১০:৫৩ অপরাহ্ন

রবিবার, ২৮ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ২৬, ২০২১ ১১:০২ পূর্বাহ্ন
ড.আবুল মনসুরের “ফিশারিজ স্টাডি পার্ট ৪“ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
ক্যাম্পাস

মো. শাহীন সরদার: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মৎস্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর মিল্লাাতের লেখা ‘ফিশারিজ স্টাডি পার্ট ৪’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। বইটি মাৎস্যবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য ড. মো. আবুল মনসুর মিল্লাাতের লেখা ‘ফিশারিজ স্টাডি’ সিরিজের চতুর্থ বই।

মৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে তাঁর লেখা বইয়ের সংখ্যা ছয়টি। এছাড়া তাঁর আন্তর্জাতিক র্জানালে ৬৯টি প্রকাশনা রয়েছে।

বইটি সম্পর্কে আবুল মনসুর মিল্লাত বলেন, আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি এবং ইংল্যান্ডের হাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করেছি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে বইগুলো স্বীকৃত হওয়ায় গর্ববোধ করছি। আশা করছি বইগুলো শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জ্ঞানার্জনে ভূমিকা রাখবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৫, ২০২১ ৮:১৬ অপরাহ্ন
কৃষিমন্ত্রীর বিমাতাসুলভ আচরণে শেকৃবি এলামনাই এসোসিয়েশনের প্রতিবাদ
ক্যাম্পাস

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল অধিদপ্তরে চাকরি, পদোন্নতি, বদলি সহ সকল ক্ষেত্রে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েটদের হয়রানি ও বঞ্চনার অভিযোগ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল ২৪ মে সোমবার রাতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নবম সভায় এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

 

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কৃষিবিদ প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য কৃষিবিদ প্রফেসর ড. শহিদুর রশিদ ভূঁইয়া, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, একজন কৃষিবিদ কৃষিমন্ত্রী হওয়ায় আমরা আনন্দিত ও গর্বিত হয়েছিলাম। তবে তিনি তার আশেপাশে কয়েকজন নীতিহীন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ব্যক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নানান সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, যেখানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে বিএনপি, জামাত-শিবিরকে পদোন্নতি ও নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। একইসাথে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি সবগুলো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের সকল ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। সর্বশেষ একটি নিয়োগেও একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউকেই নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এরকম কট্টর বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বঞ্চনা বিমাতা সুলভ ও নিন্দনীয়।

বৈঠকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা পাশ করেছে তারা নানাভাবে নিগৃহীত হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আজ এটি প্রথম আনুষ্ঠানিক সভা। আমরা ধাপে ধাপে আন্দোলন করবো। এসময় তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদকে আহ্বায়ক করে দশ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করেন যারা আগামীর কর্মসূচীর রূপরেখা তৈরি করবে।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য কৃষিবিদ প্রফেসর ড. শহিদুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, আমার ছাত্ররা কষ্টে আছে এটা আমার জন্যও কষ্টের। আমাদের সকল প্রমাণ সহ সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে হবে।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কৃষিবিদ প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ করবো। আগামী ৭ দিনের মধ্যে স্মারকলিপি তৈরি করে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেওয়া হবে। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে যাতে আমরা বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে পারি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান সেলিম, যুগ্ম মহাসচিব ড. জিএম ফারুক ডন, কোষাধ্যক্ষ এম আমিনুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও কৃষি ক্যাডার সার্ভিস এসোসিয়েশন এর মহাসচিব কাজী আফজাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা এটিআই’র সাবেক অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম মুন্না, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও বিএডিসির উপ-পরিচালক একেএম ইউসুফ হারুন, ক্রীড়া সম্পাদক হোসেন আল ফারুক ডিউন, নির্বাহী সদস্য ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন এর মহাসচিব খায়রুল আলম প্রিন্স, নির্বাহী সদস্য মোঃ মাহফুজুর রহমান রিন্টু, নির্বাহী সদস্য ও কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, নির্বাহী সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হারুন-অর রশীদ, নির্বাহী সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি মশিউর রহমান হুমায়ুন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৪, ২০২১ ৭:১৮ অপরাহ্ন
খুবির নতুন উপাচার্য ড. মাহমুদ হোসেন
ক্যাম্পাস

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯০ এর (১১)১ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনকে চার বছর মেয়াদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর নিযুক্ত করেছেন। আজ ২৪ মে ২০২১ খ্রি. তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে (নং-শিম/শাঃ১৮/৮খুঃবিঃ১/৯৭(অংশ-১)/১৬৪) স্মারকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ড. মাহমুদ হোসেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, ফরেস্ট্রি এন্ড উড ডিসিপ্লিনের বিভাগীয় প্রধান, বোর্ড অব এ্যাডভান্স স্ট্যাডিজের সদস্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ড. মাহমুদ হোসেন ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স থেকে বনবিদ্যায় স্নাতক (সম্মান), ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানগ্রোভ ইকোলজির উপর স্নাতকোত্তর এবং ২০০৪ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। এখন পর্যন্ত তাঁর ১০৫টি গবেষণা নিবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত পুস্তকের সংখ্যা ৩টি, অনুবাদ ২টি। দেশি ও বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে ২৬টি গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। তাঁর উদ্যোগ ও নেতৃত্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের মধ্যে প্রথম সয়েল আর্কাইভ স্থাপন হয়েছে। এর আগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান এর মেয়াদ গত ২৮ জানুয়ারি শেষ হয়। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি ভাইস-চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরাকে। প্রায় ৪ মাস পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পেলো পূর্ণাঙ্গ উপাচার্য।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৪, ২০২১ ৪:৫৫ অপরাহ্ন
বাকৃবির ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি : করোনায় দীর্ঘ বিরতির পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) স্নাতক পর্যায়ের ফাইনাল পরীক্ষা নেয়ার পূর্বে অনলাইনে ক্লাস পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিল। এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে সময়ক্ষেপণের পরিবর্তে দ্রুত অনলাইন কিংবা স্বশরীরে ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে তারা।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধের সময়গুলোতে অনলাইনে দুই সেমিস্টারের সকল ক্লাস শেষ করে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে ক্রমাগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আসায় স্বশরীরে ব্যবহারিক ক্লাস বা পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের বৈঠকে বাকৃবির বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ক্লাস টেস্ট পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তে বলা হয়, প্রথমে ক্লাস টেস্ট পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়া হবে এবং ততদিনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে গেলে পরবর্তীতে স্বশরীরে ফাইনাল পরীক্ষা নেয়া হবে। কিন্তু এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। করোনা মহামারি বিবেচনায় তারা ক্লাস পরীক্ষার না দিয়ে সরাসরি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার দাবি জানিয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মধ্যে এক অনলাইন জরিপে দেখা যায়, অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে মত প্রদান করে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবি জানান। অবশিষ্ট কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী অটোপাশ এবং কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাস পরীক্ষা গ্রহণের পক্ষে মত প্রদান করেন।

বাকৃবির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী গোবিন্দ চন্দ্র দাস বলেন, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আমাদের। ফাইনাল পরীক্ষা না হওয়াতে না পারছি চাকুরির পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে, না পারছি একাডেমিক পড়ালেখা করতে। এই সময়ে এসে যদি শুধুমাত্র ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আরো ক্ষতির মুখে পড়ব আমরা। এখন অনলাইনে ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা দিতেই ২-৩ মাসের মত লেগে যাবে। ক্লাস টেস্ট আলাদা করে না নিয়ে স্বশরীরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

৪র্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী রায়হাতুল জান্নাত জেরিন বলেন, আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা ইন্টারনেট সমস্যার কারণে অনলাইনে ক্লাসগুলো ঠিকমত করতে পারেনি । গ্রাম এলাকায় যেসব শিক্ষার্থী আছে, তাদের অবস্থা আরো শোচনীয়। এসময়ে এসে শুধুমাত্র ক্লাস টেস্ট পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কতটুকু ফলপ্রসু হবে তা বুঝতে পারছি না। আমাদের দাবি হলো ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা আলাদা করে না দিয়ে স্বশরীরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হোক।

এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. নুরুল হক বলেন, আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের পরীক্ষা অনলাইনে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আগে অনলাইনে ক্লাস টেস্ট পরীক্ষাগুলো চালু করব। সকল বর্ষের ১ম সেমিস্টারের অনলাইনে ক্লাস টেস্ট পরীক্ষা আগে অনুষ্ঠিত হবে, তা শেষ হলে পরে ২য় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হবে। আর ততদিনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে স্বশরীরে হবে ফাইনাল, আর ততদিনেও না খুললে পরবর্তীতে ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনেই অনুষ্ঠিত হবে। এর বাইরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন বলেন, করোনায় আমরা জীবন ও জীবিকার মেলবন্ধনের এক দুঃসময়ে এগিয়ে চলছি। শিক্ষার্থীদেরকে আর হতাশার মধ্যে রাখা ঠিক হবে না। পরবর্তী ডিন কাউন্সিলের মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের বিষয়গুলো আমি তুলে ধরবো। শিক্ষার্থীদেরকে অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে এই বিপর্যয়কালে কিভাবে তাদের সহযোগিতা করা যায়, সেই উদ্যোগ আমরা নিবো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১২, ২০২১ ৪:০৯ অপরাহ্ন
সিভাসু’র সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা হবে অনলাইনে
ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু)-এর বিভিন্ন সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা আগামী ১৫ জুন থেকে নেয়া হবে অনলাইনে।

আজ বুধবার (১২ মে)দুপুরে জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। সভা সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য সচিব মীর্জা ফারুক ইমাম।

উক্ত সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদ ও ফিশারিজ অনুষদের বিভিন্ন সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা অনলাইনে গ্রহণের পক্ষে শিক্ষকরা মত ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২১ ১০:১৭ অপরাহ্ন
পারিবারিক বিরোধে গুরুতর আহত বাকৃবি শিক্ষার্থী
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: ১০ বছরের ধরে চলছে পারিবারিক রেশারেশি। সেই রেশের জেরেই প্রতিপক্ষ হামলা চালায়। আহত হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থী মো. ফারুক হোসেনসহ তার পরিবার (মা এবং খালা )।

আজ মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল ৯ টার দিকে ফারুকের নিজ এলাকা গুরুদাসপুর উপজেলায় ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে তারা গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছে।

মো. ফারুক হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি অ্যানিমেল ব্রিডিং এন্ড জেনেটিক্স ডিপার্টিমেন্টে মাস্টার্সে অধ্যায়ন করছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজমুল আহসান হলের আবাসিক ছাত্র।

জানা যায়, আজ ফারুকদের বাসায় ছাদ ঢালায়ের জন্যে কাজ চলছিল। এসময় পাশের বাসার তাজু, মাজু, নাজিত, রবিসহ তারা ৬ ভাই ফারুকের বাসায় আসে এবং অভিযোগ করে যে ফারুকের বাসার ছাদ তাদের বাসার উপর উঠে যাচ্ছে। এ নিয়ে কথা চলছিল তাদের মধ্যে। কিন্তু এক পর্যায়ে ৬ ভাই মিলে ফারুকের পরিবারের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে আহত হয় ফারুক, তার মা এবং তার খালা। পরে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ফারুকের মাথায় ৩ টা, তার মায়ের মাথায় ৫ টি এবং তার খালার মাথায় ৭ টি সেলাই দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে হামলায় আহত ফারুক হোসেন বলেন, সকালে বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হলে নির্মাণাধীন অংশগুলো তারা ভেঙ্গে দেয়। এ সময় আমি প্রতিবাদ করলে হাতুড়ি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। আমি কিছুক্ষণের জন্য অচেতন হয়ে পড়ি। খানিক পরে জ্ঞান ফিরলে দেখি তারা আমার মা ও খালাকে নির্মমভাবে মারধর করছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসি। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২১ ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রামে সাম্মাম চাষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর চমক
এগ্রিবিজনেস

কুড়িগ্রামের উলিপুরে সম্পূর্ণ অর্গানিক ও আধুনিক মালচিং পেপার পদ্ধতিতে উন্নতজাতের বিদেশি সাম্মাম ও রকমেলন/হানিমেলন চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক আহমেদ। প্রথমবারের মতো ফলটি এ অঞ্চলে চাষ হওয়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গার মানুষ দেখতে আসছেন তার ক্ষেতে। এ শিক্ষার্থী মনে করেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে রকমেলন চাষ করা সম্ভব।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি গত দুবছর ধরে ফেইসবুক পেজের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি সকল ধরনের উন্নতমানের বীজ, সার, কিটনাশক বিক্রিসহ ছাদ বাগানিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসতেন তিনি। কিন্তু মহামারী করোনায় সব বন্ধ হলে গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। পরে এক প্রতিবেশির পতিত ১৫ শতক জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন সবজির পাশাপাশি উন্নত জাতের রকমেলন ও সাম্মাম চাষ শুরু করেন। উৎপাদনও হয়েছে বেশ। অল্প সময়ের মধ্যে উন্নত জাতের বিদেশি সাম্মাম ও রকমেলন এ অঞ্চলে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ফারুক আহমেদ জানান, আমাদের কুড়িগ্রাম জেলা কৃষিতে অনেক পেছনে। এই এলাকার মানুষ এখনও ধান চাষে পড়ে আছে। ধান চাষের পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে কম খরচে উচ্চ ফলনশীল বিদেশি রকমেলন ও সাম্মাম চাষ করলে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। এ এলাকার বেকার, শিক্ষিত যুবকরা যদি চাকরির আশায় না থেকে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ শুরু করে, তাহলে এক দিকে যেমন বেকারের সংখ্যা কমে যাবে, অন্যদিকে দেশ তথা আমাদের কুড়িগ্রাম অঞ্চল কৃষিতে এগিয়ে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকতার্ সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকার কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি চাইলে আমরা তাকে ঋণের জন্য সুপারিশ করা হবে। উচ্চমূল্যের বিদেশি রকমেলন ও সাম্মাম ফল খুবই লাভজনক। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ফল চাষ করে অল্প সময়ের মধ্যে অনেকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে কৃষি বাণিজ্যিকরণের বিকল্প নেই। বর্তমানে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক উদ্যোক্তা হিসেবে উচ্চমূল্যের ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফারুক আহমেদের মতো এ অঞ্চলের বেকার যুবকরা উচ্চমূল্যের ফলন চাষে এগিয়ে আসলে আমরা তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করব।

উল্লেখ্য যে, আরবে এটি সাম্মাম বলে পরিচিত হলেও অস্ট্রেলিয়াতে এটি রকমেলন নামে পরিচিত। রকমেলন হল মাস্কমেলন গোত্রের একটি উচ্চমূল্যের বিদেশি ফল। পুষ্টিগুণে রকমেলন অনন্য। বিভিন্ন এন্টি-অক্সিডেন্ট সম্পন্ন এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং সি, যা উচ্চ রক্তচাপ, এজমা কমিয়ে দেয়। এতে উপস্থিত বেটা ক্যারোটিন ক্যান্সার রোধ করে। এ ছাড়া এটি খুব রসালো ফল, ৯০% পানি, যা হাইড্রেশন বজায় রাখে ও হজমে সহায়তা করে। চুল ও ত্বকের জন্যও এই ফল খুবই উপকারি। সাম্মাম ফলের বাইরের অংশ হলুদ, ভিতরের অংশ লাল, রকমেলনের বাহিরের অংশ সবুজ ভিতরের অংশ লাল হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৬, ২০২১ ৬:২৯ অপরাহ্ন
সিভাসু‘র অফিসার সমিতির সভাপতি-খলিলুর, সম্পাদক আরিফ
ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) অফিসার সমিতির নতুন কার্যকরি কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন খলিলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ আরিফ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার মীর্জা ফারুক ইমাম আজ বৃহস্পতিবার সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

নতুন কার্যকরি কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান, সহ-সভাপতি হয়েছেন সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: মহসিন মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সেকশন অফিসার (চলতি দায়িত্ব) আবু মোহাম্মদ আরিফ।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন যুগ্ম-সম্পাদক মো: রেজওয়ান; কোষাধ্যক্ষ মো: গোলাম রাজ্জাক পাটোয়ারী; দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক সুদীপ চন্দ; সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম মাওলা এবং সমাজকল্যাণ সম্পাদক এ. এন. এম. জাহিদ হাসান। সমিতির কার্যকরি সদস্য মনোনীত হয়েছেন ডা. মো: রিয়াদ, ডা. অদিতি দে মৌ এবং মো: ইকবাল হোসেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৬, ২০২১ ৩:৫০ অপরাহ্ন
সরকারের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পে বাকৃবি‘র সহযোগিতা
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: সরকারের ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়(বাকৃবি)।

এরই অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার(৬ মে) সকাল ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠের ধান ক্ষেতে শস্য মাড়াইয়ের বিভিন্ন যন্ত্রের গুণগত মান ও দক্ষতা যাচাই করা হয়।

কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের কারিগরি কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি এবং যন্ত্র বিভগের অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা বলেন, কৃষিকে আধুনিকায়নে বিদেশের বিভিন্ন যন্ত্র এ প্রকল্পের অধীনে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে। শষ্য মাড়াই, শুকানোসহ নানা প্রকারের প্রায় ৪৬ টি কোম্পানির যন্ত্র নিয়ে আমরা কাজ করছি। এরমধ্যে যে যন্ত্র গুলোর দক্ষতা বেশী হবে সেগুলোকে বাছাই করে কৃষক পর্যায়ে পৌছে দেয়া হবে।

প্রকল্পের উপ পরিচালক আলতাফুন নাহার বলেন, বাকৃবির গবেষণা মাঠে ১০ টি কোম্পানির আলাদা কম্বাইন্ড হারভেস্টর, ১০ টি রিপার মেশিন (শস্য কর্তন যন্ত্র), ১০ টি থ্রেসার মেশিন (শস্য মাড়াই যন্ত্র) এবং ৫ ড্রায়ার মেশিনের (শস্য শুকানোর যন্ত্র) দক্ষতা যাচাই করার জন্য কাজ চলছে। যন্ত্রগুলোর দক্ষতার উপর ভিত্তি করে বাছাই করে কৃষকের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।

মাঠ গবেষণা কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিন, বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের কারিগরি কমিটির আহবায়ক ড. মো. আইয়ুব, কারিগরি কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা, ড. মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আকতারুল ইসলাম ও প্রকল্পের উপ পরিচালক আলতাফুন নাহার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৬, ২০২১ ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
তিন দলে বিভক্ত বাকৃবি আওয়ামীপন্থি শিক্ষক সংগঠন
ক্যাম্পাস

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আওয়ামীপন্থি শিক্ষক সংগঠন ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পূর্বেই নীল দলের বিভক্ত হওয়া ছাড়াও সম্প্রতি গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম ব্যানারে চলমান আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।

২০১৯ সালে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম থেকে নেতৃবৃন্দের স্বেচ্ছাচারিতা, সাধারণ শিক্ষকদের হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে আলাদা হয়ে যায় নীল দল। তারা ২০০৬ সাল থেকে ১৩ বছর গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাথে যুক্ত ছিলো। ২০১৯ সাল থেকে নীল দল আলাদা ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

আরো পড়ুন: বাকৃবি‘তে বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নামে নতুন ডিগ্রি চালু

সম্প্রতি গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে তৈরী হয় জটিলতা। কমিটি গঠন নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে সংগঠনটি। গত ১৩ এপ্রিল সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (১৪২৭ বঙ্গাব্দ কমিটি) অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজুল হক রিপনসহ সংগঠনটির একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস মাহফুজুল বারিকে সভাপতি ও কৃষিতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালামকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট ১৪২৮ বঙ্গাব্দের জন্য কমিটি ঘোষণা করে। সাবেক সভাপতি (১৪২৭ বঙ্গাব্দ কমিটি) অধ্যাপক ড. মো. রকিবুল ইসলাম খান সহ সংগঠনটির অন্য অংশ নবগঠিত ওই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে পরবর্তীতে কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমানকে সভাপতি ও ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট ১৪২৮ বঙ্গাব্দের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করে।

আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠনের এমন বিভাজন এবং পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরী হচ্ছে বলেও মত দেন বিশিষ্টজনেরা।

আরো পড়ুন: বাকৃবিতে বাঁধনের সভাপতি কিবরিয়া সম্পাদক জাওয়াদ

ফোরাম থেকে বের হয়ে আসা আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের আরেক সংগঠন নীলদলের আহŸায়ক অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম নামে যে সংগঠন আছে তা প্রকৃতপক্ষে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নয়। এতে বামপন্থি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক রয়েছেন। আমরা কেবলই আওয়ামীলীগকে সমর্থন করি, এ কারণে নীল দল করছি। মূলত পদ, পদবী, ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের জন্যই গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম গঠিত হয়েছিল। আর এসব নিয়ে অসন্তোষ, কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষক বলেন, শিক্ষক রাজনীতির এই অন্তঃকোন্দলে শিক্ষা ব্যবস্থা আজ ক্ষতিগ্রস্থ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় পদ দখল করতেই মূলত তারা রাজনীতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি আশা করবো ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের কাজে রাজনীতিকে ব্যবহার না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ শিক্ষা, শিক্ষাপদ্ধতি, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে মনোযোগী হবেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop