হাসপাতালের পতিত জমিতে সবজি চাষ
কৃষি বিভাগ
্গো্পালগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পাঁচ একর পতিত জমিতে সবজি, ফল ও ফুলের আবাদ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি ও ফল উৎপাদন করে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা হবে।
হাসপাতালের সামনের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত জমিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফুল ও পরিবেশবান্ধব ঔষধি গাছের চারা রোপণ করেছে।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা না রেখে ফসল উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে মোট ১৫ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে স্থাপনা ও রাস্তা প্রায় ১০ একর জায়গাজুড়ে। পতিত ছিল পাঁচ একর। এ জমির আগাছা পরিস্কার করা হয়েছে। এখানে কলাবাগান, লাউ, বেগুন, মিষ্টিকুমড়া, শিম ও সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এখন কপিসহ শীতের সবজির আবাদ চলছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে আমার ক্যাম্পাস সবজি, ফল ও ফুলে সুশোভিত হয়ে উঠবে।
ডা. নাহিদ বলেন, ‘সবজি ও ফল উৎপাদনে রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করব না। জৈব সার ও বালাইনাশক ব্যবহূত হবে। মানবদেহের জন্য নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে আমরা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করব। আমাদের দেখাদেখি আরও অনেকে এমন চাষাবাদে উৎসাহী হবেন।’
কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, ‘বঙ্গমাতা চক্ষু হাসপাতালের উদ্যোগটি চমৎকার। এটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। চক্ষু হাসপাতাল দেখিয়ে পতিত জমিতে এভাবে চাষাবাদ করতে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে উদ্বুদ্ধ করব।’
হাসপাতালসংলগ্ন ঘোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা চৌধুরী আবেদ হোসেন বলেন, ‘তাঁরা সফল হলে আমরাও পতিত জমিতে সবজি ও ফল উৎপাদন করব।’
বদর উদ্দিন অহমেদ বলেন, হাসপাতালের পরিচালকসহ সবাই শ্রম দিচ্ছেন। পরিচর্যা করছেন। হাসপাতাল-ক্যাম্পাসজুড়ে কৃষিকাজের উৎসব সৃষ্টি হয়েছে।