৯:৪৮ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
রাণীনগরে বিধবার পুকুরে দুর্বৃত্তের বিষে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

নওগাঁর রাণীনগরে এক বিধবার লিজকৃত পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে রাণীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার রাতে উপজেলার সরিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে বিধবা রোকেয়া বেওয়ার পুকুরে এ ঘটনাটি ঘটে।

বিধবা রোকেয়া বেওয়া জানান, বাড়ির পাশে একটি পুকুর টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছি। পুকুরে গুলশা, পোনা, দেশীয় মাগুর ও রুই মৃগেল, কাতলা মাছ ছিল।

শনিবার রাতে কোনো এক সময় কে বা কাহারা আমার লিজকৃত পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। রোববার সকালে পুকুরে খাবার দিতে গিয়ে দেখি পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে করে পুকুরে থাকা লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি বলে জানান ওই বিধবা নারী।

তিনি আরও জানান, এর আগেও প্রায় ১ মাস আগে কে বা কাহারা ওই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মাছ মেরে ফেলেছিল। তার দাবি, গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। হয়তো প্রতিপক্ষরাই বার বার পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করেছে। এ ঘটনার সুষ্ট বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুকুরের মাছ নিধনের ঘটনায় এক বিধবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ ১২:১৪ অপরাহ্ন
ইলিশ বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম চাঁদপুর
মৎস্য

ইলিশের মৌসুম বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম চাঁদপুরের বড়স্টেশন বাজার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইলিশের পাইকারি এই বাজারে ক্রেতার ভিড় বাড়তে থাকে।

মিলছে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনার ইলিশ। পুরো উপকূলীয় অঞ্চলেই এখন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে সাগরে। গত মাসে শুরু হওয়া ইলিশের এই মৌসুম শেষ হবে ডিসেম্বরে।

গত অর্থবছরে দেশে ইলিশ উৎপন্ন হয়েছে প্রায় ছয় লাখ টন। এ বছরের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা এখনো ঠিক হয়নি। ভোক্তা পর্যায়ে এখন প্রতি কেজি ইলিশের বাজারমূল্য গড়ে ৬০০ টাকা ধরলে ছয় লাখ টন ইলিশের বাজারমূল্য দাঁড়ায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা।

শুধু ইলিশ ধরার পেশায় নিয়োজিত আছেন প্রায় পাঁচ লাখ জেলে। পরিবহন, বাজারজাত মিলে ধরলে আরো কয়েক লাখ মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) হিসাবে, একক প্রাকৃতিক পণ্য হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান ইলিশের। জাতীয় অর্থনীতিতে বা জিডিপিতে মাছটির অবদান ১ শতাংশের মতো।

২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে মাছের মোট উৎপাদন ছিল ৪৬ লাখ ২১ হাজার টন। এর ১২.২৩ শতাংশ ছিল ইলিশ। বিশ্বের উৎপন্ন ইলিশের প্রায় ৭৫ শতাংশই বাংলাদেশে হচ্ছে। মিয়ানমারে ১৫ শতাংশ, ভারতে ৫ এবং অন্যান্য দেশে ৫ শতাংশ ইলিশ মাছ উৎপন্ন হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ ৭:৩০ পূর্বাহ্ন
সুপেয় পানির পুকুরে মাছ চাষ!
মৎস্য

‘পুকুরে গোসল করা, কাপড় কাচা, হাত-পা ধোয়া এবং মাছ চাষ সম্পূর্ণ নিষেধ। ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে খনন করা সংরক্ষিত পুকুর।’ এসব কথা লেখা রয়েছে জেলা পরিষদের খনন হওয়া আলীগাঁও নয়া পুকুরপাড়ে টানানো সাইন বোর্ডে।
২০২১ সালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের এমন ৩০টি পুকুর খনন করা হয়। খনন শেষে এসব পুকুর জনসাধারণের (সুপেয় পানি) জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা। তবে অভিযোগ উঠেছে, পুকুরগুলো মাছ চাষের জন্য গোপনে বন্দোবস্ত দিয়েছে জেলা পরিষদ।

জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জে পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে ৩০টি পুকুর খননের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ কাজ বাস্তবায়নে জিওবি দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। খনন কাজ ২০১৯ সালে শুরু হয়ে ২০২১ সালে শেষ হয়। প্রকল্পটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করে।

পুকুরগুলো হলো- ছাতিয়ান চূড়া, মোন্নাপাড়া, হাইতর, ফেরুশা, চিয়ারগাঁও, এনায়েতপুর, রশিকনগর, বড়গাঁও, চিয়ারগাঁও, পাকা, কামদিয়া, তেঘড়া, শ্যামপুর, আশকুর, উথবী, চালিতা, তেরইল, পূর্ব বড়গাঁও, বৈলগাঁও, মাকলাইম, খাড়িতা, বানিহারা, আমগাঁও, রঘুনাথপুর, এনায়েতপুর, ধাওয়াচিলা, আরজি পিয়ারাপুর, আরীগাঁও, শিহিগাঁও ও চণ্ডীপুর ডাকবাংলো।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রকল্পের কাজ শেষ হতেই মাছ চাষের জন্য বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। টাকা হরিলুট করার জন্য পুকুর বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে।

কামদিয়া ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের মৃত তছলিম উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম। তিনি একটি পুকুর ৩ বছরের জন্য বন্দোবস্ত নিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ৩৬ হাজার ৫০০ টাকার চুক্তিতে জেলা পরিষদের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নিয়েছেন। এখন সেখানে তিনি মাছ চাষ করছেন।

এনায়েতপুরের মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম মসজিদের নামে একটি ৩০ হাজার টাকায় বন্দোবস্ত নিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, মসজিদের নামে নেওয়া পুকুরটি সাব দিয়েছেন ৫০ হাজার টাকায়।
আরজিপেয়ারাপুর আতাউর রহমান রহমান জানান, এ গ্রামের পুকুরটি জেলা পরিষদের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বন্দোবস্ত নিয়েছেন।

শাখাহার ইউনিয়নের আলীগাঁও গ্রামের মৃত কিনা উদ্দিনের ছেলে বেলাল উদ্দিন তাঁদের গ্রামের পুকুরটি একই শর্তে নিয়ে মাছ চাষ করছেন। এভাবে জেলা পরিষদ ৩০টি পুকুরই বন্দোবস্ত দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, জেলা পরিষদ কীভাবে খাসপুকুর পেল, এটি জানার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা পরিষদের তৎকালীন সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছে প্রকল্পটি জেলা পরিষদ থেকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারাই বিষয়টি দেখভাল করার কথা। তবে প্রকল্পটির এখন কী অবস্থা, তা তিনি জানেন না।

পুকুর বন্দোবস্তের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলা পরিষদের প্রশাসক (সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান) মো. আতাউর রহমান। তিনি দাবি করেন, প্রকল্পটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল এখনও জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করেনি।

প্রকল্পের নামে অর্থ হরিলুট ও অবৈধভাবে পুকুর বন্দোবস্তের অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিষদের প্রশাসক বলেন, আসলে এই প্রকল্পটি জেলা পরিষদের নয়। এটি সরকারের প্রকল্প, এর বেশি কিছু জানেন না তিনি।

জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজওয়ান হোসেন জানান, পুকুরগুলোর মালিক জেলা পরিষদ। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্ব ছিল পুকুর খনন ও অবকাঠামো তৈরি করা। খনন ও অবকাঠামো কাজ শেষে পুকুরগুলো জেলা পরিষদের কাছে ২০২১ সালে হস্তান্তর করা হয়। এরপর এসব পুকুর তারা মাছ চাষের জন্য ইজারা দিয়েছে কিনা, সেটা তাঁদের জানা নেই। তবে মাছ চাষের জন্য ইজারা দেওয়ার কথা নয়। সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য সরকার এ প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে।
সমকাল

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ ৫:৩২ অপরাহ্ন
নিষেধাজ্ঞা শেষে শুরু হচ্ছে সুন্দরবনে মাছ ধরা
মৎস্য

তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে পূর্ব সুন্দরবনে জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি মিলবে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকে। এরই মধ্যে জেলেরা মাছ আহরণের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছেন।

প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে গত ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে ৩ মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় শরণখোলার প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার জেলে পরিবার নিদারুণ অর্থ কষ্টে পড়ে অনেক দেনায় জড়িয়েছে। এতে চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে জেলে পবিবারগুলো। এদিকে ৩ মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে মাছ ধরার অনুমতি পেয়ে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার জেলে পরিবারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।

পূর্ব বন বিভাগ ও জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, বনভূমির অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ ৫১ শতাংশ বনই হচ্ছে সুন্দরবন। প্রায় ৬ হাজার ১১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই সুন্দরবনে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫০টি নদী-খাল রয়েছে। রয়েছে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুরসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী।

নদ-নদীতে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় তালিকায় থাকা ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন, কুমির ও ২১০ প্রজাতির মাছ। বনাঞ্চলের এ জলাভূমির মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষিত ৩০টি খাল এবং ২৫ ফুটের কম প্রশস্ত খালে সারা বছরই মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। আর বাকি অংশের নদী-খাল ও জলাভূমিতে বনবিভাগ থেকে পাশ-পারমিটধারী জেলেরা মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় বনবিভাগ প্রজনন মৌসুম দুই মাসকে পরিবর্তন করে তিন মাস মাছ ধরা বন্ধের যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে তাতে আমি স্বাগত জানাই।

এ উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করার জন্য বনবিভাগের নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে জেলে সেজে বনের গহীনে গিয়ে বিষ প্রয়োগ করতে না পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৩০, ২০২২ ৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত বরগুনার জেলেরা
মৎস্য

সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বরগুনার জেলেরা।

নিম্নচাপের পর আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য বরগুনার পাথরঘাটায় ট্রলারগুলোতে ভরা হচ্ছে বরফ।

চলতি মাসে পরপর তিনটি নিম্নচাপের আগাম বার্তা যথাসময়ে না পাওয়ায় সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ঘটেছে ট্রলার ডুবি ও নিখোঁজের ঘটনা। তাই পাথরঘাটায় একটি আবহাওয়া অফিস স্থাপনের দাবি তাদের।

অবশ্য পাথরঘাটায় আবহাওয়া অফিস স্থাপনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বরগুনা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব।

গত ১৮ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বরগুনার অন্তত ২০টি ট্রলার ডুবে যায়। এতে প্রাণহানির পাশাপাশি শতাধিক জেলে ভাসতে ভাসতে ভারতের জলসীমায় গিয়ে আটক রয়েছেন কারাগারে। পাশাপাশি নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন জেলে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৭, ২০২২ ৬:০৪ অপরাহ্ন
বর্ষা মৌসুমেও দেশি মাছের আকাল সিরাজগঞ্জে
মৎস্য

সিরাজগঞ্জে ভরা বর্ষা মৌসুমেও দেশি মাছের আকাল পরেছে। নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর ডোবা ও জলাশয়গুলিতে এখন দেশি প্রজাতির মাছ খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে।

গত ৩০-৪০ বছরের ব্যবধানে প্রায় অর্ধশতাধিক দেশি প্রজাতির মাছ এখন দেখা যায়না বললেই চলে। বর্তমানে জেলাতে দেশি প্রজাতির মাছের স্থান দখল করেছে বিদেশি জাতের বিভিন্ন ধরনের মাছ।

বর্তমানে জেলার বিভিন্ন জলাশয়ে পাঙ্গাস, সিলভার কার্প, জাপানি রুই, গ্রাসকার্প, থাইপুটি, বিভিন্ন জাতের তেলাপিয়া, মিনারকার্প, থাই কৈ, আফ্রিকান মাগুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি মাছ চাষ হচ্ছে। অধিক মুনাফা লাভের আশায় মৎস্য চাষিরা বিদেশি জাতের মাছ চাষের দিকে ঝুঁকেছে। বিগত ২০-২৫ বছর আগেও জেলার হাট বাজারে দেশি জাতের কৈ, মাগুর, শিং, বোয়াল, মৈল, পাবদা, চেলা, চিতল, বাতাসী, খৈলশা, পুঁটি, আইড়, বাঘাইর, রিঠা, বাউস, টাকি, টেংরা, সরপুটি, গোলশা, ভেদা, বেলেসহ প্রায় আড়াইশ জাতের দেশি ও সুস্বাদু মাছ পাওয়া যেত কিন্তু এখন সে মাছগুলি খুব কমই দেখা যায়।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের আব্দুল হাই (৬৫), বেলুটিয়া চরের আব্দুর রহমান (৬০) জানান, আগেকার দিনে প্রতিবছর বর্ষা হতো পানিতে প্রচুর পরিমাণে মাছ আসতো অধিকাংশ মানুষই মাছ মেরে খেত। তখন জাল পেতে নদী থেকে পোনা ধরতো না যে কারণে বর্ষার পানিতে পোনা ছাড়িয়ে যেত বিভিন্ন নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ে আশ্বিন কার্তিক মাসে প্রচুর পরিমাণ মাছ ধরা পরতো। মাছের গন্ধে অনেক এলাকায় কলেরা দেখা দিত এতে অনেক মানুষ মারা যেত। এছাড়া আষাঢ় মাসে যখন নতুন বর্ষার পানি আসতো বড় বড় বোয়াল মাছ ধরা পড়তো। তারা আক্ষেপ করে বলেন সে দিন কোথায় গেল এখন আর নদীতে মাছ পাওয়া যায় না। যদি বিদেশী জাতে মাছ দেশে না আসতো তাহলে আমাদের মাছ খাওয়া দুরহ হয়ে পরতো।

জেলার প্রবীণ ব্যক্তিদের মতে, কৃষি জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ও বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহারের ফলে নদী, নালা, খাল, বিল ও জলাশয়ের পানিতে মিশে পানি বিষাক্ত হচ্ছে আবার বিভিন্ন কারখানার বর্জ্যে পানিতে মিশে পানি বিষাক্ত করছে ফলে দেশি মাছ মরে যাচ্ছে। এ ছাড়া এক শ্রেণীর মৎস্যজীবী অবাধে পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ শিকার করে দেশি মৎস্য প্রজননে বাধার সৃষ্টি করছে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সদর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতুর আপে চায়না বাধ-৩ ও ডাউনে বেলকুচি উপজেলার মুলকান্দি পর্যন্ত ১২.৪৪ কিলোমিটার জুড়ে অভয়াশ্রম তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়লে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহীনুর ইসলাম জানান, জেলায় দেশি জাতের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যেই নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নিমগাছি ও উল্লাপাড়াতে দুইটি হ্যাচারি  স্থাপন  করা হয়েছে । নিমগাছি হ্যাচারিতে গোলশা, টেংরা, পাবদা সহ বিভিন্ন প্রজাতির এবং উল্লাপাড়াতে রুই কাতলা জাতীয় মাছের রেনু পোনা উৎপাদন করা হচ্ছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০/১২টি  মৎস্য অভায় আশ্রম তৈরি করা হয়েছে। এই অভয় আশ্রম গুলিতে মা মাছ রক্ষার জন্য মৎস্য বিভাগ থেকে পাহারাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৬, ২০২২ ৯:২০ পূর্বাহ্ন
নতুন জাতের তেলাপিয়ার ওজন প্রায় আড়াই কেজি!
মৎস্য

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এর উদ্ভাবিত নতুন প্রজাতির তেলাপিয়ার চাষ হচ্ছে পুকুরে। এই জাতের তেলাপিয়া সাধারণ তেলাপিয়ার থেকে অধিক উৎপাদনশীল একটি জাত। এ প্রজাতির তেলাপিয়া মাছ সর্বোচ্চ আড়াই কেজি ওজন হয়ে থাকে।

বিএফআরআইয়ের তথ্য মতে, দেশে বছরে মাছের উৎপাদন ৪৫ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে তেলাপিয়া চাষ হয় তিন লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন। মোট মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ করে ২০৪১ সালে ৯০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করতে চায় বিএফআরআই। এ লক্ষ্যে বাজারে প্রচলিত ও চাহিদাসম্পন্ন কয়েকটি মাছের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই অংশ হিসেবে তেলাপিয়ার এই ১৩তম প্রজাতি উদ্ভাবন করা হয়েছে বলে জানা যায়।

গবেষণার বিষয়ে ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বলছেন, প্রচলিত তেলাপিয়ার চেয়ে এই নতুন জাতটি দ্রুত বর্ধনশীল ও ৬২ শতাংশ বেশি উৎপাদনশীল। পুকুরে মাত্র ছয় মাসেই ৬০০ গ্রাম ওজন হয় এই জাতের। এই প্রজাতি প্রচলিত রঙের পাশাপাশি লাল-সাদাও হয়। খেতেও বেশ সুস্বাদু। নতুন প্রজাতির তেলাপিয়ার রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বেশি। বাঁচার হার মূল জাতের তেলাপিয়ার তুলনায় বেশি। উপকূলীয় জলাশয়েও চাষোপযোগী।

প্রধান খাবার খইল, ভুসি ও গমের কুড়া। বর্তমানে মূল জাতের তেলাপিয়ার হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ৯ হাজার কেজি। অন্যদিকে নতুন জাতের তেলাপিয়ার উৎপাদন হবে হেক্টরপ্রতি ১৩ হাজার কেজি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৪, ২০২২ ৯:০৩ অপরাহ্ন
খুলনার পাবদা মাছ যাচ্ছে কলকাতায়
মৎস্য

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার হাসানপুর গ্রামের আলাউদ্দিন জোয়াদ্দার পাবদা মাছ চাষ করছেন অর্ধযুগ ধরে। গত বছর থেকে তাঁর পুকুরের মাছ কিনে ভারতে রপ্তানি করছেন দু’জন ব্যবসায়ী। এসব বিক্রি হচ্ছে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে। পাবদা মাছ চাষ করে বছরে আলাউদ্দিন প্রায় ২০ লাখ টাকা লাভ করছেন।

আলাউদ্দিন জোয়াদ্দার জানান, ১৯৯৬ সালে তিনি মাছ চাষ শুরু করেন। তিনি ৮টি পুকুরে মাছ চাষ করছেন। এসব পুকুরে টেংরা, পাঙাশ, ভাঙন, ফাইশ্যে, রুই, কাতলা, মৃগেল, মিনার কার্প, সিলভার কার্প, বেলে, দাতনে প্রভৃতি মাছ রয়েছে। ২০১৬ সালে তিনি পাবদা মাছ চাষ শুরু করেন। বর্তমানে ৬ একর জমিতে ৩টি পুকুরে এই মাছ চাষ করছেন। এর মধ্যে দেড় একরের দুটি পুকুর হচ্ছে নার্সারি পুকুর। সেখানে পোনা উৎপাদন করেন। সাড়ে ৪ একরের পুকুরে মাছ বড় করা হয়। দেশি প্রজাতির এই মাছ চাষের জন্য গভীর পুকুরের প্রয়োজন। বছরে দুইবার তিনি পুকুর থেকে মাছ ধরে বিক্রি করেন। এ ছাড়া এ বছর তিনি মিষ্টিপানিতে পরীক্ষামূলকভাবে বাগদা চিংড়ির চাষ শুরু করেছেন। বাগদা চিংড়ি সাধারণত লবণ পানিতে হয়ে থাকে।

আলাউদ্দিন বলেন, তাঁর পুকুরে যে পরিমাণ পাবদা মাছ উৎপাদন হয় তার সব স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারেন না। গত বছরের আগস্টে তাঁর কাছ থেকে খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রামের টিটো মোল্লা মাছ কিনে নিচ্ছেন। তিনি মাছ কলকাতায় রপ্তানি করেন। এ ছাড়া গোপাল নামে খুলনার আরেকজন ক্রেতা পাবদা মাছ কিনে রপ্তানি করেন। গত বছর তার পুকুরের ২২৫ মণ মাছ কলকাতায় রপ্তানি হয়েছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত ৮০ মণ মাছ রপ্তানি হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে আরও দেড়শ মণ মাছ রপ্তানি হওয়ার কথা। প্রতিকেজি মাছ তিনি ৩০০ টাকায় বিক্রি করেন। স্থানীয় বাজারে প্রতিকেজি মাছের দাম কমপক্ষে ৩৫০ টাকা হলেও ক্রেতা কম থাকায় বাইরে পাঠাতে হয়।

নিয়ম মেনে তাঁর পুকুরে খাবার ও ওষুধ দেওয়ার পাশাপাশি পানিতে অপিজেনের সরবরাহ ঠিক রাখতে সার্বক্ষণিক ৫টি অ্যারেটর চালানো হয়। গত বছর ও চলতি বছর পাবদা মাছ চাষে তাঁর ৬০ থেকে ৬৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন। এখন পুকুরে যে মাছ আছে তা আরও প্রায় ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। পাবদা মাছের পুকুরগুলো আলাউদ্দিন বছরে ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে লিজ নিয়েছেন।

মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক তোফাজ উদ্দিন আহমেদসহ একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি আলাউদ্দিনের পুকুর পরিদর্শন করে। তাঁর পুকুর থেকে মাছ ধরার পর তা বরফ দেওয়া বাপে (ককসিটে) করে যশোরের বেনাপোল দিয়ে কলকাতায় পাঠানো হয়।

মাছ রপ্তানিকারক টিটো মোল্লা বলেন, তিনি বগুড়া ও ময়মনসিংহ থেকে পাবদার রেণু পোনা এনে চাষিদের কাছে বিক্রির পাশাপাশি মাছের খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করেন। ৪-৫ মাস পর সেই খামার থেকে মাছ কিনে কলকাতায় পাঠান। সেখানে পাবদার ভালো চাহিদা রয়েছে।

ডুমুরিয়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গলদা-বাগদা-রুই জাতীয় মাছের এলাকা বলে খ্যাত ডুমুরিয়াতে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির পাবদা মাছ চাষে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ, বেকার সমস্যার সমাধান, আর্থিক সমৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে তাঁরা পাবদা চাষে উৎসাহ দিচ্ছেন।
সূত্র: সমকাল

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২২ ১:৫৯ অপরাহ্ন
টেকনাফে জেলেদের জালে ধরা পড়ল ৩২ কেজি ওজনের পোপা মাছ
মৎস্য

কক্সবাজারের টেকনাফে জেলেদের জালে ৩২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি পোপা মাছ ধরা পড়েছে।

সোমবার ভোরে সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে সাগরে মাছটি ধরা পড়ে বলে শাহ পরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়ার এফবি শাহ আলম ফিশিং ট্রলারে মালিক জানান।

পরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ট্রলারটি মিস্ত্রিপাড়া ঘাটে এসে পৌঁছলে স্থানীয়রা মাছটি দেখতে ভিড় জমায়।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় স্থানীয়রা মাছটিকে ‘কালা পোপা’ বলে থাকে।

উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, পোপা মাছের আকর্ষণ হলো পেটের ভেতর থাকা পটকা বা বায়ুথলি। এ বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা হয়।

এ কারণেই মাছটির দাম সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা হাঁকানো হচ্ছে বলে ট্রলার মালিক শাহ আলম জানান।

ট্রলারের মাঝি মো. নুরুল আমিন জানান, রোববার সকাল ১০টার দিকে মাঝি-মাল্লাসহ ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে রওনা হয়। রাতে সেন্ট মাটিন দ্বীপের দক্ষিণে সাগরে জাল ফেলেন জেলেরা। এর মধ্যে সোমবার ভোরে জেলেরা জাল টেনে দেখেন ৯০টি লাল কোরালসহ বড় একটি ‘কালা পোপা’ আটকা পড়েছে।

“মাছটি ট্রলারে তোলার পর আমাকে জানালে দ্রুত ঘাটে চলে আসতে বলি। এই দামি মাছ পেয়ে জেলেরা খুব খুশি।”

শাহ আলম আরও জানান, পোপা মাছটি ছাড়াও এ সময় ৯০টি লাল কোরাল ধরা পড়েছে। একসঙ্গে সবগুলো মাছের দাম হাঁকানো হয়েছিল সাড়ে আট লাখ টাকা। এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। কিন্তু ভালো দামে বিক্রয়ের আশায় মাছগুলো ফ্রিজিং করে কক্সবাজার শহরে পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, “৩২ কেজি ওজনের পোপা মাছ ধরা পড়ার খবরটি শুনেছি। সাধারণত এত বড় পোয়া সবসময় ধরা পড়ে না। এ মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর চাহিদা ও দাম বেশি।”

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২২, ২০২২ ১২:৫৪ অপরাহ্ন
সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ,নদীতে নেই!
মৎস্য

সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।  বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে মাছের আড়তগুলো। তবে একেবারে ভিন্ন চিত্র ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে। মেঘনা নদীতে কিছু ইলিশ পেলেও তেঁতুলিয়ায় ইলিশ নেই বললেই চলে।

মেঘনার বড় আড়তদার ও শেল্টার বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবুল কালাম, হাকিমুদ্দিন মির্জাখীল ঘাটের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর মাঝি, তেঁতুলিয়া নদীর নয়নের খালের জুয়েল মেম্বার, কালাম বদ্দার জানান, দাদনের লাখ লাখ টাকা নদীর জলে। নদীতে মাছ নেই। মহাসংকটে আমরা। তারা বলেন, এই অবস্হা চলতে থাকলে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ জেলে পেশা পরিবর্তন করবে। জেলে জামাল ও শহিদুল, জাহাঙ্গীর, নেজামাল বলেন, এ বছর ভরা মৌসুমেও মেঘনায় তেঁতুলিয়ায় ইলিশের দেখা মেলেনি। তবুও আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। নদীতে মাছ ধরা পড়ার। কই ? এখনো তো মিলছে না ইলিশ। তেঁতুলিয়া নদীর অবস্হা আরো করুণ।

জানা যায়, খুব কম পরিমাণ মাছ কেনাবেচা হচ্ছে। মাছ বিক্রি করে যে টাকা পাচ্ছে তা দিয়ে জেলেদের খরচপাতি চালানো মুশকিল।

বোরহানউদ্দিন উপজেলার সিনিয়র মত্স্য কর্মকর্তা মো. আলি আহমেদ আকন্দ জানান, ইলিশ সাগরের মাছ। ডিম পাড়ার সময় মিঠা পানির খোঁজে তারা নদীতে আসে। বর্তমানে নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেশি। তাই সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ থাকলেও নদীতে ইলিশ নেই। তবে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নদীতেও মাছ মিলবে বলে আমরা আশাবাদী বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop