৯:৪১ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২৯, ২০২২ ১:২৩ অপরাহ্ন
সাত লাখ কোরবানির পশু নিয়ে প্রস্তুত পাবনার খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

সামনের মাসেই পবিত্র কোরবানীর ঈদ। সারাদেশে পশুর হাটগুলোতে চলছে জোর প্রস্তুতি।

সারাদেশে কোরবানীর পশুর জন্য সুনাম রয়েছে পাবনার। স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে পাবনার পশু সরবরাহ হয়ে থাকে সারাদেশে।

পবিত্র ঈদ উল-আযহাকে সামনে রেখে এ বছরও বিপুলসংখ্যক পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করেছেন জেলার খামারীরা। জেলার ২৪ হাজার খামারে প্রায় ৭ লাখ কোরবানীর পশু প্রস্তুত রয়েছে এবারের ঈদ উপলক্ষে। পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. কৃষ্ণ মোহন হাওলাদার বলেন, জেলায় চলতি বছরে প্রায় ২৪ হাজার খামারে প্রায় ৭ লাখ কোরবানীর পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৭৭ হাজার গরু ও মহিষ আর ৩ লাখ ৭১ হাজার ছাগল-ভেড়া।

জেলাতে সব মিলিয়ে ৩ লাখ কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে। আর সাড়ে ৩ লাখ পশু বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ হবে। বিগত দুই বছর অনলাইনে পশু কেনাবেচা হলে এই বছরে করোনার সংক্রমণ কম থাকায় হাটবাজারে পশু বিক্রি বেশি হবে বলে মনে করছেন জেলা প্রাণিসম্পদ এই কর্মকর্তা।

কোরবানীর পশুর জন্য ক্রেতাদের অন্যতম ভরসার নাম পাবনা অঞ্চল। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও কোরবানীর ঈদের চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন পাবনার তরুণ অনেক পশু খামারী। ‘পাবনার বাদশা’ ‘স্বপ্নরাজ’ বিভিন্ন নামে বিশাল আকৃতির ষাঁড় নিয়ে পাবনা অঞ্চলের মান রেখেছেন খামারীরা। ষাঁড়গুলো দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতারা আসছেন।
ঈদের আগেই পছন্দের বেশিরভাগ পশু খামার থেকে কিনে নিয়েছেন দেশের ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ীরা। এক খামারে রয়েছে বিশাল আকৃতির বাদশার ওজন প্রায় সাড়ে ৩২ মণ। গরুটির জন্য চাওয়া হয়েছে ২০ লাখ টাকা। পাবনার খামারে ব্রাহামা, অস্ট্রেলিয়ান ছাড়াও শাহীয়াল, ফিজিয়াম, ভুটান থেকে আনা ছোট ভুট্টি জাতের গরু রয়েছে।

গরুর পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের খাসিও রাখা হয়েছে এ তালিকায়। মূলত ঈদের পর সারাদেশ ঘুরে বিভিন্ন জাতের গরু সংগ্রহ করে রাখা হয়। বেপারী বা ক্রেতারা খামারে এসে পছন্দ করে গরু কিনছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৯, ২০২২ ১:১৪ অপরাহ্ন
দেশি জাতের গরু চেনার উপায়
প্রাণিসম্পদ

দেশে দিন দিন দেশি জাতের গরুর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ফলে দেশি জাত কিভাবে চেনা যায়, সে প্রশ্ন অনেকের।

সাধারণত দেশি জাতের গরুর শরীরে বিদেশি জাত বা শংকর জাতের চেয়ে চর্বি কম থাকে। দেশি গরু আকারও কিছুটা ছোট হয়। মাংসে স্বাদ বেশি হয়, কিন্তু দুধের পরিমাণ বিদেশি গরুর তুলনায় কম হয়।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিম্যাল নিউট্রিশন, জেনেটিক্স ও ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক লামইয়া আসাদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশি গরু চেনার উপায় হচ্ছে দেশি জাতের গরুর চামড়া শক্ত থাকে। এছাড়া এর কুঁজ থাকে এবং গলার নিচে চামড়ার ভাঁজ কম থাকে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন বিভাগের পরিচালক ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার গণমাধ্যমকে বলেছেন, দেশি জাতের যেসব গরু বাজারে জনপ্রিয়, তার মধ্যে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম, চট্টগ্রাম ও এর আশেপাশের এলাকার আরসিসি, পাবনা ক্যাটল, সিরাজগঞ্জের ব্রিড নামে পরিচিত গরুগুলো উল্লেখযোগ্য।

পাবনা ক্যাটল

এটি পাবনা ব্রিড নামেও পরিচিত। এই জাতের গরুর বড় অংশটির রং সাদা বা সাদা মেশানো ছাই রং। এছাড়া লাল, ধূসর বা মিশ্র বর্ণেরও হয় এসব গরু। দেশীয় আবহাওয়া সহনশীল এসব গরু পালনে খাবার কম লাগে।

দেশের জাতীয় তথ্য বাতায়নে পাবনা ক্যাটল সম্পর্কে বলা হয়েছে, পাবনার চলনবিল সংলগ্ন এলাকায় এই গরুর বাস। এটি খর্বকায় মানে বেশি বড় আকৃতির নয়। এদের স্বাস্থ্য সুঠাম, রোগব্যাধি কম হয়। এটি ঘাস খায়, এর বাইরে অন্য ধরনের খাবার কমই দিতে হয়। দেশে দুধের উৎপাদন বাড়াতে ফ্রিজিয়ান গরুর সাথে এর কৃত্রিম প্রজনন করা হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে।

সিরাজগঞ্জ ব্রিড

এই জাতের গরু মূলত পদ্মাপারের কয়েকটি জেলায় হয়ে থাকে। এই জাতের গরুর সঙ্গে পাবনা ক্যাটলের সাদৃশ্য রয়েছে। তবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি পাবনা ক্যাটলের চেয়ে আকারে কিছুটা বড় হয়। এর কুঁজ উঁচু ও বলিষ্ঠ হয়।

এসব জাত ছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাংসের চাহিদা মাথায় রেখে শাহীওয়াল এবং ব্রাহমা জাতের গরুর সাথে সংকরায়ন করে আরো কিছু জাতের প্রজনন ঘটানো হয়েছে, যেগুলো কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের মন জয় করেছে।

মীরকাদিমের ধবল গাই

এটি আকারে সাধারণ গরুর চেয়ে বড়। এটি সাধারণত সাদা রংয়ের হয়। কখনো এর সঙ্গে তার গায়ে অল্প ছাই রং বা কালোর ছোপ থাকতে পারে। মীরকাদিমের গরুর মাংসে আঁশ কম থাকে, এর হাড় চিকন হয়। ফলে মাংস হয় নরম ও তেলতেলে।

এটি পালন সহজ, মানে খাবারের খরচ কম। খৈল, গম, মসুর ডালের ভুসি এবং ভুট্টা গুঁড়ার মত খাবার দিয়ে পালন করা যায়।

আরসিসি বা রেড চিটাগাং ক্যাটল

এই গরুর গায়ের রং লাল। এর ক্ষুরা মানে পায়ের রংও লাল। এটি আকারে বেশি বড় হয় না। এর কুঁজ ছোট আকারের হবে। এই গরু পালনে খাবার কম লাগে। দেশি আবহাওয়া সহনশীল বলে খামারিদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই গরু। মূলত এই জাত চট্টগ্রাম এবং এর আশেপাশের জেলায় বেশি উৎপাদন হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৮, ২০২২ ৪:৩১ অপরাহ্ন
কাঁঠালিয়ায় ছাগলের ঘর, খাদ্য ও ওষুধ বিতরণ
প্রাণিসম্পদ

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ‘দেশীয় মাছ রক্ষা করি, বিকল্প পেশায় আয় করি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলেদের মধ্যে বৈধ জাল এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ছাগল, ছাগলের ঘর, খাদ্য ও ছাগলের ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা মৎস্য বিভাগের আয়োজনে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগী ১৫ জনের মধ্যে ৩০টি ছাগল বিতরণ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুফল চন্দ্র গোলদারের সভাপতিত্বে বিতরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল হক মনির।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য অফিসার রিপন কান্তি ঘোষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমান উজির সিকদার, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার এসএম দেলোয়ার হোসেন।

বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক নাহিদ সিকদার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার রুবায়েত হোসেন, আইসিটি অফিসার অতনু কিশোর দাস মুন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সিকদার মো. কাজল ও সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হোসেন খান প্রমুখ।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৭, ২০২২ ১২:০২ অপরাহ্ন
চুয়াডাঙ্গায় অজ্ঞাত রোগে হাঁস-মুরগির মৃত্যু
প্রাণিসম্পদ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে অজ্ঞাত রোগে হাঁস-মুরগির মৃত্যু বেড়েছে। এক সপ্তাহে উপজেলার বাঁকা ও সীমান্ত ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে শতাধিক হাঁস-মুরগি মারা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ধ্যায় সুস্থ হাঁস-মুরগি ঘরে তোলার পর সকালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে। তাই অনেকে আবার হাঁস-মুরগি অসুস্থ বুঝলেই জবাই করছে।

বাঁকা গ্রামের বাসিন্দা শাহানারা বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুস্থ অবস্থায় মুরগি ঘরে তুলেছিলাম। সকালে দেখি দুটি মুরগি মারা গেছে। এ ছাড়া কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি হাঁস মারা গেছে। এরপর গত কয়েক দিন সব সময় হাঁস-মুরগির খেয়াল রাখা শুরু করি। অসুস্থ অবস্থায় চারটি মুরগি জবাই করেছি।’

একই এলাকার বাসিন্দা কুলসুম বেগম বলেন, ‘হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় ৫টি হাঁস ও একটি মুরগি জবাই করেছি। এ ছাড়া গত কয়েক দিনে দুটি মুরগি মারা গেছে। হাঁসগুলোর কয়েক দিন ধরে খাবার খেতে পারছিল না। ডানা বাঁকা হয়ে যাচ্ছিল। সঙ্গে দ্রুত ওজন কমে যাচ্ছিল।’

শাখারিয়া গ্রামের নিহা বলেন, ‘আমার ছোট চাচির তিনটি মুরগি অসুস্থ হয়েছে মারা গেছে। আমরা এখন সব সময় হাঁস-মুরগির খেয়াল রাখার চেষ্টা করছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সঠিক সময় হাঁস-মুরগির টিকা না দিলে এসব রোগ দেখা দেয়। এ জন্য আমরা সবাইকে টিকা দেওয়ার জন্য বলি। আমরা ইতিমধ্যে মৃত একটি মুরগি সংগ্রহ করেছি।

এটা পরীক্ষার পর বলতে পারবে কী কারণে মুরগির মৃত্যু হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ধারণা করছি হাঁসগুলো ডাক প্লেগে আক্রান্ত হয়েছিল। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৭, ২০২২ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
খুলনায় খামারগুলোতে কোরবানির গরু বেচা-কেনা শুরু
প্রাণিসম্পদ

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন খুলনার খামারিরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত গরুর পরিচর্যায়। এদিকে এবার খুলনায় আগেই কোরবানির গরু কেনাবেচা শুরু হয়ে গেছে। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খামারিরা বিভিন্ন সাইজের পশু সংগ্রহ করে এনেছেন। তবে গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম চড়া।

কারণ হিসেবে খামারিরা বলছেন, পরিবহন ও গোখাদ্যের দাম বাড়তি হওয়ায় মূলত পশুর দাম চড়া। নগরীর নিরালা সবুজবাগ এলাকায় রয়েছে কয়েকটি গরুর খামার। ঐ সব খামারে বর্তমানে গড়ে উঠেছে ছোটখাটো হাট। খামার মালিকরা জেলার গ্রামাঞ্চল ঘুরে সংগ্রহ করছেন বিভিন্ন প্রকারের পশু। ইতিমধ্যে সংগ্রহকৃত অনেক গরু বিক্রিও হয়ে গেছে।

ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে ক্রেতারা এসে খামার থেকে আগেভাহেই গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। নিরালা সবুজবাগের জমজম অ্যাগ্রোর ম্যানেজার মো. ইকরাম হোসেন বলেন, ‘এবার কোরবানিযোগ্য ২২টি গরুর মধ্যে ২০টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। ঢাকা ও চট্টগামের ক্রেতারা গরুগুলো কিনে নিয়ে গেছেন।’ নগরীর নিরালা সবুজবাগের একটি ফার্মে সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা শামসুল আলমের সঙ্গে কথা হয়।

তিনি বলেন, ‘হাটে ঘোরাঘুরির চেয়ে খামার থেকে গরু কেনা ভালো। তবে খামারিরা গতবারের চেয়ে এবার চড়া দাম চাইছেন। খামারগুলো ঘুরে দেখে পছন্দমতো গরু দেখেই কিনব।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৬, ২০২২ ৫:৩০ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদ খাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবে সরকার : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন,
প্রাণিসম্পদ খাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও অন্যান্য প্রক্রিয়া সরকার আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে প্রযুক্তির সাথে সাধারণ জনগণকে অভ্যস্ত করতে ও সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশের জনসাধারণ প্রাণিসম্পদ খাতে যেকোন প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে সাদরে গ্রহণ করবে এবং সে প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করবে।

রবিবার (২৬ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ক্লিন অ্যান্ড এনার্জি ইফিসিয়েন্ট কুলিং ফর লাইভস্টক সাপ্লাই চেইন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ গতিশীলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি খাতে আমূল পরিবর্তন ঘটছে। বিশেষ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সারাবিশ্বের বিশেষ নজরে এসেছে। প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের সাথে তুলনামূলক বিচারে এ খাতে আমাদের অর্জন অসাধারণ। এ কারণে বিশ্বব্যাংকসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা এ খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করছে। দেশীয় বিশেষজ্ঞদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও সাধারণ মানুষের অবদানে ইতোমধ্যে এ খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এখন বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয় উন্নয়নের জাদুকর। এখন‌ শুধু উন্নয়ন নয় বরং টেকসই উন্নয়ন প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী নই। আমাদের দিক থেকে কোন ত্রুটি না থাকলেও আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ভোগান্তির শিকার।

এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের পুনর্বাসন ও সহায়তার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার এবং দেশের কারিগরি বিশেষজ্ঞগণের নিরলস প্রচেষ্টা রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় পোল্ট্রি ও ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড গঠনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষ গঠন ও এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ খাতের সত্যিকার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সবধরণের চাহিদা সরকার পূরণ করবে।

বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, বিশ্বের সবার কল্যাণ সমন্বিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে। একটি দেশ উন্নত করে অপর একটি দেশকে অনুন্নত রেখে কোনভাবেই ধরিত্রীর সব মানুষের সমৃদ্ধি আনয়ন সম্ভব নয়।

বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা ও অন্যান্য খাতে অসাধারণ সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছে। উন্নয়নের প্রক্রিয়া সীমিত পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রান্তিক পর্যায়ে আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই। প্রান্তিক পর্যায়ে প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে না পারলে সেটা কোন কাজে আসবে না। সরকারের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক সিদ্দিকা ভূঁইয়া মিশু। বাংলাদেশের ডেইরি খাতে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. মো. গোলাম রব্বানী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচার ইকোনমিস্ট ক্রিশ্চিয়ান বার্জার, মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৬, ২০২২ ৪:১৫ অপরাহ্ন
গরু পালনে খামারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকহারে গরু পালন করা হয়ে থাকে। গরু পালনের মাধ্যমে অনেকেই হয়েছেন স্বাবলম্বী। একটি খামার মানসম্মত ভাবে, সঠিক উপায়ে, লাভজনক ভাবে এবং সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করার নামই খামার ব্যাবস্থাপনা। গরু পালনে লাভবান হওয়ার জন্য যথাযতভাবে খামার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

খামারের জন্য স্থান নির্বাচনঃ
আমরা পরিবার ভিত্তিক ক্ষুদ্র খামার স্থাপনের জন্য আমাদের বাড়ির অ-ব্যবহারিত স্থান বেছে নিতে পারি। এ স্থানটি সাধারনতঃ বাড়ীর পুর্ব অথ বা পশ্চিম দিকে হলে ভাল হয়। সর্ব মোট ১০ টি গরুর জন্য ৩০০ বর্গ ফুট জায়গার প্রয়োজন। গরুর ঘর থেকে ২০/২৫ ফুট দূরে একটি ছোট ডোবা থাকবে যাতে সেখানে গরুর মল-মূত্র ফেলা যায়। এ ছাড়া মল মুত্র থেকে জৈব সার ও বায়ো গ্যাস উৎপাদনের জন্য বায়ো গ্যাস প্লান্ট স্থাপন করে লাভজনক ভাবে খামারের বর্জ ব্যবস্থাপনা করা যায়।

গরুর শেড নির্মানঃ
একটি পুর্ন বয়স্ক গরুর জন্য সর্ব সাকুল্যে ২৮-৩০ বর্গ ফুট জায়গার প্রয়োজন হয়। এ হিসেবেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক গরুর জন্য শেড নির্মান করতে হবে। গরুর শেড পূর্ব – পশ্চিমে লম্বা হলে ভাল হয়। শেডের ফ্লোর, খাবার পাত্র, পানিরপাত্র ইত্যাদি পাকা হওয়া প্রয়োজন। উপরে টিন অথবা ছনের ছাউনি দেওয়া যেতে পারে। শেডের নিকটস্থ গাছ ও ডালপালা কেটে ফেলে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে। শেডে পানীয় জলের সরবরাহ ও পয়ঃনিস্কাশনের ব্যাবস্থা থাকতে হবে। খামারের চারপাশে উচু মজবুত বেষ্টনী তৈরী করতে হবে যাতে চোরের হাত থেকে খামারের গরু ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিষ-পত্র রক্ষা করা যায়।

খামারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাঃ
গোবর গবাদি পশু থেকে পাওয়া একটি অর্থকরী সম্পদ। গোবর থেকে আমরা বায়ো গ্যাস ও জৈব সার উৎপাদন করতে পারি যা থেকে জ্বালানী ও ফসলি জমির উৎকৃ্ষ্ট সারের চাহিদা পুরন করা সম্ভব। এ ছাড়া , মাছের জলজ খাদ্য উৎপাদনে পুকুরে গোবর ব্যবহার করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৬, ২০২২ ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
সিরাজগঞ্জে ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু
কৃষি বিভাগ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগ দেখা দেওয়ায় কৃষক ও খামারিদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে; তবে এখন পর্যন্ত কোনো পশু মারা যায়নি।

উপজেলার ছোট চামতারা গ্রামের ইয়ামিন মোল্লার দুটি, পোতাজিয়া গ্রামের ফরহাদ হোসেনের পাঁচটি, গোলাম মোর্শেদ ও মানিক ব্যাপারীর একটি করে গরু আক্রান্ত হওয়ার কথা ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “গত তিন বছর ধরে গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগটি দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এটি বেশি হয়। সাত থেকে আট দিনের চিকিৎসায় আক্রান্ত গরু সুস্থ হয়ে উঠে।”

“উপজেলায় দুই শতাধিক গরু এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্ত গরুগুলোকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এটি ছোঁয়াছে রোগ না হওয়ায় দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আশা করছি, কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা গরুতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।”

পোতাজিয়া গ্রামের পশু চিকিৎসক সাইদুল ইসলাম বলেন, “এক সপ্তাহে পোতাজিয়া ও আশপাশের গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসায় অর্ধেক ভালো হয়েছে। বাকিগুলোর চিকিৎসা চলছে। তবে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কোনো গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।” এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীর স্থানে স্থানে ফুলে যায় বলে জানান খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলায় প্রায় সাত হাজার খামারে প্রায় দুই লাখ ৮০ হাজার গরু রয়েছে। এ বছর খামারি ও প্রান্তিক কৃষকেরা কোরবানির জন্য ৭০ হাজারের বেশি গরু, ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে গরুর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৪৬১টি এবং ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ২৪ হাজার ২৮০টি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২২ ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
খামারে পালিত গরুর প্রতি আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের
প্রাণিসম্পদ

কোরবানির গরু হাটের চেয়ে খামারে কিনতে ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। ফলে নীলফামারী জেলার কোন হাটই এখনো জমে উঠেনি। ক্রেতারা ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে খামারের গরু কিনতে ঝুঁকছেন। জেলার প্রতিটি খামারে কোরবানির গরু দরদামে ও ওজনে বিক্রি হচ্ছে। ফলে খামারে জমে উঠেছে কেনাবেচা।

শহরের বাঁশবাড়ি এলাকার শাহনওয়াজ জানান, যেহেতু খামারটি বাড়ির পাশে তাই গরু কেনার পর কোরবানি ও বর্জ্য অপসারণ সব কাজই করে দেবেন খামার কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গরুর সুস্থতার জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ সনদপত্রও দিচ্ছেন। জেলার সৈয়দপুরের বাঁশবাড়ি এলাকার শহীদ আব্দুল কুদ্দুস লেনে গড়ে উঠেছে মেসার্স ইউসুফ হৃষ্টপুষ্ট ও ডেইরি ফার্মটি।

এখানে প্রায় ৩০০ গরুকে প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে। কৃত্রিম কোনো খাবার দেওয়া হয়নি। ফলে এই খামারের গরু প্রতিবছরই কোরবানি দাতাদের কাছে চাহিদার শীর্ষে থাকে। খামারের গরু দেখাশুনার জন্য ৮ জন শ্রমিক সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। শ্রমিকরা জানান, গরুর খাবার হিসেবে চোকর, জাউ ভাত, ঘাস, মসুর ডাল, খেসারি ডাল, বুটের খোসা, আলু সিদ্ধ দেওয়া হয়। ফলে হৃষ্টপুষ্ট থাকছে গরুগুলো।

খামারের মালিক জামিল আশরাফ মিন্টু জানান, মূলত সাড়ে ৬০০ টাকা কেজি হিসাবে দাম ধরে গরুর ওজনে মূল্য ধরা হয়। এছাড়া বিয়ে, উৎসবের জন্য খামার থেকে সরবরাহ করা হয়।

তিনি জানান, খামারে ৪০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে। ২০১২ সালে খামারটি গড়ে তোলেন তিনি। নীলফামারী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোনাক্কা আলী বলেন, মেসার্স ইউসুফ হৃষ্টপুষ্ট ও ডেইরি ফার্মটি পরিবেশ বান্ধব। এটি নীলফামারী জেলার সবচেয়ে বড় খামার ও ডেইরি ফার্ম। প্রাকৃতিক পরিবেশে গরু লালন-পালনের বিষয়টি অনেকের কাছে অনুকরণীয় হতে পারে।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম হুসাইন মেসার্স ইউসুফ হৃষ্টপুষ্ট খামার ও ডেইরি ফার্মের প্রশংসা করে বলেন, চাকরি নামে সোনার হরিণের পেছনে না ছুটে শিক্ষিত বেকারদের এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। তিনি খামারটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

এছাড়া জেলার বেশকিছু খামার পুরো গরু ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। যাদের হাটবাজার অভ্যাস নেই কিংবা প্রায় ঠকে থাকেন তারা মূলত ওজন দরে গরু কিনে খামারেই রাখছেন বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২২ ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
১টি গরু দিয়ে শুরু করে ১৭ বছরে কোটিপতি হলেন আজিজ
প্রাণিসম্পদ

আজিজ ২০০২ সালে শংকর জাতের মাত্র ১টি গরু দিয়ে যাত্রা শুরু করেন। ১৭ বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন নীলফামারী জেলার মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ। বর্তমানে তার খামারে ৪০টি গাভি, ১৫টি বকনা, ৫টি ষাঁড় ও ১৫টি বাছুর রয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।

জানা যায়, বর্তমানে তার খামারে ১৫টি দুধের গাভি রয়েছে। এসব গাভি থেকে প্রতিদিন ১৫০-২০০ লিটার পর্যন্ত দুধ পেয়ে থাকেন। স্থানীয় বাজারে নিজস্ব একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে। সেখানকার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিকে দুধ সরবরাহ করে থাকেন।

আজিজের ডেইরি খামারের পাশাপাশি রয়েছে ছোট একটি ছাগলের খামার। যেখানে দেশি ও উন্নত জাতের প্রায় ১৭টি ছাগল রয়েছে। টেলিভিশনে দেখে উৎসাহিত হয়ে স্থাপন করেছেন তিনটি বায়োগ্যাস প্লান্ট। বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করার আগে গরুর গোবর তেমন কাজে আসত না। বর্তমানে গোবর থেকেও আয় হচ্ছে তার। একটি নিজে ব্যবহার করছেন আর দুটি ভাড়া দিচ্ছেন।

একটি চুলা থেকে ভাড়া বাবদ আয় হচ্ছে ৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ মাসে ৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত লাভ করছেন। নিজের কর্মসংস্থান করার পাশাপাশি এখানে কাজ করছেন ৪ জন শ্রমিক। তাদের ৬ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দিচ্ছেন। শ্রমিকরা জানান, এখানে কাজ করতে পেরে তারা অনেক খুশি।

মোহাম্মদ শাহিদ আজিজ জানান, প্রত্যেক মাসে খরচ বাদ দিয়ে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় হয়ে থাকে। গরুর খাদ্যের দাম ও দুধের বাজার ওঠা-নামার সাথে আয়ও ওঠা-নামা করে থাকে। তিনি আরও জানান, তার খামারের সফলতার পেছনে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সহযোগিতা রয়েছে।

খামার করার পর থেকে আজ পর্যন্ত বড় ধরনের তেমন কোন সমস্যা হয়নি। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে বেকারত্ব দূর করতে হাতিয়ার হতে পারে গরুর খামার। সরকারের সহযোগিতা আরও বাড়লে এ খাতে ২০ শতাংশ বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop