৩:৪০ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ৭, ২০২১ ৫:৩১ অপরাহ্ন
দেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম আলু রফতানি মালয়েশিয়ায়
এগ্রিবিজনেস

কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক উৎপাদিত আলু মালয়েশিয়াতে রফতানি শুরু হয়েছে।

বুধবার (৭ এপ্রিল) কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে জানানো হয়, মালয়েশিয়াতে আলু রফতানি শুরুর লক্ষ্যে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ন্যানো গ্রুপ ও বিএডিসি’র মধ্যে আলু উৎপাদন ও রফতানি বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি অনুযায়ী বিএডিসি এ পর্যন্ত চারটি কনটেইনারের মাধ্যমে মোট ১১১ (একশত এগার) মেট্টিক টন ডায়মন্ড জাতের আলু মালয়েশিয়ায় রফতানি করেছে। দেশের ইতিহাসে এটাই সর্বপ্রথম আলু রফতানি।

মালয়েশিয়ার আমদানিকারক কোম্পানি মাইডিন মালয়েশিয়া, চিন হুয়াত ট্রেডিং ও টেনবিলি গ্রুপ এ আলু আমদানি করে।

বিএডিসি’র ইতিহাসে এটিই সর্বপ্রথম আলু রফতানি। রফতানিকৃত এ আলু বগুড়া, পঞ্চগড় ও সিরাজগঞ্জ থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। বিএডিসি’র মানসম্মত বীজ আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ ও কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় চুক্তিবদ্ধ চাষ বা কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে ডায়মন্ড জাতের উন্নতমানের এ আলু উৎপাদিত হয়েছে।

মালয়েশিয়া প্রতিবছর প্রায় একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আলু আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আলু আমদানি করে চীন থেকে। মালয়েশিয়ার অন্যান্য প্রধান আলু আমদানিকারক দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।

বাংলাদেশ ২০১৯-২০ অর্থবছরে মালয়েশিয়াতে মোট ৯ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আলু রফতানি করে। মালয়েশিয়ায় আলু রফতানির ক্ষেত্রে ২০১৯ সাল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আলু রফতানি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়া সফর করে।

প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাণিজ্যিক উইং মালয়েশিয়ার প্রধান প্রধান আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সভায় মিলিত হয় এবং আমদানিকারকদের চাহিদা মোতাবেক উৎকৃষ্ট মানের আলু সরবরাহের নিশ্চয়তা দেয়। এর ফলে মালয়েশিয়াতে আলু রফতানি পূর্ববর্তী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়।

মালয়েশিয়াতে আলুর পাশাপাশি অন্যান্য কৃষিপণ্য রফতানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রফতানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ মিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।

কৃষিপণ্যের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের বাঁধাকপি রফতানি উল্লেখযোগ্য্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষিপণ্যের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য প্রচলিত ও অপ্রচলিত পণ্য রফতানি সম্প্রসারণে বাংলাাদেশ হাইকমিশনের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের মতে, আলু রফতানিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি)’র মতো একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে এক নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুর।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৭, ২০২১ ১২:৪৮ অপরাহ্ন
কেজিতে ২০ টাকা কমেছে মুরগি, স্থিতিশীল সবজি
এগ্রিবিজনেস

করোনা সংক্রমণের মাত্রা বাড়ার কারণে সারাদেশে চলছে সাতদিনের লকডাউন। লকডাউনে মুরগির মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমলেও পেঁয়াজ, আলু, গরুর মাংসসহ বেশিরভাগ পণ্যের দাম রয়েছে স্থিতিশীল।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে এমন চিত্র দেখা যায়।

ফার্মগেটে একজন ক্রেতা জানান, লকডাউনে কাঁচা বাজারের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। লকডাউনের আগে আলু ২০, পেঁয়াজ ৪০, গরুর মাংস ৬০০, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি আজকেও এই দামেই বাজার করলাম। তবে মুরগির মাংসের দাম একটু কমেছে ব্রয়লার মুরগি লকডাউনের আগে ছিল ১৮০ টাকা, এখন ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আমাদের কেনা দিয়ে বেচা, যেদিন যে দামে কিনি তারচেয়ে কিছু টাকা লাভ করে বিক্রি করি। দেশী মুরগি কয়দিন আগে ৩০০ টাকার উপরে ছিলো এখন ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা ছিলো এখন ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান একজন মুরগি ব্যাবসায়ী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৬, ২০২১ ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
সবজির দাম কমলেও ক্রেতার উপস্থিতি না থাকায় বিপাকে বিক্রেতা
এগ্রিবিজনেস

করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের দেয়া লকডাউনে নীলফামারীতে কমেছে সবজি ও চালের দাম। দাম কমলেও ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকায় সবজি নিয়ে চরম বিপদে পড়েছেন খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা। ম কমেছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।

জানা যায় গতকাল সোমবার সকাল থেকে নীলফামারী শহরের আড়ৎ থেকে খুচরা বাজারে প্রচুর সবজি আমদানি হয়েছে। তবে লকডাউনের কারণে হাট-বাজার গুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। পাইকারী ও খুচরা দোকান গুলোতে সারি সারি করে সবজি সাজিয়ে বসে রয়েছেন বিক্রিতারা। কিন্তু ক্রেতার অভাবে তা বিক্রি করতে পারছেন না তারা।

নীলফামারীর বড় বাজারের একজন খুচরা সবজি ব্যবসায়ী জানান, লকডাউনের কারণে সবধরণের সবজিতে কেজি প্রতি দাম কমেছে ৫ টাকা করে। কিন্তু ক্রেতার উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। সকাল থেকে দোকানে সারি সারি করে সবজি সাজিয়ে রেখেছি ক্রেতার জন্য। অথচ ক্রেতা নেই। যে সব সবজিস দোকানে রয়েছে তা সবই পচনশীল। বিক্রি না হলে সব নষ্ট হয়ে যাবে। এতে অনেক অর্থের ক্ষতি হবে আমার।

তিনি বলেন, প্রতি কেজি আলু কারেজ ৮ টাকা, দেশী আলু ১০ টাকা, জলপাই আলু ১৬ টাকা, পটোল ৩৫ টাকা, করলা ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ২০ টাকা, বেগুন ১০টাকা, শসা ১০ টাকা, বড়বটি ৪০ টাকা, সজনা ৩৫ টাকা, টমেটো ১০ টাকা ও গাজর ১৫ টাকা।

রবিবার প্রতিকেজি আলু কারেজ আলু ১০টাকা, দেশী আলু ১২টাকা, জলপাই আলু ২৫টাকা, পটোল ৪০ টাকা, করলা ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ২৫ টাকা, বেগুন ১০টাকা, শসা ১৫ টাকা, বড়বটি ৫০ টাকা, সজনা ৪০ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা, গাজর ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।

খুচরা পিয়াঁজ ব্যবসায়ী ইলিয়াস আলী জানান, সবজি ও চাল কম দামে বিক্রি হলেও বেড়েছে পিঁয়াজের দাম। গতকাল রবিবার প্রতি কেজি দেশী পিঁয়াজ ২৮ টাকা দরে বিক্রি হলেও সোমবার ৫টাকা বেড়ে ৩৩টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চাল আড়ৎ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বাবলু জানান, চালের দাম বস্তা প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে কমেছে। ব্রি-২৮ চাল ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকা, পাইজাম ২৮৫০ টাকা, মিনিকেট ২৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রবিবার প্রতি বস্তা ব্রি-২৮ চাল ২৬০০ টাকা, পাইজাম ২৯৫০ টাকা, মিনিকেট ৩০৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২১ ২:৩৮ অপরাহ্ন
মুরগি-ডিমের দাম কমলেও বেড়েছে সবজির দাম
এগ্রিবিজনেস

কয়েকদিন আগে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে সবজি পাওয়ায় যেত। কিন্তু এখন বাজারে দেখা যায় তার ভিন্ন চিত্র। মুরগি-ডিমের দাম কমলেও সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। তেল, মুরগি, পিঁয়াজসহ প্রায় ধরনের ফলের দামও বেড়েছে।

রাজধানীর বাজারে দেখা যায়, প্রতিকেজি গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা। এদিকে ছয় কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

কাঁচা কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। প্রতিকেজি পেঁপে ৩০ টাকা, ক্ষীরা ৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মটরশুঁটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি লেবু ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কেজিতে ৩০ টাকা দাম কমে প্রতিকেজি সোনালি (কক) মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আর লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস ও মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা।

বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। খোলা ভোজ্যতেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা।

এছাড়া রুই বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় কাতল ৩৫০-৪০০ টাকা, চিংড়ি বড় ১০০০ টাকা, মাঝারি ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ১৩-১৪- টাকা, বাতাসি মাছ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৮, ২০২১ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
রপ্তানিতে সমৃদ্ধ জয়পুরহাটের আলু
এগ্রিবিজনেস

মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, নেপাল ও রাশিয়ায় প্রায় চার বছর ধরেই যাচ্ছে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উৎপাদিত আলু। এবারও বিদেশে আলু রপ্তানি করতে পেরে চাষিরা খুশি।

চারটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান দেশের আলু বাইরের দেশে রপ্তানি করছে। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আলু সংগ্রহ করে নিজস্ব শ্রমিক দিয়ে মাঠ থেকে ওঠানোর পর সেগুলো বাছাই করে প্যাকেটজাত করা হয়। আলুর মান ভালো হওয়ায় এবং চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকের পাশাপাশি খুশি রপ্তানিকারকরাও।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার কালাই পৌরসভাসহ এ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ১১ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত ২০১৭ সালে এ উপজেলায় আলু চাষ হয়েছিল ১২ হাজার ২৪০ হেক্টর, উৎপাদন হয়েছে ৩.১৭ লাখ টন। একইভাবে ২০১৮ সালে ১১ হাজার ৬৫০ হেক্টরে ৩.১০ লাখ টন, ২০১৯ সালে ১২ হাজার ১৫০ হেক্টরে ৩.৩৪ লাখ টন, ২০২০ সালে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টরে ২.৭৮ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়।

তবে এ বছর আলু চাষে জমির পরিমাণ কমেছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস জানিয়েছে। এসব জমিতে গ্রানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্ট্রোরিক, কার্ডিনাল ও রো

জেটা জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। আবাদি জমির পরিমাণ কম হলেও এবার আলুর বাম্পার ফলনও হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় মাসাওয়া এগ্রো লিমিটেড, ইশরাক ট্রেডার্স, রাইশা এন্টারপ্রাইজ এবং আমেরিকায় ক্যালক্স কোম্পানি আলু রপ্তানি করছে। তাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আলু কিনছেন। এ চারটি প্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক লোক এসব আলু প্যাকিং, মাঠ থেকে ওঠানো এবং বাছাই কাজে নিয়োজিত আছেন।

চার বছর ধরে কালাইয়ের আলু রপ্তানি হলেও প্রথম দুই বছর রপ্তানির পরিমাণ কম হলেও ২০২০ সালে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, নেপাল ও রাশিয়ায় তিন হাজার ৯৫০ টন আলু রপ্তানি করেছেন তারা। বিগত বছরগুলোতে আলুর মান ভালো পাওয়ায় এবার চাহিদা দ্বিগুণ বেড়েছে।

উপজেলার পুনট ধাপশিকটা গ্রামের কৃষক আব্দুল কাফি জানান, ১ একর অথাৎ ১০০ শতক জমিতে মিউজিকা জাতের আলু চাষ করে তার খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। আলু পেয়েছেন ২৪০ মণ। মালয়েশিয়ার সুইহিন চান এন্টারপ্রাইজের এজেন্ট বাংলাদেশের মাসাওয়া এগ্রো লিমিটেডের কাছে ৪২০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি করে খরচ বাদে লাভ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স ম মেফতাহুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগ রপ্তানিকারকদের পরামর্শসহ সহযোগিতা করে আসছে।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, মৌসুমের শুরুতে বীজ ও সারের কিছুটা সংকট হলেও পরে তা পূরণ হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম পেয়ে কৃষকরা অনেক খুশি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৪, ২০২১ ৭:৩৯ অপরাহ্ন
আম ও বরই এর মিশ্র বাগানে কোটিপতি নওগাঁর কৃষক
এগ্রিবিজনেস

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ফুটকইল গ্রামে ৯৬ বিঘা জমিতে আম ও বরই এর মিশ্র বাগান করেছেন কৃষক সাখাওয়াত হাবিব।

৯৬ বিঘা জমিজুড়ে দুই বছর আগে ১২ হাজার ৮০০টি আম গাছ লাগিয়েছিলেন নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কৃষক সাখাওয়াত হাবিব (৪৫)। ১০ মাস আগে সেই বাগানের আমগাছের সারির ফাঁকা জায়গায় বিভিন্ন জাতের ১১ হাজার ৭০০টি বরইগাছ লাগান। আম গাছগুলো থেকে গত বছরই ফলন পান। আর এবারই প্রথম বরইগাছগুলোতে বরই ধরেছে। এক সপ্তাহ ধরে বরই বিক্রি শুরু করেছেন সাখাওয়াত। প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ মণ বরই নামছে তাঁর বাগান থেকে।

সাখাওয়াতের এই মিশ্র ফলের বাগান উপজেলা সদর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরের শিরন্টি ইউনিয়নের ফুটকইল গ্রামে। তাঁর এই বাগান থেকে গত বছর শুধু আম বিক্রি করেছিলেন ২৫ লাখ টাকার। এ বছর মুকুল আসার পরপরই সম্ভাব্য ফলন ধরে নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে ৪১ লাখ টাকায় বিক্রির চুক্তি করেছেন। আর বরই বিক্রির আশা করছেন ৭০ লাখ টাকার। সব মিলিয়ে মিশ্র বাগান থেকে এ বছরে প্রায় ১ কোটি ১১ লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন সাখাওয়াত।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে পরিপক্ব হওয়ার পর এ পর্যন্ত বরই বিক্রি হয়েছে ১৭ লাখ টাকার। সাখাওয়াতের এমন সাফল্য দেখে মিশ্র বাগান করার পরামর্শ নিতে অনেকেই যোগাযোগ করছেন তাঁর কাছে।

সম্প্রতি সাখাওয়াতের বাগান গিয়ে আম্রপালি, আশ্বিনা, গৌড়মতি জাতের আমগাছ দেখা যায়। এসব গাছের সারির ফাঁকে আছে বল সুন্দরী, কাশ্মীরি আপেল, বেবি কুল ও থাইকুল জাতের বরইগাছ। আমগাছগুলোতে মুকুল এসেছে। বরইগাছগুলো ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে। বাগানে ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে পাকা বরই সংগ্রহ করেন। বাগানেই তা কিনতে আসেন রাজশাহী, পাবনার ব্যবসায়ীরা। জাতভেদে প্রতি মণ বরই পাইকারি বিক্রি হয় ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়।

বাগানে ঘুরতে ঘুরতে সাখাওয়াত হাবিব বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ফুটকইল গ্রামের মাঠে ৯৬ বিঘা জমি ১২ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন তিনি। বছরে প্রতি বিঘা জমির জন্য মালিকদের ৩০ হাজার টাকা করে দিতে হয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাগান পরিদর্শনে এসে সাপাহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমগাছের সারির ফাঁকা জায়গুলোতে বরইগাছ লাগানোর পরামর্শ দেন। তাঁর পরামর্শমতো চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বরইয়ের চারা সংগ্রহ করেন। গত বছরের মে মাসে তিনি এসব চারা রোপণ করেন। চারা লাগানোর ৮ মাসের মাথায় ডিসেম্বর মাসে গাছগুলোতে ফুল আসে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফল পরিপক্ব হয়। এরপর থেকে বিক্রি শুরু করেছেন। ৯৬ বিঘা জমিতে বরই চাষ করতে সাখাওয়াতের খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা।

সাখাওয়াতের গ্রামের বাড়ি জেলার পত্নীতলা উপজেলার শিহাড়া ইউনিয়নের গোবিন্দবাটি গ্রামে। ২০০৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন। তখন বড় ভাই হারুনুর রশিদ বাসায় বসে না থেকে আমবাগান ইজারা নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন। ২০০৭ সালে নিজের মোটরসাইকেল ও মায়ের দেওয়া একটি গাভি বিক্রি করে ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় পত্নীতলার নির্মইল এলাকায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১২ বিঘার আমের বাগান তিন বছরের জন্য ইজারা নেন। ওই বাগান পরিচর্যা করে পরের বছরই আম বিক্রি করেন ৪ লাখ টাকার। লাভের টাকা খরচ না করে ১২ হাজার টাকা চুক্তিতে ১২ বছরের জন্য আরও ২০ বিঘা জমি ইজারা নেন। সেখানেও গড়ে তোলেন আমের বাগান। এরপর প্রতিবছর পুঁজি বাড়তে থাকলে সাখাওয়াত তাঁর জমির পরিমাণও বাড়ান।

সাপাহার ফুটকইল এলাকার ৯৬ বিঘার মিশ্র ফলের বাগান ছাড়াও সাপাহার ও পত্নীতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে সাখাওয়াতের ৩৫০ বিঘার আমবাগান আছে। এসব বাগানে প্রায় তিন কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

সাখাওয়াত বলেন, পৈতৃক সূত্রে ছয় বিঘা জমি পেয়েছিলেন। বাগান করে সফলতা পাওয়ায় বর্তমানে নিজের মালিকানায় আছে ৫০ বিঘা কৃষিজমি। সাপাহার উপজেলা সদরে জায়গা কিনে চারতলা ভবন করেছেন। সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন।

মিশ্র ফলের বাগানের সফলতার বিষয়ে সাপাহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মজিবর রহমান বলেন, জেলার সাপাহার, পোরশা ও পত্নীতলা উপজেলায় ইদানীং ধান চাষ ছেড়ে মানুষের মধ্যে ফলের বাগান গড়ে তোলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আমের পাশাপাশি প্রতিবছরই উপজেলায় বরইয়ের চাষ বাড়ছে। বর্তমানে বরই চাষ হওয়া জমির পরিমাণ প্রায় ৪০ হেক্টর। সাখাওয়াতের সফলতা দেখেও অনেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

তথ্যসুত্রঃ প্রথম আলো

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৭, ২০২১ ৪:১৪ অপরাহ্ন
তাল ও ডিম বেগুনের লাভজনক সংযোজন
এগ্রিবিজনেস

আমাদের দেশে বেগুন একটি সুস্বাদু , পুষ্টিকর ও লাভজনক সবজী । বেগুন দিয়ে নানান রকম রান্না ছাড়া ও ফাস্ট ফুড এ ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হয়। বেগুনে আছে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান।

বেগুনকে শীতকালীন সবজি বলা হয়, কিন্তু আমাদের দেশে সারা বছরই বেগুন পাওয়া যায়। দেশে বিভিন্ন জাতের বেগুন পাওয়া যায়।এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, যা চোখের জন্য খুব উপকারী।এই ডিজিটাল যুগে আমাদেরকে চোখের পরিশ্রম করতে হয় খুব বেশি। এতে চোখের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বেগুন আপনার চোখ ও ত্বকের জন্য বয়ে আনবে সুফল।এই সবজিতে কোলেস্টেরল বা চর্বি নেই। কোলেস্টেরল হলো চর্বিজাতীয় উপাদান, যা রক্তে জমে।
যাঁদের রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, তাঁরা কোনো রকম দুশ্চিন্তা ছাড়াই খেতে পারেন বেগুন।পাকস্থলী, কোলন, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্রের (এগুলো পেটের ভেতরের অঙ্গ) ক্যানসারকে প্রতিরোধ করে।যেকোনো ক্ষতস্থান শুকাতে সাহায্য করে বেগুন।
বেগুনে আয়রনও রয়েছে, যা রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। রক্তশূন্যতার রোগীরাও খেতে পারেন এই সবজি। এতে চিনির পরিমাণ খুবই সামান্য। তাই ডায়াবেটিসের রোগী, হৃদ্‌রোগী ও অধিক ওজনসম্পন্ন ব্যক্তিরা নিঃসংকোচে খেতে পারেন বেগুন।বেগুনে রয়েছে রিবোফ্ল্যাভিন নামক উপাদান। এই উপাদান জ্বর হওয়ার পরে মুখ ও ঠোঁটের কোণের ঘা, জিহ্বার ঘা প্রতিরোধ করে। দূর করে জ্বর জ্বর ভাব।
বেগুন ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘ই’ এবং ‘কে’ সমৃদ্ধ সবজি। ভিটামিন ‘এ’ চোখের পুষ্টি জোগায়, চোখের যাবতীয় রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।আর ভিটামিন ‘সি’ ত্বক, চুল, নখকে করে মজবুত।দেহে রক্ত জমাট বাঁধার বিরুদ্ধে কাজ করে ভিটামিন ‘ই’ ও ‘কে’। এই ভিটামিন চারটি শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে বহুগুণে কার্যকর।প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ রয়েছে এই সবজিতে, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এর ভূমিকা অনেক।ডায়াটারি ফাইবার–জাতীয় সবজি (আঁশ–জাতীয় উপাদান) ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুব উপকারী।বেগুনে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানগুলো দাঁত, হাড় ও নখ শক্ত করে। দাঁতের মাড়িকে করে শক্তিশালী। ভঙ্গুরতা রোধ করে নখের।অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে বেগুন পরিহার করা উচিত। বেগুন অনেকের অ্যালার্জি বাড়িয়ে দেয়।জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করার জন্য ডায়রিয়া চলাকালে বেগুন খাওয়া অনুচিত। ডায়রিয়া ভালো হয়ে যাওয়ার পরে বেগুন খাবেন।ডায়রিয়া হওয়ার পর দেহে জিঙ্কের ঘাটতি হয়। এই ঘাটতি পূরণ করে বেগুন। জিঙ্কের ঘাটতি বেশি হয় মূলত শিশুদের।শিশুরা সবজি খেতে পছন্দ করে না। তাদেরকে খিচুড়ির সঙ্গে বেগুন মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এতে শিশুদের শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ হবে।যাঁরা অ্যালার্জির জন্য ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বেগুন না খাওয়াই ভালো।

তাল ও ডিম বেগুন এক্ষেত্রে বিশাল জনসংখ্যার পুষ্টির চাহিদা পূরণে সহায়তা করতে পারে।কারন এই ২ জাতের বেগুন এর চাহিদা মার্কেট এ সবসময় বেশি থাকে। ১ টি তাল বেগুন ৭০০-৮০০ গ্রাম ও১ টি ডিম বেগুন ৩০০-৪০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। পোকার আক্রমণ কম থাকায় এটাতে ফলন বেশি। চাষিরা এটার দাম ও অনেক ভাল পায় অন্য উচ্চ ফলনশীল জাতের চাইতে। এই বিষয়ে যদি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিউট(BARI) সকল প্রকার কারিগরি সহায়তা করে তবে এই তাল ও ডিম বেগুন সারাদেশ ব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব।

মোঃ আমিনুল খান

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১১, ২০২১ ৯:০০ অপরাহ্ন
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে সামিল হতে গবেষণা ও উদ্ভাবন আরও বৃদ্ধি করতে হবে : কৃষিমন্ত্রী
এগ্রিবিজনেস

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হতে হলে আমাদেরকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে সামিল হতে হবে। সেজন্য, কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবন বৃদ্ধি করতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসম্পর্কিত বিষয় যেমন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, ড্রোন, স্প্রেস টেকনোলজিসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। একই সাথে, শিল্পক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গবেষক ও বিজ্ঞানীদেরকে আরও মনোযোগী হতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) চত্বরে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়াধীন বিসিএসআইআর এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
গবেষক-বিজ্ঞানীদেরকে গবেষণাকর্মে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, গবেষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত উদারভাবে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছেন। ফলে গবেষণায় এখন অর্থ নিয়ে কোন সমস্যা নেই।
কৃত্রিম ফুলের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক আরও বলেন, সরকারি, বেসরকারি, সামাজিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে কৃত্রিম ফুলের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আমাদের দেশে বর্তমানে বিভিন্ন রকমের বিচিত্র রঙের দেশি বিদেশি প্রচুর ফুল চাষ ও উৎপাদিত হচ্ছে। কৃত্রিম ফুলের ব্যবহার বন্ধ হলে ফুলের চাষ আরও বাড়বে; ফুল চাষিরা অনেক লাভবান হবে। পাশাপাশি কৃত্রিম ফুলের ব্যবহারের কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়- তা থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে।
সম্মেলনে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন ‘চলমান কোভিড পরিস্থিতিসহ যে কোন পরিস্থিতিতে জাতির ভাগ্য উন্নয়নে সময়োপযোগী সিদ্ধান্তগ্রহণ এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা যারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি তাদেরকেও নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে’।
অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। গেস্ট অব অনার হিসাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বিশেষ অতিথি হিসাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আফম রুহুল হক এবং পৃষ্ঠপোষক হিসাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির সভাপতি ও বিসিএসআইআর’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: আফতাব আলী শেখ ।
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ, আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি, চীন ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাতশ’র বেশি বিজ্ঞানী, গবেষক ও প্রকৌশলীবৃন্দ সশরীরে ও ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করছেন। ‘ভবিষ্যতের প্রযুক্তি’ প্রতিপাদ্যে সম্মেলনে একইসাথে ১২টি ভেন্যুতে ১ হাজারের বেশি গবেষণাকর্ম উপস্থাপিত হবে।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৯, ২০২১ ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
রাণীশংকৈলের আলু রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে
এগ্রিবিজনেস

আলু বিশ্বের অন্যতম প্রধান ফসল। উৎপাদনের দিক থেকে ধান,গম ও ভুট্টার পরেই চতুর্থ স্থানে রয়েছে আলু। বাংলাদেশে আলু একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। দেশের প্রায় সর্বত্রই এর আবাদ হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে জেলার রাণীশংকৈলে অনুকূল আবহাওয়া হওয়ায় আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৮৬০ হেক্টর। লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে  অর্জন হয়েছে ৩৯৫০ হেক্টর। আলু আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গুলো কৃষকদের কাছ থেকে মাঝারি ধরনের ‘ডায়ামন্ট, গ্রানোলা, এসটোরিক’ জাতের আলু ১০ টাকা কেজি দরে কিনে দেশের বাইরে রপ্তানি করছে। যার ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে আলু চাষিরা। এ মৌসুমে আবাদকৃত আলু উপজেলার চাহিদা পূরণ করে দেশের বাইরে রপ্তানির ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন আলু চাষিরা। এবার কৃষকের উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের ৫০০টনের অধিক আলু যাচ্ছে মালয়েশিয়া, চীন, নেপালসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

ধর্মগড় ইউনিয়নের আলু চাষী সুলতান জানান, তিনি এবার এক একর জমিতে উন্নত জাতের আলু চাষ করেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে ভাল ফলন পেয়ে দেশের বাইরে আলু রপ্তানি করে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন।

একইভাবে আলু চাষি অলিউর রহমান বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে উন্নত জাতের আলু আড়াই একরের মত চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছি। উৎপাদিত আলু ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেও লাভের মুখ দেখব বলে আশা করছি। আমার ক্ষেতের আলু যাচ্ছে দেশের বাইরে এ ভেবে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ জানান, আমরা প্রতিনিয়ত সবধরনের ফসল ফলনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রযুক্তি প্রদান করে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

কৃষকরা ফসলে ভাল ফলাফল পান সে বিষয়ে  সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে আলু চাষীরা তাদের আলু বিদেশে রপ্তানির ফলে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। আগামীতে ফুলকপি, মুলা, টমেটো সহ অন্যান্য  কৃষি পণ্য দেশের বাইরে রপ্তানি হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৬, ২০২১ ৬:০৫ অপরাহ্ন
আসছে রমজান, বাড়ছে চাল পেঁয়াজ মাংসের দাম
এগ্রিবিজনেস

আসন্ন রমজান ঘিরে চাল, ছোলা, খেঁজুর, গরু ও মুরগির মাংসের পর এবার পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। গত দুই দিনের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫ টাকা। পাশাপাশি আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে দুই টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হলেও কমছে না চালের দাম। গত দুই সপ্তাহ ধরে অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে।

শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে জানা গেছে, সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা করে বেড়েছে। শুক্রবার প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৬৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে এই চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৬৬ টাকায়। একইভাবে মিনিকেট চাল কেজি ৬৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

এছাড়া জিরা নাজির প্রতি কেজি ৭৫ টাকা, কাটারিভোগ ৯০ টাকা, চিনিগুড়া চাল ৯৫ টাকা ও পাইজাম ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে

একইভাবে কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। পাকিস্তানি কক মুরগির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১৬০-১৬৫ টাকা দাম নেওয়া হচ্ছে। আর সোনালী মুরগির দাম কেজিতে বেড়ে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে শুক্রবার পেঁয়াজের দাম বাড়ার চিত্র সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার মূল্য তালিকায় লক্ষ্য করা গেছে। টিসিবি বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সেক্ষেত্রে দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে দেশি পেঁয়াজ ২৫ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি দরে। রাজধানীর খুচরা বাজারে শুক্রবার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা। যা দুই দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। যা দুই দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৮ থেকে ২০ টাকা।

আমাদের দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, পবিত্র মাহে রমজান ঘনিয়ে আসতে না আসতেই দিনাজপুরে হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। হঠাৎ পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তারা পড়েছেন বিপাকে। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এদিকে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় দীর্ঘ ৩৫ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও শুরু হয়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি।

দিনাজপুরের বিরল বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা হাসিনুর রহমান জানান, গত এক সপ্তাহ আগে তিনি প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ২২ থেকে ২৫ টাকা দরে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শুক্রবার তিনি সেই পেঁয়াজ বিক্রি করেন ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে। তিনি জানান, পাইকাররা হঠাৎ দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে দিনাজপুর শহরের প্রধান কাঁচাবাজার বাহাদুরবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মাজেদুর রহমান জানান, গত ৪ থেকে ৫ দিন আগে তারা প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ২২ থেকে ২৩ টাকা। চার দিনের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজ এখন তারা বিক্রি করছেন ৩০ টাকা থেকে ৩২ টাকা।

তিনি বলেন, স্থানীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। এখন তাদের পেঁয়াজ আনতে হচ্ছে নাটোর, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। সেসব স্থানে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারের এই অবস্থা। মাজেদুর রহমান আরও বলেন, এই অবস্থা চললে রমজান ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে।

এদিকে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ৩৫ দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও শুরু হয়েছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকতা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর গত ২ জানুয়ারি থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম তুলনামূলক কম থাকায় গত ২৭ জানুয়ারি থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেয় হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। এরপর গত ৪ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে আমদানিকারকরা।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি কামাল হোসেন জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। কিন্তু ভরা মৌসুমে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসান গুণতে হয় তাদের। এ জন্য তারা পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখেন। বর্তমানে বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তারা আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন। আগামী সপ্তাহে পেঁয়াজ আমদানি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং এতে বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল হবে।

যুগান্তর

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop