১:০৯ অপরাহ্ন

রবিবার, ৫ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২৩ ৯:০১ অপরাহ্ন
গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে কোরবানির জন্য গরু পালনে আগ্রহ কমেছে!
প্রাণিসম্পদ

গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধির প্রভাব কোরবানির জন্য গরু পালনের ওপর পড়েছে। গরু পালনকারীরা পরিচালনা খরচ বহন করতে না পেরে খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন। দেশের গরু পালনকারী এলাকার মধ্যে অন্যতম হলো পাবনার বেড়া উপজেলা। বর্তমানে এই উপজেলায় গরু পালনের খরচ বাড়ার সাথে সাথে হাটে গরুর দামও বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে গরু মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রমজানের আগে থেকেই খামারিরা গরু কিনে রাখেন। তারপর তা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত মোটাতাজা করে বিক্রি করেন। তবে এবার হাটগুলোতে ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। গরু পালনকারীরা হাটে গরু নিয়ে আসলেও খামারিদের কিনতে আসতে দেখা যায়নি। হাটে এখন গরুর দাম যথেষ্ঠ নয় বলে খামারিরা মনে করেন। এছাড়াও গরু পালনে এখন আগের তুলনায় খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। তাই দ্বিগুণ খরচ করে গরু পালন করে পরে লাভ করতে পারবেন না বলে জানান তারা। এতে এখন যারা গরু বিক্রি করে দিতে চান ক্রেতার অভাবে তারাও বিক্রি করতে পারছেন না।

খামারিরা জানায়, বিগত ১ বছর ধরে গোখাদ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়াও তা দফায় দফায় বাড়ছে। গত ২-৩ সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো আরেক দফায় খাদ্যের দাম বেড়ে খামারিদের খরচ আরো বেড়েছে। এক বছর আগে গম বিক্রি হতো ২৪-২৫ টাকায়, খেসারি ও এংকর ডাল ৫৫ টাকায়, মসুরের ভুসি ৩৭ টাকায় বাকি আরো খাদ্যের উপকরণের দামও কম ছিল। এছাড়াও আগে ৩৫০ টাকা মন খড় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৫৫০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে বেড়েছে ঘাসের দাম।

বেড়া পৌর এলাকার খামারি মাহফুজা মীনা বলেন, আমার খামারে ৮০ টি গরু ছিল। গোখাদ্যের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় খরচ সামলাতে না পেরে ২০টি গরু বিক্রি করে দেই। এরপরেও মাসে ১ লাখ টাকার মতো লোকসান দিয়ে ২০-২২টি গরু কোরবানির জন্য মোটাতাজা করতেছি। হাটে যদি ভালো দামে বিক্রি করতে না পারি তাহলে বিরাট আকারের লোকসানে পড়তে হবে।

বেড়া বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা আব্দুল মতিন বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে যে গরু ৭০-৭৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে এসেছি। এখন সেই সাইজের গরুর দাম ৮০-৮৫ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই প্রতি কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে ষাঁড় গরুর মাংস ৭০০ টাকা এবং গাই গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে অনেকেই লোকসানের ভয়ে গরু পালনে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তবে আমরা মনে করি গরু পালনকারীরা শেষ পর্যন্ত গরু পালনে তারা এগিয়ে আসবেন।

আধুনিক কৃষি খামার

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ১২:১৬ অপরাহ্ন
গয়না বিক্রি করে গরুর খামার ‍শুরু করে কোটিপতি জেসমিন!
প্রাণিসম্পদ

বিয়ের গয়না বিক্রি করে গরুর খামার শুরু করে কোটিপতি হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জেসমিন আরা। বর্তমানে তার খামারের বয়স ১৮ বছর হয়ে গেছে। তার খামারে ১০০টি গরু রয়েছে। পাশাপাশি গড়েছেন ছাগল ও হাঁসের খামার। পাশেই করছেন মাছ চাষ।

জানা যায়, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জোৎবানী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে বাসিন্দা জেসমিন আরা। তিনি তার বাড়ির পাশেই গড়ে তুলেছেন ‘জেসমিন ডেইরি ফার্ম’ নামে গরুর খামার। এখন পর্যন্ত উপজেলা ডেইরি বিভাগে তিনবার প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। জেসমিনের খামারে রয়েছে শতাধিক বিভিন্ন জাতের গরু। যার মধ্যে ৩০টি গাভি থেকে প্রতিদিন আড়াইশো লিটার দুধ পান। যা বিক্রি করে প্রতিদিন আয় হয় ৭-১০ হাজার টাকা। ছাগল, হাঁস ও মাছের খামার থেকে প্রতি মাসে আয় তিন লাখ টাকা। বর্তমানে তার খামারে ১০ জন যুবক কাজ করছেন।

খামারে কর্মরত শ্রমিক সবুজ হোসেন বলেন, আমি জেসমিন আপার খামারে একজন শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। খামারের গরুর গোসল করানো খাবার দেওয়াসহ দেখাশোনার কাজ করি। মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন দেয়। এতে আমার পরিবার নিয়ে ভালোই চলছে।

অপর শ্রমিক সিদ্দিক হোসেন বলেন, জেসমিন আপার খামারে গরু, হাঁস ও ছাগল চারটি পুকুর রয়েছে। যেগুলোতে মাছ চাষ করা হয়। খামারে আমরা ১০ জন শ্রমিক রয়েছি। যারা সব কাজ করে থাকি। এই খামারের মাধ্যমে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

পাশের গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব হোসেন বলেন, জেসমিন আরা গরুর খামার দেখে অবাক হয়েছি। তার খামারে অনেক জাতের গরু রয়েছে। সাথে পুকুরে মাছ চাষ করছে। আবার হাঁস মুরগিও পালন করছে। তার খামার দেখে নিজে খামার গড়ে তুলার ইচ্ছা রয়েছে।

জেসমিন আরা বলেন, আমার স্বামী একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। দিনে বেশির ভাগ সময় কাজকর্ম থাকতো না। না। আগে থেকেই আমার গরু ছাগল লালনপালনের ইচ্ছে ছিল। পরে নিজের গয়না বিক্রি করে সে টাকা দিয়ে দুটি গাভি কিনে ছোট একটি খামার তৈরি করি। তারপর ধীরে ধীরে সেই দুটি গাভির বাছুর থেকে খামারে গরুর সংখ্যা বাড়তে থাকে। গরু বাড়তে থাকায় বাড়ির পাশে আরও কিছু জাইগা কিনে বড় পরিসরে খামার দেই।

বিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিপুল কুমার জানান, আমরা জেসমিনকে সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। তার সাফল্য দেখে গ্রামের অনেকেই গরুর খামার তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এছাড়া গরু কিনা বিষয় তাদেরকে সকল ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে মাংস ও দুধের চাহিদা মেটাতে তার মতো খামারির সংখ্যা বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৭, ২০২৩ ৫:১৪ অপরাহ্ন
গরুর প্রত্যয়নপত্র দিয়ে আলোচনায় ইউপি চেয়ারম্যান
প্রাণিসম্পদ

কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়ায় গরুর বৈধতার প্রমাণ হিসেবে প্রত্যয়নপত্র দিয়ে ভাইরাল হয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ঈসমাইল নোমান। প্রত্যয়নপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনার ঝড় উঠে।

এসএম রুবেল নামে একজন ফেসবুকে লেখেন- গরুর রচনার পর এবার এলো গরুর প্রত্যয়ন। কিন্তু প্রত্যয়নপত্রের কোথায়ও লিখলেন না জন্মসূত্রে গরুটি বাঙালি না বার্মাইয়া।

এদিকে এ প্রত্যয়নপত্রের জন্য ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদাও দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খামারিরা।

সচেতন মহলের অভিযোগ, মূলত সীমান্ত দিয়ে আসা মিয়ানমারের চোরাই গরু নির্দ্বিধায় বেচাবিক্রিতে সহায়তায় এ প্রত্যয়ন প্রদান করা হচ্ছে।

গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকের অভিযোগ, অবৈধভাবে আসা অনেক গরুও পরিষদ থেকে প্রত্যয়নপত্র দিয়ে বৈধতা দিচ্ছেন চেয়ারম্যান।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ঈসমাইল নোমানের বিরুদ্ধে বার্মিজ গরুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও পরিষদের নামে নিয়মবহির্ভূত প্রতি গরু থেকে ৩০০ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে কচ্ছপিয়ার চেয়ারম্যান বলেন, মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বিপুলসংখ্যক গরু আনছেন চোরাকারবারিরা। ফলে দেশীয় খামারিরা পড়েছেন বিপাকে। দেশীয় গরুগুলোকেও অবৈধ ভেবে অভিযান চালানো হয়। তাই স্থানীয় খামারিদের গরুগুলো যাচাই বাছাই করে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হচ্ছে পরিষদ থেকে। যাতে বৈধ ও অবৈধ গরু চিহ্নিত করতে সহজ হয়।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাহমিদা মোস্তফা বলেন, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন। অবৈধ গবাদিপশু চোরাচালান রোধে দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৬, ২০২৩ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
ইলিশের উৎপাদন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার – মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

ইলিশের উৎপাদন যাতে কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উপলক্ষ্যে ‘ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা সংরক্ষণ ও অভয়াশ্রমের প্রভাব’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এ কর্মশালা আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, একটি ইলিশের জন্য তার বর্ণাঢ্য জীবনচক্র, বৈশিষ্ট্য, চলাচল, অনুকূল পরিবেশ, নিরাপদ আশ্রয় এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইলিশের প্রাকৃতিক খাবারের মান কতটা কমে যাচ্ছে, জলবায়ুর প্রভাবে ইলিশের উৎপাদন কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ বিষয়গুলো নিয়ে সরকার কাজ করবে। যাতে ইলিশের উৎপাদন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। মা ইলিশ সংরক্ষণ, জাটকা সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম সংরক্ষণসহ ইলিশের উৎপাদন যাতে কেউ কোনভাবে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ সবখানে নদীর গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে। বেপরোয়া বালু উত্তোলনের কারণে যে নিরাপদ জায়গায় ইলিশ মাছ ডিম দেবে, যেখানে বাচ্চা হবে সে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। যানবাহনের পোড়া তেল-মবিল, শিল্প বর্জ্য নদীর পানিতে মিশে দূষণের ভয়ঙ্কর প্রভাবে মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের কাজ করতে হবে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, এখন মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন অনেক সচেতন। আনন্দমুখরভাবে তারা জাটকা সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করছে। তবুও কিছু কিছু জায়গায় কিছু দুর্বৃত্ত জাটকা নিধন করে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মোবাইল কোর্ট, অভিযান পরিচালনা, জেল-জরিমানাসহ বিভিন্নভাবে জাটকা নিধন বন্ধ করার জন্য কাজ চলছে।

ইলিশের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত ব্যাপক উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশ সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করার অন্যতম একটি খাত। বিশ্বের সর্বোচ্চ ইলিশ বাংলাদেশে উৎপাদন হয়। ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। ইলিশ বাঙালির কাছে সবচেয়ে সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় মাছ। ইলিশ আহরণ, বিপণনসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত মানুষের সংখ্যা অনেক। এ মানুষগুলোর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হচ্ছে। কাজেই এ মাছ আমাদের ধরে রাখতে হবে।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, দেশের মৎস্য খাতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। মৎস্য বিজ্ঞানী-কর্মকর্তা, মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন এবং মৎস্য গবেষণার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের সম্মিলিত কৃতিত্বেই মৎস্য খাতে এ অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজ আমরা এখানে পৌঁছাতে পেরেছি। সরকার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন অভয়াশ্রম তৈরি, প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করে তা সংরক্ষণসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। বলেশ্বর নদীতে ইলিশের নতুন প্রজননক্ষেত্র ঘোষণা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত যেখানেই মাছ উৎপাদনের জন্য নিরাপদ আশ্রয় দরকার সেখানেই অভয়াশ্রম তৈরি করা হবে। ইলিশসহ সবধরণের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার অভয়াশ্রম তৈরি করতে আগ্রহী এবং সেটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য খাতের উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তাই করতে বলেছেন। তিনি বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান করে দিয়েছেন। তিনি মৎস্য গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছেন। আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি করে দিয়েছেন। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম। কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএফআরআই-এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম। প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৬, ২০২৩ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
গোপালপুরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ
প্রাণিসম্পদ

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ‘বিজনেস প্ল্যান প্রিপারেশন’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

বুধবার (৫ এপ্রিল) পৌরশহরের হেমনগর রোড়ের খোলা চত্বরে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো: রানা মিয়া।

বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন- ভেটেরিনারি অফিসার ডাঃ মো: আব্দুল মান্নান, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার ডাঃ মো: শহীদুল আলম, গোপালপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শরীফ আব্দুল বাসেত, মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো: মইনুল হাসান এবং প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রানা মিয়া জানান, বিফ ফেটারিং, গোট এন্ড শিপ ভ্যালু চেইন এর পিজি সদস্যদের ‘বিজনেস প্ল্যান প্রিপারেশন’ এর উপর এ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

লাভজনকভাবে ভেড়াপালন, মাংস বাজারজাতকরণ এবং বাণিজ্যিক বা ক্ষুদ্র খামারের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীসমাজকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করাই হলো প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। প্রশিক্ষণে প্রায় ৫০ জন খামারি অংশ নেয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৬, ২০২৩ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
উন্নত জাতের ছাগল পালনে খামারী যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

উন্নত জাতের ছাগল পালন ও পরিচর্যায় যা করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের দেশের অনেক ছাগল পালনকারীরাই জানেন না। ছাগল পালন লাভজনক হওয়ার কারণে দিন দিন আমাদের দেশে ছাগল বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে উন্নত জাতের ছাগল পালন করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়।

উন্নত জাতের ছাগল পালন ও পরিচর্যায় যা করতে হবে:
উন্নত জাতের ছাগলগুলোর মধ্যে রাম ছাগল অন্যতম। উন্নত জাতের ছাগল পালন ও পরিচর্যা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

ছাগলের বাসস্থান বা ঘর:
ছাগল সাধারণত পরিষ্কার, শুষ্ক, দুর্গন্ধমুক্ত, উষ্ণ, পর্যাপ্ত আলো ও বায়ূ চলাচলকারী পরিবেশ পছন্দ করে। গোবরযুক্ত, স্যাঁত স্যাঁতে, বদ্ধ, অন্ধকার ও পুতিগন্ধময় পরিবেশে ছাগলের রোগবালাই যেমন: নিউমোনিয়া, একথাইমা, চর্মরোগ, ডায়রিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন জাতীয় সংক্রামক ও পরজীবীয় রোগ হতে পারে। সেই সাথে ওজন বৃদ্ধির হার, দুধের পরিমাণ এবং প্রজনন দক্ষতা কমে যায়।

ঘর নির্মাণের স্থান:
পূর্ব পশ্চিমে লম্বালম্বী, দক্ষিণ দিক খোলাস্থানে ঘর নির্মাণ করা উচিৎ। খামারের তিন দিকে ঘেরা পরিবেশ বিশেষ করে উত্তর দিকে গাছপালা লাগাতে হবে। ছাগল খামারে স্থান নির্বাচনে অবশ্যই অপেক্ষাকৃত উঁচু এবং উত্তম পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

প্রতিটি পূর্ণ বয়স্ক ছাগলের জন্য গড়ে ৮-১০ বর্গ ফুট জায়গা প্রয়োজন। প্রতিটি বাড়ন্ত বাচ্চার জন্য গড়ে ৫ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন। ছাগলের ঘর ছন, গোল পাতা, খড়, টিন বা ইটের তৈরী হতে পারে। তবে যে ধরণের ঘরই হউক না কেন ঘরের ভিতর বাঁশ বা কাঠের মাচা তৈরী করে তার উপর ছাগল রাখতে হবে।

মাচার উচ্চতা ১.৫ মিটার (৫ ফুট) এবং মাচা থেকে ছাদের উচ্চতা ১.৮-২.৪ মিটার (৬-৮ ফুট) হবে। গোবর ও প্রগ্রাব পড়ার সুবিধার্থে বাঁশের চটা বা কাঠকে ১ সেঃ মিঃ (২.৫৪ ইঞ্চি) ফাঁকা রাখতে হবে।

মাচার নিচ থেকে সহজে গোবর সরানোর জন্য ঘরের মেঝে মাঝ বরাবর উঁচু করে দুই পার্শ্বে ঢালু (২%) রাখতে হবে। মেঝে মাটির হলে সেখানে পর্যাপ্ত বালি মাটি দিতে হবে। ছাগলের ঘরের দেয়াল, মাচার নিচের অংশ ফাঁকা এবং মাচার উপরের অংশ এম.এম. ফ্ল্যাক্সিবল নেট হতে পারে। বৃষ্টি যেন সরাসরি না ঢুকে সে জন্য ছাগলের ঘরের চালা ১-১.৫ মিঃ (৩.২৮-৩.৭৭ ফুট) ঝুলিয়ে দেয়া প্রয়োজন।

শীতকালে রাতের বেলায় মাচার উপর দেয়ালকে চট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। শীতের সময় মাচার উপর ১০-১২ সেঃ মিঃ (৪-৫ ইঞ্চি) পুরু খড়ের বেডিং বিছিয়ে দিতে হবে। বয়সের এবং জাত ভেদে বিভিন্ন ধরণের ছাগলকে আলাদা ঘরে রাখা উচিৎ।

পাঁঠাকে সব সময় ছাগী থেকে পৃক করে রাখা উচিৎ। দুগ্ধবতী, গর্ভবতী ও শুষ্ক ছাগীকে একসাথে রাখা যেতে পারে। তবে তাদের পৃক খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। শীতকালে বাচ্চাকে রাতের বেলা মায়ের সাথে ব্রম্নডিং পেনে রাখতে হবে। ব্রম্নডিং পেন একটি খাঁচা বিশেষ যা কাঠের বা বাঁশের তৈরী হতে পারে। এর চারপার্শ্বে চটের ব্যবস্থা দিয়ে ঢাকা থাকে।

খাদ্য ব্যবস্থাপনা:
ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনাই খামারের অন্যতম প্রধান বিষয়। ইন্টেনসিভ এবং সেমি-ইন্টেনসিভ পদ্ধতিতে ছাগলের খাদ্যের পরিমাণ ও গুনগত মান নির্ভর করে চারণ ভূমিতে প্রাপ্ত ঘাসের পরিমাণ ও গুনগত মানের উপর। ছাগলের বাচ্চাকে কলষ্ট্রাম (শাল দুধ) খাওয়ানোঃ সাধারণত ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের বাচ্চার ওজন ০.৮-১.৫ কেজি (গড়ে ১.০০ কেজি) ওজন হয়।

বাচ্চা জন্মের পরপরই পরিস্কার করে আধা ঘন্টার মধ্যেই মায়ের শাল দুধ খেতে দিতে হবে। ছাগলের বাচ্চার প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম শাল দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। এই পরিমাণ দুধ দিনে ৮-১০ বারে খাওয়াতে হবে। শাল দুধ বাচ্চার শরীরে এন্টিবডি তৈরী কওে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। দুই বা ততোধিক বাচ্চা হলে প্রত্যেকেই যেন শাল দুধ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ছাগলের বাচ্চার দানাদার খাদ্য মিশ্রণ কম আঁশ, উচ্চ প্রোটিন, উচ্চ বিপাকীয় শক্তি সম্পন্ন হতে হয়।

ছাগলের বাচ্চাকে দানাদার খাদ্য খাওয়ানো:
ছাগল ছানা প্রথমে মায়ের সাথেই দানাদার খাবার খেতে অভ্যস্থ হয়। ছাগলের বাচচাকে জন্মের প্রথমে সপ্তাহ থেকে ঘাসের সাথে পরিচিত করে তুলতে হবে। সাধারণত শুরুতে মায়ের সাথেই বাচ্চা ঘাস খেতে শিখে। অভ্যস্থ করলে সাধারণত দুই সপ্তাহ থেকেই বাচচা অল্প অল্প ঘাস খায়।

এ সময়ে বাচ্চাকে কচি ঘাস যেমন: দুর্বা, স্পেনডিডা, রোজী, পিকাটুলাম, সেন্টোসোমা, এন্ড্রোপোগন প্রভৃতি ঘাস খাওয়ানো যেতে পারে। তাছাড়া, ইপিল ইপিল, কাঁঠাল পাতা, ধইনচা ইত্যাদি পাতা খাওয়ানো যেতে পারে।

বাড়ন্ত ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ

ছাগলের ৩-১২ মাস সময়কালকে মূল বাড়ন্ত সময় বলা যায়। এ সময়ে যেসব ছাগল প্রজনন বা মাংস উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হবে তাদের খাদ্য পুষ্টি চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। দুধ ছাড়ানোর পর থেকে পাঁচ মাস পর্যন- সময়ে ছাগলের পুষ্টি সরবরাহ অত্যন্ত নাজুক পর্যায়ে থাকে।

এ সময়ে একদিকে ছাগল দুধ থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন ও বিপাকীয় শক্তি থেকে যেমন বঞ্চিত হয় তেমনি মাইক্রোবিয়াল ফার্মেন্টেশন থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি সরবরাহও কম থাকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৩০, ২০২৩ ৪:২৭ অপরাহ্ন
দেশের সব মানুষের কাছে পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও সুদৃশ্য ইলিশ পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য:  প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

দেশের সব মানুষের কাছে পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও সুদৃশ্য ইলিশ পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে মৎস্য জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশ মাছ সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ উদযাপন করা হচ্ছে। অন্যান্য বছরের ধারাবাহিকতায় এবার ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হবে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘করলে জাটকা সংরক্ষণ, বাড়বে ইলিশের উৎপাদন’। দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ ২০ জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন করা হবে। ১ এপ্রিল পিরোজপুরের হুলার হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন করা হবে। আমাদের লক্ষ্য ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত ও সচেতন করা।

ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের নানা কার্যক্রম তুলে ধরে এ সময় মন্ত্রী বলেন, ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা করে মা ইলিশ আহরণের নিষিদ্ধ সময় ২২ দিন নির্ধারণ, জাটকা নিরাপদে বৃদ্ধির জন্য ১ নভেম্বর হতে ৩০ জুন পর্যন্ত সারাদেশে ৮ মাস জাটকা ধরা, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ নদ-নদীতে ৬টি ইলিশ অভয়াশ্রম স্থাপন ও নির্দিষ্ট সময়ে এ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা, নিষিদ্ধকালে জেলেদের প্রতিবছর ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান, জাটকা আহরণে বিরত অতি দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প বাস্তবায়ন, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ফলে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লক্ষ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার মেট্রিক টনে পৌঁছেছে। জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরো বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এমন জাল যেমন বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য সরকার আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে শুধু সমুদ্রে বা নদীতে নয় বরং যেখানে এসব অবৈধ জাল তৈরি হয় সেখানে আঘাত হানতে হবে। এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে যেখানে বেআইনি জাল উৎপাদন হবে, সে কারখানায় আমাদের অভিযান চলবে। যারা জাটকা নিধনের চেষ্টা করবে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি যে অঞ্চলে জাটকা ধরা হবে সে অঞ্চলে বরফ কল বন্ধ রাখা হবে। বাজারেও মোবাইল কোর্ট থাকবে। জাটকা পরিবহন ও বিপণনে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

মন্ত্রী আরো জানান, জাটকা নিধনে সবচেয়ে ক্ষতিকর জাল ধ্বংসে ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের ১৭টি জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সহায়তায় বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনার মাধ্যমে মোট ৯৮৭ টি মোবাইল কোর্ট ও ৩ হাজার ২২৬ টি অভিযান পরিচালনা করে ৭ হাজার ৫৪ টি বেহুন্দি জাল, ৫৪৯ দশমিক ১৯ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১২ হাজার ৪৮ টি অন্যান্য নিষিদ্ধ জাল আটক করা হয়েছে।

শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, ২০২২ সালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে ৫২ শতাংশ ইলিশ প্রজননক্রিয়ায় অংশ নিতে পেরেছে যা ২০০১-০২ অর্থবছরের তুলনায় অনেক বেশি।

মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে সরকার জেলেদের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২০ জেলার ৯৭ উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৮৬৯ টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ৫৭ হাজার ৭৩৯ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বিতরণ চলমান রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বিগত সাত বছর যাবৎ মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময়ও জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি জেলেদেরকে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের সব মানুষের কাছে পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও দেখতে সুন্দর ইলিশ মাছ পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, সারাবিশ্বের বিস্ময়কর সুস্বাদু ইলিশ যার ৮০ শতাংশ বাংলাদেশে উৎপাদন হয়, যার জিআই সনদ আমাদের, এ ইলিশ যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটাই জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ, ২০২৩ এর লক্ষ্য। একটা সময় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার মত অবস্থায় চলে যাওয়া ইলিশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আজ আমরা সর্বোচ্চ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নিয়ে এসেছি। এ প্রক্রিয়ায় মৎস্যজীবী সংগঠন, নৌ পুলিশ, কোস্ট কার্ড, সাধারণ পুলিশ, সিভিল প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ইলিশ উন্নয়নের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে চাই। ইলিশের স্বাদ সকলের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। সুযোগ হলে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে চাই।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এবং মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের আগে মন্ত্রী ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৮, ২০২৩ ১০:২১ অপরাহ্ন
লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল
প্রাণিসম্পদ

গ্রামের পাশাপাশি এখন শহরের মানুষও গরুর খামারে দিকে ঝুঁকছেন। গরু পালন শুরু করতে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে তা নতুন খামারির জানা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল:-
খামার শুরু করার আগে সীমিত খরচে ৩/৬ মাস মেয়াদী যুব উন্নয়ন বা বেসরকারি ভাবে ট্রেনিং নিতে হয়। প্রাণীসেবা হাসপাতালে সাপ্তাহিক ও মাসিক ট্রেনিং গুলোতে যোগ দিতে হবে।তবে একদিনে ট্রেনিং করে সব শিখতে চাইয়েন না।কারণ খামার বিষয়ক তথ্য গুলো একদিনে সব আয়ত্ত করা সম্ভব নয়।

গরুর যত্নে সঠিক সময়ে খাদ্য দেওয়া জরুরী। গরুকে যে খাদ্য খাওয়াতে হবে ২ বেলা কাঁচা ঘাস, খড়, দানাদার, পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি। এর মধ্য রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানিরর রেডি ফিড তো ফিড না দিয়ে নিজে খাদ্য তৈরী করতে হবে এতে খরচ কম হবে ও ভালো মানের খাদ্য তৈরী হবে।

গরুকে ঔষুধ খাওয়ানোর নিয়ম জানতে হবে। কারণ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেননা,শ্বাসনালীতে ঔষুধ গেলে গরু মারা যাবার সম্ভবনা বেশির ভাগ। গরুকে ঔষুধ খাওয়ানোর সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো খাদ্যর সাথে বা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো।

পরিচিত কোন খামারে কিছু দিন সময় দেন খেয়াল করুন তার কাজকর্ম। সে কিভাবে কখন গরুকে খাদ্য দেয়,গোসল করাই,খামার পরিস্কার করে। ডাক্তারদের সাথে ভালো সমর্পক গড়ে তুলুন জেনে নিন কোন কোন রোগে কি কি চিকিৎসা দিতে হয়।

রোগে খামারে গরুর যে সমস্যাগুলো বেশি হয় তা বিষয়ে জানতে হবে ও সমাধানের উপায় জানতে হবে। সাধারণত জ্বর সর্দি, খাবারে খেতে রুচি কম,পেট ফাঁপা,ডায়রিয়া,ব্যাথা পাওয়া, হিটে আসার লক্ষণ, বীজ দেওয়ার সঠিক সময় টুকিটাক বিষয় গুলো জানতে হবে।

খামারে গরু অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কিছু দিন পর পর গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল সংবাদের তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৮, ২০২৩ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
WPSA-BB এবং BPICC-এর আজীবন সম্মাননা পেলেন কামাল আহম্মদ
প্রাণিসম্পদ

কৃষি সাংবাদিকতা ও পোল্ট্রি সেক্টরে বিশেষ অবদানের জন্য এই সম্মাননা

 

দেশে কৃষি সাংবাদিকতার চর্চা ও পোল্ট্রি সেক্টরে বিশেষ অবদান রাখার জন্য আজীবন সম্মাননা পেলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক কামাল আহম্মদ। গত ১৬ই মার্চ ২০২৩ বৃহষ্পতিবার সকালে রাজধানীস্থ বসুন্ধরার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার-এ ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন- বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

বসুন্ধরার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিক কামাল আহম্মদ-এর হাতে সম্মাননার চেক ও ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ; প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার ও ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন- বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)-এর সভাপতি মসিউর রহমান। এ সময় মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়াপসা-বিবি’র সাধারন সম্পাদক মো. মাহাবুব হাসান ও পোলট্রি খামার বিচিত্রা’র চিফ কো-অর্ডিনেশন অফিসার লুবনা জাহান।

বাংলাদেশের পোলট্রি শিল্পের তথ্য প্রবাহের দিক নির্দেশক জনাব কামাল আহম্মদ পোলট্রি খামার বিচিত্রাসহ একাধিক পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ১৯৯২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে আমাদের দেশে পোল্ট্রি বিষয়ক একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা এবং একটি ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়। কিন্তু সরকারি অনুমোদন না থাকায় এগুলোর কোনটাই ৩/৪ সংখ্যা প্রকাশের পর আর প্রকাশিত হয়নি। এ সময় কামাল আহম্মদ ব্যক্তিগতভাবে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন। ঠিক এ সময়েই-তিনি মানিকগঞ্জে একটি ব্রয়লার ফার্মের সাথে জড়িত হলেও ব্রয়লার বাচ্চা প্রাপ্তিসহ অন্যান্য ইনফরমেশন পাওয়া তখন খুবই দূরুহ ব্যাপার ছিল। তখন তিনি আরো কয়েকজনের সাথে মিলে দেশে একটি পোলট্রি বিষয়ক পত্রিকা বের করার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক পোলট্রি খামার বিচিত্রা নামে মাসিক ম্যাগাজিনের ডিক্লারেশন নিয়ে ডিসেম্বর মাসে একটি প্রস্তুতিমূলক সংখ্যা প্রকাশ করেন। এরপর ১৯৯৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিয়মিতভাবে গত ৩০ বছর ধরে পোলট্রি খামার বিচিত্রা প্রকাশ করে আসছেন।

পোলট্রি খামার বিচিত্রা’র সম্পাদক হিসেবে তিনি World’s Poultry Science Association-Bangladesh Branch (WPSA-BB)-এর প্রতিষ্ঠায় অন্যতম ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে WPSA-BB-এর প্রথম সদস্য (আইডি নং ৬৯১৭)। গত ২৫ বছর ধরে তিনি নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে এর সাথে সম্পৃক্ত আছেন। এখানে ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত তিনি নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। পোলট্রি খামার বিচিত্রা’র পক্ষ থেকে কামাল আহম্মদ ২০০৪ সালের ৩১ শে জানুয়ারি, শনিবার WPSA-BB-এর সাথে যৌথভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবে-এ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বার্ডফ্লু গুজবের বিরুদ্ধে গণ মাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন। WPSA-BB-এর প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে একে এবং এর কার্যক্রমকে তার লেখনী দ্বারা পোলট্রি খামার বিচিত্রা’র মাধ্যমে Promote করে আসছেন।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক-এ প্রতি ১ বছর অন্তর অনুষ্ঠেয় পোল্ট্রিসহ প্রানিজ কৃষি শিল্পের এশিয়ার বৃহত্তম প্রদর্শনী VIV ASIA সফল করার নানামুখী তৎপরতার অংশ হিসেবে ২০০৪ সালে প্রথমবারের মত আয়োজকদের পক্ষ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রানিজ কৃষিজ সম্পর্কিত প্রভাবশালী সাংবাদিকদের নিয়ে থাইল্যান্ডে Journalist Programme-এর আয়োজন করা হয়। এ প্রোগ্রামে পোলট্রি খামার বিচিত্রাসহ ভারত, জাপান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, হংকং, চীন, লাওস, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ড এবং থাইল্যান্ডের প্রানিজ কৃষিজ সম্পর্কিত ম্যাগাজিন ও দৈনিক পত্রিকার সর্বমোট ৪৭ জন সাংবাদিককে আমন্ত্রণ (ব্যাংকক যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করা হয়) জানানো হয়। ২০০৪ সালের ৭,৮,৯ই ডিসেম্বর সময়ে VIV-ASIA কর্তৃক আয়োজিত Journalist Programme -এ অংশগ্রহণকালে তিনি থ্যাইল্যান্ড-এর CP(CPF)-এর প্রেসিডেন্ট Mr. Adirek Sripratak -এর সাথে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড-এর পোল্ট্রি শিল্প সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। এটি এশিয়ার কৃষি বিষয়ক পত্র-পত্রিকা গুলোর মধ্যে পোলট্রি খামার বিচিত্রাকে এক অনন্য উচ্চ মাত্রায় অধিষ্ঠিত করে।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক-এ প্রতি ১ বছর পর পর অনুষ্ঠেয় VICTAM ASIA নামের এশিয়ার বৃহত্তম ফিড এডিটিভ এবং অ্যানিমেল ফিড টেকনোলজি সম্পর্কিত প্রদর্শনী সফল করার জন্য ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে প্রথমবারের মত বাংলাদেশের পোলট্রি খামার বিচিত্রা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কামাল আহম্মদ এবং সাপ্তাহিক কৃষি ও আমিষ পত্রিকার সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানসহ এশিয়ার ১৭টি দেশের ২৮জন সাংবাদিককে ব্যাংকক-এ আমান্ত্রন জানানো হয়।  VICTAM ASIA-এর মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বাংলাদেশ থেকে পোলট্রি খামার বিচিত্রা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কামাল আহম্মদকে নিয়মিতভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর আজীবন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট মেম্বার কামাল আহম্মদ একই বিশ^বিদ্যালয়-এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানি প্রফেসর ড. বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর এবং প্রফেসর ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান-এর অধীনে এমফিল গবেষণা কাজ করেন (যদিও এমফিল ১ম পর্ব পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ার পর দুইজন সম্মানিত সুপারভাইজারের ভিতর সমন্বয় সাধন করে থিসিস লেখা/জমাদান/ডিফেন্ড করা সম্ভব হয়নি)। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে পোলট্রি খামার বিচিত্রা’র জন্য দেশীয় প্রানিজ ও কৃষি শিল্পের প্রভাবশালী পেশাজীবিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী পেশাজীবিদের Interview নিয়েছেন, যা পোলট্রি খামার বিচিত্রা’য় ছাপা হয়। বর্তমানে তিনি দূরারোগ্য মোটর নিউরন ডিজিজ (MND)-এ ভুগছেন। তথাপি নিয়মিতভাবে তিনি পোলট্রি খামার বিচিত্রা’য় লেখালেখিসহ সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যাংকিং ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা নির্বিঘ্ন করার জন্য তিনি প্রকাশক/ সম্পাদক-এর দায়িত্ব হস্তান্তর করে বর্তমানে প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আজীবন সম্মাননা প্রাপ্তিতে পোল্ট্রিসহ লাইভস্টক, ফিশারিজ ও ফিড সেক্টরের অনেকেই টেলিফোনে, ব্যাক্তিগতভাবে এবং স্যোসাল মিডিয়ায় কামাল আহম্মদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৭, ২০২৩ ১:০৯ অপরাহ্ন
জলঢাকায় ভারতীয় গরুসহ আটক ৩
প্রাণিসম্পদ

ভারত থেকে চোরাই পথে আসা সাতটি গরু জব্দ করেছে নীলফামারীর জলঢাকা থানা পুলিশ। এ সময় গরু বহনকারী ট্রলিসহ দুই গরু ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের চৌপথী শিপীরডাঙ্গা নামক স্থান থেকে গরুসহ ব্যবসায়ীদের আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- জলঢাকা উপজেলার গোলনা কালিগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার রহমান (৫৩) এবং একই এলাকার নকর উদ্দীনের ছেলে হাকিনুর রহমান (৩৮)।

সূত্র মতে, লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম, দহগ্রাম ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের বিভিন্ন চোরাই পথে জলঢাকায় নছিমন, করিমন ও ভটভটি যোগে ঢুকছে এসব ভারতীয় চোরাই গরু। ভারতীয় গরু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটটি বাংলাদেশের হাটে দেশি গরুর রশিদ করে।

পরে ক্রয়কৃত গরুগুলো ওই হাটেই বিক্রি করে আগের রশিদ সংরক্ষণে রেখে। এতে করে অবৈধ পন্থায় দেশের বাজারে ঢুকছে বিদেশি গরু। এর প্রভাব পড়ছে দেশি খামারিদের ওপর। একসঙ্গে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

গরু আটকের পর শিপারডাঙ্গার স্থানীয় বাসিন্দা আলিয়ার রহমান জানান, এসব ভটভটি গাড়ি গভীর রাত পর্যন্ত এ রাস্তা দিয়ে যায় এবং একসঙ্গে ৩/৪টি গাড়ি লাইন ধরে যায়।

এ বিষয়ে জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, এ ঘটনায় সাতটি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরেও পাঁচটি গরু সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাটের ছাড়পত্র পর্যালোচনা করে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop