৭:৫৫ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ২১, ২০২১ ৪:০৬ অপরাহ্ন
বিহঙ্গদ্বীপে সংরক্ষিত বনে গরু চরাতে বাধা দেওয়ায় পিটিয়ে জখম
পাঁচমিশালি

বলেশ্বর নদে জেগে ওঠা বিহঙ্গদ্বীপে বনবিভাগের সংরতি বনাঞ্চলে গরু চরাতে বাধা দেওয়ায় বনবিভাগের বনরী (ওয়াসার) ছগিরকে (৫২) পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠেছে একই এলাকার শাহিন মিয়ার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৬টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বনবিভাগের তত্বাবধায়নে ওই বৃদ্ধকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহত ছগিরের বাবার নাম মৃত তাছেন উদ্দিন।

আহত বনরী ছগির জানান, বিহঙ্গদ্বীপে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে গরু চরানো নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও একই এলাকার হযরত আলীর ছেলে শাহিন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে গরু ছেড়ে বনাঞ্চল নষ্ট করে। আমি অনেকবার তাকে নিষেধ করলেও মানেনি। এ কারণে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে ইফতারি নিয়ে বিহঙ্গদ্বীপে ডিউটিতে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পথরোধ করে আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন।

পাথরঘাটা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শোনা মাত্রই আমরা আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছি। আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবো।

এখন পর্যন্ত এ রকমের কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২১, ২০২১ ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
সবজি বাগানে ‘গাঁজা’ চাষ, গ্রেফতার-১
পাঁচমিশালি

বগুড়ার আদমদীঘিতে ২০টি গাঁজার গাছসহ ইয়াছিন আলী মণ্ডল (৬২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। ইয়াছিন উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের শালগ্রামের মৃত আজিম উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইয়াছিন আলী বাড়ির পাশে সবজি জমিতে গাঁজার গাছ লাগিয়ে চাষ করছিল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওই বাগান থেকে ২০টি গাঁজার গাছসহ তাকে গ্রেফতার করে।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন জানান, ছোট-বড় মিলে ২০টি গাঁজার গাছ উদ্ধারসহ চাষী ইয়াছিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২১, ২০২১ ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
নরসিংদীতে গরু চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
পাঁচমিশালি

নরসিংদীতে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে আলী হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হন আরও একজন।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে নরসিংদী সদর থানা পুলিশ।

সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালি ইউনিয়নের খোদাদিল্লা গ্রামে সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত জজ মিয়া রায়পুরা উপজেলার সোনাকান্দি এলাকার মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে ও আহত ব্যক্তি আলী হোসেন(৫০) একই উপজেলার আমিরাবাদ এলাকার মৃত মহিজউদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাত তিনটার দিকে খোদাদিল্লা গ্রামের কৃষকের গরু গোয়ালে খুঁজে পাচ্ছিল না। এসময় চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকলে অপরিচিত আলী হোসেন ও জজ মিয়াকে এলাকাবাসী গণপিটুনি দেয়। গণপিটুনিতে জজ মিয়ার মৃত্যু ও আলী হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে দুপুর নাগাদ মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে এবং আহত আলী হোসেনকে একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন সরকার জানান, তারা গরু চুরি করেছে কি না তা সঠিক বলতে পারছি না। তবে এলাকাবাসীর দাবী তারা দু‘জনকে গরুসহ ধরেছিল।

নরসিংদী সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, গণপিটুনিতে একজন নিহত এবং একজন আহত হন। আজ সন্ধ্যায় নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২০, ২০২১ ৮:২৮ অপরাহ্ন
বাঙ্গিকে নিয়ে তর্কের শেষ নেই, দিনশেষ বাঙ্গি ভক্তের অভাব নেই!
কৃষি বিভাগ

।।সুলতান মাহমুদ আরিফ।।
বাঙ্গিকে বলা চলে একটি রাজকীয় ফল বটে। কারণ এই বাঙ্গির চাষ নিয়ে ধারণা করা হয় এটির জন্ম ইরান বা আফগানিস্তানে। আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াতেও এই ফলের চাষ হয় ব্যাপক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সোস্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক তোলপাড় এই বাঙ্গি আর তরমুজ নিয়ে। আমরা খাদকরা যতই তোলপাড় করি বাঙ্গি বড় নাকি তরমুজ বড় এটা নিয়ে। কিন্তু ঠিকই ভ্যান গাড়িতে দেখা যায় তরমুজ আর বাঙ্গির কত অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। দেখে মনে হবে না এদের নিয়েই চলছে সোস্যাল মিডিয়াতে আলোচনা আর সমালোচনার ঝড়।

কেউ বলে বাঙ্গি গরিবের খাবার আর তরমুজ হলো বড় লোকের খাবার। এটা নিয়ে চলছে ভার্সুয়াল যুদ্ধ। কেউবা নিরপেক্ষতার দিক থেকে বলে বাঙ্গি আর তরমুজের মাঝে যদি হয় গরিব আর বড় লোক সম্পর্ক, তাহলে দুটোর দাম এক হয় কিভাবে। বাজারে তরমুজের দাম যা আবার বাঙ্গির দামও তা। উভয়টা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ টাকা করে। আবার একই ভ্যানে তালমিলিয়ে আছে দু‘জন পরম আদরে। তাহলে কেন এত বিভেদ! প্রশ্ন তুলছেন নিরপেক্ষ সমাজ।

মাহমুদুল হাসান নামক একজন পোস্ট দিয়েছেন, বাঙ্গি ছাড়া আমার ইফতার চলে না…. বাঙ্গির মতো উপকারী ফল দ্বিতীয়টি মিলে না। খাও বাবা খাও… বাণীতে জনৈক আন্টি🙃

তুহিন পারভেজ বিপ্লব নামক একজন ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, তুই ভালো জমিতে জন্মানোর চান্স পাস নাই, তাই তুই বাঙ্গি!
— তরমুজ।

মাশরিকুল আলম নামক একজন পোস্ট দিয়েছেন, বয়ফ্রেন্ডের কথায় কতোকিছু মুখে নেয় আবার বাপ-মা বাঙ্গি খাইতে কইলেই সমস্যা৷

রাকিব নাম একজন আক্ষেপ করে বলেন, কেও ই বাঙ্গি খায় না তাইলে এত বাঙ্গি যায় কই??

সোহাগ নামক একজন পোস্ট দিয়েছেন, বাঙ্গি আমার অপছন্দের একটা ফল। তবের বাঙ্গির ফ্লেবারটা অসাধারণ। এবার ভাবছি বাঙ্গি কিনবো এবং জুস বানিয়ে খাবো। জুস খাওয়ার পর আমার অনুভূতি কি, তা জানাবো।

একজনতো কড়াকড়ি জানিয়ে দিয়েছেন- ওগো তুমি যদি বাঙ্গি পছন্দ না করো তবে, শুনে রাখো তোমার আর আমার সম্পর্ক এখানেই শেষ।

এছাড়াও এটা নিয়া গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা আর সমালোচনা।

তবে, যে যায় বলেন না কেন, বাঙ্গির চাহিদা কিন্তু কম না। বাজারে হরহামেশ চলছে বাঙ্গির বেচা-কেনা। আজ বাড্ডাতে তরিকুল নামক এক তরমুজ এবং বাঙ্গি বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি বাঙ্গি এবং তরমুজ উভয়টা সমান দামেই বিক্রি করছেন।বরং সুযোগ পেলে বাঙ্গি ৫টাকা বেশিও বিক্রি করছেন বলে জানান তিনি।

আরেকজন ব্যবসায়ী জানান, দু‘টোর চাহিদা ই অনেক। সবাই বাঙ্গিও নিচ্ছে আবার তরমুজ নিচ্ছে। দিনশেষে মাশাআল্লাহ আমার বাঙ্গি এবং তরমুজ কোনটায় থাকে না।

অতএব বাঙ্গিকে নিয়ে যারা গরিব বলে পোস্ট দিচ্ছেন তারা বাজার ঘুরে এসে পোস্ট দেয়া দরকার। বাজারে গেলেই তবে বুঝা যায় বাঙ্গি আর তমুজের কি মিলবন্ধন আর সমদামের অবস্থান।

বাঙ্গিকে নিয়ে যতই হাস্যকর পোস্ট কিংবা আলোচনা আর সমালোচনা বয়ে যাক না কেন, বাঙ্গি প্রেমিকরা বাঙ্গির ভালোবাসা থেকে এক চুলও নড়বে না বলে অনেকেই জানিয়েছেন সোস্যাল মিডিয়াতে। বাঙ্গিযে কেবল মৌসুমী ফসল এমনটি নয়। বাঙ্গিতে আছে অনেক গুণাগুণ।

কাঁচা বাঙ্গি সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়াতে আছে অসাধারণ মজা। বাঙ্গিতে আছে আমিষ, ফ্যাটি অ্যাসিড ও খনিজ লবণ।

এছাড়া মূত্রস্বল্পতা কিংবা ক্ষুধামান্দ্য দূর করতে পারে এই বাঙ্গি। বাঙ্গিকে বলা হয় এটি অনেকটা শসাগোত্রীয় ফল। কারণ এটির গাছ দেখতে অনেকটা শসাগাছের মতো লতানো। এটি একটি স্বতন্ত্র স্বাদের ফল।এই ফলের ওজন এক থেকে চার কেজি পর্যন্ত হতে পারে।

জানা যায়, আমাদের দেশে প্রধানত বেলে ও এঁটেল বাঙ্গি নামক দু‘জাতের বাঙ্গি দেখা যায়। বেলে বাঙ্গির শাঁস নরম। খোসা খুব পাতলা, শাঁস খেতে বালু বালু লাগে। তেমন মিষ্টি নয়। অন্যদিকে, এঁটেল বাঙ্গির শাঁস কচকচে, একটু শক্ত এবং তুলনামূলকভাবে মিষ্টি।

আমিরুল আলম খান তার ‘বাংলার ফল’ বইয়ে উল্লেখ করেছেন, প্রতি ১০০ গ্রাম বাঙ্গি থেকে পাওয়া যায় ২৫ ক্যালরি পুষ্টিগুণ। ভেষজ গুণ আছে বাঙ্গির।

তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এ ফলে কোনো চর্বি নেই। যাদের ওজন নিয়ে বিশেষ চিন্তা তারা এ ফল বেশি বেশি খেতে পারেন নির্দ্বিধায়। বরং দেহের ওজন কমাতে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে বাঙ্গির ভূমিকা অপরিহার্য।

আর বাঙ্গির এত গুণাগুণ দেখে আমার মনে হয় যারা ঝড় তুলছেন বাঙ্গির বিপক্ষে তারা নিরবে, লুকিয়ে কিংবা রাতের আঁধারে ঠিকই বাঙ্গির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন হরহামেশ। তা না হলে সত্যি- বাজারের এত বাঙ্গি যাচ্ছে কই!!?

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২১ ৭:৫৪ অপরাহ্ন
ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক, কেটে ঘরে তুলে দিলো ছাত্রলীগ
কৃষি বিভাগ

শ্রমিক দিয়ে বহু কষ্টে ১৭ কাঠা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন বয়সের ভারে নুয়ে পড়া গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের হাটবাড়িয়া গ্রামের কৃষক রজব মুন্সী(৭০)। জমিতে ভালো ফলনও হয়েছে তার। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসার আগেই জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে চাইলেও করোনার কারণে শ্রমিক না পেয়ে যখন হতাশ। ঠিক তখনই বৃদ্ধ কৃষকের দুঃচিন্তা কমাতে এগিয়ে আসলো গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লার নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের একটি দল কৃষক রজব মুন্সীর ১৭ কাঠা জমির ধান কেটে দেন। পরে তারা সেই ধান মাড়াই করে ঘরে তুলে দেন।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা জানান, করোনা পরিস্থিতি কারণে এখন ধান কাটা শ্রমিকের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকরা তাদের জমির ধান ঘরে তুলতে পারছেন না। আমরা খবর পেলেই কৃষকের জমির ধান কেটে দিবো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কৃষকদের পাশে থাকবেন বলেও তিনি জানান।

কৃষক রজব মুন্সী জানান, করোনার কারণে জমির ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাচ্ছিলাম না। এতে ধান নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার জমির ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছে। জমির ধান নষ্ট হবার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ায় আমি খুশি। আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন এদের ভালো করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৮, ২০২১ ৯:৫৫ অপরাহ্ন
কালীগঞ্জে ধরন্ত শশার ক্ষেত কেটে দিলো দুর্বৃত্তরা
পাঁচমিশালি

তানজির রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের এক কৃষকের ধরন্ত শশার ক্ষেত কেটে সাবাড় করেছে কে বা কারা। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলা মালিয়াট ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের মাঠে এই ক্ষেত কেটে দেয়। রোববার সকালে শশা তুলতে গিয়ে দেখতে পায় গাছগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। আজ তার আট কাঠার এই ক্ষেত থেকে চার মন শশা ওঠার কথা ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত শশা ক্ষেতের মালিক গয়েশপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে বাপ্পারাজ ওরফে বাপ্পি। এর আগেও গত এক বছরে তার চারবার বেগুন ও ফুলকপিসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা। সংবাদ পেয়ে মালিয়াট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একরামুল হক সংগ্রাম ও তত্বিপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বাপ্পি জানান, আমার এই জমিতে শষা চাষ করতে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখান থেকে আমি প্রায় ৫০ হাজার টাকা শশা বিক্রি করার আশা ছিল। রোববারও চারমন শশা তোলার আশা করে মাঠে গিয়েছিলাম। ক্ষেতে গিয়ে দেখি কারা আমার জমির সব গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। তত্বিপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলাম বিষয়টি চরম অমানবিক উল্লেখ করে জানান, লোকমুখে সংবাদ পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৮, ২০২১ ৩:৫১ অপরাহ্ন
খুলনায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে সবজি বিতরণ
কৃষি বিভাগ

করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। আর এই লকডাউন এবং পবিত্র রমজানে মাস উপলক্ষে খুলনায় কর্মহীন হতদরিদ্রদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিনামূল্যে সবজি বিতরণ।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) মহানগরীর চার নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপুর দেয়ানা যশোর মোড় এলাকায় মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের মধ্যে সবজি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান পলাশ।

মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান পলাশ বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কর্মহীন ও দরিদ্র এসব মানুষের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়েছে খুলনা মহানগর যুবলীগ। যার ধারাবাহিকতা লকডাউন চলাকালীন সময় প্রতিটি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে সবজি, ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে শুরু হবে।

খুলনা মহানগর যুবলীগের আয়োজনে সরকারি বিএল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মহানগর যুবলীগের সদস্য মেহেদী হাসান মোড়লের উদ্যোগে সবজি বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুর ইসলাম, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওহিদুজ্জামান, চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু আসলাম মোড়ল, মহানগর যুবলীগের সদস্য অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুজ্জামান খোকন, শেখ শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম বাপ্পী, সাফায়েত হোসেন, হাবিব মোড়ল, মাহবুব মোড়ল, সাবেক ছাত্রনেতা বাচ্চু মোড়ল, পলাশ মন্ডল, আসাদুজ্জামান আসাদ, নওরজ জাহান আদর, যুবলীগ নেতা ইবাদ মোড়ল, আরিফ মোড়ল, ইব্রাহিম মোড়ল, শেখ নাদিম, সুমন দাস, ছাত্রনেতা রিপন মোড়ল, লিপু মোড়ল, নাজিম হোসেন ইমু, আল আমিন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৭, ২০২১ ২:০৫ অপরাহ্ন
একদিনের ব্যবধানে অর্ধেকে নামল সবিজর দাম
কৃষি বিভাগ

রাজধানীর বাজারগুলোতে অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর একদিনের ব্যবধানে বেগুন, ঢেঁড়স ও শসার দাম কমেছে। বেগুনের দাম কেজিতে ৫০ টাকার ওপরে কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। ঢেঁড়স ও শসার দাম কমেও প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। একদিনে এ দুটি পণ্যের দাম কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মান ও বাজার ভেদে বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। গতকাল শুক্রবার বেগুনের কেজি বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১২০ টাকা।

বেগুন, ঢেঁড়স ও শসার পাশাপাশি কিছুটা দাম কমেছে পাকা টমেটো, ধুন্দুল, পটল, শিম, বরবটির। এসব সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকার মতো কমেছে। কেজি ৯০ টাকায় উঠে যাওয়া শসার দাম কমে এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গতকাল শুক্রবার ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

বেগুন, শসা, ঢেঁড়সের এমন দরপতনের ব্যবসায়ীরা নূর আলী বলেন, ‘রাজধানীর বাসিন্দাদের বড় অংশ শুক্রবার বাজার করেন। এ কারণে শুক্রবার সবজির দাম একটু বেশি থাকে। রোজার প্রথম শুক্রবার হওয়ায় গতকাল সবজির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল এক কেজি বেগুন ১২০ টাকা বিক্রি করেছি , আজ ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছি, তারপরও ক্রেতা কম। একই অবস্থা শসা ও ঢেঁড়সের। ঠান্ডা সবজি হিসেবে পরিচিত ঢেঁড়সের চাহিদা রোজায় একটু বেশি থাকে। চাহিদা বেশি হওয়ায় গতকাল ঢেঁড়সের কেজি ৮০ টাকা বিক্রি হয়েছে। আজ তা দাম কমে ৫০ টাকায় নেমেছে। আর গতকাল ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা শসা আজ ৬০ টাকা বিক্রি করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবজির দাম নির্ভর করে আড়তের ওপর। আড়ত থেকে কম দামে সবজি কিনতে পারলে আমরাও কম দামে বিক্রি করি। ঠিক তেমনি আড়তে দাম বাড়লে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। আজ আড়ত থেকে সব সবজিই গতকালের থেকে কম দামে কিনতে পেরেছি। এ কারণে কম দামে বিক্রি করতে পারছি।’

কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী মিলন ব্যাপারী বলেন, ‘গতকালের তুলনায় আজ সবজির সরবরাহ বেশি। কিন্তু চাহিদা কম। এ কারণে সবজির দাম কমেছে। সরবরাহ কম সবজির দাম আবার বেড়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘শুক্রবার বাজারে ক্রেতার চাপ বেশি থাকে, এটা সবাই জানে। যে কারণে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়ে যায়। গতকাল রোজার প্রথম শুক্রবার হওয়ায় ক্রেতাদের চাপ অনেক বেশি ছিল। এ কারণে দামও বাড়ে বেশি হারে।’

এদিকে, গতকাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সজনে ডাটার দাম কমে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় নেমে এসেছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা।’

দাম কমার এ তালিকায় রয়েছে পাকা টমেটো, ধুন্দুল, লাউ, পটল। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, যা গতকাল ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। গতকাল ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ধুন্দুলের দাম কমে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পটলের দাম কমে ৪০ টাকায় নেমেছে।

মালিবাগ হাজীপাড়া বৌবাজারে ব্যবসায়ী জাকির বলেন, ‘আড়তে আজ সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। এ কারণে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি। আড়তে দাম আরও কমলে আমরাও আরও কম দামে বিক্রি করতে পারবো। তবে রোজায় সবজির দাম আরও কমার সম্ভাবনা কম। বরং আমাদের ধারণা সবজির দাম আবার বেড়ে যাবে।’

বাজারটি থেকে সবজি কেনা আমেনা বেগম বলেন, ‘দাম কমার পরও এখনও সব ধরনের সবজির দাম বেশি। টমেটো ছাড়া এখনও তো ৫০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। এতো দাম দিয়ে সবজি কিনে খাওয়া আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খুব কষ্টের।’ সূত্র: জাগো নিউজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৭, ২০২১ ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
রংপুরে ছাগল পাটক্ষেত খাওয়ায় কৃষককে গলাটিপে হত্যা
পাঁচমিশালি

ছাগল পাটক্ষেত খাওয়ার জেরে রংপুরের গঙ্গাচড়া থানাধীন খলেয়া ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়ায় এক কৃষককে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ওই এলাকার আকিজ গ্রুপের একটি জমির পাটক্ষেত ছাগল খাওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষকের নাম নিবারণ রায় (৪৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিবারণ রায়ের ছাগল পাটক্ষেতে ঢুকে ক্ষেত খায়। পরে আকিজ গ্রুপের কেয়ারটেকার কৃষ্ণ রায়ের স্ত্রী কল্পনা রানী সেখানে এসে ঝগড়া শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে তার স্বামী কৃষ্ণকেও ডেকে আনেন। পরে কেয়ারটেকার কৃষ্ণ ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিবারণের ছেলে সন্তোষকে হাতে কোপ দেন এবং সেখানে থাকা কৃষক নিবারণকে মাটিতে ফেলে গলাটিপে ধরেন। একপর্যায়ে নিবারণের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কৃষ্ণ ও তার স্ত্রী কল্পনা রানী পলাতক। থানায়ও এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো পড়ুন:  দিনাজপুরে আলুর বাম্পার ফলনেও হাসি নেই কৃষকের

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৪, ২০২১ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
অসহায় সবজি বিক্রেতাকে ভ্যান কিনে দিলেন ওসি
পাঁচমিশালি

করোনায় পুরো দেশ কোণঠাসা হয়ে আছে। জীবন বাঁচাতে সরকার দিয়েছে লকডাউন। তবে লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা আরো শোচনীয়। আর এই অবস্থায় একটি ভ্যান কিনে দিয়ে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া এলাকার অসহায় এক সবজি বিক্রেতার পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ কর্মকর্তা ওসি মো. কামরুল ফারুক।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে তার কাছে ভ্যানটি হস্তান্তর করেন বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ফারুক। ভ্যানটি পেয়ে খুবই খুশি হয়েছেন সবজি বিক্রেতা মো. সাইফুল ইসলাম (৩৭)।

সবজি বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, গাজীপুর মহানগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার নায়েব বাড়িতে থেকে তিনি এলাকায় সবজি বিক্রি করেন। পাঁচ সদস্যের পরিবারে তিনি একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি অতিকষ্টে খেয়ে না খেয়ে ধারদেনা করে সম্প্রতি কিস্তিতে একটি পুরাতন ভ্যান কেনেন। সারাদিন সবজি বিক্রি করে যে আয় হয় তা থেকে তিনি কোনো রকমে সংসার খরচ মেটান এবং ভ্যানের কিস্তির টাকা শোধ করতেন। এতে কোনোমতে চলে যাচ্ছিল তার সংসার।

একমাস আগে তার ভ্যানটি বাসার পাশ থেকে খোয়া যায়। এতে করোনাকালে তিনি অনেকটাই কর্মহীন হয়ে চরম হতাশার মধ্যে পড়েন। ধারদেনা করে সংসার চালাতে থাকেন। বিষয়টি তিনি বাসন থানার ওসির কাছে জানালে তিনি মঙ্গলবার একটি ভ্যানের ব্যবস্থা করে দেন। ভ্যানটি পেয়ে তিনি খুশি হয়েছেন।

ওসির এমন মানবিক দৃষ্টান্ত দেখে মুগ্ধ সাইফুল বলেন, ‘সব পুলিশ এক নন। পুলিশে এখনও ভালো ও সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন।’

পরিবারের অবস্থা দেখে এবং মানবিক দিক বিবেচনায় সাইফুল ইসলামকে একটি ভ্যান কিনে দিয়েছি। এতে করোনাকালে তার সংসার চালানো কিছুটা সহজ হবে আশা প্রকাশ করছেন বাসন থানার ওসি মো. কামরুল ফারুক।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop