৩:৪৭ অপরাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২২ ৩:১৮ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্ণাঙ্গ বিচার এখনও হয়নি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্ণাঙ্গ বিচার হয়নি। খন্ডিত বিচার হয়েছে।বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে যারা ষড়যন্ত্রকারী তাদের বিচার হয়নি। পরিকল্পনায় যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার হয়নি। যারা সুবিধাভোগী তাদের বিচার হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা ধ্বংস করেছে তাদের বিচার হয়নি। আবার নতুন করে তদন্ত করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৩ ধারার ২ এর বি অনুসারে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট করে তাদের বিচার করার সুযোগ রয়েছে। এখন সময় এসেছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী, সুবিধাভোগী এবং যারা সে সময়ে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ছিল তাদেরও বিচার করতে হবে। একটা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, কারা সুবিধাভোগী, কারা ষড়যন্ত্রকারী, এমনকি যারা আদালত থেকে ছাড়া পেয়েছেন তাদের স্বরূপ উন্মোচন করা দরকার।

সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনের যে কলঙ্ক বাঙালি জাতির ললাটে লেপন করা হয়েছিল, এ কলঙ্ক কোনদিনই মুছে যাবে না। বঙ্গবন্ধু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে জীবনের প্রায় ১৪ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু চাইলে পাকিস্তানিদের সাথে সমঝোতা করে পাকিস্তানের নেতা হিসেবে রাষ্ট্র ও সরকারে থাকতে পারতেন। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে তিনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। পাকিস্তানিরা তাঁকে ফাঁসি দিতে পারেনি। কিন্তু কিছু কুলাঙ্গার বাঙালি তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে নিষ্ঠুরতা এবং বর্বরতার সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি মুজিবের হত্যাকান্ড হিসেবে বিবেচনার অবকাশ নেই। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করার চেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিতরা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করেছিল। স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে সে সময় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা দেওয়া হয়েছিল। এরশাদ সরকার, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সময়ে তারা পুনর্বাসিত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ১২টি রাষ্ট্রের হাইকমিশনে প্রতিষ্ঠা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না এ অর্ডিন্যান্সকে পার্লামেন্টে ১৯৭৯ সালে আইনে পরিণত করেছে জিয়াউর রহমান। এরশাদ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল। বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে খুনিদের পার্লামেন্টে নিয়ে এসে বিরোধী দলে বসিয়েছে। এভাবেই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের শেষ আকাঙ্ক্ষার জায়গা, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুসহ সব আদর্শকে ধ্বংস করা হয়েছিল।

মন্ত্রী যোগ করেন, ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার পর আবার নতুন করে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ২১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগকে তিনি আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা হবে। খুনিদের বিচারের লক্ষ্য নিয়ে তিনি ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করেন। জাতির দুর্ভাগ্য ৩৪ বছর অপেক্ষা করতে হয় জাতির জনকের খুনিদের বিচার করার জন্য। ৩৪ বছর পরও আমরা সব খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করতে পারিনি।

একজন শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, যে মানুষটি জীবনে কোন সুখ ভোগ করেন নি, যে মানুষটি আমাদের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের পরিশ্রম করা দরকার। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।

এ অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার জন্য আবার একটি মহল সোচ্চার হয়ে উঠেছে। তারা ১৯৭৫ এ মিথ্যাচার করেছিল, মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেশকে অস্থিতিশীল করেছিল। এখন সে জাতীয় একটি চক্র নানাভাবে মিথ্যাচার করছে। সে চক্রের অশুভ ষড়যন্ত্র, অশুভ পরিকল্পনা যাতে বাস্তবায়ন না হয় সে লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ শেখ হাসিনার কাছেই নিরাপদ। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাতেই সৃষ্টি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

এদিন দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২২ ১০:২০ পূর্বাহ্ন
এক হাজার দিয়ে শুরু, এখন ৫ হাজার হাঁসের মালিক মন্টু
প্রাণিসম্পদ

মাত্র এক হাজার হাঁস পালন দিয়ে শুরু করেন খামার। এর তিন মাসের মাথায় ‍আয় করে লাখ টাকা। দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার পালশা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ময়নুল ইসলাম মন্টু হাঁস পালন করে এভাবেই তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। বর্তমানে তার দু‘টো খামারে প্রায় ৫ হাজার হাঁস রয়েছে। পাশাপাশি খামারে কর্মরত আছেন চার শ্রমিক।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের তথ্য মতে, ঘোড়াঘাট উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ৬১টি হাঁসের খামার আছে। এসব খামারে প্রায় লক্ষাধিক হাঁসের পালন হচ্ছে।

খামারী মন্টু মেম্বার বলেন, ১৫ থেকে ২৫ টাকা দরে ১ দিনের হাঁসের ছানা দিয়ে খামার শুরু করি। গ্রামীন পরিবেশে টানা ৭০ দিন পালন করার পর এসব হাঁস বাজারজাত করার উপযোগী হয়। সে সময় হাঁসগুলো ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পিচ দরে পাইকাররা কিনে নিয়ে যায়। আমি অল্প সময়েই সফলতা অর্জন করেছি। আগামী দিনে আরো বড় পরিসরে আমি হাঁস পালন প্রকল্প চালু করবো বলে জানান মন্টু মেম্বার।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিপ্লব কুমার দে জানান, অন্যান্য পশু-পাখি পালনের চেয়ে বর্তমান সময়ে হাঁস পালন করে অধিক মুনাফা পাওয়া সম্ভব। প্রতিনিয়ত তরুণ-যুবকরা হাঁস পালনের দিকে ঝুঁকছে। আমরা খামারিদেরকে বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন প্রদানসহ সব ধরণের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৪, ২০২২ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
পাঁচ বছরেই কোটিপতি ডিপ্লোমা পাস খামারি আদনান
প্রাণিসম্পদ

গরুর খামার দিয়ে পাঁচ বছরে কোটিপতি হয়েছেন ময়মনসিংহের ত্রিশালের বালি পাড়ার শাহাদাত উল্লাহ আদনান (৩০)।

আদনান ত্রিশালের বালিপাড়ার বাসিন্দা। ডিপ্লোমা পাস করে ২০১৭ সালে ২০ লাখ টাকা নিয়ে পারিবারিক জমিতে ডেইরি ফার্ম শুরু করেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম দেন ‘আদনান এগ্রো ফার্ম’। এরপর খামারে গরু মোটাতাজাকরণের কাজ শুরু করেন। সেই সঙ্গে প্রতি বছরই বাড়তে থাকে খামারের কার্যক্রম।

এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু ২০টি ষাঁড় লালন-পালন করেছেন। এর মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের গরুও রয়েছে। এ পর্যন্ত মাঝারি ১২টি গরু বিক্রি করেছেন, যার মূল্য ৩০ লাখ টাকা। বড় আরও আটটি গরু রয়েছে খামারে। এসব গরুর দাম তিন থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে।

খামার মালিক শাহাদাত উল্লাহ আদনান বলেন, ‘শখের বসে ডেইরি ফার্ম শুরু করেছিলাম। ফার্ম লাভজনক হওয়ায় পরের বছর থেকেই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করি। প্রতি বছরই গরু বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে থাকি। সেই থেকে আগ্রহ বেড়ে যায় এবং গরুর সংখ্যা বাড়াতে থাকি। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর লাভ হয়নি। এছাড়া গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে লাভের অংক খুবই কম। এরপরও খামার ধরে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবারের কোরবানিতে বড় গরুর চেয়ে ছোট এবং মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা ক্রেতাদের কাছে বেশি। এ কারণে বড় গরু মোটাতাজা করে খুব একটা লাভের মুখ দেখা যায় না। বর্তমানে খামারে কোটি টাকার ওপরে মূলধন রয়েছে আমার। খামার দিয়ে আমি সফলতা পেয়েছি।’

বালিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ বাদল বলেন, ‘আদনানের ডেইরি ফার্ম দেখে স্থানীয় যুব সমাজ উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আশপাশের অনেক বেকার যুবক গরু লালনপালন করে স্বাবলম্বী হয়েছে। খামার দিয়ে খুব কম সময়ে কম খরচে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।’

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৪, ২০২২ ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
কবুতর পালন করতে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশে এখন বেকারত্ব দূর করতে কবুতর পালন ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। কবুতর পালন করতে বেশি জায়গারও প্রয়োজন হয় না।

কবুতর প্রতি মাসে দুটি করে বাচ্চা দেয়। বাচ্চার বয়স ২১ দিন হলেই বিক্রির উপযোগী হয়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো অন্যান্য পাখির মতো কবুতর খাদ্যের অপচয় বেশি করে না। বরং বলা যায় অপচয়রোধী পাখি কবুতর।

বলা হয় পৃথিবীতে ৬০০ জাতের কবুতর রয়েছে। ‘জালালি কবুতর’ উন্নত জাতের দেশি কবুতর। এ ছাড়াও মাংস উৎপাদনের জন্য হোয়াইট কিং, টেক্সেনা, সিলভার কিং, হামকাচ্চা, কাউরা, হোমার, গোলা, ডাউকা, লক্ষ্যা ও পক্কা উল্লেখযাগ্য কবুতরের জাত।

আমাদের দেশে শখের বশে সিরাজী, ময়ুরপঙ্খী, লাহোরি, ফ্যানটেইল, জেকোভিন, মুখি, গিরিবাজ, টাম্পলার, লোটন প্রভৃতি কবুতর বেশি চাষ করা হয়। গিরিবাজ কবুতর উড়ন্ত অবস্থায় ডিগবাজি খেয়ে মানুষের নজরকাড়ে।

কবুতরের জন্য ঘর তৈরি পদ্ধতি আগে জেনে নিতে হবে। ক্ষতিকর প্রাণী ও পাখি যাতে কবুতরকে খেয়ে ফেলতে না পারে সে জন্য প্রয়োজন উঁচু ও শক্ত ঘর তৈরি করতে হবে। হালকা কাঠ, বাঁশ ও বাঁশের চাটাই, শন, পলিথিন, খড় ইত্যাদি সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে কবুতরের ঘর বানানো যায় সহজেই।

প্রতি জোড়া কবুতরের জন্য এক বর্গফুট করে ঘর হলেই চলে। একই সঙ্গে একই জায়গায় কবুতরের ঘর কয়েক তলা করা যেতে পারে। এতে খরচও বাঁচে। এক বর্গফুট মাপের ঘরের সামনে ৫ থেকে ৬ ইঞ্চির বারান্দা অবশ্যই রাখতে হবে, যাতে কবুতর সহজে দূর থেকে উড়ে এসে আশ্রয় নিতে পারে আবার খাবারও খেতে পারে। প্রতি ঘরের দরজা রাখতে হবে ৪ ইঞ্চি বাই ৪ ইঞ্চি।

ঘর সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতি মাসে একবার করে ঘর পরিষ্কার করে দিতে হবে। ডিম পাড়ার সময় যাতে সহজেই খড় সংগ্রহ করতে পারে সে জন্য কবুতরের ঘরের আশপাশে খড় রেখে দিতে হয়। ঘর রাখতে হবে সবসময় শুকনো। কবুতর সাধারণত জোয়ার, ভুট্টা, ধান, চাল, কলাই, কাউন, মটর, খেসারি, সরিষা, গম কবুতরের পছন্দনীয় খাবার। এসব খাদ্য প্রতিদিন প্রত্যেকটি কবুতরের জন্য ৩৫ থেকে ৬০ গ্রাম খাদ্য প্রয়োজন।

এছাড়া বাজারেও কিনতে পাওয়া যায় কবুতরের খাবার। তবে সেসব খাদ্যে ১৫% থেকে ১৬ % আমিষের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। প্রতি ঘরের সামনে নিয়ম করে খাবার রেখে দিতে হবে সকাল ও বিকালে, সেই সঙ্গে দিতে হবে পর্যাপ্ত পানির জোগানও। ঘরে কবুতরের সুষম খাদ্য তৈরি করা যায়।

কবুতরের জন্য প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যে ভুট্টা ভাঙা ৩৫ গ্রাম, গম ভাঙা ২০ গ্রাম, সরিষা দানা ১৫ গ্রাম, ছোলা ভাঙা ২০ গ্রাম, সয়াবিন ভাঙা ৫ গ্রাম, চালের কুঁড়া ৪.৫ গ্রাম, লবণ ০.৫ গ্রাম।

কবুতরের কবুতরের খুব বেশি রোগের প্রকোপ দেখা যায় না। তবে যেসব রোগ হয় সেগুলোর মধ্যে বসন্ত, কলেরা, রক্ত আমাশয় যাকে বলা হয়ে থাকে ককসিডিওসিস, আরও আক্রমণ করতে পারে কৃমি।

কবুতরের বসন্ত রোগে পালকবিহীন স্থানে ফোস্কা পড়ে। গলার ভেতর ঘা হয়, খেতে পারে না। রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত কবুতরের গুটিতে টিংচার আয়োডিন বা স্যাভলন লাগানো যেতে পারে। কবুতরের বয়স যখন চার সপ্তাহ তখন পিজিয়ন পক্স টিকা বুকে ও পায়ের পালক তুলে সিরিঞ্জ দিয়ে দিলে বসন্ত রোগ হয় না।

কলেরা রোগ হলে অস্বাভাবিকভবে কবুতরের দেহের তাপমাত্রা বাড়ে। শ্বাসকষ্ট হয়, পিপাসা বাড়ে, সবুজ বা হলুদ রঙের ঘন ঘন পায়খানা হতে পারে, কবুতরের ওজন কমে যায়। শেষে কবুতর হঠাৎই মারা যায়। কলেরা রোগে আক্রন্ত কবুতরকে রোগ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে টেরামাইসিন ক্যাপসুল বা ইনজেকশন বা কসুমিক্স প্লাস দেয়া যেতে পারে। রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস রোগে রক্ত পায়খানা হয়। খাবার প্রতি অরুচি বাড়ে ও শরীরে দুর্বলতা দেখা যায়। শেষে পালক ঝুলে পড়ে।

রোগ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গ বা রোগের আশঙ্কা করলে পানিতে মিশিয়ে ই.এস.বি-৩ আ এমবাজিন জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে হবে প্যাকেটের নির্দেশনা মতো। কৃমি হলে কবুতর দুর্বল হয়ে পড়ে ও ডায়রিয়া হয়। পানির পিপাসা বাড়ে। রক্তশূন্যতা দেখা যায়। ঠিকমতো কবুতরের যত্ন নিলে এটি পালন করে আনন্দ লাভের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৩, ২০২২ ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
জেনে নিন দুধ উৎপাদনে সেরা জাতের গরুর পরিচয়
প্রাণিসম্পদ

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদনকারী গাভী হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান। এখন পর্যন্ত দুধ উৎপাদনের যত রেকর্ড আছে, সবই এই জাতের গাভী দখলে।

মাংসের বাজারেও এদের রয়েছে সরব উপস্থিতি। সারা বিশ্বে মোট উৎপাদিত দুধের প্রায় ৫০ শতাংশ এই জাতের গরু থেকে পাওয়া যায়।

একে শুধু দুধ উৎপাদনকারী গাভী হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এই জাতের ষাঁড়ও বৃহৎ আকৃতির হয়ে থাকে। এই জাতের এক একটি পূর্ণবয়স্ক ষাঁড়ের ওজন ৭০০ থেকে এক হাজার কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এক একটি গাভীর উচ্চতা প্রায় ৫৫ থেকে ৭০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

হোলস্টাইন অর্থ সাদা-কালো ডোরাকাটা আর স্থানের নাম ফ্রিজল্যান্ডের সঙ্গে মিলিয়ে এই গরুর নাম হয় হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান। জাতের গরুর আধিনিবাস জার্মানিতে। মূলত জার্মানির কালো জাতের গরু এবং নেদারল্যান্ডের সাদা জাতের গরুর সংকরায়ণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় যুগান্তকারী এই নতুন জাতের গরু।

সাদা-কালো মিশেলের জন্ম নেয়ায় এই গরুর দুধ উৎপাদনের সক্ষমতা সবাইকে চমকে দেয়। এই জাতের গরু এখন আর শুধু জার্মানির আর নেদারল্যান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি তৈরি করেছে খ্যাতিও। বর্তমান বিশ্বে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ানের সঠিক সংখ্যা কত তা জানা যায় না।

তবে ১৯৯০ সালে শুধু আমেরিকায় নিবন্ধনকৃত এই গরুর সংখ্যা ছিল ৪০ মিলিয়নেরও বেশি।

এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় পালনকৃত এক দশমিক ছয় মিলিয়ন ডেইরি গরুর প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান।

লাতিন আমেরিকা থেকে নিউজিল্যান্ড, কানাডা থেকে রাশিয়া পর্যন্ত পৃথিবীর এমন কোনো গরু পালনকারী ভূখণ্ড নেই, যেখানে কালো সাদা জাতের গরু ব্র্যান্ডিং হয়নি।

তবে সর্বোচ্চ সংখ্যায় পালনকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইংল্যান্ড, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত। বিশাল দেহি এই নরম জাতের এবং দুর্বল হজম ক্ষমতার গরু হিসেবে পরিচিত হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান।

এরা সাধারণত সাদা খর বিশিষ্ট হয়ে থাকে। মাথার উপরে সাদা টিক দেখে সহজে সনাক্তযোগ্য হলেও বিশুদ্ধ কালো জাতের গরু ও দেখা যায়।

এই জাতের গরুর জীবনকাল ছোট হওয়ায় দুধ উৎপাদনের সময়ও কম। ইংল্যান্ডের এই জাতের গরুর গড় জীবনকাল ১২ থেকে ১৪ বছর হয়ে থাকে। এরা বাচ্চাপ্রদান গড়ে পাঁচটি। একটি হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ানগরুর বাচ্চার ওজন ৪০ থেকে ৬০ কেজি পর্যন্ত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১১, ২০২২ ৫:৫৫ অপরাহ্ন
ইসলামপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক উদ্বোধন
প্রাণিসম্পদ

জামালপুর ইসলামপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে ভেটেরিনারী ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি।

এ সময় তিনি বলেন- সরকার এদেশের কৃষক,খামারীর কথা চিন্তা করে প্রাণিসম্পদের আধুনিক চিকিৎসার জন্য খামারীর বাড়ীতে চিকিৎসক নিশ্চিতে সারা বাংলাদেশের ৩৬০ টি উপজেলায় আধুনিক সরঞ্জাম সুবিধা সহ মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক প্রদান করেছে। দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরনে এই উদ্যোগ সুফল বয়ে আনবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. তানভীর হাসান রুমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল, পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তোফায়েল আহমেদ, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আরমান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ ডা. শফিকুর রহমান শিবলী বক্তব্য রাখেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১০, ২০২২ ৬:১০ অপরাহ্ন
কালিন্দিতে নৌকাসহ ৬ ভারতীয় গরু আটক
কৃষি বিভাগ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কালিন্দি নদীর চর থেকে ছয়টি ভারতীয় গরুসহ একটি নৌকা আটক করা হয়েছে। তবে, এসময় কোনো চোরাকারকারীরা আটক করতে পারেনি নৌ পুলিশ।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে আনার সময় এসব গরু আটক করা হয়।

শ্যামনগরের রমজাননগর ইউনিয়নের রায়নগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারক বিশ্বাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নৌকাসহ ভারতীয় গরুগুলো আটক করা হয়। পরে আটক গরুগুলো কালিগঞ্জের বসন্তপুর কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর নৌকাটি নৌ-পুলিশের অফিস সংলগ্ন নদীতে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আটক গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৮, ২০২২ ৭:৫২ অপরাহ্ন
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন একজন সার্থক দেশপ্রেমিক: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব শুধু একজন সার্থক নারীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সার্থক দেশপ্রেমিক। তিনি ছিলেন একজন সার্থক মা, একজন সার্থক স্ত্রী। তিনি দেশের জন্য অসামান্য অবদান রাখা একজন মহিয়সী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে আমাদের শিখতে হবে। ব্যক্তি জীবনে ও রাজনীতিতে বঙ্গমাতাকে স্মরণের মধ্য দিয়ে আমরা উপকৃত হতে পারি, শিক্ষা নিতে পারি।

সোমবার (৮ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পেছনে অনবদ্য অবদান রেখেছিলেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি অনুপ্রেরণা, ভালোবাসা, শক্তি ও সাহস দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু হিসেবে অর্জনের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন।

মন্ত্রী যোগ করেন, দেশের রাষ্ট্রপতির স্ত্রী হিসেবে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব কখনই বিত্ত-বৈভবে আকৃষ্ট ছিলেন না। তিনি সন্তানদেরও কখনো বিত্ত-বৈভবের দিকে প্ররোচিত করেন নি। এর মধ্য দিয়ে তাঁর সততা, দেশপ্রেম ও আদর্শিক জায়গা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে । তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বীরাঙ্গনাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিজের জীবন উৎসর্গ করে জাতির জনককে বাঁচাতে চেয়েছিলেন। তাঁর হৃদয়ের বিশালতা, দৃঢ়চেতা মানসিকতা ও আত্মোৎসর্গের জায়গা ছিল অসাধারণ।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, সমকালীন ইতিহাসের বিপ্লবী নেতা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী হয়েও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব আড়ালে থাকা প্রচারবিমুখ মানুষ ছিলেন। তিনি অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন স্বল্পভাষী। কিন্তু তিনি ছিলেন অসীম সাহস ও দৃঢ় মানসিক শক্তির মানুষ। তাঁকে কখনও নতজানু করা যায়নি। বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকার সময় নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও তিনি দুই ছেলেকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছেন। বঙ্গমাতা এতটাই দৃঢ়চেতা, আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী মানুষ ছিলেন। তিনি দেশের জন্য যে কাজ করেছেন তা সামনে থাকা অনেক মানুষও করতে পারে না।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক মো. শেফাউল করিম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মনজুর হাসান ভুঁইয়াসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।জনসংযোগ কর্মকর্তা

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২২ ৮:১৬ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে বানোয়াট গল্প তৈরি করে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আধুনিক বাংলাদেশ না থাকলে আমরা এরকম সমৃদ্ধির অবস্থায় থাকতাম না। তাই নিজেদের স্বার্থে, ত্রিশ লক্ষ শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের স্বার্থে, বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সাধনা বাস্তবায়নের স্বার্থে শেখ হাসিনার অভীষ্ট ও লক্ষ্য পরিপূর্ণভাবে সফল করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে হতে হবে।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকালে রাজধানীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ কামাল তারুণ্যের অহংকারই শুধু নয় এক সম্ভাবনাময় প্রতিভা ছিলেন। সে প্রতিভা অকালে বিনাশ করে দেওয়া হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবে, যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন দক্ষ সংগঠক টিকে থাকতে না পারে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি মুজিবকে হত্যার টার্গেট ছিল তা নয়, টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের সব কিছু নিঃশেষ করে দেওয়া। সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বেঁচে থাকায় বাংলাদেশকে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল ধারায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। বিধ্বস্ত-বিপর্যস্ত বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলের পরিণত করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘৭৫ এ একটি মহল চরম অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছিল। তারা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও আওয়ামী লীগকে ঘিরে জঘন্যতম মিথ্যা অপপ্রচার চালাত। সে সময় শেখ কামালকে যারা বিতর্কিত করতে চেয়েছিল তারা সফল হয়নি। শেখ কামাল বিনম্র প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি আধুনিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে চাইতেন। তিনি ক্রীড়াঙ্গনকে সক্রিয় করে তুলেছিলেন। তিনি ছাত্র রাজনীতিকে পরিশীলিত ও পরিমার্জিত করে দেশের গোটা যুব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সংগঠকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ১৯৭৫ সালে বিতর্কিত করার অপচেষ্টাকারীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশে ও দেশের বাইরে ‘৭৫ এর মতো সমালোচনা, অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও নেতিবাচক প্রচারণা শুরু হয়েছে। অপপ্রচারকারীদের লক্ষ্য বঙ্গবন্ধু পরিবারকে বিতর্কিত করা। বর্তমানে বিদেশে বসে ইউটিউবে, ফেসবুকে এবং দেশের ভেতরে ভয়াবহ অপপ্রচার শুরু হয়েছে। শেখ কামালের জন্মদিনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারকারীদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু পরিবার ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক শেফাউল করিম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মনজুর হাসান ভুঁইয়াসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আবাহনী মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকারের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২২ ৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
জমানো টাকায় গরুর খামার করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন আজম সরকার
প্রাণিসম্পদ

জমানো টাকা দিয়ে শুরু করেন খামার। আর এতেই বাজিমাত করেন কক্সবাজার টেকনাফের আজম সরকার। তার খামারে বর্তমানে ৫০টি ষাঁড় ও ২০টি গাভীসহ মোট ৭০টি গরু রয়েছে। জমানো টাকা দিয়ে গরুর খামার করার সিদ্ধান্ত নেন। এখন সেই খামার থেকেই লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। গত কোরবানি ঈদে বড় বড় ২০টা গরু বিক্রি করেছেন। এতে তার বেশ লাভ হয়েছে। আগামী কোরবানির ঈদে আরো বেশি গরু বিক্রি করার লক্ষ্য নিচ্ছেন।

বিগত দুই বছর যাবত ইউটিউব থেকে দেখে খামার করা শিখেছেন। শিখার পর নিজস্ব জমিতে তিনি একটি গরুর খামার প্রতিষ্ঠা করেন। তার এই খামারে বর্তমানে ৫০টি ষাঁড় ও ২০টি গাভীসহ মোট ৭০টি গরু রয়েছে।

খামারি আজম সরকার বলেন, আমি দেশ ও বিদেশের অনেক খামার দেখে নিজে গরুর খামার করার উদ্যোগ নেই। বর্তমানে আমার খামারে মোট ৭০টি গরু আছে। প্রাকৃতিক উপায়ে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া গরু লালন পালন করছি। প্রতিবছর কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি করে লাভবান হতে পারব বলে আশা করছি। আর ঈদ ছাড়া অন্য সময় দুধ বিক্রি করতে পারলে তাতেই আমি সন্তুষ্ট ইনশাল্লাহ।

তার খামারে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে তিনি ৮ কানি জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছেন। এতে গো-খাদ্যের পর্যাপ্ত জোগান দেওয়া সম্ভব হবে। ঘাসের পাশাপাশি খৈলসহ প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। তার খামারটি বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে। খামার তৈরি করতে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো। খামারে সার্বক্ষণিক আটজন লোক কাজ করছেন।

তিনি আরো জানান, এবারের ঈদেই প্রথম গরু বিক্রি করে ৩ লাখ টাকা লাভ করেছেন। সামনে পুরো উপজেলায় দুধ বিক্রি শুরু করবেন। এতে অনেকটাই লাভ আসা শুরু করবে।

বর্তমানে ৮ জন শ্রমিক ও বাইরের একজন পশু চিকিৎসকসহ আজম সরকার দিনরাত গরুর খামারে সময় দেন। নিজেই খামার দেখাশোনা করেন। কোনো সমস্যা মনে হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেন।

তিনি জানান, শাহিওয়াল, ব্রাহমা, ফ্রিজিয়ান ও দেশি জাতের গাভি ছাড়াও দেশি-বিদেশি জাতের মোটাতাজা এঁড়ে গরু ৭০টি। বাছুর আছে ৬টি। এক মাসের মধ্যে খামারে গরুর সংখ্যা ২০০ হবে বলে জানান তিনি।

আজম সরকার নিজেই খামারের জন্য উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন হাট ঘুরে দেশি-বিদেশি জাতের সৌখিন গরু কিনে আনেন। এছাড়াও গাভী গরুও আনেন যেনো খামারে গরু আরো দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

কক্সবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জ্যোতির্ময় ভৌমিক জানান, এটা আসলে ভালো উদ্যোগ। প্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকে তাকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop