১০:৫২ অপরাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ২১, ২০২২ ৬:৩৮ অপরাহ্ন
১৫ লক্ষাধিক টন শীতকালীন সবজি উৎপাদনে চাষিরা
কৃষি বিভাগ

প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে লড়াই করেই বরিশাল কৃষি অঞ্চলের ১১ জেলার কৃষি যোদ্ধাগণ এবারো সবজির উৎপাদন বিশেষ অবদান রাখছে। দেশে উৎপাদিত প্রায় ২ কোটি টন শীত ও গ্রীস্মকালীন সবজির প্রায় ২০ লাখ টনই আসছে দক্ষিণাঞ্চল থেকে। গত মাসের ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এ ভরকরে নজিরবিহীন প্রবল বর্ষণের পরেও এবার দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টরে ১৫ লাখ টন শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষে মাঠে মাঠে কাজ করছেন দক্ষিণাঞ্চরের কৃষিযোদ্ধাগণ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর-ডিএই’র দায়িত্বশীল মহল লক্ষ্য অর্জনে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। চলতি মাসে যদি বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দেয়, তবে সারা দেশের মতো দক্ষিণাঞ্চলেও সবজি উৎপাদন লক্ষ্য অর্জন নিয়ে কোনো সংশয় নেই বলে মনে করছেন ডিএই’র দায়িত্বশীল মহল। গত দেড় দশকে দক্ষিণাঞ্চলে সবজির আবাদ ও উৎপাদন বেড়েছে তিনগুনেরও বেশি।

কৃষিবীদদের মতে, ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বারি’ উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও উন্নত মানের সবজি বীজসহ আবাদ প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের কাছে পৌঁছলে উৎপাদন প্রায় দ্বিগুনে পৌঁছান সম্ভব হবে। এমনকি খোলা মাঠে ও বাড়ির আঙিনার পাশাপাশি সাম্প্রতিককালে পতিত জমিতেও সবজির আবাদ বাড়ছে। আর দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের অনেক এলাকায় আবাদকৃত সবজির বীজ ও চারার যোগান হচ্ছে বরিশাল ও পিরোজপুরের ‘ভাসমান বেড’ থেকে। যুগের পর যুগ ধরে বরিশালের বানরীপাড়া, উজিরপুর এবং পিরোজপুরের নাজিরপুর ও সদর উপজেলার কিছু অংশে কচুরিপানার ঢিপ তৈরি করে তার ওপর শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের চারা তৈরি হচ্ছে। এ অঞ্চলের কৃষকদের উদ্ভাবিত সনাতন ও লাগসই প্রযুক্তির ‘সারজন পদ্ধতি’তে বিভিন্ন সবজির চারা তৈরি করে জলাবদ্ধ বিশাল এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থাসহ কৃষি-অর্থনীতিও অনেকটাই সচল রয়েছে।

চলতি রবি মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলায় প্রায় ৭০ হাজার হেক্টরে শীতকালীন সবজির আবাদ হচ্ছে। উৎপাদন লক্ষ্য রয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টন। এবার ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’এ ভর করে কার্তিকের নজিরবিহীন প্রবল বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তির্ণ এলাকার আগাম শীতকালীন সবজিসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পরেও কৃষি যোদ্ধাগণ পুনরায় রবি ফসল আবাদে মাঠে নেমেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন বাড়ি-ঘরের আঙিনায়ও বিপুল পরিমাণ সবজির আবাদ হচ্ছে।

ইতোমধ্যে লালশাক, পালং শাক, সিম, ফুলকপি, বাধা কপি, শালগম, গাজর ও মুলাসহ বিভিন্ন ধরনের আগাম শীতকালীন সবজি বাজারে এসেছে। তবে এর বাইরে সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণের ধকল কাটিয়েও লাউ সহ বেশ কিছু বারমাসি সবজিও বাজারে রয়েছে। তবে এবার অগ্রহায়ণের অকাল বর্ষণের রেশ ধরে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। কৃষকরা এবার কিছুটা বেশি দাম পেলেও অগ্রহায়ণের বর্ষণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।
ডিএই’র দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, ‘দেশে গত বছর প্রায় ১ কোটি ৯৮ লাখ টনের মত শীতকালীন সবজি উৎপাদন হয়েছে। দেশে উৎপাদিত সবজি ‘অভ্যন্তরীণ পূর্ণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে’ বলে আশা করছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র। ডিএই’র মতে বর্তমানে ‘বিশ্বের প্রায় ১১৪টি দেশে বাংলাদেশের কৃষি পণ্য রফতানি হচ্ছে। এর মধ্যে শীতকালীন সবজিই অন্যতম’। এ বাজার আরো সম্প্রসারণে সরকার দেশে সবজি আবাদ বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

এদিকে ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটÑবারী’ মাঠ পর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে অন্যসব ফসলের মতো বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজিরও উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে। এমনকি বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় যে ভাসমান ঢিবিতে সবজি বীজসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ হচ্ছে, বারি’র বিজ্ঞানীগণ সে ক্ষেত্রেও আধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাচ্ছেন। ফলে কৃষকগণ আরো আস্থা এবং নির্ভরতা সাথেই ভাসমান বেড পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে মনযোগী হচ্ছেন। এরফলে প্লাবন ভ‚মিতে অধিক ফসল উৎপাদনও সম্ভব হচ্ছে। এতে করে কৃষকগণ লাভবান হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২০, ২০২২ ৬:১১ অপরাহ্ন
কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে পূর্বশর্ত পূরণে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, জাপানসহ উন্নতদেশসমূহের মূল বাজারে আমরা কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে কাজ করছি। রপ্তানির ক্ষেত্রে সেসব দেশের পূর্বশর্ত পূরণে ইতোমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে৷ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য দেশে উত্তম কৃষিচর্চা নীতিমালা (গ্যাপ) বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব ও আধুনিক প্যাকিং হাউজ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। আম রপ্তানির জন্য ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজও চলছে। চীন ও নেদারল্যান্ডসের সাথেও যৌথভাবে কাজ চলছে।

আজ রবিবার দুপুরে ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে ফুড সেফটি অ্যান্ড এক্সপোর্ট অপরচুনিটি টুওয়ার্ডস ইউএসএ শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচাম) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের রপ্তানি মূলত গার্মেন্টসনির্ভর। শুধু গার্মেন্টসনির্ভর থাকলে হবে না বরং রপ্তানিকে বহুমুখী করতে হবে। সেটি করতে হলে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষিপণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। এ সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে কৃষিপণ্য মাঠে উৎপাদন থেকে শুরু করে শিপমেন্ট পর্যন্ত নিরাপদ রাখতে কাজ চলছে।

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কৃষিকে একপাশে সরিয়ে না রাখতে বা প্রান্তিকীকরণে না রাখতে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে ও রপ্তানির সম্ভাবনা অপার। সেটিকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তি, দক্ষ মানবসম্পদ, বিনিয়োগ, সমন্বয় এবং সমন্বিত উদ্যোগ।

এ বিষয়ে মন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সহযোগিতা কামনা করেন।

দুর্ভিক্ষ ও খাদ্য সংকটের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ দেশটি চিরদিন দুর্ভিক্ষের দেশ, খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ২০০১-০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও দেশে প্রতিবছর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। মানুষ না খেয়ে থেকেছে, না খেয়ে মারাও গেছে। আর গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশ থেকে মঙ্গাকে চিরতরে দূর করেছে। এই সময়ে কোন রকম খাদ্য সংকট হয় নি, একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এগ্রিকালচার অ্যাটাশে ফ্রান্সিস মেগান, অ্যামচামের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইরশাদ আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মো. কামাল বক্তব্য রাখেন। দুদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অ্যামচামের নেতৃবৃন্দ জানান, যুক্তরাষ্ট্র বছরে ১৮০ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য আমদানি করে। সেখানে বাংলাদেশ রপ্তানি করে মাত্র ১.৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য, শতকরা হিসাবে এক ভাগেরও কম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২০, ২০২২ ১:৪১ অপরাহ্ন
কৃষি জমি ঠিক রেখে শিল্পায়নকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কৃষি বিভাগ

সারাদেশে শিল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কৃষি জমি ঠিক রেখে শিল্পায়নকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
রবিবার (২০ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজেরা শিল্প গড়ে তুলুন। অন্যকে কর্মসংস্থানের ‍সুযোগ করে দিন। আমাদের উদ্দেশ্য রপ্তানি বৃদ্ধি ও দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়া।

তিনি বলেন, যত্রতত্র শিল্পায়ন করা যাবে না। ফসলি জমিতে ফসলই হবে। ফসলি জমি যেন নষ্ট না হয়। যেসব জায়গা কাজে আসে না সেগুলোতে আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে। ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তাঘাট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে উন্নয়ন করেছে। গবেষণার মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছি। দেশের চরাঞ্চল পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি, শিল্পায়নের ব্যবস্থা করেছি। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কিছুটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মান মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৯, ২০২২ ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় মাল্টার বাম্পার ফলন, নগদ টাকা পেয়ে খুশি চাষিরা
কৃষি বিভাগ

জেলার গ্রামে গ্রামে এখন সবুজ মাল্টার উৎসব চলছে। মাল্টা বিক্রি করে নগদ টাকা পেয়ে খুশি চাষি। অন্যদিকে ভোক্তারা ফরমালিনমুক্ত তাজা মাল্টা কিনতে পেরে আনন্দিত। বিশেষ করে কুমিল্লার আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, বরুড়া, লালমাই, নাঙ্গলকোট, দেবিদ্বারসহ কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মাল্টার চাষ করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার সূত্র জানায়, কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৩০ একর জমিতে মাল্টার চাষ হচ্ছে। এ ছাড়া বিচ্ছিন্ন ভাবে ১০/১৫টি করে চারা লাগাচ্ছেন গৃহস্থরা। সব মিলিয়ে তিন শতাধিক চাষি মাল্টা চাষে জড়িত। তাদের উৎপাদিত মাল্টা কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় ফল দোকানসহ বিভিন্ন উপজেলার দোকানে বিক্রি হচ্ছে।

কুমিল্লার বরুড়া পৌর এলাকার উত্তরের গ্রাম মুগুজি। গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবদুর রব মাল্টার বাগান করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। দেশে এসে স্থানীয় বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করেন। বাড়ির পাশে নিজের কিছু জমি ছিল। পরিকল্পনা করলেন অর্থকরি কোনো ফলের বাগান করবেন। ইউটিউবে মাল্টার চাষ ও সম্ভাবনা দেখলেন। তিনি চার বছর আগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তারিক মাহমুদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সহযোগিতা নিয়ে ১৭ শতক জমিতে মাল্টা চাষ করেন। তার ভালো ফল দেওয়া গাছ থেকে মৌসুমে প্রতিটি থেকে ৩৫ কেজির মতো মাল্টা পেয়েছেন। এ মাল্টা আকারের বড়, মিষ্টিও খুব। তিনি বাজারের পাইকারের কাছে মাল্টা বিক্রি করেন না। গ্রামের মানুষের কাছে কম দামে বিক্রি করেন, যাতে এ ফল সবাই কিনতে পারে।

জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা তারিক মাহমুদুল ইসলাম জানান, দেশের শতভাগ মাল্টা আমদানি করতে হয়। এদেশে ভারত, চীন থেকে বেশি মাল্টা আসে। যার অধিকাংশ ক্ষতিকর ক্যামিকেল যুক্ত। দেশের উৎপাদিত মাল্টা এখন বাজারে পাওয়া যায়। যা দেশের মাল্টার পাঁচ ভাগ চাহিদা পূরণ করছে। এ গতি অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছর পর নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে মাল্টা রপ্তানি করা যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ্উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, মাল্টার চাষ করতে অনেকে আগ্রহী। তারা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে যোগাযোগ করছেন। কুমিল্লায় প্রচুর মাল্টা চাষের সম্ভাবনা রয়েছে। মাল্টার বাগান করতে আগ্রহীদের আমরা পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৯, ২০২২ ৮:৫১ পূর্বাহ্ন
লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে আমন
কৃষি বিভাগ

বাংলাদেশে এ বছর দেশের দ্বিতীয় প্রধান ধানের জাত আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে চলেছে উল্লেখ করে কর্মকর্তারা বলছেন যে দেশের প্রধান শস্যের ফলন প্রত্যাশার চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি হতে পারে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)’র একজন মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা আশা করছি এ বছর আমন উৎপাদন প্রাক্কলিত উৎপাদনের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি হবে।’ ডিএই’র ফিল্ড সার্ভিস উইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আবদুহু বলেন, আমনের প্রাক্কলিত ফলন ১৬৩ মিলিয়ন টনের বিপরীতে এখন ১৭০ মিলিয়ন টনের বেশি হতে পারে।

সারা দেশে ৫৯ লাখ হেক্টর জমিতে এই প্রধান ফসল কাটার কাজ চলছে এমন সময় তার এ মন্তব্য এসেছে। এদিকে কৃষকরা আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে ফসল তোলার কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন।

ডিএই কর্মকর্তারা আভাস দেন যে এ পর্যন্ত ১৮ শতাংশ শস্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আমন ফসল মোট ধান উৎপাদনের ৩৮ শতাংশ এবং এর অবস্থান বোরোর পরে, দ্বিতীয়।

আবদুহু এবং ডিএই-তে তার সহকর্মীদের মতে, ঘূর্ণিঝড় আমন উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন আশঙ্কার বিপরীতে শরৎকালের শেষের দিকে যথেষ্ট বৃষ্টিপাত ফলন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, গত দুই বছরের তুলনায় হেক্টর প্রতি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বেশি ছিল। ‘কিন্তু শেষ পর্যন্ত উৎপাদন বর্ধিত লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে।’

ডিএ’র সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মুয়ীদ বলেন, তারা গত মাসগুলোতে একটি খরার মতো পরিস্থিতির কারণে আমন উৎপাদন সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলেন, যা একটি ছত্রাক সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তবে বৃষ্টি শেষ পর্যন্ত এ জাতীয় পরিস্থিতি রোধ করে। তিনি বলেন, ‘এটি (ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং) বরং আশীর্বাদ হিসাবে উপস্থিত হয়েছে।’

সরকারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ বছর সামগ্রিক আমন এলাকার কভারেজ ছিল ৫৯.০৬ লাখ হেক্টরের বেশি, যেখানে গত দুই বছরে তা যথাক্রমে ৫৭.২০ লাখ এবং ৫৬.২৫ লাখ হেক্টরের বেশি ছিল না।

এফএও’র রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ সালে ৩৭.৪ মিলিয়ন টন এবং ২০২১ সালে ৩৭.৮ মিলিয়ন টন ধান উৎপাদনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে ছিল।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৮, ২০২২ ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
কৃষি-প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন
কৃষি বিভাগ

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ঋণ ৪ শতাংশ সুদে দেয়া হবে। ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ ঋণ বিতরণ করবে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, দেশের খাদ্য নিরপত্তা নিশ্চিতে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষি খাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে। এ স্কিমের আওতায় ধান চাষ, মৎস্য চাষ, কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে শাক-সবজি, ফল ও ফুল চাষ, প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় পোল্ট্রি ও দুগ্ধ উৎপাতন খাতে কৃষক পর্যায়ে ৪ শতাংশ সুদহারে ঋণ বিতরণ করা হবে।

এছাড়া ব্যাংকগুলো শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হার সুদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়ন ঋণ পাবে। ব্যাংকগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষক বা গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করবে। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের অনুকূলে শস্য ও ফসল (ধান, শাক-সবজি, ফল ও ফুল) চাষের জন্য শুধুমাত্র দায়বন্ধনের বিপরীতে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হবে।

স্কিমে অংশ নেয়া ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করবে।

এ কর্মসূচির ফলে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৪, ২০২২ ১০:১২ পূর্বাহ্ন
আগাম জাতের সবজি চাষে মুখে হাসি জয়পুরহাটের কৃষকদের
কৃষি বিভাগ

আগাম জাতের সবজি চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় জেলায় বর্তমানে আগাম জাতের বিভিন্ন সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। ফলে আগাম জাতের সবজি চাষও দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় চলতি ২০২২-২৩ রবি মৌসুমে আগাম জাতের বিভিন্ন সবজির চাষ হয়েছে ২ হাজার ১৪২ হেক্টর জমিতে। আগাম জাতের সবজি চাষ অধিক লাভজনক হওয়ার কারনে কৃষকরা এ সবজি চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন বলে কৃষকদের কথা বলে জানা যায়।

জেলার পাঁচ উপজেলায় এবার আগাম জাতের সবজি চাষ করা উল্লেখযোগ্য সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেগুন ৩২০ হেক্টর, মুলা ১০৫ হেক্টর, সিম ৩৬০ হেক্টর, ফুলকপি ৬৮ হেক্টর, বাধাকপি ৬৫ হেক্টর, টমেটো ৩২ হেক্টর, বরবটি ৪৬ হেক্টর, লাল শাক ১১৭ হেক্টর, পালং ৪৮ হেক্টর, পুঁইশাক ২৪ হেক্টর, করলা ১০৫ হেক্টর, শসা ১৬০ হেক্টর, লাউ ৯১ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ১০৫ হেক্টর, পটল ২০০ হেক্টরসহ অন্যান্য সবজি রয়েছে। এ ছাড়া আগাম জাতের আলুও রয়েছে ৩০০ হেক্টর জমিতে।

কৃষকরা জানান, আগাম জাতের সবজি বাজারে আশার পরে প্রথম দিকে দাম একটু চড়া থাকলেও পরবর্তিতে বাজারে আমদানী বেশি হওয়ায় দাম কমতে থাকে। সদর উপজেলার ভানাই কুশলিয়া গ্রামের আজিজার রহমান ও মোসলেম উদ্দিন বলেন এবার ৩০ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের বেগুন চাষ করে ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। সে কারনে এবারও বেগুন চাষ করেছেন অধিক লাভের আশায়। একই এলাকার ছানোয়ার হোসেন এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করেছেন বলে জানান। পারুলিয়া গ্রামের সবজি চাষি এরশাদ, ইউনুস আলী, এন্তাজুল জানান, গতবছর কপিতে অধিক লাভ হওয়ায় এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের কপি চাষ করেছেন। বর্তমান জয়পুরহাটের হাট-বাজারগুলোতে আগাম জাতের বেগুন প্রকার ভেদে ৩৩ থেকে ৪০ টাকা কেজি, মূলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সীম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আগাম জাতের সবজি চাষ করে কৃষকরা অধিকহারে লাভবান হওয়ায় জেলায় আগাম জাতের সবজি চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দাম ভাল পাওয়ার জন্য বাজারে প্রথম পর্যায়ে সবজি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কৃষকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৪, ২০২২ ১০:০০ পূর্বাহ্ন
পাহাড়ে হানিকুইন আনারসের আগাম ফলনে কৃষকের ভাগ্য বদল
কৃষি বিভাগ

রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচরের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় হানিকুইন জাতের আনারসের আগাম ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এবার হানিকুইন জাতের আনারসের ফলন ভালো হওয়াতে ও আগাম ফলনে অনেকটা লাভবান হবে বলে আশা এখানকার কৃষকদের।

জ্যৈষ্ঠ মাস আনারসের মাস হলেও বর্তমানে জেলার নানিয়ারচরে কৃষি বিভাগের পরামর্শমতে বিশেষ পদ্ধতিতে হরমোন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতি বছরই উৎপাদিত হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল আগাম আনারস হানিকুইন। দেশের সব জায়গাতে এ হানিকুইন জাতের এ আনারসের ফলন পাওয়া যায় না।

রাঙ্গামাটি জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে আনারসের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত নানিয়ারচর উপজেলা। নানিয়ারচর উপজেলার মধ্যে বেশীরভাগ মানুষই তাদের পরিত্যক্ত বাগানগুলোতে আনারসের চাষ করে থাকেন। আনারসের চাষ করে এখানে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নানিয়ারচর এলাকার মানুষ।

উপজেলার বুড়িঘাটের আনারস মো: আনোয়ার হোসেন ও ধনকুলো চাকমা জানান, আনারস চাষে অভিজ্ঞতা না থাকলে আনারস চাষ করা সম্ভব নয়।

আনারসের চারা তুলে তা প্রস্তুত রেখে প্রায় ১ মাসের চেয়ে বেশি সময় লেগে যায় জমি ঠিকঠাক করে আনারস চাষের উপযোগী করে তুলতে। তারপরে সারি সারি করে পাহাড়ের বুকে লাইন ধরে রোপণ করতে হয়। চারা রোপণের পর আনারস বাগানের সেবাযতœ,পরিচর্ষা ও আগাম ফলনের জন্য কৃষি বিভাগের সাথে পরামর্শ করে হরমোন ব্যবহার করতে হয়। তাতেই হানিকুইন জাতের আনারসের আগাম ভালো ফলন পাওয়া যায়। তবে স্বাভাবিকভাবে বাগানে আনারস আসতে আরেকটু সময় বেশী লাগে বলে জানান কৃষক। বর্তমানে পাহাড়ে উৎপাদিত হাইব্রিড আনারস বছরে ২ বার ফলন আসে তাতে শীত মৌসুমের আগেই আনারস বাজারে দেখা যায়।

বর্তমানে নানিয়ারচরের পরিত্যক্ত পাহাড়ে পাহাড়ে প্রচুর পরিমাণে আনারসের চাষ হচ্ছে। পাহাড়ের এসব সুস্বাদু আনারস স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলাতেও নিয়ে যাচ্ছে পাইকার ব্যবসায়ীরা।

কৃষকরা জানিয়েছেন বর্তমানে এক-একটি আনারস উৎপাদনে তাদের প্রায় ৫-৭ টাকা খরচ হয় এবং প্রতিটি আনারস সাইজ অনুসারে ১০-১৫ টাকা শুরু করে বড় আনারস প্রতিটি ২০-২৫ টাকা দামেও বিক্রি হয়।

রাঙ্গামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল জানিয়েছেন, এবার নানিয়ারচর উপজেলায় ১২১০ হেক্টর জমিতে আগাম ফলনশীল আনারস হানিকুইনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার অধিক ফলন হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের। উপজেলার ইসলামপুর, বুড়িঘাট, সাবেকক্ষন, ঘিলাছড়ির প্রায় জমিতে আনারসের আবাদ করা হয়েছে এবং উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় হানিকুইন জাতের আনারসের আগাম ফলন ভালো হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২২ ৩:৫৯ অপরাহ্ন
বরিশালে কৃষি উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে কৃষি উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার(১৩ নভেম্বর) নগরীর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হলরুমে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মাহবুব আলম।

বরিশালের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. রাসেল খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. নুর হাসান এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি উদ্যোক্তা মো. আবদুল হামিদ, কৃষক মো. মেহেদী হাসান, কিষাণী মোসাম্মৎ শারমিন আরা প্রমুখ।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি বলেন, কৃষিউৎপাদন বৃদ্ধি এবং চাষাবাদকে আরো লাভজনক করতে কৃষকদের দক্ষতা বাড়ানো চাই। এছাড়াও পণ্যকে প্রক্রিয়াজাতকরণ করার জন্য তাদের উন্নত ধারণা থাকা দরকার। আর তা প্রয়োগের মাধ্যমেই পণ্যকে গুণগত করা যাবে। এতে ভোক্তাদের আগ্রহ বাড়বে। ফলে এর প্রভাব পড়বে হাট-বাজারে। সেই সাথে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

খুলনার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে কৃষি উদ্যোক্তা, কৃষক ও ব্যবসায়ীসহ ৩০ জন অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১১, ২০২২ ৭:৫৮ অপরাহ্ন
সারে ভুগছেন আলু চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

রাজশাহীতে অতিরিক্ত দাম দিয়ে পটাশ সার কিনতে হচ্ছে চাষিদের। ৭৫০ টাকা মূল্যের এক বস্তা পটাশ সার খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে এক হাজার ১৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। তার পরেও চাহিদা মতো সার পাচ্ছেন না কৃষকরা।

ফলে এবার আলু চাষ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবার সার পেলেও অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হওয়ায় আলু চাষ করে কৃষকরা কতটুকু লাভবান হবেন—তা নিয়েও তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রমতে, এ বছর রাজশাহীতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে, যা গত বছর ছিল ৩৮ হাজার ৫৪৩ হেক্টর। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার এক হাজার ৩৬৩ হেক্টর জমিতে আলু চাষ কম হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগ থেকে আলু চাষ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে রাজশাহীতে ১৮৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। চলতি নভেম্বর মাসজুড়েই আলু চাষের তোড়জোড় চলবে।

সেই হিসেবে হাতে যে কয়েক দিন সময় আছে, তাতেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ে যাবে বলেও আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

সারা দেশের মধ্যে আলু চাষে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহীর তানোর। এ উপজেলার আমশো গ্রামের কৃষক তুষার আহমেদ বলেন, ‘এ বছর আমি পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করব। এরই মধ্যে জমি প্রায় ঠিকঠাক করেছি। কিন্তু পটাশ সার ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না।আলু চাষের জন্য পটাশই বেশি লাগে। সম্প্রতি এক হাজার ২০০ টাকা দরে পাঁচ বস্তা সার কিনেছি।’

তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ বলেন, ‘সারের কিছুটা সংকট আছে।’

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা উম্মে সালমা জানান, ‘সারের কোনো সংকট নেই।’

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop