৪:০০ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ১৬, ২০২২ ৭:৫০ অপরাহ্ন
কানাইঘাটে বিশ্ব খাদ্য দিবস উদযাপন
প্রাণিসম্পদ

সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলায় উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে পালিত হলো বিশ্বখাদ্য দিবস।

রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসের হলরুমে আয়োজিত সভা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ হায়দার আলীর সভাপতিত্বে ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃআবুল হারিছ এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কানাইঘাট উপজেলাপরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব খাদিজা বেগম।

 এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোজাদ্দিদ  আহাম্মদ,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চিন্ময় কুমার চন্দ, আলমগীর হোসেন,ওমর ফয়সাল সহ উপজেলা কৃষি অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারি বৃন্দ এবং কৃষক প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৬, ২০২২ ৭:৪৪ অপরাহ্ন
বরিশালে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত
প্রাণিসম্পদ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): নানা আয়োজনে বরিশালে পালিত হলো বিশ্ব খাদ্য দিবস।

আজ রবিবার নগরীর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই দিবসের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. নুরুল আলম।

বরিশাল সদরের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার তানজিলা আহমেদের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনদীপ ঘড়াই, বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএসএ মহিউদ্দিন মানিক, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, বিশ্বে সাতশ’ কোটি লোকের বসবাস। এর মধ্যে শতকরা দশ ভাগ ক্ষুধায় কাতর। আফ্রিকার নয় দেশের মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। সে তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। আর তা কৃষি, মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগের সফলতার কারণেই সম্ভব হযেছে। তিনি আরো বলেন, খাদ্যের অভাবে পৃথিবীর একটি মানুষও যেন মারা না যায়। এজন্য আরো উৎপাদন বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি প্রয়োজন এর সুষম বন্টন। এই হোক আমাদের অঙ্গিকার।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল: কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়; ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সংরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন।

অনুষ্ঠানশেষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউসে এসে শেষ হয়। এতে কৃষি , মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৬, ২০২২ ১১:০০ পূর্বাহ্ন
গো-সম্পদ খাতে উন্নয়নে লাম্ফি স্কিন রোগ দমনে পদক্ষেপ জরুরি
প্রাণিসম্পদ

নিতাই চন্দ্র রায়: ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি বন্ধের পর আমাদের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশে গো-সম্পদ খাতে এক অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটেছে। এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কুরবানির ঈদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পশু বাংলাদেশেই উৎপন্ন হয়।

এ কারণে কুরবানির পশুর জন্য এখন আর তীর্থের কাকের মতো বাংলাদেশকে ভারত ও মিয়ানমারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না। ফলে একদিকে যেমন আমাদের মাংসের উৎপাদন বেড়েছে, অন্যদিকে বেড়েছে দুধের উৎপাদন।

এছাড়া গ্রামীণ কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনে পশুসম্পদ খাতের রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। মাংস ও দুধ ছাড়াও জৈব সার উৎপাদনের মাধ্যমে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি এবং প্রাণীর মলমূত্র থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনেও রয়েছে খাতটির বিশেষ অবদান।

বর্তমান সরকারের প্রাণিসম্পদবান্ধব কার্যক্রম, প্রাণিবিজ্ঞানীদের নতুন উদ্ভাবন ও গবেষণা, মাঠকর্মীদের সঠিক কর্মকান্ড এবং খামারি ও কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদের এই অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটেছে। গ্রামের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে দুগ্ধ খামার।

বিদেশ থেকে প্রেরিত অর্থে গ্রামের বহু উদ্যমী যুবক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গো-খামার তৈরি করে, তা থেকে দুধ এবং মাংসের জন্য পশু বিক্রি করে প্রচুর লাভবান হচ্ছেন। লাল সিন্ধি ও হলস্ট্রেইন ফ্রিজিয়ানের মতো অধিক দুধ প্রদানকারী গাভীও পালন শুরু করেছেন অনেক প্রগতিশীল খামারি। মাংস ও দুধ বিক্রি এবং এর প্রক্রিয়াকরণ কাজে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এককথায় প্রাণিসম্পদ খাতে উন্মোচিত হয়েছে এক বিরাট সম্ভাবনার দ্বার।

কিন্তু সম্প্রতি দেশব্যাপী লাম্ফি স্কিন রোগের (এলএসডি) প্রাদুর্ভাবের কারণে সেই  সম্ভাবনা অঙ্কুরে বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। হঠাৎ এ রোগের প্রাদুর্ভাব খামারিদের বড় দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। অনেকে ভয়ে আক্রান্ত পশু পানির দামে কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। ২০১৬ সালের দিকে প্রথম দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা ঝিনাইদহ ও যশোরে গরুর মধ্যে এলএসডি শনাক্ত করা হয়। ২০২০ সালে প্রায় ২৫টি জেলায় এলএসডির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এবার এ ভাইরাস রোগটির বিস্তার আরও বেশি। বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের ধারণা, এবার কমপক্ষে ৫০টি জেলায় লাম্ফি স্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তাদের হিসাবে, সারা দেশে সাড়ে তিন লাখের বেশি গরু-মহিষ এই রোগে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শুধু ঝিনাইদহের ছয় উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার গরু এলএসডিতে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে মারা গেছে ৫০০ গরু। সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুরের পরিস্থিতি আরও খারাপ। ওই জেলায় প্রায় প্রতিটি খামার ও কৃষকের পরিবারেই লাম্ফি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু রয়েছে। অদ্যাবধি ওই জেলায় প্রায় শতাধিক গরু মারা গেছে মারাত্মক ওই রোগে। দেশের উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে নীলফামারী, নাটোর, দিনাজপুর, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এই রোগের হটস্পটে পরিণত হয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অন্যদিকে যশোরের কেশবপুর উপজেলার সব ক’টি ইউনিয়নের গরু এলএসডিতে আক্রান্ত হয়েছে। টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গবাদিপশুর মধ্যে মহামারী আকারে এলএসডির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এসব উপজেলায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে  আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন শুধু প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হচ্ছে  শতাধিক গরু-বাছুর।

প্রাণিবিজ্ঞানীদের মতে, এলএসডি এক ধরনের ভাইরাসজনিত চর্মরোগ। এটি মশা-মাছি ও খাবারের মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়ায়। আবার আক্রান্ত গরুর লালা খাবারের সঙ্গে মিশে এবং খামার পরিচর্যাকারী ব্যক্তির কাপড়-চোপড়ের মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে। আক্রান্ত গরুর দুধেও এই ভাইরাস বিদ্যমান থাকায় আক্রান্ত গাভীর দুধ খেয়ে বাছুরও আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া আক্রান্ত গরুর সিমেনও এই রোগের অন্যতম বাহন। প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগের লক্ষণ হলো জ¦র। এরপর ত্বকের ওপরে বড় আকারের গুটি তৈরি হয়। মানুষের জলবসন্তের মতো শরীর জুড়েই গুটি তৈরি হয়। কয়েক দিনের মাথায় সেগুলো ফেটে তরল নিঃসৃত হতে থাকে। এর কিছুদিন পর ওই গুটিগুলো ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়। এলএসডি সব গরুর ক্ষেত্রে এক রকম হয় না।  যেসব গরু প্রথম আক্রান্ত হয়, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং মৃত্যুর হার হয় বেশি। আক্রান্ত গরুর শরীরে ফোসকা পড়ে। কোনো কোনো গরুর  পা ও অ-কোষ ফুলে যায়। কোনো গরুর গলায় ঘা হয়। কিছু কিছু আক্রান্ত গরুর  চামড়ার নিচে পচন ধরে। সঠিক চিকিৎসার অভাবে গরু দুর্বল হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় গরুর মৃত্যুসহ নানা রকম মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়। অনেক গরুর চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ে। এতে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। গর্ভবতী প্রাণীদের গর্ভপাত হতে পারে। রোগের তীব্রতা কম হলে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে এবং তীব্রতা বেশি হলে এক থেকে দেড় মাসে আক্রান্ত গরু সুস্থ হয়ে ওঠে।

গ্রামের বেশিরভাগ কৃষক ও খামারি না বুঝেই হাতুড়ে চিকিৎসক দিয়ে গরুর চিকিৎসা করাচ্ছেন। এর ফলে রোগ সেরে গেলেও দেখা দিচ্ছে নানারকম শারীরিক জটিলতা। দেশের বিভিন্ন আক্রান্ত অঞ্চলের জেলা-উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে গরু নিয়ে ভিড় করছেন বহু কৃষক ও খামারি। কিছু উপজেলায় আক্রান্ত গরুর চিকিৎসায় মেডিকেল ক্যাম্প করা হচ্ছে। দ্রুত রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় জনবল সংকটে সেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা। ওষুধ বরাদ্দও রয়েছে অপ্রতুল। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কেই কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং এর বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়কে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে কৃষক ও খামারিদের পাশে দাঁড়াতে হবে। মেডিকেল ক্যাম্পের সংখ্যা ও ওষুধ বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সবচেয়ে জরুরি এ রোগ থেকে পশুকে নিরাপদ রাখতে কৃষক ও খামারিদের সচেতন করে তুলতে হবে। করোনা মহামারীর মতো এ রোগ দমনে নানামুখী পরিকল্পনা ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।

লেখক : সাবেক মহাব্যবস্থাপক (কৃষি), বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন

সূত্র: দেশ রুপান্তর

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৫, ২০২২ ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
একটি দিয়ে শুরু করে শতাধিক খামারের মালিক!
প্রাণিসম্পদ

বুরামপুর গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান আমিরুল ইসলাম। স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে চাকরি করে কৃষক পরিবারে সমৃদ্ধি বয়ে আনার।

কিন্তু ১৯৯০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আকস্মিক বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে।

বাবার জমি থাকলেও চাষাবাদ করে সফল হতে পারেননি। এক পর্যায়ে নিজেদের গবাদি পশুগুলোও বিক্রি করে দিতে হয়। চরের জমিতে সবজি আবাদ করে আশানুরূপ লাভ করতে পারছিলেন না। কিন্তু পিছিয়ে আসার সুযোগও ছিল না আমিরুলের।

১৯৯৪ সালে ১৪ হাজার টাকা দিয়ে এক আত্মীয়ের কাছ থেকে একটি শংকর জাতের গরু কেনেন আমিরুল। ফেলে দেওয়া সবজি দিয়েই গরুর খাদ্যের যোগান দিতে পারায় অতিরিক্ত খরচ করতে হয়নি তাকে। গরুটি ৩টি বাছুর জন্ম দেয়। এর মধ্যে ২টি ছিল গাভী। একইভাবে খাদ্যের জন্য অতিরিক্ত খরচ না করেই বাড়িতে গরু পালন করতে থাকেন তিনি।

এভাবে প্রায় ১০ বছরের মধ্যে কয়েক ডজন গরুর মালিক হন আমিরুল। লাভজনক হওয়ায় তিনি খামারের দিকে মনোযোগ বাড়াতে থাকেন। গবাদি পশুর ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তার খামার। বর্তমানে তার খামারে শতাধিক গবাদি পশু আছে। এর মধ্যে ৬৫-৭০টি গরু থেকে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ লিটার দুধ সংগ্রহ করছেন তিনি।

তার আবাদকৃত প্রায় ৩০-৩৫ বিঘা সবজির খেতে এখন শুধু গরুর জন্য ঘাস চাষ করা হয়। পদ্মার চরের দুর্গম গ্রামে খামারি আমিরুলের বিশাল গরুর খামার থেকে দুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হওয়ায় মিল্কভিটা ঈশ্বরদী অঞ্চলে একটি চিলিং সেন্টার গড়ে তুলেছে।

এদিকে আমিরুলের এ সফলতা দেখে তার নিজের গ্রাম এবং আশেপাশের গ্রামে এখন আরও প্রায় শতাধিক গবাদি পশুর খামার গড়ে উঠেছে। আমিরুলের মতো এত বড় পরিসরে না হলেও, এসব খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার লিটার পর্যন্ত দুধ উৎপাদন হচ্ছে।

পদ্মার তীরবর্তী দুর্গম চরাঞ্চল লখিকুন্দা ইউনিয়ন এখন জেলার অন্যতম দুগ্ধ সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠেছে।

গবাদি পশু পালনে এমন নিরলস পরিশ্রম ও সাধনার ফলে একটি এলাকার জনজীবনের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন করায় এ বছর বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আমিরুলকে পশুপালনে সফলতার জন্য স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।

আমিরুল জানান, ‘পরিকল্পিতভাবে গবাদি পশু পালন করতে পারলে সেটি অনেক লাভজনক হতে পারে।’

নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আমিরুল বলেন, ‘প্রথমে একটি গরু থেকে যখন ৩টি বাছুরের জন্ম হয়, তখন ২টি গাভী রেখে বাকি এঁড়ে বাছুর বিক্রি করে দেই। এভাবে প্রতিবছর নতুন বাছুরের জন্ম হওয়ার পর বেশিরভাগ এঁড়ে বাছুর মাংসের জন্য বিক্রি করি, আর কিছু পালন করি।’

আর এভাবেই একটি গরু থেকেই প্রতি বছর বাড়তে বাড়তে এখন তার খামারে রয়েছে প্রায় ১১০টি গবাদি পশু।

আমিরুল জানান, কয়েক মাস আগেও তার খামারে প্রায় ১৫০টি গরু ছিল। সম্প্রতি ৪০টি গরু বিক্রি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রতিবছর তার খামার থেকে ৪০-৫০টি গরু ও বাছুর বিক্রি করা হয়, যা থেকে প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকা আয় হয়। এ ছাড়া, প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার টাকার দুধ বিক্রি করা হচ্ছে।

আমিরুল বলেন, ‘গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় এবং গবাদি পশুর পালনের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় গবাদি পশুপালনে আগের মতো লাভবান হতে না পারলেও, প্রতি বছর খামার থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে ২০-২৫ লাখ টাকা আয় হচ্ছে।’

স্থানীয়রা জানান, কঠোর নিষ্ঠা, পরিশ্রম, একাগ্রতা আর বাণিজ্যিক দিক পর্যালোচনা করে গবাদি পশু পালন করায় প্রায় ৩ দশকের মধ্যে আমিরুল সফল খামারি হতে পেরেছেন এবং এলাকাকে গবাদি পশু সমৃদ্ধ করে তুলেছেন।

জানতে চাইলে পাবনা জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আল মামুন জানান, ‘ডেইরি খামারি আমিরুল সারাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে খামার পরিচালনা করে সফল হওয়ার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পাশাপাশি তিনি একটি এলাকাকে গবাদি পশু সমৃদ্ধ করে তুলতে পেরেছেন। তার এমন অর্জনে প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০২১ সালে তাকে দেশের “ডেইরি আইকন” পদকে ভূষিত করে। এ বছর তিনি বঙ্গবন্ধু কৃষি স্বর্ণপদক (ডেইরি) অর্জন করেন।’

আমিরুল বলেন, ‘একসময় চর এলাকায় গরু পালন করতে গেলে অনেকেই হাসাহাসি করেছে। কিন্তু একাগ্রতা আর নিষ্ঠার সঙ্গে খামার করে আমি সফল হয়েছি, মানুষকে সফল হতে সহায়তা করেছি। গবাদি পশু পালন করে নিজেকে গর্বিত মনে করি।’

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

গবাদি পশু পালন করে সফল খামারি আমিরুল জানান, ‘একসময় শুধু দুধ ও মাংসের জন্য খামার পরিচালনা করা হলেও পরিকল্পিত উপায়ে খামারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে একটি গরুর খামার থেকে আরও অনেক দূর যাওয়া সম্ভব।’

তিনি জানান, বর্তমানে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, দুধের দাম কম, পশুপালন খরচ বেশিসহ বিভিন্ন কারণে খামার করতে অনেকেই অনাগ্রহী হয়ে পড়ছেন। তবে নিয়মিত দুধ ও মাংস উৎপাদনের পাশাপাশি তিনি খামার থেকে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করে নিজের পরিবারের জ্বালানি খরচ যোগান দিচ্ছেন এবং গবাদি পশুর পয়ঃবর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন করে নিজের জমিতে ব্যবহার করছেন।

তিনি জানান, ব্যক্তিপর্যায়ে স্বল্প পরিসরে এ কাজ করলেও, তার খামারের বিপুল পরিমাণ পয়ঃবর্জ্য ফেলে দিতে হচ্ছে।

সরকারি সহায়তা পেলে তার নিজের খামারের এবং আশেপাশের খামারের বিপুল পরিমাণ বর্জ্য দিয়ে তিনি বড় পরিসরে বায়োগ্যাস প্লান্ট ও একটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা তিনি জানান।

পাশাপাশি জৈব সার উৎপাদন করে বাণিজ্যিকভাবে তা বাজারজাত করার পরিকল্পনাও আছে তার।

এভাবে পরিকল্পিতভাবে বায়োগ্যাস প্লান্ট, বিদ্যুৎ প্লান্ট এবং জৈব সার উৎপাদন করে পুরো এলাকায় তা বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ করতে পারলে এসব খামারকে আরও অনেক লাভজনক করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তিনি।

তবে এজন্য সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

সূত্র: ডেইলি স্টার

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২২ ৯:৩৫ অপরাহ্ন
জমকালো আয়োজনে “বিশ্ব ডিম দিবস” পালন করল বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটী 
প্রাণিসম্পদ

জাঁকজমক আয়োজনে ‘বিশ্ব ডিম দিবস ২০২২′ পালন করলো বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটী ইন্টারন্যাশনাল এগ।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটী সাধারণ ভোক্তার মাঝে সিদ্ধ ডিম বিতরণ, বর্ণিল টি-শার্ট বিতরণসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিএএস এর উদ্যোগে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের ২য় শুক্রবারে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় “বিশ্ব ডিম দিবস”।

ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর এ বিশেষ দিবসটি পালন করে বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটী (BAAS)।

ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন ১৯৯৬ সালে প্রথম দিবসটি পালন করে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়। বাংলাদেশে প্রথম দিবসটি পালন করে বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটী।

এ বছর ১৪ অক্টোবর পালিত হয় “বিশ্ব
ডিম দিবস’, যা বাংলাদেশে এ দিবসটি পালনের ১০ম বর্ষ।

সংগঠনটি কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ চত্বরে ডিমের সাথে জড়িত বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ, দেশের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ এবং বিশিষ্ট গনমাধ্যম ব্যাক্তিত্বদের নিয়ে “ডিমের পুষ্টি ও বাংলাদেশের এগ ইন্ডাস্ট্রী” শিরোনামে একটি গোল-টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এ, এই্‌ এম, সফিকুজ্জামান, মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর।

প্রফেসর ড. কে, বি, এম, সাইফুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, মেডিসিন এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগ, এনিমেল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারী মেডিসিন অনুষদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃষিবিদ মোঃ মোরশেদ আলম, সভাপতি, বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটি (BAAS)।জুলিয়াস গিথিঞ্জি মুচেমি, লাইভস্টক এক্সপার্ট, FAO।

সোহরাব হাসান, যুগ্ম সম্পাদক, দৈনিক প্রথম আলো।সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সিইও, গ্লোবাল টেলিভিশন।এস, এম, আকাশ, প্রধান, বার্তা বিভাগ, দীপ্ত টিভি।ড. নাজনীন আহমেদ, কান্ট্রি ইকোনমিস্ট, UNDP।ডাঃ মোসাদ্দেক হোসেন, প্রাক্তন মহাপরিচালক, প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর।

-নাছির উদ্দিন, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক, এডভান্সড পোল্ট্রি এন্ড ফিস ফিড লিমিটেড। ড. আনিসুর রহমান, ভ্যালু চেইন বিশেষজ্ঞ।সামিয়া তাসনিম এনি, পুষ্টিবিদ, ল্যাবএইড গুলশান লি.।

অনুষ্ঠানের চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ডিবিসি নিউজ টিভি এর এডিটর প্রনব সাহা।

উপস্থিত বক্তারা উপলব্ধি করেন যে বর্তমানের এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে এবং ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের মূল্য সহনী পৰ্য্যায়ে রাখতে পোল্ট্রি খাদ্যে ভর্তুকী প্রয়োজন।

বক্তারা একমত হন যে ডিম ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ন ডিম বিপনন কেন্দ্রে ‘অকশন হাউজ” স্থাপন করে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিপনন করা প্রয়োজন এবং এ ব্যাপারে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটীর সভাপতি কৃষিবিদ মো. মোরশেদ আলম বিশ্ব ডিম দিবস এবং বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের উপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২২ ৮:৫২ অপরাহ্ন
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডিমের ভারসাম্যপূর্ণ মূল্য নিশ্চিত করা হবে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ডিমের ভারসাম্যপূর্ণ মূল্য নিশ্চিত করা হবে। এতে উৎপাদনকারী উপকৃত হবে, বিপণনে জড়িতরা উপকৃত হবে এবং ভোক্তারা উপকৃত হবে। আর অসঙ্গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরে রাষ্ট্র উপকৃত হবে। পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাজার ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উইং এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডিমের মূল্য বৃদ্ধিজনিত সমস্যার সমাধান করা হবে।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিশ্ব ডিম দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স (ওয়াপসা) বাংলাদেশ শাখা ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) যৌথভাবে এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

মন্ত্রী আরও বলেন, একটা সময় সবাই নিয়মিত ডিম খেতে পারতো না। পোল্ট্রি উৎপাদন খাতে সম্পৃক্তরা এগিয়ে আসায় ডিম ও মাংস উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এটা আমাদের জাতিগতভাবে সহায়তা করেছে, অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে, প্রাণিজ পুষ্টি ও আমিষের চাহিদায় বড় যোগান দিচ্ছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে, খাবারের বড় যোগান দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ডিম উৎপাদনে ব্যয় বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে যারা পোল্ট্রি ও ডিম উৎপাদনে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের অনেক ভোগান্তি হয়েছে। এ খাতে যারা বিনিয়োগ করেছে তাদের ক্ষয়-ক্ষতি ভুলে গেলে চলবে না। পোল্ট্রি ও ডিম উৎপাদনে যারা প্রান্তিক পর্যায়ে সম্পৃক্ত তাদের করোনাসহ অন্যান্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নগদ প্রণোদনা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, বিচক্ষণতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দেশপ্রেমের কারণে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা আমাদের বিপন্ন অবস্থায় ফেলতে পারেনি।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে, অসাধু কারবারি আছে, তারা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি করে। বাজার ব্যবস্থাপনায় জড়িতদের সাথে পোল্ট্রি বা ডিম উৎপাদনে সম্পৃক্তদের একাকার করে অভিযুক্ত করলে বিষয়টি নির্দয় আচরণ হয়ে যায়। উৎপাদন ও বিপণন দুটি আলাদা অংশ। করোনা ও রমজানের সময় ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় কম দামে গরুর মাংস, ডিমসহ অন্যান্য পণ্য আমরা বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। ভর্তুকি না দিয়েও কম দামে অনেক পণ্য সর্বত্র দেওয়া হয়েছে। বাজার ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি নজরদারিতে নিলে আরও ভারসাম্যপূর্ণ মূল্য ডিমের ক্ষেত্রে আসবে।

ডিমের দাম সবার জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে উদ্যোগ সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সময় মন্ত্রী জানান, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আপেক্ষিক। দেশে একেক শ্রেণির মানুষের ক্রয়ক্ষমতা একেক পর্যায়ের। জীবনযাত্রাও ভিন্ন ভিন্ন। রাষ্ট্র পোল্ট্রি খাতে সম্পৃক্তদের সহায়তার চেষ্টা করছে। দেশে কেউ প্রাণী ও মাছের খাবার তৈরির কারখানা বা শিল্প স্থাপন করতে চাইলে সরকার আমদানির কর মওকুফ করে দিচ্ছে। বৈশ্বিক সংকটের সমাধানে সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সরকারের সুযোগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন ঘাটতি থাকলে সেটা বিবেচনা করা হবে। সরকারের সাধ্যের মধ্যে পোল্ট্রি ও ডিম উৎপাদনে সম্পৃক্তদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ডিমের মূল্য বৃদ্ধিতে কোথাও সিন্ডিকেট থাকলে বাজার ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্তদের সাথে কথা বলে সেটা দূর করা হবে। মনোপলি ব্যবসার মাধ্যমে ডিমের দাম নির্ধারণ করে জনগণকে জিম্মি করার কোন ব্যবসায়িক প্রচেষ্টা যদি থাকে নিশ্চয়ই সরকার সেটা মেনে নেবে না। পাশাপাশি এটা মনে রাখতে হবে, উৎপাদনে যে প্রকৃত ব্যয় হচ্ছে, যারা প্রচুর বিনিয়োগ করছেন তাদের ব্যয়ের চেয়ে কম মূল্যে ডিম বিক্রি করতে বলা যায় না। অনুরূপভাবে অতি মুনাফালোভীরা ইচ্ছেমতো মুনাফা করবে, আর মানুষকে জিম্মি করে রাখবে এটা করতে দেওয়া হবে না।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিপিআইসিসি ও ওয়াপসা-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমান। ‘ডিম: প্রকৃতির এক বিস্ময়কর সৃষ্টি’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান মোল্লা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ডা. রেয়াজুল হক ও বারডেম হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ মহুয়া।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য সুপার ফুড ডিম। ডিম হচ্ছে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের উৎকৃষ্ট একটি প্রাণিজ আমিষ।বিগত বছরগুলোর তুলনায় দেশে ডিমের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ যেন কম দামে ডিম খেতে পারে। ডিম দিয়ে তৈরি ভ্যালু অ্যাডেড পণ্য রপ্তানির কথাও ভাবতে হবে।

আলোচনা সভা শেষে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতিকীভাবে ডিম খাওয়ান মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বাংলাদেশে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। এ বছর বিশ্ব ডিম দিবসের শ্লোগান ‘প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন’।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২২ ৩:৩৪ অপরাহ্ন
মুরগির খাদ্যের দাম বাড়াতে ডিমের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক না: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মুরগির খাবারের দাম অনেকগুণ বেড়ে যাওয়ায় ডিমের দাম বাড়াটা অযৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রায়ই শুনি বাজারে নানা সিন্ডিকেট আছে। বাজার ব্যবস্থাপনা আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়, এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

জনগণকে জিম্মি করে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলে কিংবা দাম বাড়ানো হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। মৎস্য মন্ত্রী বলেন, ডিমের দাম বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা তো দিনের পর দিন লস দিতে পারবে না। আমরাও তাদের এই খাত থেকে হারাতে দেব না। মন্ত্রী আরও বলেন, কিছুদিন আগে ডিম মজুত করে দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকারের হুংকারের পরে দাম আবার কমিয়েছে। ভোক্তা অধিকারও ডিম মজুতদারের সন্ধান পেয়েছে। অতি মুনাফা লোভীদের আমরা ছাড় দেব না। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশিদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২২ ২:২১ অপরাহ্ন
আজ বিশ্ব ডিম দিবস
প্রাণিসম্পদ

আজ শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। ‘প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর বিশ্বব্যাপী ডিম দিবস উদযাপন করা হবে।

প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন–ডিমের খাদ্যমান ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা। একইসঙ্গে ভোক্তার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্তি উৎসাহিত করা। সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালনের আয়োজন করে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী ২০১২-১৩ সালে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ৭৬১.৭৪ কোটি এবং ২০২১-২২ সালে এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩৩৫.৩৫ কোটিতে। অর্থাৎ গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। জনপ্রতি বছরে ১০৪টি ডিম হারে বর্তমানে জনপ্রতি প্রাপ্যতা ১৩৬.০১টি।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০ বাস্তবায়নে জনপ্রতি দুধ, মাংস ও ডিম যথাক্রমে ২৭০মিলি, ১৫০গ্রাম এবং ১৬৫টি বছরে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-৪১) বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে রূপকল্প-২০৪১ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে জনপ্রতি দুধ ৩০০ মিলি, মাংস ১৬০ গ্রাম ও ডিম ২০৮টি বছরে ধরা হয়েছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ডিম উৎপাদনের একটি প্রাক্কলন করেছে। সে হিসাব অনুযায়ী ২০৩১ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ডিমের বার্ষিক উৎপাদন হবে প্রায় ৩২৯৩.৪ কোটি এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ৪৬৪৮.৮ কোটি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১৪, ২০২২ ৯:১৮ পূর্বাহ্ন
কুষ্টিয়ায় গরু চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭
প্রাণিসম্পদ

কুষ্টিয়ায় অভিযানে ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত।

বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মাগুরা জেলার আজমপুর গ্রামের কাজল হোসেন (২৭), ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার ভর কামদিয়া গ্রামের তিন ভাই—মাসুদ খান (৩৪), মাসুম খান (৩২) ও বাচ্চু খান (৩০), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার ছাগলদিঘী গ্রামের শাহিন শেখ ওরফে রাকিব (২৫) এবং ফরিদপুর জেলা বোয়ালমারী থানার হরিহরনগর গ্রামের সবুজ মোল্লা (২৪) ও সিদ্দিক মোল্লা (৬৫)।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৩ আগস্ট দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে বগুড়া জেলার বুড়িগঞ্জ হাট থেকে আটটি গরু কিনে কয়েকজন ব্যবসায়ী ট্রাকে করে চুয়াডাঙ্গায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের আলামপুর বালিয়াপাড়া সেতু পার হয়ে পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছালে ১৪ থেকে ১৫ জনের একটি ডাকাত দল রাস্তায় তাঁদের ট্রাক থামায়। পরে ব্যবসায়ীদের চোখ-মুখ ও হাত বেঁধে ফেলে সাতটি মোবাইল ফোন, নগদ ৭৯ হাজার টাকা, একটি ট্রাক ও সাত লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের আটটি গরু ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।

ডাকাতির পর ব্যবসায়ীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেন। তথ্য পেয়ে স্থানীয় হাইওয়ে পুলিশ ও কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা হয়। এরপর ওই সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানে ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মাগুরা জেলার আজমপুর গ্রামের কাজল হোসেন (২৭), ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার ভর কামদিয়া গ্রামের তিন ভাই—মাসুদ খান (৩৪), মাসুম খান (৩২) ও বাচ্চু খান (৩০), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার ছাগলদিঘী গ্রামের শাহিন শেখ ওরফে রাকিব (২৫) এবং ফরিদপুর জেলা বোয়ালমারী থানার হরিহরনগর গ্রামের সবুজ মোল্লা (২৪) ও সিদ্দিক মোল্লা (৬৫)।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৩ আগস্ট দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে বগুড়া জেলার বুড়িগঞ্জ হাট থেকে আটটি গরু কিনে কয়েকজন ব্যবসায়ী ট্রাকে করে চুয়াডাঙ্গায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের আলামপুর বালিয়াপাড়া সেতু পার হয়ে পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছালে ১৪ থেকে ১৫ জনের একটি ডাকাত দল রাস্তায় তাঁদের ট্রাক থামায়। পরে ব্যবসায়ীদের চোখ-মুখ ও হাত বেঁধে ফেলে সাতটি মোবাইল ফোন, নগদ ৭৯ হাজার টাকা, একটি ট্রাক ও সাত লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের আটটি গরু ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।

ডাকাতির পর ব্যবসায়ীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেন। তথ্য পেয়ে স্থানীয় হাইওয়ে পুলিশ ও কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা হয়। এরপর ওই সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ১২, ২০২২ ১২:১৩ অপরাহ্ন
CTC GLOBAL and M.A.S Bangladesh launched new product XCELSIO
প্রাণিসম্পদ

 Seminar On “A New Era of Bacterial Control”

 

CTC GLOBAL and M.A.S Bangladesh jointly organized “A New Era of Bacterial Control” in the capital. The seminar was held on Tuesday (October 11) evening at Hotel Le Méridien. Through this seminar, CTC GLOBAL’s contemporary and exceptional product XCELSIO was introduced.

M.A.S Bangladesh Managing Director Dr. Md. Riazul Islam was hosting at the event. The guests were – the renowned microbiological scientist and professor of Bangladesh Agricultural University Dr. Md. Bahanur Rahman, Senior Consultant of CTC GLOBAL Dr. Max Oh, Sales Director Dr. Celeb Lee, the country’s renowned nutritionists and people associated with the livestock sector.

Professor Dr. Md. Bahanur Rahman spoke at the beginning of the program. He said that safe food is currently being discussed all over the world, but if antibiotics are found in this food, then that food is not safe at all, so the main thing is how to reduce the presence of antibiotics as much as possible. He also said that various bacteria are becoming multi-drug resistance, as a result of which Antimicrobial Resistance is very much discussed and the most effective solution against this AMR is Bacteriophage. Dr. Bahanur elaborated the working mechanism of bacteriophage through his enlightening discussion and presentation and highlighted the issue of isolation and purification of bacteriophage in the laboratory of Bangladesh Agricultural University.

Then the senior consultant of CTC GLOBAL Dr. Max Oh spoke. He presented the history, morphology, types, studies, antibacterial activity, mechanism of action of bacteriophage; Discussed in detail about their new product XCELSIO, described in detail about the use and efficacy of this product in various organizations.

Sales Director of CTC GLOBAL Dr. Celeb Lee introduced the new product in his speech. According to him, “XCELSIO is a leading bacteriophage feed additive that kills the target bacteria in just 10-20 minutes, it works very fast and strongly and its biggest feature is that its mode of action is not only in the gut but also in different farms sites. It reduces FCR in chickens, increases meat, increases egg production and reduces mortality. The important aspect of XCELSIO is that it contains B. Subtilis which acts as a probiotic so the same product acts as a bacteriophage and probiotic, over all it is highly effective against 18 species of bacteria.” Dr. Celeb Lee shows the use of this product in different countries and results in slides.

CTC GLOBAL’s product XCELSIO is marketed in Bangladesh by M.A.S Bangladesh.

Finally, the program concluded with a question and answer session and dinner.

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop