৫:৩৬ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ১, ২০২২ ২:৫৭ অপরাহ্ন
ঢেঁড়শ চাষ করবেন যেভাবে
কৃষি বিভাগ

ঢেঁড়শ এদেশের একটি জনপ্রিয় সবজি। ঢেঁড়শে প্রচুর পরিমাসে ভিটামিন নি ও সি এবং এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমানে আয়োজিন, ভিটামিন “এ“ ও বিভিন্ন  খনিজ পদার্থ রয়েছে। ঢেঁড়শ নিয়মিত খেলে গলাফোলা রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে না এবং এটা হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।

মাটি:
দোআশ ও বেলে দোআশ ঢেঁড়শ চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। পানি নিষ্কাশনের সুবিধা  থাকলে এটেল মাটিতেও চাষ করা যায়

জাত:
শাউনি,পারবনি কানি-, বারী ঢেঁড়শ, পুশা সাওয়ানী, পেন্টা গ্রীন, কাবুলী ডোয়ার্ফ, জাপানী প্যাসিফিক গ্রীন এসব ঢেঁড়শের চাষ উপযোগী জাত। শেষের দুটো জাত সারা বৎসর ব্যাপী চাষ করা চলে।

সময়:
সারা বছরই চাষ করা যায়। তবে সাধারণতঃ গ্রীষ্মকালে এর চাষ করা হয়। ফাল্গুন চৈত্র ও আশ্বিন-কার্তিক মাস বীজ বোনার উপযুক্ত সময়।

বীজের পরিমাণ:
প্রতি শতকে  ২০ গ্রাম, হেক্টর প্রতি ৪- ৫ কেজি বীজ লাগে।

বীজ বপন:
বীজ বোনার আগে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে নিতে হয়। গভীরভাবে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে চাষের জমি তৈরি করতে হয়। মাটি থেকে সারির দুরত্ব হবে ৭৫ সেমি.। বীজ সারিতে ৪৫ সেমি. দূরে দূরে ২-৩ টি করে বীজ বুনতে হয়। জাত অনুযায়ী চারা থেকে চারা এবং সারি থেকে সারির দুরত্ব ১৫ সেমি. কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে। শীতকালে গাছ ছোট হয় বলে দূরত্ব কমানো যেতে পারে। চারা গজানোর পর প্রতি গর্তে একটি করে সুস্থ সবল চারা রেখে বাকী চারা গর্ত থেকে উঠিয়ে ফেলতে হবে।

সারের পরিমাণ:
সার               এক শতকে              হেক্টর প্রতি
গোবর            ৭৫ কেজি               ১৮ টন
সরিষার খৈল      ১.৭৫ কেজি            ৪২৫ কেজি
ইউরিয়া          ২৩০ গ্রাম গ্রাম         ৫৫-৬০ কেজি
টিএসপি          ৩৫০ গ্রাম গ্রাম         ৮৫-৯০ কেজি
এমও পি         ২৩০ গ্রাম গ্রাম          ৫৫-৬০ কেজি

সার প্রয়োগের নিয়ম:
জমি তৈরি করার সময় ইউরিয়া সার বাদে বাকি সব সার মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। সার মেশানের ১০-১৫ দিন পর জমিতে ঢেঁড়শ বীজ বপন করতে হয়। ইউরিয়া সার সমান দু‘কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হয়। প্রথম কিস্তিতে চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর এবং ২ য় কিস্তিতে দিতে হবে চারা গজানোর ৪০-৫০ দিন পর।

পরিচর্যা:
নিড়ানী দিয়ে মাটির উপরিভাগ মাঝে মাঝে আলগা করে দিতে হবে। জমি সব সময় আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। মাটির প্রকার ভেদ অনুযায়ী ১০/১২ দিন পর পর সেচ দেয়া প্রয়োজন। প্রতি কিস্তিতে সার প্রয়োগের পর জমিতে সেচ দিতে হবে।

পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা:
ঢেঁড়শের ফল ছিদ্রকারী পোকাই সবচে বেশি ক্ষতি করে। এ ছাড়া জাব পোকা, সাদা মাছি, ছাতরা পোকা, লাল গান্ধি ইত্যাদিও ক্ষতি করে।

রোগ ব্যবস্থাপনা:
হলদে শিরা স্বচ্ছতা ঢেঁড়শের প্রধান ক্ষতিকর রোগ। এ ছাড়া মোজেইক ও পাতায় দাগ রোগও দেখা যায়।

ফসল সংগ্রহ:
বীজ বোনার ৬-৮ সপ্তাহের  মধ্যে এবং ফুল ফোটার ৩-৫ দিনের মধ্যে ফল আসা শুরু হয়। জাত ভেদে ফল ৮-১০  সেমি. লম্বা হলেই সংগ্রহ করতে হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২২ ১২:৫৮ অপরাহ্ন
নেদারল্যান্ডসে হর্টিকালচার এক্সপোতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
কৃষি বিভাগ

নেদারল্যান্ডসে ৭ম আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সিবিশনে সরকারীভাবে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। ছয় মাসব্যাপী এই এক্সপো শুরু হয়েছে ১৪ এপ্রিল, চলবে আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত।

বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশ অফিশিয়াল পার্টনার হিসেবে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া অন্য প্যাভিলিয়ন হচ্ছে: ন্যাশনাল ৬২টি, গ্রীন হাউস ১৬টি, হাইটেক গ্রীন হাউস ১৫টি, এক্সপিরিয়েন্স গ্রীন হাউস ৬২টি, নার্সারি ৯০টি, পার্টনার্স ২৫টি, প্যারেনিয়াল ১২টি, ফ্লাওয়ার বালব ১২টি, এ্যাক্সোটিক প্লান্ট ৫টি ও ডাইভারস ১৫টি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক্সপোতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হতে জোরেশোরে অগ্রসর হচ্ছে। আমরা বর্তমানে কৃষিকে বাণিজ্যিক ও লাভজনক করতে কাজ করছি। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের মাধ্যমে কৃষিপণ্যের রফতানি বাড়াতে প্রচেষ্টা চলছে। এ এক্সপোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে দেশের অর্জিত বিস্ময়কর সাফল্য ও কৃষিপণ্যের রফতানি সম্ভাবনা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদা ও সম্মান আরও নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

মন্ত্রী জানান, সরকারের পাশাপাশি দেশের এসিআই, প্রাণ গ্রুপ, হাশেম ফুডস, স্কয়ার ফুডস, গ্লোবপ্যাক ফুডস, বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস এ্যান্ড এ্যালাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনসহ প্রায় ২০টির মতো বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এতে অংশগ্রহণ করছে। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজ খরচে যাতায়াতসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এক্সপোতে অংশগ্রহণ করছে।

এবারের এক্সপোর্টি নেদারল্যান্ডসের আলমিরে শহরের অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় ৬০ হেক্টর বা ১৫০ একর জমি নিয়ে এই এক্সপোর আয়োজন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৯, ২০২২ ৪:১১ অপরাহ্ন
বগুড়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন; ধান কাটা ও মাড়াই ব্যস্ত কৃষক
কৃষি বিভাগ

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধান কাটতে ও মাড়াই করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুড়ার কৃষকরা। বগুড়ায় এবারও বোরোর বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

ইতোমধ্যে জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বোরো ধান কাটা-মাড়াই চলছে। তবে ঝড় ও শীলাবৃষ্টির আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে কৃষক। অনেকে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির ভয়ে আগেই ধান কাটা শুরু করেছে। তবে আগামাী মাসের ১০ তারিখ থেকে পুরোপুরি বোরো ধান কাটা শুরু হবে।

নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষক আসগর আলী বলেন, এবার জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলা বিঘা প্রতি ২৪ থেকে ২৮ মন জিরাসাইল ফসল উৎপাদন হবে। এখন বাজারের ভেজা ধান ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর শুকনা ধান (জিরাসাইল) ধান ১০০০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান জেলা এবার ১ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৫ হেক্টর জামিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে এবার এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি। গতবছর বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ লাখ ৭ হাজার ৬২৩ টন (চাল)।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২২ ৪:৪৭ অপরাহ্ন
বরিশালে ভাসমান কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে ভাসমান কৃষির আধুনিক প্রযুক্তির বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ভাসমান কৃষি প্রকল্পের উদ্যোগে এই কৃষক মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন।

ভাসমান কৃষি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল ইসলাম, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম, এসও মো. রাজি উদ্দিন, মো. মাহবুবুর রহমান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের দেশে জনসংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, কমছে জমির পরিমাণ। এর মধ্য দিয়ে ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত করতে হবে। তাই অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা দরকার। এর অংশ হিসেবে জলাশয়ে ভাসমান বেডে ফসল আবাদে রয়েছে যথেষ্ট সুযোগ। এগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক শস্য উৎপাদন সম্ভব। আর তা বাস্তবায়ন হলে বাংলার কৃষি হবে বিশ্বসেরা।

প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৭১ টি উপজেলায় ভাসমান বেডে ফসল উৎপাদনের কাজ চলমান আছে। যেসব জলাশয়ে ঢেউ বা খুব স্রোত নেই, এমন জায়গায় বেড তৈরি করে বিভিন্ন ফসল আবাদ করা যাবে। এর মাধ্যমে দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে বাবুগঞ্জ, উজিরপুর, বানারীপাড়া, নেছারাবাদ এবং কালকিনির ৮০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে ক্যাম্পাসের হলরুমে একই বিষয়ের ওপর কৃষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে ৩০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২২ ৭:৩৯ অপরাহ্ন
বরিশালের বাকেরগঞ্জে বারি মুগ-৬’র উৎপাদন বিষয়ক কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালের বাকেরগঞ্জে ডাল ফসলের উন্নত জাত বারি মুগ-৬’র আধুনিক উৎপাদন কৌশল বিষয়ক কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ উপজেলার মধুকাঠি গ্রামে বিএআরআই’র সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাদারীপুরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বৃহত্তর বরিশাল-ফরিদপুর অঞ্চলে ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ছালেহ উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সহিদুল ইসলাম খান।

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নন্দ দুলাল কুন্ডুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাদারীপুরের আঞ্চলিক ডাল গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাহিন মাহমুদ, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম, কৃষক ফারুক খান, মো. হাবিবুর রহমান, কিশান্তী রাণী প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন,বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে-একজন পূর্ণবয়স্ক লোকের দৈনিক ৪৫ গ্রাম ডাল খাওয়া দরকার। আমরা খাই ১৩-১৭ গ্রাম। তাই এর চাহিদা পূরণে অন্যান্য ডালের পাশাপাশি মুগের আবাদ বাড়াতে হবে। এজন্য প্রয়োজন উন্নত জাত ব্যবহার। এর অংশ হিসেবে বারিমুগ-৬ অন্যন্য।

তিনি আরো বলেন, ডাল আবাদে ভালো লাভ। একদিকে মানবদেহের পুষ্টি সরবরাহ করে। অন্যদিকে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে এর উচ্ছিষ্টাংশ মাছ ও প্রাণিসম্পদের খাদ্য সরবরাহে রাখে বিশেষ ভূমিকা।

দিনব্যাপী এ কৃষক সমাবেশে ৮০ জন ডালচাষি অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২২ ৩:৩৭ অপরাহ্ন
ক্ষমতায় যেতে চাইলে আন্দোলন নয়, গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ান: বিএনপিকে কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বিএনপির উদ্দেশে বলেছেন, আপনাদের জনসমর্থন নেই। রাজনীতির নামে, গণতন্ত্রের নামে আন্দোলন করে, জ্বালাও-পোড়াও আর হরতাল করে আপনারা ক্ষমতায় যেতে পারবেন না। ক্ষমতায় যেতে চাইলে আপনাদেরকে গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থাকতে হবে, তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। জনগণের সমর্থন না পেলে কোনদিন ক্ষমতায় যেতে পারবেন না।

আজ বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরসভা প্রাঙ্গণে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে অতিদরিদ্র ও অসহায় দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপিকে গঠনমূলক সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আপনারা জনগণের জন্য রাজনীতি ও গঠনমূলক সমালোচনা করেন। কিন্তু রাজনীতির নামে, আন্দোলনের নামে গাড়িতে আগুন দিবেন, মানুষকে পুড়িয়ে মারবেন, হরতাল করবেন, রেললাইন উপড়ে ফেলবেন, সেটি আমরা করতে দিব না। এটি গণতন্ত্র না, রাজনীতি না। আন্দোলন করে অতীতে আপনারা সফল হন নাই, ভবিষ্যতেও কখনও সফল হবেন না।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে দেশে সার পাওয়া যেতো না। চালের দাম বেশি ছিল, মানুষ চাল কিনতে পারত না। প্রতিবছর উত্তরবঙ্গে মঙ্গা হতো, মানুষ ৩-৪ দিন পর্যন্ত না খেয়ে থাকতো, না খেয়ে অনেক মানুষ মারাও যেতো। সেখানে আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কৃষি উন্নয়ন ও ব্যাপক খাদ্য সহায়তার ফলে দেশে খাওয়ার কোন কষ্ট নেই, মঙ্গা নাই; বরং সব মানুষ খাবার পায়। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপলক্ষ্যে গরীব ও দুঃস্থ মানুষকে চাল দিচ্ছেন, যাতে করে কোনক্রমেই একটি মানুষও যেন খাদ্যের কষ্ট না করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ভালবাসেন, মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত আছেন।

অনুষ্ঠানে ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসলাম হোসাইন, পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান বকলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে দুপুরে কৃষিমন্ত্রী মধুপুর পৌর ভবনে মধুপুর উপজেলার অতিদরিদ্র ও অসহায় দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ করেন।

এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমিন, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২২ ২:৪০ অপরাহ্ন
চৈত্রের বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের আলুচাষিদের সর্বনাশ
কৃষি বিভাগ

কুড়িগ্রামে চৈত্র মাসের ভারী বৃষ্টিতে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি জমায় জেলার প্রায় ২৪৫ হেক্টর জমির আলু পঁচে গেছে। শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি সরিয়েও জমির আলু বাঁচাতে পারেনি তারা। হতাশায় সময় কাটছে কৃষকের।

জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করে প্রণোদনার আওতায় আনা হবে।

চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলায় ৫ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় হয়েছে ১হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৪৫ হেক্টর জমির আলু। বিপাকে পড়েছেন কৃষক। ধারদেনা করে আলু চাষ করে দিশেহারা তারা।

দীর্ঘদিন ধরে বাজারে আলুর দাম বেশি থাকায় অনেকে অন্যান্য আবাদ বাদ দিয়ে ঝুঁকে পড়েছিলেন আলু চাষে। বেশির ভাগ কৃষক জমি থেকে আলু তুলে ফেললেও কিছু বাকী ছিলো। কিন্তু বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমায় নষ্ট হয়ে গেছে সেসব আলু।

কৃষকরা জানালেন, প্রথম দফায় আলু চাষিরা লাভবান হলেও দ্বিতীয় দফায় যারা আলু চাষ করেছেন তার বেশি লোকসানের শিকার হয়েছেন।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুর রশীদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করতে কাজ করেছে কৃষি বিভাগ। তাদেরকে আউশ মৌসুমে সরকারি প্রণোদনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৭, ২০২২ ১২:৫০ অপরাহ্ন
একুশে পদকপ্রাপ্ত ৫জন অ্যালামনাইকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাকৃবি অ্যালামনাই
কৃষি বিভাগ

দেশের অর্জনকে কেউ যাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ও চক্রান্ত করে ম্লান না করতে পারে এ ব্যাপারে কৃষিবিদদের সচেতন ও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, দেশবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশের অর্জনকে ম্লান ও দুর্বল করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কৃষিবিদদেরকে পেশাজীবী, কৃষিবিদ ও বুদ্ধিজীবী হিসেবে সচেতন থাকতে হবে যাতে কোনক্রমেই কেউ দেশের অর্জনকে ছোটো করতে না পারে।

মঙ্গলবার বিকালে ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে সংবর্ধনা সভা ও ইফতার মাহফিলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অ্যালামনাই এসোসিয়েশন বাকৃবির ৫জন অ্যালামনাই এ বছর একুশে পদক পাওয়ায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে এ বছর একুশে পদকপ্রাপ্ত বাকৃবির ইমেরিটাস অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার মণ্ডল, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম বুদ্ধ দাশ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী এনামুল হক, সাহানাজ সুলতানা এবং জান্নাতুল ফেরদৌসিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

কৃষিমন্ত্রী ও বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৫ জন কৃষিবিদ এ বছর রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক পেয়েছেন, এটি আমাদের সকল কৃষিবিদের জন্য অহংকারের, গর্বের। এ পুরস্কার সকল কৃষিবিদেরকে প্রেরণা যোগাবে।

মন্ত্রী বলেন, গত দুই বছর ধরে করোনার অভিঘাতে এবং সাম্প্রতিক রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা পৃথিবীতেই অর্থনীতিতে ও খাদ্য দ্রব্যের দামে অস্থিরতা চলছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে নি, রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয় নি; বরং সারা পৃথিবীতে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে আছে। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে দেশের গার্মেন্টস শিল্প, রেমিট্যান্স ও কৃষি- এই তিনটি খাত। কৃষির এই সাফল্যকে আরও এগিয়ে নিতে কৃষিবিদের আরো জোরাল ভূমিকা রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি হামিদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় বিভিন্ন সংস্থা প্রধান, বিজ্ঞানীসহ পাঁচ শতাধিক বাকৃবি অ্যালামনাই উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৫, ২০২২ ৪:৪২ অপরাহ্ন
বরিশালে লেবুজাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ নগরীর ব্রির সম্মেলনকক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএই’র পরিচালক ( প্রশাসন ও অর্থ উইং) বশির আহম্মদ সরকার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন এবং প্রকল্প পরিচালক ফারুক আহমদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হারুন-অর-রশীদ।

প্রধান অতিথি বলেন, লেবু ভিটামিন সিসমৃদ্ধ ফল। এ জাতীয় ফসল দেশের আভ্যন্তরিণ চাহিদা মিটিয়ের বিদেশে রফতানির রয়েছে বিশাল সুযোগ। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার নিশ্চিতকরণেও ভূমিকা রাখতে পারবে। এজন্য দরকার উন্নত জাতের চারা-কলম সরবরাহ। এ বিষয়ে কৃষকদের হাতে-কলমে শেখাতে হবে। আর তা মাঠে প্রয়োগ করলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে। কৃষকরাও হবেন লাভবান।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই পটুয়াখালী উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শিকদার, ডিএই ঝালকাঠির উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আসাদুল হক, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম পরিচালক ড. একেএম মিজানুর রহমান, হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ডিএই বরগুনার অতিরিক্ত পরিচালক এস. এম. বদরুল আলম, ডিএই বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক মোসামৎ মরিয়ম, ডিএই পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাকির হোসেন তালুকদার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মীর মনিরুজ্জামান কবীর, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, নাজিরপুরের উপজেলা কৃষি অফিসার দিগবিজয় হাজরা, মেহেন্দিগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হারুন-অর-রশিদ, গৌরনদীর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মামুনুর রহমান, নেছারাবাদের উপজেলা কৃষি অফিসার চপল কৃষ্ণ দেবনাথ, মঠবাড়িয়ার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মনিরুজ্জামান, নলছিটির কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আলী আহম্মদ, উজিরপুরের মাল্টাচাষি জুবায়েদ, বানারীপাড়ার কৃষক টিটু খন্দকার প্রমুখ।

কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১ শ’ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৫, ২০২২ ১২:০২ অপরাহ্ন
কৃষিতে বৈরি আবহাওয়া সফলভাবে মোকাবেলা করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষিক্ষেত্রে বৈরি আবহাওয়া সারা বিশ্বের জন্যই চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ, এখানে চ্যালেঞ্জ আরও বেশি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অনেক সফলভাবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে বৈরি আবহাওয়া মোকাবেলার জন্যও গবেষণায় পর্যাপ্ত বরাদ্দের পাশাপাশি কৃষিকে আধুনিক ও যান্ত্রিকীকরণে কাজ করছে। কাজেই, বৈরি আবহাওয়া আমরা মোকাবেলা করতে পারব।

রবিবার বিকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে ‘বৈরি আবহাওয়ায় কৃষিজ উৎপাদন: অস্থিতিশীল বৈশ্বিক কৃষিপণ্যের বাণিজ্য, শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।

ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার দেয়ায় হাওরে দ্রুততার সাথে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বৈরি পরিবেশ মোকাবেলায় ৫০-৭০% ভর্তুকিতে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টারসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র কৃষকদের দেয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে শুধু সুনামগঞ্জ জেলায় ৫৭৭টি কম্বাইন হারভেস্টার ধান কাটায় ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলেই বৈরি পরিবেশের মধ্যেও সুনামগঞ্জে এখন পর্যন্ত ৭৭% বোরো ধান কাটা সম্ভব হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, নানান কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে বর্তমান সরকার মঙ্গাকে চিরতরে দূর করেছে। গত ১৪ বছরে মঙ্গাপীড়িত এলাকা, উপকূলীয় এলাকা ও চরাঞ্চলসহ দেশের কোথাও কোন খাদ্য সংকট হয় নি, মঙ্গা হয় নি।অথচ বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশের বৈরি আবহাওয়াকে নিয়তি বলেই ধরে নিয়েছিল; দেশে প্রতিবছর খাদ্য সংকট হবে, মঙ্গা হবে, দুর্ভিক্ষ হবে- এটি তারা মেনে নিয়েছিল। ২০০১-০৬ পর্যন্ত তাদের শাসনামলে প্রতিবছর দেশে মঙ্গা হয়েছে, মানুষ না খেয়ে থেকেছে এবং  না খেয়ে মারাও গেছে।

কৃষিক্ষেত্রে গবেষণার জন্য বর্তমান সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আগে কৃষি গবেষণার জন্য আমরা বিদেশের উপর নির্ভরশীল ছিলাম। বিদেশী বা আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার টাকা না পেলে গবেষণা করা যেতো না। কিন্তু বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিখাতে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছেন। কাজেই, গবেষণার জন্য ফান্ডের কোন কমতি নেই।

শ্রীলংকার সাথে বাংলাদেশকে তুলনা করে বাংলাদেশের অর্জনকে খাটো করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, একটি জাতি তার আত্মশক্তি ও আত্মবিশ্বাসের উপর ভর করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। অহেতুক ও ভিত্তিহীনভাবে শ্রীলংকার সাথে তুলনা করে আমাদের আত্মবিশ্বাস ও অর্জনকে ছোটো করা হচ্ছে। এটি মোটেই ঠিক হচ্ছে না। আমরা যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন এরকম ভিত্তিহীন তুলনায় আমাদের উদ্যোক্তারা হতাশ হয়ে পড়বে।

এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বিএজেএফের সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদের সভাপতিত্বে ও  সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের  অধ্যাপক  মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, গ্রীন ডেল্টা ইস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক) সৈয়দ মঈনউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop