১:১৭ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ৫, ২০২২ ১১:২০ পূর্বাহ্ন
মাছ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন রপ্তানির পর্যায়ে পৌঁছেছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মাছ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন বিদেশে রপ্তানির পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শুক্রবার (০৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দীপ্ত টেলিভিশনের স্টুডিওতে এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড ২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান, সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান, এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারী প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “কৃষি বাঙালির প্রাণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে কৃষককে বাঁচাতে হবে। আর কৃষকের প্রাণ হচ্ছে কৃষি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কৃষির একটি বড় খাত। এ খাতে আমরা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছি। মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নয়, আমরা এখন বিদেশে রপ্তানির পর্যায়ে পৌঁছেছি”।

তিনি আরো বলেন, “পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটানো, বেকারত্ব দূর করা, কর্মোদ্যোক্তা তৈরি করা এবং নতুন আঙ্গিকে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখার ক্ষেত্রে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত ব্যাপক ভুমিকা পালন করছে। সে ভূমিকার সফল ও সার্থক ক্যাপ্টেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে”।

অনুষ্ঠানে সেরা মাঠ ফসল উৎপাদনকারী কৃষক, সেরা গবাদিপশুর খামারি, সেরা ফল বাগানি, সেরা সমবায় কৃষি, সেরা সবজি চাষি, সেরা পোল্ট্রি খামারি, সেরা মৎস্য চাষি, সেরা কৃষি উদ্ভাবক, সেরা কৃষি উদ্যোক্তা নারী ও সেরা কৃষি উদ্যোক্তা পুরুষসহ মোট ১০টি শ্রেণিতে কৃষি উদ্যোক্তা, খামারি ও উদ্ভাবকদের পুরস্কৃত করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৩, ২০২২ ৪:২৬ অপরাহ্ন
গবেষণায় বিএলআরআইকে আধুনিক ও উন্নত পদ্ধতি সন্নিবেশ করতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

গবেষণায় বিএলআরআইকে সনাতনী পদ্ধতি বদলে ফেলে আধুনিক ও উন্নত পদ্ধতি সন্নিবেশ করতে হবে বলে আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর পরিচালনা বোর্ডের ৪৪ তম সভায় সভাপতির বক্তব্য মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

এসময় তিনি আরো বলেন, “আমাদের গবেষণালবদ্ধ ফলাফলের মাধ্যমে উৎপাদিত সামগ্রী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে সংযুক্ত করে নামকরণ করতে হবে। তা না হলে গবেষণার ফলাফল, কৃতিত্ব কিছুই আমাদের নামে থাকবে না”।

মার্চ বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ মুক্তির সংগ্রামের জন্য ডাক দেন। কার্যত এ দিন থেকেই বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেন। পরবর্তীতে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। অন্যদিকে ১৭ মার্চ আমাদের জাতির পিতার জন্ম দিবস। এ মাসে লক্ষ্য থাকবে বিএলআরআইসহ আমাদের সব প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও বিকশিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ, পদোন্নতি ও ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে”।


বিএলআরআই এর বিজ্ঞানী ও গবেষকদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী বলেন, “গতানুগতিক গবেষণা নয়, গবেষণা হতে হবে নতুনত্ব সামনে নিয়ে আসার জন্য। গবেষণার গতি স্তিমিত হতে পারবে না। দেশের উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে বিএলআরআই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় সনাতনী পদ্ধতি বদলে ফেলে আধুনিক ও উন্নত পদ্ধতি সন্নিবেশ করতে হবে। গবেষণার নতুন নতুন দ্বার উন্মোচন করতে হবে”।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএলআরআই এর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য মোছাঃ শামীমা আক্তার খানম এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বোর্ডের ভাইসচেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য ও বোর্ড সদস্য শরিফা খান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বোর্ড সদস্য ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বোর্ড সদস্য ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, বিএলআরআই এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ও বোর্ড সদস্য ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যারাগণ গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ও বোর্ড সদস্য ইয়াসমিন রহমান, বিএলআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বোর্ড সদস্য ড. মো. জিল্লুর রহমান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণারয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি ও এস এম ফেরদৌস আলম সভায় যোগদান করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২, ২০২২ ১১:২২ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী বিশ্ব ব্যাংক
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে অব্যাহত সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাংক। বুধবার (০২ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সাথে তার দপ্তর কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন (Mercy Miyang Tembon) এর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ ও সুবোল বোস মনি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা,বিশ্ব ব্যাংকের এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড গ্লোবাল প্রাকটিসের গ্লোবাল ডিরেক্টর মার্টিন ভ্যান নিউকপ (Martien Van Nieuwcoop), বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচার ইকোনমিস্ট ক্রিশ্চিয়ান বার্গার (Critian  Berger), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম ও প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. মো. গোলাম রব্বানী সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সম্পদ প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অতীতের চেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন। করনোসহ কিছু প্রাথমিক জটিলতায় এ প্রকল্পের কাজ সাময়িকভাবে ধীরগতিতে হলেও এখন আর তা নেই। প্রকল্পের আওতায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রায় ৭০০ কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় ৪ হাজার ২০০ প্রণিসম্পদ সেবা প্রদানকারী নির্বাচন করা হয়েছে,১ হাজার ৫০০ খামারির মধ্যে মিল্ক ক্রিম সেপারেটর মেশিন বিতরণ করা হয়েছে, ৯০ হাজারের অধিক খামারিকে সম্পৃক্ত করে ৩ হাজার প্রডিউসার গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। এর আওতায় প্রাণী চিকিৎসা সেবা খামারির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য ৩৬০টি মোবাইল ফ্যাক্টরি ক্লিনিক ক্রয় করা হয়েছে যার মধ্যে সম্প্রতি ৬১টি বিতরণ করা হয়েছে। প্রকল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় স্লটার হাউস তৈরির মাঠ পর্যায়ের অনেক কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। তাছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ নীতিমালা, প্রাণিসম্পদ বীমা নীতি প্রণয়ন, প্রাণীদের নিবন্ধন ও পরিচিতি প্রদান করার সিস্টেম ও ডাটাবেজ উন্নয়নের কাজ চলছে”।

“সম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত তথা পোল্ট্রি, ডেইরিসহ নানা খাতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে পরিচালিত প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ হবে”-মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

মার্সি মিয়াং টেম্বন এ সময় বলেন, “বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশকে দেখে শিখছে। বিশেষ করে এ দেশের কৃষি খাত অনেক এগিয়ে গেছে। তবুও এ খাতে বিশেষ করে প্রাণিসম্পদ খাতে আরও অগ্রগতির সুযোগ রয়েছে। এ খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আরো অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ গতিশীল করা প্রয়োজন”।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১, ২০২২ ৪:০১ অপরাহ্ন
ছাগল মোটাতাজা করবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

বর্তমানে ছাগলের খামারের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। এর মাধ্যমে সফলতা তথা স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক চাষি। তবে এই ছাগল যদি হয় আরো মোটাতাজা তাহলে এর ফলাফল আসবে আরো বেশি। তাই যারা ছাগল পালন করেন তাদের ছাগল মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি জানা দরকার। তাহলে আরো লাভবান হতে পারবেন এই পেশায়।

ছাগল মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে সফল হওয়ার উপায়:
ছাগল পালন করে লাভবান হওয়ার জন্য ভাল মানের ছাগল বাছাই করা সবচেয়ে জরুরী। ছাগল পালন করতে রোগমুক্ত কিন্তু শুকনো শরীরের ছাগল নির্বাচন করতে হবে। এতে এই ছাগলকে পরিচর্যা ও খাদ্য প্রদানের মাধ্যমে সহজেই মোটাতাজা করা যায়। আর এই মোটাতাজা করা ছাগল থেকে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। ভাল মানের ব্রিড সংগ্রহ করতে না পারলে উন্নত মানের ছাগল পাওয়া যায় না। আর ভাল মানের ছাগল সংগ্রহ করার মাধ্যমেই ছাগল পালনে লাভবান হওয়া যায়।

ছাগল পালনে লাভবান হওয়ার জন্য ছাগলের কৃমি দমন করা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। ছাগলকে সঠিক সময়ে কৃমি মুক্ত করাতে না পারলে ছাগলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবনতি হয়ে থাকে। তাই ছাগলকে প্রতি ৪ মাস পর পর কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।ছাগলকে রোগমুক্ত রাখার জন্য ছাগলকে সময়মতো সংক্রামক রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ছাগলকে প্রতি বছর রোগের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।

ছাগলকে মোটাতাজা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়কাল নির্ধারণ করতে হবে। এতে করে একটি সময় অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
এছাড়া ছাগলের খামার থেকে লাভবান হওয়ার জন্য ছাগলকে খাদ্য প্রদান করা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূলত ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করেই ছাগলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে থাকে। তাই ছাগল পালনে লাভবান হবে খাদ্য ব্যবস্থার উপর জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে ছাগলের বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা করতে হবে।

ছাগলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য ছাগলকে যথাসম্ভব ছেড়ে দিয়ে পালন করতে হবে। এর ফলে যেমনি ছাগলের শরীর সুস্থ থাকবে তেমিন আনুসাঙ্গিক খরচও কমে আসবে অনেকগুনে। ছাগল পালনে লাভবান হওয়ার জন্য নিয়মিত ছাগলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। প্রয়োজনে নিয়মিত ছাগলের ওজন মাপতে হবে।

ছাগলের নিয়মিত কিছু দুর্ঘটনা ও সাধারণ রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা পালনকারীদের জেনে রাখতে হবে। এর ফলে সামান্য সমস্যাতেই ডাক্তার ডাকতে হবে না। যার কারণে চিকিৎসা খরচ থেকে বেঁচে যাওয়া যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১, ২০২২ ১২:৩৫ অপরাহ্ন
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ফার্মা এন্ড ফার্ম’র খামারি সেমিনার অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

” আধুনিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরন ও করনীয়” বিষয়ক ফার্মা এন্ড ফার্ম’র একটি খামারি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের বীরগঞ্জে উক্ত খামারি সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। 

বিল্লাল হোসেন এর সভাপতিত্বে উক্ত খামারি সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফার্মা এন্ড ফার্ম’র রিজিওনাল ম্যানেজার আশরাফুল হক বজলুএসময় তিনি অল্প সময়ে, অল্প পুজিতে আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরন করে কিভাবে অধিক লাভ করা যায় তা একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এসময় গরু নির্বাচন থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপগুলো আলোচনা করেন। এ সময় তিনি পরজীবি মুক্তকরন (Shitril, Vermishin Inj.), হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক(Rumitop, Rumiguard, Shinora Bolus), প্রিবায়োটিকস (A-Max Xtra), প্রোবায়োটিক (Bio-Top), রুচিবর্ধক (SI Rufort), পুষ্টিগুণ(Toposol Inj), ভিটামিন(Si Multivita, B-Comp Inj.), এমাইনো আ্যাসিড(SI Multivita) সমৃদ্ধ ইত্যাদি প্রোডাক্টস নিয়ে আলোচনা করেন।

খামারিদের প্রশ্নোত্তর পর্বে ফার্মা এন্ড ফার্ম’র রিজিওনাল ম্যানেজার আশরাফুল হক বজলু ডেইরিতে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাচা ঘাস ও ব্যালেন্সড রেশনের পাশাপাশি ফার্মা এন্ড ফার্ম’র SI Milk more Bolus এবং Milk more powder ব্যবহার ও গুনগতমান সম্পূর্ণ প্রোডাক্ট ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করেন।

উক্ত খামারি সেমিনারটিতে আরো উপস্থিত ছিলেন এরিয়া ম্যানেজার, মার্কেটিং অফিসার ও খামারীবৃন্দ।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২২ ৪:৪১ অপরাহ্ন
দক্ষ জনশক্তি তৈরির শিক্ষা বিস্তারে কাজ করছে সরকার- শ ম রেজাউল করিম
প্রাণিসম্পদ

শুধু সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষা নয় বরং দক্ষ জনশক্তি তৈরির শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নে শ্রীরামকাঠী মহাবিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

শ্রীরামকাঠী মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এস এম রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ, নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ বেপারী, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি জাহিদ হোসেন পিরু, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝি, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান, স্থানীয় অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, “উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে শিক্ষা বিস্তারের কোন বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা শিক্ষাবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন বিভাগে ও জেলায় মেডিকেল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। তিনি প্রতি জেলায় সরকারি পর্যায়ে আধুনিক মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করে দেবেন”।

তিনি আরো বলেন, “শিক্ষা বিস্তারে এতো অর্থ বরাদ্দ দেশের ইতিহাসে অতীতের কোন সরকার দেয়নি। যেটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দিয়েছে। শেখ হাসিনা শিক্ষকদের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি মনে করেন শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। তাদের পেছনে রেখে একটি জাতি সামনে এগিয়ে যেতে পারে না”।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, “আমরা শিক্ষানির্ভর, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠন করতে চাই। শুধু সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষা নয় বরং শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। যে শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে কারিগরিভাবে সক্ষম করে তুলবে, স্বাবলম্বী করে তুলবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। সে লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে”।

এর আগে মন্ত্রী পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় শ্রীরামকাঠী ইউপি-কালীবাড়ি হাট সড়ক কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সন্নিকটে বক্স কালভার্ট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন এবং শ্রীরামকাঠী মহাবিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২২ ৪:৩২ অপরাহ্ন
গবাদিপশুর দানাদার খাদ্য ব্যবহারে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

আমরা গবাদিপশুর পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য দানাদার খাবারের সাথে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও মিনারেল ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে দিয়ে থাকি। এই গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে দানাদার খাদ্যের প্রচলন আমাদের দেশে ব্যাপক। তবে শুধুই দানাদার খাদ্য গবাদিপশুর প্রকৃত খাবার নয়।

দানাদার খাদ্য ব্যবহারের কৌশল:

শুরুতেই যে বীজগুলো(যেমন- গম, ভুট্টা ইত্যাদি) অঙ্কুরিত করবেন সেগুলো ভালভাবে পানিতে ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে পরিস্কার পানিতে বীজ গুলোকে গমের ক্ষেত্রে ৮-১২ঘণ্টা এবং ভুট্টার ক্ষেত্রে ২০-২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।

এভাবে ভিজিয়ে রাখার পর বীজগুলোকে পুনরায় পানিতে কয়েকবার করে ধুয়ে নিন এবং শষ্যদানা থেকে পানি ছেঁকে নিন।
এবারে একটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিন এবং এটি দিয়ে বীজসমৃদ্ধ পাত্রটি ঢেকে ফেলুন অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে শষ্যদান পুটলি বেধে ছায়াযুক্ত এমন একটি স্থানে রেখে দিন যেখানে তাপমাত্রা খুব বেশি নয়।

এভাবে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আপনার শষ্যদানা অঙ্কুরিত হবে।এবার অঙ্কুরিত শস্যদানা ধুয়ে নিয়ে গবাদীপশুকে পরিবেশন করুন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২২ ১:৫৫ অপরাহ্ন
ছাগল পালনে কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর উপকারিতা
প্রাণিসম্পদ

গরু-ছাগল পালন এখন একাংশ মানুষ তাদের অর্থনৈতিক চাকা পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসাবে নিয়েছেন। বিশেষ করে কম দামে কিনতে পাওয়া যায় ছাগল। যা মোটামুটি গ্রামের প্রতিটা কৃষকের আছে। তারা ছাগল পালনে বড় কিছু করার প্রত্যাশায় এতে শ্রম দিয়ে থাকে। তবে এই শ্রমকে সফল করতে লাগবে অনেকগুলো পদ্ধতি। তম্মধ্যে অন্যতম হলো ছাগলকে খাওয়াতে হবে নিয়মিত কাঁচা ঘাস। কারণ ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগল শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে। এছাড়াও ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা উপকার পাওয়া যায়।

ছাগলকে কাঁচা ঘাস কেন খাওয়ানো প্রয়োজন:

১। মনে রাখবনে কাঁচা ঘাস কিনতে হয় না। এটি তৈরি হয় প্রাকৃতিক উপায়ে। যার কারণে এতে খরচ নেই বললেই চলে। আর তাই অর্থনৈতিক দিক বিবেচেনায় ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ানো উচিত।

২। নিয়মিত ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং ছাগলের শারীরিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় এবং ছাগল বেশি পরিমাণ দুধ প্রদান করতে সক্ষম হয়ে থাকে।

৩। ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগল বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় বাচ্চা মৃত্যুর হার অনেকগুনে কমে যায়। নিয়মিত কাঁচা ঘাস খাদ্য হিসেবে ছাগলকে খাওয়ালে বাচ্চার মৃত্যু কম হয়।

৪। ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগলের শরীর সঠিক সময়ে প্রজননে সক্ষম হয়। এর ফলে ছাগলের প্রজননের জন্য কৃত্রিম পদ্ধতি প্রয়োগ করে সফল হওয়া যায়।

৫। ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগলকে দানাদার খাদ্য কম দেওয়া লাগে। সেজন্য ছাগলকে দানাদার খাদ্য প্রদান করতে হয় না। তাই ছাগলের জন্য দানাদার খাদ্য কেনার টাকা বেঁচে যায়।

৬। ছাগলকে নিয়মিত কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগল যখন বাচ্চা জন্ম দেয় তখন বাচ্চার ওজন সঠিক পাওয়া যায়। বাচ্চা সুস্থ সবল হয়ে জন্ম নেয়।

৭। কাঁচা ঘাস ছাগলকে নিয়মিত খাওয়ালে ছাগলের মৃত্যুর হার অনেকগুনে কমে যায়। কাঁচা ঘাস ছাগলকে নিয়মিত খাওয়ালে ছাগলের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পায়। আর এর ফলে ছাগল অকালে মরা থেকে রক্ষা পায়।

৮। ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগলের চিকিৎসা খরচ অনেকগুনে কমে যায়। কাঁচা ঘাস খাওয়ার ফলে ছাগল জটিল কোন রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়না। এর ফলে ছাগলের চিকিৎসার খরচ বেঁচে যায়।

ঘাস চাষ:
ছাগলের জন্য ইপিল ইপিল, কাঁঠাল পাতা, খেসারি, মাসকলাই, দুর্বা, বাকসা ইত্যাদি দেশি ঘাসগুলো বেশ পুষ্টিকর। এছাড়া উচ্চফলনশীল নেপিয়ার, স্পেনডিডা, এন্ড্রোপোগন, পিকাটউলুম ইত্যাদি ঘাস চাষ করা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২২ ৪:৩৬ অপরাহ্ন
উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে- শ ম রেজাউল করিম
প্রাণিসম্পদ

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের দক্ষিণ গাবতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পিরোজপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তার হাওলাদার, পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য কামরুজ্জামান খান শামীম, পিরোজপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজীদ হোসেন, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি জাহিদ হোসেন পিরু, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝি, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি না থাকলে পদ্মা সেতু তৈরি হতো না, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল ভবন নির্মাণ হতো না। তিনি না থাকলে দক্ষিণাঞ্চলসহ উন্নয়নবঞ্চিত অঞ্চলের উন্নয়ন হতো না”।

কেন শেখ হাসিনার সাথে থাকবেন না এই প্রশ্ন রেখে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “শেখ হাসিনা করোনার সময় ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নগদ প্রণোদনা দিয়েছেন, ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছেন, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট করে দিচ্ছেন। মসজিদ-মন্দিরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়াচ্ছেন, বিনামূল্যে বই সরবরাহ করছেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। অতীতে খালেদা জিয়াও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অনেকবার। তিনি এ ধরনের কর্মসূচি নেননি। যিনি উন্নয়ন করেছেন তার সাথেই থাকতে হবে, যার কাছে নিরাপদ আশ্রয় তাকেই ভালবাসতে হবে”।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না। এ সাহস অনেক দেশের মানুষই দেখাতে পারেনি, বাংলাদেশেও ৫০ বছরে কেউ দেখাতে পারেনি যেটা শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন। দেশ স্বাধীন না হলে এটা সম্ভব হতো না। স্বাধীনতার জন্য যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন একসময় তারা অবহেলায় ছিলেন। শেখ হাসিনা করোনার মধ্যেও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়িয়েছেন। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস করে দিচ্ছেন”।

তিনি আরো যোগ করেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকারদের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশে রাজাকারদের ঠাঁই হবে না। তবে মনে রাখতে হবে আবার স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। শেখ হাসিনা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য পদ্মা সেতু দিয়েছেন। যিনি আমাদের ভালোবাসেন, সুখ-দুঃখ বুঝেন, তার উপরই নির্ভর করা যায়। শেখ হাসিনা থাকলে আমাদের সব ঠিক থাকবে। আর তিনি না থাকলে আবার তাসের ঘরের মতো উন্নয়নের অগ্রযাত্রা নষ্ট হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদ”।

এর আগে মন্ত্রী পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদারমল্লিক ইউনিয়নে পাঁচপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গণকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন এবং দক্ষিণ জয়পুর রাস্তায় খালের উপর নির্মিত আরসিসি গার্ডার ব্রিজ উদ্বোধন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২২ ১২:৫০ অপরাহ্ন
গবাদি পশুর গলাফুলা রোগ ও প্রতিকার
প্রাণিসম্পদ

গলাফুলা একটি তীব্র প্রকৃতির রোগ যা গরু এবং মহিষকে আক্রান্ত করে। এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যা Pasteurella multocida দ্বারা সংঘটিত হয়। এ রোগে মৃত্যুর হার খুবই বেশি। বর্ষাকালে গলাফুলা রোগ বেশি দেখা যায়। আমাদের দেশে বর্ষার শুরুতে এবং বর্ষার শেষে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। পশুর শরীরে স্বাভাবিক অবস্থায় এ রোগের জীবাণু বিদ্যমান থাকে। কোনো কারণে যদি পশু ধকল যেমন ঠান্ডা, অধিক গরম, ভ্রমণজনিত দুর্বলতা ইত্যাদির সম্মুখীন হয় তখনই এ রোগ বেশি দেখা দেয়। গলাফুলা রোগের প্রচলিত নাম ব্যাংগা, ঘটু, গলগটু, গলবেরা ইত্যাদি।

চিত্র-১ গলাফুলা রোগে আক্রান্ত পশুর মুখমন্ডলসহ গলা ফুলে উঠেছে

এপিডেমিওলজি ও রোগজননতত্ত্ব
গলাফুলা (hemorrhagic septicemia) এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ ইউরোপের কিছু দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান। তবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এটি বেশি পরিলক্ষিত হয়। গলাফুলা মূলত গরু ও মহিষের রোগ হলেও শুকর, ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া, বাইসন, উট, হাতী এমনকি বানরেও এ রোগ হতে পারে। এ রোগ বছরের যে কোনো সময় হতে পারে তবে বর্ষাকালে এর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। বাহক পশুর টনসিল ও ন্যাজো-ফ্যারিনজিয়াল মিউকোসায় এ রোগের জীবাণু থাকে। অনুকূল পরিবেশে রক্তে এ রোগের জীবাণুর সংখ্যা বেড়ে গিয়ে
septicemia করে। এই বৃদ্বিপ্রাপ্ত জীবাণু মরে গিয়ে এন্ডোটক্সিন নিঃসৃত হয় যার ফলে রক্ত দূষিত হয়ে পড়ে। এন্ডোটক্সিন রক্তের ক্যাপিলারিস নষ্ট করে; ফলে এডিমা হয়। এছাড়া এন্ডোটক্সিন একদিকে কোষ কলা বিনষ্ট করে দেহে হিস্টামিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে অন্যদিকে টিস্যু বিনষ্টের ফলে টিস্যুর প্রোটিন ভেঙ্গে রক্তে প্রোটিনের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে, এডিমার সৃষ্টি হয়। সে কারণে এ রোগে আক্রান্ত পশুর গলা ফুলে যায় ও রক্তে জীবাণুর উপস্থিতির (septicemia) কারণে পশুর দ্রুত মৃত্যু হয়।

লক্ষণ
এ রোগ অতি তীব্র ও তীব্র এ দুই ভাবে হতে পারে। অতি তীব্র প্রকৃতির রোগে হঠাৎ জ্বর (১০৬-১০৭০ ফা) হয়ে মুখ ও নাক দিয়ে তরল পদার্থ বের হতে থাকে। পশু অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে ও খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৃতু্য ঘটে। তীব্র প্রকৃতির রোগে আক্রান্ত পশু ২৪ ঘন্টার অধিক বেঁচে থাকে। এ সময় পশুর এডিমা দেখা দেয় যা প্রথমে গলার নিচে, পরে চোয়াল, তলপেট এবং নাক, মুখ, মাথা ও কানের অংশে বিসতৃত হয়।
গলায় স্ফীতি থাকলে গলার ভেতর ঘড় ঘড় শব্দ হয় যা অনেক সময় দূর থেকে শোনা যায়। প্রদাহযুক্ত ফোলা স্থানে ব্যথা থাকে এবং হাত দিলে গরম ও শক্ত অনুভূত হয়। সূঁচ দিয়ে ছিদ্র করলে উক্ত স্থান হতে হলুদ বর্ণের তরল পদার্থ বের হয়ে আসে। অনেক সময় কাশি হয় এবং চোখে পিচুটি দেখা যায়। নাক দিয়ে ঘন সাদা শ্লেষ্মা পড়তে দেখা যায়। সাধারণত লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আক্রান্ত পশু মারা যায়। মারা যাবার সাথে সাথে পেট খুব ফুলে উঠে এবং নাক ও মুখ দিয়ে তরল পদার্থ বের হতে থাকে। পোস্টমর্টেম করলে পেরিকার্ডিয়াল স্যাক (pericardial sac) এ রক্ত মিশ্রিত তরল পদার্থ দেখা যায়, যা থোরাসিক (thoracic) এবং এবডোমিনাল ক্যাভিটি (abdominal cavity) তে বিসতৃত হতে পারে। ফ্যারিনজিয়াল এবং সার্ভাইক্যাল লিম্ফনোডে বিন্দু আকৃতির (petechial) রক্তক্ষরণ পরিলক্ষিত হয়।

অর্থনৈতিক গুরুত্ব
গলাফুলা রোগের যথেষ্ট অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে বিশেষত, এশিয়া এবং আফ্রিকার কিছু দেশে। এশিয়াতে ৩০% গবাদিপশু এ রোগের প্রতি সংবেদনশীল। ভারত দুগ্ধ উৎপাদনে এশিয়াতে সর্বোচ্চ যেখানে ৫০% দুধ আসে মহিষ থেকে, যারা এ রোগের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। ভারতে গত চার দশক ধরে গলাফুলা রোগে মৃত্যু হার গবাদিপশুর মৃত্যুহারের ৪৬-৫৫%। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ভারতে গবাদিপশুর ৫টি মহামারীতে আক্রান্ত গবাদিপশুর ৫৮.৭% মারা যায়। এই ৫টি মহামারী হল ক্ষুরারোগ, রিন্ডারপেষ্ট, বাদলা, এনথ্রাক্স এবং গলাফুলা। শ্রীলংকায় ১৯৭০ এর দশকে পরিচালিত একটি অপঃরাব সারভ্যাইল্যান্স স্টাডিতে দেখা গেছে গলাফুলা আক্রান্ত স্থানসমূহে বছরে প্রায় ১৫% মহিষ এবং ৮% গরু গলাফুলার কারণে মারা যায়। পাকিস্তানে একটি রির্পোটে দেখা গেছে সেখানে গবাদিপশুর মোট মৃত্যুর ৩৪.৪% মারা যায় গলাফুলা রোগে। মায়ানমারে পশু রোগ নিয়ন্ত্রণে বরাদ্দকৃত মোট বাজেটের ৫০ ভাগ ব্যয় হয় গলাফুলা রোগ দমনে। গলাফুলা রোগে শুধু গবাদিপশুর মৃত্যুই ঘটে না, সাথে সাথে বেশ কিছু অপ্রত্যক্ষ ক্ষতিও হয়। যেমন –
উৎপাদন হ্রাসঃ মাংস, দুধ, জোয়াল টানা, হালচাষের বিকল্প উপায়ের জন্য মোট ব্যয় ইত্যাদি। পশুর প্রজনন ক্ষমতা বিঘি্নত হওয়া, চিকিংসা খরচ ইত্যাদি।

প্রতিরোধ
এ রোগ উচ্ছেদ করা অসম্ভব কারণ এ রোগের জীবাণু স্বাভাবিক অবস্থায় পশুর দেহে থাকে। তবে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা অবলম্বন করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
• রোগাক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু থেকে আলাদা করে সুস্থ পশুকে টিকা দানের ব্যবস্থা করতে হবে।
• মড়কের সময় পশুর চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
• হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পশুর পরিচর্যার ব্যবস্থা করতে হবে।
• টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত এল.আর. আই কতৃর্ক প্রস্তুতকৃত টিকার নাম গলাফুলা টিকা। লোকাল স্ট্রেইন দ্বারা প্রস্তুতকৃত এই অয়েল এডজুভেন্ট টিকা সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক (৬ মাস বয়সের উপরে) গবাদিপশুকে ২ মিলি মাত্রায় ও ছাগল ভেড়াকে ১ মিলি মাত্রায় প্রয়োগ করতে হয়। এ রোগের প্রাদুর্ভাব আছে এরূপ এলাকায় ৬ মাস বা তদুধর্ব বয়সী বাছুরে প্রাপ্ত বয়স্ক গরুর অর্ধেক মাত্রায় টিকা দিতে হয়। এলাম অধঃপাতিত (Alum precipitated) টিকা মাংসে প্রদান করা হয়। যেহেতু দুই ধরনের টিকাই মাঠপর্যায়ে ব্যবহার হয় তাই বিষয়টির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ অয়েল এডজুভেন্ট টিকা তেল থেকে প্রস্তুতকৃত বিধায় এই টিকা ভুলক্রমে মাংসে প্রদান করলে মাংসে প্রদাহ সৃষ্টি হয়ে মাংসের ক্ষতি হয় এবং সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। টিকা প্রদানের ২-৩ সপ্তাহ পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মাতে শুরু করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ১ বৎসর কাল পর্যন্ত বজায় থাকে। এই টিকা মৃত জীবাণুর দ্বারা প্রস্তুত বিধায় এই টিকা প্রদানের মাধ্যমে রোগ বিস্তারের কোনো সম্ভাবনা নাই। টিকা প্রয়োগের স্থান ২/৩ দিন পর্যন্ত ফোলা থাকতে পারে। ত্রুটিপূর্ণ ইনজেকশনের কারণে এই ফোলা স্বাভাবিক এর চেয়ে কয়েকদিন বেশি থাকতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে এনাফাইলেকটিক শক দেখা দিতে পারে। কোনো এলাকায় বা খামারে টিকা প্রদানের পূর্বে অল্প কয়েকটি গবাদিপশুকে টিকা প্রদানের পর ২৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা শ্রেয়। যদি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তবে উক্ত বোতলের টিকা পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না। অয়েল এডজুভেন্ট টিকা বেশ ঘন হওয়ায় এই টিকা প্রদানে মোটা বারের নিডল ব্যবহার করা সুবিধাজনক।

রোগ নির্ণয়
হঠাৎ মৃত্যু হয় এ ধরনের রোগ যেমন বজ্রপাত, সাপে কাটা, বাদলা রোগ, রিন্ডারপেস্ট, এনথ্রাক্স ইত্যাদি থেকে গলাফোলা রোগকে আলাদা করতে হবে। সেরোলজিক্যাল টেস্ট যেমন
Indirect hemagglutination test এ উচ্চ টাইটার লেভেল (১:১৬০ বা তার বেশি) পাওয়া গেলে এ রোগ সমন্ধে নিশ্চিত হওয়া যায়।

চিকিৎসা
আক্রান্ত পশুর চিকিৎসায় বিলম্ব হলে সুফল পাওয়া যাবে না। তাই রোগের উপসর্গ দেখা দেয়ার সাথে সাথে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রতিরোধ
ভ্যাকসিনই এ রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভাল উপায়। মূলত তিন ধরনের ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এগুলো হল প্লেইন ব্যাকটেরিন, এলাম অধ:পাতিত ব্যাকটেরিন এবং অয়েল এডজুভেন্ট ব্যাকটেরিন। এর মধ্যে ৬ মাস বিরতিতে এলাম অধ:পাতিত ব্যাকটেরিন এবং ৯ থেকে ১২ মাস অন্তর অয়েল এডজুভেন্ট ভ্যাকসিন দিতে হয়। ভালো ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত খামারে বাছুরকে ৩ থেকে ৬ মাস বয়সে প্রথম, ৩ মাস পরে বুস্টার এবং এরপর বছরে একবার টিকা দিতে হয়। উন্মুক্ত খামারে বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই বাৎসরিক টিকার কোর্স শুরু করতে হয়।

লেখক: ডাঃ এ, এইচ. এম. সাইদুল হক
এক্সিকিউটিভ, ভেটেরিনারী সার্ভিসেস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop