১:২০ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ২৭, ২০২২ ১১:১৫ অপরাহ্ন
ঝালকাঠির নলছিটিতে ব্রি ধান ৭৪’র মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ঝালকাঠির নলছিটিতে ব্রি ধান ৭৪’র প্রদর্শনী প্লটের নমুনা শস্য কর্তন ও কৃষক মাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ উপজেলার রায়াপুর গ্রামে উপজেলা কৃষি অফিস ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা উইং’র অতিরিক্ত সচিব জনাব কমলারঞ্জন দাশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য  বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা  মো. রফি উদ্দিন এবং ঝালকাঠির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নলছিটির উপজেলা কৃষি অফিসার ইসরাত জাহান মিলি, ব্রির ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. প্রিয় লাল বিশ্বাস , কৃষি  সম্প্রসারণ অফিসার আলী আহমেদ, কৃষক আলি আকবর মিয়া প্রমুখ ।

প্রধান অতিথি জিংক সমৃদ্ধ ধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এসব জাতের ধানের আবাদ বাড়ানোসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদে কৃষকদের আহবান জানান । মাঠ দিবসে শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন ।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৬, ২০২২ ৮:০৮ অপরাহ্ন
সনাতন কৃষি আধুনিক কৃষিতে রূপান্তরিত হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী বলেন, যান্ত্রিকীকরণে বিশাল ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, অ্যাগ্রো-প্রসেসিং, ফসলের উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল কৃষিতে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ফলে, সনাতন কৃষি আধুনিক কৃষিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে ‘কৃষির রূপান্তর’ শীর্ষক সেশনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব উদ্যোগের ফলে বিগত ১৩ বছরে দেশের কৃষিতে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে। যে দেশটি একসময় খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসাবে বিশ্বে পরিচিত ছিল তা আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বর্তমান কঠিন বৈশ্বিক পরিস্থিতিতেও দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয়নি।

দেশে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করতে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনা, খরা, লবণাক্ততাসহ বিভিন্ন প্রতিকূল এলাকায় ফসলের চাষ, শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি, বেশি উৎপাদনশীল জাতের উদ্ভাবন ও চাষ, ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহনশীল কৃষির জন্য কাজ করা হচ্ছে।

এ সেশনে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেদারল্যান্ডসের ওজেনিনজেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চের প্রেসিডেন্ট লুইসি ফ্রেসকো। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার। এসময় ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউভেন, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র রুরাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট ক্রিশ্চিয়ান বার্জার উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৬, ২০২২ ৭:৫৪ অপরাহ্ন
ট্রাক ভিড়িয়ে মেহেরপুরে গরু চুরি
কৃষি বিভাগ

গরু পালনকারীর বাড়ির পাশে ট্রাক ভিড়িয়ে গরু নিয়ে গেছে চোরেরা। কোরবানীর পশু বাজার সামনে রেখে এ ধরনের চুরির ঘটনায় গরু পালনকারীদের মনে নতুন আতংক সৃষ্টি হয়েছে।

গাংনী পৌরসভার পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের আশরাফুল ইসলামের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ভোরে এ চুরি হয়। এদিন রাতে তারা গোয়ালে গরু রেখে ঘুমিয়ে ছিলেন। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গাংনী বাজারের ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি আশরাফুল নিজ বাড়িতে কয়েকটি গরু পালন করেন।

ভোরের দিকে তার বাড়ির পাশে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের উপরে বালূ গাদার কাছে একটি ট্রাক এসে থেমে যায়। ট্রাক থেকে নেমে চোর দলের কয়েকজন আশরাফুলের বাড়ি থেকে একটি এঁড়ে গরু নিয়ে ট্রাকে তোলে। এরপরে বাছুরসহ একটি গাভী নিয়ে ট্রাকে তোলার চেষ্টা করে। তবে চোরদের হাত থেকে ছিটকে দৌড়ে পালিয়ে যায় গাভী আর বাছুর। এসময় ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায় চোরেরা। চুরি হওয়া গরুর আনুমানিক মূল্য ৭০ হাজার টাকা বলে জানান এর মালিক।

এদিকে ট্রাক নিয়ে চোরেরা সটকে পড়ায় বিষয়টি জানতে পারে আশরাফুল। এভাবে ট্রাকে করে গরু চুরি করায় বিষয়টি কেউ ধরতে পারেনি। ট্রাক যখন রাস্তায় থামে তখন আশেপাশের লোকজন টের পেলেও তারা ভেবেছিলেন বালু নিতে এসেছে। ফলে চোর সন্দেহ হয়নি স্থানীয়দের। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আঃ রাজ্জাকের মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হলে তার সরকারি নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৬, ২০২২ ৭:৪৬ অপরাহ্ন
ভবিষ্যতের সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখুন
কৃষি বিভাগ

ব-দ্বী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন,

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ নিয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ‘ইনস্টিটিউশনাল চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস উইথ ইন্টারন্যাশনাল লেসন’ বিষয়ক প্যানেল ডায়ালগে বিভিন্ন অংশীজনদের আলোচনার প্রেক্ষিতে এ আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন, যা সারাবিশ্বের কাজে আসবে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বিশ্ববাসী উপকৃত হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অসাধারণ ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলে আমাদের কর্তব্য। এ জন্য শুধু পরিকল্পনা প্রণয়নই যথেষ্ট নয়, পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকার আইন প্রণয়ন করবে। ব-দ্বীপ আইন কার্যকর হলে এ বিষয়টির সাংবিধানিক ভিত্তি তৈরি হবে।

No description available.

তিনি আরো যোগ করেন, সুনীল অর্থনীতি বিকাশ এখন আমাদের লক্ষ্য। সমুদ্র সম্পদ তথা মৎস্যসম্পদ, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি আহরণ সুনীল অর্থনীতি বিকাশে সহায়তা করবে। যা পরবর্তী প্রজন্ম এবং সারাবিশ্বের কাজে লাগবে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে অর্থায়ন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আমাদের ব-দ্বীপ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায অব্যাহত থাকবে। অবশ্যই বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়ন করবে।

সারাবিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও একসাথে কাজ করার ব্যাপারে এ সময় গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নে আগামী দিনে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা তুলে ধরেন এবং এক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়া সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এর রিজিওনাল ডাইরেক্টর জন রুম এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিএইসিডি) এর অধ্যাপক ড. সালেমুল হকের সঞ্চালনায় প্যানেল ডায়ালগে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. মো. কাউসার আহাম্মেদ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৫, ২০২২ ১১:০১ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশে কম্বাইন হারভেস্টার তৈরির আগ্রহ ইয়ানমারের
কৃষি বিভাগ

জাপানের কৃষিযন্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইয়ানমার বাংলাদেশে ধান কাটার যন্ত্র বা কম্বাইন হারভেস্টার তৈরির কারখানা স্থাপনের আগ্রহ জানিয়েছে। দেশের এসিআই মটর্সের সাথে যৌথ উদ্যোগে এ কারখানা স্থাপন করবে ইয়ানমার।

২৪ মে ২২ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপির সাথে ইয়ানমারের আন্তর্জাতিক বিজনেস হেড সোগো ডেট এর নেতৃত্বে ইয়ানমার ও এসিআই মটর্সের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এ তথ্য জানান হয়।

প্রতিনিধিদল জানান, দেশে ইয়ানমার ব্র্যান্ডের কম্বাইন হারভেস্টার অনেক জনপ্রিয় ও চাহিদাও বেশি। এটিকে বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয়ভাবে কম্বাইন হারভেস্টার তৈরি ও সংযোজন করার উদ্যোগ নিয়েছে ইয়ানমার ও এসিআই মটর্স। ২০২৪ সালের শুরুতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে যাওয়ার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান আন্তর্জাতিক বিজনেস হেড সোগো ডেট।

এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষি শ্রমিকের ঘাটতি দিন দিন প্রকট হচ্ছে। এ মুহূর্তে বোরো ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া, সনাতন পদ্ধতির কৃষিতে ফসল উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি ও সময় সাপেক্ষ। সেজন্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কাজ করছে। সারাদেশে ৫০% ও হাওর-উপকূলীয় এলাকায় ৭০% ভর্তুকিতে কৃষকদেরকে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরি ও সংযোজনে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। ইয়ানমারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনে ইয়ানমারকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

বৈঠকে ইয়ানমারের আন্তর্জাতিক বিজনেস প্রতিনিধি ইতো সান, আন্তর্জাতিক সার্ভিস প্রতিনিধি মিৎসুমি সান, এসিআই মটর্সের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৪, ২০২২ ৭:১০ অপরাহ্ন
উচ্চ ফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবনে কৃষি বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে- বিএআরআই পরিচালক
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ কৃষির উন্নয়নে উচ্চ ফলনশীল রোগ প্রতিরোধী জাত এবং নয়া লাগসই-টেকসই প্রযুক্তির উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীদের নিরলস ভাবে কাজ করতে হবে এবং জাত-প্রযুক্তিগুলো কৃষি সম্প্রসারণ এবং সরেজমিন গবষণা বিভাগের মাধ্যমে কৃষকের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএআরআই উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোছাম্মৎ সামছুন্নাহার।

চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষি বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে দুই দিন ব্যাপী গবেষণা সম্প্রসারণ-পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএআরআই উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোছাম্মৎ সামছুন্নাহার এই কথা বলেন।

উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার ড. মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন সঞ্চালনায় এবং মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জুলফিকার আলী ফিরোজ সভাপতিত্ত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ মো. মোফাজ্জল করিম, অতিরিক্ত পরিচালক, চট্টগ্রাম অঞ্চল, ড. মুহাম্মদ মহী উদ্দীন চৌধুরী, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. মো. মসিউর রহমান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রমুখ।

আজ ২৪ মে  উক্ত কর্মশালায় দুইটি কারিগরি অধিবেশনের মধ্যে কৃষিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভাবনা নিয়ে কৃষি বিভাগের কৃষি গবেষণা, ধান গবেষণা, পরমাণু কৃষি গবেষণা, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন, সুগার ক্রপ গবেষণা, ফলিত পুষ্টি গবেষণা, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশান এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী,নোয়াখালী, লক্ষীপুর, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, চট্টগ্রাম, হর্টিকালচার সেন্টার, রামু, ঝিলংজা, হাটহাজারীসহ এনজিও প্রতিনিধিরা কৃষির বিভিন্ন বিষয়ের উপর অর্ধ শতাধিক উপস্থাপনা করেন।

উক্ত কারিগরি অধিবেশনে বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী হিসেবে ড. মোহাম্মদ আমীন সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ফল বিজ্ঞানী ড. মনোরঞ্জন ধর সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মশালায় প্রায় অর্ধ শতাধিক বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা বিজ্ঞানী উপস্থিত থাকবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৩, ২০২২ ৪:১৬ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীতে চিনা বাদামের বাম্পার ফলন, খুশি কৃষকেরা
কৃষি বিভাগ

সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ব্যবহারে পটুয়াখালীতে চিনা বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে কিটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই পোকার আক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। ফলে নিশ্চিত হচ্ছে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন।

সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি কম বখরচে অধিক ফসল ফলানো সম্ভব হয়েছে। এই পদ্ধতি কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন বেসরকাররি উন্নয়ন সংস্থা।

পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের উর্বর বেলে মাটিতে বাদামের ভালো ফলন হচ্ছে। তবে বাদাম চাষে পোকামাকড়ের আক্রমণ হওয়ায় কৃষক বিভিন্ন সময় ক্ষতির মুখে পড়ছেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় চাষাবাদে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির প্রয়োগ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের।

ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় চীনা বাদাম ক্ষেতে আঠাঁলো ফাঁদ, ফেরোমন ফাঁদ, পাচিং এসওপি এবং বায়োপেস্টিসাইড ব্যবহার করা হচ্ছে।

পটুয়াখালী সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মাধ্যমে কিভাবে পোঁকা দমন করা যায় সেই পদ্ধতিটি আমরা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছি।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, আধুনিক ও কীটনাশকমুক্ত এসব পদ্ধতিতে চাষাবাদ ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষকরা যেমন অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারবেন তেমনি বাদাম চাষে তাদের আগ্রহ বাড়বে। এতে করে বাদাম থেকে তেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৩, ২০২২ ১:০৫ অপরাহ্ন
হাটহাজারীতে শুরু হচ্ছে দুই দিন ব্যাপী কৃষি গবেষণা-সম্প্রসারণ-পর্যালোচনা ও কর্মসূচি বিষয়ক আঞ্চলিক কর্মশালা
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু: চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষি বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে দুই দিন ব্যাপী সম্প্রসারণ-পর্যালোচনা ও কর্মসূচি বিষয়ক কর্মশালা ২৪ মে হাটহাজারীস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ড. মোছাম্মৎ সামছুন্নাহার পরিচালক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোফাজ্জল করিম ও নোয়াখালী সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মহী উদ্দিন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করবেন হাটহাজারী আরএআরএস এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জুলফিকার আলী ফিরোজ।

কৃষিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভাবনা নিয়ে কৃষি বিভাগের কৃষি গবেষণা, ধান গবেষণা, পরমাণু কৃষি গবেষণা, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন, সুগার ক্রপ গবেষণা, ফলিত পুষ্টি গবেষণা, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশান এবং কৃষি সসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী,নোয়াখালী, লক্ষীপুর, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, চট্টগ্রাম, হর্টিকালচার সেন্টার, রামু, ঝিলংজা, হাটহাজারী সহ এনজিও প্রতিনিধিরা এই কর্মশালায় উপস্থিত থাকবেন।

তিনটি কারিগরি অধিবেশনে এই কর্মশালায় প্রায় অর্ধ শতাধিক বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা বিজ্ঞানী উপস্থিত থাকবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২২, ২০২২ ৬:৫৪ অপরাহ্ন
বরিশালে ডাল-তেল-মসলা উৎপাদন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ নগরীর ব্রির হল রুমে ডিএই’র উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. ফ. ম. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএই বরিশালের উপ-পরিচালক মো. হরুন-অর-রশীদ এবং কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

পটুয়াখালী সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মার্জিন আরা মুক্তার সঞ্চালনায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএই ঝালকাঠির উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, ডিএই উপ-পরিচালক পটুয়াখালীর একেএম মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম পরিচালক একেএম ড. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী শিরিন আক্তার, হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, ডিএই পটুয়াখালীর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম মল্লিক, ডিএই বরগুনার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এস এম বদরুল আলম, ডিএই বরিশালের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সাবিনা ইয়াসমিন, ডিএই ঝালকাঠির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. রিফাত সিকদার, ডিএই ভোলার জেলা অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এস.এম. মিজান মাহমুদ, নাজিরপুরের উপজেলা কৃষি অফিসার দিগবিজয় হাজরা, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাজি উদ্দিন, ভোলা সদরের কৃষক আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, ধানসহ অন্যান্য ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও ডাল, তেল, মসলায় আমাদের ঘাটতি আছে। তাই এর উৎপাদন বৃদ্ধি করা জরুরি। এ জন্য উচ্চ ফলনশীল জাত ব্যবহার করা দরকার। সেই সাথে জমির পরিমাণ বাড়ানোর দিকেও নজর রাখতে হবে। তাহলেই আমদানি নির্ভরতা কমবে। দেশ হবে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত।

কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং কৃষক মিলে ১০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২১, ২০২২ ১:৩৫ অপরাহ্ন
গাইবান্ধায় বোরো ধান কর্তনে শ্রমিক সংকট, বিপাকে কৃষক
কৃষি বিভাগ

বৈশাখের টানা বৃষ্টি আর অন্যদিকে শ্রমিক সংকটে বিপাকে পড়েছেন গাইবান্ধার বোরো ধানের চাষিরা। পাকা ধান ঘরে তোলার জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েও কাটছে না শ্রমিক সংকট।

একদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, অন্যদিকে ধান কাটা-মাড়াইয়ের জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক না পাওয়ায় চোখের সামনেই নষ্ট হচ্ছে কৃষকের পাকা ধান। এ অবস্থায় সরকারিভাবে ধান কাটার হারভেস্টার যন্ত্র সরবারহের দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা।

কৃষিবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবছর গাইবান্ধার সাত উপজেলায় এক লাখ ২৭ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৪৫১ মেট্রিক টন।

কৃষকেরা বলছেন, টানা বৃষ্টি ও শ্রমিক না পাওয়ায় ধান মাঠ থেকে ঘরে তুলতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। দ্বিগুণ বেতনেও পাওয়া যাচ্ছে না শ্রমিক। সঠিক সময়ে ধান তুলতে না পারলে বড় লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

ভবিষ্যতে এমন সংকট এড়াতে এবং চাষাবাদের খরচ কমাতে এখন থেকে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় জেলায় সরকারিভাবে হারভেস্টার মেশিনসহ কৃষি যন্ত্রের সরবারহ বাড়ানোর দাবি চাষীদের।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop