রাজশাহীতে বাড়ছে মাছ চাষ, কমছে চাষের জমি!
কৃষি বিভাগ
রাজশাহীতে স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় এখন মাছ চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষিজমির মালিকরা। রাজশাহীর পবা উপজেলার বালানগর। স্বল্প সময়ে তরতাজা মাছ চাষের লক্ষে বিলের আবাদি জমিতে খনন করা হচ্ছে পুকুর। এতে করে মাছ চাষ বাড়লেও সেখানে কমছে চাষের জমি। যার কারণে বিপাকে পড়ছে সেখানকার কৃষি শ্রমিকরা।
অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, অপরিকল্পিত পুকুর খননের এ ধারা থামাতে না পারলে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি। জেলা প্রশাসন বলছে, এ ব্যাপারে সচেতন তারা।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর জানান, স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফার আশায় পুকুর খননে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। ফলে জেলার ৯ উপজেলায় ৫১ হাজার পুকুর থেকে বাৎসরিক মাছের উৎপাদন হচ্ছে ৮০ হাজার মেট্রিক টন।
মাছ উৎপাদনের চিত্র যতোটা আশাব্যঞ্জক, এর উল্টো দিক ঠিক ততোটাই হতাশাজনক। শুধু গেল তিন বছরে পুকুর খনন করা হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। এতে আবাদি জমি কমায় কাজ হারিয়ে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক নগরমুখী।
এমন বাস্তবতায় কৃষিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও অনিয়ন্ত্রিত পুকুর খননের চলমান ধারা বন্ধের কথা বলছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এ.এন.কে নোমান। আর যে কোনো জটিলতা এড়াতে এ বিষয়ে সচেষ্ট বলে দাবি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শরিফুল হক।