৭:২৭ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ১৮, ২০২২ ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
কৃষি-প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন
কৃষি বিভাগ

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ঋণ ৪ শতাংশ সুদে দেয়া হবে। ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ ঋণ বিতরণ করবে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, দেশের খাদ্য নিরপত্তা নিশ্চিতে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষি খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে। এ স্কিমের আওতায় ধান চাষ, মৎস্য চাষ, কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে শাক-সবজি, ফল ও ফুল চাষ, প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় পোল্ট্রি ও দুগ্ধ উৎপাতন খাতে কৃষক পর্যায়ে ৪ শতাংশ সুদহারে ঋণ বিতরণ করা হবে।

এছাড়া ব্যাংকগুলো শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হার সুদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়ন ঋণ পাবে। ব্যাংকগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষক বা গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের অনুকূলে শস্য ও ফসল (ধান, শাক-সবজি, ফল ও ফুল) চাষের জন্য শুধুমাত্র দায়বন্ধনের বিপরীতে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হবে।

স্কিমে অংশ নেয়া ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করবে।

এ কর্মসূচির ফলে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৭, ২০২২ ১০:০৯ অপরাহ্ন
দুই রাতে ২০ গরু চুরি, আতঙ্কে গ্রামবাসী
প্রাণিসম্পদ

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুই রাতে দুটি গ্রাম থেকে কৃষকের ২০টি গরু চুরি হয়েছে। এর বাইরে এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ধশতাধিক গরু চুরির খবর পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে গরুর মালিকদের। চোরের হাত থেকে নিজেদের গরু রক্ষায় পাহারা দিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে অনেকের। এরপরও থামছে না চুরি। তবে স্বল্প জনবল থাকলেও তৎপরতা বাড়ানোর কথা জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের বাঘিয়া চিনাডুলি গ্রামের পাঁচ কৃষকের ১২টি গরু চুরি হয়েছে। ওই গ্রামের মো. মিলন মিয়ার তিনটি, মো. ইলিয়াসের তিনটি, মো. চান মিয়ার তিনটি, মো. শাহজাহানের একটি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন শেখের দুটি গরু চুরি হয়। এর দাম প্রায় ৮ লাখ টাকা বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

এর আগের দিন রোবরার রাতে সদর ইউনিয়নের পাবুর খান বাড়ি এলাকার মৃত আব্দুল বাতেন খানের ছেলে আবুল কাশেম খানের তিনটি, ওবায়দুল কবির খানের চারটি ও পারভেজ খানের একটি গরু চুরি হয়েছে। এগুলোর বাজার দাম প্রায় ৬ লাখ টাকা। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।

গত ১০ নভেম্বর রাতে রায়েদ মধ্যপাড়া গ্রামের আমীর আলীর দুটি এবং সিদ্দিকুর রহমান, কুরবান আলী, আব্দুস সাহিদ, হারিছ মিয়া ও আব্দুল হাইয়ের একটি করে গরু চুরি হয়েছে। এ ছাড়া সজীব মিয়ার তিনটি খাসি এবং হাইলজোর গ্রামের কলেজ মোড়ের দোকানি মো. জিয়াউদ্দিনের তিনটি গরু নিয়ে গেছে চোরেরা।

২৮ অক্টোবর রাতে রায়েদ ইউনিয়নের দরদরিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হাসেমের পাঁচটি গরু চুরি হয়েছে। ঘটনার পরদিন তিনি কাপাসিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এর বাইরে উপজেলার রাওনাট, দুর্গাপুর, নাশেরা, ফুলবাড়িয়া, বেগুনহাটি, নলগাঁও, চাঁদপুর, বর্জনা, কোটবাজালিয়া, ভাকোয়াদিসহ কয়েকটি এলাকায় গরু চুরির খবর মিলেছে। স্থানীয়দের দাবি, এক মাসে এসব গ্রাম থেকে অন্তত ৬০-৭০টি গরু চুরি হয়েছে।

রায়েদ ইউনিয়নের দরদরিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম ব্যাপারী বলেন, চোরের হাত থেকে গরু সুরক্ষায় বসতঘরের কাছে অনেক টাকা ব্যয়ে গোয়ালঘর করেছেন। তারপরও গরু চুরি হয়ে যাচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না।

পাবুর গ্রামের শাকিল হাসান বলেন, চোরের ভয়ে তাঁদের সারারাত নির্ঘুম থেকে পাহারা দিতে হয়। তারপরও চোরের হাত থেকে গরু রক্ষা করা যাচ্ছে না। সুযোগ পেলেই চোরেরা কাভার্ড ভ্যানে গরু ভরে উধাও হয়ে যায়।

কাপাসিয়া থানার ওসি এএফএম নাসিম বলেন, পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হওয়ায় যাতায়াত সহজ হয়েছে। স্বল্পসংখ্যক জনবল দিয়ে বিশাল এলাকার চুরি প্রতিরোধ কষ্টসাধ্য। এ জন্য পুলিশের পাশাপাশি এলাকাবাসীকে সোচ্চার হতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৪, ২০২২ ৯:১১ অপরাহ্ন
৫১ দেশে মাছ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ
প্রাণিসম্পদ

পৃথিবীর ৫১টা দেশে মাছ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। মৎস্যজাত পণ্য, নৌ ও সামুদ্রিক উপকরণও রপ্তানি করা হচ্ছে। এসবই হচ্ছে নৌ পুলিশ কর্তৃক নৌ পথের নিরাপত্তা ও কার্যক্রমের কারণে হচ্ছে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

সোমবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত নৌ পুলিশের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে করোনাকালে তিন দেশ মৎস্য আহরণে বড় কোনো বাধার সম্মুখীন হয়নি। তারমধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। আমরা নৌ পুলিশকে বিশেষ সহযোগিতা করতে পারি না। তবে তারা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করছেন। দেশকে সম্মিলিত প্রয়াস ছাড়া এগিয়ে নেয়া যায় না।

তিনি বলেন, অনেক ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এক সময় কাজ করেছে নৌ পুলিশ। সে দৃশ্য বদলেছে। মৎস্য ও নৌ প্রাণিসম্পদ রক্ষা, মৎস্য আহরণ বৃদ্ধিতে নৌ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক বলেন, ঐতিহ্যবাহী নদীগুলো রক্ষার নকশায় নৌ পুলিশ বড় ভৃমিকা পালন করছে। সীমিত সংস্থাপন স্বত্ত্বেও আমরা চেষ্টা করছি। সরকারের সময়োচিত উদ্যোগের কারণে নদী, হাওর বিল খালে মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, ২০ বছর ধরে হালদা নদী নিয়ে গবেষণা করছি। হালদা নদী রক্ষা জরুরি। নদী মাতৃক দেশ হওয়া স্বত্ত্বেও নেই নদী ব্যবস্থাপনা। তবে ২০২০ সালে হালদা নদীতে মৎস্য ডিম উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছে। এক্ষেত্রে নৌ পুলিশের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

তিনি বলেন, হালদা নদীর পাড়ে তামাক চাষ মৎস্য চাষে বাধা তৈরি করেছিল। সেখানে হস্তক্ষেপ করেছে নৌ পুলিশ। সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ডলফিন হত্যা কমে এসেছে। হালদা পাড়ের মানুষের পক্ষ থেকে নৌ পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২২ ২:১২ অপরাহ্ন
গরু পালনে খামারিরা যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকহারে গরু পালন করা হয়ে থাকে। গরু পালনের মাধ্যমে অনেকেই হয়েছেন স্বাবলম্বী। একটি খামার মানসম্মত ভাবে, সঠিক উপায়ে, লাভজনক ভাবে এবং সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করার নামই খামার ব্যাবস্থাপনা। গরু পালনে লাভবান হওয়ার জন্য যথাযতভাবে খামার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

খামারের জন্য স্থান নির্বাচনঃ
আমরা পরিবার ভিত্তিক ক্ষুদ্র খামার স্থাপনের জন্য আমাদের বাড়ির অ-ব্যবহারিত স্থান বেছে নিতে পারি। এ স্থানটি সাধারনতঃ বাড়ীর পুর্ব অথ বা পশ্চিম দিকে হলে ভাল হয়। সর্ব মোট ১০ টি গরুর জন্য ৩০০ বর্গ ফুট জায়গার প্রয়োজন। গরুর ঘর থেকে ২০/২৫ ফুট দূরে একটি ছোট ডোবা থাকবে যাতে সেখানে গরুর মল-মূত্র ফেলা যায়। এ ছাড়া মল মুত্র থেকে জৈব সার ও বায়ো গ্যাস উৎপাদনের জন্য বায়ো গ্যাস প্লান্ট স্থাপন করে লাভজনক ভাবে খামারের বর্জ ব্যবস্থাপনা করা যায়।

গরুর শেড নির্মানঃ
একটি পুর্ন বয়স্ক গরুর জন্য সর্ব সাকুল্যে ২৮-৩০ বর্গ ফুট জায়গার প্রয়োজন হয়। এ হিসেবেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক গরুর জন্য শেড নির্মান করতে হবে। গরুর শেড পূর্ব – পশ্চিমে লম্বা হলে ভাল হয়। শেডের ফ্লোর, খাবার পাত্র, পানিরপাত্র ইত্যাদি পাকা হওয়া প্রয়োজন। উপরে টিন অথবা ছনের ছাউনি দেওয়া যেতে পারে। শেডের নিকটস্থ গাছ ও ডালপালা কেটে ফেলে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। শেডে পানীয় জলের সরবরাহ ও পয়ঃনিস্কাশনের ব্যাবস্থা থাকতে হবে। খামারের চারপাশে উচু মজবুত বেষ্টনী তৈরী করতে হবে যাতে চোরের হাত থেকে খামারের গরু ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিষ-পত্র রক্ষা করা যায়।

খামারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাঃ
গোবর গবাদি পশু থেকে পাওয়া একটি অর্থকরী সম্পদ। গোবর থেকে আমরা বায়ো গ্যাস ও জৈব সার উৎপাদন করতে পারি যা থেকে জ্বালানী ও ফসলি জমির উৎকৃ্ষ্ট সারের চাহিদা পুরন করা সম্ভব। এ ছাড়া , মাছের জলজ খাদ্য উৎপাদনে পুকুরে গোবর ব্যবহার করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১১, ২০২২ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
পশুপুষ্টি উপকরণ ও ভেটেরিনারি মেডিসিন পণ্য আমাদানিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এলসি খোলার দাবি বাফিটা‘র
পোলট্রি

বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি ও ডলার সংকটের কারণে ঋণপত্র (এলসি) অনেকটা বন্ধ রয়েছে। যার ফলে প্রাণীজ ও কৃষিজ পণ্য আমদানি নিয়ে শঙ্কায় আছেন দেশের আমদানিকারকরা। যার ফলে, বাড়তে পারে ডিম, দুধ ও মাংসের দাম। তাই বাস্তবতা বিবেচনায়, এই সমস্যা সমাধানে পশুপুষ্টি উপকরণ ও ভেটেরিনারি মেডিসিন পণ্য আমদানীর ক্ষেত্রে এল/সি খোলার দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ এগ্রো ফিড ইনগিডিয়েন্টস ইম্পোটার্স এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশন (বাফিটা)।

সংগঠনটি গেল ১১ অক্টোবর বাংলাদেশের ব্যাংকের গভর্ণরের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

বাফিটা সভাপতি সুধীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, দেশের কৃষি শিল্প খাতের প্রাণিজ (পোল্ট্রি, ডেইরী ও মৎস্য) খাদ্য তৈরীর ট্রেডার্স এসোসিয়েশন (বাফিটা)”। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বানিজ্য সংগঠন, যৌথ মূলধন কোম্পানী ও ফার্মসমূহ পরিদপ্তর ও এফবিসিসিআই কর্তৃক অনুমোদিত এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর বাংলাদেশ গেজেটে এস. আর. ও তে অন্তর্ভূক্ত এসোসিয়েশন এর সদস্যবৃন্দ।

এই এসোসিয়েশনের সদস্যরা প্রাণিজ খাদ্য তৈরী শিল্পের সূচনালগ্ন থেকে অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক কাঁচামাল  আমদানি ও বিভিন্ন প্রাণিজ (পোল্ট্রি, ডেইরী ও মৎস্য) খাদ্য তৈরী শিল্প প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করে আসছে।

চিঠিতে বলা হয়, আমাদের দেশে প্রাণীজ (পোল্ট্রি, ডেইরী ও মৎস্য) খাদ্য তৈরির অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক কাঁচামালগুলির উৎপাদন হলেও চাহিদার সিংহভাগ বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। বৈশ্বিক মহামারী (কভিড-১৯) ভাইরাসের কারনে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব এবং বহিঃবিশ্বে সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থা প্রলম্বিত হওয়ার কারনে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বিশ্বে প্রাণীজ খাদ্য তৈরির অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক কাঁচামালগুলির উৎপাদন বিঘ্ন ঘটে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ক্রমবর্ধমান ডলারের মূল্য, বন্দর ও শিপিং চার্জ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি নির্ভর প্রাণীজ খাদ্য তৈরির অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক কাঁচামালগুলির আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্রাণীজ খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

সামগ্রীক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সরকার কর্তৃক আরোপিত নির্দেশনা মোতাবেক অত্যাবশ্যকীয় পন্য ব্যতীত অনান্য সকল আমদানি নিরুৎসাহিত করেছে। যার ফলে বিভিন্ন তফশীলি ব্যাংক সমূহ পশুপুষ্টি উপকরণ ও ভেটেরিনারি মেডিসিন্যাল প্রোডাক্টস সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে L/C খোলার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করছেন, যা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়।

আরও উল্লেখ্য করা হয়,আমদানি ক্ষেত্রে L/C খোলার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হলে প্রাণীজ (ডিম, দুধ, মাছ ও মাংস) প্রোটিনের সংকট সৃষ্টি হবে। জনস্বার্থে ও প্রাণীসম্পদের সার্বিক কল্যানে প্রাণীজ প্রোটিনের চাহিদা পুরনে আমদানি ক্ষেত্রে L/C খোলার চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা অতীব প্রয়োজন।

তাই দেশের কৃষিখাত সংশ্লিষ্ট খাতসমূহের টেকসই উন্নয়নে পশুপুষ্টি উপকরণ ও ভেটেরিনারি মেডিসিন্যাল প্রোডাক্টস সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে L/C খোলার বিষয়ে অগ্রাধিকার প্রদান জরুরীভাবে সমন্বয় করার আবেদন করেন তারা। এ বিষয়ে অগ্রাধিকার প্রদান বাস্তবতার নিরীখে উপর্যুক্ত বিষয়ে দেশের কৃষিখাত সংশ্লিষ্ট প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক স্বীকৃত প্রাণীজ খাদ্য তৈরীর অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক কাঁচামাল, পশুপুষ্টি উপকরণ ও ভেটেরিনারি মেডিসিন্যাল প্রোডাক্ট সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে L/C খোলার বিষয়ে অগ্রাধিকার প্রদান করতে অনুরোধ জানান বাফিটা।

উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে বাফিটা’র সদস্য বিটিসি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলতাব বিশ্বাস বলেন, আমরা আমাদের দাবি পেশ করেছি, আশা করি দ্রুতই আশানুরূপ ফল পাবো।

এদিকে গেল সোমবার (৭ নভেম্বর) প্রাণীজ ও কৃষিজ পণ্য আমাদানিতে অগ্রাধীকার ভিত্তিতে এলসি খোলার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাংকের গভর্ণরের কাছে চিঠি দিয়েছে এ্যানিমেল হেল্থ কোম্পানীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব)। তাদেরও দাবি খুব শিঘ্রই প্রাণীজ খাদ্য তৈরীর অত্যাবশ্যকীয় মৌলিক কাঁচামাল, পশুপুষ্টি উপকরণ ও ভেটেরিনারি মেডিসিন্যাল প্রোডাক্ট সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে L/C খোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১০, ২০২২ ৭:১৪ অপরাহ্ন
গবাদিপশু পালনে স্বাবলম্বী কুডিগ্রামের মানুষ
প্রাণিসম্পদ

গবাদিপশু পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ। চরাঞ্চলের মানুষের প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। বর্তমানে তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য কৃষি কাজের পাশাপাশি গবাদিপশু পালন করছেন।

জানা যায়, জেলার ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ফুলকুমার, জিঞ্জিরামসহ ছোট বড় ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকায় রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক চরাঞ্চল। এইসব চরে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। চরের মানুষের একমাত্র পেশা কৃষি কাজ হলেও বর্তমানে তারা কৃষির পাশাপাশি পশু পালন করে তারা আয় করছেন। চরের বালু মাটিতে ফসলের আবাদ করে তাদের চাহিদা পূরণ হচ্ছেনা। তাই তারা পশু পালনের দিকে ঝুঁকছেন।

কুড়িগ্রাম প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় ৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৫২টি গরু রয়েছে।

কৃষকরা জানান, আমাদের চরে কৃষি কাজ করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। তাই অন্য এলাকা থেকে গরু বর্গা এনে চরের খোলা মাঠে পালন করি। গরু পালনে যা আয় হয় তাতে সংসার চলে যায়। আমাদের চরে কম-বেশি প্রতিটি বাড়িতেই গরু রয়েছে। সবাই গরু পালন করে।

কৃষক আবুল কাশেম জানান, আমরা চরে কৃষি কাজ করি। তার পাশাপাশি এখন গরু পালন করছি। ফসল আবাদ করে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যায়। তাই গরু পালন করে কিছু আয়ের চেষ্ট করছি। অনেক সময় বন্যায় ফসলের অনেক ক্ষতি হয়। তখন আমাদের জীবন যাবন খুব কষ্টকর হয়ে যায়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ইউনুস আলী জানান, কুড়িগ্রাম জেলার চরাঞ্চলের প্রায় অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। তারা তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য গবাদিপশু পালনে ঝুঁকছেন। চরে গরু পালন করা সহজ। কারণ চরে ঘাসের কোনো অভাব হয় না। মাঠে ছেড়ে দিয়েই গরু-ছাগল পালন করা যায়। এতে খাদ্য খরচ কম লাগে। ফলে তারা পশু পালনে লাভবান হন। আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগীতা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১০, ২০২২ ৬:৪৮ অপরাহ্ন
ছাগল পালনে নতুন খামারিরা যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

ছাগল পালনে অল্পতে অধিক লাভ হওয়াতে এরদিকে ঝুঁকছেন এখন অনেকেই। এতে লাভজনক হওয়ায় দিন দিন আমাদের দেশে ছাগল পালন বেড়েই চলেছে। অনেকেই আবার বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ছাগলের খামার গড়ে তুলছেন। তবে ছাগল পালনে নবীন খামারিদের বেশ কিছু কাজ করতে হয়।

নতুন করে ছাগলের খামার শুরু করতে খামারিদের বেশ কিছু কাজ করতে হয়। নিচে এসব কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

ভালো জাতের ছাগল নির্বাচন করবেন যেভাবে:
ছাগলের খামার করে লাভবান হওয়ার জন্য সবার আগে ভালো ও উন্নত জাতের ছাগল নির্বাচন করতে হবে। নতুন খামার শুরু করার আগে ছাগলছানা বা ছাগলের বাচ্চা কিনবেন নাকি পূর্ণবয়স্ক ছাগল কিনবেন তা বিবেচনা করতে হবে। খামার করার লক্ষ্য অনুযায়ী ছাগল কিনে আনতে হবে।

ছাগলের ঘর:
ছাগল পালন করার জন্য ছাগলের ঘর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঠাণ্ডা থেকে এবং রোদের তাপ থেকে বাঁচাতে এগুলোরর জন্য ছাউনি দরকার হবে। এদের আবাসস্থলের চারপাশে বেড়া দেয়ারও প্রয়োজন হবে। ছাগলকে যদি ঘের দিয়ে পরিবেষ্টিত না রাখা হয় তবে অনেক সময় এরা চরে বেড়াতে গিয়ে পথ ভুলে হারিয়ে যেতে পারে। যে জায়গায় এদের আবাসস্থল তৈরী করা হবে সে জায়গায় খাদ্য এবং স্বাদু পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ছাগলের প্রতিপালন:
ছাগল পালনে শুধু ঘাস খাইয়ে রাখা ঠিক হবে না। শুধু ঘাস দিয়ে এদের পুষ্টির অভাব পূরণ হবে না। সেইসঙ্গে এদেরকে খড় এবং ভূষি খাওয়াতে হবে। কোনো কোনো অঞ্চলে এদের স্বাভাবিক খাবারে নির্দিষ্ট কিছু খনিজ লবণ থাকে না, সেজন্য পশুচিকিৎসকের পরমর্শে পরিপূরক ঔষধ খাওয়াতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৭, ২০২২ ৮:৩০ পূর্বাহ্ন
খামার করে যেভাবে লাখপতি হলেন তিন নারী
প্রাণিসম্পদ

লালমনিরহাটের নারীরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন। ঘরের কোণ থেকে এখন উদ্যোক্তা। খামার করছেন, হ্যান্ডিক্রাফট করছেন। খামারে উৎপাদিত দুধ-ডিমসহ সব কিছুরই বাইপ্রডাক্ট তৈরি করছেন। এতে জেলাব্যাপী সাড়া পড়ে গেছে। এমনই তিনজন সফল নারী হলেন ফাতেমা বেগম, রিনা আক্তার এবং উত্তমা রায় রত্না।

আদিতমারী উপজেলার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম। মনে করা হয় উপজেলার প্রথম মুরগির খামারি তিনি। তখনও ব্রয়লার মুরগি আসেনি। ২০০ লেয়ার মুরগি দিয়ে শুরু। পরে নানা জটিলতায় সব বন্ধ হয়ে যায়। ৪ বছর আগে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় একটি গাভী কেনেন। এখন তার গোয়ালে একটি গাভী থেকে ৪টি। গোয়ালে ৬ লাখ টাকার গরু আছে।

একই উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রিনা বেগম। তার খামারে ৩০টি গরু আছে। দুধ দিচ্ছে ১০টি গাভী। তার স্বামীও খামার পরিচালনা করছেন। প্রথম দিকে সাফল্য আসেনি। এখন আর পেছন ফিরে তাকাতে হচ্ছে না। খামার থেকে বছরে ২০ লাখ টাকার বেশি আয় করছেন। বায়োগ্যাস প্লান্টে রান্নাও করেন। এতে গরু থেকে বছরে আয় বেড়েছে।

প্রতীক ডেইরি খামার। উত্তমা রায় রত্নার নিজ হাতে গড়া। তার খামারে ৪০টি গাভি, ১০০টি বিভিন্ন জাতের ছাগল, ৫০০০ মুরগি, ১০০ জোড়া উন্নত জাতের কবুতর, মাছের খামার রয়েছে। শুরু একটি গরু দিয়ে। এখন তার গরুর সংখ্যা ৬০টি। দুধ দিচ্ছে ২০টি গরু। দুধের তৈরি বাইপ্রডাক্ট তৈরি করছেন নিজেই। তার খামারে কাজ করছেন ১০ জন কর্মচারি। তাদের বেতন দিচ্ছেন। শহরের রেল বাজারে একটি শোরুম করেছেন।সেখানেই তার খামারের উৎপাদিত দুধ দিয়ে তৈরি মিষ্টি, ছানা, ঘিসহ নানা বাইপ্রডাক্ট বিক্রি করছেন। এবারের পুলিশ নারী কল্যাণ সংস্থার শিল্প মেলায় একটি স্টল দিয়েছেন। রত্নার খামারে এখন প্রায় ১০ কোটি টাকার গরু, ছাগল, মুরগি রয়েছে।

খামারে কাজ করা সবিতা রানী জানান, ‘আমি সাড়ে ৪ হাজার টাকা বেতনে কাজ করি। গত ১০ বছর ধরে রত্না আপার খামারে আছি। আগের চেয়ে আমার সংসার ভালো চলছে।’

প্রতীক ডেইরির সেলার ফাতেমা জানান, ‘আমাদের ফার্ম বেশ সাড়া ফেলছে। এখানকার তৈরি খাবার বিক্রি হচ্ছে। মাঝখানে করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চিন্তায় ছিলাম। পাশে একটি মেলা হচ্ছে, আর কয়েকদিন মেলা চললে, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।’

রত্না জানান, ‘বর্তমানে সব খাবারের দাম বেশি। এখন দুধ বেঁচে পোষাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে দুধের বাইপ্রডাক্ট তৈরি করতে হচ্ছে। তার পরও লাভ করা মুশকিল। আমার ৭৫টি গাভির মধ্যে এখন ৪০টি আছে। বাকিগুলো বিক্রি করে দিয়েছি। খাবারের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে গাভিসহ সব খামার করা কঠিন হয়ে যাবে।’

উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা স্বপন কুমার বলেন, ‘প্রতীক ডেইরি খামার আমাদের লালমনিরহাটের একটি মডেল খামার। প্রথম থেকেই এই খামার দেখাশোনা করছি। আমাদের প্রাণিসম্পদ ডিএলও ও ইউএলও স্যারেরা আন্তরিক। আমরা চাই এরকম নারী খামারি তৈরি হোক।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর অলম জানান, ‘সরকার ঘোষিত নারীর ক্ষমতায়নের দিকে আমরা নজর দিচ্ছি। এখন নারীরা খামার করছেন। সেখান থেকে তারা নিজেরাই গড়ে তুলছেন নিজেদের ভবিষ্যৎ।এতে তাদের সামনে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ-আপদ থেকেও রক্ষা পাচ্ছেন সহজেই। নারীদের উৎসাহিত করতে ট্রেইনিং, সভা, সমাবেসে খামারের কথা বলছি। সমবায় বা যৌথ খামার ব্যবস্থা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৬, ২০২২ ১২:২২ অপরাহ্ন
ব্যাংকার থেকে যেভাবে সফল খামারী
প্রাণিসম্পদ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন (৩০)। কর্মজীবনের শুরুতে ছিলেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার। তবে ছোটবেলা থেকেই তার চিন্তাধারা ছিল ভিন্ন। পরের অধীনে চাকরি না করে হবেন উদ্যোক্তা। তাই তো ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে মাত্র চারটি গরু দিয়ে শুরু করেন খামার। চার বছরে তার খামারে গরুর সংখ্যা শতাধিক।

শুধু তাই নয়, খামার থেকে উৎপাদিত দুধ দিয়ে ঘি, ছানা, দই, রসমালাই, রসগোল্লাসহ বাহারি মিষ্টি তৈরি করছেন। আর এসব মিষ্টি বিক্রি করছেন নিজের তিনটি শোরুমে। এখন তার খামার থেকে প্রতি মাসে আয় হয় প্রায় লক্ষাধিক টাকা। সব মিলিয়ে এখন তিনি একজন সফল খামারি।

জানা গেছে, ঢাকা নিউ মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে এমবিএস পাস করে ২০১৪ সালে একটি বেসরকারি ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন গিয়াস উদ্দিন। পরের অধীনে চাকরি না করে নিজে কিছু করার উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে চাকরি ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। ২০১৮ সালে নিজের ১০ একর পতিত জমিতে চারটি গাভি দিয়ে শুরু করেন দুগ্ধ খামার। এখন তার খামারে গরুর সংখ্যা প্রায় শতাধিক।

তার খামারের নাম অগ্র ডেইরি ফার্ম। প্রতিদিন খামার থেকে প্রায় ৩০০-৪০০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। আর এই দুধ দিয়ে দই, ছানা, ঘিসহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন তৈরি করে নিজের তিনটি প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করছেন। খামার ও মিষ্টির শোরুম মিলে ১৫টি পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতি কর্মচারীর বেতন ১০-১৫ হাজার টাকা।

গিয়াস উদ্দিন জানান, আমার শুরুটা খুব মসৃণ ছিল না। আমি ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে খামার করি। প্রথম দিকে অনেকে আমাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেন। আমি শিক্ষিত হয়ে চাকরি ছেড়ে কেন গরু পালন করছি? অনেক ঝড়-ঝাপটা গেছে আমার ওপর দিয়ে। তারপরও নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ছিল বলেই আজ আমি একজন সফল খামারি।

কাশিয়ানী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পৃথ্বীজ কুমার দাস জানান, গিয়াস উদ্দিন অল্প দিনে একজন সফল খামারি হয়েছেন। আমি তার খামারে কিছু দিন আগে গিয়েছিলাম। তাকে পরামর্শ দিয়ে এসেছি। গরুর কিছু জাত উন্নয়নে পরামর্শ দিয়েছি। এই জাতের গরুগুলো আনলে তিনি আরও লাভবান হবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৪, ২০২২ ৯:১১ পূর্বাহ্ন
দুই গরু হারিয়ে দিশেহারা কৃষক
প্রাণিসম্পদ

কৃষকের গোয়াল ঘর থেকে দুটি গরু চুরি হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বগুড়ার উপজেলার নন্দীগ্রাম ইউনিয়নের রণবাঘায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই কৃষকের দাবি, চুরি যাওয়া গরু দুটির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় এক লাখ ১০ হাজার টাকা।

চুরি হওয়া গরুর মালিক আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রেখা খাতুন জানান, প্রতিদিনের মত গরুগুলোকে খাওয়ানো শেষে গোয়াল ঘরে রেখে দরজায় তালা দিয়ে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। রাত দুটার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি দরজার তালা ভাঙা। গোয়াল ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখি কালো একটি গাভী ও শিয়ালি কালারের একটি বোকনা বাছুর নাই। পরে লোকজন নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করে গরু দুইটি পাইনি। এনিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।

বিষয়টি নিয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, কৃষকের দুটি গরু চুরির ঘটনায় থানায় তিনি অভিযোগ করেছেন। গরু উদ্ধার ও চোর সনাক্তের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এদিকে পরম আদরের গরু দুটি হারিয়ে রেখা খাতুন খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop