৭:৪৯ অপরাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ৫, ২০২১ ৫:৫১ অপরাহ্ন
৪টি মাছের দাম ১৬ লাখ টাকা
মৎস্য

বরগুনায় ১৬ লাখ টাকায় দাতিনা নামের ৪টি মাছ বিক্রি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে প্রকাশ্য ডাকে মাছগুলো বিক্রি করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে পাথরঘাটার বাসিন্দা আউয়াল নামের এক জেলের মালিকানাধীন ট্রলারের জেলেরা জাল দিয়ে মাছ চারটি শিকার করেন।

বহির্বিশ্বে মূল্যবান এই মাছ দিন দিন কমে যাওয়ার কারণে সরকার এই প্রজাতির মাছ বৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ। ১৬ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়া এই চারটি মাছের ওজন ৯০ কেজি।

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, পাথরঘাটার বাসিন্দা আউয়ালের মালিকানাধীন ট্রলারের জেলেরা মঙ্গলবার রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে। পরে তাদের জালে স্থানীয়ভাবে দাতিনা নামে পরিচিত এই মাছ চারটি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে যা পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রকাশ্য ডাকে ১৬ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।

পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ডাকে মোট ১২ জন পাইকার অংশগ্রহণ করেন। এরপর সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১৬ লাখ টাকায় মাছ চারটি কিনে নেন মোস্তফা আলম নামের এক মৎস্য পাইকার।

এ বিষয়ে মৎস্য পাইকার মোস্তফা আলম বলেন, আমাদের দেশে এই মাছের তেমন একটা চাহিদা নেই। বিশেষ কারনে ভারত এবং চীনে এই মাছের দাম আকাশচুম্বী। মাছগুলো রপ্তানির জন্য আমি কিনে নিয়েছি।

এ বিষয়ে বরগুনার মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, বহির্বিশ্বে এই প্রজাতির মাছের চাহিদা এবং দাম প্রচুর। স্থানীয়ভাবে এ মাছ দাতিনা বা সাদা মাছ নামেই পরিচিত। দিন দিন এই মাছ কমে যাওয়ায় সরকার এই প্রজাতির মাছ বৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৫, ২০২১ ৩:১৯ অপরাহ্ন
সরকারের চমৎকার ব্যবস্থাপনায় ইলিশের উৎপাদন এখন বিশ্বের বিস্ময় – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

মোঃইফতেখার হোসেন শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) সকালে পিরোজপুর সার্কিট হাউজে মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের জেলা পর্যায়ের সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। পিরোজপুর জেলা মৎস্য অফিস ও ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।

সেমিনারে মন্ত্রী আরো বলেন, “একসময় ইলিশ এতটাই দুষ্প্রাপ্য হয়ে গিয়েছিল যে বাচ্চাদের ছবি একে দেখাতে হতো ইলিশ নামে একটা মাছ ছিল। অর্থাৎ ইলিশ হারিয়ে যাচ্ছিল। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বর্তমান সরকার জোরালো অবস্থান নিয়েছে। মা ইলিশ ও জাটকা আহরণ বন্ধ থাকাকালে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি। আকাশপথে মনিটরিং করে ইলিশ রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছি। ইলিশের জন্য গবেষণাগার তৈরি হয়েছে। অভয়াশ্রম করা হয়েছে। ইলিশ সম্পদ ধ্বংসের চেষ্টা যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে ৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে”।

তিনি আরো বলেন, “আমাদের একটা স্বপ্নের জায়গা হচ্ছে ইলিশ। এজন্য সরকারের উদ্যোগে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প নেয়া হয়েছে। ইলিশের স্বাদ, গন্ধ আমরা সবার কাছে পৌঁছে দিতে চাই। জলবায়ু পরিবর্তন, নদীর পানি দূষণ, অনিয়ন্ত্রিত ড্রেজিং এসব কারণে ইলিশের প্রজনন ও বিচরণ বিভিন্নভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কারণে কোনো কোনো সময় ইলিশ স্থান পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। বিষয়টি আমরা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছি। এ বছর অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বড় আকারের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। একদিকে ইলিশের পরিমাণ বাড়ছে, অপরদিকে ইলিশের আকার বাড়ছে। গন্ধও ফিরে আসছে। এসব কিছু সরকারের সুন্দর ব্যবস্থাপনার কারণে সম্ভব হয়েছে। এর কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার”।

“দেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের ৬০ শতাংশ আসে মাছ থেকে। গত তিন যুগে দেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৬ গুণ। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় খাবারের বড় যোগান তৈরি হচ্ছে। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। বেকারত্ব দূর হচ্ছে। মাছ রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করায় জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে”-যোগ করেন মন্ত্রী।

ইলিশ সম্পদ উন্নয়নসহ দেশের মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে সম্মিলিত ভূমিকা রাখার জন্য এসময় সকলকে আহ্বান জানান মন্ত্রী। মাছ থেকে নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদনের উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। মাছের খাবারের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য সরকার সচেষ্ট রয়েছে বলেও সংশ্লিষ্টদের আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী। মৎস্য খাত সংশ্লিষ্ট শিল্প স্থাপনে কর রেয়াতের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার, পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার এবং ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী। পিরোজপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী, পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুলু, বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ পিরোজপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক শিকদার চান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৫, ২০২১ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রামে ফিশারিঘাটে ভরা মৌসুমে দেখা মিলছে না ইলিশের
মৎস্য

সাগরে মাছ ধরা শুরু হলেও চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে আগের সেই সেই হাঁক ডাক নেই। জালে কাঙ্খিত পরিমাণ ইলিশ ধরা না পড়ায় হতাশ মৎস্যজীবীরা। ইলিশের সরবরাহ স্বল্পতার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামের বাজারেও। অন্যান্য সময় দিনভর সরগরম থাকা চট্টগ্রামের ফিশারিঘাট এখন অনেকটাই ফাঁকা। অল্প যা কিছু ইলিশ তার বেচাকেনা বেলা দশটা এগারোটার আগেই শেষ হয়ে যায়।

আগে সাগরে এক সপ্তাহ কাটালেই মিলতো প্রচুর ইলিশ কিন্তু এখনকার চিত্র ভিন্ন বলছেন মৎস্যজীবীরা। চাহিদা থাকায় দূর দূরান্ত থেকে পাইকাররা চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে আসলেও সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের দাম কিছুটা চড়া। আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে মন প্রতি ২৫ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকায়।

আগে ভরা মৌসুমে ফিশারিঘাটে দিনে বেচাকেনা হতো অন্তত ২ হাজার মণ ইলিশ এখন তা নেমেছে প্রায় ২শ মণে। তবে শীত মৌসুম শেষে আবারও ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মিলবে বলে আশা করছেন স্থানীয় আড়তদার মোহাম্মদ আলী।

ফিশারিঘাটে বিভিন্ন ধরনের মাছের শতাধিক আড়তে দৈনিক বেচাকেনার পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকার বেশি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৪, ২০২১ ২:৪৮ অপরাহ্ন
গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগে খামারির মাছ নিধন
মৎস্য

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক মৎস্য খামারির পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে এক লাখ টাকার মাছ মরে গিয়েছে বলে মৎস্যচাষি মাসুদ রানা দাবি করেন।

এ ঘটনায় মাসুদ রানা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলার ষষ্টিবর গ্রামে তার লিজকৃত পুকুরে এ ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ষষ্টিবর গ্রামের মৎস্য চাষি মাসুদ রানা একই গ্রামে ৪৪ শতকের একটি পুকুর লিজ নিয়ে রুই , কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া, জাপানি পুটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করছেন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোনো এক সময় পুকুরে বিষ (গ্যাস ট্যাবলেট) প্রয়োগ করে দুর্বৃত্তরা। পরে সকাল ৭টার দিকে পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বিষয়টি মাসুদ রানাকে অবগত করেন।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৪, ২০২১ ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
পদ্মায় জেলের জালে ২৫ কেজির বাঘাইড়, ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি
মৎস্য

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৫ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ। মাছটি ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে ৩২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।

বুধবার সকালে পদ্মা যমুনার মোহনায় দৌলতদিয়া প্রান্তে জেলে জাদু হালদারের জালে মাছটি ধরা পরে। পরে মাছটি বিক্রির উদ্দেশ্য দৌলতদিয়া মৎস্য আড়তে নিয়ে গেলে স্থানীয় ব্যাবসায়ী সম্রাট শাহজাহান তা কিনে নেয়।

জানা গেছে, জেলে জাদু  হালদার মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ৫ নং ফেরিঘাটের মৎস্য আড়তে নিয়ে আসে। সে সময় শাকিল-সোহান মৎস্য আড়তের মালিক সম্রাট শাহজাহান শেখ ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ৩০ হাজার টাকায় কিনে নেন। পরে সম্রাট শাহজাহান শেখ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে ৩২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন।

মৎস্য আড়তের মালিক সম্রাট শাহজাহান শেখ বলেন, পদ্মার বাঘাইড় মাছের অনেক চাহিদা। মাছটি কিনে আমি লাভে বিক্রি করেছি।

রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, জানান, পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি কমে যাওয়ায় এখন মাঝে মধ্যেই এমন বড় বড় আকৃতির মাছ ধরা পড়ছে। এ জাতীয় মাছ বিক্রিতে তেমন ঝামেলা নেই। এতে স্থানীয় জেলেরা লাভবান হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৩, ২০২১ ৯:৩২ অপরাহ্ন
জেলের জালে ধরা পড়ল ৭ লাখ টাকার রাঙা কোরাল
মৎস্য

কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিন দ্বীপের উত্তরে সাগরে এক জেলের টানা জালে ধরা পড়েছে ২০৪টি রাঙা কোরাল।প্রতিটি কোরাল মাছের গড় ওজন ৫ কেজি।পুরো মাছের স্তুপটি ৭ লাখ টাকায় কিনে নেয় স্থানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ী। 

সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের বাসিন্দা রশিদ আহমেদ প্রকাশ বাগগুলা রশিদ তার টানা জালের এক টানেই এই বিপুল পরিমাণ রাঙ্গা কোরাল পেয়ে এবং ভালো দাম পেয়ে উচ্ছ্বসিত।

সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটন কর্মী এম এ খোমেনি জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে স্থানীয় জেলে রশিদ আহমেদ তার টানা জাল নিয়ে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের উত্তর সাগরে প্রাসাদ প্যারাডাইজ পয়েন্টে জাল ফেলেন। মাত্র আধা ঘণ্টার ব্যবধানে সেই জালে বিশাল মাছের ঝাঁক ধরা পড়ায় দ্রুত তা তীরে তুলে আনেন। কূলে এনে দেখেন জালে একে একে ২০৪টি রাঙ্গা কোরাল মাছ ধরা পড়েছে।

জেলে রশিদ আহমেদ জানিয়েছেন, তার টানা জালে রাঙ্গা কোরাল মাছের একটি ঝাঁকের পুরোটাই ধরা পড়েছে। সাগরে এই মাছ ঝাঁক বেঁধে বিচরণ করে থাকে। তাই পুরো এক ঝাঁক কোরাল মাছই জালে ঢুকে যায়।

সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের উত্তর সৈকতে সেই রাঙ্গা কোরালের মাছের স্তুপ করেন জেলে রশিদ আহমেদ। পরে বিকেলেই স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মুফিজুল আলম সবগুলো মাছই ৭ লাখ টাকায় কিনে নেন।

সুস্বাদু এই মাছের কদর রয়েছে পর্যটকদের কাছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে এখন ট্রলারে করে অনেক পর্যটক যাচ্ছে। পর্যটকদের কাছে এই মাছের চাহিদা রয়েছে। মৎস্য ব্যবসায়ী মুফিজুল আলম কিছু মাছ স্থানীয় হোটেল রেস্তোরাঁয় বিক্রি করবেন এবং বাকি মাছ কক্সবাজার ও টেকনাফে বাজারে বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন।

সেন্টমার্টিন সমুদ্র উপকূলে মাঝে-মধ্যে এই রাঙা কোরালের ঝাঁক জেলেদের জালে ধরা পড়ে। এই মাছ সাগরে ঝাঁক বেঁধে বিচরণ করে থাকে বলে জানিয়েছেন মৎস্য বিশেষজ্ঞরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৩, ২০২১ ৮:৪০ পূর্বাহ্ন
তেলাপিয়া মাছ রোগাক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
মৎস্য

আমাদের দেশে এখন তেলাপিয়া খাঁচায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। তবে খাঁচায় চাষ করা তেলাপিয়া মাছ কিছু রোগে আক্রান্ত হয়। জেনে নিন তেলাপিয়া রোগে আক্রান্ত হলে প্রতিকারের জন্য যা করবেন।

জেনে নিন কিছু রোগের লক্ষণ:
মাছের কানকোর কিছু অংশ বিবর্ণ হয়ে যায়, অঙ্কীয়দেশে কিছু দাগ দেখা যায় ও মাছের পিত্তথলী স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড় হয়ে যায়। কেবল ১০০ থেকে ৪০০ গ্রামের মাছেই এই রোগ দেখা যায় আক্রান্ত-হওয়ার সাথে সাথে মাছ দ্রুত মারা যায়। মৃত্যুর আগে মাছগুলো কুণ্ডলি আকারে ঘোরাফেরা করে।

যেসব কারণে তেলাপিয়া এসব রোগো আক্রান্ত হয়,- কোনো অনুজীবের যেমন,- ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া আক্রমণ করলে রোগে মাছ আক্রান্ত হয়। এছাড়া আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক সার কিংবা আগাছা নাশকের ব্যবহার ও খাঁচায় মাছের জন্য অতিরিক্ত খাবার সরবরাহ হলে মাছ রোগাক্রান্ত হয়।

অন্যদিকে প্রতিটি খাঁচায় মাছের অধিক ঘনত্ব, খাঁচার ভেতরের পানির পিএইচ মানের এর তারতম্য ও খাঁচায় অক্সিজেন সরবরাহ কম ইত্যাদি কারণেও মাছের রোগ দেখা দেয়।

মাছ রোগাক্রান্ত হলে যা করবেন,-
খাঁচায় বেশি পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে, খাঁচায় মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে এবং খাদ্য সরবরাহ কমাতে হবে। এছাড়া নেট পরিস্কার রাখতে হবে, এন্টিবায়োটিক ডোজ বাড়াতে হবে ও খাঁচাগুলো সারিবদ্ধভাবে না রেখে আঁকাবাঁকা করে রাখা যেতে পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২, ২০২১ ১:৪৯ অপরাহ্ন
শীঘ্রই জিআই সনদ পেতে যাচ্ছে বাগদা চিংড়ি
মৎস্য

ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই সনদ পেতে যাচ্ছে বাগদা চিংড়ি। সনদ পেলে বাড়বে এ পণ্যের দাম। এতে লাভবান হবে এই পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে রপ্তানিকারকরা।

পাশাপাশি বাগদা চিংড়ির উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা পাবে বাংলাদেশ। সুস্বাদু, তাই বিশ্বে কদর আছে বাগদা চিংড়ির। গুণগত মানের কারণে ৮০’এর দশক থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত বাগদা রপ্তানি হচ্ছে দেশে-দেশে।

চাহিদার কারণে ২০১৭ সালে মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রনালয়ে পেটেন্ট ডিজাইন এবং ট্রেড  মার্ক বিভাগে বাগদা চিংড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের আবেদন করে। আর এই আবেদনের স্বীকৃতি পেলে অর্থকরী এই পণ্যের আর্ন্তজাতিক বাজারে জিআই সনদ মিলবে।

খুলনা ক্রিমসন রোজেলা সি ফুড লিমিটেড’র পরিচালক মোহম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, ‘জিআই পাওয়া আমাদের জন্য খুবই সাফল্যের ব্যাপার। আপনারা জানেন ইউরোপ-আমেরিকাতে জিএসপি ফেসালিটি আছে। জিএসপি ফেসালিটি পাওয়ার ক্ষেত্রে জিআই আরও সহায়ক হবে।’

এরই মধ্যে বাগদা চিংড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, জার্নাল প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে এটি নিজেদের বলে কেউ আপত্তি না করলে সনদ দেয়া হবে। এ পর্যন্ত কেউ এ বিষয়ে আপত্তি না জানানোয় জিআই অনুমোদনের দ্বারপ্রান্তে বাগদা চিংড়ি।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোটার অ্যাসোসিয়েশন’র সহ সভাপতি এস হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এটা পেয়ে গেলে এটা আমাদের নিজেস্ব পণ্য হিসাবে বিশ্ববাজারে পরিচিত হবে। আমরা এটাকে ব্যান্ড হিসেবে বিশ্ববাজারে অধিক দামে বিক্রি করতে পারবো।’

জিআই সনদ পেলে আর্ন্তজাতিক বাজারে নিজস্ব ট্যাগ মিলবে বাগদা চিংড়ির। এতে অন্যকোন দেশ আর বাগদা চিংড়িকে নিজের বলে দাবি করতে পারবে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১, ২০২১ ১১:১১ অপরাহ্ন
মাছের আড়তে মিলল ১০০ কেজি পিরানহা মাছ!
মৎস্য

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১০০ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পিরানহা মাছ জব্দ করে মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করা হয়েছে। এই মাছ রাখার দায়ে এক ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (১ নভেম্বর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের সোনাহাট বাজারের পাশে একতা মাছের আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা অভিযান চালিয়ে ১০০ কেজি নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ উদ্ধার করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী, স্যানিটারি ইন্সিপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক। পরে উদ্ধারকৃত পিরানহা মাছ উপজেলা প্রশাসন সংলগ্ন মাঠে মাটি চাপা দিয়ে ধ্বংস করা হয়।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী বলেন, পিরানহা মাছ মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এটি রাক্ষসী মাছ হিসেবে পরিচিত। তাই এ ক্ষতিকারক মাছ চাষ ও বিক্রি নিষিব্ধ। ক্ষতিকারক পিরানহা মাছ সম্পর্কে জনসচেতনা সৃষ্টিতে হাটবাজারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, মাঝে মধ্যে বাইরের এলাকা থেকে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে রূপচাঁদা বলে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রি করে প্রতারণা করে আসছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং ভোক্তা অধিকার আইনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৩১, ২০২১ ৯:৪২ অপরাহ্ন
মৎস্য চাষিদের জন্য আফতাব নিয়ে এলো ডিজিটাল অ্যাপস ও কল সেন্টার
এগ্রিবিজনেস

দেশের মৎস্য খামারীদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো আফতাব ডিজিটাল অ্যাপস্ ও কল সেন্টার । ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশে এক নব দিগন্তের সূচনা করলো দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান আফতাব ফিড প্রোডাক্টস্ লি:। ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে এবং ওয়ার্ল্ড ফিশ লিঃ ও আফতাব ফিড প্রোডাক্টসের যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পটি চালু হলো। শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর বনানীতে এক রেস্টুরেন্টে আফতাব ডিজিটাল অ্যাপস্ ও কল সেন্টার এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয় । এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ। আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড এর সিনিয়র ম্যানেজার (এডমিন অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) মো. মামুনুর রহমান এর সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয় ।

এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য নিয়ে আসেন আফতাব ফিড প্রোডাক্টস্ লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান । বক্তব্যের শুরুতেই তিনি ইসলাম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব জহুরুল ইসলামকে স্মরণ করেন । তিনি বলে- জহুরুল ইসলাম মনে করতেন কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে তাই যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল সেবাই পারবে খামারিদের অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে, খামারিগণ এই অ্যাপস ও কল সেন্টার থেকে সেবা গ্রহন করতে পারবেন, এতে দেশে বড় একটি বৈপ্লপবিক পরিবর্তন ঘটবে, অপ্রয়োজনীয় মধ্যস্বত্ত্বাভোগী হ্রাস পাবে ফলে লাভবান হবেন খামারি ও পরিবেশকগণ । জনাব আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান আরোও বলেন, অ্যাপসের মাধ্যমে দেশের যে কোন প্রান্তের খামারি অনলাইনে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পরামর্শ পাবেন আবার মাছের খাদ্যের অর্ডারও অনলাইনে করতে পারবেন আবার কল সেন্টারে ফোন দিয়ে মাছের খামারের যেকোন সমস্যায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারবেন, ফলে খামারিগণ অত সহজেই লাভবান হতে পারবেন ।

উল্লেখ্য, আফতাব ডিজিটাল অ্যাপস্ তৈরী করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আইটি প্রতিষ্ঠান সোর্স ট্রেস যারা বিশ্বের ৩৮ টি দেশে কাজ করছেন আর কল সেন্টারের সেবা দিচ্ছে এগ্রো সলিউশন ।  সোর্স ট্রেস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: রেশাদ আলম বলেন, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মৎস্য খামারিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সমস্যার সমাধানের ভিত্তিতেই অ্যাপসটি বানানো হয়েছে, এতে করে সাপ্লাই চেইন ছোট হবে, খামারিদের পরিবেশকদের প্রতি নির্ভরতা কমে আসবে, খামারিগণ লাভবান হবেন । এগ্রো সল্যুশন এর সিইও এবং একুয়াটিক এনিম্যাল নিউট্রিশনিষ্ট ও কনসালট্যান্ট মি: অং থোয়েন বলেন, আমাদের একটি টিম খামারিদের সাথে কথা বলবে, আরেকটি তিম কোয়ালিটি অনুযায়ী খামারি সার্ভিস পাচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিতে কাজ করবে, অন্য টিম কাজ করবে আরএনডি নিয়ে, অপর টিম থাকবে রিপোর্টিং এর দায়িত্বে । পুরো টিমিটাই সাজানো হয়েছে ফিশারিজ গ্রাজুয়েট দের নিয়ে ফলে খামারিগণ সর্বোত্তম সেবা পাবেন । 

আফতাবের এ ধরনের ডিজিটাল উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন ইউএসএআইডিএর ইকোনোমিক গ্রোথ অফিসার প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিষ্ট মোহাম্মদ সাঈদ শিবলি ও ওয়ার্ল্ড ফিশ এর চীফ অব পার্টি (কপ) ড. মঞ্জুরুল করিম। বক্তাগণ বলেন, দেশের মৎস্য চাষীগণের জন্য নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হলো, চাষীদের উৎপাদন বাড়বে, সর্বোপরী লাভবান হবেন ।

প্রধান অতিথি কাজী শামস আফরোজ বলেন, দেশের মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে, মৎস্য খাতের প্রবৃদ্ধি ৫.৭৪%, দেশের ১২ শতাংশ লোক এই খাতের সাথে জড়িত , নিরাপদ মাছ উৎপাদনে মৎস্য অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, আফতাব বহুমুখী ফার্মস মানসম্মত মাছের খাবার তৈরী করছে যা আগামীতেও অব্যাহত রাখতে হবে, অ্যাপস ও কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রাইভেট সেক্টরের দরজা খুলে গেল, অন্যদেরও এগিয়ে আসা উচিত, সর্বোপরী আফতাবকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানাই এই উদ্যোগের জন্য ।

সবশেষে, আফতাব ফিড প্রোডাক্টস্ লি: এর নির্বাহী পরিচালক জনাব এটিএম হাবিবুল্লাহর সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে । অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, গবেষক, ইউএসএআইডি, ওয়ার্ল্ড ফিশ এবং আফতাব ফিড প্রডাক্টস-এর কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, অ্যাপসটি গুগল প্লে স্টোর থেকে যে কেউ বিনামূল্যে ইনস্টল করতে পারবেন ।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop