হনুমানকে ‘বিরক্ত’ না করতে বন বিভাগের আহ্বান
প্রাণ ও প্রকৃতি
বেশ কিছুদিন থেকেই নীলফামারী শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেফিরে একটি হনুমানকেই চোখে পড়ছে। উৎসুক মানুষের ভিড়ে দ্রুত স্থান পরিবর্তন করছে বিপন্নপ্রায় এই প্রাণীটি। ধারণা করা হচ্ছে, টাঙ্গাইল থেকে ট্রাকযোগে এদিকে এসেছে হনুমানটি। যথাসময়ে নিজ গন্তব্যে ফিরবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫ থেকে ২০ দিন আগে সৈয়দপুর থেকে নীলফামারীতে আসে এই হনুমানটি। বেশ কিছুদিন থেকে তাকে দেখা যাচ্ছে শহরের গাছবাড়ি, কৃষি ফার্ম, মিলনপল্লী, হাড়োয়া, পুরাতন রেলস্টেশন এবং সবশেষ মঙ্গলবার দেখা গেছে নীলফামারী সরকারি কলেজ এলাকায়।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকা থেকে ট্রাকে করে এদিকে আসতে পারে হনুমানটি। কারণ আনারস ও কলা ট্রাকে করে পরিবহন করা হয় এদিকে। হনুমানটি ওই ট্রাকগুলোতে এসেছে। তবে মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি এই প্রাণীটি।
জেলা শহরের গাছবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আবদুল ওয়াহেদ সরকার জানান, ১৫ দিন আগে আমার এলাকায় হনুমানটির দেখা মেলে। মোবাইল ফোন টাওয়ারে অবস্থান নেয় সে। আমরা অবশ্য ভাত, কলা খেতে দিয়েছিলাম। খেয়ে তাকে আবারো টাওয়ারে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সেখান থেকে আবার অন্যত্র চলে যায়।
শহরের মিলনপল্লী এলাকার বাসিন্দা আবদুল খালেক জানান, ১০ থেকে ১২ দিন আগে বিকেলে আমাদের পাড়ায় দেখা যায় হনুমানটি। উৎসুক মানুষ ভিড় করলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে সে। এ ছাড়া আগের দিন সকালে দেখা যায় কৃষি ফার্মের কদম গাছে। সেখান নেমে পুরাতন রেলস্টেশন এলাকার দিকে যায় সে।
ওই এলাকার বাসিন্দা আইনুল হক বলেন, প্রাণীটি কাউকে ক্ষতি করতে দেখিনি। তবে হনুমানটিকে কুকুর দেখতে পেলে উচ্চস্বরে ডাকাডাকি শুরু করে।
নীলফামারী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নূরুল করিম জানান, মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে কলেজ এলাকার একটি দেয়ালে তাকে বসে থাকতে দেখা গেছে। উৎসুক মানুষ দেখতে ভিড় জমায়। যেহেতু সে আমাদের ক্ষতি করছে না, সে হিসেবে সংরক্ষণ করার সুযোগ থাকলে কর্তৃপক্ষ সেটি করতে পারে।
রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মতলুবুর রহমান জানান, হনুমানটি টাঙ্গাইল মধুপুর থেকে ওই এলাকায় গেছে। কিছুদিন পর আবার সে তার এলাকায় ফিরে যাবে এক্ষেত্রে তাকে বিরক্ত করা যাবে না। এ সময় হনুমানটিকে বিরক্ত না করার আহ্বান জানান তিনি। বন বিভাগের এই কর্মকর্তা আর বলেন, আমরা হনুমানটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছি।