৫:৪৫ অপরাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ৯:৩১ পূর্বাহ্ন
গরু ‍মোটাতাজা করতে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

গরু মোটাতাজাকরণে ইনজেকশন কিংবা গ্রোথ হরমোন ছাড়া কোন বাস্তবসম্মত উপায় নাই বলে অনেকের ধারণা। কিন্তু এ্টি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং ইনজেকশনের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগে গরু মোটাতাজাকরণ ও সেই মাংস ভক্ষণ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এন্টিবায়োটিক কিংবা গ্রোথ হরমোনের ব্যবহার ছাড়াই জৈব পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণে জোর দিতে হবে।

জৈব পদ্ধতিতে গরুমোটাতাজাকরণ করার জন্য চাই খামারীর ইচ্ছাশক্তি আর সৎ উদ্দেশ্য তাহলেই বিভিন্ন এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার ব্যাতিত গরু মোটাতাজাকরণ করা সম্ভব। সেজন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করলেই চলবে।

মূলত গরুমোটাতাজাকরণ বলতে অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য ২ থেকে ৩ বছর বয়সের শীর্ণকায় গরুকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় খাদ্য সরবরাহ করে হৃষ্টপুষ্ট গরুতে রূপান্তরিত করাকেই বুঝায়।

গরু মোটা তাজা করণের গুরুত্বঃ
দারিদ্রতা হ্রাসকরণ, অল্প সময়ে কম পুঁজিতে অধিক মুনাফা অর্জন, অল্প সময়ের মধ্যে লাভসহ মূলধন ফেরত পাওয়া, প্রাণীজ আমিষের ঘাটতি পূরণ, স্বল্পমেয়াদি প্রযুক্তি হওয়ার কারণে পশু মৃত্যুর হার কম, কৃষিকার্য হতে উৎপাদিত উপজাত পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে সহজেই মাংস উৎপাদন করা, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আয় বৃদ্ধি করা প্রভৃতি।

মোটা তাজা করণের সঠিক সময়:
বয়সের উপর ভিত্তি করে সাধারণত ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে গরু মোটাতাজাকরণ করা যায়। অনেক সময় ৫ থেকে ৬ মাসও সময় লাগতে পারে। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য সুবিধাজনক সময় হচ্ছে বর্ষা এবং শরৎকাল যখন প্রচুর পরিমাণ কাঁচাঘাস পাওয়া যায়। চাহিদার উপর ভিত্তি করে কোরবানী ঈদের ৫ থেকে ৬ মাস পূর্ব থেকে গরুকে উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা দিয়ে মোটাতাজাকরণ লাভজনক।

স্থান নির্বাচন:
গরু রাখার স্থান নির্বাচনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে:

১। শুষ্ক ও উঁচু জায়গা হতে হবে, যাতে খামার প্রাঙ্গণে পানি না জমে থাকে।

২। খোলামেলা ও প্রচুর আলো বাতাসের সুযোগ থাকতে হবে।

৩। খামারে কাঁচামাল সরবরাহ ও উৎপাদিত দ্রব্যাদি বাজারজাতকরণের জন্য যোগাযোগ সুবিধা থাকতে হবে।

৪। পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকতে হবে।

৫। সুষ্ঠু পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে।

গরু নির্বাচন:
উন্নত দেশের মাংসের গরুর বিশেষ জাত রয়েছে। বিদেশি গরুর জন্য উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। তাই দেশীয় গরু মোটাতাজাকরণ অলাভজনক। ২ থেকে ২.৫ বছরের গরুর শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন মোটাতাজাকরণের জন্য বেশি ভাল। এঁড়ে বাছুরের দৈহিক বৃদ্ধির হার বকনা বাছুরের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তবে বাছুরের বুক চওড়া ও ভরাট, পেট চ্যাপ্টা ও বুকের সাথে সমান্তরাল, মাথা ছোট ও কপাল প্রশস্ত, চোখ উজ্জ্বল ও ভেজা ভেজা, পা খাটো প্রকৃতির ও হাড়ের জোড়াগুলো স্ফীত, পাজর প্রশস্ত ও বিস্তৃত, শিরদাড়া সোজা হতে হবে।

গরুর খাদ্যের ধরণ:
খাদ্যে মোট খরচের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ব্যয় হয়। তাই স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত খাদ্য দ্বারা খরচ কমানো সম্ভব। এজন্য গরু মোটাতাজাকরণের একটি সুষম খাদ্য তালিকা নিচে দেওয়া হল:

ক) শুকনো খড়: দুই বছরের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনো খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে একরাত লালীগুড়/চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে প্রতিদিন সরবরাহ করতে হবে।

পানি: চিটাগুড় = ২০ : ১।

খ) কাঁচাঘাস: প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি তাজা ঘাস বা শস্যজাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কালাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি সরবরাহ করতে হবে।

গ) দানাদার খাদ্য: প্রতিদিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যে তালিকা দেওয়া হল:১. গম ভাঙা/গমের ভূসি-৪০ কেজি; ২. চালের কুঁড়া-২৩.৫ কেজি; ৩. খেসারি বা যেকোনো ডালের ভূসি-১৫ কেজি: ৪. তিলের খৈল/সরিষার খৈল-২০ কেজি; লবণ-১.৫ কেজি। তাছাড়াও বিভিন্ন রকমের ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি হচ্ছে ৩৯ ভাগ চিটাগুড়, ২০ ভাগ গমের ভূসি, ২০ ভাগ ধানের কুঁড়া, ১০ ভাগ ইউরিয়া, ৬ ভাগ চুন ও ৫ ভাগ লবণের মিশ্রণ।

রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:
ক. প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পশুর গা ধোয়াতে হবে;

খ. গো-শালা ও পার্শ্ববর্তী স্থান সর্বদা পরিস্কার রাখতে হবে:

গ. নিয়মিতভাবে গরুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে;

ঘ. বাসস্থান সর্বদা পরিস্কার রাখতে হবে।

ঙ. স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিমিত পরিমাণে পানি ও সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে।

চ. রোগাক্রান্ত পশুকে অবশ্যই পৃথক করে রাখতে হবে।

ছ. খাবার পাত্র পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

জ. খামারের সার্বিক জৈব নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে।

ঝ. পশু জটিল রোগে আক্রান্ত হলে পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বাজারজাতকরণ:
মোটাতাজাকরণ গরু লাভজনকভাবে সঠিক সময়ে ভাল মূল্যে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থাগ্রহণ হচ্ছে আরেকটি উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়। বাংলাদেশে মাংসের জন্য বিক্রয়যোগ্য গবাদিপশুর বাজারমূল্যেও মৌসুমভিত্তিক হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। কাজেই একজন প্রতিপালককে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য অবশ্যই গরুর ক্রয়মূল্য যখন কম থাকে তখন গরু ক্রয় করে বিক্রয়মূল্যের উর্ধ্বগতির সময়ে বিক্রয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণত কোরবানীর ঈদের সময়ে গরুর মূল্য অত্যাধিক থাকে এবং এর পরের মাসেই বাজার দর হ্রাস পায়। তাই এখন গরু মোটাতাজাকরণের উপযুক্ত সময় এবং কোরবানীর সময় তা বিক্রি করে দেওয়া ভাল।
সূত্র: আজকের কৃষি

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০, ২০২২ ৬:২৫ অপরাহ্ন
পোল্ট্রি ফার্মে আনোয়ার শীট, খামারির ব্যবসা হিট
পোলট্রি

সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রাণিজ আমিষ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আর আমিষের ঘাটতি মেটাতে পোল্ট্রি শিল্প রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিকাশমান এ শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য সরকারি সহযোগিতার কারনে দিন দিন এই খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে।

ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জ ও ধামরাই এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের খামার। এই
সব খামারে উৎপাদিত ডিম ও মাংস স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারজাত হচ্ছে রাজধানী ঢাকায়। কিন্তু আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনার উপর অনভিজ্ঞতা ও পর্যাপ্ত টেইনিং এর অভাবে সফলতার পাশাপাশি অনেকেই লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছেন।

নিজের খামারে মোঃ আরিফ হোসাইন মুরগি পালনে লাভবান হতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে খামার ব্যবস্থাপনা। যে খামারে ম্যানেজমেন্ট যত ভালো সেই খামারে রোগ বালাই কম হয়, মুরগি সুস্থ থাকে আর নির্দিষ্ট সময়ে সর্বোচ্চ ওজন আসে এবং ডিমের উৎপাদন ও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু খামারে ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন সিজনে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তীব্র গরমে মুরগিকে হিট স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে অনেক খামারেই দেখা যায় বাড়তি ফ্যানের ব্যবস্থা করতে, টিনের চালায় পাটের বস্তা দিয়ে তাতে পানি স্প্রে করে ভেতরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন অনেক খামারী। আবার শীতকালে কুয়াশা জমে চাল থেকে পানি চুইয়ে যেন খামারের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না সেজন্য ও খামারিকে বিশেষ সতর্ক থাকতে হয়, কারন টিনের চাল থেকে টিপটিপ করে কুয়াশা চোয়ার কারনে খামারে লিটার ভিজে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায় ফলে নান রকম সংক্রামক
রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

বাস্তবতা হচ্ছে বিভিন্ন সিজনের সাথে তাল মিলিয়ে খামার ব্যবস্থাপনা করা যথেষ্ট কঠিন। তাই গ্রীষ্ম, বর্ষা কিংবা শীক আবহাওয়া যাই হোক না কেন, মুরগির খামারে দরকার এমন এক ব্যবস্থাপনা যেন সব সিজনেই মুরগি থাকে সুরক্ষিত, রোগ বালাই মুক্ত এবং ডিম ও মাংসের উৎপাদন থাকে সর্বোচ্চ। আর এর জন্য ভালো সমাধান হতে পারে আনোয়ার শীট যা সব সিজনেই খামার ব্যবস্থাপনার জন্য ফিট।

খামারে আনোয়ার শীট ব্যবহারকারী ঢাকার কেরানিগঞ্জের খামারি আরিফ হোসাইন এগ্রিভিউ২৪.কম কে জানান, প্রায় বিশ হাজার মুরগির খামার তার, দুই বছর আগে খামার শুরু করেছেন, শুরু থেকেই তিনি আনোয়ার শীট ব্যবহার করছেন।

আনোয়ার শীট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিভিন্ন জনের সাথে পরামর্শ করেই আমি প্রথম থেকেই আনোয়ার শীট ব্যবহার করছি ফলে অন্যান্য খামারের তুলনায় ভালো ফল পাচ্ছি।

খামার ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুব বেশি অভিজ্ঞতা না থাকলেও এই শীটের জন্য ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হয়ছে আমার জন্য। এই দুই বছরে যত সিজন গিয়েছে তাতে দেখলাম যে সব সিজনের
জন্যই আনোয়ার শীট ঠিক আছে, বিশেষ করে গরমকালে খামারের ভেতর ঠান্ডা রাখতে এবং শীতকালে খামারের ভিতর উষ্ণ রাখতে আনোয়ার শীট ভূমিকা অনেক বেশি, ফলে মুরগির
মারা যাওয়ার তেমন কোন রেকর্ড নেই আবার খামারে বাড়তি কোন ঝামেলা করতে হয় না। তাই সব দিক থেকেই আনোয়ার শীট লাভজনক।

ঢাকার ধামরাইয়ের খামারি দেলওয়ার হোসাইনের ১৩ বছর ধরে মুরগির খামার করছেন, প্রায়।৩৫ হাজার মুরগির খামার তার। গত ১০ বছরে দুই বার শেড পরিবর্তন করতে হয়েছে। পুরাতন টিনের শেড পরিবর্তন করে গত ১০ মাস ধরে খামারে ব্যবহার করছেন আনোয়ার শীট।

খামার ব্যবস্থাপনায় দক্ষ এই খামারি এগ্রিভিউ২৪.কম কে জানান, আগে গরমের সময় প্রচুর মুরগি মারা যেত, অনেক পরিশ্রম করেও খামারে মর্টালিটি কমাতে পারতাম না। এমতাবস্থায় আমাদের এখানে আনোয়ার শীটের ডিলার মো. মালেক ভাইয়ের পরামর্শে খামারে আনোয়ার শীট ব্যবহার শুরু করি।

মোট মুরগি ৩৫ হাজার, এর মাঝে ২৫ হাজার মুরগির শেডে আনোয়ার শীট ব্যবহার শুরু করলাম, ফলাফল হাতে নাতেই পেলাম। এই গরমের সিজনে মর্টার্লিটি অনেক কম হয়েছে, খামারের ভেতর ঠান্ডা থাকায় বাড়তি যত্ন নিতে হচ্ছে না, আবার শীতকালে কুয়াশার পানিও ভেতরে প্রবেশ করছে না । এতটা ভালো ফলাফল পাবো কখনই ভাবি নাই, মুরগির জন্য একেবারেই উপযুক্ত আনোয়ার শীট।

“আনোয়ার শীট এ মুরগি সবল ব্যবসা সফল ” এই স্লোগানটি এখন খামারিদের কথাতেই স্পষ্ট হচ্ছে। তাই সর্বোত্তম খামার ব্যবস্থাপনা এবং সর্বোচ্চ লাভ নিশ্চিত করতে আত্মবিশ্বাসের সাথে ব্যবহার করতে পারেন আনোয়ার শীট বলছেন স্থানীয় ব্যবহারকারী খামারিরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৬, ২০২২ ১:৩২ অপরাহ্ন
গরু পালন করে লাখপতি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফাহিম
প্রাণিসম্পদ

কুড়িগ্রামে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ফাহিম ফেরদৌস, গরু পালন করে হয়েছেন লাখপতি। সমাজ ও পরিবারের বোঝা না হয়ে তৈরি করেছেন নিজের আত্মকর্মসংস্থানের পথ।

ফাহিম ফেরদৌস কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কালে মৌজা গ্রামের দিনমজুর ফজলার রহমানের ছেলে। প্রতি বছর ৩ থেকে ৪টি গরু বিক্রি করার পরও এখন তার খামারে রয়েছে ৬টি গরু। বর্তমানে গরুগুলোর দাম প্রায় তিন লাখ টাকা।

জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কালে মৌজা গ্রামের দিনমজুর মো. ফজলার রহমানের ছেলে ফাহিম ফেরদৌস ( ২২)। বাবার অভাবের সংসারে তিনভাই বোন মিলে কষ্টে দিন কাটে তার। বাকি ভাই বোন লেখাপড়া শিখলেও অন্ধ ফাহিমের কাটে বন্ধ ঘরে। সাত বছর বয়সে দুচোখের দৃষ্টিশক্তি হারায় ফাহিম ফেরদৌস।

উন্নত চিকিৎসার অভাবে আর ফিরে পায়ননি চোখের আলো। তার বয়স এখন ২২ বছর। সন্তানের ভবিষ্যৎ আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মায়ের কপালে পড়ে চিন্তার ভাঁজ। ফাহিম বাবা-মায়ের কাছে আবদার করে একটি গরু কিনে দেওয়ার জন্য। সন্তানের কথা মতো অনেক কষ্টে একটি গরু কিনে দেন বাবা দিনমজুর ফজলার রহমান। একটি গরু থেকে ফাহিমের খামারে এখন ৬টি গরু।

ঘুম থেকে উঠেই শুরু হয় ফাহিমের ব্যস্ততা। গরুকে খাবার দেওয়া, গোসল করানো, অসুস্থ গরুর সেবা করা, খড় কাটা এসব করেই তার দিন কাটে। এছাড়া মায়ের কাজেও সহযোগিতা করে সে। দৃষ্টিশক্তি না থাকলেও সমাজের আর দশজন স্বাভাবিক মানুষের মতো চলাফেরা করে সে। তার খামার থেকে প্রতি বছর ৩-৪টি গরু বিক্রি করে পরিবারের চাহিদা পূরণ করেন ফাহিম।

ফাহিম ফেরদৌস জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে গরুর দেখাশোনা শুরু হয়। গরুকে খাবার দেওয়া, খড় দেওয়া মায়ের কাজে সহযোগিতা করে সময় কাটে। আমি অন্ধ হলেও মায়ের ভালোবাসা সহযোগিতায় এতটুকু অর্জন করতে পেরেছি। মা না থাকলে হয়তো ভিক্ষা করে খেতে হত।

প্রতিবেশীর জানান, ফাহিম ভালো ছেলে। সে সারাদিন পরিশ্রম করে। আমরা সবসময় ফাহিমের মঙ্গল কামনা করছি। ফাহিমকে দেখে এলাকায় আরো ৪-৫ জন খামার করে ভালো আয় করতে পেরেছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ইউনুছ আলী জানান, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে গরুর খামার করে ফাহিম যে কাজটি করেছে এর জন্য শুভকামনা জানাই। ফাহিমের মতো এভাবে উদ্যোক্তা তৈরি হলে বেকারত্ব নির্বাসনে যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৫, ২০২২ ৮:০৫ অপরাহ্ন
নতুন খামারিদের যে বিষয়গুলো জানা থাকা দরকার
প্রাণিসম্পদ

গরুর খামার লাভজনক হওয়াতে বর্তমানে অনেকে খামারে দিকে ঝুঁকছেন। তবে,ত এই খামার করতে হলে ‍জানা থাকা দরকার অনেকগুলো বিষয়। কারণ নতুন খামারিরা খামার শুরু করতে গিয়ে বেশ কিছু সমস্যার মাঝে পড়েন। যা থেকে উত্তোরণ না হলে খামারে লাভের মুখ দেখা কষ্টকর হয়ে পড়বে তাদের জন্য।

নতুন খামারিদের যে বিষয়গুলো জেনে রাখা জরুরী:
খামার করার আগে ভাবুন সেই কাজটি আপনার জন্য কতটুকু সহনশীল, খামারের প্রতি কতখানি আপনার রুচিবোধ আছে সেই প্রশ্নের উওর খুঁজে বের করুন। উওর “না” আসলে খামার করার দরকার নেই।

খামার করার শুরুতেই নিজে খামারে পরিশ্রম করার চেষ্টা করুন, ৪/৫ টা গরুর জন্য রাখাল রাখার চিন্তা পরিহার করুন। আর রাখাল রেখে খামার করবেন তবে আপনার আয়ের চেয়ে ব্যয় যেনো না হয় সে দিকে নজর দিয়েন। নয়লে ব্যয় বেড়ে যাবে হতাশায় পড়ে যাবেন।

খামার করার আগে নূন্যতম ৩ মাস/ ৬ মাসের ট্রেনিং করুন ও কোন খামারে কিছু দিন সময় দেন অনেক অজানা বিষয় জানা হয়ে যাবে। শুরুতে বেশী দুধের গাভী না নেওয়াই ভালো ১৫–১৬ লিটার দুধের গাভী হলেই ভালো ৩/৬ মাস পালন করলে গাভীর অনেক আনুষাঙ্গিক বিষয় বুঝতে পারবেন তারপর বেশী দুধের গাভী নিয়েন

সততা ও নিষ্ঠার সাথে খামার পরিচালনা করছে এমন কয়েকজন ভালো মনের খামারীর সাথে কথা বলুন তাদের কথা শোনার পর আপনার পরিকল্পনার সাথে মিলান। তখন ঠান্ডা মাথায় আরো একবার ভাবুন তাদের কষ্ট কি আপনি করতে পারবেন কি না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ ৫:৫৫ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগত পরিপূর্ণতা আনা সরকারের লক্ষ্য: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগত পরিপূর্ণতা আনা সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) মিলনায়তনে ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ও প্রযুক্তি হস্তান্তর ২০২২ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। দুধে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও দেশে মাছ, মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই শুধু না কোন কোন ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত উৎপাদন হচ্ছে। এক সময় আমাদের লক্ষ্য ছিল উন্নয়ন বৃদ্ধি করা, এখন আমাদের লক্ষ্য শুধু উন্নয়ন নয়, টেকসই উন্নয়ন। মাংস,ডিম, মাছ, দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিই শুধু নয়, এ খাতে গুণগত পরিপূর্ণতা আনা আমাদের লক্ষ্য। যেটা টেকসই উন্নয়নের একটা অংশে পরিণত হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটানো, খাবারের চাহিদা পূরণ, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনয়ন, বেকারত্ব দূর করা ও উদ্যেক্তা তৈরিতে প্রাণিসম্পদ খাতের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে কৃষিজ জিডিপিতে এ খাতের অবদান ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। ১৯৭২ সালে দেশে জনপ্রতি দুধের প্রাপ্যতা ছিল ১৭ মিলিলিটার, বর্তমানে জনপ্রতি প্রাপ্যতা প্রায় ২০৮ দশমিক ৬১ মিলিলিটার। জনপ্রতি মাংসের প্রাপ্যতা ছিল ৪ দশমিক ৯৭ গ্রাম, যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ১৪৭ দশমিক ৮৪ গ্রাম। জনপ্রতি বছরে ডিমের প্রাপ্যতা ছিল মাত্র ৪ টি, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬ দশমিক ১ টিতে। এভাবে এ খাতে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ গবেষণাধর্মী কাজ। এর মাধ্যমে এ খাতের পরিসর বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।

প্রধান অতিথি আরও যোগ করেন, প্রাণিসম্পদ খাতের বিকাশে গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও এ প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। গবেষণার ফল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যম সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এ খাতের গবেষণা আরও গতিময় করতে হবে, গবেষণার গভীরে যেতে হবে। গতানুগতিক গবেষণা পরিহার করে গবেষণার সৃষ্টি যত দ্রুত সামনে আনা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে দেশে ও দেশের বাইরে আমাদের প্রতিভাবান মানুষদের প্রতিভার উন্মোচন করতে হবে।

যে গবেষণার সৃষ্টি মানুষের কাজে লাগবে সে গবেষণায় প্রাধান্য দিতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় আরও বলেন, সময়োপযোগী ও প্রয়োজনের নিরিখে গবেষণা করতে হবে। যে গবেষণা মানুষের কোন কাজে আসবে না তার দরকার নেই। গবেষণা হতে হবে বাস্তবমুখী। গবেষণার মাধ্যমে যেন রাষ্ট্র উপকৃত হয়, জাতি সমৃদ্ধ হয় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।

বিএলআরআই উদ্ভাবিত বিএলআরআই মিট চিকেন-১ সুবর্ণ এবং লবণসহিষ্ণু বিএলআরআই ঘাস-৫ প্রযুক্তি দুটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দেশে মাংসের চাহিদা অভাবনীয়ভাবে বেড়েছে। এ জন্য আমরা গবেষণাগার গুরুত্ব দিচ্ছি। বিএলআরআই মিট চিকেন-১ সুবর্ণ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন সৃষ্টি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এটি আমাদের বড় ধরনের সাফল্য। এ জাত দ্রুত বর্ধনশীল ও দেখতে অনেকটাই দেশি মুরগির মতো বিভিন্ন রংয়ের। এটি দেশি আবহাওয়ায় পালন উপযোগী ও অধিক মাংস উৎপাদনশীল একটি জাত। এর মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু। এ জাত সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এটি দেশীয় মুরগির চাহিদা মেটাতে পারবে। অপরদিকে লবণাক্ত ও উপকূলীয় অঞ্চলে লবণসহিষ্ণু বিএলআরআই ঘাস-৫ চাষের মাধ্যমে এসব অঞ্চলের প্রাণিসম্পদের জন্য খাদ্যের যোগান সহজ হবে।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিএলআরআই-এর পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত দেশে দক্ষতা অর্জন করতে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের বিকল্প নেই। দেশীয় জাত সংরক্ষণে বিএলআরআইকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবন করতে হবে।

দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ২০২১-২২ অর্থবছরে বিএলআরআই এর মোট ৭৩ টি গবেষণা কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিএলআরআই উদ্ভাবিত দেশি আবহাওয়ায় পালন উপযোগী ও অধিক মাংস উৎপাদনশীল বিএলআরআই মিট চিকেন-১ (সুবর্ণ) এবং লবণসহিষ্ণু বিএলআরআই ঘাস-৫ জাত দুটি প্রযুক্তি আকারে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিএলআরআই-এর সাবেক মহাপরিচালকগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্ত বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিএলআরআই-এর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১১, ২০২২ ৩:১৮ অপরাহ্ন
দেশী কবুতর পালন করতে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

দেশি কবুতরের বাসস্থান নির্মাণ ও পালন পদ্ধতি ভালোভাবে জেনেই কবুতর পালনে আসা উচিত। আমাদের দেশে অনেকেই শখের বসে আবার কেউ কেউ বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করে থাকেন। কবুতর পালন করার মাধ্যমে লাভবান হতে চাইলে বাসস্থান নির্মাণ ও পালন পদ্ধতি সঠিকভাবে জানা দরকার। আসুন আজকে জেনে নিব দেশি কবুতরের বাসস্থান নির্মাণ ও পালন পদ্ধতি সম্পর্কে-

দেশি কবুতরের বাসস্থান নির্মাণ ও পালন পদ্ধতিঃ 

বাসস্থানঃ

দেশি কবুতর খুব সহজে পালন করা যায়। প্রথমে আপনাকে কাক, বিড়াল, বৃষ্টির জল এসব থেকে মুক্ত একটি জায়গা বেছে নিতে হবে। বাড়ির ছাদে বা দেয়ালে কবুতরদের জন্য ঘর স্থাপন করতে হবে। মিস্ত্রি দ্বারা ছোট ছোট কাঠের বাক্স তৈরি করে নিবেন। মনে রাখবেন প্রতি জোড়া কবুতরের জন্য ২ টি ঘর বরাদ্দ রাখবেন। এর কারণ হল, অনেক কবুতর আছে যারা বাচ্চা থাকা অবস্থায় আবার ডিম দেয়, তাই ২ টা ঘর দরকার হয়। প্রতিটা ঘরের মাপ বেশ বড় রাখবেন। সকল ঘরের সামনে প্রশস্ত ল্যান্ডি  স্পট রাখবেন, প্রতি দুটো ঘর পর পর ল্যান্ডিং স্পটের উপরে একটি ব্যারিকেড দিবেন যাতে পাশাপাশি কবুতর জোড়ার মধ্যে ঝগড়া না হয়।

সবচেয়ে ভাল হয় কবুতর দের জন্য একটি আলাদা বড় ঘর করা। ঘরটা হতে পারে ১০০x৮০ বা ১৫০x১০০ ইঞ্চি অনুপাতে। ঘরটি বাড়ির ছাদেও হতে পারে বা বাড়ির সামনেও হতে পারে। ঘরে ঢালাই ছাদ দিলে সবচেয়ে ভাল। এছাড়া সিমেন্টের টিন বা টালি দেয়া যেতে পারে যাতে ঘরের ভেতর সূর্যের তাপ খুব বেশি না হয়। টিনের মধ্যে একটি নীল স্বচ্ছ টিন দিবেন এতে ঘরে আলো আসবে ভাল। ঘরে পর্যাপ্ত বাতাস যেন থাকে সেজন্য ঘরের যেকোনো ২ টা দেয়ালে বড় নেট দিবেন, এতে বাতাস চলাচল করবে। এটা ছাড়াও ঘরের উপরে চার দেয়ালেই ভেন্টিলেটর দিবেন।

আমরা বেশীরভাগ সময় কবুতরের ঘর স্বাস্থ্যসম্মত করতে পারিনা বলে খুব সহজে কবুতর রোগাক্রান্ত হয়। যারা গ্রামে থাকেন, তাঁরা অবশ্যই এই রকম বড় ঘরের মধ্যে কবুতর পালন করবেন, কেননা গ্রামে অনেক অসৎ চাষি জমিতে গম ও সরিষা লাগানোর সময় বীজে বিষ মেশায় যা খেয়ে কবুতর মারা যায়। এই সময় কবুতরদের নিরাপদে রাখার জন্য কবুতরদের ছেড়ে দেয়া যাবেনা।

পালন পদ্ধতিঃ 


বাজার থেকে কবুতর আনার পর প্রথম কাজটা হবে কবুতরকে পরিষ্কার করা। এর জন্য আপনি শুধু পানি দিয়েই স্প্রে করে গোসল করে দিতে পারেন। যদি পারেন তবে পানির সাথে পরিমাণ মতো জীবাণুনাশক যেমন ডেটল বা এ জাতিও কিছু মেশাতে পারেন। কবুতরের চোখে বা কানে যেন পানি না লাগে খেয়াল করবেন। এভাবে গোসল করানোর পর কবুতরগুলোকে ২/৩ দিন আলাদা করে রেখে দিন, এতে জীবাণু মরে যাবে।

তারপর আপনি সেগুলোকে আপনার লফটে আনবেন। যদি আপনার লফটে আগে থেকে কোন কবুতর না থাকে বা এটাই যদি শুরু হয় তবে সরাসরি লফটে রাখবেন। এর কবুতর লফটে নেয়ার আগে আপনার পুরো লফট জীবাণুনাশক দিয়ে আগে থেকে স্প্রে করে প্রস্তুত করে রেখে দিবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১১, ২০২২ ৩:০৬ অপরাহ্ন
ঘাটাইলে গরু চোর চক্রের ৬ সদস্য আটক
প্রাণিসম্পদ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জনতার হাতে আটক ৬ গরু চোরকে রবিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠিয়েছে ঘাটাইল থানা পুলিশ। উপজেলার ঘাটাইল সদর ইউনিয়নে কাইতকাইদ গ্রাম থেকে গরু চুরি করে পিকআপে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হয় ৬ গরু চোর। আটককৃত চোরদেরকে স্থানীয় জনগণ গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। 

আটটকৃত গরু চোররা হলো, জামালপুর সদর উপজেলার চরসি কর্নিপাড়ার জয়নুদ্দিনের ছেলে জয়নাল হোসেন (৩৮), নওগাঁ জেলার আইনিগর উপজেলার টুনশিয়ালা গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে নয়ন (২৯), ফরিদ জেলার বোলমারি উপজেলার বারদি গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. সাগর (২২), রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাগলা মালিবাড়ি গ্রামের লাল চানের ছেলে রহিম ওরফে অনিক (১৭), গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ভেলারায় গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে আমজাদ হোসেন (২৮) ও রংপুর জেলার পীরগাজা উপজেলার অনন্দনগর গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম (১৭)।

উদ্ধার হওয়া গরুর মালিক উপজেলার ঘাটাইল ইউনিয়নের কাইতকাই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি জানান, শুক্রবার রাতে তারা বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখছিলেন। এ সময় একটি পিকআপে গরু উঠিয়ে গরুচুরি করে নিয়ে যায়। গরু চুরির ঘটনাটি তার স্ত্রী আমিনা বেগম টের পেলে গ্রামের দুই যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন এবং বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে স্থানীয়রা চোরদের গাড়ি ধাওয়া করলে গাড়িটি উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের সাপটারবাইদ এলাকায় গিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। পরে গরু ফেলে চোররা পালিয়ে যায়। স্থানীয় জনতা পিকআপের ভেতর থেকে গরু উদ্ধার করে গাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও জনতা একতাবদ্ধ হয়ে রাতেই উপজেলার পাহাড়িয়া এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ছয়জন গরুচোরসহ একটি গাভী উদ্ধার করা হয়।

ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল উসলাম সরকার জানান, বিক্ষুব্ধ জনতা ৬ গরু চোরকে আটক করে এবং পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের চুরির কাজে ব্যবহ্নত পিকআপটি পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় গরুর মালিক কাইতকাই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত। আসামীদের আজ সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৫, ২০২২ ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ভেড়া পালন
প্রাণিসম্পদ

ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ভেড়া পালন। লাভজনক হওয়ার কারণে এ জেলায় ভেড়া পালনে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয়রা। কৃষকরা তাদের কৃষিকাজের পাশাপাশি বসতবাড়ির আশাপাশে পালন করছেন ভেড়া। ভেড়া পালনে তুলনামূলকভাবে খরচ ও পরিশ্রম কম লাগে, ফলে স্থানীয়রা আগ্রহী হয়ে শুরু করছেন ভেড়া পালন।

জানা যায়, এ জেলার কৃষকরা তাদের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এমনই একজন কৃষক হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের মাদারগঞ্জ এলাকার মামুন রশিদ। তিনি তার নার্সারি ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের আশায় বাড়িতে গরু পালন করতেন। কিন্তু বিভিন্ন রোগ ও গোখাদ্যের দাম বাড়ায় গরু পালনে লোকসান হয় তার। পরে একজনের পরামর্শে ভেড়া পালন শুরু করেন। চার বছরের মধ্যেই বাড়িতে গড়ে তোলেন ভেড়ার খামার।

মামুন বলেন, ভেড়া পালনের জন্য যেমন বেশি পরিমাণ পুঁজির প্রয়োজন হয় না। এছাড়াও ভেড়ার খাদ্য খরচও খুব বেশি হয় না। সারাদিন ভেড়াগুলোকে ছেড়ে দিয়ে রাখি। ভেড়াগুলো নিজে নিজেই খাওয়ায় পর বাড়িতে ফিরে আসে। সন্ধ্যার সময় ভেড়াগুলো বাড়িতে আসলে সামান্য ভুসি ও আটার সাথে পানি মিশিয়ে দিলে খেয়ে ঘরে শুয়ে থাকে।

ঠাকুরগাঁওয়ের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, ভেড়া পালন করে মামুনের সাফল্যের কথা আমরা শুনেছি। তিনি চাইলেই আমরা তার খামারের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও পরামর্শ দেওয়া হবে। এখন থেকে যারা ভেড়া পালন করতে চাইবেন আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ৪, ২০২২ ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
গরু ‍মোটা তাজা করবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

গরু মোটাতাজাকরণে ইনজেকশন কিংবা গ্রোথ হরমোন ছাড়া কোন বাস্তবসম্মত উপায় নাই বলে অনেকের ধারণা। কিন্তু এ্টি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং ইনজেকশনের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগে গরু মোটাতাজাকরণ ও সেই মাংস ভক্ষণ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এন্টিবায়োটিক কিংবা গ্রোথ হরমোনের ব্যবহার ছাড়াই জৈব পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণে জোর দিতে হবে।

জৈব পদ্ধতিতে গরুমোটাতাজাকরণ করার জন্য চাই খামারীর ইচ্ছাশক্তি আর সৎ উদ্দেশ্য তাহলেই বিভিন্ন এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার ব্যাতিত গরু মোটাতাজাকরণ করা সম্ভব। সেজন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করলেই চলবে।

মূলত গরুমোটাতাজাকরণ বলতে অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য ২ থেকে ৩ বছর বয়সের শীর্ণকায় গরুকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় খাদ্য সরবরাহ করে হৃষ্টপুষ্ট গরুতে রূপান্তরিত করাকেই বুঝায়।

গরু মোটা তাজা করণের গুরুত্বঃ
দারিদ্রতা হ্রাসকরণ, অল্প সময়ে কম পুঁজিতে অধিক মুনাফা অর্জন, অল্প সময়ের মধ্যে লাভসহ মূলধন ফেরত পাওয়া, প্রাণীজ আমিষের ঘাটতি পূরণ, স্বল্পমেয়াদি প্রযুক্তি হওয়ার কারণে পশু মৃত্যুর হার কম, কৃষিকার্য হতে উৎপাদিত উপজাত পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে সহজেই মাংস উৎপাদন করা, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আয় বৃদ্ধি করা প্রভৃতি।

মোটা তাজা করণের সঠিক সময়:
বয়সের উপর ভিত্তি করে সাধারণত ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে গরু মোটাতাজাকরণ করা যায়। অনেক সময় ৫ থেকে ৬ মাসও সময় লাগতে পারে। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য সুবিধাজনক সময় হচ্ছে বর্ষা এবং শরৎকাল যখন প্রচুর পরিমাণ কাঁচাঘাস পাওয়া যায়। চাহিদার উপর ভিত্তি করে কোরবানী ঈদের ৫ থেকে ৬ মাস পূর্ব থেকে গরুকে উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা দিয়ে মোটাতাজাকরণ লাভজনক।

স্থান নির্বাচন:
গরু রাখার স্থান নির্বাচনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে:

১। শুষ্ক ও উঁচু জায়গা হতে হবে, যাতে খামার প্রাঙ্গণে পানি না জমে থাকে।

২। খোলামেলা ও প্রচুর আলো বাতাসের সুযোগ থাকতে হবে।

৩। খামারে কাঁচামাল সরবরাহ ও উৎপাদিত দ্রব্যাদি বাজারজাতকরণের জন্য যোগাযোগ সুবিধা থাকতে হবে।

৪। পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকতে হবে।

৫। সুষ্ঠু পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে।

গরু নির্বাচন:
উন্নত দেশের মাংসের গরুর বিশেষ জাত রয়েছে। বিদেশি গরুর জন্য উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। তাই দেশীয় গরু মোটাতাজাকরণ অলাভজনক। ২ থেকে ২.৫ বছরের গরুর শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন মোটাতাজাকরণের জন্য বেশি ভাল। এঁড়ে বাছুরের দৈহিক বৃদ্ধির হার বকনা বাছুরের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তবে বাছুরের বুক চওড়া ও ভরাট, পেট চ্যাপ্টা ও বুকের সাথে সমান্তরাল, মাথা ছোট ও কপাল প্রশস্ত, চোখ উজ্জ্বল ও ভেজা ভেজা, পা খাটো প্রকৃতির ও হাড়ের জোড়াগুলো স্ফীত, পাজর প্রশস্ত ও বিস্তৃত, শিরদাড়া সোজা হতে হবে।

গরুর খাদ্যের ধরণ:
খাদ্যে মোট খরচের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ব্যয় হয়। তাই স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত খাদ্য দ্বারা খরচ কমানো সম্ভব। এজন্য গরু মোটাতাজাকরণের একটি সুষম খাদ্য তালিকা নিচে দেওয়া হল:

ক) শুকনো খড়: দুই বছরের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনো খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে একরাত লালীগুড়/চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে প্রতিদিন সরবরাহ করতে হবে।

পানি: চিটাগুড় = ২০ : ১।

খ) কাঁচাঘাস: প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি তাজা ঘাস বা শস্যজাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কালাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি সরবরাহ করতে হবে।

গ) দানাদার খাদ্য: প্রতিদিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যে তালিকা দেওয়া হল:১. গম ভাঙা/গমের ভূসি-৪০ কেজি; ২. চালের কুঁড়া-২৩.৫ কেজি; ৩. খেসারি বা যেকোনো ডালের ভূসি-১৫ কেজি: ৪. তিলের খৈল/সরিষার খৈল-২০ কেজি; লবণ-১.৫ কেজি। তাছাড়াও বিভিন্ন রকমের ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি হচ্ছে ৩৯ ভাগ চিটাগুড়, ২০ ভাগ গমের ভূসি, ২০ ভাগ ধানের কুঁড়া, ১০ ভাগ ইউরিয়া, ৬ ভাগ চুন ও ৫ ভাগ লবণের মিশ্রণ।

রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:
ক. প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পশুর গা ধোয়াতে হবে;

খ. গো-শালা ও পার্শ্ববর্তী স্থান সর্বদা পরিস্কার রাখতে হবে:

গ. নিয়মিতভাবে গরুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে;

ঘ. বাসস্থান সর্বদা পরিস্কার রাখতে হবে।

ঙ. স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিমিত পরিমাণে পানি ও সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে।

চ. রোগাক্রান্ত পশুকে অবশ্যই পৃথক করে রাখতে হবে।

ছ. খাবার পাত্র পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

জ. খামারের সার্বিক জৈব নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে।

ঝ. পশু জটিল রোগে আক্রান্ত হলে পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বাজারজাতকরণ:
মোটাতাজাকরণ গরু লাভজনকভাবে সঠিক সময়ে ভাল মূল্যে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থাগ্রহণ হচ্ছে আরেকটি উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়। বাংলাদেশে মাংসের জন্য বিক্রয়যোগ্য গবাদিপশুর বাজারমূল্যেও মৌসুমভিত্তিক হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। কাজেই একজন প্রতিপালককে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য অবশ্যই গরুর ক্রয়মূল্য যখন কম থাকে তখন গরু ক্রয় করে বিক্রয়মূল্যের উর্ধ্বগতির সময়ে বিক্রয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণত কোরবানীর ঈদের সময়ে গরুর মূল্য অত্যাধিক থাকে এবং এর পরের মাসেই বাজার দর হ্রাস পায়। তাই এখন গরু মোটাতাজাকরণের উপযুক্ত সময় এবং কোরবানীর সময় তা বিক্রি করে দেওয়া ভাল।
সূত্র: আজকের কৃষি

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২, ২০২২ ৬:৫৮ অপরাহ্ন
কাল পদ্মা পাড়ে হবে খামারি উৎসব, অংশ নিবেন ৫ হাজার খামারি
প্রাণিসম্পদ

দেশ-বিদেশের গরু খামারির মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে ষষ্ঠ বারের মতো বসছে খামারিদের মিলন মেলা। শনিবার মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের পদ্মাপাড়ে ঢালী’স আম্বার নিবাসে খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশনের (বিডিএফ) উদ্যোগে বিডিএফএ-চ্যানেল আই ‘আন্তর্জাতিক খামারি উৎসব’ অনুষ্ঠিত হবে।

উৎসবে সারা দেশের খামারিসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভেনোজুয়েলা, ভারত, থাইল্যান্ড, কানাডাসহ সাতটি দেশের প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি খামারি ও উদ্যোক্তা অংশ নেবেন। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে থাকবে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, খেলাধুলা ও র‌্যাফেল ড্রসহ নানা আয়োজন। বিকেলে সাংস্কৃতিক আয়োজন মাতাবেন নগর বাউল হিসেবে খ্যাত জেমস।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশসহ এ খাতের সরকারি বেসরকারি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। ২০১৬ সাল থেকে ডেইরি ফরমাার্স অ্যাসোসিয়েশন এ উৎসবের আয়োজন করে আসছে।

বিডিএফএ সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, এ উৎসবের মাধ্যমে ডেইরি খাত আরো সমৃদ্ধ ও গতিশীল হবে। তিনি বলেন, দেশীয় খামারিদে সাথে সাতটি দেশের খামারিরা এই উৎসবে অংশ নেবেন। অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকছে নানা ধরনের খেলাধুলার আয়োজন। রয়েছে জেমসের কনসার্টসহ আকর্ষণীয় র‌্যাফেল ড্র’র ব্যবস্থা। এছাড়া পাঁচ হাজার টাকায় ১০ মিনিটের জন্য হেলিকপ্টার রাইডের ব্যবস্থাও রয়েছে।

আয়োজক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক খামারি উৎসবের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের খামারিদের সাথে বাংলাদেশের খামারিদের যোগসূত্র সৃষ্টি হবে। উন্নত দেশের তথ্য-প্রযুক্তি ও খামার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কেও পারস্পারিক জ্ঞানের আদান-প্রদান হবে। এর মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ বিপণনে তৈরি হতে পারে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop