১১:৩৪ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২২ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী-২০২২ অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সাইন্স এন্ড টেকনোলজি আয়োজনে ১ বছর মেয়াদী প্রি- সার্ভিস প্রশিক্ষণ কোর্স ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানটি ১৪ মার্চ (সোমবার) নাসিরনগর উপজেলার আইএলএসটি নিজস্ব অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএলএসটির অধ্যক্ষ ডাঃ এ,বি,এম সাইফুজ্জামান।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের, ভেটেরিনারি অফিসার জনাব ডাঃ সাইফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এর ট্রেনিং অফিসার ডাঃ কাজী নজরুল ইসলাম ও ফার্মা এন্ড ফার্ম’র,সিনিল ফার্মা লিঃ, ঢাকা, জেনারেল ম্যানেজার ডাঃ তাপস কুমার ঘোষ।

ফার্মা এন্ড ফার্ম’র জেনারেল ম্যানেজার ডাঃ তাপস কুমার ঘোষ বলেন, দুধ,মাংস ও ডিম এর স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে প্রাণিস্বাস্থ্যের সাথে জড়িত সকলের সহযোগিতা অনুস্বীকার্য।

প্রি-সার্ভিস প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইএলএসটি’র চীফ ইন্সট্রাক্টর ডাঃ মোঃ হাসান আলী।

উক্ত অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করে সিনিল ফার্মা। এ সময় সিনিল ফার্মার প্রোডাক্ট প্রেজেন্টেশন ও গুনগত মান সম্পর্কে আলোচনা করেন ডাঃ আনন্দ প্রাসাদ সাহা, প্রোডাক্ট এক্সিকিউটিভ।

প্রোগ্রামে অংশগ্রহনকারী সবাইকে প্রোডাক্ট ব্র্যান্ডিং (Sifen Inj, Simar ) টি-শার্ট উপহার দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৪, ২০২২ ৩:০৪ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি ইতিহাসের মহামানব- শ ম রেজাউল করিম
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। এ জন্য তিনি স্বাধীনতার পরপরই স্বল্প সময়ের মধ্যে গোটা দেশকে গড়ে তোলার জন্য সবধরনের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। সাম্যের ভিত্তিতে সমাজ বিনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি নিয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আইন প্রণয়ন, ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন, স্থল সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ, সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত আইন প্রণয়নসহ অনেকগুলি বিষয় তিনি কাজ শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, শ্রেষ্ঠ জাতীয়তাবাদী নেতা ও শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক। তিনি শুধু একজন রাজনীতিক নন, ইতিহাসের মহামানব”।

গতকাল রবিবার (১৩ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনে নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘অগ্নিঝরা মার্চ’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. নূর হোসেন, সহসভাপতি মো. মঞ্জুর আলম, আবু মনসুর ও সেলিম জাহাঙ্গীর, সহসাধারণ সম্পাদক মিন্টু কামরুজ্জামান ও জিয়াউল হাসান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. মিয়াজি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধুর গৃহিত পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘদিনের অমিমাংসিত ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছেন, বাংলাদেশের প্রায় সমআয়তন সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাষ্ট্রকে সক্ষম স্থানে নিয়ে আসছেন। দেশের অবকাঠামো খাতে অকল্পনীয় উন্নয়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কার্য সম্পাদনে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করছেন। আধুনিক বাংলাদেশের  প্রতিচ্ছবি শেখ হাসিনা। তাঁর সময়ে দেশে কোন মানুষ না খেয়ে থাকে না। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশকে তিনি বের করে এনেছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। করোনাকালে সব মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছেন, ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনা সমকালীন বিশ্বের অন্যতম সফল রাজনীতিক। ঐতিহাসিক মার্চ মাসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের শপথ নিতে হবে”।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৩, ২০২২ ৪:৪৫ অপরাহ্ন
গরমে গবাদিপশুর যত্ন নিবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

চলছে গরমের মৌসুম। কখনও কখনও বইছে তীব্র দাবদাহ। এই অবস্থায় যখন মানুষেরই হাঁসফাঁস অবস্থা তখন গবাদিপশুর অবস্থাও আপনার বিবেচনায় নিতে হবে। তাদের জন্যও দিতে হবে স্বস্তিকর পরিবেশ, নিতে হবে বাড়তি যত্ন। তার জন্য আপনাকে যা করতে হবে

১. বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ছায়াযুক্ত শুকনা স্থানে
রাখুন।

২. পর্যাপ্ত পানি ও ইলেকট্রোলাইটসও দিন।
৩. বিশেষ করে এফ,এম,ডি, হবার ইতিহাস আছে এমন
গরুগুলোর যেন বেশি রৌদ্র না লাগে, তাহলে হিট
স্ট্রোক হয়ে মারা যেতে পারে।
৪. হিট স্ট্রেসে আক্রান্ত গবাদিপশুকে ড্রেকস্ট্রোজ ও
ভিটামিন সি দিন।
৫. প্রয়োজনীয় বিশ্রাম দিন।
৬. এই গরমে পারতপক্ষে প্রাণি পরিবহণ করবেন না।
৭. এত গরমে পারতপক্ষে ক্রিমিনাশক দিবেন না।
৮. সুষম খাবার ও পরিষ্কার পানি সরবরাহ করুন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৩, ২০২২ ৪:০৩ অপরাহ্ন
প্রবাসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে- শ ম রেজাউল করিম
প্রাণিসম্পদ

প্রবাসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য যারা অপপ্রচারে লিপ্ত তাদের উপযুক্ত জবাব দিতে প্রবাসী বাঙালিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে এ সব উন্নয়নের তথ্য প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরারও এ সময় আহ্বান জানান তিনি।

গতকাল শনিবার (১২ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নিউ ইংল্যান্ড আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নিউ ইংল্যান্ড এর সাধারণ সম্পাদক তানভীর মুরাদের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নিউ ইংল্যান্ড এর সভাপতি পারভীন চৌধুরী, সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম রনি, সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক সভাপতি আসিফ চৌধুরী, নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরো বলেন, “দেশ গঠনে প্রবাসীদের বিশাল ভুমিকা আছে। আপনাদের পাঠানো রেমিটেন্সের টাকা পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেলসহ দেশের অন্যান্য উন্নয়নে অবদান রাখে। আপনাদের কষ্টই বাংলাদেশের সুন্দর ও বিকশিত রূপ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রবাসে বাংলাদেশকে তুলে ধরার দায়িত্ব রয়েছে আপনাদের”।

তিনি আরো বলেন, “প্রবাসী বাঙালিদের অধিকাংশই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আজকের বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশে আজকের অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য উন্নয়ন হতো না। তবে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এখনও শেষ হয় নি। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছদ্দবেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহিতাপূর্ণ জঘন্য মিথ্যাচার চালাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন তাদের চোখে পড়ে না। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দেশে ও দেশের বাইরে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দেশের বাইরে সবক্ষেত্রে না পারলেও দেশের মধ্যে যেখানেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে”।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বলেন, “শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময়কর হলেও একশ্রেণীর মানুষ নেতিবাচক, মিথ্যাচারপূর্ণ ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তারা মিথ্যাচার করে, বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে জঘন্য অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করে। তারা কার্যত দুর্নীতির দায়ে কারাদন্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান, খালেদা জিয়া এবং দেশে ও দেশের বাইরে পালিয়ে বেড়ানো যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের লোক। এ জাতীয় অপপ্রচার যারা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রবাসের বাঙালি কমিউনিটিকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। প্রবাসীদের বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে, লাল সবুজের পতাকাকে হৃদয়ে ধারণ করে বিশ্বাস রাখতে হবে শেখ হাসিনার হাতে যতদিন দেশ, ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

এর আগে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নিউ ইংল্যান্ড এর নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১২, ২০২২ ৩:২৯ অপরাহ্ন
গরু পালনে খামার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকহারে গরু পালন করা হয়ে থাকে। গরু পালনের মাধ্যমে অনেকেই হয়েছেন স্বাবলম্বী। একটি খামার মানসম্মত ভাবে, সঠিক উপায়ে, লাভজনক ভাবে এবং সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করার নামই খামার ব্যাবস্থাপনা। গরু পালনে লাভবান হওয়ার জন্য যথাযতভাবে খামার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

খামারের জন্য স্থান নির্বাচনঃ
আমরা পরিবার ভিত্তিক ক্ষুদ্র খামার স্থাপনের জন্য আমাদের বাড়ির অ-ব্যবহারিত স্থান বেছে নিতে পারি। এ স্থানটি সাধারনতঃ বাড়ীর পুর্ব অথ বা পশ্চিম দিকে হলে ভাল হয়। সর্ব মোট ১০ টি গরুর জন্য ৩০০ বর্গ ফুট জায়গার প্রয়োজন। গরুর ঘর থেকে ২০/২৫ ফুট দূরে একটি ছোট ডোবা থাকবে যাতে সেখানে গরুর মল-মূত্র ফেলা যায়। এ ছাড়া মল মুত্র থেকে জৈব সার ও বায়ো গ্যাস উৎপাদনের জন্য বায়ো গ্যাস প্লান্ট স্থাপন করে লাভজনক ভাবে খামারের বর্জ ব্যবস্থাপনা করা যায়।

গরুর শেড নির্মানঃ
একটি পুর্ন বয়স্ক গরুর জন্য সর্ব সাকুল্যে ২৮-৩০ বর্গ ফুট জায়গার প্রয়োজন হয়। এ হিসেবেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক গরুর জন্য শেড নির্মান করতে হবে। গরুর শেড পূর্ব – পশ্চিমে লম্বা হলে ভাল হয়। শেডের ফ্লোর, খাবার পাত্র, পানিরপাত্র ইত্যাদি পাকা হওয়া প্রয়োজন। উপরে টিন অথবা ছনের ছাউনি দেওয়া যেতে পারে। শেডের নিকটস্থ গাছ ও ডালপালা কেটে ফেলে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। শেডে পানীয় জলের সরবরাহ ও পয়ঃনিস্কাশনের ব্যাবস্থা থাকতে হবে। খামারের চারপাশে উচু মজবুত বেষ্টনী তৈরী করতে হবে যাতে চোরের হাত থেকে খামারের গরু ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিষ-পত্র রক্ষা করা যায়।

খামারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাঃ
গোবর গবাদি পশু থেকে পাওয়া একটি অর্থকরী সম্পদ। গোবর থেকে আমরা বায়ো গ্যাস ও জৈব সার উৎপাদন করতে পারি যা থেকে জ্বালানী ও ফসলি জমির উৎকৃ্ষ্ট সারের চাহিদা পুরন করা সম্ভব। এ ছাড়া , মাছের জলজ খাদ্য উৎপাদনে পুকুরে গোবর ব্যবহার করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৭, ২০২২ ৫:৩৮ অপরাহ্ন
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ধরে রাখাই হোক ৭ মার্চের প্রত্যয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের মাহকাব্যিক ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মৌলিক ভিত্তি। এ ভাষণে বঞ্চনার অবসানে বাঙালির বিজয়ের কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ধরে রাখাই হোক ৭ মার্চের দৃপ্ত প্রত্যয়”।

সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান ফুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, পিরোজপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম মন্টু, জেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি মাকসুদুল ইসলাম লিটন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, “মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহাকাব্যিক মাস। এ মাসেই ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু কার্যত গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন। যার যা কিছু আছে তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়ে এ দিন তিনি সরাসরি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ মাসের ২৬ তারিখ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জীবনের চেয়ে বাঙালিকে ভালোবাসতেন, প্রাণের চেয়ে ভালোবাসতেন বাংলার মাটিকে। সেজন্যই বঙ্গবন্ধু কারো সাথে আপস না করে আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় করেছিলেন”।

শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এখন ইউনেস্কোর মূল্যবান দলিলের অংশে পরিণত হয়েছে। সারা দুনিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শ্রদ্ধার জায়গা করে নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করি, দল মত নির্বিশেষে আমাদের মৌলিক ভিত্তি ৭ মার্চের ভাষণ। অথচ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ দেশে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এ ভাষণ প্রচারকারীদের নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। আর্কাইভ থেকে এ ভাষণ নষ্ট করে ফেলা হয়েছিল। এভাবে বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্বকে বিনাশ করে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। রাস্টাঘাটে, বইপত্রে, সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে, সরকারি কার্যক্রমে সর্বত্র বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এ ধারাবাহিকতায় গোটা জাতিকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ধ্বংস করে পাকিস্তানী স্টাইলের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২১ বছর রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামের পর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়”।

তিনি আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধুকে বলা হতো শোষিতের কন্ঠস্বর আর শেখ হাসিনাকে বলা হয় দুর্গতদের কন্ঠস্বর। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের উন্নত বাংলাদেশের ভিত্তি রচিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক জায়গা ধারণ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে হবে। জয় বাংলা শ্লোগানকে আমাদের প্রাণসঞ্চারী, সঞ্জিবনী শ্লোগান হিসেবে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে”।

এদিন সকালে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও এর আওতাদীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেন মন্ত্রী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকসহ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৭, ২০২২ ৪:৩৬ অপরাহ্ন
গরু মোটাতাজা করবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

গরু পালন লাভজনক হওয়াতে এখন আমাদের দেশের অনেকেই গরুর খামার করার প্রতি ঝুঁকছেন। তবে, এই গরু যদি হয় আরেকটু মোটাতাজা তাহলে আর কথা ই নাই। আর এর জন্য দরকার গরুর সুষম খাদ্য। আর সুষম খাদ্য প্রয়োগে আপনি আরো লাভবান হতে পারেন গরু পালনে।

খামারে গরু মোটাতাজাকরণে যেসকল আমিষ খাবার আপনার গরুকে খাওয়াবেন:

শুকনা খড়: ২ বছর বয়সের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনা খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে এক রাত লালীগুড়-চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে সরবরাহ করতে হবে।

কাঁচা ঘাস: গরুকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি কাঁচা ঘাস বা শস্য জাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কলাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।

দানাদার খাদ্য: গরুকে প্রত্যেক দিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যের তালিকা দেয়া হলো- গম ভাঙা-গমের ভুসি ৪০ কেজি চালের কুঁড়া ২৩.৫ কেজি খেসারি বা যে কোনো ডালের ভুসি ১৫ কেজি তিলের খৈল-সরিষার খৈল ২০ কেজি লবণ ১.৫ কেজি। উল্লিখিত তালিকা ছাড়াও বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন মিনারেল মিশ্রণ ১% হারে খাওয়াতে হবে।

১৫০ কেজি ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: খড় = ৩ কেজি কাঁচা ঘাস = ৫-৬ কেজি দানাদার খাদ্যের মিশ্রন = ১.৫-২ কেজি চিটাগুড় = ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া = ৪৫ গ্রাম (নিয়মানুয়ায়ী) লবন = ৩৫ গ্রাম।

১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: ধানের খড় = ২ কেজি সবুজ ঘাস = ২ কেজি (ঘাস না থাকলে খড় ব্যবহার করতে হবে দানদার খাদ্যে মিশ্রন = ১.২-২.৫ কেজি ইউরিয়া = ৩৫ গ্রাম (নিয়মানুযায়ী) চিটাগুড়া = ২০০-৪০০ গ্রাম লবণ = ২৫ গ্রাম দানাদার খাদ্যের সাথে লবন, ইউরিয়া, চিটাগুড় এক সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার দিতে হবে। ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস ছোট ছোট করে কেটে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

কৃমিমুক্তকরণ ও টিকা প্রদান:
গরুকে ডাক্তারের নির্দেশনা মত কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। নতুন গরু সংগ্রহের পর পরই পালের সব গরুকে একসঙ্গে কৃমিমুক্ত করা উচিত। এক্ষেত্রে প্রতি ৭৫ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি করে এনডেক্স বা এন্টিওয়ার্ম ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

পূর্ব থেকে টিকা না দেয়া থাকলে খামারে আনার পর পরই সব গরুকে তড়কা, বাদলা ও ক্ষুরা রোগের টিকা দিতে হবে। এ ব্যাপারে নিকটস্থ পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

ঘর তৈরি ও আবাসন ব্যবস্থাপনা:
আমদের দেশের অধিকাংশ খামারী ২/৩ টি পশু মোটাতাজা করে থাকে, যার জন্য সাধারণত আধুনিক শেড করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে যে ধরনের ঘরেই গরু রাখা হোক, ঘরের মধ্যে পর্যন্ত আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ঘরের মল- মূত্র ও অন্যান্য আবর্জনা যাতে সহজেই পরিষ্কার করা যায়, সে দিকে খেয়াল রেখে ঘরে তৈরি করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৬, ২০২২ ৪:২১ অপরাহ্ন
মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটরা হবে দেশের দক্ষ মানবসম্পদ
প্রাণিসম্পদ

মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটরা দেশের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (০৬ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের মেরিন ফিশারিজ একাডেমি মিলনায়তনে একাডেমির ৪১তম ব্যাচের ক্যাডেটদের মুজিববর্ষের পাসিং আউট ২০২১ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, “মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটদের চোখে দীপ্তিময় ভবিষ্যত্বের তৃষ্ণার্ত আগ্রহ রয়েছে। তারা চায় সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। উচ্চ পর্যায়ের জ্ঞান অর্জন করে ক্রমান্বয়ে তারা বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হবে। এ ক্যাডেটরা দেশে ও দেশের বাইরে মেরিটাইম সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অদূর ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নের সুনীল অর্থনীতি হবে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচনে এ ক্যাডেটরা গুরু দায়িত্ব পালন করবে”।

মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ওয়াসিম মকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও এস এম ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও মেরিন ফিশারিজ একাডেমির কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষকবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটরা হবে আমাদের অ্যাম্বাসেডর। ক্যাডেটদের দক্ষতা, সততা, দেশপ্রেম বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করে তুলবে। উজ্জ্বল করে তুলবে লাল সবুজের পতাকাকে।

পাসড আউটকৃত ক্যাডেটদের অভিনন্দন জানিয়ে এসময় মন্ত্রী বলেন, “ক্যাডেটদের মধ্যে আমরা স্বপ্নের ভবিষ্যৎ খুঁজে পেতে চাই। তাদের সার্থকতার শীর্ষ স্থানে পৌঁছাতে হবে। নিজের ঐকান্তিক ইচ্ছা, নিরলস প্রচেষ্টা, গভীর মনোনিবেশ আর অধ্যবসায় থাকলে কোনো প্রতিকূলতা তাদের আটকাতে পারবে না। নিজ কর্মক্ষেত্রে আন্তরিকতা ও যোগ্যতা নিয়ে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে সাফল্য যেন কখনো অধরা না থাকে। নিজের সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করতে হবে, মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে”।

পরে মন্ত্রী মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ৪১ তম ব্যাচের নটিক্যাল বিভাগের ৩৩ জন, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩১ জন ও মেরিন ফিশারিজ বিভাগের ২০ জনসহ মোট ৮৪ জন ক্যাডেটের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৫, ২০২২ ৪:৩১ অপরাহ্ন
খুলনার ডুমুরিয়ায় “আধুনিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” প্রকল্পের আওতায় খামারি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

খুলনার ডুমুরিয়ায় “আধুনিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” প্রকল্পের অর্থায়নে খামারি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারী খুলনার ডুমুরিয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের প্রশিক্ষণ কক্ষে সুফলভোগী খামারিদের অংশগ্রহনে ৩ দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে এই খামারী প্রশিক্ষণে খামারিদের আধুনিক বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কম খরচে গরু হৃষ্টপুষ্টকরনের মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদন, গবাদিপশুর বাসস্থান, পালন ব্যবস্থাপনা, রোগবালাই প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করেন।সুফলভোগী ২৫ জন খামারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি সম্পন্ন হয়।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী এক খামারি জানান, গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কিভাবে স্বল্প খরচে গরু পালন করা যায় এবং ঔষধ ব্যবহার করে রোগ-জীবাণু থেকে কীভাবে খামারকে রক্ষা করা যায় সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন থেকে আধুনিক উপায়ে খুব সহজেই গরু মোটাতাজা করে লাভবান হতে পারব।

প্রশিক্ষণ শেষে সুফলভোগী প্রত্যেক খামারীকে ভিটামিন ও কৃমির ঔষধ বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৫, ২০২২ ৩:১৬ অপরাহ্ন
সোনালি মুরগির খামারে ডিমের উৎপাদন বাড়াবেন যেভাবে
পোলট্রি

বর্তমান সময়ে ব্যাপকহারে মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। খামারে অনেকেই সোনালি মুরগি পালন করে থাকেন। অনেকেই ডিম উৎপাদনের জন্য সোনালি মুরগি পালন করে থাকেন। খামারে লাভবান হওয়ার জন্য ডিম উৎপাদন বাড়ানো জরুরী।

সোনালি মুরগির খামারে ডিমের উৎপাদন বাড়ানোর কৌশলঃ
মুরগির খামার নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। খামারের ভেতরে যাতে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব না সৃষ্টি হয়। খামারটি সব সময় শুকনো রাখার চেষ্টা করতে হবে।সোনালি মুরগি পালনে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য সবার আগে খাদ্য ব্যবস্থায় দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। খাদ্য প্রদানের ভিত্তিতে মুরগির ডিমের উৎপাদন নির্ভর করে থাকে। তাই সোনালি মুরগিকে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করতে হবে।

সোনালি মুরগি পালনে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য লেয়ারের মতই আলোকসূচি মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে আলোকসূচিতে কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।সোনালি মুরগির খামারে সব সময় আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এজন্য খামারটি খোলামেলা স্থানে হলে ভালো হয়। খামারে নিয়মিত ভ্যাকসিন দিতে হবে। সময়মতো মুরগিকে কৃমিমুক্ত করতে হবে। মাঝে মাঝে মুরগির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।

খামারে লক্ষ্য করুন কোন মুরগিগুলো ডিম দিচ্ছে আর কোন গুলো দিচ্ছে না। যেগুলো থেকে ডিম পাচ্ছেন না সেগুলোকে আলাদাভাবে পরিচর্যা করতে হবে।খামারে খাদ্যের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। খামারের ভেতরে কিছু দূর পর পর পানির পাত্র দিতে হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop