১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ ২:০৯ অপরাহ্ন
বরগুনায় আউশ ধানের দামে হতাশ চাষিরা
কৃষি বিভাগ

বরগুনার হাটগুলোতে বেড়েছে ধানের সরবরাহ। তবে সে অনুযায়ী বাজারে ব্যাপারী না আসায় কমতে শুরু করেছে দাম। চলতি বোরো মৌসুমে ধানের দাম না পাওয়ায় হতাশ এলাকার কৃষকরা।

এ বছর আউশ ধান চাষ করে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। এক মণ ধান বিক্রি করে উৎপাদন খরচও উঠছে না তাদের।

জেলায় আউশ মৌসুমের ধান কাটা-মাড়াই শেষপর্যায়ে। ব্যস্ততা দেখে মনে হবে ধানচাষিদের সুদিন ফিরে এসেছে। কিন্তু চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায় ধানের দাম নিয়ে হতাশ তারা। বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৭২০ থেকে ৭৪০ টাকায়। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম কমেছে মণপ্রতি ৮০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় আউশ ধান আবাদের মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত জমি ৫২ হাজার ৮১১ হেক্টর। কর্তনকৃত জমি পরিমাণ ১২ হাজার ৫২৮ হেক্টর। হেক্টর প্রতি ফলন ২.৩০ টন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বরগুনা উপপরিচালক আবু সৈয়দ জোবায়দুল আলম।

সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নে গিলাতলি গ্রামের মোতালেব বলেন, আমরা লাভের আশায় ধানচাষ করি। কিন্তু সারা বছর পরিশ্রম করেও কোনো লাভ নেই। বাজারে পাইকাররা যে দামে ধান কিনছেন তাতে আমাদের উৎপাদন খরচই উঠছে না। সারের দাম বেশি, দুনিয়ার সবকিছুর দাম বাড়ে কিন্তু সেই হিসেবে ধানের দাম বাড়ে না।

কুমড়াখালী গ্রামের রশিদ ফরাজী বলেন, সার, পানি, কীটনাশকসহ সব খরচ শেষে যখন ধান ঘরে তুলতে হবে ঠিক সেই সময় দেখা দেয় শ্রমিক সঙ্কট। বেশি টাকায় শ্রমিক নিয়ে ধান কাটার পরে দেখা যায় উৎপাদন খরচ উঠছে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় পাইকাররা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছে।

বরগুনা পৌর বাজারের মেসার্স মুন্সি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী কবির মুন্সি জানান, আউশের ভরা মৌসুমে বরগুনায় কিছুদিন ধরে ধানের দাম কমেছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি মণের দাম কমেছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বাজারে ভেজা ধান বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা, আর শুকনা বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৪০ টাকায়। অথচ প্রতি মণ ধানের উৎপাদন খরচ ৭০০ টাকার বেশি।

আউশের ভরা মৌসুমেও বরগুনায় বেড়েছে চালের দাম। বাজারে ধানের দাম কমলেও খুচরা পর্যায়ে তার প্রভাব পড়েনি একটুও। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষসহ সব ধরনের ভোক্তারা।”

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
কৃষি বিভাগের উদ্যোগে বাড়ির আঙ্গিনায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ
কৃষি বিভাগ

কৃষি বিভাগের উদ্যোগে বাড়ির আঙ্গিনায় আর মাঠে মিষ্টি কুমড়ার চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম ও চাহিদা থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। হাসি ফুটেছে ছোট-বড় পরিবারগুলো বাড়ির আঙ্গিনা থেকে চালে ছড়িয়ে পড়া ডগায়-ডগায় কুমড়া দেখে।

কৃষি নির্র্ভর ও সবজি চাষ খ্যাত এই জেলায় বারো মাস মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়। আগে গৃহবধূরা বসতবাড়ির আঙিনায় মিষ্টি কুমড়া লাগিয়ে পারিবারিক চাহিদা মেটাতেন। বর্তমানে আধুনিক কৃষি পদ্ধতিতে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করছে কৃষকরা।

বর্তমানে জেলায় কলা, আলু, আখ, বিভিন্ন ফলজ বাগানে সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার চাষ বেড়েছে। কম খরচে এবং তিন মাসের মধ্যেই এই উৎপাদন করা যায় বলে দিন-দিন জেলায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, বিরুপ আবহাওয়ার জন্য গতবছর মিষ্টি কুমড়া চাষে ফলন কম হওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। চাষের সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ফল ছোট ও বিকৃত হয়ে যায়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাড়তি সার ও কীটনাশক ছাড়াই মিষ্টি কুমড়ার উৎপাদন ভালো হয়েছে। একই জমিতে অন্য ফসলের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার চাষে ফলন কিছুটা কম হলেও এক জমিতে একই সাথে দুটি ফসল পাওয়ায় লাভবান কৃষকরা। আবার অনেক কৃষক এগুলো এককভাবে চাষ করেন। এক্ষেত্রে অবশ্য ফলনও বেশি পাওয়া যায়।

কৃষি বিভাগের হিসেবে জেলায় প্রায় ৪০০ বিঘা জমিতে কুমড়ার চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে স্তূপ করে রাখা মিষ্টি কুমড়া তোলা হচ্ছে ট্রাকে। নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে যাচ্ছে সুস্বাদু এই সবজি।

সদর উপজেলার উজ্জলপুর গ্রামের কুমড়া চাষি কামরুল হাসান বলেন, মাঠে প্রতিনিয়ত কুমড়ার চাষ বাড়ছে। গতবছর ১ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে ১০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করেছিলাম। এ বছর ১ বিঘা ১০ কাঠা জমিতে কুমড়ার চাষ করে ২০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করেছি। এখনও ২৫-৩০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করতে পারব। আশা করি গত বছরের লোকসান কাটিতে লাভবান হতে পারব।
গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের কুমড়া চাষি আব্দুর রহমান জানান- তিনি মরিচের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে ২ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। এবার এতো দাম পাবো আশা করিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সামসুল আলম জানান, কুমড়া চাষ লাভজনক। অল্প ব্যয়ে ফলন বেশি পাওয়া যায়। এই ফসল চাষের সুবিধাজনক দিক হল, এটি সাথী ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। এতে অন্য ফসলও হয় আবার বাড়তি হিসেবে কুমড়াও হয়। তিনি আরো জানান- কুষি বিভাগ থেকে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়। ক্ষতিকারক বালাইনাশক ব্যবহার করলে অনেক উপকারী পোকা মারা যায়। তাই কৃষকদের জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করাতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
জয়পুরহাটে আউশ বিনাধান ১৯ এর নমুনা শস্য কর্তন
কৃষি বিভাগ

সরকারের প্রণোদনার আওতায় চাষ করা আউশের বিনাধান ১৯ জাত চিকন হওয়া ও চাষে তুলনামূলক পানি কম লাগায় জয়পুরহাটে কৃষকদের মধ্যে ওই ধান চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, কৃষি হবে দুর্বার’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মাঠে বৃহস্পতিবার সকালে আউশ বিনাধান ১৯ এর নমুনা শস্য কর্তন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ইউসুফ রানা মন্ডল। আউশের বিনাধান ১৯ এর হেক্টর  প্রতি উৎপাদন হচ্ছে ৩ দশমিক ৯ মেট্রিক টন ধান।

২০২১-২০২২ অর্থ বছরে  আউশ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। সুবিধা প্রাপ্ত কৃষক সংখ্যা ১৬শ জন।

প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের বীজ ৫ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি সার প্রদান করা হয়।

স্বল্প সময়ের ফসল আউাশ বিনাধান টির ফলন ভালো  হওয়ায় গবাদি পশুর  খড় পাওয়া যাচ্ছে ফলে আউশ চাষে জেলার কৃষকদের  মাঝে আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধান কাটার পরে আগাম জাতের সবজি চাষ করতে পারবেন কৃষকরা।

নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপরিচালক( শস্য) কৃষিবিদ মজিবর রহমান, অতিরিক্ত উপরিচালক উদ্ভিদ সংরক্ষণ মো: শহিদুল ইসলাম, আক্কেলপুর কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ইমরান হোসেন ।

বগুড়া অঞ্চলের উপপরিচালক ইউসুফ রানা মন্ডল জামালগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টার ও আমন ফসলের মাঠ পরিদর্শন শেষে স্থানে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও কৃষকদের সঙ্গে সার্বিক সার ব্যবস্থাপনা ও সেচ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২ ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
একই জমিতে ফলছে হরেক রকমের সবজি
কৃষি বিভাগ

একই জমিতে ফলছে হরেক রকমের সবজি, ফলমূল। উত্তরের জনপদ রাজশাহীতেও ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে মিশ্র চাষাবাদ। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। রাজশাহীর পবা উপজেলার দামকুড়া, হুজুরীপাড়া, পারিলাসহ কয়েক এলাকার একাধিক কৃষক গড়ে তুলেছেন মিশ্র ফল-সবজির বাগান।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি খরিপ-২ মৌসুমে রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে মিশ্র সবজি চাষ হয়েছে। এরমধ্যে চলতি মৌসুমে মরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, লাউ, করলা, ঢ্যাঁড়শ, মুলা, পটল, লালশাক ও শিম চাষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। অল্প জমিতে কম খরচে অধিক মাত্রায় ফসল উৎপাদনের জন্য মিশ্র ফসল চাষে কৃষকরা উৎসাহিত হচ্ছেন। জেলায় সবচেয়ে বেশি মিশ্র সবজি চাষ হয়েছে বাঘা, চারঘাট, গোদাগাড়ী ও পবা উপজেলায়।

মিশ্র ফসল চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন পবা উপজেলার হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের কৃষক সারোয়ার জাহান। দুই বছর আগে ৯ বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন বারি-১ জাতের মাল্টা ও সবজির মিশ্র ফসলের বাগান। তার উৎপাদিত মাল্টা এলাকার চাহিদা পূরণ করে নগরীর বিভিন্ন ফলের দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে।

একই ইউনিয়নে আট বিঘা কমলা ও মাল্টার বাগানে মরিচ চাষ করেছেন আলমগীর হোসেন। এই মৌসুমে মরিচের ভালো দাম পেয়েছেন। বাগানের ফল পাওয়া শুরু হলেই খরচ উঠে যাবে। এতে ভালো লাভ আসবে বলে মনে করছেন এই চাষি।

দামকুড়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্ৰামের কৃষক মোজাম্মেল হোসেন জানান, তিনি তিন বিঘা পেঁপের জমিতে মরিচ ও বাঁধাকপির মিশ্রচাষ করেছেন। এরই মধ্যে পেঁপে ও মরিচ বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোজদার হোসেন জানান, চলতি খরিপ-২ মৌসুমে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে মিশ্র ফল-সবজি চাষ হয়েছে। অল্প সময়ে অধিক মুনাফা পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে মিশ্র সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
কলা চাষে এগিয়ে কুড়িগ্রামের কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

বন্যা আক্রান্ত কুড়িগ্রামে কৃষিকাজের ক্ষতি পুষিয়ে নিতেকলা চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা। অনান্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি হওয়ায় পতিত ও অনাবাদী জমিতে কলা চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

কৃষি শ্রমিক বেশি লাগে না বলে কৃষকদের কলা চাষে আগ্রহ বেড়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ২৯০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে চরাঞ্চলে কলা চাষের জমির পরিমাণ প্রায় ১০৫ হেক্টর। নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে কলা চাষের চাহিদা বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার কলার বাম্পার ফলন হবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

কুড়িগ্রামের ধরলা ও দুধ কুমর নদের অববাহিকার বেশ কিছু চরাঞ্চলে এবার কলার চাষ ভালো হয়েছে। সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে চরাঞ্চলে মাঠ। উত্তরীয় হাওয়ায় দুলছে কলার পাতা। কিছু কলা গাছের মুচি চোখে পড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

মাস্টারের হাট গ্রামের কলা চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি তিন বিঘা জমিতে সবরি জাতের কলা চাষ করেছি। এ পর্যন্ত কলা চাষে আমার ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করি ৩ বিঘা জমিতে থেকে এ মৌসুমে ৩ লাখ টাকার কলা বিক্রি করতে পারব।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. শামসুদ্দিন মিঞা জানান, এ বছরে কুড়িগ্রাম জেলায় সমতল চরাঞ্চল ও পতিত জমিতে ৩১০ হেক্টর জমিতে কলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্জিত হয়েছে ২৯০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১২০ হেক্টর বেশি জমিতে বিভিন্ন জাতের কলা চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা লাভবান হবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
নাটোর চিনিকলের আখরোপণ কর্মসূচী উদ্বোধন
কৃষি বিভাগ

জেলায় নাটোর চিনিকলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের আখ রোপন কর্মসূচী উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার বিকালে শহরের হুগোলবাড়িয়াতে নাটোর চিনিকল আয়োজিত এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু।

বাংলাদেশ আখ চাষী ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোসলেম উদ্দিন প্রামানিকের সভাপতিতে এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফরিদ উদ্দিন ভুঁইয়া।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বলেন, চিনি শিল্পকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।

তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে চিনিকলগুলোতে আখের ক্রয়মূল্য বৃদ্ধি করে ১৪০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা মণ দর নির্ধারণ করেছে। আখের ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের উন্নত বীজ ও প্রযুক্তি সরবরাহ করা হচ্ছে। চিনিকলগুলোতে চিনি উৎপাদনের পাশাপাশি উৎপাদন বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে কেরু এন্ড কোম্পানী লিমিটেডে সম্পূর্ণ অর্গাণিক ব্রাউন সুগার তৈরীর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নাটোর চিনিকলে ‘ব্রাউন সুগার’ উৎপাদন করা হবে। নর্থ বেঙ্গল চিনিকলে আখ আহরণের অপচয় রোধে হারভেস্টার সরবরাহ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ ৩:০৫ অপরাহ্ন
ফুলবাড়ীতে সেচ দিয়ে আমনের চাষ,লোকসানের শঙ্কা কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বৈরী আবহাওয়ায় কৃষকেরা অনেকটা বাধ্য হয়ে জমিতে সেচ দিয়ে আমনের চাষ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে উপজেলার প্রায় সব এলাকায় শেষ হয়েছে জমিতে আমনের চারা রোপণ কাজ। এ সময় সার-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে লোকসানের শঙ্কা কৃষকদের। 

আমনের খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। কেউ জমিতে সার দিচ্ছেন, কেউবা নিড়ানি। খরার কারণে অনেকেই ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন চালু করে ধানের খেতে সেচ দিচ্ছেন।

উপজেলার উত্তর রঘুনাথপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম তালুকদার জানান, সাত বিঘা জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করেছেন। বর্তমানে খেতের যে অবস্থা তাতে ভালো মনে হচ্ছে। অন্যবারের তুলনায় এবার আমন ধান চাষাবাদে অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে। ভালো ফলন হলেও চাষের খরচের টাকা তুলতে পারব কি না, সে শঙ্কায় আছি আর যদি ফলন ভালো না হয় তাহলে তো মহাবিপদ!

আলাদিপুর গ্রামের কৃষক তারাপদ রায় জানান, এবারের আমন চাষাবাদের সময় হঠাৎ করে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পাওয়ার টিলার মালিকেরা জমি চাষের দাম বাড়িয়েছেন। চারা রোপণের জন্য বিঘাপ্রতি শ্রমিকদের ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা দিতে হয়েছে।

এখন জমিতে সার প্রয়োগের সময় হয়েছে। বাজারে সবধরনের সারের দাম বেশি হওয়ায় কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। লাভের আশায় চাষাবাদ শুরু করে এখন লোকসানের শঙ্কায় আছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার বলেন, ‘উপজেলায় এ বছর ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ জমিতে আমন চারা রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। আমনের ভরা মৌসুমে যাতে কেউ সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য আমরা বাজার মনিটরিংসহ মজুত জারির বিরুদ্ধে তৎপর আছি। পাশাপাশি বাজারে সারের সরকারের নির্ধারিত মূল্য বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ মিলে উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ ৩:২৭ অপরাহ্ন
নীলফামারীতে নতুন প্রযুক্তি, ‘কঞ্চি কলম পদ্ধতিতে’ বাঁশ চাষ
কৃষি বিভাগ

নীলফামারীতে নতুন প্রযুক্তি ‘কঞ্চি কলম পদ্ধতিতে’ বাঁশ চাষকে ব্যাপক আকারে চাষিদের মাঝে বিস্তারে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্র কাজ করছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০২০ সালে ১৭ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্র চালু করা হয় ডোমারে।

মাটি ও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় নীলফামারীর ডোমারে বাণ্যিজিকভাবে বাঁশ চাষ শুরু করেন স্থানীয়রা। এর মাধ্যমে নানা পণ্য তৈরি করে কয়েক হাজার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছেন। এরই মধ্যে রংপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ৬টি গবেষণা কেন্দ্রিক প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হয়েছে।

নতুন উদ্ভাবিত ‘কঞ্চি কলম পদ্ধতিতে’ কম সময়ে, স্বল্প খরচে বাঁশ উৎপাদন করা যায়। প্রচলন বাড়াতে প্রায় ১৫শ’ জন সুবিধাভোগীকে দেয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ।

গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বুদুম, বরাক, মাকলা, বাইদ্দা ও বান্দিসিসহ ২০টিরও অধিক প্রজাতির বাঁশ রয়েছে এ কেন্দ্রে।

নীলফামারী ডোমার আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান সরকার জানান, নতুন প্রযুক্তি ‘কঞ্চি কলম পদ্ধতিতে’ বাঁশ চাষের প্রচলনসহ বাঁশের বহুমাত্রিক ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া এ অঞ্চলের মানুষজন সামগ্রিকভাবে লাভবান হবে।

আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্রে দুইটি ল্যাবরেটরি, একটি ওয়ার্কশপ, একটি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও নার্সারি সেড এবং বেড রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
ইউটিউব দেখে বারোমাসি আম চাষে উৎসাহী বুলবুল
কৃষি বিভাগ

আমচাষের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আর সুস্বাদু আমের জেলা মেহেরপুর। মেহেরপুরের হিমসাগর, ল্যাংড়া, বোম্বাই আম স্বাদের দিক দিয়ে দেশের বাইরে ইউরোপীয় অঞ্চলে সুনাম কুড়িয়েছে। এবার মেহেরপুর জেলায় এক নতুন জাতের বারমাসি আমের চাষ শুরু হয়েছে। বারোমাসি থাই জাতের এ আমটির নাম ‘কাটিমন’।

ইউটিউব দেখে উৎসাহী হয় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের সমাজকর্মী মঈন-উল-আলম ওরফে বুলবুল। আমঝুপি বিএডিসি বীজ উৎপাদন খামারের পাশেই ২৪০টি আম গাছের বাগান গড়েন ২০২১ সালে। সেসব গাছে এখন মুকুল আর ডালে ডালে ঝুলছে থোকা থোকা আম। তার বাগানের গাছের আম কোনটি পরিপক্ক হয়েছে। কোনটি গুটি , আবার কোন ডালে মুকুল। পরিপক্ক আমের রং দেখলেই জিভে পানি আসবে। অসময়ের এ আমচাষ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে সারাবছরই আমের স্বাদ পাবে মানুষ। তখন বছরজুড়ে হবে আমের মৌসুম।

কৃষিবিদরা আশা করছেন- আগামী একদশকে এ আম দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে। আমচাষি মঈন-উল-আলম ওরফে বুলবুল জানান, তার বাগানের আম দেখতে এখন প্রতিদিনই আসছে জেলার বিভিন্ন গ্রামের উৎসাহী মানুষ। এ সময় অন্য জাতের আম গাছে মুকুল বা আম না থাকলেও তার গাছে আম ধরছে থোকায় থোকায়। আম পাড়তে না পাড়তেই আবারো গাছে আসছে মুকুল। গাছগুলোর এ বৈশিষ্ট্য স্থায়ী হলে দেশে আম উৎপাদনে বিপ্লব ঘটবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ আম গাছকে বারমাসি আমগাছ বলে বর্ণনা করেছেন স্থানীয় আমচাষিরা। আমগুলোর ওজন ১ মাসেই ৩শ গ্রাম পর্যন্ত। আটি ছোট এবং আঁশবিহীন। এ আম খেতে অনেকটা হিমসাগর আমের মতো।

একই গাছে কোনটি পরিপক্ক, কোনটি কাঁচা আবার কোন ডালে দেখা যাচ্ছে মুকুল। চলতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকার আম বাজারজাত হয়েছে জানান বুলবুল। প্রতি কেজি আম পাইকারি ২শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। আরও ২০-২৫ মণ আম বিক্রি হবে বলে আশা করছেন।

বুলবুলের বাগানে বরোমাসি আমচাষে সফলতা দেখে আমঝুপি গ্রামের রফিকুল আলমও উৎসাহী হয়েছেন এ আমচাষে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে তিনবিঘা জমি তৈরি করছেন আমের বাগান গড়তে। বুলবুলের সাথে চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন আমের কলম নেবার জন্য।

মঈন-উল-আলম ওরফে বুলবুল বলেন- তিনি পরীক্ষামূলক ভাবে ২ বিঘা জমিতে ২৪০ টি থাই কাটিমনের চারা রোপণ করছিলেন ২০২১ সালের শুরুতে। গাছ গুলোর বর্তমান বয়স মাত্র দেড় বছর। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে তিনি চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেন। বর্তমানে তিনিও এ বাগান থেকে চারা বিক্রি করছেন। আমের ফলন ভালো হওয়ায় তিনি বাগান সম্প্রসারণের আশা করছেন।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানান, ইউটিউবে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে ২ বিঘা জমিতে কাটিমন জাতের হাইব্রিড থাই বারোমাসি আম চাষে সাফল্য দেখিয়েছেন বুলবুল।

এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নাসরিন পারভিন জানান- এটি গবেষণার মাধ্যমে চাষি পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী এক দশকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে সারাবছর আম পাওয়া যাবে। আমটি সুস্বাদু এবং বারোমাসে তিনবার আম পাওয়াতে মানুষ উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এ বারোমাসি আমচাষে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
সাতক্ষীরায় মাছের ঘের আইলে বিষমুক্ত সবজি
কৃষি বিভাগ

পদ্মা সেতু চালুর পর সাতক্ষীরায় উৎপাদিত সবজির একটি অংশ ক্ষেত থেকে এখন সরাসরি ঢাকায় যাচ্ছে। সদর, তালা ও কলারোয়া উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষক ইতোমধ্যে ক্ষেত থেকে সবজি উঠিয়ে সরাসরি রাজধানীতে পাঠাচ্ছেন।

জেলায় চলতি মৌসুমে চিংড়ি ঘেরের আইলের ৮৭৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। নিচে মাছের চাষ হওয়ায় এই সবজির ক্ষেতে কোন রকম বিষ প্রয়োগ করা হয় না। ফলে সম্পূর্ণ বিষমুক্ত সবজি বাজারে তোলা সম্ভব হচ্ছে।

সাতক্ষীরার কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বিগত কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মাছের ঘেরের পাড়ে সবজি চাষ। ‘সাথী ফসল’ হিসেবে শুরু হলেও এখন মূল ফসলের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে সমানে সমান। মাচায় বা ঘেরের আইলে সবজি আর নিচের পানিতে মাছ চাষ হচ্ছে।

জেলায় প্রতি বছর যে পরিমাণ সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে তার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ উৎপাদিত হয় ঘেরের আইলে মাচা পদ্ধতিতে। ঘেরের আইলে সবজি চাষ লাভজনক হওয়ায় জেলার অধিকাংশ মৎস্য ঘেরে সবজির চাষাবাদ দিন-দিন বাড়ছে। ফলে জেলার চাহিদা
মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায়ও পাঠানো হচ্ছে সাতক্ষীরার সবজি।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামারবাড়ি) সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলার ৮৭৫ হেক্টর জমির (মৎস্য ঘেরের বেড়ি) আইলে বিভিন্ন প্রকারের সবজি চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৩৪০ হেক্টর, তালায় ১৬৫ হেক্টর, কলারোয়ার ৫৫ হেক্টর, আশাশুনি ৮০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ১৩৫ হেক্টর,
দেবহাটায় ২০ হেক্টর, ও শ্যামনগর উপজেলায় ৮০ হেক্টর জমির আইলে সবজির চাষ হয়েছে। এসব জমি থেকে হেক্টর প্রতি গড় ১৯ মেট্রিকটন হারে মোট ১৬ হাজার ৬২৫ টন সবজি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানা যায়, অধিকাংশ মৎস্য ঘেরে যতদূর চোখ যায় সবুজের হাতছানি। ঘেরের আইলে ও ঘেরের আইলের উপরে নির্মিত সারি-সারি মাচায় ঝুলছে করলা, ঢেঁড়শ, পুঁইশাক, কুমড়া আর শসা। বর্ষাকালীন সবজির পাশাপাশি আগাম শীতকালীন সবজি চাষও শুরু করেছেন অনেকে।
সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের মিঠাবাড়ি বিলে শত-শত বিঘা জমির মৎস্য ঘেরে মাচা পদ্ধতিতে লাউ, কুমড়া ও করলার চাষাবাদ করা হয়েছে। মাচায় ঝুলছে হাজার-হাজার করলা, শতশত লাউ ও কুমড়া। একই সাথে ঘেরের পাড়ে লাগানো হয়েছে পুঁইশাক ও ঢেঁড়স।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম জানান, জেলার অধিকাংশ ঘেরের পাড়ে এখন সবজি চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে- লাউ, উচ্ছে, শসা, পটল, ঢেঁড়স ও বরবটি বাজারে উঠেছে। কৃষকেরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর এখন সাতক্ষীরা থেকে ৪/৫ ঘন্টায় ঢাকায় যাওয়া যাচ্ছে। সাতক্ষীরা সদর, তালা ও কলারোয়া উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষক।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop