৩:৫১ অপরাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ৩, ২০২২ ৪:১১ অপরাহ্ন
মুরগির গামবোরো রোগের লক্ষণ ও করণীয়
পোলট্রি

খামারের মুরগি ভাইরাসজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এসব রোগের মধ্যে গামবোরো অন্যতম।

মুরগির বয়স ২ মাস হলে গামবোরো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সঠিক সময়ে মুরগির গামবোরো রোগের চিকিৎসা না করা হলে খামারের সব মুরগি মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা যায়, সর্বপ্রথম আমেরিকার সাসেক্সের গামবোরো নামক স্থানে ১৯৬২ সালে এটি প্রথম শনাক্ত হয়।

গামবোরো হলে মুরগির লসিকা গ্রন্থি বারসাকে আক্রান্ত করে বলে একে ইনফেকসাস বারসাল ডিজিজ-ও বলা হয়।

মুরগির গামবোরো রোগ বিরনা নামক ভাইরাসের ফলে হয়ে থাকে। যদিও এর দুটি সেরোটাইপ আছে তবে, একটিই (সেরোটাইপ-১) প্রোল্ট্রির ক্ষতির কারণ। ভাইরাসটি মুরগির ‘বারসা ফেব্রিসিয়াস’ কে আক্রান্ত করে।

এর ফলে মুরগির প্রতিরোধ ক্ষমতা, খাদ্য রূপান্তর দক্ষতা কমে যায়। সাধারণত শতকরা ৩০ ভাগ মুরগির এ রোগ হলে মৃত্যু হয়। মুরগি মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হলে সে ক্ষেত্রে এর চেয়েও পরিমাণে মারা যেতে পারে।

সেরোটাইপ-১ শধুমাত্র মুরগিকে আক্রান্ত করে। সেরোটাইপ-২ মুরগী, টার্কি, পেঙ্গুইনসহ বেশ কিছু বন্য পাখির হতে দেখা যায়। তবে এটির তেমন কোনো প্রভাব নেই।

গামবোরো বা ইনফেকসাস বারসাল ডিজিজ একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। সাধারণত সংক্রামিত বা আক্রান্ত মুরগি থেকে এটি ছড়িয়ে পড়ে। এবং খুব দ্রুতই সমস্ত ফ্লকে এটি বিস্তার লাভ করে। ভাইরাসটি সহজেই একটি শেড বা ফার্ম থেকে অন্য শেডে যেতে পারে। অধিক ঘনত্বে মুরগি পালন, বিভিন্ন বয়সের মুরগি একসঙ্গে রাখা, দুটি ব্যাচের মাঝের সময় শেড খালি না রাখা ও বায়োসিকিউরিটিসহ বেশ কিছু কারণে গামরোরো হতে পারে। প্যারেন্টস থেকে বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গামবোরো রোগের কারণ হতে পারে।

মুরগির গামবোরো রোগ হলে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন মুরগি দুর্বল, নিস্তেজ ও ডিহাইড্রেট হয়ে পড়ে। মুরগি পাতলা পায়খানা করে এবং পায়াখানা সাদা চুনের মতো দেখায়। এক জায়গায় বসে থাকে, নড়াচড়ায় অনীহা প্রকাশ করে। মুরগির পালক উস্কোখুস্কো থাকে। মুরগির শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। হঠাত করেই শুরু হয় ও মৃত্যুহার বেড়ে যায়। ভেজা মলদ্বার দেখা যায়।

এছাড়াও এই রোগ হলে মুরগির অভ্যন্তরীণ কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। যেমন পা ও রানের মাংসের ওপর ছোপ ছোপ রক্তের ছিটা দেখা যায়। মুরগির বারসা ফুলে যায় এবং বার্সা কাটলে ভিতরে রক্তের ছিটা দেখা যায়। কলিজা বেশ বড় ও ফ্যাকাশে হয়ে যায়। কিডনি বড় হয়ে যায়।

গামবোরো হলে মুরগির ডিহাইড্রেশন হয়। ফলে মুরগির প্রচুর ইলেক্ট্রোলাইট ঘাটতি পড়ে। এজন্য স্যালাইন পানি বা অনেকে গুড়ের পানি সরবরাহের কথা বলে থাকেন। দ্বিতীয় পর্যায়ের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য এন্টিবায়োটিক দেওয়া যেতে পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩, ২০২২ ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় রাজ-পরীর কোল জুড়ে এলো ৪ সন্তান
প্রাণ ও প্রকৃতি

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ দম্পতি রাজ-পরীর ঘরে আবারও এসেছে নতুন অতিথি। এবার ৪টি সাদা রঙের শাবকের জন্ম দিয়েছে পরী। ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনার পর দ্বিতীয় বারের মতো শাবক জন্ম দিলো রাজ-পরী।

এবারের শাবকগুলো সাদা হলেও, এগুলোর বাবা-মা সাদা রঙের নয়। এর আগেরবার এ দম্পতির ঘরে জন্ম নেওয়া শাবকগুলোর মধ্যে একটি সাদা ছিল।

চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, মা ও শাবকগুলোকে আপাতত আলাদা কক্ষে রাখা হয়েছে। ‘শাবক ও মা বাঘকে নিবিড় যত্ন দেওয়া হবে এবং কিছু সময়ের জন্য দর্শকদের দৃষ্টির বাইরে রাখা হবে। আমরা বাঘগুলোর স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা নিশ্চিত করব’, যোগ করেন তিনি।

শাবক ৪টি পুরুষ নাকি নারী তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি জানতে সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। জানার পর শাবকগুলোর নামকরণ করা হবে।’

৪ শাবকের জন্মের ফলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা বেড়ে ১৬টি হয়েছে। শাবকগুলোর কারণে চিড়িয়াখানার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং আরও বেশি দর্শনার্থী আকৃষ্ট হবেন বলে আশা করছেন চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২, ২০২২ ৬:০৪ অপরাহ্ন
ইউটিউব দেখে সফল খামারি কলেজছাত্রী দিলরুবা
পোলট্রি

কখনো কোদাল নিয়ে ক্ষেতে লাঙ্গলের ফলা ধরে মাটিচাষ, কখনো আবার হাঁস-মুরগির খাবার ও পানি দেয়াসহ নানান কাজে পারদর্শী অদম্য এক কলেজছাত্রীর নাম দিলরুবা। ইউটিউব দেখে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে তোলেন ক্ষুদ্র হাঁস-মুরগির খামার।

তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে। পিতার নাম হেলাল উদ্দিন।

দিলরুবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অভাব অনটনের সংসারে গড়ে তুলেছেন একটি ব্রয়লার মুরগির খামার। নিজে মুরগির ঘর তৈরিসহ যাবতীয় কাজ করেছেন দিলরুবা। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর খামারের পরিধি বাড়িয়ে এক হাজার ব্রয়লার মুরগি ও ২০০ হাঁসের বাচ্চা নিয়ে গড়ে তোলেন আরেকটি হাঁস-মুরগির খামার। পোল্ট্রি খামার দেখাশোনা ও ঔষধপত্র দেয়া সবই নিজ হাতে করেন তিনি।

অন্যদিকে লেখাপড়াতেও পিছিয়ে নেই দিলরুবা। কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলেই টেবিলে বই নিয়ে পড়তে বসেন। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা। তাই পড়ার চাপ কিছুটা বেশি। তবুও থেমে নেই তার পথচলা। লেখাপড়ার পাশাপাশি মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন এই হাঁস-মুরগির খামার।

বর্তমানে তার হাঁসগুলো ডিম দিতে শুরু করেছে। খামারের ব্যয় মিটিয়েও বাড়তি উপার্জনের আশা তার। দিলরুবা জানান, হাঁস-মুরগি পালনের কাজে তার বাবা হেলালউদ্দিন সাহায্য ও অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছেন শুরু থেকেই।

দিলরুবা জানান, কৃষি কাজ ও হাঁস-মুরগি পালন করা তার কাছে ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত ভালো লাগতো। তাই মহামারী করোনায় দীর্ঘ সময় কলেজ বন্ধ থাকা অবস্থায় প্রথমে মুরগির খামার গড়ে তোলেন। তার উন্নতি দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর খামার করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

দিলরুবার প্রত্যাশা সহজ শর্তে শিক্ষার্থীদের জন্য এসব খাতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যদি ঋণ প্রদান করতো তবে আগামীতে আরো একটি হ্যাচারি ও একটি গবাদিপশুর খামার স্থাপন করে সফল উদ্যোক্তার কাতারে নাম লেখাতে পারতেন তিনি।

স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, কলেজছাত্রী দিলরুবা একজন কঠোর পরিশ্রমী ও সফল নারী উদ্যোক্তা। তার পরামর্শ ও সহযোগিতায় এলাকার অনেক বেকার যুবতী হাঁস-মুরগি পালনের সাথে জড়িত থেকে আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হয়েছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মান্নান জানান, কলেজছাত্রী দিলরুবা লেখাপড়ার পাশাপাশি হাঁস-মুরগির খামার করে একজন আদর্শ খামারি হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভের পাশাপাশি মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ করে জাতীয় পর্যায়েও অবদান রেখে চলছেন। তিনি হাঁস-মুরগি পালন অব্যাহত রাখলে আগামীতে আরো উন্নতি লাভ করতে পারবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২, ২০২২ ৫:১৮ অপরাহ্ন
মাদককারবারির বাড়ি থেকে ৬ চোরাই গরু উদ্ধার
কৃষি বিভাগ

বগুড়ার সোনাতলায় বহুল আলোচিত মাদক কারবারি ছবি আক্তারের বাড়ি থেকে ৬টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

এ সময় ছবি আক্তার পালিয়ে গেলেও তার স্বামী শহিদুল ইসলাম ও ছেলে সিয়ামকে (১৯) আটক করা হয়েছে।

শনিবার রাতে তার বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে গরুগুলো উদ্ধার করা হয়।

সোনাতলা থানার সাব ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাতলা পৌর এলাকার ভূমি অফিসের পাশে তার নিজ বাড়ি থেকে ৬টি গরু উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার ছেলে সিয়াম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক করা হয় এবং রোববার তার স্বামীকেও আটক করা হয়।

এ ব্যাপারে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জালাল উদ্দীন বলেন, চোরাই গরু রাখার সংবাদের ভিত্তিতে ছবি নামের এক নারীর বাড়ি থেকে গরুগুলো উদ্ধার করা হয়েছে এবং একটি মামলা করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১, ২০২২ ৯:০৪ পূর্বাহ্ন
কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরু চিনবেন যেভাবে
কৃষি বিভাগ

অনেক অসাধু গরু ব্যবসায়িকরা রয়েছেন, যারা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, ইনজেকশন ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে এসব পশুকে মোটাতাজা করে থাকেন তারা, যা পুরোপুরি স্বাস্থ্যের জন ভয়ানক ক্ষতিকর। এমন গরুর মাংসতেও তেমন স্বাধ থাকে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরুর মাংস খেলে মানুষের শরীরে পানি জমে যাওয়া, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, মূত্রনালি ও যকৃত-কিডনির বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসব পশু কেনা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
মোটাতাজাকরণ গবাদিপশু চেনার কিছু উপায় রয়েছে। আসুন জেনে নেই ইনজেকশন দেওয়া কোরবানির পশু চিনবেন যেভাবে।

দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ

কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরু দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে। একটু হাঁটলেই হাঁপায়। খুবই ক্লান্ত দেখায়। ইনজেকশন দেয়া গরুর রানের মাংস নরম হয়। স্বাভাবিকভাবে যেসব গরু মোটা হয় সেগুলোর রানের মাংস শক্ত হয়।

লালা বা ফেনা
যেসব গরুর মুখে কম লালা বা ফেনা থাকে সেই গরু কেনার চেষ্টা করুন। এগুলো কৃত্রিম উপায়ে মোটা করা পশু নয়।

খুব শান্ত
স্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো বা ইনজেকশন দেওয়া গরু হবে খুব শান্ত। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারবে না। পশুর ঊরুতে অনেক মাংস মনে হবে।

আঙুলের চাপ
কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরুর গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে ওই স্থানের মাংস স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে মোটা গবাদিপশুর ক্ষেত্রে দ্রুতই মাংস স্বাভাবিক হয়।

শরীরে পানি জমে
অতিরিক্ত হরমোনের কারণে পুরো শরীরে পানি জমে মোটা দেখাবে। আঙুল দিয়ে গরুর শরীরে চাপ দিলে সেখানে দেবে গিয়ে গর্ত হয়ে থাকবে।

খাবার
গরুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি নিজ থেকে জিব দিয়ে খাবার টেনে নিয়ে খেতে থাকে তবে বোঝা যাবে গরুটি সুস্থ। যদি অসুস্থ হয়, তবে সে খাবার খেতে চায় না।

নাকের ওপরটা ভেজা
সুস্থ গরুর নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে। সুস্থ গরুর পিঠের কুঁজ মোটা ও টান টান হয়।

পা ও মুখ ফোলা
বিশেষ করে গরুর পা ও মুখ ফোলা, শরীর থলথল করবে, অধিকাংশ সময় গরু ঝিমাবে, সহজে নড়াচড়া করবে না। এসব গরু অসুস্থতার কারণে সব সময় নিরব থাকে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। খাবারও খেতে চায় না।

অসুস্থ গরুর শরীরে ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপর তাপমাত্রা থাকবে। দেখা যাবে পাতলা পায়খানা হচ্ছে। মুখ দিয়ে লালা ঝরছে। সামনে খাবার থাকলেও খাচ্ছে না, এমনকি জাবরও কাটছে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩১, ২০২২ ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
প্রাণিসম্পদ অফিসের পিয়নই যখন পশু চিকিৎসক!
প্রাণিসম্পদ

পিয়ন হয়ে করেন ডাক্তারি কাজ। শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে চিকিৎসক না হয়েও করছেন পশুর চিকিৎসা। আবার নিয়ম না মেনে দেয়া হচ্ছে পশু জাবাইয়ের ছাড়পত্র।

আইনে আছে পশু জবাইয়ের আগে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র লাগবে। কিন্তু শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় পশু জবাই হচ্ছে পরীক্ষা ছাড়াই।

অভিযোগ রয়েছে, কোনো প্রকার পরীক্ষা ছাড়াই অর্থের বিনিময়ে কসাইদের ব্লাংক ছাড়পত্র সরবরাহ করছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মচারী এ কাজে নেয়া হয় অর্থও।

এছাড়া, কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিভিন্ন খামারে গিয়ে পশুর চিকিৎসা দিচ্ছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অফিস পিয়ন মেহেদি হাসান।

পিয়ন মেহেদির দাবি, তিনি প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথায় কাজ করেন। আর পশু জবাইয়ের ছাড়পত্রের বিষয়ে কিছু না জানার দাবি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার।

জেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তার দাবি, অনিয়ম ও অর্থ লেনদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঝিনাইগাতী বাজারে প্রতি মাসে পশু জবাই হয় ৭০টিরও বেশি।

সূত্র : চ্যানেল২৪

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩১, ২০২২ ৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
চোরাই পথে আসা মিয়ানমারের গরু-মহিষ আটক করেছে টাস্কফোর্স
প্রাণিসম্পদ

বান্দরবানের আলীকদমে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে আনা ৪০ টি গরু ও ২৮ টি মহিষ আটক করেছে টাস্কফোর্স।

শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করে ৫৭ বিজিবি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৯ জুলাই শুক্রবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি) আওতাধীন নয়াপাড়া ইউনিয়নের শৈলকুঠি রিসোর্ট এর পিছনে বাচামৃত চর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

চোরাকারবারীরা মিয়ানমারের অবৈধ চোরাই পথে বিপুল সংখ্যক গরু ও মহিষ নিয়ে এসে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট,বিজিবি, পুলিশ এবং আনসার সদস্য নিয়ে গঠিত একটি টাস্কফোর্স দল নয়াপাড়া বাচামৃত চর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোরাই পথে আনা ৪৪ টি গরু ও ২৮ টি মহিষ আটক করেন। চোরাকারবারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে গরু ও মহিষ উক্ত স্থানে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে আটককৃত গরু ও মহিষগুলো বিজিবি আলীকদম ব্যাটালিয়নের (৫৭ বিজিবি) সদরে দপ্তরে আনা হয়।

আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি) উপ-অধিনায়ক মেজর শাহ মো. শাকিল আলম জানান, আটককৃত গরু ও মহিষের বাজার মূল্য আনুমানিক এক কোটি দুই লক্ষ পচানব্বই হাজার টাকা কাছাকাছি। আগামীতে আমাদের এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। চোরাচালান বন্ধে ৫৭বিজিবি বদ্ধ পরিকর।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩০, ২০২২ ২:০৫ অপরাহ্ন
দুধ উৎপাদনে সেরা যে জাতের গরু
প্রাণিসম্পদ

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদনকারী গাভী হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান। এখন পর্যন্ত দুধ উৎপাদনের যত রেকর্ড আছে, সবই এই জাতের গাভী দখলে।

মাংসের বাজারেও এদের রয়েছে সরব উপস্থিতি। সারা বিশ্বে মোট উৎপাদিত দুধের প্রায় ৫০ শতাংশ এই জাতের গরু থেকে পাওয়া যায়।

একে শুধু দুধ উৎপাদনকারী গাভী হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এই জাতের ষাঁড়ও বৃহৎ আকৃতির হয়ে থাকে। এই জাতের এক একটি পূর্ণবয়স্ক ষাঁড়ের ওজন ৭০০ থেকে এক হাজার কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এক একটি গাভীর উচ্চতা প্রায় ৫৫ থেকে ৭০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

হোলস্টাইন অর্থ সাদা-কালো ডোরাকাটা আর স্থানের নাম ফ্রিজল্যান্ডের সঙ্গে মিলিয়ে এই গরুর নাম হয় হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান। জাতের গরুর আধিনিবাস জার্মানিতে। মূলত জার্মানির কালো জাতের গরু এবং নেদারল্যান্ডের সাদা জাতের গরুর সংকরায়ণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় যুগান্তকারী এই নতুন জাতের গরু।

সাদা-কালো মিশেলের জন্ম নেয়ায় এই গরুর দুধ উৎপাদনের সক্ষমতা সবাইকে চমকে দেয়। এই জাতের গরু এখন আর শুধু জার্মানির আর নেদারল্যান্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি তৈরি করেছে খ্যাতিও। বর্তমান বিশ্বে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ানের সঠিক সংখ্যা কত তা জানা যায় না।

তবে ১৯৯০ সালে শুধু আমেরিকায় নিবন্ধনকৃত এই গরুর সংখ্যা ছিল ৪০ মিলিয়নেরও বেশি।

এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় পালনকৃত এক দশমিক ছয় মিলিয়ন ডেইরি গরুর প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান।

লাতিন আমেরিকা থেকে নিউজিল্যান্ড, কানাডা থেকে রাশিয়া পর্যন্ত পৃথিবীর এমন কোনো গরু পালনকারী ভূখণ্ড নেই, যেখানে কালো সাদা জাতের গরু ব্র্যান্ডিং হয়নি।

তবে সর্বোচ্চ সংখ্যায় পালনকারী দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইংল্যান্ড, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত। বিশাল দেহি এই নরম জাতের এবং দুর্বল হজম ক্ষমতার গরু হিসেবে পরিচিত হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান।

এরা সাধারণত সাদা খর বিশিষ্ট হয়ে থাকে। মাথার উপরে সাদা টিক দেখে সহজে সনাক্তযোগ্য হলেও বিশুদ্ধ কালো জাতের গরু ও দেখা যায়।

এই জাতের গরুর জীবনকাল ছোট হওয়ায় দুধ উৎপাদনের সময়ও কম। ইংল্যান্ডের এই জাতের গরুর গড় জীবনকাল ১২ থেকে ১৪ বছর হয়ে থাকে। এরা বাচ্চাপ্রদান গড়ে পাঁচটি। একটি হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ানগরুর বাচ্চার ওজন ৪০ থেকে ৬০ কেজি পর্যন্ত হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৯, ২০২২ ৮:৫৫ অপরাহ্ন
মৎস্য মেলায় অংশগ্রহণকারী ১১ সেরা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান
প্রাণিসম্পদ

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ আজ সমাপ্ত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ এর মূল্যায়ন ও সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এবারের জাতীয় সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, মৎস্য চাষ ও মৎস্যসম্পদের মানোন্নয়ন সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন করা হয়েছে। মাছ আমাদের নিরাপদ আমিষ। মৎস্য চাষের মাধ্যমে এ আমিষের যোগানের ক্ষেত্রে মৎস্য খাত সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের ভূমিকা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মৎস্য খাতের টেকসই আহরণ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য মাছের প্রকৃত মজুদ নির্ণয়ের বিষয়ে আরও আজ করতে হবে। সামুদ্রিক মাছের মজুদ কতটুকু আছে সেটি জানতে হবে। সামুদ্রিক মাছের বংশবৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মৎস্য অধিদপ্তর ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কাজ করবে। মাছের সহনশীল আহরণ নিশ্চিত করতে হবে।

দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে ও রপ্তানির ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন মাছ নিশ্চিত করা জরুরি। রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের নির্ধারিত মান অর্জন করা সম্ভব না হলে রপ্তানি বৃদ্ধি করা যাবে না। এজন্য বিভিন্ন দেশের চাহিদা অনুযায়ী মাছের মান অর্জনে আরও কাজ করতে হবে-যোগ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. আব্দুল কাইয়ূম ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. হেমায়েৎ হুসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব এ টি এম মোস্তফা কামালসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ এর সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রম উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. খালেদ কনক।

অনুষ্ঠানে ২৪ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলায় অংশগ্রহণকারী ২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫ টি ক্যাটাগরি তথা ১১টি সেরা প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়।

এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান,বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং কাঁচা মাছ বিক্রয় ও প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে

উল্লেখ্য ২৩ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদযাপন করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৯, ২০২২ ৬:৩২ অপরাহ্ন
রংপুরে পাঁচ দিনে চার খামারির ১১ গরু চুরি
প্রাণিসম্পদ

রংপুর জেলার মহানগর ও তারাগঞ্জ থানায় চার খামারির গত পাঁচ দিনে ১১টি গরু চুরি হয়েছে। খামারিদের গোয়ালঘর থেকে এই ১১টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।

চুরি যাওয়া গরুর মূল্য প্রায় ৩৭ লাখ টাকা বলে ভুক্তভোগী খামারিরা জানিয়েছেন। চুরি যাওয়া গরু উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

জানা গেছে, বুধবার রাতে জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায় কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর বেলতলী গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমানের গোয়ালঘর থেকে চারটি গরু চুরি হয়েছে। চোরেরা বাড়ির পেছনের প্রাচীর ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে গোয়াল ঘরের তালা কেটে গরু নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, দিনরাত পরিশ্রম করে অস্ট্রেলিয়ান জাতের দুটি ও দেশি জাতের দুটি গরু পুষতেন। গোয়ালঘর শূন্য করে চোরেরা সব কয়টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। চুরি যাওয়া গরু চারটির মূল্য অন্তত ৬ লাখ টাকা হবে। রংপুরের তারাগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, গরু উদ্ধারের জন্য আমরা জোর চেষ্টা চালাচ্ছি।

এদিকে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকায় গত শনিবার রাতে তিন খামারির গোয়ালঘর থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মোট সাতটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। মাহিগঞ্জের খামারি গৌতম বোসের খামার থেকে দুটি, হাসান আলীর দুটি এবং আনোয়ার হোসেনের তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। প্রত্যেক গরু ৩-৪ লাখ টাকা দাম হবে বলে দাবি করছেন খামারিরা।

ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। গরু চুরির এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা। এ সময় দ্রুত চুরি যাওয়া গরু উদ্ধারসহ গরু চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের দাবি জানায় খামারিরা।

রংপুর জেলা ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন জানান, বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। যে কোনো উপায়ে গরু চুরি বন্ধ করতে হবে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মাহিগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্হানে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের শনাক্ত করা হবে।

রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্হল পরিদর্শন করে খামারিদের একটি তালিকা করা হয়েছে। তারাগঞ্জের ঘটনাটিও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop