০০০-১৮০০০= ১২,০০০ টাকা। এককালীন উপরের ৩৮০,০০০ টাকা খরচগুলো উঠে আসতে সময় লাগবে ৩১ মাস বা ২ বছর ৭ মাস। কৌশলগতভাবে এই মাসিক আয়কে ধরে রাখতে ৮ মাস পরে আবার ২ টা দুধের গরু কিনতে হবে ২য় পদক্ষেপে। তাহলে একটা সার্কেলের মধ্যে পড়ে যাবে এবং সেক্ষেত্রে কখনই পকেট থেকে টাকা খরচ করে খাবার খরচ আর বেতনাদি পরিশোধ করতে হবে না। আর বড় ধরনের দুর্ঘটনা বা অসুখ-বিসুখ যা আমাদের নিয়ন্ত্রিত নয় তা এখানে দেখানো হয়নি।

২.৫ বছর পর ব্যলান্সসিট কেমন হবে? সম্পদের পরিমাণ কত হবে (মানে কতগুলো গরু আছে এবং তার মূল্য কত), এটা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি তা বের করা যায়, তাহলেই বোঝা যাবে ডেইরী ব্যবসা কেমন হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ ২:১৫ অপরাহ্ন
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষ্যে শেকৃবির ডেইরি সায়েন্স আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
ডেইরী

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স বিভাগ আয়োজন করে রচনা প্রতিযোগিতার। এতে সারাদেশের কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। প্রায় শতাধিক রচনার মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ ৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এতে প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী আশিক আহমেদ মুক্তা, দ্বিতীয় হয়েছেন যৌথভাবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী মোঃ ফরহাদ হোসেন ফাহিম ও চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা মিম, তৃতীয় হয়েছেন যৌথভাবে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান রকি এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহোদেব বিশ্বাস।

 

এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ী প্রতিযোগীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ করেন এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. লাম ইয়া আসাদ। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেইরি সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, ডেইরি সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক আশিকুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক লিটা বিশ্বাস এবং সহকারী অধ্যাপক মোসাঃ তাসমীম সুলতানা। ডীন অধ্যাপক ড. লাম ইয়া আসাদ বলেন, “এ ধরনের প্রতিযোগিতা আমাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্দীপনা যোগাবে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীলতার সৃষ্টি করবে। তিনি এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য ডেইরি সায়েন্স বিভাগকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের আহবান জানান।” ডেইরি সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান ডেইরি সায়েন্স বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রতিযোগীদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতিযোগিতায় সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য আহবান জানান।

 

বার্তা প্রেরকঃ

আবদুর রহমান (রাফি)

এমএস স্টুডেন্ট, ডেইরি সায়েন্স বিভাগ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১০, ২০২২ ৪:৩৬ অপরাহ্ন
গরু মোটাতাজা করতে খামারিদের করণীয়
কৃষি বিভাগ

গরু পালন লাভজনক হওয়াতে এখন আমাদের দেশের অনেকেই গরুর খামার করার প্রতি ঝুঁকছেন। তবে, এই গরু যদি হয় আরেকটু মোটাতাজা তাহলে আর কথা ই নাই। আর এর জন্য দরকার গরুর সুষম খাদ্য। আর সুষম খাদ্য প্রয়োগে আপনি আরো লাভবান হতে পারেন গরু পালনে।

খামারে গরু মোটাতাজাকরণে যেসকল আমিষ খাবার আপনার গরুকে খাওয়াবেন:

শুকনা খড়: ২ বছর বয়সের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনা খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে এক রাত লালীগুড়-চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে সরবরাহ করতে হবে।

কাঁচা ঘাস: গরুকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি কাঁচা ঘাস বা শস্য জাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কলাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।

দানাদার খাদ্য: গরুকে প্রত্যেক দিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যের তালিকা দেয়া হলো- গম ভাঙা-গমের ভুসি ৪০ কেজি চালের কুঁড়া ২৩.৫ কেজি খেসারি বা যে কোনো ডালের ভুসি ১৫ কেজি তিলের খৈল-সরিষার খৈল ২০ কেজি লবণ ১.৫ কেজি। উল্লিখিত তালিকা ছাড়াও বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন মিনারেল মিশ্রণ ১% হারে খাওয়াতে হবে।

১৫০ কেজি ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: খড় = ৩ কেজি কাঁচা ঘাস = ৫-৬ কেজি দানাদার খাদ্যের মিশ্রন = ১.৫-২ কেজি চিটাগুড় = ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া = ৪৫ গ্রাম (নিয়মানুয়ায়ী) লবন = ৩৫ গ্রাম।

১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: ধানের খড় = ২ কেজি সবুজ ঘাস = ২ কেজি (ঘাস না থাকলে খড় ব্যবহার করতে হবে দানদার খাদ্যে মিশ্রন = ১.২-২.৫ কেজি ইউরিয়া = ৩৫ গ্রাম (নিয়মানুযায়ী) চিটাগুড়া = ২০০-৪০০ গ্রাম লবণ = ২৫ গ্রাম দানাদার খাদ্যের সাথে লবন, ইউরিয়া, চিটাগুড় এক সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার দিতে হবে। ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস ছোট ছোট করে কেটে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

কৃমিমুক্তকরণ ও টিকা প্রদান: গরুকে ডাক্তারের নির্দেশনা মত কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। নতুন গরু সংগ্রহের পর পরই পালের সব গরুকে একসঙ্গে কৃমিমুক্ত করা উচিত। এক্ষেত্রে প্রতি ৭৫ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি করে এনডেক্স বা এন্টিওয়ার্ম ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

পূর্ব থেকে টিকা না দেয়া থাকলে খামারে আনার পর পরই সব গরুকে তড়কা, বাদলা ও ক্ষুরা রোগের টিকা দিতে হবে। এ ব্যাপারে নিকটস্থ পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

ঘর তৈরি ও আবাসন ব্যবস্থাপনা: আমদের দেশের অধিকাংশ খামারী ২/৩ টি পশু মোটাতাজা করে থাকে, যার জন্য সাধারণত আধুনিক শেড করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে যে ধরনের ঘরেই গরু রাখা হোক, ঘরের মধ্যে পর্যন্ত আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ঘরের মল- মূত্র ও অন্যান্য আবর্জনা যাতে সহজেই পরিষ্কার করা যায়, সে দিকে খেয়াল রেখে ঘরে তৈরি করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৮, ২০২২ ৫:৫০ অপরাহ্ন
দেশি জাতের গরু চিনবেন যেভাবে
ডেইরী

দেশে দিন দিন দেশি জাতের গরুর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ফলে দেশি জাত কিভাবে চেনা যায়, সে প্রশ্ন অনেকের।

সাধারণত দেশি জাতের গরুর শরীরে বিদেশি জাত বা শংকর জাতের চেয়ে চর্বি কম থাকে। দেশি গরু আকারও কিছুটা ছোট হয়। মাংসে স্বাদ বেশি হয়, কিন্তু দুধের পরিমাণ বিদেশি গরুর তুলনায় কম হয়।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিম্যাল নিউট্রিশন, জেনেটিক্স ও ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক লামইয়া আসাদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশি গরু চেনার উপায় হচ্ছে দেশি জাতের গরুর চামড়া শক্ত থাকে। এছাড়া এর কুঁজ থাকে এবং গলার নিচে চামড়ার ভাঁজ কম থাকে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন বিভাগের পরিচালক ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশি জাতের যেসব গরু বাজারে জনপ্রিয়, তার মধ্যে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম, চট্টগ্রাম ও এর আশেপাশের এলাকার আরসিসি, পাবনা ক্যাটল, সিরাজগঞ্জের ব্রিড নামে পরিচিত গরুগুলো উল্লেখযোগ্য।

পাবনা ক্যাটল

এটি পাবনা ব্রিড নামেও পরিচিত। এই জাতের গরুর বড় অংশটির রং সাদা বা সাদা মেশানো ছাই রং। এছাড়া লাল, ধূসর বা মিশ্র বর্ণেরও হয় এসব গরু। দেশীয় আবহাওয়া সহনশীল এসব গরু পালনে খাবার কম লাগে।

দেশের জাতীয় তথ্য বাতায়নে পাবনা ক্যাটল সম্পর্কে বলা হয়েছে, পাবনার চলনবিল সংলগ্ন এলাকায় এই গরুর বাস। এটি খর্বকায় মানে বেশি বড় আকৃতির নয়। এদের স্বাস্থ্য সুঠাম, রোগব্যাধি কম হয়। এটি ঘাস খায়, এর বাইরে অন্য ধরনের খাবার কমই দিতে হয়। দেশে দুধের উৎপাদন বাড়াতে ফ্রিজিয়ান গরুর সাথে এর কৃত্রিম প্রজনন করা হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে।

সিরাজগঞ্জ ব্রিড

এই জাতের গরু মূলত পদ্মাপারের কয়েকটি জেলায় হয়ে থাকে। এই জাতের গরুর সঙ্গে পাবনা ক্যাটলের সাদৃশ্য রয়েছে। তবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি পাবনা ক্যাটলের চেয়ে আকারে কিছুটা বড় হয়। এর কুঁজ উঁচু ও বলিষ্ঠ হয়।

এসব জাত ছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাংসের চাহিদা মাথায় রেখে শাহীওয়াল এবং ব্রাহমা জাতের গরুর সাথে সংকরায়ন করে আরো কিছু জাতের প্রজনন ঘটানো হয়েছে, যেগুলো কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের মন জয় করেছে।

মীরকাদিমের ধবল গাই

এটি আকারে সাধারণ গরুর চেয়ে বড়। এটি সাধারণত সাদা রংয়ের হয়। কখনো এর সঙ্গে তার গায়ে অল্প ছাই রং বা কালোর ছোপ থাকতে পারে। মীরকাদিমের গরুর মাংসে আঁশ কম থাকে, এর হাড় চিকন হয়। ফলে মাংস হয় নরম ও তেলতেলে।

এটি পালন সহজ, মানে খাবারের খরচ কম। খৈল, গম, মসুর ডালের ভুসি এবং ভুট্টা গুঁড়ার মত খাবার দিয়ে পালন করা যায়।

আরসিসি বা রেড চিটাগাং ক্যাটল

এই গরুর গায়ের রং লাল। এর ক্ষুরা মানে পায়ের রংও লাল। এটি আকারে বেশি বড় হয় না। এর কুঁজ ছোট আকারের হবে। এই গরু পালনে খাবার কম লাগে। দেশি আবহাওয়া সহনশীল বলে খামারিদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই গরু। মূলত এই জাত চট্টগ্রাম এবং এর আশেপাশের জেলায় বেশি উৎপাদন হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২, ২০২২ ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
৩৯ খামারি ও উদ্যোক্তা পেলেন ডেইরি আইকন পুরস্কার
ডেইরী

ডেইরি খামার, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, দুধ ও গোশত প্রক্রিয়াকরণ এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ এই চারটি ক্যাটাগরিতে দেশে দুগ্ধ খাতে সফল খামারি ও উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৩৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রথমবারের মতো দেয়া হলো ডেইরি আইকন-২০২১ পুরস্কার। প্রতিটি পুরস্কারের আর্থিক মূল্য এক লাখ টাকা।

গতকাল বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২২ উপলক্ষে তাদের এই সম্মাননা দেয়া হয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।

এতে ডেইরি খামারি ক্যাটাগরিতে সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো: ইমরান হোসেন ও খামারি আব্দুস সামাদ ফকিরসহ ১৫ জন; পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে রংপুরের আর আর ট্রেডিংয়ের রাজু আহমেদসহ ৯ জন; দুধ/গোশত প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্যাটাগরিতে সিরাজগঞ্জের সাদেক খান দই ঘরের আব্দুল মালেকসহ ৯ জন এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটাগরিতে সিরাজগঞ্জের শান্তা ডেইরি ফার্মের রিয়াজ উদ্দিনসহ ছয়জন এই পুরস্কার পান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম দুধের উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারিনি, কিন্তু মাছ, গোশত ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। অনেক শিক্ষিত মানুষ এখন প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগ করছে। তারা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করছে। বেসরকারি খাত ছাড়া প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন সম্ভব হতো না। দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে বেসরকারি খাতকে আরো এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা দূর করার জন্য আমরা অনেক কৌশলগত অবস্থান নিয়েছি। একসময় ভারত ও মিয়ানমার থেকে কোরবানির পশু আসত। এ খাতের খামারি ও উৎপাদকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এখন আমরা বিদেশ থেকে কোনোভাবেই পশু দেশে আসতে দিচ্ছি না। মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতার হাত সরকার সম্প্রসারণ করে রেখেছে। যারা প্রাণিখাদ্য ও মাছের খাদ্য উৎপাদন করতে চান, সরকার তাদের কর রেয়াতসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে চায়। কিছু কৌশলগত সমস্যার কারণে প্রাণিখাদ্য ও অন্যান্য খাদ্যের দাম বাড়ছে। কিছু মজুদদার ও মুনাফালোভী খারাপ লোক আছে, তারা নিজেরা অনেক কিছু গোপন করে, আটকে রেখে বাইরে ছাড়ছেন কম। প্রাণিখাদ্য তৈরিতে বাইরে থেকে যে উপাদান আনতে হয় তা অতিরিক্ত নিয়েও অনেকে সেটা গুদামজাত করে রেখে কৃত্রিম সঙ্কট দেখান।

মেধাবী জাতি বিনির্মাণে দুধের চেয়ে ভালো খাবার হয় না উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, দেশে দুধের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অত্যন্ত চমৎকার। সরকার মানসম্পন্ন দুধ উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য দুধ উৎপাদনে পশুকে দেয়া খাবারের মান বৈজ্ঞানিক উপায়ে নির্ধারণ করতে হবে। শুধু লিটারের পর লিটার দুধ বাড়লেই আমরা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারব না। গুণগতমানের দুধ না হলে দুধ থেকে উৎপাদিত খাবারের পুষ্টিমান নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা: মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অ্যাগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট ক্রিশ্চিয়ান বার্জার, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো: আব্দুর রহিম, প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো: গোলাম রব্বানীসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৩, ২০২২ ৩:৩৬ অপরাহ্ন
গর্ভবতী গাভীকে খাদ্য প্রদানে যেসব বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে
ডেইরী

গাভী গর্ভবতী হলে খাদ্য প্রদানে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে সেগুলো খামারিদের ভালোভাবে জেনে রাখতে হবে। লাভজনক হওয়ার কারণে দিন দিন গাভী পালনে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। গাভী পালনকালে গর্ভবতী অবস্থায় বেশি যত্ন নিতে হয়। আজকে আমরা জানবো গাভী গর্ভবতী হলে খাদ্য প্রদানে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে সেই সম্পর্কে-

১। গর্ভবতী গাভীকে খাদ্য প্রদানে এমনভাবে খাদ্য প্রদান করতে হবে যাতে গাভীর দৈনিক খাদ্য চাহিদা পূরণ হয়। সম্ভব হলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর গাভীকে খাদ্য প্রদান করতে হবে। এতে গাভী সুস্থ-সবল থাকবে ও বাচ্চাও পরিপুষ্ট হবে।

২।  গাভীকে   যতটা সম্ভব নরম ও তরল জাতীয় খাদ্য বেশি খাওয়াতে হবে। শুকনো খাদ্য প্রদানের পাশাপাশি নরম ও তরল খাদ্য প্রদান করলে গাভীর খাদ্য হজমে সমস্যা দেখা দিবে না এবং গাভী সুস্থ থাকবে।

৩।  গাভীকে খাদ্য প্রদানের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে গাভীর খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদন বিদ্যমান থাকে। গর্ভবতী থাকা অবস্থায় গাভীর শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির দরকার হয়। এছাড়াও গাভীকে পুষ্টিকর খাদ্য গাভীকে প্রদান করলে গর্ভের বাচ্চা সুস্থ ও সবল থাকে।

৪। গর্ভধারণ করা গাভী বেশি দুর্বল হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গাভীর খাদ্য প্রদান করতে হবে। এছাড়াও গাভীকে সবল রাখার জন্য খাদ্যের সাথে অতিরিক্ত উপাদান মিশ্রিত করে গাভীকে খাওয়াতে হবে।

৫। গর্ভবতী গাভীকে কাঁচা ঘাস খাওয়াতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। গাভীকে নিয়মিত কাঁচা ঘাস খাওয়ালে গাভীর প্রয়োজনীয় সকল ভিটামিন ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। এছাড়াও গাভী আরও বেশি শক্তিশালী হবে। ফলে বাচ্চা প্রসবের সময় তেমন কোন জটিলতা দেখা দিবে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৮, ২০২২ ২:৫৩ অপরাহ্ন
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদনে করণীয়
ডেইরী

গবাদিপশু দিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় অনেকে খামার গড়ে তুলেছেন। গবাদিপশু তথা গরু পালনে লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে দুধ উৎপাদন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদনে যা জানা জরুরী তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই।

স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর দুধ উৎপাদন করবেন যেভাবে:

১. যথাসম্ভব কম লোক দিয়ে খামারের সকল গরুর দুধ দোহন করতে হবে। খামারের প্রবেশদ্বারে জীবানু নাশক সহ ফুটবাথ রাখতে হবে।

২. দুধ দোহনের পরে গাভীকে খাবার দিতে হবে, ফলে ওলান ফুলা রোগ বা ম্যাসটাইটিস হবার সম্ভবনা থাকবে না।

৩. ম্যাসটাইটিস প্রতিরোধে নিয়মিত সিএমটি পরীক্ষা করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসা ও কৃত্রিম প্রজনন গুরুত্ব দেয়ার সাথে সাথে খামার ব্যবস্থাপনায় অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

৪. বছরে ২-৩ বার সঠিক পরিমানে কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত সঠিক মাত্রায় টিকা প্রদান করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৭, ২০২২ ২:১০ অপরাহ্ন
ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি: সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম
ডেইরী

এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে দেশীয় ফিড ইন্ডাষ্ট্রি। কাঁচামালের দর ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধির কারনে বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়েছে পোল্ট্রি, ডেইরি ও মৎস্যখাদ্য প্রস্তুতকারক শিল্প। ফিডের দাম বাড়িয়েও লোকসান ঠেকানো যাচ্ছেনা। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ২০২৫ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতির আবেদন জানিয়েছি সরকারের কাছে। আসন্ন জাতীয় বাজেটেও কাঁচামাল আমদানিতে কর ও শুল্ক সুবিধার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। করোনা শুরুর পর থেকেই ফিড ইন্ডাষ্ট্রিতে বিপর্যয় নামতে শুরু করেছে, এখন অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সকলকে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।

গত ২ এপ্রিল ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (এফআইএবি) এর বার্ষিক সাধারণ সভার আলোচনার টেবিলে এ বক্তব্যগুলোই প্রাধান্য পায়।

বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে প্রত্যক্ষ ভোটে নতুন কমিটির সদস্যদের নির্বাচিত করা হয়। সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নারিশ গ্রুপের পরিচালক, শামসুল আরেফিন খালেদ (অঞ্জন); সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন এসিআই গোদরেজ এগ্রোভেট প্রাইভেট লিঃ এর এসোসিয়েট ভাইস-প্রেসিডেন্ট, মোঃ নজরুল ইসলাম।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন:

সিনিয়র সহ-সভাপতি : স্পেক্ট্রা হেক্সা ফিডস লিঃ এর পরিচালক, মোঃ আহসানুজ্জামান
সহ-সভাপতি : নাহার পোল্ট্রি লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মোঃ রকিবুররহমান (টুটুল)
যুগ্ম সম্পাদক : পিসিএফ ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মোঃশরিফুল ইসলাম রানা
অর্থ সম্পাদক : এস এম এস ফিডস লিঃ এর পরিচালক মোহাম্মাদ খসরু
সাংগঠনিক সম্পাদক : পদ্মা ফিড এন্ড চিকস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মোঃ আনোয়ারুল হক
লোকসম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মিশাম এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মোঃ মাসুম মিয়া
অফিস সম্পাদক : সুষম ফিড লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মোঃ সবির হোসেন

নির্বাহী সদস্য :

:কোয়ালিটি ফিডস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এহতেশাম বি. শাহজাহান
: প্যারাগন পোল্ট্রি লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউর রহমান
: আফতাব ফিড প্রোডাক্টস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান
: এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ট্রাস্ট, এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মোঃ সাইফুল আলম খান
: কাজী ফার্মস লিঃ এর পরিচালক,কাজী জাহিন শাহ পার হাসান
: এলিয়া ফিডস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খন্দকার মনসুর হোসেন
: সিপি বাংলাদেশ কো. লিঃ এর প্রেসিডেন্ট, সুচাৎ শান্তিপদ
: এজি এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, লুৎফর রহমান
: এগ্রোটেক ফিডস লিঃ এর চেয়ারম্যান, মোহাঃ আতিয়ার রহমান
: ছোঁয়া এগ্রো প্রোডাক্টস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মোঃ টিপু সুলতান

নব-নির্বাচিত সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ (অঞ্জন) বলেন, কাঁচামালের দরের উর্ধ্বগতি, বিএসটিআই মানসনদ, পাটের ব্যাগে পোল্ট্রি ও মৎস্যখাদ্যের মোড়কীকরণ, আমদানিকৃত বেশ কিছু পণ্যেরর অপ্রয়োজনীয় ল্যাব টেস্টসহ আরও বেশ কিছু সমস্যা এখন আমাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সকল সমস্যা সমাধানে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে, অ্যাসোসিয়েশনকে সহযোগিতা করতে হবে। অঞ্জন বলেন, পোল্ট্রি সেক্টরে মোট বিনিয়োগের প্রায় ৬০ শতাংশই ফিড ইন্ডাষ্ট্রির; তাছাড়া শিল্প হিসেবে গার্মেন্টস এর পর পোল্ট্রি শিল্পই সর্বাধিক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। সে হিসাবে আমাদের বার্গেইনিং পাওয়ার এখনও বেশ দূর্বল।

তিনি বলেন, নতুন কমিটি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করবেনা বরং সামগ্রিকভাবে ফিড ইন্ডাষ্ট্রির জন্য কাজ করবে। সংকটময় সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করার জন্য তিনি বিদায়ী কমিটিকে ধন্যবাদ জানান এবং অর্পিত দায়িত্ব যেন সুষ্ঠুভাবে পালন করে পারেন সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চান।

মসিউর রহমান জানান, বিএসটিআই এবং পাটের ব্যাগ বিষয়ে বিপিআইসিসি’র পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। যতটুকু জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।

নজরুল ইসলাম বলেন, ইন্ডাষ্ট্রির স্বার্থে প্রত্যেকেরই আরও সক্রিয় হওয়া উচিত এবং যে সহযোগিতা আপনারা করছেন তা আরও বাড়ানো দরকার।

সাইফুল আলম খান বলেন, আমরা যখন শুরু করেছিলাম তখন পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট একটি সংগঠন বিরোধী অবস্থানে দাঁড়িয়েছিল যেন আমাদের নিবন্ধন না হয়। আজ এফআইএবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সংগঠন। নতুন কমিটিতে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা এ সংগঠনটিকে আরও সামনের দিকে নিয়ে যাবেন- এমনটাই প্রত্যাশা।

বিদায়ী সভাপতি এহতেশাম বি. শাহজাহান বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় কাজ করেছি। চেষ্টা করেছি যথাসাধ্য করার। নতুন সভাপতি জনাব খালেদ অত্যন্ত সক্রিয় একজন মানুষ। তাঁর নেতৃত্বে এ সংগঠন আরও এগুবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

আনোয়ারুল হক বলেন, খুব একটা খারাপ সময় মোকাবেলা করেছেন বিদায়ী কমিটি; তাঁদের ধন্যবাদ। ফিড ইন্ডাষ্ট্রির নতুন অফিস সম্পর্কে তিনি বলেন, নতুন অফিসের রূপরেখা যাঁরা তৈরি করেছিলেন তাঁদের সকলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তাঁদের উদ্যোগের কারণেই আজ আমরা এত সুন্দর একটা অফিস এবং এত ভাল পরিবেশ পেয়েছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১, ২০২২ ৩:৪১ অপরাহ্ন
গরু মোটাতাজা করতে খামারিরা যা করবেন
ডেইরী

গরু পালন লাভজনক হওয়াতে এখন আমাদের দেশের অনেকেই গরুর খামার করার প্রতি ঝুঁকছেন। তবে, এই গরু যদি হয় আরেকটু মোটাতাজা তাহলে আর কথা ই নাই। আর এর জন্য দরকার গরুর সুষম খাদ্য। আর সুষম খাদ্য প্রয়োগে আপনি আরো লাভবান হতে পারেন গরু পালনে।

খামারে গরু মোটাতাজাকরণে যেসকল আমিষ খাবার আপনার গরুকে খাওয়াবেন:

শুকনা খড়: ২ বছর বয়সের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনা খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে এক রাত লালীগুড়-চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে সরবরাহ করতে হবে।

কাঁচা ঘাস: গরুকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি কাঁচা ঘাস বা শস্য জাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কলাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।

দানাদার খাদ্য: গরুকে প্রত্যেক দিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যের তালিকা দেয়া হলো- গম ভাঙা-গমের ভুসি ৪০ কেজি চালের কুঁড়া ২৩.৫ কেজি খেসারি বা যে কোনো ডালের ভুসি ১৫ কেজি তিলের খৈল-সরিষার খৈল ২০ কেজি লবণ ১.৫ কেজি। উল্লিখিত তালিকা ছাড়াও বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন মিনারেল মিশ্রণ ১% হারে খাওয়াতে হবে।

১৫০ কেজি ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: খড় = ৩ কেজি কাঁচা ঘাস = ৫-৬ কেজি দানাদার খাদ্যের মিশ্রন = ১.৫-২ কেজি চিটাগুড় = ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া = ৪৫ গ্রাম (নিয়মানুয়ায়ী) লবন = ৩৫ গ্রাম।

১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: ধানের খড় = ২ কেজি সবুজ ঘাস = ২ কেজি (ঘাস না থাকলে খড় ব্যবহার করতে হবে দানদার খাদ্যে মিশ্রন = ১.২-২.৫ কেজি ইউরিয়া = ৩৫ গ্রাম (নিয়মানুযায়ী) চিটাগুড়া = ২০০-৪০০ গ্রাম লবণ = ২৫ গ্রাম দানাদার খাদ্যের সাথে লবন, ইউরিয়া, চিটাগুড় এক সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার দিতে হবে। ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস ছোট ছোট করে কেটে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

কৃমিমুক্তকরণ ও টিকা প্রদান: গরুকে ডাক্তারের নির্দেশনা মত কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। নতুন গরু সংগ্রহের পর পরই পালের সব গরুকে একসঙ্গে কৃমিমুক্ত করা উচিত। এক্ষেত্রে প্রতি ৭৫ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি করে এনডেক্স বা এন্টিওয়ার্ম ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

পূর্ব থেকে টিকা না দেয়া থাকলে খামারে আনার পর পরই সব গরুকে তড়কা, বাদলা ও ক্ষুরা রোগের টিকা দিতে হবে। এ ব্যাপারে নিকটস্থ পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

ঘর তৈরি ও আবাসন ব্যবস্থাপনা: আমদের দেশের অধিকাংশ খামারী ২/৩ টি পশু মোটাতাজা করে থাকে, যার জন্য সাধারণত আধুনিক শেড করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে যে ধরনের ঘরেই গরু রাখা হোক, ঘরের মধ্যে পর্যন্ত আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ঘরের মল- মূত্র ও অন্যান্য আবর্জনা যাতে সহজেই পরিষ্কার করা যায়, সে দিকে খেয়াল রেখে ঘরে তৈরি করতে হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop