৬:৫১ অপরাহ্ন

রবিবার, ১২ জানুয়ারী , ২০২৫
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ৭, ২০২১ ১২:৪৮ অপরাহ্ন
কেজিতে ২০ টাকা কমেছে মুরগি, স্থিতিশীল সবজি
এগ্রিবিজনেস

করোনা সংক্রমণের মাত্রা বাড়ার কারণে সারাদেশে চলছে সাতদিনের লকডাউন। লকডাউনে মুরগির মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমলেও পেঁয়াজ, আলু, গরুর মাংসসহ বেশিরভাগ পণ্যের দাম রয়েছে স্থিতিশীল।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে এমন চিত্র দেখা যায়।

ফার্মগেটে একজন ক্রেতা জানান, লকডাউনে কাঁচা বাজারের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। লকডাউনের আগে আলু ২০, পেঁয়াজ ৪০, গরুর মাংস ৬০০, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি আজকেও এই দামেই বাজার করলাম। তবে মুরগির মাংসের দাম একটু কমেছে ব্রয়লার মুরগি লকডাউনের আগে ছিল ১৮০ টাকা, এখন ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আমাদের কেনা দিয়ে বেচা, যেদিন যে দামে কিনি তারচেয়ে কিছু টাকা লাভ করে বিক্রি করি। দেশী মুরগি কয়দিন আগে ৩০০ টাকার উপরে ছিলো এখন ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা ছিলো এখন ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান একজন মুরগি ব্যাবসায়ী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৬, ২০২১ ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
সবজির দাম কমলেও ক্রেতার উপস্থিতি না থাকায় বিপাকে বিক্রেতা
এগ্রিবিজনেস

করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের দেয়া লকডাউনে নীলফামারীতে কমেছে সবজি ও চালের দাম। দাম কমলেও ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকায় সবজি নিয়ে চরম বিপদে পড়েছেন খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা। ম কমেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।

জানা যায় গতকাল সোমবার সকাল থেকে নীলফামারী শহরের আড়ৎ থেকে খুচরা বাজারে প্রচুর সবজি আমদানি হয়েছে। তবে লকডাউনের কারণে হাট-বাজার গুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। পাইকারী ও খুচরা দোকান গুলোতে সারি সারি করে সবজি সাজিয়ে বসে রয়েছেন বিক্রিতারা। কিন্তু ক্রেতার অভাবে তা বিক্রি করতে পারছেন না তারা।

নীলফামারীর বড় বাজারের একজন খুচরা সবজি ব্যবসায়ী জানান, লকডাউনের কারণে সবধরণের সবজিতে কেজি প্রতি দাম কমেছে ৫ টাকা করে। কিন্তু ক্রেতার উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। সকাল থেকে দোকানে সারি সারি করে সবজি সাজিয়ে রেখেছি ক্রেতার জন্য। অথচ ক্রেতা নেই। যে সব সবজিস দোকানে রয়েছে তা সবই পচনশীল। বিক্রি না হলে সব নষ্ট হয়ে যাবে। এতে অনেক অর্থের ক্ষতি হবে আমার।

তিনি বলেন, প্রতি কেজি আলু কারেজ ৮ টাকা, দেশী আলু ১০ টাকা, জলপাই আলু ১৬ টাকা, পটোল ৩৫ টাকা, করলা ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ২০ টাকা, বেগুন ১০টাকা, শসা ১০ টাকা, বড়বটি ৪০ টাকা, সজনা ৩৫ টাকা, টমেটো ১০ টাকা ও গাজর ১৫ টাকা।

রবিবার প্রতিকেজি আলু কারেজ আলু ১০টাকা, দেশী আলু ১২টাকা, জলপাই আলু ২৫টাকা, পটোল ৪০ টাকা, করলা ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ২৫ টাকা, বেগুন ১০টাকা, শসা ১৫ টাকা, বড়বটি ৫০ টাকা, সজনা ৪০ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা, গাজর ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।

খুচরা পিয়াঁজ ব্যবসায়ী ইলিয়াস আলী জানান, সবজি ও চাল কম দামে বিক্রি হলেও বেড়েছে পিঁয়াজের দাম। গতকাল রবিবার প্রতি কেজি দেশী পিঁয়াজ ২৮ টাকা দরে বিক্রি হলেও সোমবার ৫টাকা বেড়ে ৩৩টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চাল আড়ৎ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বাবলু জানান, চালের দাম বস্তা প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে কমেছে। ব্রি-২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকা, পাইজাম ২৮৫০ টাকা, মিনিকেট ২৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রবিবার প্রতি বস্তা ব্রি-২৮ চাল ২৬০০ টাকা, পাইজাম ২৯৫০ টাকা, মিনিকেট ৩০৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৫, ২০২১ ১২:১৬ অপরাহ্ন
লকডাউন: আমতলীতে আলু ও পিয়াজ উধাও!
পাঁচমিশালি

রবিবার লকডাউন ঘোষণার সাথে সাথে এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করতে আমতলী বাজার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পিয়াজ ও আলু গুদামজাত করার অভিযোগ উঠেছে।

তবে ব্যবসায়ীরা বলেন, লকডাউনের ঘোষণার পরপরই ক্রেতারা ধুমছে আলু ও পিয়াজ কিনে নিয়েছে, তাই সংঙ্কট তৈরি হয়েছে।

জানাগেছে, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ রক্ষায় রবিবার সরকার দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছেন। লকডাউন ঘোষণার পরপরই নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আলু ও পিয়াজ আমতলী উপজেলার বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। মানুষ বিভিন্ন দোকানে গিয়ে এ সকল পন্য খুজে পাচ্ছেন না। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী গুদামজাত করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বেশী দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এদিকে কিছু ভারতীয় পিয়াজ বাজারে পাওয়া গেলেও দেশীয় পিয়াজ নেই।

আরো জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তায় পাইকারী দোকানে আলু ও পিয়াজ খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক ক্রেতা এসে আলু ও পিয়াজ না পেয়ে ফিরে গেছেন।

ক্রেতারা জানান, লকডাউনের ঘোষণার সাথে সাথে আমতলী বিভিন্ন দোকান থেকে আলু ও পিয়াজ উধাও হয়ে গেছে। বাঁধঘাট চৌরাস্তার ৫-৭ টি দোকান ঘুরেও আলু ও পিয়াজ পেলাম না। দু’একটি দোকানে পেলেও তা বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে। তারা আরো বলেন, ১৫ টাকার আলু ১৮ টাকা এবং ৩০ টাকার পিয়াজ ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লকডাউনকে পুঁজি করে কোন ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে দাম বৃদ্ধি করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান আমতলীর ইউএনও আসাদুজ্জামান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৪, ২০২১ ৫:৪১ অপরাহ্ন
গাজীপুরে গরু চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
পাঁচমিশালি

গরু চোর সন্দেহে গাজীপুরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত নজরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার বুলুবেড় কান্দাপাড়া এলাকার আব্দুল বাতেনের ছেলে।

শনিবার রাতে কাপাসিয়ার চাঁদপুর এলাকার বড়কুশিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কাপাসিয়া থানার ওসি মো. আলম চাঁদ জানান, রাত দুইটার দিকে একদল চোর উপজেলার চাঁদপুর বড়কুশিয়া এলাকায় বাচ্চু মোড়লের বাড়িতে গরু চুরি করতে যায়।

বাড়ির মালিক বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরে এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়ে নজরুল ইসলামকে ধরে পিটুনি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে নজরুল ইসলাম মারা যান।

এ সময় তার সঙ্গে থাকা অপর চোরেরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২১ ২:৩৮ অপরাহ্ন
মুরগি-ডিমের দাম কমলেও বেড়েছে সবজির দাম
এগ্রিবিজনেস

কয়েকদিন আগে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে সবজি পাওয়ায় যেত। কিন্তু এখন বাজারে দেখা যায় তার ভিন্ন চিত্র। মুরগি-ডিমের দাম কমলেও সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। তেল, মুরগি, পিঁয়াজসহ প্রায় ধরনের ফলের দামও বেড়েছে।

রাজধানীর বাজারে দেখা যায়, প্রতিকেজি গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা। এদিকে ছয় কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

কাঁচা কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। প্রতিকেজি পেঁপে ৩০ টাকা, ক্ষীরা ৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মটরশুঁটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি লেবু ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কেজিতে ৩০ টাকা দাম কমে প্রতিকেজি সোনালি (কক) মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আর লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস ও মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা।

বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। খোলা ভোজ্যতেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা।

এছাড়া রুই বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় কাতল ৩৫০-৪০০ টাকা, চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, মাঝারি ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ১৩-১৪- টাকা, বাতাসি মাছ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৩০, ২০২১ ৯:৩০ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জে কীটনাশক দেওয়া পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে দুই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
পাঁচমিশালি

কীটনাশক দেওয়া পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দুই স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের ভায়াট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বিথী (১১) উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের ভায়াট গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে ও রিথী (১২) একই এলাকার শাহজাহান প্রামানিকের মেয়ে। উভয়ই ভায়াট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভায়াট গ্রামে লিজ নেওয়া পুকুরে রবিবার রাতে বিষ দেয় মালিক আব্দুল বরাত। মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্থানীয়রা ওই পুকুরে নেমে মাছ মারছিল। এতে বিথী ও রিথীসহ বেশ কয়েকজন শিশুও ওই পুকুরে মাছ ধরতে যায়। সেখানে মাছ ধরার একপর্যায়ে তারা দুই জনই পানিতে ডুবে যায়। মাছ মারা শেষে অন্যরা উঠে গেলেও তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ওই পুকুরে নেমে খোঁজ শুরু করে। এ সময় পুকুরের ডোবা থেকে শিশু দুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

তবে স্থানীয়দের ধারণা, কীটনাশক দেওয়া পুকুরের বিষাক্ত পানিতে ডুবেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

শুনেছি পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলে আশিক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২১ ৭:৫৪ অপরাহ্ন
বরিশালে বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশালে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আজ বুধবার বরিশালের এআইএস’র আইসিটিল্যাবে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, ক্ষুধামুক্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর অন্তরে। তিনি আজ নেই। তবে মূল্যবান স্মৃতিগুলো রেখে গেছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আমাদের লালন করতে হবে। দেশকে ভালোবাসতে হবে কাজের মাধ্যমে। তবেই দেশ হবে সোনার বাংলা।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউনটেন্ট মো. ইকরাম হোসেন, কম্পিউটার অপারেটর জগদীশ দত্ত, লাইটিং অ্যাসিসটেন্ট আবু জাফর মোল্লা প্রমুখ। পরে বঙ্গবন্ধুর জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দো’য়া করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৬, ২০২১ ১০:৫৫ অপরাহ্ন
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্র
কৃষি বিভাগ

বগুড়ার শেরপুরে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে শেরপুরের বালেন্দা গ্রামে ১০০ বিঘা জমিতে দুই জাতের ধান লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি। যা স্থান পেয়েছে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ ) ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’-এর আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ তথ্য জানিয়েছেন।

‘শস্যচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’ প্রকল্পের মূল পরিকল্পনাকারী কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, প্রতিকৃতিটি বিশ্বের কাছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদাভাবে পরিচিত করবে। এর আগে প্রাকৃতিকভাবে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ যে প্রতিকৃতি চীনে তৈরি করা হয়েছিল, তার মোট আয়তন ছিল ৮১,৫২২ বর্গমিটার, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটি প্রায় তার দেড় গুণ।

তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে। এখন শুধুই ক্ষণ গণনা, বাংলাদেশের জন্য নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করার জন্য। যদিও খালি চোখে দেখে বঙ্গবন্ধুর সম্পূর্ণ মুখাবয়ব দৃষ্টিগোচর করা সম্ভব নয়, তবুও প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসছে প্রকল্পটি দেখতে। ড্রোনের মাধ্যমে তোলা ছবি ও ভিডিও এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন ফিচার, সম্পাদকীয় টেলিভিশন ও জাতীয় দৈনিকে এসেছে।

সত্যি এ এক নয়নাভিরাম দৃশ্য, যা দেখে বোঝার উপায় নেই যে শুধু দুই প্রকার ধানগাছ লাগিয়ে অপূর্ব এই প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে। স্বাধীনতার মাসে জাতির পিতার এ প্রতিকৃতি সবাইকে আরো একবার প্রেরণা জোগাবে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে। জয় বাংলা।

আগামীকাল বাংলাদেশ সময় একটায় একটি ওয়েবনিয়ারে তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবে, বলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই নেতা।

জানা যায়, ভবানীপুরের বেলেন্দিয়া গ্রামের ১০০ বিঘা জমির ওপর নেওয়া হয়েছে প্রকল্পটি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি এবং ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এটি সম্পন্ন করেছে। ৪০০ মিটার লম্বা ও ৩০০ মিটার চওড়া প্রতিকৃতিটি সর্বমোট ১,২০,০০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।

স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে নভেম্বর ২০২০ থেকে মে ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য জায়গাটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। প্রতিকৃতিটিকে ফুটিয়ে তুলতে দুই ধরনের ধান ব্যবহার করা হয়েছে। সবুজ ধানটি ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার কর্তৃক স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এবং বেগুনী (হালকা খয়েরি) ধানটি চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে।

গত (১-১৫) ফেব্রুয়ারি স্থানীয় নারী শ্রমিক, বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং বিএনসিসি সদস্যরা এই ধানের চারা রোপণ করেন। প্রকল্পের অংশ হিসেবে মূল প্রতিকৃতির নিচে খয়েরি রংয়ের ধানে বঙ্গবন্ধুর সম্পূর্ণ নাম লেখা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৫, ২০২১ ৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজারে মাছ ধরা ট্রলারে রহস্যময় বিস্ফোরণের নেপথ্যে—-
পাঁচমিশালি

বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূলে মাছ ধরার সময় ট্রলারে বিস্ফোরণে শুক্রবার রাত পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে আর ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন আরও চার জন কিন্তু এ ঘটনাটি নিয়ে কৌতুহল ছড়িয়ে পড়েছে জেলে ও ট্রলার মালিকদের মধ্যে।

নিহত ও আহত জেলেদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে

সেখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মোমিন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, নিহতদের পরিবারকে ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসন থেকে বিশ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

কিন্তু এই বিস্ফোরণের কারণ জানা গেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন জেলেদের যারা সুস্থ হয়ে এসেছে তাদের সাথে কথা বলেছেন কিন্তু তারা কারণ কিছু বলতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজারে গিয়ে মামলা করার জন্যও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মি. মোমিন।

“মামলা ও তদন্ত হলে জানা যাবে আসলে কি ঘটেছে সেখানে,” বলছিলেন তিনি।

তবে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছেন এখনো কোন মামলা দায়ের করেনি কেউ। কোস্ট গার্ডের চট্টগ্রাম জোনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ঘটনাটিও তাদেরকেও জানানো হয়নি।

তবে কোস্ট গার্ড কক্সবাজার ইউনিটে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার একজন কর্মকর্তা প্রসঙ্গটি উত্থাপনের সাথে সাথে ফোন কেটে দেন এবং পরে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হলে পরে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

তবে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটির মালিক শহিদুল হক সোহেল বলছেন, “এটি একটি রহস্যময় ঘটনা। কারণ জাহাজের ইঞ্জিন, ব্যাটারি, গ্যাস সিলিন্ডার সব অক্ষত। হঠাৎ করে কিছু একটা এসে উপরিভাগের কেবিনে বিধ্বস্ত হয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় যাতে সেখানে থাকা ১২ জন জেলে আহত হয়। শুক্রবার রাত পর্যন্ত তাদের মধ্যে সাত জন মারা গেছে”।

যা ঘটেছিলো
একুশ জন জেলে ট্রলারটি নিয়ে কক্সবাজার উপকূল থেকে রওনা দিয়েছিলো ২৭শে ফেব্রুয়ারি। বাকখালী নদী পেরিয়ে আরও অন্তত ১০/১২ ঘণ্টা ট্রলার চালানোর পর রাত তিনটা থেকে সাগরে জাল ফেলার কাজ করে ২৮শে ফেব্রুয়ারি সকাল দশটা নাগাদ সকালের খাবার খান তারা।

জেলেদের একজন মোঃ শরীফ বিবিসিকে বলেন, মেঘনায় মাছ ধরা নিষেধ এখন তাই তারা কক্সবাজার উপকূলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সেদিন।

তিনি জানান জেলেদের প্রায় সবাই উপরের অংশের কেবিনে ভেতরে ও বাইরে বসে খাবার খাওয়া মাত্র শেষ করেছিলেন আর একজন নীচে বসে জাল পাহারা দিচ্ছিলেন।

“সকাল সাড়ে এগারটার মতো বাজে। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ। কেবিন তছনছ হয়ে গেলো। সবাই লাফিয়ে পড়লো পানিতে। পরে যে একজন উপরে ছিলো যে রশি ফেললে আমরা একে একে উঠে আসি। কম বেশি সবাই আহত হল। বেশ কিছুক্ষণ পর কাছাকাছি এলাকা দিয়ে আরেকটি ফিশিং বোট যাচ্ছিলো। তখন আমরা অনুরোধ করলাম মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে এমন এলাকায় এগিয়ে দিয়ে আসতে,” বলছিলেন তিনি।

পরে মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়ার পর ট্রলারের মালিককে ঘটনা জানান আহত জেলেরা এবং তাদের দ্রুত উদ্ধারের অনুরোধ করেন।

মালিক শহিদুল হক সোহেল বলেন, খবর পেয়েই আরেকটা বোট ও দুইটা স্পীড বোট ভাড়া করে তখনি রওনা দিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করান তিনি।

“তারপর থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত একে একে কয়েকজন মারা গেলো। আরও কয়েকজন চিকিৎসাধীন আছে। কিন্তু ঘটনাটি কেন ঘটলো সেটি বুঝলাম না। কারণ ট্রলারে ইঞ্জিন, গ্যাস সিলিন্ডার বা ব্যাটারি সব ঠিক আছে। মাঝি বা জেলেরাও কিছু বুঝতে পারেননি,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন মিস্টার হক।

তিনি জানান আহতদের দ্রুত প্রথমে চট্টগ্রাম ও পরে কয়েকজন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এবং পুরো ঘটনা সেখানকার ফিশিং বোট মালিক সমিতিকে জানানো হয়েছে।

মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বিবিসিকে বলছেন, “এটা একটা মিরাকল। ট্রলারটি উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী ছিলো। এবং বিস্ফোরক কিছু এসে পাশ থেকে কেবিনে আছড়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। রহস্য উদঘাটনে ঘটনাটি তদন্ত হওয়া দরকার”।

মি. হোসেন বলেন, সাধারণ একজন মাঝির নেতৃত্বে জেলেরা ফিশিং বোট মালিকের সাথে চুক্তি অনুযায়ী সাগরে যায় মাছ ধরতে।

“ধরুন আমি বোট আর দুই লাখ টাকা অগ্রিম দিলাম। তারা সাগরে যাবে মাছ ধরবে। যা পাবে খরচ বাদ দিয়ে লাভের বাকী অংশ সমান ভাগ হবে। তাই বোট নিয়ে যাওয়ার পর মালিকের এখানে আর করণীয় কিছু থাকে না। কিন্তু এখানে মাঝি ও জেলেরাই হতবাক যে কি হয়ে গেলো”।

যারা মারা গেছেন
রামগতি উপজেলা প্রশাসন ও জেলেদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী যারা মারা গেছেন তারা হলেন: মোঃ বেলাল উদ্দিন, মোঃ মেহেরাজ উদ্দিন, মোঃ রিপন মাঝি, আবুল কাশেম, মোঃ মিলন, মিরাজ উদ্দিন (পিতা সিরাজ উদ্দিন) ও মিরাজ (পিতা: দেলোয়ার হোসেন)। সূত্র- বিবিসি বাংলা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৭, ২০২১ ৩:১৪ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জে গরু চোরাকারবারি-বিজিবি সংঘর্ষে নিহত ১
পাঁচমিশালি

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় কামাল মিয়ার নামে একজন গরু চোরাকারবারি বিজিবি‘র গুলিতে নিহত হয়েছে। কামাল মিয়ার বাড়ি সদর উপজেলার ইসলামপুর উত্তরপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল আওয়াল।

আজ রোববার সকালে ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম গণমাধ্যমকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে আজ মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

সুনামগঞ্জ ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মাকসুদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার দুপুরে সীমান্তে নিয়মিত টহলে ছিল বিজিবির ৬ জন সদস্য। এসময় ৩০টি গরু নিয়ে কয়েকজন সীমান্ত পাচার করার চেষ্টা করলে বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং এক পর্যায়ে গ্রামবাসীরা বিজিবির উপর ক্ষিপ্ত হয়।

পরে কামাল মিয়া নেতৃত্বে আমার সদস্য উপর দা লাটি নিয়ে এগিয়ে আসে এ সময় তারা বিজিবি ল্যান্সনায়েক মারমা উপর দা দিয়ে কোপ দিলে তার হাতে গুরুতর জখম হয়। পরে সে মাটিতে পড়ে গেলে গ্রামবাসীরা তার মাথায়ও আঘাত করে। এ সময় আত্মরক্ষায় বিজিবি ২ রাউন্ড গুলি চালালে একটি গুলি চোরাকারবারি কামাল এর গায়ে লাগে এবং একটি উপর দিকে চলে যায়। তবে চোরাকারবারি কামাল নিহত হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সহিদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ঘটনায় বিজিবি চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

লে. কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম আরও বলেন, ‘বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছেন। গরু চোরাকারবারিদের হামলায় আমাদের এক সদস্য আহত হয়েছেন।’

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop