১১:৫৪ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৩ ৬:৪৪ অপরাহ্ন
দেশে ছাগলের সংখ্যা দুই কোটি ৬৭ লাখ, গরু আড়াই কোটি
প্রাণিসম্পদ

দেশে দুই কোটি ৬৭ লাখ ৭৪ হাজার ছাগল রয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে তিনি এতথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, সর্বশেষ প্রকাশিত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী দেশে দুই কোটি ৪৭ লাখ গরু এবং ১৫ লাখ ৮ হাজার মহিষ আছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জনপ্রতি নূন্যতম ১২০ গ্রাম হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মাংসের চাহিদা ৭৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। তিনি বলেন, দেশি উৎস থেকে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণের তাগিদ, আধুনিক রুষ্টপুষ্টকরণ প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ূষ্টপুষ্টকরণ খামারের বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ ঘটায় আমদানি নির্ভর কোরবানির পশুর বাজার স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১, ২০২৩ ৮:০৬ অপরাহ্ন
ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালনে স্বাবলম্বী নারী খামারি!
প্রাণিসম্পদ

শহর অঞ্চলে প্রচলিত না হলেও এখনো গ্রামগঞ্জে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন। ছাগল পালনকারীরা নিজেরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অবদান রাখছেন দেশের অর্থনীতিতে। তারই ধারাবাহিকতায় ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন পাবনার নারী খামারি ফরিদা খাতুন।

জানা যায়, নারী খামারি ফরিদা খাতুন পাবনা সদর গাছপাড়া এলাকার বাসিন্দা। সংসারের অভাব দূর করতে ছাগল পালন শুরু করেন। তিনি বিগত ২০ যাবত তিনি ছাগল পালন করে আসছেন। ছাগল পালন করেই তিনি সংসারের হাল ধরেছেন। ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের খামার করে তিনি নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। তাকে অনুসরণ করে অনেকেই ছাগল পালনে উৎসাহি হয়েছেন।

নারী খামারি ফরিদা খাতুন জানান, আমার অভাবের সংসার ছিল। স্বামী একা সব কিছু সামলে উঠতে পারতো না। তাই আমি ছাগল পালন শুরু করি। আমি প্রায় ২০ বছর যাবত ছাগল পালন করছি। বর্তমানে আমার খামারে ৮-১০টি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল রয়েছে। তিনি আরো বলেন, একটি ছাগল বছরে দুইবার বাচ্চা দেয়। ছাগলগুলো একাধিক বাচ্চা দিয়ে থাকে। বাচ্চা বড় করে এককেটি ১০-১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারি। এতে বছরে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি করতে পারি। আশা করছি আমার খামারটি আরো বড় আকারে গড়ে তুলতে পারবো।

পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আল মামুন হোসেন মন্ডল জানান, ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রতি ইউনিয়নে দুইজন করে মোট ১৪৮ জন সুফলভোগীকে বিনামূলো ছাগলের প্লাস্টিকের আধুনিক মাঁচা ঘর নির্মাণ, বিনামূল্যে ভিটামিন, মিনারেল, ছাগলের বাচ্চার দুধ দেওয়া হয়েছে। ব্লাক বেঙ্গল ছাগল প্রতিবছর দুইবার বাচ্চা দেয় এবং প্রতিবার দুই থেকে তিনটি বাচ্চা দিয়ে থাকে। এর মাংস অনেক সুস্বাদু এবং এই ছাগলের রোগ বালাই অনেক কম হয়। ব্লাক বেঙ্গল ছাগল দারিদ্র বিমোচন, নারীর উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ৩১, ২০২৩ ২:৫৪ অপরাহ্ন
গরু চুরির আতঙ্কে গাজীপুরের কৃষকরা
প্রাণিসম্পদ

গাজীপুরের শ্রীপুরে কৃষক শাজাহান সরকারের গোয়াল ঘর থেকে পাঁচটি গরু চুরি হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার (৬ নং ওয়ার্ড) উজিলাব (মধ্যপাড়া) এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গরু চুরি হয়। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ বেলা ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

চুরি হওয়া গরুর মধ্যে একটি লাল রঙের সিন্ধী গাভী, একটি লাল রঙের সিন্ধী বকনা বাছুর, একটি কালো রঙের দেশি ক্রস গাভী, একটি সাদা রঙের দেশি গর্ভবতী বকনা এবং একটি ন্যারা লাল রঙের ষাড় গরু। চুরি হওয়া গরুর মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা বলে নিশ্চিত করেছেন কৃষক শাজাহান সরকার।

কৃষক শাজাহান সরকার জানান, রাত ১০টার দিকে গোয়াল ঘরে গরু দেখে ঘুমাতে যান। পরে রাত ২টার দিকে বোরো ক্ষেতে পানি দিতে মোটর ছাড়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন। এসময় গোয়াল ঘরে উঁকি দিয়ে তিনি পাঁচটি গরু দেখেন। পানি ছেড়ে তিনি আবার ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল পৌনে ৬টায় ঘুম থেকে উঠে গোয়াল ঘর থেকে গরু বের করতে গেলে দেখেন গরুগুলো নেই। তার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে গরু চুরি হয়েছে দেখতে পান। তিনি বলেন, গরুগুলোই আমার শেষ সম্বল ছিল। পাঁচটি গরুর সবগুলো চুরি যাওয়ায় এখন আমি নি:স্ব হয়ে গেছি এবং আমার জীবীকার পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হামিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কৃষক গরু চুরির ঘটনায় অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং চুরি যাওয়া গরুগুলো উদ্ধারসহ চোরদের ধরার চেষ্টা চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৯, ২০২৩ ৪:৫৭ অপরাহ্ন
তিন গরুর দিয়ে শুরু করে কোটি টাকার মালিক খামারী নাসরিন
প্রাণিসম্পদ

স্বচ্ছল পরিবারে বিয়ে হলেও বাড়ির অন্যান্য কাজের পর অলস সময় কাজে লাগাতে খামার শুরু করে তিনি এই সফলতা অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি গবাদিপশু ও বিক্রি দুধ বিক্রি করে মাসে প্রায় লাখ টাকা আয় করেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গবাদিপশু পালনে সফল হয়েছেন নারী উদ্যোক্তা নাসরিন জাহান।

নারী উদ্যোক্তা নাসরিন জাহান পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা। বিয়ের পরবর্তী সময়ে পরিবারের কাজ সম্পন্ন করার পর অলস সময় কাটাতেন। তিনি চাইলেই শুয়ে বসে আয়েশি জীবন কাটাতে পারতেন।

তা না করে স্বামীর সাথে পরামর্শ করে ২০০৮ সালে ভালো জাতের ৩টি গরু কিনে খামার শুরু করেন। তার খামারের নাম ‘নাসরিন ডেইরি ফার্ম’ রাখেন। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

গবাদিপশু পালন করে বিক্রি করেন পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে পাইকারি দরে দুধও বিক্রি করেন। বর্তমানে তার খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি গরু আছে। মূলধন দেড় কোটি টাকা।

নারী উদ্যোক্তা নাসরিন বলেন, সংসারের কাজ কাজ শেষ করার পর অলস সময় কাটাতাম। সেই অলস সময়কে কাজে লাগানোর জন্য কিছু করার কথা ভাবছিলাম।

তারপর স্বামীর সাথে পরামর্শ করে ভালো জাতের ৩টি গরু কিনে বাড়ির এক পাশে গবাদিপশু পালনের জন্য একটা খামার গড়ে তুলি। বাড়ির ভেতরে প্রচুর জায়গা থাকায় সেখানে ডেইরি ফার্ম করার চিন্তা মাথায় আসে।

তিনি আরও বলেন, সেই ৩টি থেকে শুরু করে বর্তমানে আমার খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি গরু আছে। আর আমার মূলধন প্রায় দেড় কোটি টাকা। গবাদিপশুর পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে পাইকারি দরে দুধও বিক্রি করি।

আমার ফার্মে প্রতিদিন প্রায় ২০০ লিটার দুখ উৎপাদিত হয়। মাঝে মাঝে সেটা ৩০০-৪০০ লিটারে পৌছায়। এইগুলা স্থানীয় কৃষকদের বিনামূল্যে বিতরন করি পাশাপাশি আমাদের জমিতেও প্রয়োগ করে বিষমূক্ত ফসল উৎপাদন করি। দুধ সংগ্রহ থেকে বিক্রি পর্যন্ত পুরোটাই আমি তদারকি করি। আর আমার খামারে মাসে প্রায় ৭-৮ টন গোবর পাওয়া যায়।

নাসরিন আরও বলেন, খামার পরিচালনায় আমার দুইজন কর্মচারী রয়েছে। তারা সব সময় খামারের দেখাশোনা করেন। তাঁদের বেতনসহ সব মিলিয়ে প্রতি মাসে তাঁর খরচ প্রায় আড়াই লাখ টাকা।

নাসরিন জাহানের ফার্মে উৎপাদিত ২০০-৪০০ লিটার দুধ সম্পূর্নটা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা কঠিন। তিনি কাছের মানুষদের বিনা মূল্যে দেওয়ার পরেও অনেক দুধ নষ্ট হয়ে যেত। তখন একটি মিষ্টির দোকান দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।

কলাপাড়া শহরে মিষ্টির দোকান খোলেন। যেখানে রসগোল্লা, কাঁচাগোল্লা, কালোজাম, রসমালাই, ক্ষীরমালাই, বেবি সুইট, লাল চমচম, সাদা চমচম, তাসনি চপ, পাটিসাপটা ও ছানা পাওয়া যায়। এ ছাড়া মেলে দই আর ঘি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) গাজী মো. শাহআলম বলেন, খামার করে দারুন সফলতা অর্জন করেছেন নারী উদ্যোক্তা নাসরিন জাহান। তার এই অদম্য সাহসিকতা ও সফলতায় অনেকেই অনুপ্রাণীত হয়েছেন। বরগুনা, পটুয়াখালী, কলাপাড়া ও মহিপুর এলাকার ১০-২০টি ডেইরি ফার্ম তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা ও পরিকল্পনায় গড়ে উঠেছে। আশে পাশের অনেকেই খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৮, ২০২৩ ৭:৪৭ অপরাহ্ন
পোল্ট্রি নয়, আমরা গবাদিপশুতেও এগিয়ে আছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পোলট্রি

ভারত বাংলাদেশকে গরু না দিলেই বরং আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, পোল্ট্রি নয়, আমরা গবাদিপশুতেও এগিয়ে আছি।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী পোল্ট্রি প্রফেশনাল বাংলাদেশ (পিপিবি) আয়োজিত প্রথম বাংলাদেশ পোল্ট্রি কনভেনশন-২০২৩ এর প্রথম দিনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমি যত বারই ভারত সফর করি, সেখানকার সরকার বলে তোমাদের গরু দেবো না। আমি বলি, আপনারা গরু দেওয়া বন্ধ করে দিলেই বরং আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো। আমরা গবাদিপশুতে প্রায় স্বনির্ভরশীল। আপনারা বন্ধ করলেই পুরোপুরি হয়ে যাবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা রাতে বা দুপুরে মাংস বা ডিম না পেলে চলে না। পোল্ট্রি শিল্প একদিনে বেড়ে ওঠেনি। আমরা প্রায় ১৭ কোটি মানুষ এবং আমাদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে মাংস ও ডিমে। এই চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোল্ট্রি শিল্প বেড়ে উঠেছে। পোল্ট্রি শিল্পের প্রধান সমস্যা তারা বাজারে দাম ধরে রাখতে পারেন না। পোল্ট্রি খাদ্যের মূল উপাদান ভূট্টা ও গম। যা ২০-২৫ বছর আগেও এগুলো চাষ হতো না। এখন প্রচুর পরিমাণে চাষ হচ্ছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনগণ সবসময়ই উদ্যমী। পোল্ট্রি শিল্প অনেক সংগ্রাম করেও এখনো টিকে আছে। আপনাদের নিজেদের ডিম সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষ বাড়ছে জ্যামিতিক হারে, আর খাদ্য বাড়ছে গাণিতিক হারে। এ কারণে ১৫-২০ বছরের মধ্যে ব্যাপক গ্যাপ হয়েছে। কৃষিবিদরা ভূমিকা না রাখলে একটা হাহাকার পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। আমাদের যতটুকু সম্পদ তার পুরোপুরিই চাষাবাদে ব্যবহার করতে হবে।

এসময় অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক বেগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, ইউনিডো’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. জাকি উজ জামান, পিপিবি’র উপদেষ্টা ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. মোছাদ্দেক হোসেন।

এসময় তারা বলেন, ৯০ দশকের শুরুর দিকে, মূলত ১৯৯২ সালে পোল্ট্রি শিল্পের বিপ্লব শুরু হয়েছে। আমরা বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, কিন্তু আমাদের খাদ্য রপ্তানিতে যেতে হলে খাদ্যনিরাপত্তা ও নিরাপদ খাদ্যের দিকে নজর দিতে হবে। বর্তমান সরকার চতুর্থ বিপ্লবের জন্য কাজ করছে। চতুর্থ বিপ্লবের জন্য আমাদের প্রযুক্তিতে আগাতে হবে। রপ্তানি করতে হলে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে পরিদর্শন করাতে হবে। আমাদের পোল্ট্রি নিরাপদ, পোল্ট্রির খাবার নিরাপদ- এটা শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে দেশের দুই-তিনটি জেলাকে ‘পোল্ট্রি সেফ জোন’ হিসেবে উল্লেখ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, প্রতি বছর শুধু পোল্ট্রি শিল্পের জন্যই ৭০ থেকে ৮০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য লাগে যাতে ৫৮-৬০ শতাংশ ভুট্টা এবং ১৮-২০ সয়াবিন কেক প্রয়োজন। পোল্ট্রি শিল্পকে বাঁচাতে খাদ্যের দাম, ভুট্টার দাম কমাতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৬, ২০২৩ ৭:৫৮ অপরাহ্ন
একটি ছাগল দিয়ে শুরু করে কোটিপতি তরুণ উদ্যোক্তা রাসেল!
প্রাণিসম্পদ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান মো. রাসেল। একটি ছাগলে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করে তিনি এখন একজন সফল ব্যবসায়ী। বর্তমানে তার খামারে ৫০টি ছাগল ও ২৭টি গরু রয়েছে। সবমিলিয়ে এখন তিনি কোটি টাকার মালিক।

গরু পালন, দুধ বিক্রি, গোবর, বায়োগ্যাস প্লান্ট, কেঁচো দিয়ে জৈবসার প্রস্তুত করে ১২ বছরে কোটিপতি বনে যান সফল এ উদ্যোক্তা। নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছেন ‘রাসেল ডেইরি ফার্ম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। বাবা আবদুল হালিম, মা, ভাই ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দেখভাল করেন এ খামার।

জানা যায়, ছোটবেলা থেকে ব্যাংকার হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও পরিবারের চাপে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নে পড়তে হয়েছে বিজ্ঞান বিভাগে। কিন্তু পড়াশুনা বেশিদূর আর এগোয়নি। ছাত্রজীবন থেকে বাবার কাছ থেকে নেওয়া ১০/২০ করে টাকা জমিয়ে শখের বশে ২০ হাজার টাকায় একটি ছাগল কেনেন তিনি। ওই ছাগল থেকে ৩টি বাচ্চা হয়। বাচ্চাগুলো বড় করে বিক্রি করেন এক লাখ টাকা। ব্যবসার এক লাখ ও জমানো আরও ১ লাখ টাকা দিয়ে একটি শংকর জাতের গাভী ও উন্নত জাতের দুইটি ছাগল কেনেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ১২ বছরেই কোটিপতি বনে যান সফল এই উদ্যোক্তা।

রাসেল ডেইরি ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, ৪০ শতাংশ জমির উপর খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। খামারে লোহার খাঁচায় সারি সারি বাঁধা রয়েছে বকনা গরু ও ছাগল।

সফল খামারি রাসেলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ২০১০ সালে ফিজিয়ান জাতের একটি গাভী থেকেই প্রজনন সম্প্রসারণ শুরু। বর্তমানে খামারে ২টি ষাঁড়, ১৫টি গাভী ও ১০টি বাছুরসহ ২৭টি গরু রয়েছে। বর্তমানে ১৫টি গাভী থেকে প্রতিদিন ১০০ লিটার দুধ পান তিনি। এছাড়া দেশীয় ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল, দেশি মোরগ-মুরগি, কবুতর পালনও শুরু করেছেন তিনি।

খামারি রাসেল বলেন, খামারে বাছুর হলো লাভের অংশ। বছর শেষে ৪০টি বাচ্চা হয় সাধারণত। বাছুর থেকে বছরে আয় প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। বর্তমানে খামারে তার দেড় কোটি টাকার গরু ও ছাগল রয়েছে। বোয়ার, তোতাপুরি, হারিয়ানা, বিটল, শিরহি ও যমুনাপারি নামের জাতের ছাগল রয়েছে। গরুর খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় খরচ কমাতে কাঁচা ঘাসের কোনো বিকল্প নেই। খরচ সাশ্রয় হলে খামারি লাভবান হতে পারবে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন আহাম্মদ জানান, এ এলাকায় রাসেল বেকার যুবকদের একটা উদাহরণ। স্বল্প সময়ে পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি খামারের পরিসর বাড়াতে পেরেছেন। আত্মপ্রত্যয়ী এই যুবকের খামার দেখে বেকারত্ব দূর করতে অন্যরাও এগিয়ে আসবে বলে মনে করেন এই জনপ্রতিনিধি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আইয়ুব মিঞাঁ রানা বলেন, রায়পুরের খামারি রাসেল গরু ও ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী। তার খামারের গবাদি পশুগুলোকে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। পশু লালন-পালনে তাকে নানা পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানালেন এই কর্মকর্তা। সূত্র:রাইজিংবিডি.কম

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৬, ২০২৩ ৬:০০ অপরাহ্ন
“জাটকা ও মা মাছ নিধন বন্ধে আরও বেশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার করতে হবে”
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলাপ্রশাসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন উল্লেখ করে জাটকা ও মা মাছ নিধন বন্ধে আরও বেশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য জেলাপ্রশাসকদের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলাপ্রশাসক সম্মেলন ২০২৩ এ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত অধিবেশনে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশের মৎস্যসম্পদে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। পৃথিবীর প্রায় ৫১টি দেশে মাছ রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি। এখন দেশে এতো গবাদিপশু উৎপাদন হচ্ছে যে, ভারত-মিয়ানমার থেকে আমদানি ছাড়াই কোরবানির পশুর চাহিদা মিটানো সম্ভব হচ্ছে। শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় এ খাত এতটা এগিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বেকারত্ব দূর করছে, উদ্যোক্তা তৈরি করছে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনের ফলে খাদ্যের একটি বড় অংশের যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রাণিজ মানুষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে এ খাত থেকে। রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের উন্নয়নের ভূমিকা রাখছে এ খাত। পাশাপাশি এ খাত গ্রামীণ অর্থনীতিও সচল করছে। দেশের মোট জিডিপিতে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে ৩৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ অবদান রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। ১ কোটি ৯৫ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতে সম্পৃক্ত।

জেলাপ্রশাসকদের উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ের প্রেক্ষিতে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্যিক হারের পরিবর্তে কৃষিজ হারে নির্ধারণের বিষয়টি আশা করি সমাধান হবে। ২২ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে রেজিস্টার্ড মৎস্যজীবীদের প্রণোদনার বিষয়টি আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে। চরাঞ্চলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প চলমান আছে। জেলাপ্রশাসকদের সুপারিশের আলোকে প্রয়োজনে আরো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

করোনাকালে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়সহ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন, সংগ্রহ, পরিবহন ও বিপণনে সহযোগিতার জন্য জেলাপ্রশাসকদের এ সময় ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঈপ্সিত লক্ষ্য পূরণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে উল্লেখ করে এ মন্ত্রণালয়ের সকল কাজ বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে জেলাপ্রশাসকরা দেখভাল,পরামর্শ প্রদান এবং কর্মকর্তাদের সহায়তা করবেন বলে এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

মাঠ পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা, কর্মযজ্ঞ ও সাফল্য জেলাপ্রশাসকদের উপর নির্ভর করে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা প্রধানগণ, বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ এবং জেলাপ্রশাসকগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৪, ২০২৩ ৯:৫৮ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জে ফার্মা এন্ড ফার্ম এর সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত 
প্রাণিসম্পদ

শিনিল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং দেশের ভেটেরিনারি মেডিসিন জগতের অন্যতম স্বনামধন্য ও শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ফার্মা এন্ড ফার্ম কর্তৃক হবিগঞ্জে একটি সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে । সোমবার (২৩ জানুয়ারী) জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা সমন্বয় মিটিং এর মাঝে উক্ত সেমিনার সম্পন্ন হয় । এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলার ভেটেরিনারি ট্রেনিং অফিসার, হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাবৃন্দ, ভেটেরিনারি সার্জনবৃন্দ এবং অন্যন্য কর্মকর্তাবৃন্দ । ফার্মা এন্ড ফার্মের সুযোগ্য সেলস ম্যানেজার ডাঃ মাহমুদ নেওয়াজ, সিলেট বিভাগের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মীর মোহাম্মদ খালিকীন-নূর, সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার মোঃ হাফিজুর রহমান, সেলস প্রমোশন অফিসার মনির হোসেন উক্ত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে মূল বক্তব্য পেশ করেন সেলস ম্যানেজার ডাঃ মাহমুদ নেওয়াজ।

প্রাণিসম্পদ সেক্টরের দ্রুত বর্ধনশীল কোম্পানি ফার্মা এন্ড ফার্ম ধারাবাহিকভাবে প্রতিমাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে এরূপ সেমিনারের আয়োজন করে । কোম্পানি পরিচিতি তোলে ধরা, প্রাণিসম্পদ সেক্টরের বিকাশে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে নিজেদের চিন্তাভাবনা শেয়ার করা এবং বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর বিস্তারিত আলোচনা হয় এই সেমিনারগুলিতে । যুগের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে যুগোপযোগী আরোও নতুন প্রোডাক্ট আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয় এবারের সেমিনারগুলিতে ।

আলোচনা শেষে মাধবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ মিলন মিয়া বলেন, আমি ব্যক্তিগত ফার্মা এন্ড ফার্মের ঔষধের ভক্ত। প্রতিষ্ঠানটি যেসব ঔষধ মার্কেটিং করে তা অত্যন্ত মানসম্পন্ন। আমি তাদের বেশ কিছু ঔষধ লিখি যার মধ্যে সিনোরা, সুপার সিএমপি এবং মোটাতাজা করার জন্য টপোসাল অন্যতম। হবিগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জনাব ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ফার্মা এন্ড ফার্মের ঔষধ অত্যন্ত মানসম্পন্ন এবং কোম্পানির প্রতিনিধিগণ খুব হেল্পফুল। উনাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে কাছে পাওয়া যায়। আমি নিজে ফার্মা এন্ড ফার্মের ঔষধ লিখি এবং আপনারা আস্থার সাথে এই কোম্পানির ঔষধ লিখতে পারেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জনাব ডাঃ প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস তাঁর বক্তব্যের শুরুতে ফার্মা এন্ড ফার্ম কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তাঁর প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজনের জন্য। তিনি আরোও বলেন, ফার্মা এন্ড ফার্ম দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে এই সেক্টরে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এখন ব্যস্ততার কারণে প্রাকটিস করার সুযোগ কম হয়। তবে আগে যখন করতাম তখন এই কোম্পানির ঔষধ ব্যবহার করতাম। এখনও বেশ কিছু ঔষধ আমাদের হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য সাপ্লাই হয়েছে। আপনারা যেখানে সুযোগ হয় সেখানে তাঁদের ঔষধ ব্যবহার করবেন।

হবিগঞ্জে রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মীর মোহাম্মদ খালিকীন-নূর জেলার সমন্বয় সভায় ফার্মা এন্ড ফার্ম কে সেমিনার করার সুযোগ দেওয়ায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পাশাপাশি খামারিদের স্বার্থে ফার্মা এন্ড ফার্ম এর প্রোডাক্ট প্রেসক্রাইব করার জন্য অনুরোধ জানান ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৪, ২০২৩ ৯:২৪ অপরাহ্ন
শরীয়তপুর, নড়াইল ও হবিগঞ্জে ফার্মা এন্ড ফার্ম এর সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত 
প্রাণিসম্পদ

শিনিল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং দেশের ভেটেরিনারি মেডিসিন জগতের অন্যতম স্বনামধন্য ও শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ফার্মা এন্ড ফার্ম কর্তৃক দেশের বিভিন্ন স্থানে সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে । সোমবার (২৩ জানুয়ারী) শরীয়তপুর, নড়াইল ও হবিগঞ্জে এইসব সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় । শরীয়তপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুবোধ কুমার দাস। অন্যান্য অতিথিবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, উপ পরিচালক, কৃত্রিম প্রজনন, শরীয়তপুর ও ডাঃ আবদুল মতিন, ভেটেরিনারি অফিসার ।  ফার্মা এন্ড ফার্ম এর জেনারেল ম্যানেজার ডাঃ তাপস কুমার ঘোষ ও রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মোঃ নিজাম উদ্দিন উক্ত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ।

এদিকে নড়াইলের সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মারুফ হাসান । অন্যান্য অতিথিবৃন্দের মাঝে উপস্থিত সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জিল্লুর রহমান, লোহাগড়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ  জিল্লু রাইন। উক্ত সেমিনারে ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার ডাঃ তাপস কুমার ঘোষের সাথে এসিস্টেন্ট সেলস ম্যানেজার মোঃ ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন ।

হবিগঞ্জে অনুষ্ঠিত অপর সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জনাব ডাঃ প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস। জেলার প্রাণিসম্পদের সমন্বয় মিটিং এর মাঝে উক্ত সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা ভেটেরিনারি ট্রেনিং অফিসার সহ হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাবৃন্দ, ভেটেরিনারি সার্জনবৃন্দ এবং অন্যন্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ফার্মা এন্ড ফার্মের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের সুযোগ্য সেলস ম্যানেজার ডাঃ মাহমুদ নেওয়াজ, সিলেট বিভাগের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মীর মোহাম্মদ খালিকীন-নূর, সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার মোঃ হাফিজুর রহমান, সেলস প্রমোশন অফিসার মনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে মূল বক্তব্য পেশ করেন সেলস ম্যানেজার ডাঃ মাহমুদ নেওয়াজ।
প্রাণিসম্পদ সেক্টরের দ্রুত বর্ধনশীল কোম্পানি ফার্মা এন্ড ফার্ম ধারাবাহিকভাবে প্রতিমাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে সেমিনারের আয়োজন করে । কোম্পানি পরিচিতি তোলে ধরা, প্রাণিসম্পদ সেক্টরের বিকাশে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে নিজেদের চিন্তাভাবনা শেয়ার করা এবং বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর বিস্তারিত আলোচনা হয় এই সেমিনারগুলিতে । যুগের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে যুগোপযোগী আরোও নতুন প্রোডাক্ট আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয় এবারের সেমিনারগুলিতে ।
আলোচনা শেষে মাধবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ মিলন মিয়া বলেন, আমি ব্যক্তিগত ফার্মা এন্ড ফার্মের ঔষধের ভক্ত। উনারা যে ঔষধ মার্কেটিং করে তা অত্যন্ত মানসম্পন্ন। আমি উনাদের বেশকিছু ঔষধ লিখি তার মধ্যে সিনোরা, সুপার সিএমপি এবং মোটাতাজা করার জন্য টপোসাল অন্যতম।হবিগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জনাব ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ফার্মা এন্ড ফার্মের ঔষধ অত্যন্ত মানসম্পন্ন এবং কোম্পানির প্রতিনিধিগণ খুব হেল্পফুল। উনাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে কাছে পাওয়া যায়। আমি নিজে ফার্মা এন্ড ফার্মের ঔষধ লিখি এবং আপনারা আস্থার সাথে এই কোম্পানির ঔষধ লিখতে পারেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জনাব ডাঃ প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস তাঁর বক্তব্যের শুরুতে ফার্মা এন্ড ফার্ম কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উনার প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজনের জন্য। তিনি আরোও বলেন ফার্মা এন্ড ফার্ম দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে এই সেক্টরে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এখন ব্যস্ততার কারণে প্রাকটিস করার সুযোগ কম হয়। তবে আগে যখন করতাম তখন উনাদের ঔষধ ব্যবহার করতাম। এখনও বেশ কিছু ঔষধ আমাদের হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য সাপ্লাই হয়েছে। আপনারা যেখানে সুযোগ হয় সেখানে উনাদের ঔষধ ব্যবহার করবেন।

হবিগঞ্জে রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মীর মোহাম্মদ খালিকীন-নূর জেলার সমন্বয় সভায় ফার্মা এন্ড ফার্ম কে সেমিনার করার সুযোগ দেওয়ায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পাশাপাশি খামারিদের স্বার্থে ফার্মা এন্ ফার্ম এর প্রোডাক্ট প্রেসক্রাইব করার জন্য অনুরোধ জানান ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জানুয়ারী ২৪, ২০২৩ ২:৫০ অপরাহ্ন
মুরগি পালনে চমক দেখালেন মনিরুজ্জামান
পোলট্রি

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ভিয়াইল গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান। উন্নত জীবনযাপনের জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। কিন্তু সেখানেও খুব একটা সুবিধা করতে না পেরে দেশে ফিরে এসে মুরগি পালন শুরু করেন। নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছেন। নিজের অদম্য ইচ্ছা শক্তি দিয়ে আজ তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। বর্তমানে নিজে মুরগি পালনের পাশপাশি অন্যকেও মুরগি পালন বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।

জানা যায়, দেশে চলে আসার পর আর্থিক সংকটে পড়েন। হতাশ না হয়ে ইউটিউবে দেশের বিভিন্ন স্থানে লেয়ার মুরগির খামার দেখে নিজেও খামার করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। স্বল্প পুজি নিয়ে শুরু করলেও এখন তিনি সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করছেন। বর্তমানে তার খামারে স্থানীয়ভাবে ১৬ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে ।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ভিয়াইল গ্রামের মনিরুজ্জামান জানান, অর্থ উপার্জনের জন্য ২০০৫ সালে আবুধাবি পাড়ি জমাই। কিন্তু দীর্ঘদিন কাজ করেও নিজের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন করতে পারছিলামনা তাই ২০০৯ সালে দেশে ফিরে আসি এবং চরম অর্থ সংকটে পড়ি। এরপর ইউটিউব ভিডিওতে দেশের বিভিন্ন স্থানে উন্নত জাতের মুরগির খামার দেখে উদ্বুদ্ধ হই।
তিনি আরও বলেন, শুরুতে ২০০ মুরগি কিনে খামার শুরু করি। সেই যে পথচলা শুরু আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে আমার ফার্মে প্রায় ১৬ হাজার মুরগি রয়েছে। এর মধ্য থেকে প্রতিদিন ২ হাজার ডিম পাচ্ছি। এছাড়াও ডিম থেকে প্রতিমাসে ২৮-৩০ হাজার বাচ্চা উৎপাদন করা হয়। যা ২৬-৩৫ টাকা দরে স্থানীয় বাজারসহ জেলার আশেপাশের জেলাশহরগুলোতে বিক্রয় করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার অনেকেই মুরগি পালন শুরু করেছেন। স্বল্প থেকে শুরু করে বাণিজ্যিকভাবে খামারিরা মুরগি পালনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি সফলতাও পাচ্ছেন। স্থানীয় খামারিদের মুরগি পালন বিষয়ক বিভিন্ন সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop