৭:২২ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২০, ২০২২ ২:৫৭ অপরাহ্ন
দেড় মাসের ব্যবধানে ধানের পর হারালেন গরু, দিশেহারা ফখরুল
কৃষি বিভাগ

মাত্র দেড় থেকে দুই মাস আগেই ফখরুল হারিয়েছেন জমির ধান। সেই ধকল কাটিয়ে উঠতে না–উঠতেই এই দফা বন্যায় এক রাতেই মারা গেছে প্রায় দেড় লাখ টাকা দামের তিনটি গরু।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাওনপুরের বাসিন্দা ফখরুল মিয়া জানান,গরু লালন–পালন করেই সংসার চলে। কি করব। তকদির মন্দ। বড় অসহায় হয়ে গেলাম।’

শনিবার বিকেলে বিশ্বনাথ সড়কে আরও অনেকের সঙ্গে জাল দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করছিলেন ফখরুল। ৫০ পেরোনো একজন মানুষ তিনি।

কিছুক্ষণ পরপর জাল তুলছেন। কিছু ছোট মাছ জালে উঠছে। তা ধরে ঝোলায় রাখছেন। অনেকক্ষণ পানিতে দাঁড়ানো, বৃষ্টি ও বাতাসে ঠান্ডা লেগে কাঁপছিলেন তিনি।

ফখরুল মিয়া জানান, গত শুক্রবার থেকে পানি বাড়ছে। এই দিনই বাড়িতে বন্যার পানি উঠে যায়। তাঁর ১৪টি গরু। চারদিকে পানি থাকায় গরুগুলো সরানোর কোনো সুযোগ পাননি। গরুগুলোও পানিতে ছিল। শুক্রবার রাতেই তিনটি গরু মারা গেছে। তাঁর ধারণা, ঠান্ডা লেগেই গরুগুলো মারা যায়। গরুর শোকে মন ভেঙে যায় ফখরুলের।

মৃত গরুগুলো পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছেন। তিনটি গরুর মূল্য আনুমানিক দেড় লাখ টাকা। এখন ১১টা গরু আছে। এগুলো নিয়েও বিপন্ন অবস্থা।

ফখরুল আরও জানান, ‘চাইছিলাম ঈদে গরু বিক্রি করি বড় মেয়ের বিয়া দিমু (বিয়ে দিব)। কিন্তু কিচ্ছু করার নাই। তকদির মন্দ। গরু মরায় মেয়েরা কান্নাকাটি করছে। কইছি, কান্দিও না। তকদিরে যা আছে, তাই অইব।’

প্রায় ১০-১২ বছর ধরে ফখরুল গরু লালন–পালন করেন। গরু বিক্রি করে যে আয় হয়, তাই দিয়েই সংসার চালান। তিন মেয়ে তাঁর। একজন স্নাতক শ্রেণিতে, একজন উচ্চমাধ্যমিকে এবং একজন এবারের মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী।

ফখরুল বলেন, ‘এ রকম পানি আর কোনো দিন দেখছি না। ঘরও পানি উঠি গেছে। চেষ্টা করছিলাম থাকার। পারতাম নায় (পারব না)। আইজ (শনিবার রাতে) হুরুত্বারে (সন্তানদের) আত্মীয় বাড়ি পাঠাই দিমু। গরু আছে। নিজে থাকমু (থাকবো)। পেনাটেনা (কচুরিপানা), খড়-পানি গরুরে খাওয়াইমু (খাওয়াব)। টিকানির চেষ্টা করা আরকি।’

দেড় থেকে দুই মাস আগের বন্যায় ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন চাল কিনে খেতে হচ্ছে ফখরুল ও তাঁর পরিবারকে। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু বিক্রি করে লাভের যে আশা দেখেছিলেন, এবার তাতেও ভাটা পড়ল।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৯, ২০২২ ৮:৪৪ অপরাহ্ন
বন্যায় ফসলের যতটুকু ক্ষতি হবে তা পুষিয়ে আনা সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

বন্যায় আমন ধানের ক্ষতি হবেনা, সারাদেশে খুববেশি বীজতলা করা হয়নি এখনো। আর এ বন্যায় যতটুকু ক্ষতি হবে, সেটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার দুপুরে রাজধানী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি ও গণমাধ্যম’ সেমিনারে একথা বলেন মন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন মাঠে বড় ধরনের কোনো ফসল নেই। এ বন্যায় যতটুকু ক্ষতি হবে, সেটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। সেজন্য ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতিও শুরু করা হয়েছে। ফলে এ বন্যায় বড় ধরনের ক্ষতি হবেনা।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বন্যায় আমন ধানের ক্ষতি হবেনা। সারাদেশে খুববেশি বীজতলা করা হয়নি এখনো। যা হয়েছে সেটাও নষ্ট হলে খুব সমস্যা হবে না। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত বীজ সংরক্ষিত আছে, পরবর্তীতে সেগুলো চাষীদের দেওয়া হবে। তবে আউশের ক্ষতি একটু বেশি হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন ১১ লক্ষ হেক্টর আউশের লক্ষ্য ছিলো, এর মধ্যে ২২ হাজার হেক্টর এখন পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ৩ লাখ ৮৭ হাজার হেক্টরে বিভিন্ন শাকসবজি আছে, সেগুলোর কিছু ক্ষতি হবে।

তবে এজন্য আমরা পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখেছি, যদি বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়৷ সেটা পুষিয়ে নেয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে, জানান কৃষিমন্ত্রী।

চ্যানেল আই পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, দৈনিক জনকণ্ঠের চীফ রির্পোর্টার কাওসার রহমান ও দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ আলোচনায় অংশ নেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৮, ২০২২ ১:০৩ অপরাহ্ন
বন্যায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে সুনামগঞ্জের চাষী-খামারিরা!
কৃষি বিভাগ

অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মানুষ গবাদিপশুগুলোকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে। বন্যাকবলিত মানুষ কোনোরকমে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করলেও গবাদিপশুদের নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে আসছে।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহখানেক ধরে থেমে থেমে চলা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে প্রবল বেগে নদ–নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করে।

গতকাল রাত ৯টার মধ্যেই এ উপজেলার বেশির ভাগ সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে সড়কপথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষের ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেকেই নিজ গ্রাম ছেড়ে পাশের বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

মাইজবাড়ী গ্রামের আলী আজগরের (৫৮) বাড়িতেও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। কোনোরকমে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘরের ভেতরে থাকলেও গবাদিপশুগুলোকে পাশের বিদ্যালয়ের বারান্দায় রেখেছেন।

ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের বীর দক্ষিণ গ্রামের কৃষক ছোটন মিয়া (৩৫)। মাসখানেক আগে বাড়ির গোয়ালঘরে মাচা করে সেখানে ৪০ মণ শুকনা ধান রেখেছিলেন। তবে বন্যার পানিতে তাঁর গোয়ালঘর ও বসতঘরে পানি ঢুকেছে। তড়িঘড়ি করে কোনোরকমে ধান, গবাদিপশুগুলোকে পাশের একটি বিদ্যালয়ে আশ্রয় রেখেছেন।

উপজেলার মধ্যনগর বাজারের বাসিন্দা আলা উদ্দিন বলেন, যত সময় যাচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির ততই অবনতি হচ্ছে। উপজেলার মধ্যে মধ্যনগর বাজারটি সবচেয়ে বড় বাজার। এই বাজারের রাস্তাসহ সবস্থানেই এখন হাঁটুসমান পানি। এই বাজারের ধানের আড়তগুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় হাজার হাজার মণ ধান বন্যার পানিতে নষ্ট হচ্ছে। বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য দ্রুত শুকনা খাবার ও ত্রাণ পাঠানোর জন্য দাবি জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৬, ২০২২ ১০:০৯ অপরাহ্ন
বরিশালে তিনদিনের ফল মেলার উদ্বোধন
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে তিনদিনের ফল মেলা শুরু হয়েছে। আজ নগরীর খামারবাড়ির চত্বরে ডিএই’র উদ্যেগে এই মেলার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএই’র উপপরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, ডিএই’র জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম এবং আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন।

অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই’র অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. রেজাউল হাসান, কৃষি প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, ফলচাষি মো. গিয়াস উদ্দিন লিটু প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, দেহের পুষ্টি সরবরাহে ফলের গুরুত্ব অপরিহার্য। তাই নিয়মিত সবার ফল খাওয়া দরকার। এর চাহিদা পূরণে দেশীয় ফলের আবাদ বাড়িয়ে আমাদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। সে আলোকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি অচিরেই এর শতভাগ পূরণ করতে পারব। মেলার স্টলগুলোতে দেশি-বিদেশি বাহারি ফলের সমরোহ ঘটে। এতে দর্শনার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৪, ২০২২ ১০:৩৭ অপরাহ্ন
বরিশালের বাবুগঞ্জে ভেজাল সার সনাক্তকরণ বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালের বাবুগঞ্জে সরেজমিনে ভেজাল সার সনাক্তকরণ বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ উপজেলার মধ্য রাকুদিয়া কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রে এসআরডিআই’র বিভাগীয় গবেষণাগারের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) সদরদপ্তরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ছাব্বির হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একেএম আমিনুল ইসলাম আকন এবং আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী আমিনুল ইসলাম, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, সংগঠনের সভাপতি রিতা ব্রহ্ম, কৃষক খোকন হাওলাদার প্রমুখ।

প্রধান অতিথি মো. ছাব্বির হোসেন বলেন, ফসলের আশানুরুপ ফলন পেতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখা জরুরি। এ জন্য জমিতে সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে তা যেন হয় ভেজালমুক্ত। মৃত্তিকা গবেষণা ও গবেষণা সুবিধা জোড়দারকরণ প্রকল্পের আওতাধীন এ প্রশিক্ষণে কৃষি উদ্যোক্তা, সার ব্যবসায়ী এবং মাঠ কর্মকর্তাসহ ৩০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৪, ২০২২ ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
১৬ জুন ফল মেলা শুরু, সর্বসাধারণের জন্য থাকবে উম্মুক্ত
কৃষি বিভাগ

আগামী ১৬ জুন জাতীয় ফল মেলা শুরু হচ্ছে। তিন দিনের এই মেলা চলবে ১৮ জুন পর্যন্ত। মেলার এবারের প্রতিপাদ্য ‘বছরব্যাপী ফল চাষে, অর্থ পুষ্টি দুই-ই আসে’।

রাজধানীর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এই মেলা চলবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সোমবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মেলা আয়োজনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। গত ২ বছর করোনা মহামারির কারণে জাতীয় ফল মেলা করা সম্ভব হয়নি।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে এবং রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতে পারবেন। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আম, লিচু, কাঁঠালসহ বিভিন্ন দেশি ফলের প্রদর্শনীর মাধ্যমে মেলায় অংশগ্রহণ করবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এ মুহূর্তে বিশ্বে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হারের রেকর্ড বাংলাদেশের, বছরে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে ফল উৎপাদন বাড়ছে। কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়, আমে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম, পেঁপেতে ১৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। আর মৌসুমি ফল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। নিত্যনতুন ফল চাষের দিক থেকেও বাংলাদেশ সফলতা পেয়েছে। এখন বাংলাদেশে ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হচ্ছে, যা আগে হতো ৫৬ প্রজাতির।’

মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮-০৯ সালে দেশে ফলের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ কোটি টন, আর বর্তমানে ফলের উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ টন। বিগত ১২ বছরে ফলের উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ২২%। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু দানাজাতীয় শস্য গ্রহণের পরিমাণ কমেছে এবং মাথাপিছু ফল গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০০৬ সালে মাথাপিছু ফল গ্রহণের হার ছিল ৫৫ গ্রাম যা বেড়ে এখন হয়েছে ৮৫ গ্রাম।’

বর্তমান সরকার এখন সব মানুষের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে জানিয়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ফলমূলকে পচনের (২৫ থেকে ৪০ শতাংশ হার) হাত থেকে বাঁচাতে আমাদের সংগ্রহত্তোর ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাত সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। এসব বিষয়ে ফলের উৎপাদনকারী বা চাষি, পরিবহণকারী, প্রক্রিয়াজাতকারী, ভোক্তাসহ সবার সচেতনতা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যেই কৃষি মন্ত্রণালয় জাতীয় ফল মেলার আয়োজন করে থাকে।’এসময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৩, ২০২২ ৭:৩৫ অপরাহ্ন
জমিতে সেচের পানি না পেয়ে কৃষকের আত্মহত্যা, গরু পেলেন স্ত্রী
কৃষি বিভাগ

জমিতে সেচের পানি না পেয়ে আত্মহত্যা করা কৃষক অভিনাথ মারান্ডির স্ত্রী রোজিনা হেমব্রমকে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য একটি বকনা গরু দিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন।

সোমবার তিনটার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল তাঁর কার্যালয়ের সামনে রোজিনা হেমব্রমের কাছে গরুটি হস্তান্তর করেন। গরু পেয়ে রোজিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রোজিনাকে একটি গরু দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। এর পরিপ্রেক্ষিতেই গরুটি দেওয়া হলো।

গরু হস্তান্তরের সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার সোহরাব হোসেন, ব্লাস্টের জেলার সমন্বয়কারী আইনজীবী সামিনা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। রোজিনার সঙ্গে এসেছিলেন প্রয়াত অভিনাথের ভাবি পার্বতী সরেন।

জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, অভিনাথের মৃত্যুর পর বিষয়টি নিয়ে অনেক কিছুই হয়েছে। কিন্তু কেউ পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়নি।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এর আগে জেলা প্রশাসন রোজিনাকে নগদ টাকা দিয়েছে। এবার গরু দেওয়া হলো। ছয় মাস পালন করলেই গরুটি প্রজননক্ষম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ থেকে সেচের পানি না পেয়ে গত মার্চে একই দিনে বিষপান করেন অভিনাথ মারান্ডি ও তাঁর চাচাতো ভাই রবি মারান্ডি। এতে তাঁদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় বিএমডিএর গভীর নলকূপ অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১২, ২০২২ ৭:৫৩ অপরাহ্ন
নওগাঁয় ধানের দাম কমল মণপ্রতি ২০০ টাকা
কৃষি বিভাগ

নওগাঁর হাটগুলোতে বেড়েছে ধানের সরবরাহ। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে মণপ্রতি দর কমেছে ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত। এ জন্য মিলার ও ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দুষছেন কৃষকরা। এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে চাল আমদানির ঘোষণায় তাদের হিসাব করে ধান কিনতে

সকাল হতে না হতেই ধান নিয়ে হাটে হাজির প্রান্তিক চাষিরা। নওগাঁর চৌকগরী স্কুল মাঠ শত শত মণ ধানে ভরে ওঠে।

গত সপ্তাহের চেয়ে কৃষকদের ধানের জোগান বেড়েছে কয়েক গুণ। গত ১০ দিন আগেও এসব হাটে প্রতি মণ মোটা জাতের ধান ১ হাজার ২৮০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা আর চিকন, কাটারি, জিরা ও মিনিকেট ১ হাজার ৫২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতো। অথচ এখন সরবরাহ বাড়ায় মণপ্রতি দর ১৮০-২২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

ফসল উৎপাদনে কৃষি উপকরণের দাম দফায় দফায় বাড়লেও ক্ষেত থেকে তোলা ধান হাটে আনার পর ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে বাঁধা ব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ার অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।

এবার ফলন ভালো না হওয়ায় ধানের হঠাৎ দরপতনে ব্যবসায়ী আর মিলারদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন প্রান্তিক চাষিরা। তারা বলেন, ধানের বাজার সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫০০ টাকা মণ না হলে কৃষক বাঁচবে না। বাজারে ধান এনে কৃষকেরই ক্ষতি হচ্ছে।

এদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত থেকে চাল আমদানির ঘোষণায় তাদের হিসাব করে ধান কিনতে হচ্ছে। এ বিষয়ে নওগাঁর মহাদেবপুরের চাল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকারের ব্যাপক চাপের কারণে বড় বড় গ্রুপগুলো ধান কেনা অনেকটাই স্থবির করে দিয়েছেন। ফলে বাজারে ধানের দাম ১০০-১৫০ টাকা কম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১১, ২০২২ ৩:২৪ অপরাহ্ন
কমছে কৃষি, বাড়ছে ঘের!
কৃষি বিভাগ

খাদ্য চাহিদা মেটাতে যে বিপুল পরিমাণ খাদ্য শস্যের দরকার তা কৃষিজমি থেকেই আসে। কৃষি নির্ভরশীল দেশ হওয়া সত্বেও প্রতিনিয়ত কমে আসছে চাষের জমি।

অপরিকল্পিতভাবে কৃষি জমিতে বসতবাড়ি, শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের কারনে যেমন কৃষি জমি অকৃষিখাতে চলে যাচ্ছে, তেমনি ধানের জমিতে অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের ও পানবরজ নির্মাণের ফলে দিনদিন কমে আসছে ধানের জমি। যা ভবিষ্যতে দেশে খাদ্য সংকটের মুখে পরার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলায় বোরো ধানের জন্য বিখ্যাত আগৈলঝাড়া, উজিরপুর ও গৌরনদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্রতিনিয়ত এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে ধানের জমি বিনষ্ট করে অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের, পানবরজ গড়ে তোলা হচ্ছে। ফলে হুমকির মুখে পরেছে এ অঞ্চলের বোরো ধানের জমি।

গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের চন্দ্রহার এলাকায় দেখা যায়, বিলের মধ্যে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে বোরো ধানের জমি কেটে তৈরি করা হচ্ছে মাছের ঘের। এছাড়াও ওই এলাকার বিলের অধিকাংশ বোরো ধানের জমি এখন পানবরজ আর মাছের ঘেরের দখলে। এভাবে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের ধানের জমি মেশিন দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১০, ২০২২ ৪:৩৬ অপরাহ্ন
গরু মোটাতাজা করতে খামারিদের করণীয়
কৃষি বিভাগ

গরু পালন লাভজনক হওয়াতে এখন আমাদের দেশের অনেকেই গরুর খামার করার প্রতি ঝুঁকছেন। তবে, এই গরু যদি হয় আরেকটু মোটাতাজা তাহলে আর কথা ই নাই। আর এর জন্য দরকার গরুর সুষম খাদ্য। আর সুষম খাদ্য প্রয়োগে আপনি আরো লাভবান হতে পারেন গরু পালনে।

খামারে গরু মোটাতাজাকরণে যেসকল আমিষ খাবার আপনার গরুকে খাওয়াবেন:

শুকনা খড়: ২ বছর বয়সের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনা খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে এক রাত লালীগুড়-চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে সরবরাহ করতে হবে।

কাঁচা ঘাস: গরুকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি কাঁচা ঘাস বা শস্য জাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কলাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।

দানাদার খাদ্য: গরুকে প্রত্যেক দিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যের তালিকা দেয়া হলো- গম ভাঙা-গমের ভুসি ৪০ কেজি চালের কুঁড়া ২৩.৫ কেজি খেসারি বা যে কোনো ডালের ভুসি ১৫ কেজি তিলের খৈল-সরিষার খৈল ২০ কেজি লবণ ১.৫ কেজি। উল্লিখিত তালিকা ছাড়াও বাজারে প্রাপ্ত ভিটামিন মিনারেল মিশ্রণ ১% হারে খাওয়াতে হবে।

১৫০ কেজি ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: খড় = ৩ কেজি কাঁচা ঘাস = ৫-৬ কেজি দানাদার খাদ্যের মিশ্রন = ১.৫-২ কেজি চিটাগুড় = ৫০০ গ্রাম ইউরিয়া = ৪৫ গ্রাম (নিয়মানুয়ায়ী) লবন = ৩৫ গ্রাম।

১০০ কেজি দৈহিক ওজনের গবাদিপশুর খাদ্য তালিকা: ধানের খড় = ২ কেজি সবুজ ঘাস = ২ কেজি (ঘাস না থাকলে খড় ব্যবহার করতে হবে দানদার খাদ্যে মিশ্রন = ১.২-২.৫ কেজি ইউরিয়া = ৩৫ গ্রাম (নিয়মানুযায়ী) চিটাগুড়া = ২০০-৪০০ গ্রাম লবণ = ২৫ গ্রাম দানাদার খাদ্যের সাথে লবন, ইউরিয়া, চিটাগুড় এক সাথে মিশিয়ে দিনে ২ বার দিতে হবে। ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস ছোট ছোট করে কেটে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

কৃমিমুক্তকরণ ও টিকা প্রদান: গরুকে ডাক্তারের নির্দেশনা মত কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। নতুন গরু সংগ্রহের পর পরই পালের সব গরুকে একসঙ্গে কৃমিমুক্ত করা উচিত। এক্ষেত্রে প্রতি ৭৫ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ টি করে এনডেক্স বা এন্টিওয়ার্ম ট্যাবলেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

পূর্ব থেকে টিকা না দেয়া থাকলে খামারে আনার পর পরই সব গরুকে তড়কা, বাদলা ও ক্ষুরা রোগের টিকা দিতে হবে। এ ব্যাপারে নিকটস্থ পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।

ঘর তৈরি ও আবাসন ব্যবস্থাপনা: আমদের দেশের অধিকাংশ খামারী ২/৩ টি পশু মোটাতাজা করে থাকে, যার জন্য সাধারণত আধুনিক শেড করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে যে ধরনের ঘরেই গরু রাখা হোক, ঘরের মধ্যে পর্যন্ত আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ঘরের মল- মূত্র ও অন্যান্য আবর্জনা যাতে সহজেই পরিষ্কার করা যায়, সে দিকে খেয়াল রেখে ঘরে তৈরি করতে হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop