১১:৩৩ অপরাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২১ ৫:১৩ অপরাহ্ন
একটি দিয়ে শুরু করে এখন তিনি ১০ পুকুরের মালিক!
মৎস্য

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সদর উপজেলার ৯ নং রায়পুর ইউনিয়নের মটরা গ্রামের ইফতেখারুল ইসলাম।প্রথমে একটি পুকুর দিয়ে শুরু করলেও আস্তে আস্তে মাছ চাষ বাড়ানোর সাথে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এখন তিনি ১০ পুকুরের মালিক।

জানা যায়, ঢাকা তেজগাঁও কলেজে বিবিএ করে ২০১৯ সালে বাসার সামনে প্রথম মাছ চাষ শুরু করেন এই উদ্যোক্তা। প্রথম অবস্থায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে একটি পুকুরে রুই, তেলাপিয়া, মাগুর, পাঙাসসহ বিভিন্ন মাছের চাষ করেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যে মাছ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেন ইফতেখারুল। এরপর পর্যায়ক্রমে বাড়তে বাড়তে প্রায় ১০টি পুকুরে করেন মাছের চাষাবাদ।

পুকুর করতে ও মাছের পেছনে যা খরচ হয়েছে, বর্তমানে বাজারে মাছ বিক্রি করে তার দ্বিগুণ লাভ করছেন এই সফল উদ্যোক্তা। তার উৎপাদিত মাছ শুধু নিজ জেলায় নয়, পাশের জেলাগুলোতেও বিক্রি করেন তিনি। এযাবৎ ১০টি পুকুরের মাছ বিক্রি করে প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো আয় করেন বলে জানান এই উদ্যোক্তা।

ইফতেখারুল ইসলাম জানান, আমি প্রায় তিন বছর ধরে মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত। পড়াশোনা শেষ করে আমি মাছের ব্যবসা ধরেছি। প্রথমে একটি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেছিলাম। এরপর আস্তে আস্তে ১০টি পুকুরে মাছের চাষ শুরু করি। মাছের সুষম খাদ্য বিষয়ে তিনি বলেন, আমার পুকুরে মাছের জন্য প্রতিদিন এক বেলা করে ফিড ও দুই বেলার করে হাতের তৈরি খাবার ব্যবহার করি। এ ছাড়া অ্যাকোয়ামিন পরিমাণমতো রেপিড ব্রো মাছের প্রয়োজন ভেবে দিয়ে থাকি। এ ছাড়া মনে রাখতে হবে পুকুরে পানি যাতে পরিষ্কার থাকে। গ্যাসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৩, ২০২১ ৪:২৯ অপরাহ্ন
জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ
মৎস্য

জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় আজ জেলেদের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকার থেকে বিরত থাকা ৫ নং শম্ভুপর ইউনিয়নের ১৭’শ ৬৫ জন জেলের মাঝে চাল তুলে দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।

বুধবার বেলা ১১ টায় শম্ভুপুর ইউনিয়নের আয়োজনে ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক ব্যিালয় মাঠে সরকারি এ চাল প্রদান করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরিয়ম বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রফেসর সাইদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এমপি শাওন বলেন, সরকারের সঠিক কর্ম পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণে দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশের প্রধান প্রজনন সময় নির্বিঘœ ও মাছ ধরা থেকে জেলেদের বিরত রাখতে সরকার এ মানবিক খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। তাই আমাদের জাতীয় সম্পদ ইলিশ মাছ রক্ষায় সকলকে এেিগয়ে আসার জন্য আহবান জানান তিনি।

পরে এমপি শাওন লালমোহন উপজেলায় আন্তর্যাতিক দুর্যোগ প্রমশন দিবস-২০২১ ও সিপিপির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালী, আলোচনাসভায় যোগ দেন। এছাড়াও তিনি লালমোহন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে জাতীয় ইদুঁর নিধন অভিযান-২০২১ এর অনুষ্ঠানমালায় অংশ্রগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১১, ২০২১ ১২:৪৭ অপরাহ্ন
পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে ৩ জেলের মৃত্যু
মৎস্য

শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে তিন জেলে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন।

রোববার ভোরে ভেদরগঞ্জ উপ জেলার সখিপুর থানা এলাকার আনন্দবাজার পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া এলাকার কাশেম পাঠানের ছেলে মহিউদ্দিন (২৪), দেওয়ানকান্দি এলাকার হাকিম দেওয়ানের ছেলে আল আমিন (৩২) এবং চাঁদপুর জেলার হাইমচর ইউনিয়নের নয়ন আহমেদ (২৭)।

আহত হয়েছেন দেওয়ানকান্দির আলী আহমেদ প্রধানিয়ার ছেলে সাগর প্রধানিয়া (২৫)। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

উত্তর তারাবুনিয়া ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন জানান, মাছ ধরার সময় বজ্রপাতের কবলে পড়ে তাদের নৌকা। পরে আশপাশে থাকা জেলে রা এসে তাদের উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।

ইউপি সচিব সিপন মেহেদী জানান, দু’জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আরেকজনের লাশ চাঁদপুরে নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১০, ২০২১ ৭:০৯ পূর্বাহ্ন
ইলিশ শিকার করায় ৩২ জেলের শাস্তি
মৎস্য

ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে পদ্মায় ইলিশ নিধনের অপরাধে মাদারীপুরের শিবচরে ৩২ জন জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

শনিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আটককৃতদের সাজা প্রদান করা হয়। এসময় ইলিশ মাছ ক্রয়ের অপরাধে ৩ নারী ক্রেতাকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর শিবচর অংশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় তাদের।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালায় মৎস বিভাগ ও পুলিশের একটি টিম। এসময় পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় ৩২ জেলেকে নদী থেকে আটক করে পুলিশ।

পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের ১ বছর করে সাজা প্রদান করা হয়। এসময় ইলিশ মাছ ক্রয় করার অপরাধে ৩ নারী ক্রেতাকে আটক করে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে জব্দকৃত প্রায় ৩০ হাজার মিটার জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংশ করা হয় ও ২০ কেজি ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) এম রকিবুল হাসান বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় পদ্মার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিনিয়ত আমাদের অভিযান চলছে। ইলিশ মাছ নিধনের অপরাধে ৩২ জেলেকে এক বছর করে জেল দেয়া হয়েছে। মাছ ক্রয়কালে ৩ নারী ক্রেতাকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৯, ২০২১ ২:৫৩ অপরাহ্ন
রমনা পার্কের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত
মৎস্য

রমনা পার্কের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।

শুক্রবার বিকালে তিনি রুই, কাতল, পাঙ্গাশ, চিতলসহ দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ অবমুক্ত করেন।

এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিলিভার্স অ্যাংলার বিডি ও ভোরের সাথী নামের দুটি সংগঠন।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব বলেন, রমনা পার্কের নতুন জীবনদানের চেষ্টা করা হচ্ছে। দেওয়াল, ওয়াকওয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। এসব কাজের কারণে রমনাপার্কের সবুজ ও সৌন্দর্য নষ্ট হবে না।

তিনি বলেন, রমনা পার্কের সকল বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব কাজ শুরু করার আগে রমনাপার্কে যারা হাঁটাচলা করেন তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। পার্কের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রমনা পার্কের উন্নয়নের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৯, ২০২১ ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় জমে উঠেছে মাছ ধরার ফাঁদ “চাই“ এর হাট
মৎস্য

খাল-বিল ও নদী প্রধান কুমিল্লা জেলায় জেলার অন্তত ২৫টি হাটবাজরে বিক্রি হচ্ছে মাছ ধরার বিশেষ ফাঁদ‘চাই’-এর হাট। জেলার চান্দিনা, তিতাস, মুরাদনগর, মেঘনা উপজেলার হাটসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বসেছে চাইয়ের হাট। সপ্তাহে দুই দিন করে হাট বসে।

বর্ষায় পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে নিম্নাঞ্চলে পানির মধ্যে এই যন্ত্রটি রেখে দেয়া হয়। চলাচলের সময় ছোট-ছোট মাছগুলো বাঁশের তৈরি এই ফাঁদের ভিতরে আটকা পড়ে। এটি গ্রামাঞ্চলের মাছ ধরার খুব জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। এই সময়ে জেলার সব জায়গায় মাছও পাওয়া যাচ্ছে।

কুমিল্লার মাধাইয়া ও দোল্লাই, নবাবপুর হাটগুলোতে দেখা যায়, প্রতিটি চাই আকার ভেদে ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দোল্লাই নবাবপুর বাজারের চাই ব্যবসায়ী আনু মিয়া বাসসকে বলেন, এই মৌসুমে প্রতি হাটে ৬০-৭০ টি চাই বিক্রি করি। বহু দূর-দূরান্ত এলাকা থেকে আমার কাছে এসে চাই কিনে নিয়ে যায়।

বর্ষার শেষ দিকে এসে আমাদের এলাকায় চাই বিক্রি বেড়ে যায়। কারণ এই সময়ে ছোট-ছোট মাছগুলো পানি কমার সময় চাইগুলো জমির আইলে বিশেষ কাদায় পুঁতে রাখলে ফাঁদে মাছগুলো আটকা পড়ে।

মহিচাইল গ্রাম থেকে চাই কিনতে মাধাইয়া হাটে আসা নুরু মিয়া জানান, এই মৌসুমে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ কেজি মাছ ধরতাম, তা বিক্রি করতাম ৩ থেকে ৪ শত টাকা। আমি প্রতি মৌসুমে পানি কমার সময় ৫ থেকে ৬ চাই কিনে নিয়ে যাই। এগুলো দিয়ে যে মাছ পাওয়া যায়, তা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাকি মাছ স্থানীয় হাট বাজারে বিক্রি করি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৮, ২০২১ ৫:০০ অপরাহ্ন
ইলেকট্রিক শকে মাছ শিকার!
মৎস্য

ইলেকট্রিক শক দিয়ে অভিনব পন্থায় নির্বিচারে মাছ শিকার চলছে ফরিদগঞ্জে । উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে ইলেকট্রনিক্স সার্কিট দিয়ে অবৈধ পন্থায় মাছ শিকারের প্রবনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশংকাও বেড়ে চলছে।

এর বিরুদ্ধে শিগগির অভিযান চালাবেন বলে ইত্তেফাককে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আকতার রুমা।

স্থানীয়রা জানায়, ২৪ ভোল্টের ব্যাটারি চার্জ দিয়ে ইনর্ভাটার মিশিনের মাধ্যমে ডিসিকে এসিতে রুপান্তর করা হয়। পবর্তিতে পানিতে নেগেটিভ আর লাঠির সাথে জাল বেঁধে ওই লাটির মাথায় বিদ্যুতের প্রজিটিভ লাইনটি দিয়ে পানিতে প্রবেশ করানো হয়। এতে চারপাশের প্রায় ১৫-২০ ফিট পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে ওই স্থানে থাকা জলজ প্রাণিসহ সকল মাছ মারা যায়।

ইদ্রিস বেপারী নামে এক ব্যক্তি জানান, আমি পানিতে ডুব দিলে তাদের নিয়ন্ত্রিত কারেন্টের আওতায় চলে যাই, এসময় ইলেকট্রিক শক শরীরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূরে গিয়ে তীরে উঠি। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে ৪দিন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমাকে ৩ মাসের চিকিৎসা দিয়ে রিলিজ দিয়েছে চিকিৎসক।

ইউপি সদস্য রুহুল আমিন মুন্সি জানান, অনেকদিন ধরে মাছ শিকার চলছে ওরা। তারা আমাদের বারণ কোন ভাবেই মানছে না। প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আকতার রুমা জানান, ইলেকট্রনিক্স সার্কিট দিয়ে এভাবে সরাসরি মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ। অনতি বিলম্বে অভিযানে পরিচালনা করে এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে অভিযান পরিচালনা করে মাছ নিধণের সময় প্রায় লক্ষাধিক টাকার জাল জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৭, ২০২১ ৬:৩৮ অপরাহ্ন
অ্যাকুরিয়ামে মাছ পালন করা নিয়ে ইসলাম কি বলে?
মৎস্য

শহর-নগর ও গ্রাম-গঞ্জ সবখানে বেশ জনপ্রিয় অ্যাকুরিয়ামে মাছ পালন করা। শখের বসত এখন প্রায় হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও বাসাবাড়িতে অ্যাকুরিয়াম দেখা যায়। এখন জানার আগ্রহ এই অ্যাকুরিয়ামে মাছ পালন করা নিয়ে ইসলাম কি বলে?

উত্তরে বলা যায়, অ্যাকুরিয়ামে মাছ পোষার ব্যাপারে শরিয়তে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই। সাহাবায়ে কেরাম শৌখিনতা ও শখের বশে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী পুষেছেন বলে বিভিন্ন কিতাবপত্র ও ঐতিহাসিক গ্রন্থগুলোতে বর্ণনা পাওয়া যায়।

মাছের পরিচর্যা ও নিয়মিত যন্ত্র নেওয়া
অ্যাকুরিয়ামে মাছ পালন করতে গেলে অবশ্যই মাছের পরিচর্যা জরুরি। চাহিদামাফিক নিয়মিত খাবার দেওয়া, নিয়মতান্ত্রিক পানি পরিবর্তন করা ইত্যাদিতে যেন কোনো অবহেলা না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখাটা জরুরি।

আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) আমার ছোট ভাই আবু উমায়েরকে খুব পছন্দ ও স্নেহ করতেন। আমার এখনো মনে আছে, সে তখন মায়ের বুকের দুধ ছেড়েছে মাত্র– এমন শিশু। রাসুল (সা.) তার কাছে আসতেন এবং বলতেন, ‘হে আবু উমায়ের! কী করেছে তোমার নুগায়ের?’ নুগায়ের হলো এমন একটি ছোট পাখি, যেটির সঙ্গে আবু উমায়ের খেলা করত। নুগায়ের মারা যাওয়ায় সে খুব চিন্তিত ও ব্যথিত ছিল। তাই রাসুল (সা.) তার সঙ্গে খেলা করতেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৬২০৩)

অ্যাকুরিয়ামে মাছ পালনে সওয়াব আর গুনাহঃ
যথাযথভাবে খাবার না দিলে এবং পরিচর্যা ও যত্ন না নিলে, অ্যাকুরিয়ামে মাছ পোষা জায়েজ নেই। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘এক নারীকে একটি বিড়ালের জন্য শািস্ত দেওয়া হয়েছে। সে নারী বিড়ালটি বেঁধে রেখেছিল এবং পরে সেটি মারা গিয়েছিল। নারীটিকে এই কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করানো হয়। সে যখন বিড়ালটি বেঁধে রেখেছিল, তখন তাকে পানাহার করাত না এবং ছেড়েও দিত না– যাতে কীটপতঙ্গ ধরে খাবে।’ (বুখারি, হাদিস : ২৩৬৫; মুসলিম, হাদিস : ২২৪২; দারেমি, হাদিস : ২৮১৪)

যথাযথভাবে খাবার দিলে এবং পরিচর্যা ও যত্ন নিলে সওয়াব লাভেরও সম্ভাবনা রয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, সাহাবায়ে কেরাম রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! জীবজন্তুর জন্যও কি আমাদের পুরস্কার দেওয়া হবে?’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘হ্যাঁ, প্রত্যেক দয়ার্দ্র হৃদয়ের অধিকারীদের জন্য পুরস্কার রয়েছে।’ (বুখারি, হাদিস : ২৩৬৩)

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৬, ২০২১ ৩:১১ অপরাহ্ন
ধুনটে ৪ পুকুরে বিষ প্রয়োগে ৩ লক্ষ টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ৪টি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দূর্বৃত্তরা। সোমবার দিবাগত রাতে ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামে এঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শৈলমারী গ্রামের বজলুর রহমানের কাছ থেকে ৫০ শতক, ১৬ শতক ও ৮ শতক আয়তনের ২টি পুকুর সহ মোট ৪টি পুকুর বার্ষিক ১ লাখ ২৫ টাকায় লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন একই গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মালেকের ছেলে মনজু, মনছের আলীর ছেলে আব্দুর রউফ ও এসহাক মন্ডলের ছেলে রেজাউল হোসেন।

কিন্তু সোমবার দিবাগত রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কে বা কারা ওই ৪টি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে এবং একটি নৌকা ভাংচুর করে। দূর্বৃত্তদের বিষ প্রয়োগের কারনে মঙ্গলবার ওই সকল পুকুরের সব মাছই মরে ভেসে ওঠে। এতে ওই মৎস্যচাষীদের প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এব্যাপারে মৎস্যচাষী আনোয়ার হোসেন ও মনজু জানান, আমাদের পুকুরের পাশেই একই গ্রামের হযরত আলীর ২০ শতক, আবু বক্কারের ১৬ শতক ও শাহআলমের ১৬ শতক পুকুর থাকলেও তাদের একটি মাছও মারা যায়নি।

ভুক্তভোগিদের অভিযোগ , এক সপ্তাহ আগে ওই পুকুর মালিক হযরত আলীর ছেলে রাজন ও তার বন্ধুদেরকে আমাদের পুকুরে জাল ফেলতে নিষেধ করায় তারাই এঘটনাটি ঘটিয়েছে। তাই নিরুপায় হয়ে তারা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান ক্ষতিগ্রস্থ এই মৎস্যচাষীরা।

এব্যাপারে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৫, ২০২১ ৩:৪৮ অপরাহ্ন
তেলাপিয়া মাছ রোগাক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
মৎস্য

আমাদের দেশে এখন তেলাপিয়া খাঁচায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। তবে খাঁচায় চাষ করা তেলাপিয়া মাছ কিছু রোগে আক্রান্ত হয়। জেনে নিন তেলাপিয়া রোগে আক্রান্ত হলে প্রতিকারের জন্য যা করবেন।

জেনে নিন কিছু রোগের লক্ষণ:
মাছের কানকোর কিছু অংশ বিবর্ণ হয়ে যায়, অঙ্কীয়দেশে কিছু দাগ দেখা যায় ও মাছের পিত্তথলী স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড় হয়ে যায়। কেবল ১০০ থেকে ৪০০ গ্রামের মাছেই এই রোগ দেখা যায় আক্রান্ত-হওয়ার সাথে সাথে মাছ দ্রুত মারা যায়। মৃত্যুর আগে মাছগুলো কুণ্ডলি আকারে ঘোরাফেরা করে।

যেসব কারণে তেলাপিয়া এসব রোগো আক্রান্ত হয়,- কোনো অনুজীবের যেমন,- ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া আক্রমণ করলে রোগে মাছ আক্রান্ত হয়। এছাড়া আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক সার কিংবা আগাছা নাশকের ব্যবহার ও খাঁচায় মাছের জন্য অতিরিক্ত খাবার সরবরাহ হলে মাছ রোগাক্রান্ত হয়।

অন্যদিকে প্রতিটি খাঁচায় মাছের অধিক ঘনত্ব, খাঁচার ভেতরের পানির পিএইচ মানের এর তারতম্য ও খাঁচায় অক্সিজেন সরবরাহ কম ইত্যাদি কারণেও মাছের রোগ দেখা দেয়।

মাছ রোগাক্রান্ত হলে যা করবেন,-
খাঁচায় বেশি পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে, খাঁচায় মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে এবং খাদ্য সরবরাহ কমাতে হবে। এছাড়া নেট পরিস্কার রাখতে হবে, এন্টিবায়োটিক ডোজ বাড়াতে হবে ও খাঁচাগুলো সারিবদ্ধভাবে না রেখে আঁকাবাঁকা করে রাখা যেতে পারে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop