৬:৩৮ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১২ জানুয়ারী , ২০২৫
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ২০, ২০২১ ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারী!
পাঁচমিশালি

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে গভীর রাতে ঝড়ের পরে বাগানে আম কুড়াতে গেলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। এ ঘটনায় অভিযোগের পর ধর্ষণে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৮ মে) উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ইন্দ্রবতী গ্রামের পোদ্দার বাড়িতে এই নারীর মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।

বুড়িচং থানা পুলিশ তদন্ত পরিদর্শক মো. মাসুদ খাঁন ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সন্তান নিয়ে পিতার বাড়িতে বসবাস করেন নির্যাতিতা ওই নারী। গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ঝড়ের পরে আম কুড়াতে বের হয় ওই নারী। আম কুড়ানোর এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের বাগানে প্রবেশ করলে ৪ জন ভুক্তভোগীর ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে হাত-পা চেপে ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বুধবার (১৯ মে) সকালে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ।

তদন্ত পরিদর্শক মো. মাসুদ জানান, অভিযোগের পরপরই অভিযান চালিয়ে বুড়িচং উপজেলার বেড়াজাল এলাকার মৃত আকমত আলীর ছেলে আ. রহিম (৩২), বুরবুরিয়া গ্রামের সিরাজ (সিরু) মিয়ার ছেলে স্বপন (৩৫) ও রংপুর জেলার গঙ্গানগর উপজেলার মন্ডলপাড়া এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মমতাজ উদ্দিনকে (৩৫) আটক করা হয়েছে।

আটককৃত আসামিরা দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। বিজ্ঞ আদালত আসামিদের জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। জড়িত অপর এক আসামি পলাতক রয়েছে। ভুক্তভোগীকে চেকআপের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৯, ২০২১ ৩:২২ অপরাহ্ন
আমেরিকার চাকরি ছেড়ে দেশে গরুর দুধের ব্যবসা, মাসিক আয় ৪০ কোটি!
পাঁচমিশালি

আমেরিকার বিপুল আয়ের চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন কর্ণাটকের ছেলে। তিনি আমেরিকার একটি নামজাদা সংস্থায় মোটা টাকায় কাজ করেছেন ৬ বছর ধরে। সেই সব ছেড়ে আসেন নিজ দেশে। আর এসেই শুরু করেন গরুর দুধের ব্যবসা৷ ২০১২ সালে মাত্র ২০ টি গরু দিয়ে শুরু করে এখন তাঁর মাসিক আয় ৪০ কোটি টাকা।

নিউজ১৮.বাংলা এর সূত্র মতে জানা যায়, গরুর দুধ দোয়ানের কাজও করতেন এই ব্যবসায়ীর পরিবারের সকলে৷ এইভাবেই ক্রেতাদের দারজায় দরজায় প্রতিদিন পৌঁছে দিতেন দুধ৷ এরপর কেনা হয় দুধ মজুত রাখার জন্য বিশেষ ফ্রিজ৷ যার ফলে দুধ জমিয়ে রাখতে পারতেন তাঁরা৷ ধীরে ধীরে ব্যবসার প্রসার ঘটে৷ ছেলের নাম সিদ্ধার্থ, সেই নামের সঙ্গে মিলিয়ে এই দুধের ব্যবসার নাম রাখা হয় সিডস ফার্ম৷

২০১৮ নাগাদ তাঁদের খদ্দের ছিল ৬হাজার৷ যা মূলত হায়দরাবাদ ও তার আশপাশেই ছিল৷ এখন এই ব্যবসা ফুলে ফেপে উঠেছে৷ ১২০জন কর্মী কাজ করেন এই সংস্থায়৷ মাসের আয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা৷ এবং খদ্দের সংখ্যা ১০হাজারেরও বেশি৷

এখন সাফল্য এলেও, শুরুর দিনগুলো ছিল বেশ কঠিন৷ নিজেরা গিয়ে গিয়ে অন্যদের বাড়িতে দুধ দিয়ে আসতে হত তাদের৷ পরিবারের সঞ্চিত সব টাকাই ঢালতে হয়েছিল এই ব্যবসায়৷ শুরুতে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়৷ পরের বছর আবার ২ কোটি বিনিয়োগ করতে হয়৷ আস্তে আস্তে লাভের মুখ দেখেন আইআইটির প্রাক্তনী৷ এরপর ২০১৮-এ নিজের ব্যবসা আরও বড় করতে ১.৩ কোটি লোন পান তিনি৷

গরু ও মোষের দুধ দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও, এখন এই ব্যবসা অনেক দূর এগিয়েছে৷ নানা ধরণের দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হয়৷ দুধ, ঘি, মাখন, পনির সবই মেলে এখানে৷ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কাজ হয় সিডস ফার্মে৷ যদিও কোভিড ও লকডাউন পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও মার খেয়েছে ব্যবসা, তবে তাতে কোনও সমস্যা হয়নি ব্যবসায়ীর৷ নিজের কাজ তিনি নিজে করে চলেছেন এবং অনেক যুবদের আদর্শ হয়ে উঠেছেন এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করে৷

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৯, ২০২১ ১০:০১ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেলো কৃষক
পাঁচমিশালি

কুমিল্লার হোমনায় গরু নিতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত কৃষক আব্দুল মোমেন চান্দেরচর ইউনিয়নের সীতারামপুর গ্রামের তফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দেরচর ইউপির চেয়ারম্যান আবুল বাশার।

চেয়ারম্যান আবুল বাশার জানান, আকাশে মেঘ দেখে মোমেন গরু নেয়ার জন্য বাড়ির পাশের জমিতে যান। সেখানে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৯, ২০২১ ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জে হাওর থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু
পাঁচমিশালি

কিশোরগঞ্জের নিকলীতে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মো. আরিফুল ইসলাম (১৭) নামে এক কিশোর রাখালে প্রাণহানি হয়েছে। নিহত আরিফুল ইসলাম গুরুই ইউনিয়নের বেতি নোওয়াগাঁও এলাকার মিয়া চাঁনের ছেলে।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গুরুই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী বিয়াতিরচর হাওরে বজ্রপাতে মৃত্যুর এঘটনা ঘটে।

নিকলী উপজেলার গুরুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের এবং নিকলী থানার ওসি মো. শামসুল আলম সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে আরিফুল ইসলাম গুরুই ইউনিয়নের বিয়াতিরচর হাওর থেকে গরু আনতে যায়। এসময় প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এসময় আরিফুল গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৮, ২০২১ ১১:২৩ অপরাহ্ন
কলাপাড়ায় লবণ পানিতে মরে গেছে মাছ, ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ!
পাঁচমিশালি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে লবণ পানি ঢুকে একটি খালের মাছ মরে যাওয়ায় দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। আর এতে করে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের মাস্টারবাড়ি স্টেশন সংলগ্ন গোলমইয়ার খালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে পঁচে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।

এলাকাবাসীর তথ্যমতে, শুক্রবার (১৪ মে) ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এখনও।

পার্শ্ববর্তী গ্রামের সামসু গাজী বলেন, প্রতিদিন এই পথ দিয়ে চলাচল করি। যাতায়াতের সময় নাকে কাপড় দিয়ে চলতে হচ্ছে। খালের পাড়ে বসবাসকারী পরিবারগুলোও একই অভিযোগ। তারা বলেন, পঁচা মাছের দুর্গন্ধে আমাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তারা এই দুরাবস্থা থেকে মুক্তি চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

পায়রা মৎস্য চাষ সমবায় সমিতি লইমটেডের অন্যতম সদস্য সমীর কর্মকার বলেন, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গোল মইয়ার খালে আমাদের সমিতির নামে এ ঘেরটি রয়েছে। ডিসি অফিস থেকে সমিতির নামে ডিসিআর নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে মাছ চাষ করে আসছি। কেউ শত্রুতা করে লোনা পানি ঢুকিয়ে মাছ মেরে ফেলেছে।

পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য আমরা যতদূর সম্ভব বড় বড় মাছগুলো সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছি। এখনো অনেক ছোট আকারের মরা মাছ রয়েছে যা আমরা সরাতে পারিনি।

নীলগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, মাছগুলো কেন, কী কারণে মারা যাচ্ছে জানি না। তবে পঁচা মাছগুলো দ্রুত অপসারণ করা হবে বলে তিনি জানান।

কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৮, ২০২১ ৬:০৭ অপরাহ্ন
সীমান্তে ভারতীয় চোরাই গরু উদ্ধার করলো বিজিবি
পাঁচমিশালি

ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার সীমান্তবর্তী শান্তিপুর বিওপি এলাকা থেকে আটটি ভারতীয় গরু উদ্ধার করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন-বিজিবি।

সোমবার (১৭ মে) ভোরের দিকে শূন্য লাইন হইতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সিদ্দিক টিলা নামক এলাকায় মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় ৮টি গরু উদ্ধার করে। তবে আটক করা যায়নি জড়িত কোন চোরাকারবারীকে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪০ বিজিবি পলাশপুর জোন শান্তিপুর বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবি জওয়ানরা গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ বিশ হাজার টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৪০ বিজিবি’ (পলাশপুর জোন) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সৈয়দ সালাহ উদ্দিন নয়ন পিএসসি জানান, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতীয় গরু করে নিয়ে আসছে চোরাকারবারিরা। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে তারা গরুগুলো রেখে ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় মালিকবিহীন অবস্থায় গরুগুলো উদ্ধার করা হয়।

৪০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সৈয়দ সালাহ উদ্দিন নয়ন পিএসসি জানান, বর্তমানে গরুগুলো শান্তিপুর বিওপিতে রয়েছে। উদ্ধারকৃত ভারতীয় গরুগুলো কাস্টম অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৮, ২০২১ ২:২৪ অপরাহ্ন
গরুর ধান খাওয়া বিবাদে যুবককে কুপিয়ে হত্যা!
পাঁচমিশালি

গোপালগঞ্জে গরুর ধান খাওয়া নিয়ে বিরোধে শরিফুল ইসলাম হেলাল (৩২) এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল লোকজন। তিনি ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ফেরদাউস আলম মনার ছেলে। এলাকায় ভলিবল ও কাবাডি খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত ছিলেন শরিফুল।

সোমবার দুপুরে কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের হিরণ্যকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কাশিয়ানী থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান জানান, শরিফুল ইসলাম হেলালের ফুফাত ভাই ইমরুল খোন্দকারের গরু স্থানীয় সেকেন্দার মৃধার জমির ধান খায়। এ নিয়ে কয়েকজন যুবক ইমরুলকে বেদম মারপিট করে। এই ঘটনার খবর পেয়ে হেলাল ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলেন।

“পথে হিরণ্যকান্দি গ্রামের দক্ষিণপাড়া ব্রিজের কাছে হেলালকে একা পেয়ে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হেলালকে মারাত্মক আহত করে।”
পরে স্থানীয়রা তাকে কাশিয়ানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও জানান, এই ঘটনায় শহিদুল তালুকদার নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৭, ২০২১ ৩:১১ অপরাহ্ন
রাজধানীতে বেড়েছে মাছ,-মাংস, পেঁয়াজ-তেল ও সবজির দাম
পাঁচমিশালি

চলছে ঈদের ছুটি। আর এই ছুটির প্রভাবে রাজধানীতে সরবরাহ বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে মাছ, মাংস, পেঁয়াজ, তেল ও সবজির।

সোমবার (১৭ মে) রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে দেখা যায়, ৫৫০ টাকা করে বিক্রি করা গরুর মাংসের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ করে, ১৪০ লিটারের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৭ টাকা করে।তবে যেসব দোকানিরা আগের তেল স্টক করে রেখেছেন, তারা ১৪০ টাকাতেই বিক্রি করতে পারছেন বলে জানান বিক্রেতারা।

অন্যদিকে মাছের বাজারে দেখা যাচ্ছে, ক্রেতা-বিক্রেতা খুব বেশি নেই, তবে দাম বেশ চড়া। এখানেও সরবরাহ স্বল্পতার কথা বললেন বিক্রেতারা। রুই, কাতল, শিং, মাগুর, পাবদা, চিংড়ি মাছসহ সব ধরনের মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দেখা যায়।

ব্রয়লার মুরগি বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা করে। লেয়ার ১২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। আর সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, ঈদের আগের তুলনায় কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। এছাড়া হালিপ্রতি পাঁচ টাকা করে বেড়েছে ডিমের দাম।

ঈদের পরপর মাংসের চাহিদা থাকে কম; তুলনামূলকভাবে মাছ ও সবজির চাহিদা বেশি থাকে। সেদিক বিবেচনায় সবজির মধ্যে দাম বেড়েছে কলা, পেঁপে এবং গাজরের। কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে কাঁচাকলা ৪০ টাকা হালি, পেঁপে প্রতিকেজি ৬০ টাকা এবং গাজর বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮০ টাকা দরে।

দাম বাড়ার কারণ নিয়ে হাতিরপুল কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি জানান, ঈদের ছুটির কারণে গত তিনদিন ধরে শহরের কোনো সরবরাহ নেই। সে কারণে বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। আজ (সোমবার) সকালে তেজগাঁও ডিম আনতে গিয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। নতুন সয়াবিন তেল আসছে ১৫৭ টাকা করে। পেঁয়াজের দামও এখন ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৫ টাকা।

কাঁচাবাজারের একজন মাংস ব্যবসায়ী জানান, ঈদ উপলক্ষে অন্য সময়ের তুলনায় মাংসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সেভাবে যোগান নেই। তার ওপর ‘লকডাউন’। সেজন্যই কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৫, ২০২১ ৪:০০ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীতে পালিত হয়েছে মাছ ধরা উৎসব
পাঁচমিশালি

ঈদ মানেই খুশি আর ঈদ মানেই আনন্দ। এই আনন্দ উপভোগ করা হয় বিভিন্ন উপায়ে। তেমনি এই ঈদে আনন্দ করতে পটুয়াখালীর দশমিনায় দ্বিতীয় দিন আয়োজন করা হয়েছে পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব। এসময় এলাাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

শনিবার (১৫ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার চরহোসনাবাদ এলাকার খালে এ উৎসব পালিত হয়। উৎসবে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।

এলাকার বাসিন্দা কামরুল জানান, শোল, শিং ও কৈ মাছ পেয়েছি। এলাকার মানুষ মাছ ধরতে নেমেছে। অনেক মজা হয়েছে। এছাড়া খালের পাড়ে বসে এ দৃশ্য অনেকে উপভোগ করছেন।

অন্য একজন জাননা, ঢাকা থেকে ঈদ উপলক্ষে গ্রামে এসেছি। মাছ ধরার উৎসব শুনে পলো হাতে নেমে পড়লাম। মাছ পাই আর না পাই, মজা পাচ্ছি এটাই বড় কথা।

উল্লেখ্য, ২০ বছর ধরে উৎসবটি পালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর বৈশাখ মাসে এলাকাবাসীর আয়োজনে এ উৎসব পালিত হয়। তবে এ বছর উৎসবটি ঈদের দ্বিতীয় দিনে পালিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৩, ২০২১ ৪:৫০ অপরাহ্ন
ঝড়ে আম পড়তে দেখে বাগানেই হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলেন শিক্ষক
পাঁচমিশালি

পুঠিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ও ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে বাগানের বেশিরভাগ আম পড়ে যাওয়া খবরে বাগানে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে নব কুমার সরকার নামের এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার পচা মাড়িয়া হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় এবং শিলাবৃষ্টিতে ওই এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মকুল।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে এই এলাকায় ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওই শিক্ষক তার বাগানে আমের কেমন ক্ষতি হয়েছে তা দেখতে যান। বাগানের বেশিরভাগ আম পড়ে যাওয়ায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সেখানেই তিনি মারা যান। পরে এলাকার লোকজন তার লাশ উদ্ধার করেন এবং বিকেলে স্থানীয় শ্মশানে তাকে দাহ করা হয়।’

মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়ে টানা চলে পৌনে এক ঘণ্টা পর্যন্ত। উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কার্তিকপাড়া, বড়বরিয়া, পদপাড়া, কাশিয়াপুকুর, তেবাড়িয়া, পচামাড়িয়া, নান্দিপাড়া, মোল্লাপাড়া, শক্তিপাড়া, যশোপাড়া, কানমাড়িয়া, রাতোয়াল এবং ভালুকগাছি ইউনিয়নের ধোকড়াকুল এলাকার ওপর দিয়ে এ ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টি বয়ে যায়। এতে করে আম, কলা, পাটসহ বিভিন্ন কাঁচা বাড়িঘর ও ফল-ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার একটি তালিকা দিতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুন নাহার ভুইয়া জানান, ভোররাতের ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে কয়েকটি গ্রামে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছেন। তারা রিপোর্ট দিলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop