১০:৩৬ অপরাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ১৮, ২০২২ ৯:০৫ পূর্বাহ্ন
বাঁধ ভেঙে স্রোত, ভেসে গেল আট কোটি টাকার মাছ!
মৎস্য

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দুর্গাবাটিতে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে স্রোতে ভেসে গেছে পাঁচ হাজারের বেশি মৎস্য ঘের ও কাঁকড়ার খামার। এতে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে ওই এলাকার মাছচাষি ও কাঁকড়া খামারিদের।

বাঁধ ভাঙার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও রবিবার (১৭ জুলাই) পর্যন্ত বাঁধ মেরামত করা যায়নি।

দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি বাঁধ মেরামত করা সম্ভব না হয় তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এর আগে শুক্রবার সকালে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে।

সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে বুড়িগোয়ালিনীতে ইউনিয়নের পাঁচ হাজারের অধিক মাছের ঘের ও কাঁকড়া খামার।

এসব ঘের ও খামারে চিংড়ি, কাঁকড়া, সাদা মাছসহ মাছের পোনা চাষ হয়। সবমিলিয়ে সাড়ে আট কোটি টাকার মাছ ও কাঁকড়া পানিতে ভেসে গেছে।

তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা প্রস্তুত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তালিকা প্রস্তুত শেষ হলে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। জেলা প্রশাসক আশ্বাস্ত করেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৭, ২০২২ ৭:৪২ পূর্বাহ্ন
মনোহরদীতে বিষ ঢেলে মাছ নিধন
মৎস্য

নরসিংদীর মনোহরদীতে বিষ ঢেলে পুকুরের মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এতে প্রায় ছয় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন মৎস্য চাষি মোক্তার হোসেন।

শুক্রবার রাতে কাচিকাটা ইউনিয়নের উত্তর কাচিকাটা গ্রামে পুকুরে বিষ ঢালার এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষি মোক্তার হোসেন জানান, বাড়ির পাশে দেড় বিঘা জমির একটি পুকুর লিজ নিয়ে তিনি মাছ চাষ করে আসছেন। পুকুরে আট মাস আগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়েন।

এ বিষয়ে মনোহরদী থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৬, ২০২২ ৬:৩২ অপরাহ্ন
গরমে মাছ চাষিরা যা করবেন
মৎস্য

বেশ কয়েকদিন ধরে সারাদেশে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। এই গরমে মাছ চাষিদের সতর্ক হওয়া দরকার। তবে তাদের করণীয় কি সে বিষয়ে বেশিরভাগ মাছ চাষিরাই জানেন না। জেনে নিন প্রচণ্ড গরমে মাছ চাষিরা যেভাবে মাছের যত্ন নেবেন।

মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা ২৪-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এখন এর চেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ চলছে। তাপমাত্রা অত্যাধিক বেশি থাকলে পুকুরের পানিতে অক্সিজেন দ্রবীভূত থাকার পরিমাণ অনেক কমে আসে। গরমের কারণে পুকুরের পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

তীব্র গরমের ফলে মাছ চাষের পুকুরে অক্সিজের সংকট দেখা দিতে পারে। এ সময়ে মাছ ভেসে ওঠে।

এছাড়াও পরিবেশগত চাপ সহ্য করতে না পেরে মাছ মারাও যেতে পারে।

মাছ ভেসে উঠলে কিছু কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। সকালে মাছ ভাসলে প্রতি শতকে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করতে হবে। আবার দুপুরের পর ভাসলে একই হারে লবণ প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে রাসায়নিক সমস্যা থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যাবে।

এ সময় বিশেষ পরিচর্যার মধ্যে অন্যতম হলো মাছের খাবার কমিয়ে আনতে হবে। পরিমিত খাবার দিতে হবে। হররা টেনে পুকুরের তলার গ্যাস বের করে দিতে হবে। এটি মাছ চাষের অত্যাবশ্যকীয় একটি করণীয়।

অক্সিজেনের ঘাটতির জন্য প্রতি শতকে অক্সিজেন ট্যাবলেট প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে এটি খুবই ব্যয়বহুল।

সম্ভব হলে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। ১৫ দিন অথবা ১ মাসের মধ্যে পানি প্রবেশ করানো খুব ভালো। কিন্তু এখন অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে এটি সম্ভব হচ্ছে না। তাই পুকুরে মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে। যেন দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা যায়।

স্থায়ী সমাধান হিসেবে এরেটর সেট করতে হবে। এছাড়াও পুকুরে সেচের মাধ্যমে পানি প্রবেশ করানো যেতে পারে। গরমে মাছ চাষে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলেই অনেকাংশে দুর্ঘটনা কমানো যায়। মাছ চাষে বছরব্যাপী পরিকল্পনা রাখতে হবে। তাহলে এসব সমস্যা হবে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৫, ২০২২ ৯:১২ পূর্বাহ্ন
মা মাছ ছাড়াই ডিম থেকে প্রজনন!
মৎস্য

আধুনিক প্রযুক্তি থাকলে প্রায় সকল কাজই খুব সহজে করা সম্ভব। এই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রত্যেক জায়গায়, প্রত্যেকটি স্থানে এবং প্রত্যেকটি কাজে। সব কাজের মধ্যেই নতুন আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে। আধুনিক ভাবে কাজ করতে আমরা সকলেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। প্রযুক্তি ছাড়া যেন আমাদের এক মুহূর্ত চলে না। তাই এখন আমরা যেখানেই যাই না কেন প্রযুক্তি আমাদের থেকে দূরে যায় না বরং আমাদের হাতের কাছেই এসে ধরা দেয়।

এমন একটি অদ্ভুত ও চমৎকার প্রযুক্তি হল জল থেকে ডিমওয়ালা মা মাছ গুলোকে ধরে সেই ডিমগুলোকে সংগ্রহ করে সেই ডিমগুলো থেকে আবার বাচ্চা ফোটানোর কাজ করে সেই বিশেষ প্রযুক্তি। মা মাছ ছাড়া প্রজনন কাজ প্রায় অসম্ভব। কিন্তু প্রযুক্তির কাছে সবকিছু হার মানতে বাধ্য। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই অসাধ্য সাধন করা সম্ভব হয়েছে। হয়েছে মাছের বংশ বিস্তার করার একটি সুন্দর ও ঝুঁকি মুক্ত মাধ্যম।

এমন একটি কাজ হচ্ছে মাছ চাষ করা। এখন বিভিন্ন কায়দায় মাছ চাষ করা হয় ।আধুনিক প্রযুক্তির দিয়ে প্রায় আধুনিকতার সাথে মাছ চাষ করে থাকে। এখন শুধু পুকুরে নয় বরং মাছ চাষ করার রয়েছে বিভিন্ন আধুনিক ফার্ম। সে ফার্মে মাছ চাষ করার পাশাপাশি মাছের ডিম থেকে মা ছাড়া বাচ্চা ফোটানোর কাজ করানো হয়। কিভাবে এ কাজগুলো সম্পন্ন করা হয় তা এখনো হয়তো অনেক মানুষের অজানা।

মাছ চাষ করার ফার্মগুলোতে প্রজনন করার সময় হয়ে গেলে মা মাছ থেকে ডিম সংগ্রহ করে সেই ডিম গুলোকে আবার বিশেষ পরিচর্যার মাধ্যমে রেখে দেয়া হয়।সংগ্রহকৃত সেই ডিম গুলো থেকে বাচ্চা ফোটানোর কাজ করা হয়ে থাকে। এক বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকে। মাছগুলোকে জল থেকে ধরে এনে সেই মাছগুলো ডিম সংগ্রহ করে।

সংগ্রহ করা ডিমগুলোকে এক বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করে মা ছাড়াই সে ডিমগুলো থেকে বাচ্চা ফোটানোর প্রক্রিয়া করে থাকে। আজকাল অনেক উন্নত মানের শিক্ষিত মৎস্যজীবী তারা এই অনন্য উন্নত পদ্ধতিতে তাদের মৎস্য খামার তৈরি করে ব্যবহার করছে। তাদের এই কাজটি প্রশংসার যোগ্য। তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন একটি কাজ করিয়ে যা অবিশ্বাস্য।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৪, ২০২২ ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু
মৎস্য

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হাওরে মাছ ধরার সময় ঝড়ো বাতাসে নৌকা ডুবিতে মুফতি বদরুল আলম (৪৫) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পাটলি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।

নিহতের চাচাতো ভাই তাজ উদ্দিন জানান, বুধবার রাতে মুফতি বদরুল আলম ও তার চাচাতো ভাই মুফতি রশিদ আহমদ জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের চানপুরচক গ্রামের বিলেরচক হাওরে মাছ ধরতে যান। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে তাদের নৌকাটি ডুবে যায়।

এ সময় মুফতি রশিদ আহমদ সাতার কেটে তীরে ওঠতে পারলেও হাওরের পানিতে ওই মাদ্রাসা শিক্ষক ডুবে মারা যান। পরে এলাকাবাসী তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।

সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ জানান, হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে নৌকা ডুবিতে তার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী ও স্বজনরা রাতে হাওর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৩, ২০২২ ২:৫২ অপরাহ্ন
পাবদা চাষে সহজে লাভবান হওয়ার কৌশল!
মৎস্য

আমাদের দেশে সুস্বাদু মাছের মধ্যে পাবদা অন্যতম। স্বাদের জন্য এটি ভীষণ জনপ্রিয়। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রাকৃতিক জলাশয়ে পাবদা মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে এ মাছ হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে পাবদা মাছ চাষ করে বেশ লাভবানও হওয়া যায়।

এ মাছ চাষের জন্য ৭ থেকে ৮ মাস পানি থাকে এরকম ১৫-২০ শতাংশের পুকুর কিংবা জলাশয় নির্বাচন করতে হবে। পুকুরটি বন্যামুক্ত এবং পর্যাপ্ত আলো বাতাসযুক্ত হতে হবে।

পুকুরের পাড় মেরামত করতে হবে। প্রথমে পুকুরকে সেচের মাধ্যমে শুকিয়ে ফেলা প্রয়োজন। পুকুর শুকানো সম্ভব না হলে প্রতি শতাংশে প্রতি ফুট গভীরতার জন্য ১৮-২৫ গ্রাম রোটেনন পাউডার দিয়ে সব ধরনের মাছ অপসারণ করতে হবে।

পুকুরের তলায় কাদা হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকলে হালকা করে কিছু বালি ছিটিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এর ফলে পুকুরের তলায় গ্যাস হবে না, পানি পরিষ্কার এবং পরিবেশ ভালো থাকবে।

রোটেনন প্রয়োগের ২ থেকে ৩ দিন পর শতাংশ প্রতি ১ কেজি হারে পাথুরে চুন প্রয়োগ করতে হবে। তবে চুন ছাড়াও জিওলাইট (প্রতি শতকে ১ কেজি) পুকুর প্রস্তুতির সময় প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি তথা প্রাকৃতিক খাদ্য বৃদ্ধির জন্য সার প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পুকুর প্রস্তুতির শেষ ধাপে সার প্রয়োগ করা হয়। চুন প্রয়োগের ৪ থেকে ৫ দিন পর শতকে ৮০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৪০ গ্রাম টিএসপি সার প্রয়োগ করা হয়। পুকুরে কোনো প্রকার জৈব সার দেওয়া যাবে না।

পুকুরে পোনা ছাড়ার আগে পরিবহনকৃত পোনা পুকুরের পানির তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। এর জন্য ১০ লিটার পানি ও ১ চামচ পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট অথবা ১০০ গ্রাম লবণ মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করতে হবে। এরপর তাতে ১ থেকে ২ মিনিট গোসল করিয়ে পোনা জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

Pabda

সার প্রয়োগের ৪ দিন পর পানির রং সবুজ বা বাদামি হলেই পুকুরে পোনা মজুত করতে হবে। যদি সম্ভব হয় পোনা ছাড়ার সময় থেকে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পুকুরে হালকা পানির প্রবাহ রাখতে হবে। এককভাবে চাষের ক্ষেত্রে শতাংশ প্রতি ৩-৪ গ্রাম ওজনের সুস্থ-সবল ২০০-২৫০টি পোনা মজুদ করা যেতে পারে।

মিশ্র চাষের জন্য প্রতি শতাংশে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি সাইজের ৫০টি পাবদা, ১০০টি শিং এবং ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি সাইজের ৫টি কাতলা, ১০টি রুই, ১০টি মৃগেল, ২টি সিলবার কার্প ও ২টি গ্রাস কার্পের সুস্থ পোনা মজুদ করতে হবে। তেলাপিয়ার সঙ্গে পাবদা মাছ ভালো হয়ে থাকে এ কারণেই যে তেলাপিয়ার অবাঞ্চিত বাচ্চা পাবদা মাছ খেয়ে তাড়াতাড়ি বড় হয়।

৩০ শতাংশ ফিশ মিল, ৩০ শতাংশ সরিষার খৈল, ৩০ শতাংশ অটোকুড়া, ১০ শতাংশ ভূষি ও ভিটামিন প্রিমিক্স সহকারে সম্পূরক খাবার তৈরি করা যায় অথবা বাজারের কৈ মাছের ফিড খাওয়ালেও চলবে। এরা সাধারণত রাতে খেতে পছন্দ করে। তাই উপরে আলোচিত খাবারটি রাতে দুবার প্রয়োগ করা যেতে পারে। মিশ্র চাষের ক্ষেত্রে অন্যান্য মাছের জন্য স্বাভাবিক নিয়মে খাবার দিতে হবে। পোনা মজুদের পরের দিন থেকে মাছকে তার দেহ ওজনের ১২ শতাংশ থেকে আরম্ভ করে দৈনিক খাবার দিয়ে যেতে হবে। প্রতি ১৫ দিন অন্তর খাদ্য প্রয়োগের হার শতকরা ১ শতাংশ করে কমাতে হবে।
পাবদা মাছের ওজন ৩০ গ্রামের বেশি হলে খাদ্য প্রয়োগের পরিমাণ হবে তার দেহ ওজনের শতকরা ৫ শতাংশ।

৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে ৩০-৩৫ গ্রাম ওজনের হলে মাছ আহরণ করা যাবে। আধা-নিবিড় পদ্ধতিতে একক চাষের শতাংশে ১৪ থেকে ১৫ কেজি মাছ উৎপাদন করা যেতে পারে।

তথ্য সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৩, ২০২২ ১:৫৩ অপরাহ্ন
পদ্মায় ধরা পড়ল ১৫ কেজি ওজনের ব্রিগেড
মৎস্য

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে ১৫ কেজি ওজনের একটি ব্রিগেড মাছ ধরা পড়েছে। মাছটির দাম হয়েছে ১১ হাজার ৫শ টাকা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলে সোনাই হালদারের জালে ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে।

জেলে সোনাই হালদার জানান, পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ৭নং ফেরি ঘাটের অদূরে ব্রিগেড মাছটি জালে ধরা পড়ে। তখনই দৌলতদিয়া বাইপাস সড়কের পাশে অবস্থিত ৫নং ফেরি ঘাটের স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সম্রাট মো. শাহজাহান শেখের কাছে ৭শ টাকা কেজি দরে ১৫ কেজি ওজনের মাছটি ১০ হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি করে দেই।

দৌলতদিয়ার মৎস্য ব্যবসায়ী সম্রাট মো. শাহজাহান শেখ জানান, বড় সাইজের ব্রিগেড মাছটি ১০ হাজার ৫শ টাকা দিয়ে সোনাই হালদারের কাছ থেকে কিনে নিয়েছি। এখন মাছটি প্রতি কেজিতে আমি ৫০ টাকা লাভ করে বিক্রি করে দেব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১২, ২০২২ ৬:১৮ অপরাহ্ন
নান্দাইল ফিশারিতে বিষ, পাঁচ লাখ টাকার মাছ নিধন!
মৎস্য

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়ার ফিশারিতে বিষ প্রয়োগে পাঁচ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার ভোরে বাচ্চু মিয়া তার ফিশারিতে ভাসমান অবস্থায় অসংখ্য মাছ দেখতে পান। এ ঘটনায় নান্দাইল মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন তিনি।

নান্দাইল মডেল থানায় দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাচ্চু মিয়া তার বাড়ির পূর্বপাশে ৫০ শতাংশ ফিশারি ও ২০ শতাংশ বেগুন ক্ষেত করেছেন। রোববার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত ১০টার দিকে ফিশারি ও বেগুন ক্ষেত দেখাশোনা করে বাড়িতে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যান। সোমবার (১১ জুলাই) সকালে গিয়ে বাচ্চু মিয়া দেখেন অজ্ঞানামা কে বা কারা ৫০ শতাংশ জমিতে থাকা মাছে বিষ প্রয়োগ করেছে। এর ফলে ওই ফিশারিতে থাকা প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মাঝ মারা গিয়েছে।

এছাড়া ওই জামিরে ২০ শতাংশ জমিতে রোপন করা বেগুন ফসলও উঠিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে আরো ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী বাচ্চু মিয়া। সোমবার (১১ জুলাই) সকালে তিনি স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে নান্দাইল মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২, ২০২২ ১০:২৬ অপরাহ্ন
বরগুনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার, আটক ৬
মৎস্য

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগর থেকে মাছ শিকার করায় একটি ট্রলারসহ ৬ জেলেকে আটক ও ২৭৬ কেজি ইলিশ ও সামুদ্রিক মাছ জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড পাথরঘাটা স্টেশন।

শনিবার দুপুরে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. বিএন কে এম সফিউল কিঞ্জল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শুক্রবার রাতে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলাধীন চরদুয়ানী বাজার সংলগ্ন খালের সেতু এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পাথরঘাটা স্টেশন। এ সময় ওই এলাকা থেকে এফবি আব্দুল্লাহ নামে একটি ইঞ্জিন চালিত কাঠের ট্রলার এবং সমুদ্র থেকে ধরা ২৭৬ কেজি ইলিশ ও সামুদ্রিক মাছ জব্দসহ ৬ জেলেকে আটক করা হয়।

এ প্রসঙ্গে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কে এম শাফিউল কিঞ্জল জানান, সাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৬, ২০২২ ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
নাগেশ্বরীতে বন্যায় ক্ষতিতে ৩১৬ মাছচাষি
মৎস্য

নাগেশ্বরীতে বন্যায় একাকার হয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, নদীনালা, খাল-বিল, পুকুর ও জলাশয়। এর ওপর দিয়ে তীব্র স্রোতে প্রবাহিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ জলরাশি। বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পুকুর ও জলাশয় ডুবে বেরিয়ে গেছে মাছ। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উপজেলার মাছচাষিরা।

উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্যানুযায়ী, এবারের বন্যায় বেরিয়ে গেছে ৩২৫টি পুকুর ও ৩১ দশমিক ৩৩ হেক্টর জলাশয়ের ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকার মাছ। এতে ক্ষতিতে পড়েছে ৩১৬ মাছচাষি।

মাছচাষি পদ্ম কুমার দাস জানান, তিনি এবার একটি বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার ঋণের টাকায় নুনখাওয়া ইউনিয়নের বোয়ালমারীতে দুই বিঘা জমির একটি পুকুর লিজ নিয়ে ৪০ হাজার টাকার পোনা ছেড়েছেন। কোনো বিপর্যয় না ঘটলে এ থেকে সব খরচ বাদে তার আয় হতো প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা। সে আশা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বন্যা। এখনো পানিতে তলিয়ে আছে পাড়সহ পুকুর। পুকুরে অবশিষ্ট নেই কোনো মাছ।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন জানান, এখন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতিতে অবশিষ্ট মাছ রক্ষায় পুকুরে খৈল ও ফিডের সঙ্গে স্পা তেল মিশিয়ে দিতে বলা হচ্ছে। যাতে খাবারের লোভে বাইরে থেকেও মাছ প্রবেশ করে এবং পুকুরের মাছ পুকুরেই থেকে যায়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop