১:২৭ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ ৯:০০ পূর্বাহ্ন
গোপালগঞ্জে পূর্ণাঙ্গ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ শেষ পর্যায়ে
কৃষি গবেষনা

গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পূর্ণাঙ্গ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী বছরের মার্চে এ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভাসমান কৃষি, জলমগ্ন কিঞ্চিৎ লবণাক্ত জমিতে বৈচিত্রপূর্ণ ফসল আবাদের পাশাপাশি কৃষির বৈচিত্র নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের কর্মপরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে এটি নির্মিত হচ্ছে। এ কেন্দ্রটি গবেষণার মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে ব্যাপক ভূ’মিকা রাখবে ।

কৃষি মন্ত্রণালয় গোপালগঞ্জ জেলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করণের মাধ্যমে ৫ বছর মেয়াদী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে।

ওই প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জ জেলা শহরের অদূরে ঘোনাপাড়ায় ২০ একর জমির ওপর ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে গবেষণা কেন্দ্রটি নির্মাণ কাজ ২০২০ সালে শুরু হয়।

গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. এম এম কামরুজ্জামান জানান, কেন্দ্রের ২০ একর জমি অধিগ্রহণ, মাটি কাটা, মাটি ভরাট, বিদ্যুতের সাবস্টেশন নির্মাণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন সঞ্চালনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া মাঠ সরঞ্জাম, অফিস যন্ত্রপাতি, আবসাবপত্র, গাড়ি ও মোটর সাইকেল ক্রয় করা হয়েছে। কেন্দ্রের অফিস কাম ল্যাব ভবন নির্মাণ কাজ ৭৫% ও সম্প্রসারণ ভবনের কাজ ৫০%, সম্পন্ন হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন ভবন, শ্রমিক সেড, ওভারহেট ট্যাকিং ও বাউন্ডারী ওয়ালের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কেন্দ্রর অভ্যন্তরে ৩ হাজার ৬০০ বর্গমিটার আরসিসি রাস্তা নির্মাণ ও অফিস কাম ল্যাব ভবনে ৩টি লিফট স্থাপনের কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা ল্যাবের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছি ।

প্রকল্প পরিচালক জানান, ২০১৮ সালে এ প্রকল্প শুরু হয়। এ প্রকল্প শেষ হবে আগামী বছরের ৩০ জুন। ২০২৩ সালের শুরুতেই গোপালগঞ্জ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শেষ হবে। আশা করছি ওই বছরের মার্চ মাসে কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা সম্ভব হবে। সে লক্ষ্যেই কাজ এগিয়ে চলছে।

গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. এম এম কামরুজ্জামান আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ অঞ্চলের কৃষি ও কৃষক হুমকির মধ্যে রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি বিভাগের ৫ জেলার ৩৮টি উপজেলার কৃষি উন্নয়নই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

প্রকল্প পরিচালক জানান, পূর্ণাঙ্গ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রটি কৃষির উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ, নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন, গুণগতমান সম্পন্ন বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ, নতুন জাতের ফসলের উপযোগিতা ও সম্ভাব্যতা যাচাই, ফল, সবজি, ডাল, আলু, তৈল বীজ, গম, ভুট্টা, নারিকেল, তাল ও খেজুরের উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষকদের আয়বৃদ্ধিকে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়া হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ এ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রটিকে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি রেস্ট হাউস ও রেষ্টুরেন্ট থাকবে। এটিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেলার মধ্যে একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত করা হবে।

সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক নির্মাণাধীণ গোপালগঞ্জ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শণ করেছেন। এসময় মন্ত্রী কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। পরে তিনি দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার পরামর্শ দেন। এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি গবেষণা, পরমানু কৃষি গবেষণা, কৃষি সম্প্রসারণ, ধানগবেষণা ইনস্টিটিউটের পদস্থ কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ ৪:৫২ অপরাহ্ন
গাজর চাষে লাভবান হবেন যেভাবে।
কৃষি গবেষনা

আমাদের দেশে সাধারণত বিদেশ থেকে বিভিন্ন জাতের গাজরের বীজ আমদানি করে চাষ করা হয়। যেমন, রয়েল ক্রস, কিনকো সানটিনে রয়েল, কোরেল ক্রস ও স্কারলেট নান্টেস। এছাড়া আরও আছে পুষা কেশর, কুরোদা-৩৫, নিউ কোয়ারজা, সানটিনি, ইয়োলো রকেট ইত্যাদি জাতগুলো কৃষকদের নিকট জনপ্রিয়।

পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে এমন বেলে দোঁআশ ও দোআঁশ মাটি গাজর চাষের জন্য ভালো। যেখানে গাজর চাষ হবে সেই জায়গাটি যেন পর্যাপ্ত আলো-বাতাসযুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আশ্বিন থেকে কার্তিক (মধ্য সেপ্টেম্বর-মধ্য নভেম্বর) মাস বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। প্রতি হেক্টরে ৩ থেকে ৪ কেজি বীজ লাগে। সারি হতে সারির দূরত্ব হবে ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার।গাছ-গাছের দূরত্ব ১০ সেন্টিমিটার।

গাজর চাষের জন্য ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। জমির মাটি ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে হবে। গাজরের বীজ সারিতে বপন করা ভালো। এতে গাজরের যত্ন নেওয়া সহজ হয়।

গাজরের বীজ খুব ছোট বিধায় ছাই বা গুঁড়া মাটির সঙ্গে মিশিয়ে বপন করা ভালো। এজন্য ভালো বীজের সঙ্গে ভালো শুকনা ছাই বা গুঁড়া মাটি মিশিয়ে বপন করা যেতে পারে। গাজর চাষে হেক্টরপ্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে হবে। সারের পরিমাণ প্রতিহেক্টরে গোবর অথবা জৈবসার ১০ টন, ইউরিয়া ১৫০ কেজি, টিএসপি ১২৫ কেজি এবং এসওপি অথবা এমপি ২০০ কেজি হারে প্রয়োগ করতে হবে।

সম্পূর্ণ গোবর ও টিএসপি এবং অর্ধেক ইউরিয়া ও এমপি সার জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক ইউরিয়া সমান দুই কিস্তিতে চারা গজানোর ১০ থেকে ১২ দিন ও ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর মাটির উপরে প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক এমপি সার চারা গজানোর ৩৫-৪০ দিন পর মটির উপরে প্রয়োগ করতে হবে।
বীজ থেকে চারা গজাতে ১০ থেকে ২০ দিন সময় লাগতে পারে। তবে বপনের আগে বীজ ভিজিয়ে রাখলে (১৮ থেকে ২৪ ঘণ্টা) ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে চারা বের হয়।
চারা গজানোর ৮ থেকে ১০ দিন পর ৮ থেকে ১০ সেন্টিমিটার পরপর ১টি করে গাছ রেখে বাকি সব উঠিয়ে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে আগাছা পরিষ্কার ও মাটির চটা ভেঙে দিতে হবে। প্রয়োজনমতো সেচ দেওয়া ও নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। মাটির জো দেখে দুসপ্তাহ পরপর ৩ থেকে ৪টি সেচ দেওয়া উৎপাদনের জন্য ভালো।

গাজরে জাব পোকা আক্রমণ করে। এ পোকা ও গাছের কচি অংশের রস শুষে খেয়ে গাছের ব্যাপক ক্ষতি করে। পোকা দমনের জন্য রগোর এল -৪০, ক্লাসিক ২০ ইসি, টিডফেট ৭৫ এসপি, টিডো ২০ এসএল ইত্যাদি কীটনাশকের যে কোনো একটি অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা বাইকাও-১ প্রয়োগ করতে হবে।
চারা গজানোর ৭০ থেকে ৮০ দিন পর সবজি হিসেবে গাজর খাওয়ার জন্য ক্ষেত থেকে সংগ্রহের উপযুক্ত হয়। হেক্টরপ্রতি গাজরের ফলন ২০ থেকে ২৫ টন। সব ধরনের নিয়ম মেনে গাজর চাষ করলে বেশ লাভবান হওয়া যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৩, ২০২২ ৮:৪২ পূর্বাহ্ন
প্রাকৃতিক উপায়ে ফসলের পোকা দমন করবেন যেভাবে
কৃষি গবেষনা

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফসলের বিভিন্ন ধরনের রোগ ও পোকা দমন করার একটি সহজ উপায় রয়েছে। ৫০ মিলিলিটার কেরোসিন তেলে ৮৫ গ্রাম থেঁতলানো রসুন মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ৯৫০ মিলিলিটার পানি ও ১০ মিলিলিটার তরল সাবান মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে বোতলে রেখে দিতে হবে। ১৯ লিটার পানি সঙ্গে ১ ভাগ মিশ্রণ মিশিয়ে সকালেও বিকেলে স্প্রেয়ার দিয়ে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করতে

এই মিশ্রণটি আমেরিকান বোল ওয়ার্ম, আর্মি ওয়ার্ম, পেঁয়াজের চিরুনি পোকা, আলুর টিউবার মথ, রুট নট নিমাটোড (কৃমি), আখের কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ, ডাউনি মিলডিউ ও ধানের ঝলসা রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।

অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের পাতা খেকো পোকা ও জাব পোকা নিয়ন্ত্রণে ১ কেজি পেঁয়াজ থেঁতো করে ১ লিটার পানির সঙ্গে মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দেওয়ার পর কচলিয়ে রস নিংড়ে নিতে হবে। প্রাপ্ত নির্যাসের সাথে ১০ লিটার পানি মিশিয়ে আক্রান্ত ফসলে স্প্রে করতে হবে।

প্রাকৃতিক সার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব। উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন প্রযুক্তিতে উৎপাদিত জৈব সার, শাক-সবজি ও অন্যান্য ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের সঙ্গে অণুখাদ্যের যোগান দেয়।

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উৎপন্ন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকগুলো ফসলে কোনো রকম দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ব্যতি রেখে, পোকা ও রোগ দমনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও উর্বরতা দীর্ঘমেয়াদী হয়। উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ।

বন্ধুপোকা মাকড়ের (পরজীবি ও পরভোজী) সংরক্ষণের জন্য জমির পাশে অব্যবহৃত জায়গায় ত্রিধারা, উঁচুটি, শালিঞ্চে ইত্যাদি আগাছা জাতীয় গাছের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এসব বন্ধুপোকা ফসলের অন্যান্য ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফেলে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৪, ২০২২ ৬:৪৪ অপরাহ্ন
সোনাগাজীতে উচ্চ ফলনশীল পাঁচ জাতের ধানের চমক
কৃষি গবেষনা

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ফেনীর সোনাগাজী আঞ্চলিক কার্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত পাঁচটি উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের ভালো ফলন হয়েছে।

২০২২ সালে আউশ মৌসুমের জন্য ব্রি৪৮, ব্রি৮২, ব্রি৮৩, ব্রি৮৫, ও ব্রি৯৮ সহ পাঁচ জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানীরা।

এসব জাতের ধান কম খরচে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ করে সফলতা পাওয়া গেছে।

এসব ধান কাটার উদ্দেশ্যে শনিবার (১৩ আগস্ট) সকালে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের চরশাহাপুরে শস্য কর্তন ও মাঠ দিবসের আয়োজন করে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সোনাগাজী আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কর্মকারের সভাপতিত্বে ও জ্যৈষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাঈম আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।

আরও উপস্থিত ছিলেন- জ্যৈষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আদিল, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আসিব বিশ্বাস, আরিফুল ইসলাম খলিদ, কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা মাহমুদ আলম, স্থানীয় কৃষক মো. কামাল উদ্দিন ও শেখ বাহার প্রমুখ।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, টেকসই ধান প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে তথা সোনাগাজীতে উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে তৃণমূল কৃষকদের আগ্রহ থাকতে হবে। এরই মধ্যে আউশ মৌসুমে যেসব ধান উদ্ভাবিত হয়েছে সেসব ধান স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন। মাত্র ১১০দিনে এ ধানগুলো কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন। ধানগুলো অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও পরিবেশ বান্ধব। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে এসব জাতের ধান চাষের বিকল্প নাই। নতুন উদ্ভাবিত ধানগুলোতে সারও কম লাগে পোকা মাকড়ও কম ধরে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৩, ২০২২ ৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
মেহেরপুরে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা
কৃষি গবেষনা

বেগুনগাছে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন, জেলা সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহায়তায় পরীক্ষামলূক ভাবে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষে অভাবনীয় সফলতা পেয়েছেন এ কৃষক। এতে করে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষে আশার আলো দেখছেন এ জেলার কৃষকরা।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়- সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের হিজুলী গ্রামের ফারুক হোসেন ৫ কাঠা জমিতে বারি হাইব্রিড ৮ জাতের টমেটো চাষ করেছেন গ্রাফটিং পদ্ধতিতে। এখন কাঁচা-পাকা টমেটোয় ভরে গেছে গাছ। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রিও করেছেন তিনি। আরও ৪০ হাজার টাকার বিক্রির আশা করছেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলার গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করা ফারুক হোসেন বলেন- উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে ৫ কাঠা জমিতে গ্রাফটিং করেছি। ফলন ও পর্যাপ্ত দাম পাচ্ছি। আগামীতে আরও ১ বিঘা লাগানোর পরিকল্পনা করছি।

সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন- বেগুন চারার গোড়ার দিকের অংশের সঙ্গে টমেটোর চারার ওপরের দিকের অংশ জোড়া দিয়ে করা হয় গ্রাফটিং। এভাবে লাগানো টমেটোর চারা বড় হয়ে ঢলে পড়ে না, রোগ বালাইও তেমন হয় না। উপরন্ত ফলন মেলে প্রচুর। সাধারণ একটি গাছে ৫ থেকে ১০ কেজি টমেটো পাওয়া যায়। কিন্তু গ্রাফটিং পদ্ধতিতে চাষ করা প্রতিটি গাছে মেলে ১৫ থেকে ২০ কেজি টমেটো। গ্রাফটিং করা টমেটো গাছ পানি সহনীয়। ফলে ভারি বৃষ্টিতেও এই টমেটো গাছ নষ্ট হয় না।

গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ দেখতে আসছেন স্থানীয় কৃষকরা। অসময়ে টমেটো। বাজারে চাহিদাও বেশ। অনেক কৃষক ইতোমধ্যে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করতে আগ্রহী হয়েছেন। স্থানীয় কৃষক রবিউল ইসলাম দেখতে এসেছিলেন টমেটোর গ্রাফটিং। তিনি বলেন- গ্রাফটিং পদ্ধতিতে এতো বেশি ফলন দেয় আমার জানা ছিল না। সেই সঙ্গে একই গাছে বেগুনও ধরেছে। আমি নিজেও এই পদ্ধতিতে চাষ করবো বলে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসরিন পারভীন বলেন- আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ করে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো জাত বারি-৮ চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন কয়েকজন কৃষক। সদর উপজেলায় ১৫ কাঠা জমিতে ৩ জন চাষি গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটোর চাষ করছেন। কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। মেহেরপুরে এ জাতের টমেটোর চাষ ছিল না। বর্তমানে কৃষকরা গ্রাফটিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৮, ২০২২ ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠিতে ব্রি ৪৮ জাতের ধান প্রদর্শনীর মাঠ দিবস পালন
কৃষি গবেষনা

ঝালকাঠি জেলার অধিকাংশ জমিতে আমন জাতের ধানের চাষ হত। বাকি সময় চাষযোগ্য জমি পতিত থাকত। চলতি বছর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনার উদ্যোগে ‘উপকূলীয় বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে পানি সম্পদ মাটির লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ’ কর্মসূচির আওতায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার যোগেশ্বর গ্রামে কৃষক দুলাল হাওলাদার এর ৩০ বিঘা জমিতে স্থাপন করা একটি ব্লক পরিদর্শন করা হয়।

রবিবার সেখানে দুপুরে ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস পালন করা হয়।

সেচ ও ধান গবেষণা বিভাগের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মনিরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুলতানা আফরোজ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মসূচি পরিচালক ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. প্রিয় লাল চন্দ্র পাল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ১২০ জন কৃষক-কৃষাণী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ঐশিক দেবনাথ।

কৃষকরা জানান ব্রি ৪৮ ধান চাষ করে এ বছর লাভবান হবেন। ইতোমধ্যেই মাত্র ১০৫ দিন সময়ের মধ্যে এই জাতের ফলন ৩৩ শতাংশ জমিতে ২১ মন ধান পাওয়া গেছে। আগামীতে এই জাতের ধান চাষ করে অল্প জমিতে কম সময়ে অধিক ফলন পাওয়া যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৭, ২০২২ ৬:৩৬ অপরাহ্ন
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সিকৃবি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পুষ্পস্তবক অর্পণ
কৃষি গবেষনা

অর্ঘ্য চন্দ, সিকৃবি প্রতিনিধিঃ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছে নবগঠিত বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) শাখা।

বুধবার(২৭ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কৃষি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা। সংগঠনের সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব এবং সাধারণ সম্পাদক সহকারি অধ্যাপক আমিনুর রশীদসহ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

নবগঠিত বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কাজে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যকে নিয়ে নিয়োজিত থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. মশিউর মালেক সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটির অনুমোদন দেন।
কমিটিতে আরও আছেন- ৫ জন সহ-সভাপতি, ১ জন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ২ জন সহ-সাধারণ সম্পাদক, ৩ জন সাংগঠনিক, ১ জন কোষাধ্যক্ষ, ১১ জন সম্পাদক, ১১ সহ-সম্পাদক ও ৫২ জন কার্যনির্বাহী সদস্য।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৭, ২০২২ ৮:১৮ পূর্বাহ্ন
শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত বরিশালের চাষিরা
কৃষি গবেষনা

জেলায় শীতের আগাম সবজি চাষে বীজতলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার প্রান্তিক কৃষকরা। জেলার সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নে সরোজমিনে দেখাগেছে, শীতের আগাম সবজি চাষে বীজতলায় পরিচর্যা ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক কৃষকরা। চলতি বছর আনুপাতিক হারে বৃষ্টি কম হওয়ায় চাষিরা সময়মতো আগাম সবজি চাষ শুরু করতে পেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে ও তেমন রোগ বালাই না থাকায় শীত মৌসুমে সবজি চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

এবিষয়ে এতাধিক কৃষক জানান, মাত্র কিছুদিন পূর্বে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করায় চলতি বছর শীতকালীন সবজি ব্যবসায় নতুন মোড় সৃষ্টি হয়েছে। কারণ জেলার উৎপাদিত আগাম সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকার বাজারে পৌঁছাতে পারবো।

এব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ বছর ব্যাপক লাউ, বরবটি, মূলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লালশাক, পালং শাক, বেগুন, করলা, শিমসহ নানা শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক চাষিরা। বর্তমানে খুচরা ও পাইকারি বাজারে সবজির বিক্রিও বেশ ভালো। তাই এসব সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন জেলার এ কৃষকরা।

জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের চাষি মোস্তফা, সরিফুল ও সবুজ মিয়া জানান, শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। বর্তমানে তারা লাউ, বেগুন, শিম ও টমেটো চাষ করছেন। সকাল বিকেল এসব গাছের পরিচর্যা করছেন তারা।

চাষিরা আরো বলেন, শীতের আগেই জমিতে বরবটি ও করলা লাগিয়েছি। সেগুলো এখন বাজারে বিক্রি করছি। শীত পড়ার আগেই এসব সবজির বাজারে ভালো দাম পাচ্ছি।

এ প্রসঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’র উপ-পরিচালক মো. হারুন-অর-রশিদ জানান, বরিশাল অঞ্চলটি নিচু অঞ্চল তবুও এখানকার কৃষকরা শীতের আগাম সবজি শিম, লাউ, পুঁইশাক, বেগুন, করলা, পালংশাক চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার শুরু থেকেই সবজির আবাদ হচ্ছে আশানুরূপ।
শীতকালীন আগাম জাতের এসব সবজি চাষ লাভজনক করে তুলতে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৯, ২০২২ ১১:৪৮ অপরাহ্ন
ঝালকাঠিতে কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ঝালকাঠিতে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের রোভিং সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(৯ জুন) শহরের চড়ইভাতি কমিউনিটি সেন্টারে ডিএই’র উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী।

এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধক হিসেবে ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. মামুন-উর-রশিদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মো. ছায়েব আলী, বরিশাল সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মঈন তালুকদার এবং কাঠালিয়ার উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান সিকদার।

অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. অলিউল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহমেদ হাওলাদার, মৎস্য খামার ব্যবস্থাপনার আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী মো. ওহেদুল ইসলাম, নলছিটির কৃষক রাসেল খান প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, কৃষির ওপর আমরা নির্ভরশীল। এর সুরক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই প্রতিকূলতার হাত থেকে ফসলকে বাঁচাতে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। এজন্য আবহাওয়াবার্তা অনুসরণ করা জরুরি। এর মাধ্যমে দুর্যোগকে থামাতে পারব না ঠিকই, তবে শস্যের ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে ডিএই, কৃষি তথ্য সার্ভিস, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, আবহাওয়া অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং কৃষকসহ ২’শ ৭০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৮, ২০২২ ১১:১৩ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহে কাঁঠালের সংগ্রহত্তোর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল শীর্ষক কর্মশালা
কৃষি গবেষনা

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ কাঁঠালের সংগ্রহত্তোর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল শীর্ষক কর্মশালা শনিবার বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পোস্টহার্ভেস্ট ডিভিশন এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহা পরিচালক ড.মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন এর সিনিয়র স্পেশালিষ্ট (ফিল্ড ক্রপস) ড. নরেশ চন্দ্র দেব ,বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ এর সদস্য প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম।

কাঁঠালের সংগ্রহত্তোর অপচয়, সঠিক দাম না পাওয়া ও বিশাল অংকের আর্থিক ক্ষতি রোধকল্পে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ)এর অর্থায়নে প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএআরআই এর পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী এবং নিউভিশন সল্যুসনস্ লিমিটেড এর তারেক রাফি ভূইয়া । ময়মনসিংহ জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আবু হানিফসহ বিভিন্ন কৃষি উদ্যোক্তা,সরকারি বেসরকারি প্রতিনিধি, কৃষক, বিজ্ঞানীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, কাঁঠালের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
কর্মশালায় গবেষক ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী জানান, এ প্রকল্পের আওতায় আমরা কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত করে মুখরোচক ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসব পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ। তিনি আরও বলেন,

কাঁঠালের জ্যাম, আচার, চাটনি, চিপস, কাটলেট, আইসক্রিম, দই, ভর্তা, কাঁঠালস্বত্ব, রেডি টু কুক কাঁঠাল, ফ্রেশকাট পণ্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত পণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলো ঘরে রেখে সারা বছর খাওয়া যাবে। কাঁঠাল থেকে এসব পণ্য উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন এই গবেষক।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop