৫:৫৩ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ১০, ২০২৩ ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের বাচ্চা বৃদ্ধিতে খামারির করণীয়
পোলট্রি

বর্তমান সময়ে দেশে ব্যাপকহারে লোকজন খামারে মুরগি পালন করছেন। খামারে পালন করা মুরগিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ব্রয়লার মুরগি। এর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আরও বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।

ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় যত্ন ও পরিচর্যা:
ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য ঘরটা এমন হওয়া দরকার যেন সেখানে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চা তার দরকারি জিনিস পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়। এখানে বাচ্চার প্রাথমিক দরকার তাপ। ইংরেজীতে জায়গাটা বা ঘরটাকে বলা হয় ব্রডিং ইউনিট। ৮ সপ্তাহ পরে বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাচ্চা পালন ঘরে। এখানে বাচ্চা থাকবে ৮-২০ সপ্তাহ পর্যন্ত।

ব্রয়লার মুরগি ৮ সপ্তাহ পরে যায় বিক্রির জায়গায়। আর বাচ্চা মুরগি বাচ্চা পালন ঘরে। ২০ সপ্তাহ পরে বাচ্চা মুরগি যায় পাকাপাকিভাবে ডিমপাড়া ঘরে। ২০ সপ্তাহ পরে মুরগি পালন করার জন্য খাচাও অনেকে ব্যবহার করেন। এখানে ডিম দেওয়া মুরগি ৭৮-৮০ সপ্তাহ থাকে। এরপরেই মুরগি বাজারে মাংস হয়ে বিক্রি হতে চলে যায়।

একদিনের মুরগির বাচ্চাকে ২ ভাবে বড় করা যায়। যেমন-

১। স্বাভাবিক ভাবে।
২। কৃত্রিম ভাবে।

বাচ্চা পালনে বিস্তৃত পরিসরে যাবার আগে এটা জানা দরকার যে, কৃত্রিমভাবে ডিম ফুটিয়ে যেসব বাচ্চা তৈরি করা হয়েছে তাদের কৃত্রিমভাবে বড় করা উচিত। স্বাভাবিকভাবে ডিম ফোটাবার কারণও ছিল অনেক। আগে খাবার ডিম হিসেবে মুরগি-মোরগ পালন করা হত।

মুরগির খাবার এমনভাবে দিতে হবে যাতে বাচ্চা মুরগি সেখানে মুখ দিতে না পারে। বাচ্চা এবং ধাত্রী মায়ের জন্য প্রচুর পরিষ্কার ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করতে হবে।

পরিচর্যাসমূহ:
খাঁচা বা বাচ্চাদের আশ্রয় স্থান রীতিমত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং কীটনাশক ওষুধ দিয়ে উকুন, মাইট এবং টিক প্রভূতি রক্তচোষা পরজীবী কীটদের ধ্বংস করতে হবে। বাচ্চা যেখানে চরে বেড়াবে সে জায়গাটা জাল দিয়ে ঘেরা থাকবে। চরে বেড়াবার জায়গাটা যেন ইদুর বেড়ালে নষ্ট করে না দেয়।

প্রথম সপ্তাহে রোগের জন্য টিকা দিতে হবে ও প্রথম সপ্তাহেই ঠোট ছেটে দিতে হবে। বাচ্চাদের বয়স ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ হলে মুরগি বসন্ত এবং রানীক্ষেত রোগের বিরুদ্ধে টিকা প্রদান করতে হবে।

প্রকাশ : মে ৯, ২০২৩ ৮:৪৭ অপরাহ্ন
মঙ্গলবার (৯ মে) পোল্ট্রি ও ডিমের সর্বশেষ পাইকারী বাজার দর
পোলট্রি

পোল্ট্রি পণ্য (ডিম ও মুরগীর) আজকের খামারীদের প্রাপ্ত মূল্য(টাকা) নিন্মরুপ:-
তারিখ:০৯/০৫/২০২৩ ইং
★এখানে বর্ণিত পোল্ট্রি পণ্যের মূল্য মূলত : পোল্ট্রি খামারিদের প্রাপ্ত মূল্য।

ইউনাইটেড এগ(সেল পয়েন্ট)
লাল ডিম=১১.২০ (খুচরা)
সাদা ডিম=১০.০০ (খুচরা)

ডাম্পিং মার্কেট-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৪০
সাদা ডিম=৮.৭০

গাজীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.২০
সাদা ডিম=৮.৫০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮৫/কেজি
কালবার্ড সাদা=২৪৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৭৫/ কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৫০-৫৩
লেয়ার সাদা=৫৭-৫৮
ব্রয়লার=৪০-৪৫

ডায়মন্ডঃ-
লাল(বাদামী)
ডিম=
লাল(বাদামী) মাঝারী ডিম=

চট্টগ্রাম:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৮০
সাদা ডিম
ব্রয়লার মুরগী=১৬০/কেজি
কালবার্ড লাল=২৭০/কেজি
সোনালী মুরগী=৩০৫/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=৫০-৫২
লেয়ার সাদা=৫০-৫৪
ব্রয়লার=৪০-৪৩

রাজশাহী:-
লাল(বাদামী) ডিম=৯.৯০
সাদা ডিম=৯.০০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী =/কেজি

খুলনা:-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.২০
সাদা ডিম=

বরিশাল:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৭০
ব্রয়লার মুরগী=১৮০/কেজি
কালবার্ড লাল=৩০০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৭৫/কেজি বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
ব্রয়লার=৫০-৫২
সোনালী =২৬-২৮

ময়মনসিংহ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৪০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/ কেজি
সোনালী মুরগী=/ কেজি

সিলেট=
লাল(বাদামী)ডিম=১১.৫০
সাদা ডিম=১১.৪০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৭০/কেজি

বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =৪৫-৪৮
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =৩৫

[ খাদ্যের দাম কমানোর দাবি করছি]

রংপুর:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৫০
কাজী(রংপুর):-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৯৫
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=৩৬
সোনালী হাইব্রিড=৩২

বগুড়া :
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৪০
ব্রয়লার মুরগী=১৪৫/কেজি
সোনালী মুরগী =২৮০/কেজি
কাজী(বগুড়া):-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৪২
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=৩৬
সোনালী হাইব্রিড =৩২

টাংগাইল :–
লাল(বাদামী) ডিম=১০.১০
সাদা ডিম=৮.৬০
ব্রয়লার মুরগী=১৩৫/ কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি

কিশোরগঞ্জ:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.২০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি

নরসিংদী :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.১০

সিরাজগঞ্জ :-
লাল(বাদামী) ডিম=
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজ
সোনালী মুরগী=/কেজি

ফরিদপুর :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৫০
কাজী(ফরিদপুর) :-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৭২
ব্রয়লার মুরগী=১৪৫/কেজি
লেয়ার মুরগী=৩০৫/কেজি
সোনালী মুরগী=২৬০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল=
ব্রয়লার=
হাইব্রিড সুপার=৩৬
সোনালী হাইব্রিড =৩২

পাবনা :-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.২০
সাদা ডিম=৯.৯০

নোয়াখালী:-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.১০
ব্রয়লার মুরগী=১৬২/কেজি
কালবার্ড লাল=২৮০/কেজি
সোনালী মুরগী=২৫০/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

পিরোজপুর (স্বরুপকাঠী:-
লাল(বাদামী) ডিম=১০.৫০
সাদা ডিম=৯.৮০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি

যশোর :-
লাল(বাদামী) ডিম=১১.৬০

চুয়াডাঙ্গা:-
লাল(বাদামী ডিম)=১০.৭০

কুমিল্লা:-
লাল (বাদামী) ডিম=১০.২০
সাদা ডিম=৯.৮০
ব্রয়লার মুরগী=/ কেজি
বাচ্চার দর:-
ব্রয়লার =

লক্ষীপুর:-
লাল(বাদামী)ডিম=১০.৬০
ব্রয়লার মুরগী=/কেজি
কালবার্ড লাল=/কেজি
সোনালী মুরগী=/কেজি
বাচ্চার দর:-
লেয়ার লাল =
লেয়ার সাদা =
ব্রয়লার =

কক্সবাজার :-
লাল (বাদামী) ডিম=৯.৬০
সাদা ডিম=৯.০০
ব্রয়লার মুরগী =/কেজি
সোনালী মুরগী =/কেজি

একটি যৌথ উদ্যোগ:
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (B P I A),
বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ (B P K R J P) এবং পোল্ট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ(PPB)।

ধন্যবাদান্তে
মো:শিমুল হক রানা
যোগাযোগ:০১৮৫৫৯৪৪২৭০

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
পোল্ট্রির বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধিতে করণীয়
পোলট্রি

বর্তমান সময়ে দেশে ব্যাপকহারে লোকজন খামারে মুরগি পালন করছেন। খামারে পালন করা মুরগিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ব্রয়লার মুরগি। এর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আরও বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।

ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় যত্ন ও পরিচর্যা:
ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য ঘরটা এমন হওয়া দরকার যেন সেখানে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চা তার দরকারি জিনিস পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়। এখানে বাচ্চার প্রাথমিক দরকার তাপ। ইংরেজীতে জায়গাটা বা ঘরটাকে বলা হয় ব্রডিং ইউনিট। ৮ সপ্তাহ পরে বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাচ্চা পালন ঘরে। এখানে বাচ্চা থাকবে ৮-২০ সপ্তাহ পর্যন্ত।

ব্রয়লার মুরগি ৮ সপ্তাহ পরে যায় বিক্রির জায়গায়। আর বাচ্চা মুরগি বাচ্চা পালন ঘরে। ২০ সপ্তাহ পরে বাচ্চা মুরগি যায় পাকাপাকিভাবে ডিমপাড়া ঘরে। ২০ সপ্তাহ পরে মুরগি পালন করার জন্য খাচাও অনেকে ব্যবহার করেন। এখানে ডিম দেওয়া মুরগি ৭৮-৮০ সপ্তাহ থাকে। এরপরেই মুরগি বাজারে মাংস হয়ে বিক্রি হতে চলে যায়।

একদিনের মুরগির বাচ্চাকে ২ ভাবে বড় করা যায়। যেমন-

১। স্বাভাবিক ভাবে।
২। কৃত্রিম ভাবে।

বাচ্চা পালনে বিস্তৃত পরিসরে যাবার আগে এটা জানা দরকার যে, কৃত্রিমভাবে ডিম ফুটিয়ে যেসব বাচ্চা তৈরি করা হয়েছে তাদের কৃত্রিমভাবে বড় করা উচিত। স্বাভাবিকভাবে ডিম ফোটাবার কারণও ছিল অনেক। আগে খাবার ডিম হিসেবে মুরগি-মোরগ পালন করা হত।

মুরগির খাবার এমনভাবে দিতে হবে যাতে বাচ্চা মুরগি সেখানে মুখ দিতে না পারে। বাচ্চা এবং ধাত্রী মায়ের জন্য প্রচুর পরিষ্কার ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করতে হবে।

পরিচর্যাসমূহ:
খাঁচা বা বাচ্চাদের আশ্রয় স্থান রীতিমত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং কীটনাশক ওষুধ দিয়ে উকুন, মাইট এবং টিক প্রভূতি রক্তচোষা পরজীবী কীটদের ধ্বংস করতে হবে। বাচ্চা যেখানে চরে বেড়াবে সে জায়গাটা জাল দিয়ে ঘেরা থাকবে। চরে বেড়াবার জায়গাটা যেন ইদুর বেড়ালে নষ্ট করে না দেয়।

প্রথম সপ্তাহে রোগের জন্য টিকা দিতে হবে ও প্রথম সপ্তাহেই ঠোট ছেটে দিতে হবে। বাচ্চাদের বয়স ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ হলে মুরগি বসন্ত এবং রানীক্ষেত রোগের বিরুদ্ধে টিকা প্রদান করতে হবে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ২১, ২০২৩ ৭:৫১ অপরাহ্ন
ছাগলের বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধে করণীয়
প্রাণিসম্পদ

ছাগল পালনে বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধে যা করতে হবে তা আমাদের মধ্যে অনেকেরই জানা নেই। ছাগলের বাচ্চা যেসব রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া অন্যতম। আজকে তাহলে জেনে নিব ছাগল পালনে বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধে যা করতে হবে সেই সম্পর্কে-

ছাগল পালনে ছাগলের বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধে যা করতে হবেঃ
এই রোগের কারণঃ

১। ছাগলের বাচ্চা অপুষ্টিতে ভুগলেও এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

২। এছাড়াও আক্রান্ত ছাগলের সরাসরি সংস্পর্শেও এই রোগ ছাগলের বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করে থাকে।

৩। ছাগলের বাচ্চা যে ঘরে থাকে সেখানে প্রয়োজনীয় আলো ও বাতাস ঠিকভাবে না পৌঁছালে।

৪। ছাগলের বাচ্চাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে গেলেও এই রোগ হতে পারে।

৫। খাদ্য, পানি কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়াতে পারে।

এ রোগের প্রতিরোধঃ

১। ছাগলকে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাদ্য খাওয়াতে হবে। খাদ্য প্রদানের পর প্রতিবার খাবার পাত্র পরিষ্কার করে রেখে দিতে হবে।

২। ছাগলের বাচ্চা যাতে নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত না হয় সেজন্য নিয়মিত ছাগলের ঘর পরিষ্কার করতে হবে। ঘরে যাতে কোন পানি না থাকে কিংবা ঘর যাতে ভেজা না থাকে সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৩। কোন ছাগল আক্রান্ত হলে সেটিকে আলাদা করে পরিচর্যা ও চিকিৎসা করাতে হবে।

৪। ছাগলের ঘরে যাতে প্রয়োজনীয় আলো ও বাতাস চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ছাগলের ঘর তৈরি আগেই সেই পরিকল্পনা করতে হবে।

৫। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রকাশ : জানুয়ারী ৫, ২০২৩ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় যত্ন নিবেন যেভাবে
পোলট্রি

বর্তমান সময়ে দেশে ব্যাপকহারে লোকজন খামারে মুরগি পালন করছেন। খামারে পালন করা মুরগিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ব্রয়লার মুরগি। এর সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আরও বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।

ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় যত্ন ও পরিচর্যা:
ব্রয়লারের বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য ঘরটা এমন হওয়া দরকার যেন সেখানে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চা তার দরকারি জিনিস পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়। এখানে বাচ্চার প্রাথমিক দরকার তাপ। ইংরেজীতে জায়গাটা বা ঘরটাকে বলা হয় ব্রডিং ইউনিট। ৮ সপ্তাহ পরে বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাচ্চা পালন ঘরে। এখানে বাচ্চা থাকবে ৮-২০ সপ্তাহ পর্যন্ত।

ব্রয়লার মুরগি ৮ সপ্তাহ পরে যায় বিক্রির জায়গায়। আর বাচ্চা মুরগি বাচ্চা পালন ঘরে। ২০ সপ্তাহ পরে বাচ্চা মুরগি যায় পাকাপাকিভাবে ডিমপাড়া ঘরে। ২০ সপ্তাহ পরে মুরগি পালন করার জন্য খাচাও অনেকে ব্যবহার করেন। এখানে ডিম দেওয়া মুরগি ৭৮-৮০ সপ্তাহ থাকে। এরপরেই মুরগি বাজারে মাংস হয়ে বিক্রি হতে চলে যায়।

একদিনের মুরগির বাচ্চাকে ২ ভাবে বড় করা যায়। যেমন-

১। স্বাভাবিক ভাবে।
২। কৃত্রিম ভাবে।

বাচ্চা পালনে বিস্তৃত পরিসরে যাবার আগে এটা জানা দরকার যে, কৃত্রিমভাবে ডিম ফুটিয়ে যেসব বাচ্চা তৈরি করা হয়েছে তাদের কৃত্রিমভাবে বড় করা উচিত। স্বাভাবিকভাবে ডিম ফোটাবার কারণও ছিল অনেক। আগে খাবার ডিম হিসেবে মুরগি-মোরগ পালন করা হত।

মুরগির খাবার এমনভাবে দিতে হবে যাতে বাচ্চা মুরগি সেখানে মুখ দিতে না পারে। বাচ্চা এবং ধাত্রী মায়ের জন্য প্রচুর পরিষ্কার ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করতে হবে।

পরিচর্যাসমূহ:
খাঁচা বা বাচ্চাদের আশ্রয় স্থান রীতিমত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং কীটনাশক ওষুধ দিয়ে উকুন, মাইট এবং টিক প্রভূতি রক্তচোষা পরজীবী কীটদের ধ্বংস করতে হবে। বাচ্চা যেখানে চরে বেড়াবে সে জায়গাটা জাল দিয়ে ঘেরা থাকবে। চরে বেড়াবার জায়গাটা যেন ইদুর বেড়ালে নষ্ট করে না দেয়।

প্রথম সপ্তাহে রোগের জন্য টিকা দিতে হবে ও প্রথম সপ্তাহেই ঠোট ছেটে দিতে হবে। বাচ্চাদের বয়স ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ হলে মুরগি বসন্ত এবং রানীক্ষেত রোগের বিরুদ্ধে টিকা প্রদান করতে হবে।

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ১০:৩১ অপরাহ্ন
পোল্ট্রি বাচ্চা পরিবহনে খামারিরা যা করবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার খামার করে লাভবান হয়েছেন যেমন অনেক খামারী তেমনি মাংসের চাহিদাও পূরণ হয়েছে সবার। তবে এতে লাভ পেতে হলে শুরু থেকেই করতে হবে যত্ন। আর এই যত্নে শুরুটা হতে হবে ব্রয়লার খামার বাচ্চা পরিবহণ থেকে। কারণ ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণের সময় কোন সমস্যা হলে মুরগির জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

ব্রয়লার খামারে বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সতর্কতা:
ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় এমনভাবে বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে যাতে সূর্যের আলো সরাসরি বাচ্চার শরীরে এসে না পড়ে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে বাচ্চাগুলো যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। গরমকালে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা পরিবহণ করতে হলে সকালের দিকে বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। এ সময় কোনভাবেই দুপুর কিংবা প্রচন্ড রোদে বাচ্চা পরিবহণ করা যাবে না। এতে বাচ্চা ক্ষতি হতে পারে। আর শীতের দিনে বাচ্চা দুপুর বা রোদের সময় পরিবহণ করা ভালো।

ব্রয়লার খামারের জন্য বাচ্চা পরিবহণ করার সময় লক্ষ্য করতে হবে পরিবহণ বাক্স জীবাণুমুক্ত আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে বাক্সগুলো ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে তার পর বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। সম্ভব হলে বাচ্চা পরিবহণের যানবাহন জীবাণুনাশক নিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা পরিবহণের সময় যদি বেশি তাপ কিংবা বেশি ঠাণ্ডা থাকে তাহলে তাপ ও ঠাণ্ডা থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করেই তারপর বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে।

ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সকল প্রকার ধকল থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ ৯:২০ অপরাহ্ন
ব্রয়লার বাচ্চা পরিবহণে খামারিদের সতর্কতা
পোলট্রি

ব্রয়লার খামার করে লাভবান হয়েছেন যেমন অনেক খামারী তেমনি মাংসের চাহিদাও পূরণ হয়েছে সবার। তবে এতে লাভ পেতে হলে শুরু থেকেই করতে হবে যত্ন। আর এই যত্নে শুরুটা হতে হবে ব্রয়লার খামার বাচ্চা পরিবহণ থেকে। কারণ ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণের সময় কোন সমস্যা হলে মুরগির জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

ব্রয়লার খামারে বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সতর্কতা:
ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় এমনভাবে বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে যাতে সূর্যের আলো সরাসরি বাচ্চার শরীরে এসে না পড়ে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে বাচ্চাগুলো যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। গরমকালে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা পরিবহণ করতে হলে সকালের দিকে বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। এ সময় কোনভাবেই দুপুর কিংবা প্রচন্ড রোদে বাচ্চা পরিবহণ করা যাবে না। এতে বাচ্চা ক্ষতি হতে পারে। আর শীতের দিনে বাচ্চা দুপুর বা রোদের সময় পরিবহণ করা ভালো।

ব্রয়লার খামারের জন্য বাচ্চা পরিবহণ করার সময় লক্ষ্য করতে হবে পরিবহণ বাক্স জীবাণুমুক্ত আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে বাক্সগুলো ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে তার পর বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। সম্ভব হলে বাচ্চা পরিবহণের যানবাহন জীবাণুনাশক নিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা পরিবহণের সময় যদি বেশি তাপ কিংবা বেশি ঠাণ্ডা থাকে তাহলে তাপ ও ঠাণ্ডা থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করেই তারপর বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে।

ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সকল প্রকার ধকল থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১, ২০২২ ৬:১২ অপরাহ্ন
পোল্ট্রির বাচ্চা ছোট-বড় সমস্যায় করণীয়
পোলট্রি

ব্রয়লার পালনে বাচ্চা ছোট-বড় হওয়া সমস্যায় করণীয় কি তা আমাদের দেশের অনেক খামারিরাই জানেন না। এই সমস্যাতে অনেক খামারিরাই পড়ে থাকেন। এতে খামারের উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন।

ব্রয়লার পালনে বাচ্চা ছোট-বড় হওয়া সমস্যায় করণীয়:
প্রায়ই দেখা যায় একই ব্যাচে একই বয়সের ব্রয়লার বাচ্চা কিছু দিন পর কতকগুলো বেশ ছোট হয়ে গেছে। এর জন্য দৃশ্যমান অদৃশ্যমান অনেক কারণ জড়িত। দৃশ্যমান বা পরিবেশগত কারণের মধ্যে প্রথম থেকেই প্রয়োজনের তুলনায় কম খাদ্য ও পানির পাত্র থাকা।

প্রথম সপ্তাহে বিশেষ করে এক-তিন দিন বয়স পর্যন্ত বাচ্চার চলাচল সীমিত থাকে এবং খাদ্য না চেনার কারণে খাদ্য খাওয়ায় তেমন প্রতিযোগিতা থাকে না। তাই এই সময়ে যেসব বাচ্চা এক বা দুই দিন খাদ্য ভালোভাবে খেতে পারে না সেগুলোই দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে পরে খাদ্য খাওয়া প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে ছোট হয়ে যায়।

পুরুষ বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধি স্ত্রী বাচ্চার চেয়ে ২০-২৫ ভাগ বেশি হওয়ায় স্ত্রী বাচ্চা ছোট হয়। মিশ্রিত গ্রেডের বাচ্চা এক সাথে পালন করা। বিভিন্ন বয়সের মুরগির ডিম এক সাথে ফুটানো হলে পুলের ডিমের বাচ্চা ছোট হয়। ব্রুডিং পিরিয়ডে কাáিক্ষত তাপ না পাওয়া।

সমস্যার প্রতিকারঃ

মিশ্রিত গ্রেডের বাচ্চা না কিনে একই এ বা বি গ্রেডের বাচ্চা কিনতে হবে। বাচ্চা ছোট-বড় দৃশ্যমান হওয়ার সাথে সাথে আলাদা করে বিশেষভাবে যত্ন নিতে হবে। কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ খাদ্য ও পানির পাত্র দিতে হবে।

প্রকাশ : নভেম্বর ১০, ২০২২ ৬:৪৮ অপরাহ্ন
ছাগল পালনে নতুন খামারিরা যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

ছাগল পালনে অল্পতে অধিক লাভ হওয়াতে এরদিকে ঝুঁকছেন এখন অনেকেই। এতে লাভজনক হওয়ায় দিন দিন আমাদের দেশে ছাগল পালন বেড়েই চলেছে। অনেকেই আবার বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ছাগলের খামার গড়ে তুলছেন। তবে ছাগল পালনে নবীন খামারিদের বেশ কিছু কাজ করতে হয়।

নতুন করে ছাগলের খামার শুরু করতে খামারিদের বেশ কিছু কাজ করতে হয়। নিচে এসব কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

ভালো জাতের ছাগল নির্বাচন করবেন যেভাবে:
ছাগলের খামার করে লাভবান হওয়ার জন্য সবার আগে ভালো ও উন্নত জাতের ছাগল নির্বাচন করতে হবে। নতুন খামার শুরু করার আগে ছাগলছানা বা ছাগলের বাচ্চা কিনবেন নাকি পূর্ণবয়স্ক ছাগল কিনবেন তা বিবেচনা করতে হবে। খামার করার লক্ষ্য অনুযায়ী ছাগল কিনে আনতে হবে।

ছাগলের ঘর:
ছাগল পালন করার জন্য ছাগলের ঘর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঠাণ্ডা থেকে এবং রোদের তাপ থেকে বাঁচাতে এগুলোরর জন্য ছাউনি দরকার হবে। এদের আবাসস্থলের চারপাশে বেড়া দেয়ারও প্রয়োজন হবে। ছাগলকে যদি ঘের দিয়ে পরিবেষ্টিত না রাখা হয় তবে অনেক সময় এরা চরে বেড়াতে গিয়ে পথ ভুলে হারিয়ে যেতে পারে। যে জায়গায় এদের আবাসস্থল তৈরী করা হবে সে জায়গায় খাদ্য এবং স্বাদু পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ছাগলের প্রতিপালন:
ছাগল পালনে শুধু ঘাস খাইয়ে রাখা ঠিক হবে না। শুধু ঘাস দিয়ে এদের পুষ্টির অভাব পূরণ হবে না। সেইসঙ্গে এদেরকে খড় এবং ভূষি খাওয়াতে হবে। কোনো কোনো অঞ্চলে এদের স্বাভাবিক খাবারে নির্দিষ্ট কিছু খনিজ লবণ থাকে না, সেজন্য পশুচিকিৎসকের পরমর্শে পরিপূরক ঔষধ খাওয়াতে হবে।

প্রকাশ : জুলাই ২১, ২০২২ ৬:৩২ পূর্বাহ্ন
ব্রয়লার বাচ্চা পরিবহনে খামারি যা করবেন
পোলট্রি

ব্রয়লার খামার করে লাভবান হয়েছেন যেমন অনেক খামারী তেমনি মাংসের চাহিদাও পূরণ হয়েছে সবার। তবে এতে লাভ পেতে হলে শুরু থেকেই করতে হবে যত্ন। আর এই যত্নে শুরুটা হতে হবে ব্রয়লার খামার বাচ্চা পরিবহণ থেকে। কারণ ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণের সময় কোন সমস্যা হলে মুরগির জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

ব্রয়লার খামারে বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সতর্কতা:
ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় এমনভাবে বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে যাতে সূর্যের আলো সরাসরি বাচ্চার শরীরে এসে না পড়ে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে বাচ্চাগুলো যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। গরমকালে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা পরিবহণ করতে হলে সকালের দিকে বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। এ সময় কোনভাবেই দুপুর কিংবা প্রচন্ড রোদে বাচ্চা পরিবহণ করা যাবে না। এতে বাচ্চা ক্ষতি হতে পারে। আর শীতের দিনে বাচ্চা দুপুর বা রোদের সময় পরিবহণ করা ভালো।

ব্রয়লার খামারের জন্য বাচ্চা পরিবহণ করার সময় লক্ষ্য করতে হবে পরিবহণ বাক্স জীবাণুমুক্ত আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে বাক্সগুলো ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে তার পর বাচ্চা পরিবহণ করতে হবে। সম্ভব হলে বাচ্চা পরিবহণের যানবাহন জীবাণুনাশক নিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। বাচ্চা পরিবহণের সময় যদি বেশি তাপ কিংবা বেশি ঠাণ্ডা থাকে তাহলে তাপ ও ঠাণ্ডা থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করেই তারপর বাচ্চাগুলো পরিবহণ করতে হবে।

ব্রয়লারের বাচ্চা পরিবহণ করার সময় সকল প্রকার ধকল থেকে বাচ্চাগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এগ্রিভিউ/এসএমএ

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop