৮:৪৭ অপরাহ্ন

শনিবার, ১৮ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ২৮, ২০২৩ ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
WPSA-BB এবং BPICC-এর আজীবন সম্মাননা পেলেন কামাল আহম্মদ
প্রাণিসম্পদ

কৃষি সাংবাদিকতা ও পোল্ট্রি সেক্টরে বিশেষ অবদানের জন্য এই সম্মাননা

 

দেশে কৃষি সাংবাদিকতার চর্চা ও পোল্ট্রি সেক্টরে বিশেষ অবদান রাখার জন্য আজীবন সম্মাননা পেলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক কামাল আহম্মদ। গত ১৬ই মার্চ ২০২৩ বৃহষ্পতিবার সকালে রাজধানীস্থ বসুন্ধরার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার-এ ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন- বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

বসুন্ধরার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিক কামাল আহম্মদ-এর হাতে সম্মাননার চেক ও ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ; প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার ও ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন- বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)-এর সভাপতি মসিউর রহমান। এ সময় মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়াপসা-বিবি’র সাধারন সম্পাদক মো. মাহাবুব হাসান ও পোলট্রি খামার বিচিত্রা’র চিফ কো-অর্ডিনেশন অফিসার লুবনা জাহান।

বাংলাদেশের পোলট্রি শিল্পের তথ্য প্রবাহের দিক নির্দেশক জনাব কামাল আহম্মদ পোলট্রি খামার বিচিত্রাসহ একাধিক পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ১৯৯২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে আমাদের দেশে পোল্ট্রি বিষয়ক একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা এবং একটি ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়। কিন্তু সরকারি অনুমোদন না থাকায় এগুলোর কোনটাই ৩/৪ সংখ্যা প্রকাশের পর আর প্রকাশিত হয়নি। এ সময় কামাল আহম্মদ ব্যক্তিগতভাবে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন। ঠিক এ সময়েই-তিনি মানিকগঞ্জে একটি ব্রয়লার ফার্মের সাথে জড়িত হলেও ব্রয়লার বাচ্চা প্রাপ্তিসহ অন্যান্য ইনফরমেশন পাওয়া তখন খুবই দূরুহ ব্যাপার ছিল। তখন তিনি আরো কয়েকজনের সাথে মিলে দেশে একটি পোলট্রি বিষয়ক পত্রিকা বের করার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক পোলট্রি খামার বিচিত্রা নামে মাসিক ম্যাগাজিনের ডিক্লারেশন নিয়ে ডিসেম্বর মাসে একটি প্রস্তুতিমূলক সংখ্যা প্রকাশ করেন। এরপর ১৯৯৩ সালের জানুয়ারি থেকে নিয়মিতভাবে গত ৩০ বছর ধরে পোলট্রি খামার বিচিত্রা প্রকাশ করে আসছেন।

পোলট্রি খামার বিচিত্রা’র সম্পাদক হিসেবে তিনি World’s Poultry Science Association-Bangladesh Branch (WPSA-BB)-এর প্রতিষ্ঠায় অন্যতম ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে WPSA-BB-এর প্রথম সদস্য (আইডি নং ৬৯১৭)। গত ২৫ বছর ধরে তিনি নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে এর সাথে সম্পৃক্ত আছেন। এখানে ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত তিনি নির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। পোলট্রি খামার বিচিত্রা’র পক্ষ থেকে কামাল আহম্মদ ২০০৪ সালের ৩১ শে জানুয়ারি, শনিবার WPSA-BB-এর সাথে যৌথভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবে-এ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বার্ডফ্লু গুজবের বিরুদ্ধে গণ মাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন। WPSA-BB-এর প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে একে এবং এর কার্যক্রমকে তার লেখনী দ্বারা পোলট্রি খামার বিচিত্রা’র মাধ্যমে Promote করে আসছেন।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক-এ প্রতি ১ বছর অন্তর অনুষ্ঠেয় পোল্ট্রিসহ প্রানিজ কৃষি শিল্পের এশিয়ার বৃহত্তম প্রদর্শনী VIV ASIA সফল করার নানামুখী তৎপরতার অংশ হিসেবে ২০০৪ সালে প্রথমবারের মত আয়োজকদের পক্ষ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রানিজ কৃষিজ সম্পর্কিত প্রভাবশালী সাংবাদিকদের নিয়ে থাইল্যান্ডে Journalist Programme-এর আয়োজন করা হয়। এ প্রোগ্রামে পোলট্রি খামার বিচিত্রাসহ ভারত, জাপান, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, হংকং, চীন, লাওস, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ড এবং থাইল্যান্ডের প্রানিজ কৃষিজ সম্পর্কিত ম্যাগাজিন ও দৈনিক পত্রিকার সর্বমোট ৪৭ জন সাংবাদিককে আমন্ত্রণ (ব্যাংকক যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করা হয়) জানানো হয়। ২০০৪ সালের ৭,৮,৯ই ডিসেম্বর সময়ে VIV-ASIA কর্তৃক আয়োজিত Journalist Programme -এ অংশগ্রহণকালে তিনি থ্যাইল্যান্ড-এর CP(CPF)-এর প্রেসিডেন্ট Mr. Adirek Sripratak -এর সাথে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড-এর পোল্ট্রি শিল্প সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। এটি এশিয়ার কৃষি বিষয়ক পত্র-পত্রিকা গুলোর মধ্যে পোলট্রি খামার বিচিত্রাকে এক অনন্য উচ্চ মাত্রায় অধিষ্ঠিত করে।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক-এ প্রতি ১ বছর পর পর অনুষ্ঠেয় VICTAM ASIA নামের এশিয়ার বৃহত্তম ফিড এডিটিভ এবং অ্যানিমেল ফিড টেকনোলজি সম্পর্কিত প্রদর্শনী সফল করার জন্য ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে প্রথমবারের মত বাংলাদেশের পোলট্রি খামার বিচিত্রা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কামাল আহম্মদ এবং সাপ্তাহিক কৃষি ও আমিষ পত্রিকার সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানসহ এশিয়ার ১৭টি দেশের ২৮জন সাংবাদিককে ব্যাংকক-এ আমান্ত্রন জানানো হয়।  VICTAM ASIA-এর মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বাংলাদেশ থেকে পোলট্রি খামার বিচিত্রা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কামাল আহম্মদকে নিয়মিতভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর আজীবন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট মেম্বার কামাল আহম্মদ একই বিশ^বিদ্যালয়-এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানি প্রফেসর ড. বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর এবং প্রফেসর ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান-এর অধীনে এমফিল গবেষণা কাজ করেন (যদিও এমফিল ১ম পর্ব পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ার পর দুইজন সম্মানিত সুপারভাইজারের ভিতর সমন্বয় সাধন করে থিসিস লেখা/জমাদান/ডিফেন্ড করা সম্ভব হয়নি)। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে পোলট্রি খামার বিচিত্রা’র জন্য দেশীয় প্রানিজ ও কৃষি শিল্পের প্রভাবশালী পেশাজীবিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী পেশাজীবিদের Interview নিয়েছেন, যা পোলট্রি খামার বিচিত্রা’য় ছাপা হয়। বর্তমানে তিনি দূরারোগ্য মোটর নিউরন ডিজিজ (MND)-এ ভুগছেন। তথাপি নিয়মিতভাবে তিনি পোলট্রি খামার বিচিত্রা’য় লেখালেখিসহ সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যাংকিং ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা নির্বিঘ্ন করার জন্য তিনি প্রকাশক/ সম্পাদক-এর দায়িত্ব হস্তান্তর করে বর্তমানে প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আজীবন সম্মাননা প্রাপ্তিতে পোল্ট্রিসহ লাইভস্টক, ফিশারিজ ও ফিড সেক্টরের অনেকেই টেলিফোনে, ব্যাক্তিগতভাবে এবং স্যোসাল মিডিয়ায় কামাল আহম্মদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৭, ২০২৩ ১:০৯ অপরাহ্ন
জলঢাকায় ভারতীয় গরুসহ আটক ৩
প্রাণিসম্পদ

ভারত থেকে চোরাই পথে আসা সাতটি গরু জব্দ করেছে নীলফামারীর জলঢাকা থানা পুলিশ। এ সময় গরু বহনকারী ট্রলিসহ দুই গরু ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের চৌপথী শিপীরডাঙ্গা নামক স্থান থেকে গরুসহ ব্যবসায়ীদের আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- জলঢাকা উপজেলার গোলনা কালিগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার রহমান (৫৩) এবং একই এলাকার নকর উদ্দীনের ছেলে হাকিনুর রহমান (৩৮)।

সূত্র মতে, লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম, দহগ্রাম ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের বিভিন্ন চোরাই পথে জলঢাকায় নছিমন, করিমন ও ভটভটি যোগে ঢুকছে এসব ভারতীয় চোরাই গরু। ভারতীয় গরু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটটি বাংলাদেশের হাটে দেশি গরুর রশিদ করে।

পরে ক্রয়কৃত গরুগুলো ওই হাটেই বিক্রি করে আগের রশিদ সংরক্ষণে রেখে। এতে করে অবৈধ পন্থায় দেশের বাজারে ঢুকছে বিদেশি গরু। এর প্রভাব পড়ছে দেশি খামারিদের ওপর। একসঙ্গে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

গরু আটকের পর শিপারডাঙ্গার স্থানীয় বাসিন্দা আলিয়ার রহমান জানান, এসব ভটভটি গাড়ি গভীর রাত পর্যন্ত এ রাস্তা দিয়ে যায় এবং একসঙ্গে ৩/৪টি গাড়ি লাইন ধরে যায়।

এ বিষয়ে জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, এ ঘটনায় সাতটি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরেও পাঁচটি গরু সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাটের ছাড়পত্র পর্যালোচনা করে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৬, ২০২৩ ১:১২ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহে বসতঘরে আগুন,পুড়ে ছাই হলো ২ গরু
প্রাণিসম্পদ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ে মরলো কৃষকের দুটি গরু। পুড়ে ছাই হলো বসতবাড়ি। শনিবার রাতে উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরকামারিয়া ভাটিপাড়া গ্রামের কৃষক বাছির মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে কৃষকের সাড়ে ছয় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোর রাত ৩টার দিকে চরকামারিয়া গ্রামের কৃষক বছির মিয়ার ঘরের ফ্রিজের মাল্টিপ্লাগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন বসতঘর ও গোয়াল ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন আগুনের লেলিহান শিখা দেখে ছুটে এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে আসবাবপত্র, হাঁস-মুরগি, গোয়াল ঘরের দুটি গরু, টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে যোগাযোগ করলেও দীর্ঘ দুই ঘণ্টার মধ্যে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রোস্তম আলী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে না আসতে পারায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তারা আগে উপস্থিত হলে ক্ষয়ক্ষতি কিছু কম হতে পারতো।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাম প্রাসাদ পাল বলেন, সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু বালির রাস্তায় বড় গাড়ি আটকে গিয়ে পথে দেরি হয়। রাস্তায় সংবাদ পাই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন। পরে ঘটনাস্থলে না গিয়ে ফিরে আসি আমরা।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বাছির মিয়া বলেন, আমি আজ নিঃস্ব হয়ে গেছি। বসতঘর, দুটি গরু, ৮৫ হাজার টাকা, আসবাবপত্র সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৫, ২০২৩ ৭:২৬ অপরাহ্ন
২৫ মার্চের গণহত্যার বিচারে করতে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

‘৭১ এর ২৫ মার্চের গণহত্যার বিচার করতে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দরকার বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (২৫ মার্চ) বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে ‘৭১ এর ২৫ মার্চ গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘৭১ এর ২৫ মার্চের গণহত্যার বিচার যদি চাইতে হয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদি চাইতে হয় এবং তাদের বিনাশ করতে হয় তাহলে রাষ্ট্র ক্ষমতায় স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন ভুলেও না আসতে পারে। সে জায়গায় আমাদের ঐক্যের ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা থাকতে হবে। শেখ হাসিনা ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দুঃসাহস অনেকেই করতো না। শেখ হাসিনা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। শেখ হাসিনা না থাকলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হতো না, মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাণসঞ্চারী স্লোগান জয় বাংলা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন মাধ্যমে সকলে বলতো না।

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে আবার পরাজিত করতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দরকার। ত্রিশ লক্ষ শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দরকার। তিনি ছাড়া দুঃসাহসী কান্ডারি আর দ্বিতীয় কেউ আসবে না। ২৫ মার্চের গণহত্যার বিচারে সরকার পর্যায়ক্রমে চেষ্টা করছে।

তিনি যোগ করেন, ২৫ মার্চের গণহত্যার বিচারের জন্য প্রত্যেকের সচেতনতাবোধ জাগ্রত করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বের বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পরের বাংলাদেশ, যুদ্ধাপরাধের সময়ের ঘটনা নতুন প্রজন্মকে বোঝাতে হবে।

প্রধান অতিথি আরও যোগ করেন, আমাদের অস্তিত্বের উৎসমূলে ফিরে যেতে হলে একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যার কথা ভুলে যাওয়া যাবে না। ভুলে যাওয়া যাবে না আমাদের উপর নির্বিচারে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ঝাঁপিয়ে পড়ার বর্বোরচিত ঘটনার কথা। এটাও ভুলে যাওয়া যাবে না ১৯৭১ সালে দেশের একটি পক্ষ স্বাধীনতা চেয়েছে, আরেকটি পক্ষ চায়নি। পৃথিবীর কোন দেশে পরাজিত শক্তি ফিরে দাঁড়াতে পারে নি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বাংলাদেশেই স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। দেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২৬ বছর স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি রাষ্ট্র শাসন করেছে। এ ২৬ বছরে তারা ডালপালা, ফুলে-ফলে সুশোভিত হয়েছে। অর্থনীতি, প্রশাসন, রাজনীতিসহ দেশের সর্বত্র স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের উত্তর প্রজন্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে তারা এ প্রতিষ্ঠা দিয়েছে।

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, আওয়ামী লীগের বাইরে যারা ২৬ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, তাদের মধ্যে পাকিস্তানি ভাবধারা ও চিন্তা-চেতনার কুশীলবরা ছিল বলেই ২৫ মার্চের গণহত্যার বিচার করা যায়নি। এখনও আমরা শত্রুমুক্ত নই, স্বাধীনতাবিরোধী মুক্ত নই। তা না হলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ১৯ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হতো না।

বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল, অধ্যাপক ফজলে আলী প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৪, ২০২৩ ২:৩৫ অপরাহ্ন
সাত মাস ধরে উধাও চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
প্রাণিসম্পদ

পারিবারিক কারণ দেখিয়ে মাত্র ৩ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুরেজা তালুকদার। এরপর আর খোঁজ নেই। অফিসে আসেন না ৭ মাস ধরে। তাকে দফায় দফায় লিখিত তলব করেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তারপরও হদিস মেলেনি। এমনকি তিন দিনের ছুটি তিন মাস গড়ানোর মধ্যেই বদলির আদেশ দেয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর।

বিভাগীয় ও জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও একাধিক সূত্রে জানা যায়, ডা. মো. আবুরেজা তালুকদার গত বছরের আগস্টের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ মোট তিন দিনের ছুটি নিয়েছিলেন। পারিবারিক জরুরি কাজ জানিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন। ১৭ দিন পেরিয়ে গেলে সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখে গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ অনুযায়ী কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। একই সঙ্গে বিভাগীয় ও প্রাণিসম্পদ মহাপরিচালক বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি। কিন্তু তাতে কোনো সদুত্তর মেলেনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বছরের ১৪ আগস্ট সর্বশেষ অফিস করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুরেজা তালুকদার। এরপর তার মেয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিন দিনের ছুটি নেন। তবে কি কারণে গত ৭ মাস অফিসে অনুপস্থিত তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারেননি। এদিকে, দীর্ঘ ৭ মাস পর চলতি বছরের ১৩ মার্চ অফিসে এসেছিলেন আবুরেজা তালুকদার।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অফিস সহকারী তরিকুল ইসলাম বলেন, গত ৭ মাসে একদিনও অফিসে আসেননি ইউএলও মো. আবুরেজা তালুকদার স্যার। কি কারণে বা কেন আসেননি তা আমরা বলতে পারব না। তবে তার অনুপস্থিতির কারণে একটি প্রকল্পের পুরো অর্থ ফিরে গেছে। এছাড়াও বাধাগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ।

এলএইও ডা. শামীমা নাসরিন জানান, স্যার গত বছরের আগস্টে তিন দিনের ছুটি নিয়ে এখন পর্যন্ত একদিনও অফিস করেননি। প্রকল্পের কাজ যখন আটকে গিয়েছিল তখন ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আখতারুজ্জামান স্যারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি কাজগুলো করিয়ে নেন। আমরা এভাবেই কাজ করে যাচ্ছি সমস্যার মধ্য দিয়ে। স্যার কোথায় আছেন, কেন আসেননি আমরা তা জানি না।

ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট স্যার (আবুরেজা তালুকদার) সর্বশেষ অফিস করেছেন। এরপর গত ১৩ মার্চ হঠাৎ করেই দীর্ঘ ৭ মাস পর অফিসে এসেছিলেন। এরপর গত কয়েকদিনে আর আসেননি। এমনকি এই ৭ মাসের মধ্যে তার বদলির আদেশ হলেও এখানকার চার্জ বুঝিয়ে দেননি। ১৩ মার্চ এসে অনুপস্থিতির কারণ জানিয়ে ছুটির আবেদন করেছেন বলে জানতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, তার অনুপস্থিতির কারণে অফিসের আর্থিক ব্যবস্থাপনার সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। গত ৪ মার্চ থেকে যা আমি করছি। ১৪ আগস্টের পর দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় তার উপস্থিতির (হাজিরা) সইয়ের স্থান ফাঁকা ছিল। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নির্দেশে আমি তার হাজিরার জায়গায় সই করছি। আমার কাজ মূলত চিকিৎসা দেওয়া হলেও তার অনুপস্থিতির কারণে অনেক অফিসিয়াল কাজ করতে হচ্ছে। এতে চিকিৎসা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুরেজা তালুকদার ফোন রিসিভ করেননি। পরে তিনি নিজেই ফোন দিলেও সাংবাদিক পরিচয় শোনার পর ফোন কেটে দেন। পরে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডা. মো. আবুরেজা তালুকদারের বিষয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের আগস্টের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ মোট তিন দিনের ছুটি নিয়ে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত ছিলেন। চলতি মার্চ মাসের ১৩ তারিখে যোগদান করে আবার ছুটি নিয়েছেন। দীর্ঘ সময়ে একদিনের জন্যও চেয়ারে বসেননি। তাকে বারবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তিন দিনের ছুটি নিয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির কারণে তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এমন আচরণের কারণে গতবছরের নভেম্বর থেকে তার বেতন বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি তার একটি প্রমোশনও আটকে দেওয়া হয়েছে। চাকরিবিধি অনুযায়ী তার সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে। তবে কি কারণে অনুপস্থিত ছিলেন, তা এখনো জানতে পারিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম জানান, ডা. মো. আবুরেজা তালুকদার বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত আছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান একাধিকবার নোটিশ ও কৈফিয়ত তলব করেছেন, তাতেও কোনো কাজ হয়নি।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত হওয়ার কোনো নিয়ম নেই। এ জন্য তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। অনুপস্থিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দেবে। যদি সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা দিতে না পারেন, তাহলে দপ্তরের নিয়মানুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৩, ২০২৩ ৭:০১ অপরাহ্ন
রমজানে মানুষ কষ্ট লাঘবে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
পোলট্রি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাসে রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। ১ রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন তার সাধ্যের মধ্যে দুধ, ডিম ও মাংস কিনতে পারেন, সেজন্য সরকার ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম চালু করছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয সর্বপ্রথম করোনায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থা চালু করে খামারি ও ভোক্তাদের উপকার করেছে, অর্থনীতি সচল রেখেছে, যারা বিপণের সাথে বিভিন্নভাবে যুক্ত তাদের সহায়তা করেছে। সে ধারাবাহিকতায় রমজানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিপণন কার্যক্রমের মন্ত্রণালয় নয়। এই মন্ত্রণালয় উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী। দাপ্তরিক ম্যান্ডেট না হলেও আমরা মানুষের উপকারার্থে এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ঢাকার ২০টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, এ বছর প্রাথমিকভাবে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হবে। তবে আমরা যে দাম ধার্য করেছি এটা নির্ধারিত নয়। প্রাথমিকভাবে উৎপাদকদের সাথে বসে ডিমের দাম নির্ধারণে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি রমজানে পর্যায়ক্রমে আশা করি এটা আরো কমে আসবে। একইভাবে আমরা আশা করছি মাংসের দামও আরো কমে আসবে। অন্যান্য সামগ্রীর দামও পর্যায়ক্রমে কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি। প্রতিদিনের অবস্থান অনুযায়ী এটি পরিবর্তিত হবে। তবে কোনভাবেই প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত মূল্যের উপরে যাবে না। আমরা চেষ্টা করব এ মূল্যের নিচে রেখে কিভাবে মানুষকে সাহায্য করা যায়।

তিনি আরো যোগ করেন, সাধারণ মানুষদের কথা বিবেচনা করে এবার দুধের আধা লিটারের ছোট প্যাকেট, অল্পপরিমাণ ডিম এবং আধা কেজির মাংসের প্যাকেট রাখা হবে যাতে একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষও তার সাধ্যের ভেতর এসব পণ্য কিনতে পারেন। আমাদের লক্ষ্য সচ্ছল মানুষরা নয়। যে মানুষরা তুলনামূলকভাবে স্বল্প আয়ের মানুষ, সে মানুষদের পাশে শেখ হাসিনা সরকার দাঁড়াতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় রমজান মাসে মানুষকে সাহায্য করতে, তাদের কষ্ট লাঘব করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

শ ম রেজাউল করিম যোগ করেন, পৃথিবীর অনেক দেশে রমজানে মানুষ উদারচিত্তে মানুষকে সাহায্য করে, আর আমাদের কিছু অতি মুনাফালোভী ব্যক্তিরা রমজানে মানুষকে কষ্ট দেয়, ভেজাল দিতে চায়। এদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে। যেখানে অন্যায় হবে, যেখানে খারাপ খাবার সরবরাহ করা হবে, মানসম্মত পণ্যের পরিবর্তে ভেজাল দেওয়া হবে, যেখানে অতিরিক্ত দাম নেয়া হবে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, উৎপাদক ও বিপণনকারীদের মাঝখানে একটি মধ্যস্বত্বভোগী মহল কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, প্রশাসন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে। উৎপাদনের সঙ্গে যুক্তিসঙ্গত লাভের বাইরে যারা অতিরিক্ত মূল্য নিচ্ছে, অতিরিক্ত মুনাফার জন্য মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। আশা করি মানুষের সহনশীল মূল্যে এসব পণ্য বিপণনে আমরা সহযোগিতা করতে পারব।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যারা অতিরিক্ত লাভ করতে চায় তারা অতিরিক্ত মূল্য নেয়। দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিপণনে সরকার কোন লাভ করছে না, কোন ভর্তুকি দিচ্ছে না। কোন ভর্তুকি না দিয়ে রমজানে যে দামে সরকার বিক্রি করতে পারছে, সে দামে বিক্রি করার মত ব্যবসায়ীদেরও যৌক্তিক অবস্থা রয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন এবং ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স-বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হাসান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম।

উল্লেখ্য, দুধ, ডিম ও মাংসের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৩, ২০২৩ ১০:০২ পূর্বাহ্ন
হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নাটোরের খামারিরা!
প্রাণিসম্পদ

হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছে নাটোরের অনেক পরিবার। কম খরচে বেশি লাভজনক হওয়ায় অনেকেই হাঁস চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে। এ উপজেলার অনেক মানুষ বিল-জলাশয় ও নদীর উন্মুক্ত পানি থাকায় হাঁস চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হতে পারছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সূত্র মতে, নাটোরের সিংড়ায় ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক হাঁসের খামার রয়েছে। এসব খামারে ক্যাম্বেল, ইন্ডিয়ান রানার ও চায়না জাতের ১০ লাখের বেশি হাঁস পালন করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ক্যাম্বেল জাতের হাঁস বেশি পালন করা হয়। কারন এ জাতের হাঁসের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও বেশি ডিম দিয়ে থাকে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অনেক পরিবার হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছে। মূলত হাঁসের ডিম বিক্রি করেই সংসারের খরচ মেটায় এসব পরিবার।

উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, আমি দিনমজুরি করতাম। আমার সংসারে ৬ জন মানুষ আছে। এই দিনমজুরি করে সংসার চালান সম্ভব না। তাই বাড়ির প্রতিবেশির কাছ থেকে টাকা ধার করে হাঁস পালন শুরু করি। এখন আমার খামারে ক্যাম্বেল ও জিংডিং জাতের ৫৮২টি হাঁস রয়েছে। ডিম দিচ্ছে ৪৮০টি হাঁস। বছরে খরচ বাদে লাভ হচ্ছে ৩-৪ লাখ টাকা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কে এম ইফতেখারুল ইসলাম জানান, হাঁস পালন করে এই উপজেলার খামারিরা দিন দিন স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। হাঁস থেকে ৬ মাস পর পর দিম দাওয়া যায়। প্রতিটি হাঁস বছরে ২০০-৩০০টি ডিম দেয়। উন্মুক্ত জলাশয়ে বাড়তি খাবার কম লাগে। ফলে হাঁস পালনে পূঁজিও কম লাগে এবং লাভ বেশি হয়। এছাড়া আমরা খামারিদের সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২১, ২০২৩ ৬:৪৩ অপরাহ্ন
রমজান মাসে সুলভ মূল্যে রাজধানীতে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়
প্রাণিসম্পদ

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আগামী ২৩ মার্চ বিকাল ৩টায় রাজধানীর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। রাজধানীর ২০টি স্থানে ১ রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।
এ কার্যক্রমে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হবে।
মাংস, দুধ ও ডিমের সরবরাহ ও  মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
সচিবালয় সংলগ্ন আব্দুল গণি রোড, খামারবাড়ি, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ষাট ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, পুরান ঢাকার নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, মিরপুরের কালশী, খিলগাঁও রেলগেট, নাখালপাড়ার লুকাস মোড়, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুরের বসিলা, উত্তরার দিয়াবাড়ি, যাত্রাবাড়ি, গাবতলী, হাজারীবাগ, বনানীর কড়াইল বস্তি, কামরাঙ্গীরচর এবং রামপুরায় এ বিক্রয় কার্যক্রম চালু থাকবে।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৪, ২০২৩ ৬:০৯ অপরাহ্ন
৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত উদযাপন হবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩
প্রাণিসম্পদ

দেশের ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি ও জাটকা আহরণে জেলেদের নিরুৎসাহিত করতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন করা হবে।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গবেষকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, নৌপুলিশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধিগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাবারের একটি বড় যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। মৎস্য উৎপাদন, বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এ খাতে সম্পৃক্তদের আয়ের উৎস তৈরি হচ্ছে। এ খাতের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এ খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করছে। ফলে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণই শুধু নয়, প্রায় ৫২টি দেশে আমাদের মাছ রপ্তানি হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বে যে তিনটি দেশ মাছ উৎপাদনে ভালো করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। অপরদিকে মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। জেলে-মৎস্যজীবীসহ মৎস্য খাতে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্তদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের মৎস্য খাতে অভাবনীয় ও বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, মৎস্য খাত শুধু মাছ আহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এ খাতের সাথে দেশের উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, খাবারের যোগান, বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি এসব বিষয় সম্পৃক্ত। তাই এ খাতকে কোনভাবেই হেলায় দেখা যাবে না। জাটকা নিধন বন্ধে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ রয়েছে। এর ব্যত্যয় যারাই করতে চাইবে এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া যাবে না। যারা আইন লঙ্ঘন করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য মাছ রক্ষা করা।

মাছ বড় হলে মৎস্যজীবীরাই আহরণ করবেন উল্লেখ করে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্যজীবীরা বড় মাছ বিক্রি করে বেশি অর্থ আয় করতে পারবে। কাজেই তাদের স্বার্থেই তাদের এক্ষেত্রে আইন মানতে হবে। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ সময়ে দরিদ্র জেলেদের মাছ আহরণে বাধ্য করে। কোন অসাধু ব্যক্তির পরামর্শ বা প্রলোভনে জাটকা আহরণে কোথাও যাওয়া যাবে না।

সভায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে কেন্দ্রীয়ভাবে ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আগামী ৩১ মার্চ পিরোজপুরে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এদিন বর্ণাঢ্য নৌর‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে জাটকা সংরক্ষণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, বেতার-টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন, ইলিশ বিষয়ক কর্মশালা, সভা-সেমিনার আয়োজন, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন মৎস্য আড়ত, বাজার ও অবতরণ কেন্দ্রে বিশেষ অভিযান ও বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

উল্লেখ্য, দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে ইলিশ তথা মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন হয়ে আসছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৪, ২০২৩ ৪:৪৪ অপরাহ্ন
৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত উদযাপন হবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩
প্রাণিসম্পদ

দেশের ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি ও জাটকা আহরণে জেলেদের নিরুৎসাহিত করতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন করা হবে।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গবেষকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, নৌপুলিশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধিগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাবারের একটি বড় যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। মৎস্য উৎপাদন, বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এ খাতে সম্পৃক্তদের আয়ের উৎস তৈরি হচ্ছে। এ খাতের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এ খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করছে। ফলে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণই শুধু নয়, প্রায় ৫২টি দেশে আমাদের মাছ রপ্তানি হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বে যে তিনটি দেশ মাছ উৎপাদনে ভালো করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। অপরদিকে মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। জেলে-মৎস্যজীবীসহ মৎস্য খাতে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্তদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের মৎস্য খাতে অভাবনীয় ও বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, মৎস্য খাত শুধু মাছ আহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এ খাতের সাথে দেশের উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, খাবারের যোগান, বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি এসব বিষয় সম্পৃক্ত। তাই এ খাতকে কোনভাবেই হেলায় দেখা যাবে না। জাটকা নিধন বন্ধে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ রয়েছে। এর ব্যত্যয় যারাই করতে চাইবে এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া যাবে না। যারা আইন লঙ্ঘন করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য মাছ রক্ষা করা।

মাছ বড় হলে মৎস্যজীবীরাই আহরণ করবেন উল্লেখ করে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্যজীবীরা বড় মাছ বিক্রি করে বেশি অর্থ আয় করতে পারবে। কাজেই তাদের স্বার্থেই তাদের এক্ষেত্রে আইন মানতে হবে। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ সময়ে দরিদ্র জেলেদের মাছ আহরণে বাধ্য করে। কোন অসাধু ব্যক্তির পরামর্শ বা প্রলোভনে জাটকা আহরণে কোথাও যাওয়া যাবে না।

সভায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে কেন্দ্রীয়ভাবে ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আগামী ৩১ মার্চ পিরোজপুরে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এদিন বর্ণাঢ্য নৌর‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে জাটকা সংরক্ষণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, বেতার-টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন, ইলিশ বিষয়ক কর্মশালা, সভা-সেমিনার আয়োজন, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন মৎস্য আড়ত, বাজার ও অবতরণ কেন্দ্রে বিশেষ অভিযান ও বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

উল্লেখ্য, দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে ইলিশ তথা মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন হয়ে আসছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop