১:৩২ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ৮, ২০২২ ৮:৩১ পূর্বাহ্ন
চাহিদার তুলনায় দাম নেই গরুর,হতাশ খামারিরা!
প্রাণিসম্পদ

আর ক’দিন পরই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, আফতাবনগর গরুর হাটে দাঁড়িয়ে, বসে আবার গল্প আর আড্ডায় অলস সময় কাটাচ্ছেন গরুর খামারি ও ব্যবসায়ীরা। রয়েছে তাদের নানান অভিযোগও।

এসব খামারির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত তিন থেকে চারদিন গরু নিয়ে হাটে এলেও বেচাবিক্রি এখনও শুরু হয়নি। খুবই অল্প সংখ্যক ক্রেতা হাটে এলেও দামদর করে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই।

তাছাড়া কেউবা আবার হাঁকানো দামের অর্ধেকেরও কম দাম বলছেন। এ নিয়ে মন খারাপ করতেও দেখা গেছে অনেক খামারিকে।

নাটোরের সিংড়া থেকে এসেছেন খামারি সাইফুল ইসলাম। তিনি তিনটি গরু নিয়ে গত চারদিন ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন। ইতোমধ্যে ক্রেতারা চাহিদা মতো দাম না বলায় আক্ষেপ করছেন তিনি।

তিনি বলেন, বাসা বাড়িতে তিনটি গরু পালন করেছিলাম। এই হাটে নিয়ে এসে চাহিদা মতো দাম পাচ্ছি না। ক্রেতারা যা দাম বলছেন তা পোষাবে না। ঈদের যেহেতু আরও সময় আছে, তাই বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব। আশা করছি ভালো দাম পাব।

তাছাড়া একেবারেই যদি দাম না ওঠে ফিরিয়ে তো আর নেয়া যাবে না, শেষ মুহূর্তে টার্গেটের কাছাকাছি দাম পেলেও ছেড়ে দেব।

আর রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থেকে এসেছেন মাসুদ রানা। তিনিও বাসাবাড়িতে পালন করা দুটি গরু নিয়ে এসেছেন আফতাবনগরের এ হাটে।

বৃহস্পতিবার সকালে হাটে এসেই ক্রেতার দেখা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু চাহিদার অর্ধেক দাম বলায় মন খারাপ মাসুদের। লাল টকটকে গরুর ২ লাখ ৮০ হাজার দামের বিপরীতে ক্রেতা বলেছেন দেড় লাখ টাকা।

মাসুদ রানা বলেন, গরু পালন করা অনেক ব্যয়বহুল। খড়-কুটা দাম বেড়েছে। তাছাড়া মাঠেও ঘাস পাতা পাওয়া যায় না। একটা গরুর পিছনে যে পরিমাণ খরচ আর শ্রম দেয়া হয় তা আসলে দাম দিয়ে কেনা যায় না।

দর্শনা থেকে ১৭ টির মতো গরু নিয়ে হাটে এসেছেন মামুন ও তার বড় ভাই মাসুদ। এখনও ক্রেতার দেখা পাননি তারাও। অলস সময় পার করছেন। আগামী দুই দিনের বেচাবিক্রির আশা করছেন তারা। ইতোমধ্যে ক্রেতা যে দাম বলেছেন তাতে খরচা উঠবে না এই খামারির।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২২ ৯:১৮ পূর্বাহ্ন
১৮টি গরু নিয়ে ছাড়ল ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন
প্রাণিসম্পদ

কোরবানির পশু পরিবহনের জন্য এবারো চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা রুটে চালু হয়েছে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস।

বুধবার (৬ জুলাই) বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ১৮টি গরু নিয়ে ট্রেনটি রাজধানীর ঢাকার তেজগাঁও রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আগামী শুক্রবার (৮ জুলাই) পর্যন্ত এই বিশেষ ট্রেনটি চলবে।

প্রথম দিনে একটি ওয়াগনে ১৮টি গরু ও ৪টি ছাগল নিয়ে যাত্রা শুরু করে ক্যাটল ট্রেনটি। সবগুলো গরুর মালিক সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের শামিম আলী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী বাণিজ্য কর্মকর্তা একেএম নুরুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার শহিদুল আলমসহ অন্যান্যরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনে প্রতিটি গরু পরিবহণের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯১ দশমিক ৫০ পয়সা।

২০২১ সালে প্রথমবারের মতো ক্যাটল ট্রেনে পণ্যবাহী ওয়াগন দিয়ে ঢাকায় গরু পরিবহন করা হয়। প্রতিটি ওয়াগনে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৮৩০ টাকা।

প্রথমবারের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২০২১ সালের ১৭ জুলাই ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালু হয়। ট্রেনটি ১৯ জুলাই পর্যন্ত গরু পরিবহণ করে। ৩ দিন ধরে চলা এ ট্রেনটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কোরবানিযোগ্য পশু পরিবহণ করা হয় ৭৭টি। তা থেকে আয় হয় ৪৫ হাজার ৫৮৪ টাকা। তবে আয় নয়, মূলত খামারিদের ভোগান্তি ও ব্যয় কমাতে সরকার এই চালু করেছে বলে জানান রেলওয়ের কর্মকর্তারা। উদ্বোধনের দিনে ৭৭টি গরু পরিবহন করলেও পরের দুই দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কোনো গরু পরিবহন হয়নি ট্রেনটিতে।

গরুর মালিক শামিম আলী বলেন, গতবছরও ক্যাটল ট্রেনে আমি গরু পাঠিয়েছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও প্রথম দিনেই গরু পাঠাচ্ছি। আজকে আমার গরু ছাড়া আরও কারো নেই। এই ট্রেনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ভাড়া অন্যান্য উপায়ে পরিবহণের তুলনায় অর্ধেক। তবে তেজগাঁও রেলস্টেশনে নামার পর হাটে গরু নিয়ে যেতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই সেখানে সরকারিভাবে গাড়ি ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২২ ৯:০৬ পূর্বাহ্ন
লাখ টাকার গরু মারা গেল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট
প্রাণিসম্পদ

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পশুর হাট থেকে এক লাখ টাকায় একটি গরু কেনার পর বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক ক্রেতা। পথে বিদ্যুতের একটি খুঁটির সঙ্গে স্পর্শ লাগা মাত্রই গরুটি বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে। এ ঘটনায় ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), নারায়ণগঞ্জকে দায়ী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই ক্রেতা।

বুধবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় আদমজী কোমল বাসস্ট্যান্ডে বিদ্যুতের একটি খুঁটির সঙ্গে গরুটির স্পর্শ লাগলে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায় কোরবানির জন্য কেনা পশুটি। ওই খুঁটিতে দীর্ঘদিন ধরেই বৈদ্যুতিক সমস্যা ছিল বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন বাজার সড়কের বাসিন্দা মোহাম্মদ আজিম বুধবার বিকেলে আইয়ুব নগর হাট থেকে এক লাখ টাকায় গরুটি কেনেন। সঙ্গে ৫ হাজার টাকা হাসিল দেন। গরুটিকে বাসায় নিয়ে যাওয়া পথে নির্মম এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী আজিম জানান, আমার জানা ছিল না খুঁটিটি বিদ্যুতায়িত হয়ে আছে। খুঁটির সঙ্গে গরুর স্পর্শ লাগার সঙ্গে সঙ্গে গরুটি মারা যায়। দীর্ঘদিন ধরেই নাকি খুঁটিতে বৈদ্যুতিক সমস্যা রয়েছে। আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল! তবে ডিপিডিসির এই গাফিলতিতে আর যেন কারো ক্ষতি না হয় তাই আমি থানায় অভিযোগ করব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২২ ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
পছন্দ হলেই ওজন স্কেলে মাপা হচ্ছে গরু
প্রাণিসম্পদ

ক্রেতার পছন্দ হলেই জ্যান্ত গরু তোলা হচ্ছে মেশিনে। ওজন করে কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। কেজি মূল্যে খামার থেকে গরু ক্রয় করে খুশি ক্রেতারা। তাছাড়া খামার থেকে গরু কিনলে থাকছে না লালন-পালনের ঝামেলা। ঈদের আগের দিন খামারিদের গাড়িতেই গরু চলে যাবে ক্রেতার বাড়ি। এ কারণে খামারে গরু বিক্রির চাহিদাও বেড়েছে।

বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি গ্রামের এমইপি অ্যাগ্রো খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম চাকলাদার জানান, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও মেহেরপুর হরিয়ানা, শাহীওয়াল, হাশা, দেশাল ও বুট্টি জাতের গরু সংগ্রহ করেছেন কোরবানি উপলক্ষে। তার খামারে ১৮৫টি গরু রয়েছে। ১০দিন আগেই ১৫৫টি গরু কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কোরবানির একদিন আগে সবার বাড়ির সামনে খামারের নিজস্ব পরিবহনে গরু দিয়ে আসা হবে। ক্রেতার কাছ থেকে যানবাহন খরচ নেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘গরু হাটে মানুষের ধাক্কাধাক্কি, গোবর কাদায় একাকার হওয়া। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে পছন্দের গুরু দর কষাকষি করে কেনাটা মানুষ বড় ঝামেলা মনে করে। তারপর রয়েছে গরু বাড়িতে নিয়ে লালন-পালনের সমস্যা। শহরে গরু রাখার মতো জায়গা খুবই কম। এসব কারণে এ বছর খামার থেকে গরু ক্রয়ে আগ্রহ বেড়েছে বরিশাল অঞ্চলের মানুষের।’

খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘খামারের গরুগুলোর লালন-পালন মানুষের মতোই করা হচ্ছে। গরুর জন্য কয়েকজন পশু চিকিৎসক রয়েছেন। কোনও সমস্যা হলেই তারা তাৎক্ষনিক এসে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।’

বরিশালের অন্যান্য খামারিরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের পালিত পশুর বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। সেখান থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ক্রেতারা যোগাযোগ করে সরাসরি খামারে চলে যাচ্ছেন। এরপর পছন্দের গরুটি স্কেলে তুলে দাম নির্ধারণ হচ্ছে।

খামারে গরু কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, ‘গরুর হাটে গিয়ে পছন্দের গরুটির দাম বলবে এরপর দর কষাকষি সেই ঝামেলা থেকে মুক্ত। তাছাড়া খামারে গরু ক্রয় করলে বাজেটের মধ্যে থাকা সম্ভব হয়। খামারে ৭৫ হাজার টাকা থেকে সাড়ে চার লাখ টাকার গরু রয়েছে। আর খামারের যে পরিবেশ তা হাটে কোনও দিন পাওয়া যাবে না। এ কারণে হাট থেকে খামার থেকে গরু ক্রয় করা অনেক স্বাচ্ছন্দ্য।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুরুল আমিন জানান, ‘এ বছর বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় বড় ছোট আট হাজার ১৩টি খামারে কোরবানির গরু বিক্রি হচ্ছে। বড় খামারে ২০০ ও ছোট খামারে ১০ থেকে ১২টি গরু লালন পালন করা হয়। খামারে গিয়ে ক্রেতারা গরু পছন্দ হওয়ার পর তা তুলে দেয়া হয় স্কেলে। সেখানে কেজি হিসাবে দাম নির্ধারণ হয়। এরপর টাকা পরিশোধ করে গরুর ছবি তুলে ক্রেতারা নিশ্চিতে ফিরছেন বাড়ি। দর কষাকষি নেই এবং লাল-পালনের ঝামেলা নেই এমনকি গরু খামারিদের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আর খামার থেকে গরু ক্রয় কিনলে হাসিল লাগে না এই সুযোগটাও ক্রেতারা নিচ্ছেন।’

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২২ ৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
কোরবানির হাট কাঁপাচ্ছেন যে পাঁচ জাতের গরু 
প্রাণিসম্পদ

্বাংলাদেশে আগামী সপ্তাহে হতে যাচ্ছে ঈদুল আজহা। এই উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোরবানির গরুর হাটগুলো জমে উঠেছে। কিন্তু এসব হাটে নানা জাতের গরু থাকলেও বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে কয়েকটি জাত মানুষের কাছে বেশি জনপ্রিয়।

বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে, এবার ঈদে কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার ।

এই চাহিদা মেটানোর জন্যা এক কোটি ২১ লাখ পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এর মধ্যে এক কোটির মতো শুধু গরু।

বাড়িতে লালন-পালন করা দেশী গরুর কদর ক্রেতাদের মাঝে সব সময় থাকে।

এবারের কোরবানির হাটে পাঁচটি জনপ্রিয় জাতের গরুর কথা উল্লেখ করেছেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও খামারিরা।

শাহীওয়াল গরু
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে পাকিস্তানের সিন্ধুতে এই গরুর জন্ম।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডা. মো: শাহিনুর আলম বলেন, এই জাতের গরু বহুদিন ধরে বাংলাদেশেই উৎপাদন করা হচ্ছে। দেখতে অনেকটা লাল রঙের, আর বেশ বড়।

শাহীওয়াল জাতের গরু ধীর ও শান্ত প্রকৃতির। শাহীওয়াল জাতের গরু আকারে বেশ লম্বা, মোটাসোটা ও ভারী দেহ। সাধারণত এ জাতের গরুর দেহের রং ফ্যাকাসে লাল। তবে কখনো গাঢ় লাল বা লালের মাঝে সাদা ও কালো ছাপযুক্ত হয়।

গাভীর ওজন ৪৫০ থেকে ৫৫০ কেজি ও ষাঁড়ের ওজন ৬০০ থেকে এক হাজার কেজি। জন্মকালে বাছুরের ওজন ২২ থেকে ২৮ কেজি। মাথা প্রশস্ত, পা ছোট, শিং ছোট কিন্তু মোটা। গলকম্বল বৃহদাকার যা ঝুলে থাকে। শাহীওয়াল জাতের গরুর ত্বক পাতলা ও শিথিল।

গরুর খামার এসএসি এগ্রোর নির্বাহী পরিচালক মিরাজ আহমেদ বলেন, তাদের খামারে এই জাতের গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকে প্রতি বছর। আর এই গরুর সর্বনিম্ন দাম এক লাখের বেশি।

হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান গরু
হোলস্টাইন অর্থ সাদাকালো ডোরাকাটা, স্থানের নাম ফ্রিসল্যান্ড-এর সাথে মিলিয়ে এই গরুর নাম হয় হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান। বাভারিয়া (বর্তমান জার্মানি) ও ফ্রিসল্যান্ড (বর্তমান নর্থ হল্যান্ড) এই গরুর আদি উৎস স্থান।

হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান গরুকে তাদের সাদা-কালো রঙের কারণে সহজেই চেনা যায়।

ফ্রিজিয়ান জাতের গরু গোশতের জন্য পালা হয় না। কিন্তু তারপরেও বাজারে গোশত সরবরাহের বিরাট অংশই ফ্রিজিয়ান গরুর। কারণ, এটি আকারে বেশ বড়। বিশ্বে যত গরু পালন করা হয়, তার ৫০ শতাংশের বেশি ফ্রিজিয়ান জাতের।

একটা হোলস্টাইন জাতের পূর্ণ বয়স্ক ষাঁড়ের ওজন এক হাজার ১০০ কেজি পর্যন্ত হয় এবং উচ্চতা ৫৫ থেকে ৭০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়।

ব্রাহমা গরু
বাংলাদেশে যেসব ব্রাহমা জাতের গরু রয়েছে তার প্রায় সবই কৃত্রিম পদ্ধতিতে প্রজনন করা গরু।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কৃত্রিম প্রজনন বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রাহমা জাতের গরুর সিমেন বা বীজ বা শুক্রাণু এনে সরকার কয়েকটি জেলায় স্থানীয় খামারিদের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে এই জাতের গরু উৎপাদন শুরু করে।

দেশে ২০০৮ সালে প্রথম প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ‘বিফ ক্যাটল ডেভেলপমেন্ট’ নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রাহমা উৎপাদন কর্মসূচি শুরু করে। শুরুতে ১১টি উপজেলায় তিন বছরের জন্য এ কর্মসূচি চালু হলেও এখন প্রায় ৫০টির মতো জেলায় চলছে এ কর্মসূচি।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডা. সরকার বলেছেন, ব্রাহমা গরু মূলত মাংসের জাত বলে পরিচিত। দুধের জন্য এই গরুর তেমন খ্যাতি নেই।

ব্রাহমা গরু দেখতে অনেকটাই দেশী গরুর মতো কিন্তু আকৃতিতে বেশ বড় হয়। এই গরুর গোশতের স্বাদ দেশী গরুর মতো। এর গায়ে চর্বি কম হয়। যে কারণে পুষ্টিগুণ বেশি।

প্রাণি, পুষ্টি ও জেনেটিক্স বিশেষজ্ঞরা বলেন, ব্রাহমা গরুর আদি নিবাস ছিল ভারতে।

সাধারণত একটি পূর্ণবয়স্ক ব্রাহমা জাতের ষাঁড়ের ওজন ৮০০ থেকে এক হাজার কেজির বেশি হতে পারে। একটি পূর্ণবয়স্ক ব্রাহমা জাতের গরুর ওজন হবে ৫০০ থেকে এক হাজার কেজি।

কোরবানির সময় বাজারে অস্বাভাবিক দাম হাঁকানো গরুগুলো মূলত এই ব্রাহমা জাতেরই গরু। দেশের কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ব্রাহমা জাতের গরু নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। সেগুলোর ফলাফল জানা গেলে আগামী দিনে এ জাতের গরুর উৎপাদন দেশে আরো বাড়বে।

মীরকাদিম
মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম জাতের গরু দেখতে ধবধবে সাদা। কিছুটা লালচে আর আকর্ষণীয় বাঁকা শিং। বাজারে এই গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের কাছে। তবে চাহিদার তুলনায় এই জাতের গরুর সরবরাহ কমে গেছে।

এসএসি এগ্রোর নির্বাহী পরিচালক মিরাজ আহমেদ বলেন, এই গরুর দাম এক লাখ ২০ হাজার থেকে শুরু হয়ে আড়াই লাখ পর্যন্ত হয়। মীরকাদিমের গরুর গোশতে আঁশ কম থাকে, এর হাড় চিকন হয়। এই গরুর গোশত হয় নরম ও তেলতেলে।

তবে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে, দেশে মীরকাদিম জাতের ভালো ষাঁড়ের সঙ্কট রয়েছে। যে কারণে এই জাতের উন্নয়নপ্রক্রিয়া ধীরে ধীরে হচ্ছে।

রেড চিটাগং ক্যাটেল
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে, রেড চিটাগাং ক্যাটেল বা অষ্টমুখী লাল গরু বা লাল বিরিষ সংক্ষেপে আরসিসি আমাদের দেশের অধিক পরিচিত একটি গরুর প্রজাতি। রেড চিটাগাং ক্যাটেলের প্রধান চারণস্থল চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম।

এছাড়াও এটি কুমিল্লা ও নোয়াখালিতে পাওয়া যায়। দেখতে লাল বর্ণের। দৈর্ঘ্য প্রায় ১৩০ সেন্টিমিটার ও উচ্চতা প্রায় ২৪ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক ষাঁড়ের ওজন প্রায় ২০০ থেকে ৪০০ কেজি হয়ে থাকে। গরুর ওজনের প্রায় অর্ধেক পরিমাণ খাদ্য উপযোগী মাংস।

খামারি মিরাজ আহমেদ বলেন, আরসিসি গরু দেখতে সুন্দর। কোরবানির হাটে সহজেই চোখে পরার মতো এই গরুর প্রজাতি। তবে, গরুর এই বিশেষ প্রজাতি জনপ্রিয় হওয়ার এক বিশেষ কারণ হলো, এর গোশত খুবই সুস্বাদু।

সূত্র : বিবিসি

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৬, ২০২২ ৫:০৫ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড।

বুধবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সাথে তার দপ্তর কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, সুইজারল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক যেকোন বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে। একইসাথে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারণ করা যেতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একশ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা মাথায় রেখে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এবং ইতোমধ্যে ডেল্টা গভর্ন্যন্স কাউন্সিল গঠন করেছেন। দেশের উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদ আমরা কাজে লাগাচ্ছি, জনসাধারণের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ করছি। সরকারের নানা পদক্ষেপে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে অভাবনীয় পরিবর্তন হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেন, দুই দেশের সহযোগিতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২২ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রসহ নতুন সহযোগিতার কর্মসূচি নিয়ে সুইজারল্যান্ড কাজ করতে চায়। এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা সংক্রান্ত কার্যক্রম বৃদ্ধি করা। এর মধ্যে অন্যতম জলবায়ু পরিবর্তজনিত অভিযোজন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক কার্যক্রমে অর্থায়ন।

বাংলাদেশের মতো অন্য কোন দেশে একশ বছরের পরিকল্পনা দেখিনি উল্লেখ করে নাথালি চুয়ার্ড আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের মাইলফলক অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ড অবদান রাখতে চায়। বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলে প্রাণিসম্পদ খাতে সুইজারল্যান্ডের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। সুইজারল্যান্ডের সরকারি ও বেসরকারি খাতের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানও এক্ষেত্রে কাজ করতে আগ্রহী।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী না হলেও বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ুর ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের জন্য তহবিল গঠনে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রেখেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণে উন্নত দেশসমূহের এগিয়ে আসা উচিত। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিপূর্ণ দেশও বাংলাদেশ। বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। সরকার ক্ষতি কাটিয়ে জলাবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার বিশেষ প্রণোদনা ও অন্যান্য সহায়তা দিয়ে থাকে।

শ ম রেজাউল করিম যোগ করেন, বর্তমানে আমরা মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ঈদ-উল-আযহায় কোরবানির জন্য চাহিদার অতিরিক্ত গবাদিপশু আমাদের রয়েছে। দেশের সব মানুষের চাহিদা পূরণ করে মাংস রপ্তানির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের কাছ থেকে মাংস আমদানি করতে চায়। সে সব দেশের চাহিদা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানের মাংস সরবরাহ আমাদের লক্ষ্য। এজন্য দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, বাংলাদেশ বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত অনুকূল ও বন্ধুত্বপূর্ণ একটি দেশ। সুইজারল্যান্ডের সরকারি ও বেসরকারি খাত বাংলাদেশের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সহজেই বিনিয়োগ করতে পারে। সুইজারল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের দুগ্ধ শিল্পসহ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারে। সরকার সবধরনের সুবিধা প্রদান করবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৬, ২০২২ ২:০১ অপরাহ্ন
দাম বেশি হলেও ক্রেতাদের পছন্দ ছোট গরু
প্রাণিসম্পদ

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে জমে উঠেছে গরুর হাট। চলছে বেচা-কেনা। হাটে উঠছে বিভিন্ন সাইজের গরু। তবে এবার দাম একটু বেশি হলেও ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ছোট গরু।

জামালপুরের সদর ও সরিষাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাটে দেখা যায় এমন চিত্র। হাটে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোটবড় নানা জাতের পশুর সমাহার। ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন। কেউ আবার কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন।

বিক্রেতারা বলছেন, এখনো ঈদের কয়েকদিন বাকি। তাই বেচাকেনা সেভাবে জমে ওঠেনি। ৫০-৯০ হাজারের মধ্যে দেশি জাতের ছোট গরুর বিক্রি বেশি হচ্ছে।
গরু কিনতে আসা ফজর আলী বলেন, ‘হাটে আজকেই প্রথম এলাম। ছোট গরুর দাম একটু বেশি। বড় গরুর দাম গতবারের তুলনায় অনেক কম।’আব্দুর রহিম নামের এক বিক্রেতা বলেন, ‘শখ করে বেশ কয়েকটি গরু লালন-পালন করেছি। কিছুটা লাভের আশায় গরুগুলো হাটে নিয়ে এসেছি। কিন্তু দাম বেশির কথা বলে কেউ নিতে চাচ্ছেন না।’

আওনা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হোসাইন আহমেদ বলেন, এ কয়েকদিন তিনি জেলার বিভিন্ন গরুর হাট ঘুরেছেন। মাঝারি গরুর দাম মোটামুটি ঠিক থাকলেও, ছোট গরুর চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশি। আজকের হাটে তিনি নিজেও ৮ থেকে ১০টি গরু দেখেছেন। সেখানে ছোট গরুর চাহিদাই একটু বেশি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৬, ২০২২ ১২:৫৪ অপরাহ্ন
আসছে কোরবানির ঈদ, গরুর বয়স নির্ণয় করবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

আসছে কোরবানির ঈদ। ঈদকে ঘিরে পশু কোরবানির জন্য পছন্দের জায়গা হলো গরু। আর সেই গরু দিয়ে কোরবানি দিতে রয়েছে বয়সের কিছু সীমাবদ্ধতা। আজকের লেখায় আলোচনা করা হল গরুর বয়স নির্ণয় করা নিয়ে।

গরুর বয়স নির্ণয় করবেন যেভাবে-

১। গরুর জন্ম তারিখ রেজিষ্টার করা থাকলে নিবন্ধিত জন্ম তারিখ থেকে গরুর বয়স নির্ণয় করা যায়।

২। গরুর ২টি স্থায়ী দাঁত উঠলে গরুর বয়স ১৯ থেকে ২৪ মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২ বছর হয়ে থাকে।

৩। গরুর জন্ম থেকে ১ মাস বয়সের মাঝে অস্থায়ী দাঁত উঠতে শুরু করে। এক মাসের মধ্যে নিচের পাটির সামনের ৮টি অস্থায়ী দাঁত উঠে যায়।

৪। গরু ১ বছর বয়সে সামনের সারির মাঝের দুটো অস্থায়ী দাঁত পড়ে যায় ও সেখানে স্থায়ী দুটো দাঁত ওঠে। ২ বছর বয়সের মাঝে এই দুটো দাঁত বেশ বড় আকার ধারণ করে।

৫। গরুর বয়স দুই থেকে আড়াই বছরের মাঝে সামনের স্থায়ী দাঁতের সংখ্যা হয় চারটা। তিন বছরের মাঝে এই পাশের দুটো দাঁত সম্পূর্ণ আকার ধারণ করে।

৬। গরুর বয়স ৩ বছরের মাঝামাঝি হলে পাশে আরও ২টি দাঁত ওঠে ফলে সামনে স্থায়ী দাঁতের সংখ্যা হয় ৬টি। সাড়ে তিন বছরের মাঝে এই দুটা দাত পূর্ণ আকার ধারণ করে থাকে।

৭। গরুর বয়স যখন ৪-৫ বছরের মাঝামাঝি হয় তখন গরুর সামনে ৮টি দাত স্থায়ীভাবে  উঠে।

৮। গরুর বয়স ৫-৬ বছর হলে সামনের দুটো দাঁত ক্ষয় হয়ে সমান হয়ে যায় এবং পাশের বাকি দাঁতগুলোতে ক্ষয়ের চিহ্ন লক্ষ্য করা যায়।

৯। গরুর বয়স ৭-১০ বছর হলে সামনের দাঁতগুলোর ক্ষয়ের পরিমাণ খুব বেশি লক্ষ্য করা যায় এবং তা দেখতে অনেকটা ভাঙ্গা ভাঙ্গা দেখায়।

১০। গরুর বয়স ১০-১২ বছরের মাঝামাঝি হলে দাঁতগুলো ক্ষয় হয়ে অনেকটা তিনকোণা আকৃতি ধারণ করে এবং এক দাঁত থেকে অন্য দাঁতের দূরত্ব তৈরি হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৬, ২০২২ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন
মেঘনায় ট্রলার ডাকাতি,গরু ব্যাসায়ীদের ৩০ লাখ টাকা ছিনতাই
প্রাণিসম্পদ

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে মেঘনা নদীতে গরু বহনকারী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকতরা গরু ব্যাসায়ীদের জখম করে নগদ ৩০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে মেহেন্দিগঞ্জের গোবিন্দপুর চরের ৮ নম্বর ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিশ্চত করেছেন মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, গতকাল সকালে ৭/৮ জন গরু ব্যবসায়ী ও তাদের ১৫ জন লোক ২৮টি গরু ও ৫০টি ছাগল নিয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থেকে ট্রলারে করে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে নোয়াখালীর লক্ষীপুরের মোল্লারহাটে যান।

অন্যদিন বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে রওয়ানা হওয়ার কথা থাকলেও ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে তাদের দেরি হয়। তাই বিকেল ৫ টার দিকে বিক্রি না হওয়া ১০টি গরু নিয়ে মোল্লারহাট থেকে পুনরায় তারা মেহেন্দিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ট্রলারে করে রওয়ানা দেন তারা।

মেহেন্দিগঞ্জের গোবিন্দপুর চরের ৮ নম্বর ঘাট সোজাসুজি মেঘনা নদীতে পৌঁছালে পেছনে একটি ট্রলার দেখতে পায়। প্রথমে তারা মনে করেছিল সেটি জেলেদের ট্রলার। পরে ট্রলারটি তাদের বোটের কাছে আসে এবং সেই ট্রলার থেকে যুবক শ্রেণির ৭/৮ জন লোক তাদের বোটে ওঠে।

এসময় তাদের ট্রলারে থাকা মাঝি-ব্যবসায়ীসহ সকলকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে বেধরক মারধর করে দুর্বৃত্তরা। দুবৃত্তদের হামলায় ট্রলার মাঝি ও গরু ব্যবসায়ী মাঈনুল বেপারী মারাত্মক জখম হন।

মারধরের একপর্যায়ে ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা গরু ও ছাগল বিক্রির ৩০ লাখ টাকা লুটে নেয় । পরে পুলিশ আহতদের ও ট্রলারে থাকা ১০টি গরু উদ্ধার করে।

দুবৃত্তদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৫, ২০২২ ১০:৪৫ অপরাহ্ন
রাজধানীতে পশুর হাট জমলেও ক্রেতা শূণ্য
প্রাণিসম্পদ

আর কয়েকদিন পরই মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। আর এই ঈদুল আজহাকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জমে উঠেছে কোরবানি হাট। রাজধানীতে জমে উঠেছে পশুর হাট। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে গরু। তবে ক্রেতার শূণ্যতা এখনও রয়েছে।

রাজধানীর পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাকে করে গরু-ছাগল নিয়ে আসছেন। হাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে রাখা হচ্ছে পশুগুলো।

বিক্রেতা ও পাইকাররা বলছেন, হাটে অধিকাংশ গরু চলে এসেছে। কয়েক দিনের মধ্যে আরও আসবে। তবে ক্রেতার আগমন খুবই কম। এর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বিক্রি শুরু হয়নি। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যে ক্রেতা বাড়বে।

গাবতলী পশুর হাটে কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী মানিক হোসেন জানান,তিনি ১৪টি গরু এনেছি। ছোট থেকে মাঝারি আকারের গরু আনা হয়েছে। এগুলোর দাম ৯০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত।

এখনো কোনো গরু বিক্রি হয়নি। আশা করছি, দুই-এক দিনের মধ্যে ক্রেতা বাড়বে এবং বিক্রি শুরু হবে। চুয়াডাঙ্গা থেকে গরু এনেছেন ব্যবসায়ী রমিজ মিয়া। তিনি বলেন, ৯টি গরু নিয়ে এসেছি। আশা করছি, ভালো দাম পাবো। তবে, হাটে ক্রেতা নেই বললেই চলে। সবাই দাম জানতে চায়, দাম বলে না।

বিক্রেতারা জানান, আনুষাঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় গরুর দাম বাড়াতে হয়েছে। গাবতলী হাটের বিক্রেতা নাসিরউদ্দিন বলেন, গো-খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। ৫০ কেজির এক বস্তা ধানের কুড়া গত বছর ৪৫০ টাকা ছিল। এবার তা ৮০০ টাকা হয়েছে। ১১০০ টাকা দামের ২০ কেজির এক প্যাকেট ভুট্টার ভুসির দাম এখন ১৭০০ টাকা।

গাবতলী হাট কর্তৃপক্ষ জানায়, কোরবানির পশুর হাট এখন গরু-ছাগলে ভরপুর। আশা করছি, দুই-এক দিনের মধ্যে হাট জমবে। কাল থেকে হাটের কার্যক্রম পুরোদমে চালু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop